কবি রাধামোহন ঠাকুরের বৈষ্ণব পদাবলী
*
ঝাঁপল দিনমণি পড়তহি নীর
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত
এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২৬৬ ।

॥ শারঙ্গ রাগ কন্দর্প তালৌ ॥

ঝাঁপল দিনমণি পড়তহি নীর ।
তহিঁ অতি দর দর বহত সমীর ॥
রাধা মাধব রতি রণ ধীর ।
দুহুঁ পরবেশল কুঞ্জ কুটীর ॥ ধ্রু ॥
নিধুবন কেলি মণিত কসান  ।
পরাভব পাওল কিএ পাঁচবান ॥
রাধামোহন পহুঁক বিলাস ।
তাঁহি রসিক গণ অধিক উলাস ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং
সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড,
৩য় শাখা, ১৩শ পল্লব, অভিসারোত্কণ্ঠা, ৯৯৫পদসংখ্যক পদ-রূপে দেওয়া রয়েছে। এই
পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত  পদরসসার পুথির ১৪৩৫সংখ্যক পদ।

অস্যোচিত সম্ভোগঃ।
॥ বরাড়ী॥

ঝাঁপল দিনমণি প্রাতহি নীর।
তহিঁ অতি দর দর বহত সমীর॥
রাধা মাধব রতি-রণ-ধীর।
দুহুঁ পরবেশল কুঞ্জ-কুটীর॥
নিধুবন-কেলি মিলিত এক সান।
পরাভব পাওল কিয়ে পাঁচবাণ॥
রাধা মাধব১ দুহুঁক বিলাস।
তাহি রসিকগণ অধিক উলাস॥

১। সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরুর প্রকাশিত সংস্করণে এই পদটির ভণিতায়
“রাধা মাধব” দেওয়া রয়েছে। সেখানে অবশ্য একথাও লেখা রয়েছে যে পদকল্পতরুর প্রাপ্ত
ক, খ, ঘ, চ পুথিতে, “রাধা মাধব” স্থলে “রাধামোহন” দেওয়া রয়েছে।

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত,
বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব
চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত,
“শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ১০৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তত্সম্ভোগ শারঙ্গ রাগ কন্দর্প তাল॥

ঝাঁপল দিনমণি পড়তহি নীর। তহি অতি দরদর বহত সমীর॥
রাধামাধব রতিরণধীর। দুহু পরবেস কুঞ্জ কুটির॥ ধ্রু॥
নিধুবন কেলি মালতক শান। পরাভব পাওল মদন পাঁচবাণ॥
রাধামোহন পহু করি বিলাস। তহি রসিকগণ অধিক উল্লাস॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-
পদলহরী”, ৪৪০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বরাড়ী॥

ঝাঁপল দিনমণি প্রাতহি নীর।
তহিঁ অতি দর দর বহত সমীর॥
রাধা মাধব রতি-রণ ধীর।
দুহুঁ পরবেশল কুঞ্জ-কুটীর॥
নিধুবন-কেলি মিলিত এক ঠান।
পরাভব পাওল কিয়ে পাঁচবাণ॥
রাধামোহন তুহুঁক বিলাস।
তাহি রসিকগণ অধিক উলাস॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯২১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

সম্ভোগ
॥ বরাড়ী॥

ঝাঁপল দিনমণি প্রাতহি নীর।
তহিঁ অতি দর দর বহত সমীর॥
রাধা মাধব রতি-রণ-ধীর।
দুহুঁ পরবেশল কুঞ্জ-কুটীর॥
নিধুবন-কেলি মিলিত এক ঠান।
পরাভব পাওল কিয়ে পাঁচবাণ॥
রাধা মাধব১ দুহুঁক বিলাস।
তাহি রসিকগণ অধিক উলাস॥

১ - এই গ্রন্থেও ভণিতায় “রাধা মাধব” দেওয়া রয়েছে। একটু দেখলেই বোঝা যায় যে এই
গ্রন্থের অনেক পদই সরাসরি সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু সংকলন থেকে
নেওয়া হয়েছে অথবা তাঁদের প্রাপ্ত পুথিতে এরূপ ছিল। এই গ্রন্থে হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়,
পদের উত্স উল্লেখ করেন নি।

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
ঢল ঢল কাঞ্চন নিন্দি কলেবর
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত
এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৩২ ।

॥ দেশাগরাগ বিজয়ানন্দ তালাভ্যাং॥

ঢল ঢল কাঞ্চন নিন্দি কলেবর লাবণি অবনি উজোর ।
তাহে পুন পূরবক ভাবহি উজর সতত রহত তহিঁ ভোর ॥
খেলত গৌরকিশোর ।
মণিময় অভরণ অঙ্গহি পহিরণ দোলত রতন হিন্দোল ॥ ধ্রু ॥
তাতা থই থই মাদল বাজত চৌদিশে হরি হরি বোল ।
শত শত মধুর ভকত বর গাবত নাচত আনন্দ হিলোল ॥
দোলত দোলত গদ গদ বোলত ধর ধর মোহে প্রাণবন্ধু ।
রাধামোহন পহুঁ অন্তরে উছলল মহাভাব নব রস সিন্ধু ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
তুয়া কোরে শশিমুখি ঘুমে
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত
এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৩৭৫ ।

॥ গান্ধার রাগ চন্দ্রশেখরতালৌ ॥

তুয়া কোরে শশিমুখি ঘুমে মুকুলিত আঁখি সেবন করব কত হাম ।
কিশলয় কলাপক ব্যাজনহিঁ বীজব ঘুচায়ব দুহুঁ কর ঘাম ॥
মাধব কব অছু হইব সুদীন ।
সোই বিরিন্দাবনে কুঞ্জকুটির ঠামে ঐছে করব প্রতি দীন ॥
মাধবি পরিমল চিকুরক সৌরভ সহজহিঁ যছু উপমান ।
কুসুমক মিলনহি তাকর পরিমল পাই মঝু জুড়াব পরাণ ॥
আর কিএ রাইক সঙ্গে পুন হেরব পূরব চিরদিন সাধ ।
রাধামোহন পহুঁ করুণাসাগর তুহুঁ ঐছন কর পরসাদ ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
তুয়া মুখ কমল চান্দ আদি কবলই
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৬৫ ।

॥ বিহাগড়া সমতালৌ ॥

তুয়া মুখ কমল চান্দ আদি কবলই নিবিড় চামড় জিতি কেশ ।
কনক কমল অলি জিনি অলকাবলি শ্রুতি অছু গিধিনি বিশেষ ॥
তরুণি মুকুটমণি গোরি ।
ভ্রু যুগল রতনে কাম ধনু কম্পিত পরাণ পুতলি তুহুঁ মোরি ॥ ধ্রু ॥
চঞ্চল নয়ন ইন্দীবর নিন্দই গণ্ডহি জিতল মুকুর ।
নাসা তিল ফুল অধর পঙার কুল স্মিত জিত অমিয়া কপূর ॥
কুন্দ করগ বীজ জিত দ্বিজ লাবণি কন্ঠহি কম্বুক শোভা ।
বাহু মৃণাল করযুগ পঙ্কজ মঝু মন মধুকর লোভা ॥
কুচ যুগ কোক লোম ভুজঙ্গিনি ত্রিবলি ত্রিবেণী বিলাস ।
মাঝা বর সিংহ নিতম্ব করীকুম্ভ উরু রম্ভা করু উপহাস ॥
পদ থল কমল নখজিত চান্দ কত লাবণি অমিঞা তরঙ্গ ।
রাধামোহন পহুঁ কহইতে ঐছন ভাবে বিবশ ভেল অঙ্গ ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ১৪শ পল্লব, রূপোল্লাস,
১০৪৩সংখ্যক পদ-রূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির
১৪৬৩সংখ্যক পদ।

শ্রীকৃষ্ণস্যোক্তিঃ রূপোল্লাসঃ।
॥ তথা রাগ॥

তুয়া মুখ চাঁদ কমল আদি কবলই
নিবিড় চামর জিতি কেশ।
কনক কমল অলি জিনি অলকাবলি
শ্রুতি অছু গিধিনি বিশেষ॥
তরুণি-মুকুট-মণি গোরি।
ভ্রুযুগ নরতনে কাম-ধনু কম্পিত
পরাণ-পুতলি তুহুঁ মোরি॥ ধ্রু॥
চঞ্চল নয়ন ইন্দীবর নিন্দই
গণ্ডহি জিতল মুকুর।
নাসা তিলফুল অধর পঙারকুল
স্মিত জিতি অমিয়া কপূর॥
কুন্দ করগ-বিজ জিতি দ্বিজ-লাবণি
কন্ঠহি কম্বুক শোভা।
বাহু মৃণাল করযুগ পঙ্কজ
মঝু মন-মধুকর-লোভা॥
কুচযুগ কোক লোম ভুজঙ্গিনি
ত্রিবলি ত্রিবেণী-বিলাস।
মাঝ বর সিংহ নিতম্ব করি-কুম্ভ
উরু রম্ভা করু উপহাস॥
পদ থল-কমল নখ জিত চাঁদ কত
লাবণি অমিয়া-তরঙ্গ।
রাধামোহন পহু কহইতে ঐছন
ভাবে বিবশ ভেল অঙ্গ॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪২৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী॥

তুয়া মুখ চাঁদ কমল, আদি কবলই, নিবিড় চামর জিতি কেশ।
কনক কমল অলি, জিনি অলকাবলি, শ্রুতি অছু গিধিনী বিশেষ॥
তরুণিমুকুটমণি গোরি।
ভ্রুযুগ পাতনে, তনু অতি কম্পিত, পরাণ পুতলী তুহুঁ মোরি॥
চঞ্চল নয়ন, ইন্দীবর নিন্দই, গণ্ডহি জিতল মুকুর।
নাসা তিলফুল, অধর পঙারকুল, স্মিত জিত অমিয়া কপূর॥
কুন্দ করগ-বীজ, জিতি দ্বিজলাবণি, কন্ঠহি কম্বুক শোভা।
বাহুমৃণাল, করযুগ পঙ্কজ, মঝু মন মধুকর লোভা॥
কুচযুগ কোক, লোম ভুজঙ্গিনি, ত্রিবলী ত্রিবেণী-বিলাস।
মাঝ বর সিংহ, ত্রিবেণী নিতম্ব করি-কুম্ভ, উরু রম্ভা করু উপহাস॥
পদথলকমল, নখ জিতি চাঁদ কত, লাবণি অমিয়া রঙ্গ।
রাধামোহন পহু, কহইতে ঐছন, ভাবে অবশ ভেল অঙ্গ॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৪১-
পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী॥

তুয়া মুখ চাঁদ কমল,                        আদি কবলই,
নিবিড় চামর জিতি কেশ।
কনক কমল অলি,                      জিনি অলকাবলি,
শ্রুতি অছু গিধিনী বিশেষ॥
তরুণি-মুকুট-মণি গোরী।
ভ্রূযুগ-পাতনে,                         তনু অতি কম্পিত,
পরাণ-পুতলী তুহুঁ মোরি॥
চঞ্চল নয়ন,                                ইন্দীবর নিন্দই,
গণ্ডহি জিতল মুকুর।
নাসা তিলফুল,                           অধর পঙারকুল,
স্মিত জিতি অমিয়া কর্পূর॥
কুন্দ করগ-বীজ,                        জিতি দ্বিজ-লাবণি,
কন্ঠহি কম্বুক শোভা।
বাহু মৃণাল,                                  করযুগ পঙ্কজ,
মঝু মন মধুকর লোভা॥
কুচযুগ কোক,                             লোম ভুজঙ্গিনী,
ত্রিবিলি ত্রিবেণী-বিলাস।
মাঝ বর সিংহ,                          নিতম্ব করি-কুম্ভ,
উরু রম্ভা করু উপহাস॥
পদ থল-কমল,                          নখ জিত চাঁদ কত,
লাবণি অমিয়া রঙ্গ।
রাধামোহন পহুঁ,                             কহইতে ঐছন,
ভাবে অবশ ভেল অঙ্গ॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯২২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীরাধার রূপ
শ্রীকৃষ্ণের উক্তি
॥ তথা রাগ॥

তুয়া মুখ চাঁদ কমল আদি কবলই
নিবিড় চামর জিতি কেশ।
কনক কমল অলি জিনি অলকাবলি
শ্রুতি অছু গিধিনি বিশেষ॥
তরুণি-মুকুট-মণি গোরি।
ভ্রুযুগ নরতনে কাম-ধনু কম্পিত
পরাণ-পুতলি তুহুঁ মোরি॥ ধ্রু॥
চঞ্চল নয়ন ইন্দীবর নিন্দই
গণ্ডহি জিতল মুকুর।
নাসা তিলফুল অধর পঙারকুল
স্মিত জিতি অমিয়া কপূর॥
কুন্দ করগ-বিজ জিতি দ্বিজ-লাবণি
কন্ঠহি কম্বুক শোভা।
বাহু মৃণাল করযুগ পঙ্কজ
মঝু মন-মধুকর-লোভা॥
কুচযুগ কোক লোম ভুজঙ্গিনি
ত্রিবলি ত্রিবেণী-বিলাস।
মাঝ বর সিংহ নিতম্ব কুম্ভ-করি
ঊরু রম্ভা করু উপহাস॥
পদ থল-কমল নখ জিত চাঁদ কত
লাবণি অমিয়া-তরঙ্গ।
রাধামোহন পহু কহইতে ঐছন
ভাবে বিবশ ভেল অঙ্গ॥

ই পদটি ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী ব্যাখ্যা সম্বলিত
মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ২য় খণ্ড, ১০৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ করুণ বরাড়ী - মধ্যম একতালা॥

তুয়া মুখ কমল,                        চাঁদ আদি কবলই
নিবিড় চামর জিতি কেশ।
কনক কমল অলি,                      জিনি অলকাবলি,
শ্রুতি অছু গিধিনি বিশেষ॥
তরুণী-মুকুট-মণি গোরী।
ভ্রুযুগ রতনে,                           কাম ধনু কম্পিত
পরাণ পুতুলি তুহুঁ মোরি॥ ধ্রু॥
চঞ্চল নয়ন                                ইন্দীবর নিন্দই,
গণ্ডহি জিতল মকুর।
নাসা তিলফুল,                          অধর পঙার কুল
স্মিত জিতি অমিয়া কপূর॥
কুন্দ করগ বীজ                         জিত দ্বিজ লাবণি
কন্ঠহি কম্বুক শোভা।
বাহু মৃণাল                                কর যুগ পঙ্কজ,
মঝু মন মধুকর লোভা॥
কুচ যুগ কোক,                           লোম ভুজঙ্গিনী,
ত্রিবলি ত্রিবেণী-বিলাস।
মাঝ বর সিংহ,                         নিতম্ব করী কুম্ভ
উরু রম্ভা করু উপহাস॥
পদ থল কমল,                        নখ জিত চাঁদ কত
লাবণি অমিয়া তরঙ্গ।
রাধামোহন পহুঁ,                          করইতে ঐছন
ভাবে বিবশ ভেল অঙ্গ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
তুয়া রূপ জগজন করত ধেয়ান
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৫৮ ।

॥ সুহই রাগ সমতালৌ ॥

তুয়া রূপ জগজন করত ধেয়ান ।
সো অব বিষশর ধনি মন মান ॥
শুন মাধব তুয়া খেদ সহই না পার ।
মানই সো নিজ জীবন ভার ॥ ধ্রু ॥
তুয়া বিসরণ লাগি করত সঞ্চার ।
আন জন যাহা লাগি করে পরকার ॥
মন অবধারি কহ সুসম্বাদ ।
ভণ রাধামোহন যাউ বিবাদ ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড, ১ম শাখা, ৭ম পল্লব, শ্রীরাধার
পূর্ব্বরাগ-সবিস্তার, পদসংখ্যা ১৬৮।

॥ সুহই॥

তুয়া রূপ জগ-জন করত ধেয়ান।
সো অব বিষ-শর ধনি মন মান॥
মাধব তুয়া খেদ সহই না পার।
মানই সো নিজ জীবন ভার॥
তুয়া বিসরণ লাগি করত সঞ্চার।
আন জন যাহা লাগি করে পরকার॥
মন অবধারি কহ সুসম্বাদ।
ভণ রাধামোহন যাউক বিবাদ॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৪২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

তুয়া রূপ জগজন করত ধেয়ান। সো য়ব বিষশর ধনি মন মান॥
মাধব তুয়া খেদ সহই না পার। মানই সো নিজ জীবন ভার॥
তুয়া বিসরণ লাগি করত সঞ্চার। আন জন যাহা লাগী করে পরকার॥
মন অবধারি কহ সুসংবাদ। ভণ রাধামোহন জাউক বিষাদ॥

ই পদটি চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৮৭০ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত এবং তাঁর পুত্র রাজেন্দ্রনাথ
বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৯২২ সালে প্রকাশিত “শ্রীশ্রীপদামৃতসিন্ধু”, ১৬৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীরাধিকার বৈয়গ্রং-দশা।
॥ সোহই॥

তুয়ারূপ জগজন করত ধেয়ান।
সো অব বিষশর ধনি মনমান॥
মাধব তুয়া খেদ সহই না পার।
মানই সো নিজ জীবন ভার॥
তুয়া বিসরণ লাগি করত সঞ্চার।
আন জন যাহা লাগি করে পরকার॥
মন অবধারি কহ সুসংবাদ।
ভণ রাধামোহন যাউ বিবাদ॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪১৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহই॥

তুয়া রূপ জগজন করত ধেয়ান।
সো অব বিষধর ধনী মন মান॥
মাধব তুয়া খেদ সহই না পার।
মানই সো নিজ জীবন ভার॥
তুয়া বিসরণ লাগি করত সঞ্চার।
আনজন তাহা লাগি করে পরকার॥
মন অবধারি কহ সুসম্বাদ।
ভণে রাধামোহন যাউক বিবাদ॥

ই পদটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীপদরত্ন-
মালা”, ১০০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীমতীর বৈয়গ্র দশা।
॥ সুহই॥

তুয়ারূপ জগজন করত ধেয়ান।
সো অব বিছুরব ধনী মন মান॥
মাধব তুয়া খেদ সহই না পার।
মানই সো নিজ জীবন ভার॥
তুয়া বিসরণ লাগি করত সঞ্চার।
আন জন যাহা লাগি করে পরকার॥
মন অবধারি কহ সুসংবাদ।
ভণ রাধামোহন যাউক বিবাদ॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯১৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

প্রকারান্তর
শ্রীরাধার পূর্বরাগ
॥ সুহই॥

তুয়া রূপ জগ-জন করত ধেয়ান।
সো অব বিষ-শর ধনি মন মান॥
মাধব তুয়া খেদ সহই না পার।
মানই সো নিজ জীবন ভার॥
তুয়া বিসরণ লাগি করত সঞ্চার।
আন জন যাহা লাগি করে পরকার॥
মন অবধারি কহ সুসম্বাদ।
ভণে রাধামোহন যাউক বিবাদ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
তোমার করুণা বিনে মোঁপাপীর নাহি ত্রাণে
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৯৩ ।

॥ ধানশীরাগ চঞ্চুপুটতালৌ ॥

তোমার করুণা বিনে মোঁপাপীর নাহি ত্রাণে সত্য সত্য এই নিবেদনে ।
মোর মন দুরাচার নিমেষ পরার্দ্ধকাল স্থির নহে স্মরণ ভজনে ॥
প্রাণনাথ কৃপা করি শুন মোর কাযে ।
বুঝাইলু যত যত নালএ পামর চিত সদাই বিষয় বিষে মজে ॥ ধ্রু ॥
অনায়াসে তরি যাতে, উপদেশ দিলে তাতে, তাহা মুঞি না শুনিল কানে ।
তোমার সম্বন্ধ মোতে এই খ্যাত এ জগতে এ বিচারি কর পরিত্রাণে ॥
বৃন্দাবনে বাস দিয়া নামে রুচি জন্মাইয়া মোর মোন রাখ স্বচরণে ।
এ রাধামোহন কয় তবে মোর ত্রাণ হয় অসম্ভব কৃপালোকে জানে ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ, ৩৬শ
পল্লব, প্রার্থনা, ৩০৯৯সংখ্যক পদ হিসেবে এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তথা রাগ॥

তোমার করুণা বিনে                         মো পাপীর নাহি ত্রাণে
সত্য সত্য এই নিবেদনে।
মোর মন দুরাচার                                নিমেষ-পরার্দ্ধ-কাল
স্থির নহে ভজন স্মরণে॥
প্রাণনাথ কৃপা করি শুন মোর কাজে।
বুঝাইলুঁ যত যত                                না লয়ে পামর চিত
সদাই বিষয়-বিষে মজে॥ ধ্রু॥
অনায়াসে তরি যাতে                           উপদেশ দিলে তাতে
তাহা মুঞি না শুনিলুঁ কাণে।
তোমার সম্বন্ধ মোতে                            এই খ্যাতি ত্রিজগতে
এ বিচারি কর পরিত্রাণে॥
বৃন্দাবনে বাস দিয়া                              নামে রুচি জন্মাইয়া
মোর মোন রাখ স্বচরণে।
এ রাধামোহন কয়                                তবে মোর ত্রাণ হয়
অসম্ভব কৃপা লোকে জানে॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪৪৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

তোমার করুণা বিনে, মো পাপীর নাহি ত্রাণে, সত্য সত্য এই নিবেদনে।
মোর মন দুরাচার, নিমিষ পরার্দ্ধ কাল, স্থির নহে ভজন স্মরণে॥
প্রাণনাথ কৃপা করি শুন মোর কাজে।
বুঝাইনু যত যত, না লয় পামর চিত, সদাই বিষ-বিষে মজে॥
অনায়াসে তরি যাইতে, উপদেশ দিলা তাতে, তাহা মুঞি না শুনিনু কাণে।
তোমার সম্বন্ধে মোতে, এই খ্যাতি ত্রিজগতে, এ বিচারি কর পরিত্রাণে॥
বৃন্দাবনে বাস দিয়া, নামে রুচি জন্মাইয়া, মোর মন রাখ স্বচরণে।
এ রাধামোহন কয়, তবে মোর ত্রাণ হয়, অসম্ভব কৃপা লোকে জানে॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
থরহরি কাঁপয়ে গদগদ ভাষ
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড, ১ম শাখা, ২য়
পল্লব, শ্রীরাধার পূর্ব্বরাগ, পদসংখ্যা ৫১।

ততঃ সংক্ষিপ্ত-নবোঢ়া।
॥ কেদার॥

থরহরি কাঁপয়ে গদগদ ভাষ।
লাজে বচন নাহি করে পরকাশ॥
শুন শুন কানু করয়ে ধনি ভীত।
কবহুঁ না জানই সুরতকি রীত॥
তুহুঁ হোয়বি চন্দন-সম শীত।
তোহে সোঁপল ইহ বাল-চরীত॥
রভস করবি বুঝি বিদগধ-রায়।
যৈছনে সুকুমারী দুখ নাহি পায়॥
নিয়ড়ে রাখি ইহ হাম সব যাই।
এত কহি সব সখি রহল ছাপাই॥
দুহুঁ কর কেলি-দরশক আশে।
কব হেরব রাধামোহন দাসে॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত,
বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব
চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত,
“শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ১৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

থরহরি কাঁপএ গদগদ ভাষ। লাজে বচন নাহি করে পরকাশ॥
সুন সুন কানু করএ ধনি ভীত। কবহু না জানই সুরত কি রীত॥
তুহু হোয়বি চন্দন সম সিত। তোহে সোপলু ইহ বালচরিত॥
রভস করবি বুঝি বিদগধ রায়। জৈছনে সুকুমারী দুখ নাহি পায়॥
নিয়ড়হি রাখি ইহ হাম সব জাই। এত কহি সখী সব রহল ছাপই॥
দোহ কর কোল দরশক আশে। করহে বধ রাধামোহন দাসে॥

ই পদটি চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৮৭০ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত এবং তাঁর পুত্র
রাজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৯২২ সালে প্রকাশিত “শ্রীশ্রীপদামৃতসিন্ধু”, ১৫৪-পৃষ্ঠায়
এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

সংক্ষিপ্ত-নবোঢ়া।

থরহরি কাঁপয়ে গদ গদ ভাষ।
লাজে বচন নাহি করে পরকাশ॥
শুন শুন কানু করয়ে ধনী ভীত।
কবহু না জানই সুরতকি রীত॥
তুহুঁ হোয়বি চন্দন সম শীত।
তোহে সোঁপল ইহ বালচরিত॥
রভস করবি বুঝি বিদগধ রায়।
যৈছনে সুকুমারী দুঃখ নাহি পায়॥
নিয়ড়ে রাখি ইহ হাম সব যাই।
এত কহি সব সখী রহল ছাপাই॥
দুহুঁকর কেলি দরশক আশে।
কব হেরব রাধামোহন দাসে॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
“সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪১৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ কামোদা॥

থরহরি কাঁপয়ে গদগদ ভাষ।
লাজে বচন নাহি করে পরকাশ॥
শুন শুন কানু করয়ে ধনী ভীত।
কবহুঁ না জানই সুরতকি রীত॥
তুহুঁ হোয়বি চন্দন সম শীত।
তোহে সোপল ইহ বালচরিত॥
রভস করবি বুঝি বিদগধ রায়।
যৈছনে সুকুমারী দুঃখ নাহি পায়॥
নিয়ড়ে রাখি ইহ হাম সব যাই।
এত কহি সব সখী রহল ছাপাই॥
দুহুঁক কেলি দরশক পাশে।
কব হোয়ব রাধামোহন দাসে॥

ই পদটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “শ্রীশ্রীপদরত্ন-মালা”, ৮৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

সংক্ষিপ্ত-নবোঢ়া।
॥ কেদার॥

থরথরি কাঁপয়ে গদগদ ভাষ।
লাজে বচন নাহি করে পরকাশ॥
শুন শুন কানু করয়ে ধনী ভীত।
কবহু না জানই সুরতকি রীত॥
তুহুঁ হোয়বি চন্দন সম শীত।
তোহে সোঁপল ইহ বাল চরীত॥
রভস করবি বুঝি বিদগধ রায়।
যৈছনে সুকুমারী দুঃখ নাহি পায়॥
নিয়ড়ে রাখি ইহ হাম সব যাই।
এত কহি সব সখি রহল ছাপাই॥
দুহুঁক কেলি দরশক আশে।
কব হেরব রাধামোহন দাসে॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯১৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

মিলন
॥ কেদার॥

থরহরি কাঁপয়ে গদগদ ভাষ।
লাজে বচন নাহি করে পরকাশ॥
শুন শুন কানু করয়ে ধনি ভীত।
কবহুঁ না জানই সুরতকি রীত॥
তুহুঁ হোয়বি চন্দন-সম শীত।
তোহে সোঁপল ইহ বাল-চরীত॥
রভস করবি বুঝি বিদগধ-রায়।
যৈছনে সুকুমারী দুখ নাহি পায়॥
নিয়ড়ে রাখি ইহ হাম সব যাই।
এত কহি সব সখি রহল ছাপাই॥
দুহুঁ কর কেলি-দরশক আশে।
কব হেরব রাধামোহন দাসে॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
থীর নয়নে ধনি তুয়া পথ হেরইতে
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-১৭৬ ।

॥ ভৈরব রাগ চন্দ্রশেখর তালৌ ॥

থীর নয়নে ধনি তুয়া পথ হেরইতে কুসুম পরাগ তহিঁ লাগি ।
নয়নক আর কত বাঢ়ল অতিশয় তাহে পুন যামিনি জাগি ॥
মানিনি মিছই বাঢ়য়সি মান ।
কুঙ্কুম নখ পদ গৈরিক অলকত রোখে করসি সোই ভান ॥
তুয়া আগে পুন পুন করল নিবেদন ইহ সব মীছই মান ।
নহত পরীখন করব তুয়া আগে সাঁচ কি মিছই জান ॥
তুয়া বিনু শয়নে সপনে নাহি হেরিএ তুয়া অনুগত হাম কান ।
রাধা মোহন পহঁ তুয়া পায়ে নিবেদয়ে ইথে নাহি জানহ আন ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড, ২য় শাখা, ৭ম পল্লব,
সর্ব্বকালোচিত খণ্ডিতা, পদসংখ্যা ৩৭৩।

॥ ভৈরবী॥

থীর নয়নে ধনি                          তুয়া পথ হেরইতে
কুসুম-পরাগ তহিঁ লাগি।
নয়নক আরকত                            বাঢ়ল অতিশয়
তাহে পুন যামিনি জাগি॥
মানিনি মিছই বাঢ়য়সি মান।
কুঙ্কুম নখ-পদ                              গৈরিক অলকত
রোখে করসি সোই ভান॥
তুয়া আগে পুন পুন                        করিয়ে নিবেদন
ইহ লব মীছহিঁ মান।
নহ ত পরীখন                        করতহিঁ তুয়া আগে
সাঁচ কি মিছ ইহ জান॥
তুয়া বিনে শয়নে                        সপনে নাহি হেরিয়ে
তুয়া অনুগত হাম কান।
রাধামোহন-পহঁ                        তুয়া পায়ে নিবেদয়ে
ইথে নাহি জানহ আন॥

টীকা -
১ - ৪। “থীর নয়নে” ইত্যাদি। হে সুন্দরি! নিশ্চল নেত্রে তোমার আগমন-পথ নিরীক্ষণ করার সময়ে,
তাহাতে পুষ্প-পরাগ পতিত হইয়াছে (অর্থাৎ নয়নে পুষ্প-পরাগ পতিত হওয়ায়ই আমার নেত্র আরক্তিম
হইয়াছে,---নিশা-জাগরণে নহে )।
৫ - ৭। মানিনি ইত্যাদি। ও গো মানশীলে! তুমি মিছামিছি মান বাড়াইতেছ ; তুমি ক্রোধবশতঃ কুঙ্কুমকে নখ-
ক্ষত ও গৈরিককে অলক্তক বলিয়া জ্ঞান করিতেছ।
---সতীশচন্দ্র রায়, পদকল্পতরু॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪২০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ভৈরবী॥

থির নয়নে ধনি, তুয়া পথ হেরইতে, কুসুম পরাগ তহিঁ লাগি।
নয়নক আরকত, বাঢ়ল অতিশয়, তাহে পুন যামিনী জাগি॥
মানিনি মিছই বাঢ়য়সি মান।
কুঙ্কুম নখ-পদ, বৈরী কয়ল কত, রোখে করসি সোই ভাণ॥
তুয়া আগে পুন পুন, করিয়ে নিবেদন, ইহ লব মিছই মান।
লহত পরীক্ষণ, করতহিঁ তুয়া আগে, সাঁচ কি মিছই জান॥
তুয়া বিনে শয়নে, স্বপনে নাহি হেরিয়ে, তুয়া অনুগত হাম কান।
রাধামোহন পহুঁ তুয়া পায়ে নিবেদয়ে, ইথে নাহি জানহ আন॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৩৬-
পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ভৈরবী॥

থির নয়নে ধনি,                        তুয়া পথ হেরইতে
কুসুম পরাগ তহিঁ লাগি।
নয়নক আর কত,                         বাঢ়ল অতিশয়
তাহে পুন যামিনী জাগি॥
মানিনি মিছই বাঢ়য়সি মান।
কুঙ্কুম নখপদ,                            বৈরি কঅল কত
রোখে করসি সোই ভান॥
তুয়া আগে পুন পুন,                       করিয়ে নিবেদন
ইহ লব মিছই মান।
লহত পরীক্ষণ,                        করতঁহি তুয়া আগে
সাঁচ কি মিছই জান॥
তুয়া বিনে শয়নে,                     স্বপনে নাহি হেরিয়ে
তুয়া অনুগত হাম কান।
রাধামোহন পহঁ,                       তুয়া পায়ে নিবেদয়ে
ইথে নাহি জানহ আন॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯১৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

সর্ব্বকালোচিত খণ্ডিতা
শ্রীকৃষ্ণের উক্তি
॥ ভৈরবী॥

থীর নয়নে ধনি                           তুয়া পথ হেরইতে
কুসুম-পরাগ তহিঁ লাগি।
নয়নক আরকত                            বাঢ়ল অতিশয়
তাহে পুন যামিনি জাগি॥
মানিনি মিছই বাঢ়য়সি মান।
কুঙ্কুম নখ-পদ                               গৈরিক অলকত
রোখে করসি সোই ভান॥
তুয়া আগে পুন পুন                        করিয়ে নিবেদন
ইহ সব মীছহিঁ মান।
নহ ত পরীখন                        করতহিঁ তুয়া আগে
সাঁচ কি মিছ ইহ জান॥
তুয়া বিনে শয়নে                       সপনে নাহি হেরিয়ে
তুয়া অনুগত হাম কান।
রাধামোহন-পহঁ                        তুয়া পায়ে নিবেদয়ে
ইথে নাহি জানহ আন॥

ই পদটি ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী ব্যাখ্যা সম্বলিত
মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ২য় খণ্ড, ৩১৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীকৃষ্ণের উক্তি।
॥ ভৈরব রাগ - চন্দ্র শেখর তাল॥

থীর নয়নে ধনি                        তুয়া পথ হেরইতে
কুসুম পরাগ তহিঁ লাগি।
নয়নক আরকত                         বাঢ়ল অতিশয়
তাহে পুন যামিনি জাগি॥
মানিনি মিছই বাঢ়য়সি মান।
কুঙ্কুম নখ পদ                            গৈরিক অলকত
রোখে করসি সোই ভান॥
তুয়া আগে পুন পুন                        করল নিবেদন
ইহ সহ মীছই মান।
নহত পরীখন                          করব তুয়া আগে
সাঁচ কি মিছ ইহ জান॥
তুয়া বিনু শয়নে                     সপনে নাহি হেরিএ
তুয়া অনুগত হাম কান।
রাধা মোহন পহুঁ                   তুয়া পায়ে নিবেদয়ে
ইথে নাহি জানহ আন॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
থোরি বয়স ধনি ভাল মন্দ নাহি
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৫৫ ।

॥ তিরোধা ধানসী রাগৈক তালীতালৌ ॥

থোরি বয়স ধনি ভাল মন্দ নাহি জানি খেলই সখীগণ সাঁথ ।
বাট ঘটিত তুয়া কামদ রূপ হেরি দৈবে পড়ল পরমাদ ॥
শুন মাধব ইথে কাহে বোলসি আন ।
তুঅ চপলমতি পুন তাহে কুলবতী নীচয়ে তুহুঁ সে নিদান ॥ ধ্রু ॥
তঁহি তুহুঁ সুমধুর মুরলী আলাপলি মুনিজন মোহন হোয় ।
মুরলীক শান শ্রবণ যব পৈঠল তব হি চঞ্চল ভই রোয় ॥
তদবধি জাগর ক্ষীণ কলেবর দিন রজনী নাহি জান ।
তুয়া প্রেম বিষমে জড়িত ভেল অন্তর কছুই না শুনই কান ॥
বরজ সুখাকর বোলয়ে সব জন তাহে  @হে অকরুণ ভেল ।
রাধামোহন কহ অব @@ মীলহ মরমে রহয়ে জানি শেল ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড, ১ম শাখা, ৭ম পল্লব, শ্রীরাধার
পূর্ব্বরাগ-সবিস্তার, পদসংখ্যা ১৬৫।

॥ তিরোতা॥

থোরি বয়স ধনি                       ভাল মন্দ নাহি জানি
খেলই সহচরি সাথ।
বাট-ঘটিত তুয়া                            কামদ রূপ হেরি
দৈবে পড়ল পরমাদ॥
শুন মাধব, ইথে কাহে বোলসি আন।
ও অচপল-মতি                          পুন তাহে কুলবতি
নীচয়ে তুহুঁ সে নিদান॥ ধ্রু॥
তাহে তুহুঁ সুমধুর                           মুরলি আলাপলি
মুনি-জন-মোহন সোয়।
মুরলি-নিসান                                শ্রবণে যব পৈঠল
তবহিঁ চঞ্চল ভই রোয়॥
তব ধরি জাগর                                ক্ষীণ কলেবর
দীন-রজনী নাহি জান।
তুয়া প্রেম বিযসেঁ                       জড়িত ভেল অন্তর
কিছুই না শূনই কাণ॥
বরজ-সুখাকর                              বোলয়ে সব জন
তাহে কাহে অকরুণ ভেল।
রাধামোহন কহ                              অব যাই মীলহ
মরমে রহয়ে জানি শেল॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৪১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তিরথা॥

থোরি বএস ধনি ভালমন্দ নাহি জানি খেলই সহচরি সাথ।
বাট ঘাটক তুয়া কামদ রূপ হেরি দৈবে পড়ল পরমাদ॥
শুন মাধব ইথে কাহে বোলবি আন।
তুয়া চপলমতি পুন তাহে কুলবতী নিশ্চএ তুহু সে নিদান॥ ধ্রু॥
তাহে তুহু মধুর মুরলি আলাপনি মুনিমন মোহন হয়।
মুরলিক সান শ্রবণে জব পৈঠল তবহু চঞ্চল ভই রোয়॥
তব ধরি জাগর খীন কলেবর দিন রজনী নাহি জান।
তুয়া প্রেমবিষে সে জে জরিত ভেল অন্তর কিছুই না যুনই কান॥
বরজসুখাকর বোলএ সব জন তাহে  কাহে অকরুণ ভেল।
রাধামোহন কহ অব জাই মিলত মরমে রহএ জানি শেল॥

ই পদটি চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৮৭০ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত এবং তাঁর পুত্র রাজেন্দ্রনাথ
বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৯২২ সালে প্রকাশিত “শ্রীশ্রীপদামৃতসিন্ধু”, ১৬৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীরাধার জড়িমা-দশা।
॥ তিরতা ধানসী॥

থোরি বয়স ধনি, ভাল মন্দ নাহি জানি, খেলই সখিগণসাথ।
নাট ঘটিত তুয়া, কামদ রূপ হেরি, দৈবে পড়ল পরমাদ॥
মাধব ইথে কাহে বোলসি আন।
তু চপলমতি, পুন তাহে কুলবতী, নিচয়ে তুহুঁ সে নিদান॥
তহি তুহু সুমধুর, মুরলী আলাপই, মুনিজন মোহন হোয়।
মুরলীক গান, শ্রবণহি সব পৈঠল, তবহি চঞ্চল ভই রোয়॥
তদবধি জাগর, ক্ষীণ কলেবর, দিন রজনী নাহি জান।
তুয়া প্রেম বিষমে, জড়িত ভেল অন্তর, কিছুই না শূনই কান॥
বরজ সুধাকর, বোলয়ে সব জন, তাহে কাহে অকরুণ ভেল।
রাধামোহন কহ, অব যাই মিলহ, মরমে রহয়ে জানি শেল॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪১৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তিরোতা॥

থোরি বয়স ধনী, ভাল মন্দ নাহি জানি, খেলই সহচরী সাথ।
বাট ঘটিত তুয়া, কামদ রূপ হেরি, দৈবে পড়ল পরমাদ॥
শুন মাধব ইথে কাহে বোলসি আন।
ও অচপল-মতি, পুন তাহে কুলবতী, নিচয়ে তুহুঁ সে নিদান॥
তাহে তুহুঁ সুমধুর, মুরলী আলাপলি, মুনি-জন-মোহন সোয়।
মুরলী নিসান, শ্রবণে যব পৈঠল, তবহুঁ চঞ্চল ভই রোয়॥
তব ধরি জাগর-ক্ষীণ কলেবর, দিন রজনী নাহি জান।
তুয়া প্রেম বিষসেঁ, জড়িত ভেল অন্তর, কিছুই না শুনই কাণ॥
বরজ-সুখাকর, বোলয়ে সব জন, তাহে কাহে অকরুণ ভেল।
রাধামোহন কহ, অব যাই মিলহ, মরমে রহয়ে জানি শেল॥

ই পদটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীপদরত্ন-
মালা”, ৯৮-পৃষ্ঠা।

শ্রীমতীর জড়িমা দশা।

॥ ধানশী॥

থোরি বয়স ধনী                       ভাল মন্দ নাহি জানি
খেলই সখীগণ সাথ।
বাট ঘটীত তুয়া                            কামদ রূপ হেরি
দৈবে পড়ল পরমাদ॥
শুন মাধব, ইথে কাহে বোলসি আন।
ও অচপল মতি                         পুনঃ তাহে কুলবতি
নিচয়ে তুহুঁ সে নিদান॥ ধ্রু॥
তাহে তুহু সুমধুর                            মুরলী আলাপনি
মুনিজন-মোহন সোয়।
মুরলি নিসান                               শ্রবণে যব পৈঠল
তব হি চঞ্চল ভই রোয়॥
তব ধনী জাগর                                ক্ষীণ কলেবর
দিবস রজনী নাহি জান।
তুয়া প্রেম বিয সে                        জড়িত ভেল অন্তর
কিছুই না শুনই কাণ॥
বরজ সুধাকর                                বোলই সব জন
তাহে কাহে অকরুণ ভেল।
রাধামোহন কহ                                অব যাই মিলহ
মরমে রহয়ে জানি শেল॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯১২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীরাধার পূর্ব্বরাগ
শ্রীরাধার আপ্তদূতী
॥ তিরোতা॥

থোরি বয়স ধনি                       ভাল মন্দ নাহি জানি
খেলই সহচরি সাথ।
বাট-ঘটিত তুয়া                           কামদ রূপ হেরি
দৈবে পড়ল পরমাদ॥
শুন মাধব, ইথে কাহে বোলসি আন।
ও অচপল-মতি                         পুন তাহে কুলবতি
নীচয়ে তুহুঁ সে নিদান॥
তাহে তুহুঁ সুমধুর                        মুরলি আলাপলি
মুনি-জন-মোহন সোয়।
মুরলি-নিসান                             শ্রবণে যব পৈঠল
তবহিঁ চঞ্চল ভই রোয়॥
তবধরি জাগর                               ক্ষীণ কলেবর
দীন রজনী নাহি জান।
তুয়া প্রেম বিযাধে                     জড়িত ভেল অন্তর
কিছুই না শূনই কাণ॥
বরজ সুখাকর                            বোলয়ে সব জন
তাহে কাহে অকরুণ ভেল।
রাধামোহন কহ                            অব যাই মীলহ
মরমে রহয়ে জানি শেল॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
দয়া কর শচীসুত নবদ্বীপ চান্দ
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও
বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪২০ ।

॥ বরাড়িরাগ ধ্রুবতালৌ ॥

দয়াকর শচীসুত নবদ্বীপ চান্দ ।
সকল ভুবন জন মোহন ফান্দ ॥ ধ্রু ॥
জয় জয় প্রেম দাতা পতিত পাবন ।
জয় জয় স্বরূপাদি ভক্ত প্রাণধন ॥
নব নব অনুরাগ ভাবহি ভোর ।
কঞ্জ নয়নে বহে অনুখন লোর ॥
কলি যুগ পাবন আনন্দ কারি ।
দাস রাধামোহন পতিত উদ্ধারি ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর