কবি রাধামোহন ঠাকুরের বৈষ্ণব পদাবলী
*
দেখ দেখ গৌরকিশোর
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৩৩ ।

॥ শ্রীরাগ সমতালৌ ॥

দেখ দেখ গৌরকিশোর ।
মধুর ভকত সঞে খেলত পাশক তহিঁ কাহে ভাব বিভোর॥ ধ্রু ॥
নয়নে আনন্দ জল হাসত খল খল পুলকে পুরল সব অঙ্গ ।
হাথক পাশক হাথহিঁ স্তম্ভিত কোনে বুঝই ইহ রঙ্গ ॥
করুণাসাগর সব গুণ আগর পতিত পাবন অবতার ।
যো ভাবে প্রকট নবদ্বীপ মাঝহি সোই করত পরচার ॥
যাকর ভাব না বুঝই জগজন অন্ত না পাওত শেষ ।
রাধামোহন পুন বড়ই মূঢ় মতি তাকর করত উদেশ ॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” তয় খণ্ড, ২৯৮-
পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

পাশা ক্রীড়া।
শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ শ্রীরাগ মিশ্র মায়ূর - মধ্যম দশকুশী॥

দেখ দেখ গৌর কিশোর।
মধুর ভকত সঞে,                            খেলত পাশক,
তহিঁ কাহে ভাবে বিভোর॥ ধ্রু॥
নয়নে আনন্দ জল,                           হাসত খল খল,
পুলকে পুরল সব অঙ্গ।
হাতক পাশক,                                হাতহি স্তম্ভিত,
কোন বুঝই ইহ রঙ্গ॥
করুণা সাগর,                               সব গুণ আগোর,
পতিত পাবন অবতার।
যো ভাবে প্রকট,                             নবদ্বীপ মাঝহি,
সোই করত পরচার॥
যা কর ভাবনা,                                বুঝহি জগজন,
অনন্ত না পায়ল শেষ।
রাধামোহন পুন,                                বড়ই মূঢ়মতি,
তা কর করত উদ্দেশ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
দেখ দেখ গৌরচন্দ্র অবতার
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-১৬৩ ।

॥ কেদার রাগ সমাতালৌ ॥

দেখ দেখ গৌরচন্দ্র অবতার ।
যো গুণ কিরিতনে তাপ দগধ জীব দুখ সাগর ভেল পার ॥ ধ্রু ॥
সো অব ভাব বিভাবিত অন্তর কান্দই সুরধনি তীর ।
যা কো নয়ন শর গোপি মরম জর তহিঁ বহ দুখময় নীর ॥
খনে খনে কহই কানু মোহে না মীলল কী ফল পাপ শরীর ।
ইহ যৌবন ধন সগরহি ভূষণ কী ফল বাস কুটীর ॥
এত কহি ধরণি তলহি পুন মুরছই ধকধকি খীনহি শাস ।
কো পুন ভাব দুতর রজনি যাহা ভণ রাধামোহন দাস ॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ১১৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

দেখ দেখ গৌরচন্দ অবতার।
জো গুণ কীর্তন তাপদগধ জীব দুখসাগর ভেল পার॥ ধ্রু॥
সো অভাবে বিভাবিত অন্তর কান্দি কান্দি সুরধুনীতীর।
জাক নয়নশর গোপী মরমজ্বর তহি রহ দুখময় নীর॥
খনে খনে কহই কানু মোরে না মিলিল কি ফল পাপ শরীর।
ইহ যৌবন ধন সবরহি ভূষণ বিফল বাস কুটির॥
এত কহি ধরণী তলহি পুন মুরুছল ধকধকি খিনহি শ্বাস।
কো পুন ভাব দূতবর জনি মাহা ভণ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী ব্যাখ্যা সম্বলিত
মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ২য় খণ্ড, ২৯৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

পুনশ্চ বিপ্রলব্ধা।
॥ কেদার - সমাতাল॥

দেখ দেখ গৌরচন্দ্র অবতার।
যো গুণ-কিরিতনে                                তাপ দগধ জীব
দুখ সাগর ভেল পার॥
সো অব ভাব-                                  বিভাবিত অন্তর
কান্দই সুরধুনি তীর।
যাক নয়ন-শর                                  গোপি-মরম জর
তহি বহ দুখময় নীর॥
খনে খনে কহই                            কানু মোহে না মিলল
কী ফল পাপ শরীর।
ইহ যৌবন ধন                                      সগরহি ভূষণ
কী ফল বাস কুটীর॥
এত কহি ধরণি                                তলহি পুন মুরছই
ধক ধকি খীনহি শ্বাস।
কো পুন ভাব                                  দুতর রজনি মাহা
ভণ রাধা মোহন দাস॥

ই পদটি ১৯৫৯ সালে প্রকাশিত, দুর্গাচরণ বিশ্বাস সংগৃহীত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “কীর্ত্তন-পদাবলী”,
৭৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

বিপ্রলব্ধা
শ্রীগৌরচন্দ্র

দেখ দেখ গৌরচন্দ অবতার।
যোগুণ কিরীতনে, তাপদগধ জীব দুঃখ সাগর ভেল পার॥
সো অবভাব, বিভাষিত অন্তর, কান্দই সুরধনী-তীর।
যাক্ নয়ন-শর, গোপী মরম জ্বর, তঁহি বহু দুখময় নীর॥
ক্ষণে ক্ষণে কহই, কানুমোহে না মিলল, কি ভেল পাপ শরীর।
ইহ যৌবন ধন, সগরিহ ভূষণ, কি ফল বাস শরীর॥
এত কহি ধরণী, তলহি পুনঃ মূরুছই, ধক্ধকি খীণহি শ্বাস।
কোন পুনঃ ভাব, সুতর রজনী মহা, ভণ রাধামোহন দাস॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
দেখ দেখ গৌরচন্দ্র বররঙ্গী
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২০৯। প্রথম পংক্তির
ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “দেখ গৌরচন্দ্র বড় রঙ্গী” শিরোনামে স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে।

॥ কামোদ রাগ কন্দর্প তালৌ ॥

দেখ দেখ গৌরচন্দ্র বররঙ্গী ।
কামিনি কাম মনহি মন সঞ্চরু তৈছন ললিত বিভঙ্গী ॥  ধ্রু ॥
স্মিত যুত বয়ন কমল অতি সুন্দর শোভা বরণি না হোয় ।
কত কত চান্দ মলিন ভেল রূপ হেরি কোটি মদন পুনরোয় ॥
চামরি চামর লাজে সুকুঞ্চিত কুঞ্চিত কেশক বন্ধ ।
পন্থহি পন্থ চলত অতি মন্থর মদগজ দমনক ছন্দ ॥
আন উপদেশ বোলত করি চাতুরি মধুর মধুর পরিহাস ।
নিজ অভিযোগ করত পূরব মত ভণ রাধামোহন দাস ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ১ম পল্লব, স্বয়ং দৌত্য,
৬১৯পদসংখ্যক পদ-রূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির
১০৯৩সংখ্যক পদ।

অথ সম্ভোগরসস্য স্বয়ংদৌত্যং১।
তদ্ভাবযুক্তঃ শ্রীগৌরচন্দ্রঃ।
॥ কামোদ রাগ কন্দর্প তালৌ ॥

.                দেখ দেখ গৌরচন্দ্র বর-রঙ্গী।
কামিনি-কাম মনহিঁ মন সঞ্চরু
.                তৈছন ললিত ত্রিভঙ্গী॥ ধ্রু॥
স্মিত-যুত বয়ন কমল অতি সুন্দর
.                শোভা বরণি না হোয়।
কত কত চাঁদ মলিন ভেল রুপ হেরি
.                কোটি মদন পুন রোয়॥
চামরি-চামর লাজে সুকুঞ্চিত
.                কুঞ্চিত কেশক বন্ধ।
পন্থহিঁ পন্থ চলত অতি মন্থর
.                মদগজ-দমনক ছন্দ॥
আন উপদেশে কহত করি চাতুরি
.                মধুর মধুর পরিহাস।
নিজ অভিযোগ করত পুরব মত
.                ভণ রাধামোহন দাস॥

১। ‘স্বয়ংদৌত্য’ - ‘স্বয়ংদূত’ বা ‘স্বয়ংদূতী’ শব্দের উত্তর ভাবার্থে ‘ষ্ণ’ প্রত্যয় দ্বারা ‘স্বয়ংদৌত্য’
শব্দটি সিদ্ধ হইয়াছে। শ্রীরূপ গোস্বামী “উজ্জ্বল-নীল-মণি” গ্রন্থে লিখিয়াছেন,---
“অত্যৌত্সুক্য-ত্রুটদব্রীড়া যা চ রাগাতিমোহিতা।
স্বয়মেবাভিযুঙ্ ক্তে সা স্বয়ংদূতী ততঃ স্মৃতা॥”
অর্থাৎ যে নায়িকা অত্যন্ত ঔত্সুক্য হেতু বিগতলজ্জা ও অনুরাগে বিমোহিতা হইয়া নিজে নায়কের নিকট
মনের ভাব ইঙ্গিতে প্রকাশ করে, তাহাকে ‘স্বয়ংদূতী’ বলা হয়।
---সতীশচন্দ্র রায়, পদকল্পতরু॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪২৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “দেখ দেখ
গৌরচন্দ্র বড়রঙ্গী” শিরোনামে স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে।

॥ কামোদা॥

দেখ গৌরচন্দ্র বররঙ্গী।
কামিনী-কাম মনহি মন সঞ্চরু, তৈছন ললিত ত্রিভঙ্গী॥
স্মিতযুত বয়ন-কমল অতি সুন্দর, শোভা বরণি না হোয়।
কত কত চাঁদ, মলিন ভেল রুপ হেরি, কোটি মদন পুন রোয়॥
চামরী চামর, লাজে সুকুঞ্চিত, কুঞ্চিত কেশক বন্ধ।
পন্থহি পন্থ, চলত অতি মন্থর, মদগজ গম@ক ছন্দ॥
আন উপদেশে, বোলত করি চাতুরী, মধুর মধুর পরিহাস।
নিজ অভিযোগ, করত পূরব মত, ভণ রাধামোহন দাস॥


ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯০৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

স্বয়ং দৌত্য
গৌরচন্দ্র
॥ কামোদ॥

.                দেখ দেখ গৌরচন্দ্র বর-রঙ্গী।
কামিনি-কাম মনহিঁ মন সঞ্চরু
.                তৈছন ললিত ত্রিভঙ্গী॥ ধ্রু॥
স্মিত-যুত বয়ন কমল অতি সুন্দর
.                শোভা বরণি না হোয়।
কত কত চাঁদ মলিন ভেল রুপ হেরি
.                কোটি মদন পুন রোয়॥
চামরি-চামর লাজে সুকুঞ্চিত
.                কুঞ্চিত কেশক বন্ধ।
পন্থহি পন্থ চলত অতি মন্থর
.                মদগজ দমনক ছন্দ॥
আন উপদেশে কহত করি চাতুরি
.                মধুর মধুর পরিহাস।
নিজ অভিযোগ করত পুরুব মত
.                ভণ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী ব্যাখ্যা সম্বলিত
মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ২য় খণ্ড, ৫৭৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

স্বয়ং দৌত্য
॥ কামোদ - দশকুশী ॥

.                দেখ দেখ গৌরচন্দ্র বর-রঙ্গী।
কামিনি-কাম মনহিঁ মন সঞ্চরু
.                তৈছন ললিত ত্রিভঙ্গী॥ ধ্রু॥
স্মিতযুত বয়ন কমল অতি সুন্দর
.                শোভা বরণি না হোয়।
কত কত চাঁদ মলিন ভেল রুপ হেরি
.                কোটি মদন পুন রোয়॥
চামরি চামর লাজে সুকুঞ্চিত
.                কুঞ্চিত কেশক বন্ধ।
পন্থহিঁ পন্থ চলত অতি মন্থর
.                মদ-গজ দমনক ছন্দ॥
আন উপদেশে কহত করি চাতুরি
.                মধুর মধুর পরিহাস।
নিজ অভিযোগ করত পুরুব মত
.                ভণ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৮৭০ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত এবং তাঁর পুত্র রাজেন্দ্রনাথ
বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৯২২ সালে প্রকাশিত “শ্রীশ্রীপদামৃতসিন্ধু”, ১৯৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ভাটিয়ারী - একতালি তাল॥

দেখ দেখ গৌরচন্দ্র বড় রঙ্গ।
কামিনি কাম মনহি মন সঞ্চরু, তৈছন ললিত ত্রিভঙ্গ॥ ধ্রু॥
শাতল বয়ান কমল অতি সুন্দর, শোভা বরণি না হোয়ে।
কত কত চাঁদ মলিন ভেল রূপ হেরি, কোটী মদন পুন রোয়ে॥
চামরী চামর লাজে সুকুঞ্চিত হেরই কেশক বন্দ।
পন্থহি পন্থ চলতি অতি মন্থর, মদগজ দমন ছন্দ॥
আন উপদেশে, বোলত করি চাতুরী মধুর মধুর পরিহাস।
নিজ অভিযোগ, করত পূরব মত, ভণ রাধা মোহনদাস॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”,
১৯৩৪, ৯৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ কামোদ॥

দেখ গৌরচন্দ্র বড় রঙ্গী।
কামিনী কাম মনহি মন সঞ্চরু
তৈছন ললিত ত্রিভঙ্গী॥ ধ্রু॥
স্মিতযুত-বদনকমল অতি সুন্দর
শোভা বরণি না হোয়।
কত কত চাঁদ মলিন ভেল রূপ হেরি
কোটি মদন পুন রোয়॥
চামরী-চামর লাজে সুকুঞ্চিত কুঞ্চিত কেশক বন্ধ।
পন্থহি পন্থ চলতি অতি মন্থর, মদ-গজদমনক ছন্দ॥
আন উপদেশে, বলত করি চাতুরি, মধুর মধুর পরিহাস।
নিজ অভিযোগ করত পুরব মত, ভণ রাধামোহনদাস॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”,
৪৩৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ কামোদ॥

দেখ গৌরচন্দ্র বড়-ভঙ্গী।
কামিনী-কাম,                                মনহি মন সাঞ্চরু,
তৈছন ললিত ত্রিভঙ্গী॥
স্মিত-যুত বয়ন,                           কমল অতি সুন্দর,
শোভা বরণিনা হোয়।
কত কত চাঁদ,                        মলিন ভেল রূপ হেরি,
কোটি মদন পুন রোয়॥
চামরী চামর,                                লাজে সুকুঞ্চিত-,
কুঞ্চিত কেশক বন্ধ।
পন্থহি পন্থ,                                 চলত অতি মন্থর,
মদগজ-গমনক ছন্দ॥
আন উপদেশে,                         বোলত করি চাতুরী,
মধুর মধুর পরিহাস।
@@ @@@@                                করত পুরব মত,
ভণ রাধামোহনদাস॥

@ - অপাঠ্য অক্ষর।


.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
দেখ গৌরচন্দ্র বড় রঙ্গী
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, ১৯৩৪, ৯৫-
পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “দেখ দেখ গৌরচন্দ্র বড় রঙ্গী”
শিরোনামে স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে।

॥ কামোদ॥

দেখ গৌরচন্দ্র বড় রঙ্গী।
কামিনী কাম মনহি মন সঞ্চরু
তৈছন ললিত ত্রিভঙ্গী॥ ধ্রু॥
স্মিতযুত-বদনকমল অতি সুন্দর
শোভা বরণি না হোয়।
কত কত চাঁদ মলিন ভেল রূপ হেরি
কোটি মদন পুন রোয়॥
চামরী-চামর লাজে সুকুঞ্চিত কুঞ্চিত কেশক বন্ধ।
পন্থহি পন্থ চলতি অতি মন্থর, মদ-গজদমনক ছন্দ॥
আন উপদেশে, বলত করি চাতুরি, মধুর মধুর পরিহাস।
নিজ অভিযোগ করত পুরব মত, ভণ রাধামোহনদাস॥

ই পদটি চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৮৭০ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত এবং তাঁর পুত্র রাজেন্দ্রনাথ
বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৯২২ সালে প্রকাশিত “শ্রীশ্রীপদামৃতসিন্ধু”, ১৯৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ভাটিয়ারী - একতালি তাল॥

দেখ দেখ গৌরচন্দ্র বড় রঙ্গ।
কামিনি কাম মনহি মন সঞ্চরু, তৈছন ললিত ত্রিভঙ্গ॥ ধ্রু॥
শাতল বয়ান কমল অতি সুন্দর, শোভা বরণি না হোয়ে।
কত কত চাঁদ মলিন ভেল রূপ হেরি, কোটী মদন পুন রোয়ে॥
চামরী চামর লাজে সুকুঞ্চিত হেরই কেশক বন্দ।
পন্থহি পন্থ চলতি অতি মন্থর, মদগজ দমন ছন্দ॥
আন উপদেশে, বোলত করি চাতুরী মধুর মধুর পরিহাস।
নিজ অভিযোগ, করত পূরব মত, ভণ রাধা মোহনদাস॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”,
৪৩৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ কামোদ॥

দেখ গৌরচন্দ্র বড়-ভঙ্গী।
কামিনী-কাম,                                মনহি মন সাঞ্চরু,
তৈছন ললিত ত্রিভঙ্গী॥
স্মিত-যুত বয়ন,                           কমল অতি সুন্দর,
শোভা বরণিনা হোয়।
কত কত চাঁদ,                        মলিন ভেল রূপ হেরি,
কোটি মদন পুন রোয়॥
চামরী চামর,                                লাজে সুকুঞ্চিত-,
কুঞ্চিত কেশক বন্ধ।
পন্থহি পন্থ,                                 চলত অতি মন্থর,
মদগজ-গমনক ছন্দ॥
আন উপদেশে,                         বোলত করি চাতুরী,
মধুর মধুর পরিহাস।
@@ @@@@                                করত পুরব মত,
ভণ রাধামোহনদাস॥

@ - অপাঠ্য অক্ষর।

ই পদটি আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং
১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২০৯।
প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “দেখ গৌরচন্দ্র বড় রঙ্গী” শিরোনামে স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও
দেওয়া হয়েছে।

॥ কামোদ রাগ কন্দর্প তালৌ ॥

দেখ দেখ গৌরচন্দ্র বররঙ্গী ।
কামিনি কাম মনহি মন সঞ্চরু তৈছন ললিত বিভঙ্গী ॥  ধ্রু ॥
স্মিত যুত বয়ন কমল অতি সুন্দর শোভা বরণি না হোয় ।
কত কত চান্দ মলিন ভেল রূপ হেরি কোটি মদন পুনরোয় ॥
চামরি চামর লাজে সুকুঞ্চিত কুঞ্চিত কেশক বন্ধ ।
পন্থহি পন্থ চলত অতি মন্থর মদগজ দমনক ছন্দ ॥
আন উপদেশ বোলত করি চাতুরি মধুর মধুর পরিহাস ।
নিজ অভিযোগ করত পূরব মত ভণ রাধামোহন দাস ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ১ম পল্লব, স্বয়ং দৌত্য,
৬১৯পদসংখ্যক পদ-রূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির
১০৯৩সংখ্যক পদ।

অথ সম্ভোগরসস্য স্বয়ংদৌত্যং ১।
তদ্ভাবযুক্তঃ শ্রীগৌরচন্দ্রঃ।
॥ কামোদ রাগ কন্দর্প তালৌ ॥

.                দেখ দেখ গৌরচন্দ্র বর-রঙ্গী।
কামিনি-কাম মনহিঁ মন সঞ্চরু
.                তৈছন ললিত ত্রিভঙ্গী॥ ধ্রু॥
স্মিত-যুত বয়ন কমল অতি সুন্দর
.                শোভা বরণি না হোয়।
কত কত চাঁদ মলিন ভেল রুপ হেরি
.                কোটি মদন পুন রোয়॥
চামরি-চামর লাজে সুকুঞ্চিত
.                কুঞ্চিত কেশক বন্ধ।
পন্থহিঁ পন্থ চলত অতি মন্থর
.                মদগজ-দমনক ছন্দ॥
আন উপদেশে কহত করি চাতুরি
.                মধুর মধুর পরিহাস।
নিজ অভিযোগ করত পুরুব মত
.                ভণ রাধামোহন দাস॥

১। ‘স্বয়ংদৌত্য’ - ‘স্বয়ংদূত’ বা ‘স্বয়ংদূতী’ শব্দের উত্তর ভাবার্থে ‘ষ্ণ’ প্রত্যয় দ্বারা ‘স্বয়ংদৌত্য’ শব্দটি
সিদ্ধ হইয়াছে। শ্রীরূপ গোস্বামী “উজ্জ্বল-নীল-মণি” গ্রন্থে লিখিয়াছেন,---
“অত্যৌত্সুক্য-ত্রুটদব্রীড়া যা চ রাগাতিমোহিতা।
স্বয়মেবাভিযুঙ্ ক্তে সা স্বয়ংদূতী ততঃ স্মৃতা॥”
অর্থাৎ যে নায়িকা অত্যন্ত ঔত্সুক্য হেতু বিগতলজ্জা ও অনুরাগে বিমোহিতা হইয়া নিজে নায়কের নিকট
মনের ভাব ইঙ্গিতে প্রকাশ করে, তাহাকে ‘স্বয়ংদূতী’ বলা হয়।
---সতীশচন্দ্র রায়, পদকল্পতরু॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪২৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “দেখ দেখ
গৌরচন্দ্র বড়রঙ্গী” শিরোনামে স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে।

॥ কামোদা॥

দেখ গৌরচন্দ্র বররঙ্গী।
কামিনী-কাম মনহি মন সঞ্চরু, তৈছন ললিত ত্রিভঙ্গী॥
স্মিতযুত বয়ন-কমল অতি সুন্দর, শোভা বরণি না হোয়।
কত কত চাঁদ, মলিন ভেল রুপ হেরি, কোটি মদন পুন রোয়॥
চামরী চামর, লাজে সুকুঞ্চিত, কুঞ্চিত কেশক বন্ধ।
পন্থহি পন্থ, চলত অতি মন্থর, মদগজ গম@ক ছন্দ॥
আন উপদেশে, বোলত করি চাতুরী, মধুর মধুর পরিহাস।
নিজ অভিযোগ, করত পূরব মত, ভণ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯০৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

স্বয়ং দৌত্য
গৌরচন্দ্র
॥ কামোদ॥

.                দেখ দেখ গৌরচন্দ্র বর-রঙ্গী।
কামিনি-কাম মনহিঁ মন সঞ্চরু
.                তৈছন ললিত ত্রিভঙ্গী॥ ধ্রু॥
স্মিত-যুত বয়ন কমল অতি সুন্দর
.                শোভা বরণি না হোয়।
কত কত চাঁদ মলিন ভেল রুপ হেরি
.                কোটি মদন পুন রোয়॥
চামরি-চামর লাজে সুকুঞ্চিত
.                কুঞ্চিত কেশক বন্ধ।
পন্থহি পন্থ চলত অতি মন্থর
.                মদগজ দমনক ছন্দ॥
আন উপদেশে কহত করি চাতুরি
.                মধুর মধুর পরিহাস।
নিজ অভিযোগ করত পুরুব মত
.                ভণ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী ব্যাখ্যা সম্বলিত
মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ২য় খণ্ড, ৫৭৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

স্বয়ং দৌত্য
॥ কামোদ - দশকুশী ॥

.                দেখ দেখ গৌরচন্দ্র বর-রঙ্গী।
কামিনি-কাম মনহিঁ মন সঞ্চরু
.                তৈছন ললিত ত্রিভঙ্গী॥ ধ্রু॥
স্মিতযুত বয়ন কমল অতি সুন্দর
.                শোভা বরণি না হোয়।
কত কত চাঁদ মলিন ভেল রুপ হেরি
.                কোটি মদন পুন রোয়॥
চামরি চামর লাজে সুকুঞ্চিত
.                কুঞ্চিত কেশক বন্ধ।
পন্থহিঁ পন্থ চলত অতি মন্থর
.                মদ-গজ দমনক ছন্দ॥
আন উপদেশে কহত করি চাতুরি
.                মধুর মধুর পরিহাস।
নিজ অভিযোগ করত পুরুব মত
.                ভণ রাধামোহন দাস॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
দেখ দেখ গৌরচন্দ্র বড়রঙ্গী
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” তয় খণ্ড, ৬৩১-পৃষ্ঠায়
এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বসন্ত রাগ - মধ্যম দশকুশী॥

দেখ দেখ গৌরচন্দ্র বড়রঙ্গী।
বিবিধ বিনোদ,                                কলা কত কৌতুক,
কহতহি প্রেম তরঙ্গী॥
বিপুল পুলক কুল,                                সঞ্চরু সব তনু,
নয়নহি আনন্দ নীর।
ভাবহি কহত,                                 জীতল মধু সখীকুল
শুন শুন গোকুল বীর॥
মৃদু মৃদু হালি                                  চলত করি ভঙ্গিম
করে জনু খেলন যন্ত্র।
যুগল কিশোর                                      বসন্তহি যৈছন
বিতনিত মনসিজ তন্ত্র॥
যো ইহ অপরূপ                                   বিহরে নবদ্বীপ
জগদানন্দ-বিলাসী।
রাধা মোহন,                                        দাস মুঢ়চিতে,
সো নিজগুণ পরকাশি॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
দেখ দেখ গৌর প্রেম রস ধাম
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৭৩ ।

অথ রসোদ্গারঃ।
তত্র গৌরচন্দ্রো যথা॥
॥ ললিত রাগ নন্দন তালৌ ॥

দেখ দেখ গৌর প্রেম রস ধাম ।
পদনখে জীতল কতুহুঁ শশীকুল লাখ লাখ মদযুত কাম ॥ ধ্রু ॥
চকিত বিলোচনে যব দিশ চাহই ঝাঁপই চম্পক অঙ্গ ।
আপাদ মস্তক পুলকহি পূরিত নিরুপম ভাব তরঙ্গ ॥
খেনে মৃদু হাসি কহই সো পীরিতি যৈছন হেম দশবাণ ।
শ্যাম নাগর মোর প্রাণ মনোহর কহইতে ঝরই নয়ান ॥
ভাবহিঁ বিবশ কহই বরজ রস অভিনয় তৈছে পরকাশ ।
পরমানন্দ সার মহাভাব অবতার ভণ রাধামোহন দাস ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড, ১ম শাখা, ১১শ পল্লব, সংক্ষিপ্ত
রসোদ্গার, পদসংখ্যা ২৪৮।

অথ পুনশ্চ রসোদ্গারপ্রকারান্তরমাহ।
তত্র শ্রীগৌরচন্দ্রঃ।
॥ বিভাষ॥

দেখ দেখ গৌর প্রেম-রস-ধাম।
পদ-নখে জীতল                                কতহুঁ শশী-কুল
লাখ লাখ মদযুত কাম॥ ধ্রু॥
চকিত বিলোকনে                              সব দিশ হেরই
ঝাঁপই চম্পক-অঙ্গ।
আপদ মস্তক                                  পুলকহিঁ পূরিত
নিরুপম ভাব-তরঙ্গ॥
খেনে মৃদু হাসি                             কহই সো পীরিতি
যৈছন হেম দশবান।
শ্যাম নাগর মোর                                 প্রাণ-মনোহর
কহইতে ঝরই নয়ান॥
ভাবহিঁ বিবশ                                কহই বরজ-রস
অভিনয় তৈছে পরকাশ।
পরমানন্দ-সার                              মহাভাব-অবতার
ভণ রাধামোহন দাস॥

টীকা -
১২ -১৫। “ভাবহিঁ বিবশ” ইত্যাদি। (শ্রীগৌরাঙ্গ) ভব-ভরে অবশ-কলেবর হইয়া ব্রজ-লীলার রস (অন্তরঙ্গ)
ভক্তদিগের নিকট বর্ণন করিতেছেন ; (তাঁহারও) সেউরূপ অভিনয় প্রকাশ পাইতেছে ; অর্থাৎ ব্রজ-লীলার
ভাবে বিভাবিত হইয়া তিনিও সেইরূপ অবিকল সেইরূপ অভিনয় করিতেছেন ; (কেন না), রাধামোহন
বলিতেছেন যে, তিনিই হলাদিনী শক্তি-রূপিণী পরমানন্দময়ী শ্রীরাধার সার (বস্তু) স্বরূপ মহাভাবের ্বতার
অর্থাৎ মূর্ত্তিমান্ বিগ্রহ-ধারী পরম-পুরুষ। তুলনা করুন ;---
“রাধা-কৃষ্ণপ্রণয়বিকৃতির্হলাদিনী শক্তিরস্মাদেকাত্মানাবপি ভুবি পুরা দেহভেদং গতৌ তৌ।
চৈতন্যাখ্যং প্রকটমধুনা তদ্দ্বয়ং চৈক্যমাপ্তং রাধা-ভাব-দ্যুতি-সুবলিতং নৌম্ কৃষ্ণ-স্বরুপম্॥
শ্রীরাধায়াঃ প্রণয়-মহিমা কীদৃশো বানয়ৈবাস্বাদ্যো যেনাদ্ভুত-মধুরিমা কীদৃশং বা মদীয়ঃ।
সৌখ্যং চাস্যা মদনুভবতঃ কীদৃশং বেতি লোভাৎ তদ্ভাবাঢ্যঃ সমজনি শচীগর্ঙসিন্ধৌ হরীন্দুঃ॥”
---শ্রীরূপ গোস্বামীর কড়চোদ্ধৃত শ্লোক, চৈতন্যচরিতামৃত।
---সতীশচন্দ্র রায়, পদকল্পতরু॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪১৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাস॥

দেখ দেখ গৌর প্রেম-রস-ধাম।
পদ-নখে জীতল, কতুহুঁ শশি-কুল, লাখে লাখে মদযুত কাম॥
চকিত বিলোকনে, সব দিশ হেরই, ঝাঁপই চম্পক অঙ্গ।
আপাদ মস্তক, পুলকহিঁ পূরিত, নিরুপম ভাবতরঙ্গ॥
ক্ষণে মৃদু হাসি, কহই সো পিরীতি, যৈছন হেম দশবাণ।
শ্যাম নাগর মোর, প্রাণ মনোহর, কহইতে ঝরয়ে নয়ান॥
ভাবহি বিবশ, কহই বরজ-রস, অভিনয় তৈছে পরকাশ।
পরমানন্দ সার, মহাভাব অবতার, ভণ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”,
১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৯৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাস॥

দেখ দেখ গৌর প্রেম-রসধাম।
পদনখে জিতল                                কতুহুঁ শশীকুল
লাখ লাখ মদযুত কাম॥ ধ্রু॥
চকিত বিলোকনে                              সব দিশ চাহই
ঝাঁপই চম্পক অঙ্গ।
আপাদ-মস্তক                                পুলকহিঁ পূরিত
নিরুপম ভাবতরঙ্গ॥
খেনে মৃদু হাসি                            কহই সো পিরীতি
যৈছন হেম দশবাণ।
শ্যাম নাগর মোর                               প্রাণ-মনোহর
কহইতে ঝরয়ে নয়ান॥
ভাবহি বিবশ                                কহই বরজরস
অভিনয় তৈছে পরকাশ।
পরমানন্দ সার                            মহাভাব অবতার
ভণ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”,
৪৫৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাষ॥

দেখ দেখ গৌর প্রেম রস-ধাম।
পদনখে জিতল,                                কতহুঁ শশিকুল,
লাখে লাখে মদযুত কাম॥
চকিত বিলোকনে,                              সব দিশ হেরই,
ঝাঁপই চম্পক অঙ্গ।
আপদ মস্তক,                                   পুলকহি পূরিত,
নিরুপম ভাবতরঙ্গ॥
ক্ষণে মৃদুহাসি,                               কহই সো পিরীতি,
যৈছন হেম দশবাণ।
শ্যাম নাগর মোর,                                 প্রাণ মনোহর,
কহইতে ঝরয়ে নয়ান॥
ভাবহি বিবশ,                                 কহই বরজ-রজ,
অভিনয় তৈছে পরকাশ।
পরমানন্দ সার,                                মহাভাব অবতার,
ভণ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯০৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

সংক্ষিপ্ত রসোদ্গার
গৌরচন্দ্র
॥ বিভাস॥

দেখ দেখ গৌর প্রেম-রস-ধাম।
পদনখে জীতল                                কতহুঁ শশী-কুল
লাখ লাখ মদযুত কাম॥
চকিত বিলোকনে                              সব দিশ হেরই
ঝাঁপই চম্পক-অঙ্গ।
আপদ মস্তক                                   পুলকহিঁ পূরিত
নিরুপম ভাব-তরঙ্গ॥
খেনে মৃদু হাসি                             কহই সো পিরীতি
যৈছন হেম দশবান।
শ্যাম নাগর মোর                                প্রাণ-মনোহর
কহইতে ঝরই নয়ান॥
ভাবহিঁ বিবশ                                কহই বরজ-রস
অভিনয় তৈছে পরকাশ।
পরমানন্দ সার                              মহাভাব অবতার
ভণ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী ব্যাখ্যা সম্বলিত
মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ২য় খণ্ড, ৫১৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাস - মধ্যম দশকুশী॥

দেখ দেখ গৌর প্রেমরস ধাম।
পদ নখে জীতল,                                কতুহু শশীকুল,
লাখ লাখ মদযুত কাম॥ ধ্রু॥
চকিত বিলোকনে,                              সব দিশ চাহই,
ঝাঁপই চম্পক অঙ্গ।
আপাদ মস্তক,                                  পুলকহি পূরিত,
নিরুপম ভাব তরঙ্গ॥
খেনে মৃদু হাসি,                             কহই সো পিরীতি,
যৈছন হেম দশবান।
শ্যাম নাগর মোর,                               প্রাণ মনোহর,
কহইতে ঝরয়ে নয়ান॥
ভাবহি বিবশ,                                কহই বরজ-রস,
অভিনয় তৈছে পরকাশ।
পরমানন্দ সার,                             মহাভাব-অবতার,
ভণ রাধামোহন দাস॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
দেখ দেখ গৌর বরগুণধাম
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৬ ।

॥ কেদার সমতালৌ॥

দেখ দেখ গৌর বরগুণধাম ।
ও রূপ লাবণি দেহ সুগঠন দেখি ঝুড়ে কোটি কাম ॥ ধ্রু ॥
সোই ভাব ভরে ক্ষীণ দীশই পরম দূবর দেহ ।
তবহুঁ দীপতি উজর ঐছন যৈছে চান্দকি রেহ ॥
শ্যাম নবরস করত কীর্ত্তন স্মরই ও নবরূপ ।
তেঞি অহনিশ ভ্রমই দশদিশ স্নাত নবরস কূপ ॥
ঐছে দ্বিজপতি বিহরে নিতি নিতি জাগু পুরবক প্রেম ।
রাধামোহন চিতহিঁ অনুমানল ও রূপ জগজন ক্ষেম ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড, ১ম শাখা, ৭ম পল্লব, শ্রীরাধার
পূর্ব্বরাগ-সবিস্তার, পদসংখ্যা ১৬২।

অথ তানবং।
শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ বিহগড়া॥

দেখ দেখ গৌরবর গুণধাম।
যো রূপ লাবণি                                দেহ সুগঠনি
দেখি ঝুরে কোটি কাম॥ ধ্রু॥
সোই ভাব-ভরে                                ক্ষীণ দীশই
পরম দুবর দেহ।
তবহুঁ দীপতি                                   উজর ঐছন
যৈছন চাঁদক রেহ॥
শ্যাম-নব-রস                                  করত কীর্ত্তন
স্মরই ও নব রূপ।
তেঞি অহনিশি                              ভ্রমই দশদিশি
স্নাত-নব-রস-কূপ॥
ঐছে নিতি নিতি                        বিহরে দ্বিজ-পতি
জাগু পুরুবক প্রেম।
রাধামোহন                                 চিতহুঁ অনুমান
ও রূপ জগজন-ক্ষেম॥

টীকা -
৮ - ১১। “শ্যাম-নব-রস” ইত্যাদি। (শ্রীগৌরাঙ্গ) শ্রীকৃষ্ণের নবানুরাগ অর্থাৎ পূর্ব্বরাগ কীর্ত্তন করেন এবং
তাঁহার ঐ নিত্য-নূতন রূপ স্মরণ করিতেছেন ; তাই তিনি দিবারাত্র (শ্রীকৃষ্ণের অন্বেষণের জন্য) দশ দিকে
ভ্রমণ করেন ; (বোধ হয় যেন, তিনি) নবানুরাগের কূপে স্নাত হইয়াছেন ; (নতুবা তিনি কৃষ্ণ-প্রেমময়-দেহ
হইলেন কি প্রকারে ?) স্নাত হইয়াছেন “নব-রস-কূলে” যিনি, এইরূপ বহুব্রীহি সমাস দ্বারা “স্নাত-নব-রস-কূপ”
শব্দটি নিষ্পন্ন হইয়াছে। ---সতীশচন্দ্র রায়, শ্রীশ্রীপদকল্পতরু॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৪০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ অথ তাণবং॥
॥ গৌরচন্দ্র॥
॥ বেহাগ রাগ॥

দেখ দেখ গৌর বরগুণধাম।
জো রূপ লাবুনি দেহ সুগঠনি দেখিএ ঝুড়ে কোটি কাম॥ ধ্রু॥
সোই ভাবভরে খিন দিসই পরম দুরবল দেহ।
তবহু দীপতি উজোর ঐছন তৈছন চান্দ করেহ॥
শ্যামল বরণ করত কীর্তন স্মরই ও নবরূপ।
তেঞি অহনিশি ভূমই দশদিশি স্নাত নবরসকূপ॥
ঐছন নিতি নিতি বিহরে দ্বিজপতি জাগু পুরুব কাম।
রাধামোহন চিত অনুমান ও রূপ জগজন ক্ষেম॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪১৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিহগড়া॥

দেখ দেখ গৌরবর গুণধাম।
যো রূপ লাবণী, দেহ সুগঠনি, দেখি ঝুরে কোটিকাম॥
সোই ভাব ভরে, ক্ষীণ দীশই, পরম দুবর দেহ।
তবহুঁ দীপতি, উজোর ঐছন, যৈছন চাঁদকি রেহ॥
শ্যাম নব রস, করত কীর্ত্তন, স্মরই ও নব রূপ।
তেহি অহর্নিশি, ভ্রমই দশ দিশি, স্নাত-নব-রস কূপ॥
ঐছে নিতি নিতি, বিহর দ্বিজ-পতি, জাগু পূরবক প্রেম।
রাধামোহন, চিতহুঁ অনুমান, ও রূপ জগজনে ক্ষেম॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”,
১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৯১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিহগড়া॥

দেখ দেখ গৌরবর গুণধাম।
যো রূপ লাবণি, দেহ সুগঠনি, দেখি ঝুরে কোটি কাম॥ ধ্রু॥
সোই ভাব ভরে ক্ষীণ দীশই, পরম দুবর দেহ।
তবহুঁ দীপতি উজর ঐছন, যৈছন চাঁদকি রেহ॥
শ্যাম নব রস করত কীর্ত্তন, স্মরই ও নব রূপ।
তেঞি অহনিশি ভ্রমই দশদিশি স্নাত নবরসকূপ॥
ঐছে নিতি নিতি বিহরে দ্বিজপতি, জাগু পুরুবক প্রেম।
রাধামোহন চিতহিঁ অনুমান, ও রূপ জগজনে ক্ষেম॥

ই পদটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীপদরত্ন-
মালা”, ৯৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

পূর্ব্বরাগ।
তানব দশা।
তস্য শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ কেদার॥

দেখ দেখ গৌরবর গুণধাম।
যো রূপ লাবণী                                দেহ সুগঠনি
দেখি ঝুরে কোটি কাম॥ ধ্রু॥
সোই ভাবভরে                                   ক্ষীণ দীশই
পরম দূবর দেহ।
তবহুঁ দীপতি                                   উজর ঐছন
যৈছন চান্দক রেহ॥
শ্যাম নব রস                                  করত কীর্ত্তন
স্মরই ও নব রূপ।
তেঞি অহর্নিশি                              ভ্রমই দশদিশি
স্নাত নবরস কৃপ॥
ঐছে নিতি নিতি                           বিহরে দ্বিজপতি
জাগু পূরবক প্রেম।
রাধা মোহন                               চিতহি অনুমান
ও রূপ জগজন ক্ষেম॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
দেখ দেখ গৌর বর রস রাজ
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২১৯ ।

॥ কেদার রাগ দশ কোশী তালাভ্যাং ॥

দেথ দেখ গৌর বর রস রাজ ।
শারদ পূর্ণিমা রজনি উজোর নটন কিরিতন মাঝ ॥ ধ্রু ॥
রাস রস ভাব বিভাবিত অন্তর ললিত মন্থর পাদ।
বরজ সুন্দরী চরণ চারণ ভঙ্গি করু অনুবাদ ॥
গান সুমধুর তাল  ধ্রুব আদি বাদন তৈছন ভান ।
নবীন কামরু বচন কৌশল ভকত গণ মন মান ॥
রাধামোহন চিতহি শোভন ও পদ নিতি নিতি জাগউ ।
কলিকাল কাশর মরণ ফাফর শমন ভয় পুন ভাগ উ ॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ২১৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তত্র গৌরচন্দ্র কেদার রাগ॥ দশকোশি তালাভ্যাং॥

দেথ দেখ গৌরবর রসরাজ।
শারদ পূর্ণিমা রয়নি উজোরহি নটত কিরিতন মাঝ॥ ধ্রু॥
রাসরসভাব বিভাবিত অন্তর ললিত মন্থর পাদ।
বরজসুন্দরী চরণ চারণ ভঙ্গি করু অনুবাদ॥
গান সুমধুর তান ধ্রুব আদি বাদন তৈছন ভান।
নবীন কামক বচন কৌশল ভকতগণ মনমান॥
এ রাধামোহন চিত্তহি শোভন ও পদ নিতি নিতি জাগউ।
কলিকাল কাশর মরণ ফাঁফর শমনভয় পুন ভাগউ॥

ই পদটি ১৯৫৯ সালে প্রকাশিত, দুর্গাচরণ বিশ্বাস সংগৃহীত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “কীর্ত্তন-পদাবলী”,
১১১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

রাসলীলা
শ্রীগৌরচন্দ্র

দেথ দেখ গৌরবর রসরাজ।
(পা!)শারদ পূর্ণিমা,                         রজনী উজোর,
নটন কিরিতন মাঝ॥
রাস-রস-ভাব,                            বিভাবিত অন্তর,
ললিত মন্থর পাদ।
বরজ সুন্দরী,                                   চরণ চারণ,
ভঙ্গী করু অনুবাদ॥
গান সুমধুর,                                তাল  ধ্রুব আদি,
বচন তৈছন ভাণ।
নবীন কামক,                                  বচন কৌশল,
ভকতগণ মন মান॥
রাধা মোহন,                                  চিতহি শোভন,
ও পদ নিতি নিতি জাগউ।
কলিকাল কাশর                                মরণ ফাফর,
শমন ভয় পুনঃ জাগউ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
দেখ দেখ ঝূলত গৌর-কিশোর
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” তয় খণ্ড, ৪৭০-পৃষ্ঠায়
এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

পুনশ্চ ঝুলন লীলা।
শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ সুরট মল্লার - তেওট॥

দেখ দেখ ঝূলত গৌর-কিশোর।
মণিময় আভরণ,                            অঙ্গহি পহিরণ,
দোলত রতন হিণ্ডোর॥
ঢল ঢল কাঞ্চন,                                নিন্দি কলেবর,
লাবণি অবনী উজোর।
তাহে পুন পুরুবক,                           ভাবহি গর গর,
সততহি রহত বিভোর॥
তাত্তা থৈ থৈ,                                    মাদল বাজত,
চৌদিকে হরি হরি বোল।
শত শত মধুর,                              ভকতবর গায়ত,
নাচত আনন্দ-হিল্লোল॥
ঝুলিতে ঝুলিতে,                                গদ গদ বোলত,
ধর ধর মোহে প্রাণ বন্ধু।
রাধামোহন-পহুঁ,                                অন্তরে উছলল,
মহাভাব নব রস-সিন্ধু॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
দেখ দেখ নব অভিসারিণী রাই
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-১৩৪ ।

॥ কামোদ রাগঃ দশকোশী ॥

দেখ দেখ নব অভিসারিণী রাই ।
চকিত বিলোচনে চাহই সব দিশ প্রেমসিন্ধু অব গাই ॥ ধ্রু ॥
এক সখি সঙ্গে চলু নব নাগরি নাগর সঙ্কেত কুঞ্জ ।
মল্লিকা মালতি কুসুম বিথারিত গুঞ্জিত যহিঁ অলিপুঞ্জ ॥
নিশবদ মণ্ডন অঙ্গহি ভূষণ তৈছন নূপুর চরণে ।
সিন্দুর চন্দন কজ্বল উজ্বল কৃত অবগুন্ঠন বসনে ॥
শিরিষ কুসুম পরশে যো পদতল বরণিত হোত মৈলান ।
সো অব কন্ঠক কঙ্কর বাটহি রাগহি করত পয়ান ॥
ইথে বুঝি প্রেম প্রবল নব বিধি হোই সিরজই বিপরিত বন্ধ ।
দাস রাধামোহন কিছু নাহি বুঝই যাতে নাহি সো রস গন্ধ ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড, ২য় শাখা, ১ম পল্লব, রূপাভিসার,
পদসংখ্যা ২৭২।

॥ কামোদ॥

দেখ দেখ নব অভিসারিণি রাই।
চকিত বিলোকনে                        চাহই দশ দিশ
প্রেম-সিন্ধু অবগাই॥
এক সখি সঙ্গে                            চলু নব নাগরি
নাগর-সঙ্কেত-কুঞ্জ।
মল্লিকা মালতি                          কুসুম বিথারিত
গুঞ্জিত তহিঁ অলিপুঞ্জ॥
নিশবদ মণ্ডন                               অঙ্গ-বিভূষণ
তৈছন নূপুর চরণে।
সিন্দুর চন্দন                                কজ্বল উজ্বল
কৃত-অবগুন্ঠন বসনে॥

পদকল্পতরুতে এই পদটি, এই অবধিই দেওয়া রয়েছে। পদের বাকি অংশ, সতীশচন্দ্র রায় মহাশয়, প-স
(রাধামোহন ঠাকুরের পদামৃতসমুদ্র) পুথি বা গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃত করেছেন এইরূপে . . .

শিরিষ কুসুম                        পরশে যো পদতল
বরণিত হোত মৈলান।
সো অব কন্টক                            কঙ্কর বাটহি
রাগহি করত পয়ান॥
ইথে বুঝি প্রেম                    প্রবল নব বিধি হোই
সিরজই বিপরিত বন্ধ।
দাস রাধামোহন                        কিছু নাহি বুঝই
যাতে নাহি সো রসগন্ধ॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯১৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

রূপাভিসার
॥ কামোদ॥

দেখ দেখ নব অভিসারিণি রাই ।
চকিত বিলোচনে                             চাহই দশদিশ
প্রেম-সিন্ধু অবগাই॥
এক সখি সঙ্গে                                চলু নব নাগরি
নাগর-সঙ্কেত-কুঞ্জ।
মল্লিকা মালতি                             কুসুম বিথারিত
গুঞ্জিত তঁহি অলিপুঞ্জ॥
নিশবদ মণ্ডন                                  অঙ্গ বিভূষণ
তৈছন নূপুর চরণে।
সিন্দুর চন্দন                                  কজ্বল উজ্জ্বল
কৃত-অবগুণ্ঠন বয়নে॥

এই অবধি রাধামোহন ঠাকুরের পদামৃতসমুদ্র এবং বৈষ্ণবদাসের পদকল্পতরুর অনুসরণে দেওয়া থাকলেও
এর পর নতুন চারটি পংক্তি এভাবে রয়েছে হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত “বৈষ্ণব পদাবলী” গ্রন্থে . . .

কুঞ্জক সমীপ                                উয়ল যব সুবদনী
নাগর ভেল আগুসার।
ভণ রাধামোহন                                মীলল দুহুঁ জন
নবঘনে বিজুরী সঞ্চার॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর