কবি রাধামোহন ঠাকুরের বৈষ্ণব পদাবলী |
দিনকর কিরণ রহিত ঘন ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৩৮৪ । ॥ গুজ্জরী রাগৈক তালি তালাভ্যাং ॥ দিনকর কিরণ রহিত ঘন কুঞ্জহি মীলন যুগল কিশোর । দুহুঁ কর অঙ্গ কিরণ গেয়ো আঁধিআর যনু কোটি রবিক উজোর ॥ সজনী দেখ রাধা মাধব কেলি । অনিমিখ নয়ন চসক ভরি পীয়ত দুহু রূপ সুধা সম মেলি ॥ ধ্রু ॥ পরসহি দুহুঁ তনু নুনিক পুতলি যনু মিলনক বেরি নহ ভেদ । ঐছন মীলত কত সুখ পায়ত নারহ লব উন খেদ ॥ চিরদিন মিলন করত কত নিধুবন আনন্দ সায়রে বূর । রাধামোহন পহুঁ অহনিশ ব্রজ রহু সকল মনোরথ পূর ॥ এই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৩৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ গুর্জ্জরী॥ দিনকর-কিরণ, রহিত ঘন কুঞ্জহি, মিলল যুগল কিশোর। দুহুঁকর অঙ্গ কিরণহি, গেও সব আন্ধিয়ার জনু কোটি রবিক উজোর॥ সজনী দেখ রাধামোহন (!) কেলি। অনিমিখ নয়ন, চষক ভরি পিয়ত, দুহুঁ রূপ সুধা সম মেলি॥ পরশহি দুহুঁ তনু, নুনীক পুতলী জনু, মিলনক বেরি নহ ভেদ। ঐছন মিলত, কত সুখ পাওত, না রহ লব পুন খেদ॥ চিরদিন মিলন, করত কত নিধুবন, আনন্দ-সায়রে বূর। রাধামোহন পহুঁ, অহনিশি ব্রজে রহু, সকল মনোরথ পূর॥ ! - সম্ভবত “রাধামাধব” হবে। মুদ্রণ প্রমাদ হয়ে থাকতে পারে। তিনটি গ্রন্থের মধ্যে দুটিতে “রাধামাধব” এর জায়গায় “রাধামোহন” রয়েছে! “পদামৃতসমুদ্র” কে ধ্রুব বলে ধরলে “রাধামাধব” হবে। এই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৪৭- পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ গুর্জ্জরী॥ দিনকর-কিরণ, রহিত ঘন কুঞ্জহি, মিলন যুগল কিশোর। দুহুঁকর কিরণহি, গেও সব আন্ধিয়ার, জনু কোটি রবিক উজোর॥ সজনী, দেখ রাধামোহন (!) কেলি। অনিমিখ নয়ন, চষক ভরি পিয়ত, দুহুঁ রূপ সুধা সম মেলি॥ পরশহি দুহুঁ তনু, নুনীক পূতলী জনু, মিলনক বেরি নহ ভেদ। ঐছন মিলত, ক্ষত সুখ পাওত, না রহ লব পুন খেদ॥ চিরদিন মিলন, করত কত নিধুবন, আনন্দ-সায়রে বুর। রাধামোহন পহুঁ, অহনিশি ব্রজে রহুঁ, সকল মনোরথ পূর॥ ! - সম্ভবত “রাধামাধব” হবে। মুদ্রণ প্রমাদ হয়ে থাকতে পারে। তিনটি গ্রন্থের মধ্যে দুটিতে “রাধামাধব” এর জায়গায় “রাধামোহন” রয়েছে! “পদামৃতসমুদ্র” কে ধ্রুব বলে ধরলে “রাধামাধব” হবে। এই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী টীকা সম্বলিত মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৪র্থ খণ্ড, ২৮০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ গুর্জ্জরী॥ দিনকর-কিরণ-রহিত ঘন কুঞ্জহিঁ মীলল যুগল কিশোর। দুহুঁ কর কিরণহিঁ গেও সব আন্ধিয়ার জনু কোটি রবিক উজোর॥ সজনী দেখ রাধামাধব কেলি। অনিমিখ নয়ন- চষক ভরি পীয়ত দুহুঁ রূপ সুধা সম মেলি॥ ধ্রু॥ পরশহি দুহুঁ তনু নুনীক পুতলী জনু মিলনক বেরি নহ ভেদ। ঐছন মীলত কত সুখ পাওত না রহ লব উন খেদ॥ চিরদিন মীলন করত নিধূবন আনন্দ-সায়রে বুর। রাধামোহন পহু অহনিশি ব্রজে রহু সকল মনোরথপূর॥ এই পদটি “শ্রীপদামৃতমাধুরী” গ্রন্থেরই ৪র্থ খণ্ড, ৩৭৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে পুনঃ দেওয়া রয়েছে। ॥ গুর্জ্জরী॥ দিনকর-কিরণ-রহিত ঘন কুঞ্জহি মীলল যুগল কিশোর। দুহুঁকর কিরণহি গেও সব আন্ধিয়ার জনু কোটি রবিক উজোর॥ সজনি দেখ রাধামাধব-কেলি। অনিমিখ নয়ন-চষক ভরি পীয়ত দুহুঁ রূপ সুধা সম মেলি॥ পরশহি দুহুঁ তনু নুনিক পুতলি জনু মিলনক বেরি নহ ভেদ। ঐছন মীলত কত সুখ পাওত না রহ লব উন খেদ॥ চিরদিন মীলন করত নিধূবন আনন্দ-সায়রে বুর। রাধামোহন পহু অহনিশি ব্রজে রহু সকল মনোরথপূর॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
দূরহি দুহুঁ হেরি দুহুঁ পুলকাইত ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২৭৪ । ॥ ধানশী রাগ কন্দর্প তালৌ ॥ দূরহি দুহুঁ হেরি দুহুঁ পুলকাইত দুহুঁ ভেল ভাবে বিভোর । নয়নে নয়নে যব দুহুঁ দুহাঁ নিরখই তব বহ আনন্দ লোর ॥ সজনী দেখ রাধামাধব প্রেম । দুহুঁ দুহাঁ কি করব থেহ না পাওত যনু দুহুঁ দারিদ হেম ॥ ধ্রু ॥ দুহুঁ কর বচন রচন পুন গদ গদ দুহুঁকর ভেল সুকম্প । দুহুঁ দুহাঁ পরশিতে দুহুঁ ভেল নিমগন ঐছন হোয়ত স্তম্ভ ॥ অপরূপ বিধুমণি দুহুঁ কিয়ে বিধুবর মঝু মন করত আশংস । রাধামোহন পহুঁ দুহুঁ অতি নিরুপম ত্রিভুবন করু পরশংস ॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ২৪শ পল্লব, গোষ্ঠে দিবাভিস, ১৩১২সংখ্যক পদ, এইরূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির ১৮১৫সংখ্যাক পদ। ॥ ধানশী॥ দূরহিঁ দুহুঁ হেরি দুহুঁ পুলকাইত দুহুঁ ভেল ভাবে বিভোর। নয়নে নয়নে যব দুহুঁ দোহাঁ নিরখই তব বহ আনন্দ-লোর॥ সজনী দেখ রাধামাধব-প্রেম। দুহুঁ দোহাঁ কি করব থেহ না পাওত জনু দুহুঁ দারিদ-হেম॥ ধ্রু॥ দুহুঁ কর বচন রচন পুন গদ গদ দুহুঁকর ভেল সুকম্প। দুহুঁ দোহাঁ পরশিতে দুহুঁ ভেল নিমগন ঐছন হোয়ত স্তম্ভ॥ অপরুপ বিধু-মণি দুহুঁ কিয়ে বিধুবর মঝু মন করত আশংস। রাধামোহন-পহু দুহুঁ অতি নিরুপম ত্রিভুবন করু অবতংস॥ এই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪২৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ ধানশী॥ দূরহিঁ দুহুঁ হেরি, দুহুঁ পুলকাইত, দুহুঁ ভেল ভাবে বিভোর। নয়ানে নয়ানে যব, দুহুঁ দোহা নিরখই, তব বহ আনন্দ লোর॥ সজনি দেখ রাধামাধব-প্রেম। দুহুঁ দুহাঁ কি করব, থেহ না পাওত, জনু দুহুঁ দারিদ হেম॥ দুহুঁ কর বচন, রচন পুন গদ গদ, দুহুঁ অঙ্গ ভেল সুকম্প। দুহুঁ দোহাঁ পরশিতে, দুহুঁ ভেল নিমগন, ঐছন হোয়ত স্তম্ভ॥ অপরুপ বিধুমণি, দুহুঁ কিয়ে বিধুবর, মঝু মন করত আশংস। রাধামোহন, পহু, দুহুঁ অতি নিরুপম, ত্রিভুবন করু পরশংস॥ এই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৩১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ ধানশী॥ দূরহিঁ দুহুঁ হেরি, দুহুঁ পুলকাইত, দুহুঁ ভেল ভাবে বিভোর। নয়নে নয়নে যব, দুহুঁ দোহাঁ নিরখই, তব বহ আনন্দ-লোর॥ সজনী, দেখ রাধামাধব-প্রেম। দুহুঁ দোহাঁ কি করব, থেহ না পাওত, জনু দুহুঁ দারিদ হেম॥ দুহুঁ কর বচন, রচন পুন গদ গদ, দুহুঁ অঙ্গ ভেল সুকম্প। দুহুঁ দোহাঁ পরশিতে দুহুঁ ভেল নিমগন, ঐছন হোয়ত স্তম্ভ॥ অপরুপ বিধু-মণি দুহুঁ কিয়ে বিধুবর, মঝু মন করত আশংস। রাধামোহন-পহুঁ, দুহুঁ অতি নিরুপম, ত্রিভুবন করু পরশংস॥ এই পদটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীপদরত্ন- মালা”, ২৬৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ ধানশী॥ দূরহিঁ দুহুঁ হেরি দুহুঁ পুলকাইত দুহুঁ ভেল ভাবে বিভোর। নয়ানে নয়ানে যব দুহুঁ দোহাঁ নিরখই তব বহ আনন্দ-লোর॥ সজনি দেখ রাধা মাধব প্রেম। দুহুঁ দোহাঁ কি করব থেহ না পাওত জনু দুহুঁ দারিদ হেম॥ @@কর বচন বচন গদ গদ দুহুঁ অঙ্গ ভেল সুকম্প। দুহুঁ দোহাঁ পরশিতে দুহুঁ ভেল নিমগন ঐছন হোয়ত স্তম্ভ॥ অপরূপ বিধুমণি দুহুঁ কিয়ে বিধুবর মঝু মন করত আশংস। রাধামোহন পহুঁ দুহুঁ অতি নিরূপম ত্রিভুবন করু পরশংস॥ এই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯২৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। গোষ্ঠে দিবাভিসার ॥ ধানশী॥ দূরহিঁ দুহুঁ হেরি দুহুঁ পুলকাইত দুহুঁ ভেল ভাবে বিভোর। নয়নে নয়নে যব দুহুঁ দোহাঁ নিরখই তব বহ আনন্দ লোর॥ সজনী দেখ রাধামাধব-প্রেম। দুহুঁ দোহাঁ কি করব থেহ না পাওত জনু দুহুঁ দারিদ-হেম॥ ধ্রু॥ দুহুঁকর বচন রচন পুন গদ গদ দুহুঁ অঙ্গ ভেল সুকম্প। দুহুঁ দোহাঁ পরশিতে দুহুঁ ভেল নিমগন ঐছন হোয়ত স্তম্ভ॥ অপরুপ বিধু-মণি দুহুঁ কিয়ে বিধুবর মঝু মন করত আশংস। রাধামোহন-পহু দুহুঁ অতি নিরুপম ত্রিভুবন করু অবতংস॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
দেখ দেখ অপরূপ গৌরাঙ্গের লীলা ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর ১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীপদরত্ন-মালা”, ৪২০- পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। হোরি বা দোললীলা। তস্য শ্রীগৌরচন্দ্র। ॥ বসন্ত॥ দেখ দেখ অপরূপ গৌরাঙ্গের লীলা। ঋতু বসন্তে সকল প্রিয়গণ মেলি জলনিধি তীরে চলিলা॥ ধ্রু॥ একদিকে গদাধর সঙ্গে স্বরূপ দামোদর বাসুঘোষ গোবিন্দাদি মিলি। গৌরিদাস আদি করি চন্দন পিচুকা ভরি গদাধর অঙ্গে দেয় ফেলি॥ স্বরূপ নিজগণ সাথে আবির লইয়া হাতে সঘনে ফেলায় গোরা গায়। গৌরীদাস খেলি খেলি গৌরাঙ্গ জিতিল বলি করতালি দিয়া আগে ধায়॥ রুষিয়া স্বরূপ কয় হারিল গৌরাঙ্গ রায় জিতিল আমার গদাধর। কক্ষতালি দেয় কেহু নাচে গায় ঊর্দ্ধবাহু এ রাধা মোহন মনোহর॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
দেখ দেখ গোকুল-মঙ্গল শ্যাম ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ, ২৭শ পল্লব, শ্রীকৃষ্ণের রূপ, ২৪১৭সংখ্যক পদ। ॥ গান্ধার॥ দেখ দেখ গোকুল-মঙ্গল শ্যাম। ব্রজ-নব-নাগরি-ভাবে বিভাবিত মুরলি-খুরলি সোই নাম॥ ধ্রু॥ রূপ অনূপ ভুবন-জন-মোহন শোহন নটবর-বেশ। কালিয়-দমন মদন জিতি লাবণি চূড়হি কুঞ্চিত কেশ॥ নবঘন-ইন্দ্র-মণীন্দ্র-কলেবর লোচন কমলক ভান। কত কোটি শরদ-চাঁদ জিনি শোভিত ঢল ঢল বিমল বয়ান॥ পদ-তল অরুণ-কমল জিনি ঊজর মুনি-মানস মুরছান। রাধামোহন-পহুঁ প্রেমহি আগর নাগর অবহি সুজান॥ এই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৩৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ গান্ধার॥ দেখ দেখ গোকুল-মঙ্গল শ্যাম। ব্রজ-নব-নাগরী-ভাবে বিভাবিত, মুরলী-খুরলী সোই নাম॥ রূপ অনুপ, ভুবন-জন-মোহন, শোহন নটবর বেশ। কালিয়-দমন, মদন জিতি লাবণী, চূড়হি কুঞ্চিত কেশ॥ নবঘন ইন্দ্র, মণীন্দ্র-কলেবর, লোচন কমলক ভান। কত কোটি শরদ-চাঁদ জিনি শোভিত, ঢল ঢল বিমল বয়ান॥ পদতল অরুণ, কমল জিনি উজোর, মুনিমানস মুরছান। রাধামোহন পহু, প্রেমহি আগোর, নাগর অবহি সুজান॥ এই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৮৯৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ গান্ধার॥ দেখ দেখ গোকুল মঙ্গল শ্যাম। ব্রজ-নব-নাগরি-ভাবে বিভাবিত মুরলি-খুরলি সোই নাম॥ ধ্রু॥ রূপ অনূপ ভুবন-জন-মোহন শোহন নটবর বেশ। কালিয়-দমন মদন জিতি লাবণি চূড়হি কুঞ্চিত কেশ॥ নবঘন-ইন্দ্র-মণীন্দ্র-কলেবর লোচন কমলক ভান। কত কোটি শরদ-চাঁদ জিনি শোভিত ঢল ঢল বিমল বয়ান॥ পদ-তল অরুণ-কমল জিনি ঊজর মুনি-মানস মুরছান। রাধামোহন-পহু প্রেমহি আগর নাগর অবহি সুজান॥ এই পদটি ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী ব্যাখ্যা সম্বলিত মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ২য় খণ্ড, ৯০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ গান্ধার মধ্যম দশকুশী॥ দেখ দেখ গোকুল-মঙ্গল শ্যাম। ব্রজ-নব-নাগরি ভাবে বিভাবিত মুরলি খরলি সোই নাম॥ রূপ অনূপ ভুবন জন মোহন শোহন নটবর বেশ। কালি দমন মদন জিতি লাবণি চূড়হি কুঞ্চিত কেশ॥ নবঘন-ইন্দ্র-মণীন্দ্র-কলেবর লোচন কমলক ভান। কত কোটি শরদ-চাঁদ জিনি শোভিত ঢল ঢল বিমল বয়ান॥ পদ-তল অরুণ-কমল জিনি ঊজর মুনি মানস মুরছান। রাধামোহন পহুঁ প্রেমহি আগোর নাগর অবহি সুজান॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |