কবি রাধামোহন ঠাকুরের বৈষ্ণব পদাবলী
*
নামহি যাক মদনময় জগনারি
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত
এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-১২৫ ।

॥ সিন্ধুড়া রাগ দশকোষীতালৌ ॥

নামহি যাক মদনময় জগনারি দরশন পরশক সুখ ।
পরশ সুরত সুখ কো করু অনুভব তুহুঁ কাহে তাহে বিমুখ ॥
সুন্দরি দুরে কর মিছই তরাস ।
আপন হৃদয় সখি কাহে না পুছহ কৈছে মরম অভিলাষ ॥ ধ্রু ॥
একু সখি বাত কহল যব ঐছন মৌনহি অনুমতি দেল ।
তবহিঁ সখীগণ বেশ বনায়ত আনন্দে নিগমন ভেল ॥
পুন সভে করগহি রাই অভিসারণ লীলা দরশ কি আশে ।
ঐছন সময় দরশ কিএ পায়ব কহ রাধামোহন দাসে ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
নিজ নিজ মন্দিরে কয়ল পয়ান
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত
এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪০৭ ।

॥ বিভাষপ্রতি রূপক তালৌ ॥

নিজ নিজ মন্দিরে কয়ল পয়ান ।
শয়ন কয়ল পুন কোই না জান ॥
অকপট প্রেমকবন্ধ ।
দুরু জন সকল নয়ন করু অন্ধ ॥
প্রাতর উচিত করণ করু রাই ।
তেজল বিপরিত বসন অঙ্গ লাই ॥
সুগন্ধি তৈল লাগাই করি স্নান ।
যশোমতি গেহ বর কয়ল পয়ান ॥
রন্ধন করি পুন ভোজন করাই ।
সহচরি সঞে তহি অবশেষ পাই ॥
গোঠ বিজয় দরশনে ধনি গেল ।
রাধামোহন সঙ্গে করি লেল ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং
সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড,
৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ, ৩২শ পল্লব, অষ্টকালীয় নিত্য-লীলা, ২৮৪৯সংখ্যক পদ হিসেবে
এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

পুনশ্চ।
॥ বিভাষ॥

নিজ নিজ মন্দিরে করল পয়াণ।
শয়ন কয়ল পুন কোই না জান॥
অকপট প্রেমক বন্ধ।
দুরজন-সকল-নয়ন করু অন্ধ॥
প্রাতর-উচিত করণ করু রাই।
তেজল পিত বাস অঙ্গ লাগাই॥
সুগন্ধি তৈল লাগাই করু স্নান।
যশোমতি-মন্দির করল পয়ান॥
রন্ধন করি পুন ভোজন করাই।
সহচরি সঙ্গে তহিঁ অবশেষ পাই॥
গোঠ-বিজয়-দরশনে ধনি গেল।
রাধামোহন সঙ্গে করি নেল॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত,
বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব
চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত,
“শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ২৩৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাষ রাগ প্রতি রূপক তালো॥

নিজনিজ মন্দিরে করল পয়ান। শয়ন কয়ল পুন কোই না জান॥
অকপট প্রেমক বন্ধ। দুরজন সকল নয়ন করূ অন্ধ॥ ধ্রু॥
প্রাতর উঠিত করল করূ রাই। তেজল বিপরীত বসনঙ্গ নাই॥
সুগন্ধি তৈল লাগাই করি স্নান। যশোমতি গেহ্বর কয়ল পয়ান॥
রন্ধন করি পুন ভোজন করাই। সহচরী সঞে তহি অবশেষ পাই॥
গোঠে বিজয় দরশনে ধনি গেল। রাধামোহন সঙ্গে করি নেল॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
“সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৪৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাস॥

নিজ নিজ মন্দিরে কয়ল পয়ান।
শয়ন কয়ল পুন কোই না জান॥
অকপট প্রেমক বন্ধ।
দুরজন সকল নয়ন করু অন্ধ॥
প্রাতর উচিত করণ করু রাই।
তেজস পীত বাস অঙ্গ নাগাই॥
সুগন্ধি তৈল লাগাই করু স্নান।
যশোমতী মন্দির করল পয়ান॥
রন্ধন করি পুন ভোজন করাই।
সহচরী সঙ্গে অবশেষ পাই॥
গোঠ-বিজয়ী-দরশনে ধনী গেল।
রাধামোহন সঙ্গে করি নেল॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯৩২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাস॥

নিজ নিজ মন্দিরে করল পয়াণ।
শয়ন কয়ল পুন কোই না জান॥
অকপট প্রেমক বন্ধ।
দুরজন-সকল-নয়ন করু অন্ধ॥
প্রাতর-উচিত করণ করু রাই।
তেজল পিত বাস অঙ্গ লাগাই॥
সুগন্ধি তৈল লাগাই করু স্নান।
যশোমতি-মন্দির করল পয়ান॥
রন্ধন করি পুন ভোজন করাই।
সহচরি সঙ্গে তহিঁ অবশেষ পাই॥
গোঠ-বিজয়-দরশনে ধনি গেল।
রাধামোহন সঙ্গে করি নেল॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
নিজ সখী বদন হেরি সুধা মুখী
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৬৫ ।

॥ পঠ মঞ্জরী মিশ্র বরাড়ী তথা তালৌ ॥

নিজ সখী বদন হেরি সুধা মুখী বুঝি কহে গদগদ বাত ।
রসিক সুনাহ মোহে যদি উপেখল কাহে তাপাওসি আঁত ॥
মঝু লাগি যতন কয়লি দুখ পাওলি দৈবহি যদি নহ কাজ ।
তুহুঁ কাহে বিরস বদনে ঘন রোয়সি কিয়ে পুন কয়লি অকাজ ॥
শুন সখী হে কর মোর পর উপকার ।
ইহবি বিন্দাবনে দেহ তেয়াগব মৃত তনু রাখবি হামার ॥ ধ্রু ॥
কবহু শ্যাম তনু পরিমল পাওব তবহু মনোরথ পূর ।
ইহ সব বচন শুনই নাহি পারই রহু রাধামোহন দূর ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড, ১ম শাখা, ২য় পল্লব, শ্রীরাধার
পূর্ব্বরাগ, পদসংখ্যা ৪৫।

॥ গান্ধার॥

নিজ সখি-বদন                            হেরি সুধামুখি
বুঝি কহে গদগদ বাত।
রসিক সুনাহ                        মোহে যদি উপেখল
কাহে তাপায়সি আঁত॥
মঝু লাগি যতন                        কয়লি দুখ পায়লি
দৈবহি যদি নহ কাজ।
তুহুঁ কাহে বিরস                       বদন ঘন রোয়সি
কিয়ে পুন কয়লি অকাজ॥
শুন সখি কর তুহুঁ পর উপকার।
ইহ বৃন্দাবনে                               দেহ উপেখব
মৃত তনু রাখবি হামার॥ ধ্রু॥
কবহুঁ শ্যাম-তনু-                         পরিমল পায়ব
তবহুঁ মনোরথ পূর।
ইহ সব বচন                         শুনই নাহি পারই
রহু রাধামোহন দূর॥

টীকা -
১ -১৫। “নিজ সখী” ইত্যাদি। পদকর্তা রাধামোহন ঠাকুর এই পদে বিদগ্ধ-মাধব নাটকের নিম্নলিখিত
শ্লোকটির মর্ম্মানুবাদ করিয়াছেন যথা ;---
“অকারুণ্যঃ কৃষ্ণো ময়ি যদি তবাগঃ কথমিদং
মুধা মা রোদীর্ম্মে কুরু পরমিমামুত্তরকৃতিম্।
তমালস্য স্কন্ধে বিনিহিতভুজাবল্লরিরিয়ং
যথা বৃন্দারণ্যে চিরমবিচলা তিষ্ঠতি তনুঃ॥”
---সতীশচন্দ্র রায়, শ্রীশ্রীপদকল্পতরু॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ১৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ অথ শেষদশা॥
॥ গান্ধারী॥

নিজসখী বদন হেরি সুধামুখী বুঝি কহে গদগদ বাত।
রসিক সুনাহ মোহে যদি উপেখেল কাহে তাহে পারসি গাত॥
মঝু লাগি যতন করলি দুখ পায়লি দৈবহি যদি নহু কাজ।
তুহু কাহে বিরস বদনে ঘন রোয়সি কিয়ে পুন কয়লি অকাজ॥
শুন সখী করতুহি পরউপকার।
ইহা বৃন্দাবনে দেহ উপেখব মৃত তনু রাখবি হামার॥ ধ্রু॥
কবহু শ্যামতনু পরিমল পায়ব তবহু মনোরথ পূর।
ইহ সব বচন শুনই না পারই রহু রাধামোহন দূর॥

ই পদটি চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৮৭০ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত এবং তাঁর পুত্র রাজেন্দ্রনাথ
বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৯২২ সালে প্রকাশিত “শ্রীশ্রীপদামৃতসিন্ধু”, ১৫০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীরাগ বা সুহই। তাল দশকুশী॥

নিজ সখী বদন হেরি, সুধামুখী বুঝি কহে গদগদ বাত।
রসিক সুনাহ, মোহে যদি উপেখল, কাহে তাপায়সি গাত॥
মঝু লাগি যতন করলি, দুখ পায়লি, দৈব হি যদি নহ কাজ।
তুহু কাহে বিরস বদনে কাহে, রোয়সি কিয়ে পুন কয়লি অকাজ॥
সখি হে কর তুহ পর উপকার।
ইহবি বৃন্দাবনে, দেহ উপখেব, মৃত তনু রাখবি হামার॥ ধ্রু॥
কবহু শ্যাম তনু, পরিমল পায়ব, তব মনোরথ পুর।
ইহ সব বচন শুনই, নাহি পারই রহু রাধামোহন দূর॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪১৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ গান্ধার॥

নিজ সখী বদন, হেরি সুধামুখী, বুঝি কহে গদগদ বাত।
রসিক সুনাহ, মোহে যদি উপেখল, কাহে তাপায়সি গাত॥
মঝু লাগি যতন, কয়লি দুঃখ পায়লি, দৈবহি যদি নহ কাজ।
তুহুঁ কাহে বিরস, বদন ঘন রোয়সি, কিয়ে পুন কয়লি অকাজ॥
এ সখি কর তুহুঁ পর উপকার।
ইহ বৃন্দাবনে, দেহ উপখেব, মৃত তনু রাখবি হামার॥
কবহুঁ শ্যাম তনু, পরিমল পাওব, তবহুঁ মনোরথ পূর।
ইহ সব বচন, শুনই নাহি পারই, রহু রাধামোহন দূর॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯১৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীরাধার উক্তি
॥ গান্ধার॥

নিজ সখি-বদন                            হেরি সুধামুখি
বুঝি কহে গদগদ বাত।
রসিক সুনাহ                        মোহে যদি উপেখল
কাহে তাপায়সি আঁত॥
মঝু লাগি যতন                      কয়লি দুখ পায়লি
দৈবহি যদি নহ কাজ।
তুহুঁ কাহে বিরস                       বদন ঘন রোয়সি
কিয়ে পুন কয়লি অকাজ॥
শুন সখি কর তুহুঁ পর উপকার।
ইহ বৃন্দাবনে                               দেহ উপেখব
মৃত তনু রাখবি হামার॥
কবহুঁ শ্যাম-তনু-                         পরিমল পায়ব
তবহুঁ মনোরথ পূর।
ইহ সব বচন                          শুনই নাহি পারই
রহু রাধামোহন দূর॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
নিধুবনে শ্যাম বিনোদিনী ভোর
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৩৪-পৃষ্ঠা।

॥ সুহই॥

নিধুবনে শ্যাম বিনোদিনী ভোর।
দুহাঁর রূপের,                            নাহিক উপমা,
প্রেমের নাহিক ওর॥
হিরণ কিরণ,                                আধ বরণ,
আধ নীল-মণি-জ্যোতি।
আধ গলে বন,                           মালা বিরাজিত,
আধ গলে গজমোতি॥
আধ শ্রবণে,                                মকর কুণ্ডল,
আধ রতন ছবি।
আধ কপালে,                               চাঁদের উদয়,
আধ কপালে রবি॥
আধ শিরে শোভে,                         ময়ূর-শিখণ্ড,
আধ শিরে দোলে বেণী।
কনক কমল,                               করে ঝলমল,
ফণী উগাররে মণি॥
ঈষদবলোকনে,                           মাধব হেরইতে,
নয়নহি আনন্দ-নীর।
জনু বর বিধু-মণি,                      বিধুকর দরশনে,
তৈছন সকল শরীর॥
অলক সঙারিতে,                         পহরহি কাঁপই,
বর-করে পরশিতে কান্ত।
কহ রাধামোহন,                      বেশ কৈছে হোয়ব,
চূড় চরণ পরিযন্ত॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
নিন্দিত শশধর নিরুপম নখরং
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত
এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-১৮ ।

॥ মল্লাররাগ কন্দর্পতালৌ ॥

নিন্দিত শশধর নিরুপম নখরং ।
হৃদগত তিমির বিনাশক শিখরং ॥
বন্দে রাধামাধব চরণং ।
ভক্ত জনানাং কেবল শরণং॥ ধ্রু ॥
পরমানন্দক মতিশয় ললিতং
ব্রজযুবতী কুল লোভক চরিতং
অহমতি পামর পাপ বিশিষ্টঃ
রাধামোহন সংজ্ঞক দুষ্টঃ ॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৮৯৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীরাধাকৃষ্ণের বন্দনা
॥ মল্লার, কন্দর্পতাল॥

নিন্দিত-শশধর-নিরুপম-নখরং।
হৃদ্গততিমির-বিনাশকশিখরং॥
বন্দে রাধামাধবচরণং।
ভক্ত জনানাং কেবলশরণং॥
পরমানন্দকমতিশয় ললিতং।
ব্রজযুবতীকুলনন্দিতচরিতং॥
অহমতি পামরপাপবিশিষ্টঃ।
রাধামোহন সংজ্ঞক দুষ্টঃ॥

ব্যাখ্যা -
শশধরনিন্দিত নিরুপম চরণ নখর। হৃদয়ের অন্ধকার বিনাশক উদযগিরি। শ্রীরাধামাধবের
শ্রীচরণ বন্দনা করি। যাঁহারা ভক্তজনের একমাত্র শরণ। অতিশয় ললিত পরমানন্দদায়ক
ব্রজযুবতীগণনিন্দিত চরিত্র। পাপবিশিষ্ট পামর দুষ্টজন আমি রাধামোহন নাম ধরি।
---হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, “বৈষ্ণব পদাবলী”॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
নিরুপম কাঞ্চন কাঁতি কলেবর
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৭৬ ।

॥ বরাড়ী রাগ প্রতি মন্ঠক তালৌ ॥

নিরুপম কাঞ্চন কাঁতি কলেবর মুখজিত শারদ চান্দ ।
তনসুখ বসন পহীরণ অদভূত জগ মন মোহন ফান্দ ॥
সজনি গৌরাঙ্গ কি হেরলু হাম ।
নব অনুরাগ ভরে সোই আকুল বুঝুলু বচনকু ঠাম ॥ ধ্রু ॥
খেনে খেনে কহত সোই ব্রজনন্দন নয়নে না হেরলু থোর ।
পুন কহ নাগর বিদগধ আগর সোই বান্ধল মন মোর ॥
ঐছন ভাঁতি করত কত নব নব অনুভব মনহি বিচার ।
রাধামোহন পহুঁ করতহি নিতি নিতি যছুলাগি ইহ অবতার ॥

ই পদটি ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী ব্যাখ্যা সম্বলিত
মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ২য় খণ্ড, ৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বরাড়ী - মধ্যম দশকুশী॥

নিরুপম কাঞ্চন,                                কাঁতি কলেবর,
মুখজিত শারদ চান্দ।
তন সুখ বসন,                                পহিরণ অদভুত,
জগ মন মোহন ফান্দ॥
সজনি গৌরাঙ্গ কি হেরলুঁ হাম।
নব অনুরাগ ভরে                             সোই মন আকুল
বুঝলুঁ বচনক ঠাম॥ ধ্রু॥
খেনে খেনে কহত,                               সোই ব্রজনন্দন,
নয়নে না হেরলুঁ থোর।
পুন কহ নাগর,                                    বিদগধ আগর,
সোই বান্ধল মন মোর॥
ঐছন ভাতি,                                করত কত নব নব,
অনুভব মনহি বিচার।
রাধামোহন-পহুঁ                             করতহি নিতি নিতি,
যছু লাগি ইহ অবতার ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
নিরুপম সুন্দর গৌর কলেবর
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৫৮ ।

॥ বরাড়ী রাগ সমতালৌ ॥

নিরুপম সুন্দর গৌর কলেবর মুখজিত শারদ চান্দ ।
কুন্দ করগ বীজ নিন্দি সুশোভিত অতিশয় দন্ত সুছান্দ ॥
বুঝলু কাম পুন সাধে ।
অমিয়াক সার, ছানি নিরমায়ল, বিহি সিরজন ভেল রাধে ॥
অকলঙ্ক চান্দ ভালে বিধুন্ত্তদ ধাওই পরশক লাগি ।
নিকটহি যাই দেখি তছু মাধুরি তছুকর ভয়ে পুন ভাগি ॥
প্রতি যোগি আদি,  নাম দোষ শত, গুণ ভেল যাক ধেয়ানে।
সোই চরণে গুণ কলিযুগ পাবন করু রাধামোহন গানে ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ১৪শ পল্লব, রূপোল্লাস,
১০৪৯সংখ্যক পদ হিসেবে এইরূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত  পদরসসার পুথির
১৪৬৯সংখ্যক পদ।

॥ বরাড়ী॥

নিরুপম সুন্দর                                গৌর-কলেবর
মুখ জিতি শারদ-চান্দ।
কুন্দ-করগ-বীজ                             নিন্দি সুশোভিত
অতিশয় দন্ত সুছন্দ॥
বুঝলুঁ কাম পুন সাধে।
অমিয়াক সার                                ছানি নিরমায়ল
বিহি-সিরজন ভেল রাধে॥
অকলঙ্ক চান্দ                                 ভালে বিধুন্ত্তদ
ধাবই পরশক লাগি।
নিকটহি যাই                                দেখি তছু মাধুরি
তছু কর-ভয়ে পুন ভাগি॥
প্রতিযোগি আদি                               নাম-দোষ শত
গুণ ভেল যাক ধেয়ানে।
সোই চরণ-গুণ                                কলিযুগ-পাবন
করু রাধামোহন গানে॥

ই পদটি চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৮৭০ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত এবং তাঁর পুত্র রাজেন্দ্রনাথ
বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৯২২ সালে প্রকাশিত “শ্রীশ্রীপদামৃতসিন্ধু”, ২২৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

রূপোল্লাস।
॥ বরাড়ি॥

নিরুপম সুন্দর, গৌর কলেবর, মুখজিতি শারদ চাঁদে।
কুন্দ করগ বীজ, নিন্দি সুশোভিত, অতিশয় দন্ত সুছাঁদে॥
বুঝলু কাম পুনসারে।
অমিয়া কোশার ছানি, নিরমায়ল বিধি শিব, যেন ভেল রাধে॥ ধ্রু॥
অকলঙ্ক চাঁদ ভালে, বিধুন্ত্তদ ধাওই পরশক লাগি।
নিকটহি যাই হেরি তছু মাধুরী, তছু কর ভায় পুন ভাগি॥
প্রতিযোগী জগৎ নাম দোষিত, গুণ ভেল হিযাক ধেয়ানে।
সোই চরণ গুণ, কলিযুগপাবন, কুরু রাধামোহন গানে॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪২৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বরাড়ী॥

নিরুপম সুন্দর, গৌর কলেবর, মুখ জিতি শারদ-চন্দ্র।
কুন্দ করগ বীজ, নিন্দি সুশোভিত, অতিশয় দন্ত সুছন্দ॥
বুঝল কাম পুন সাধে।
অমিয়াক সার, ছানি নিরমায়ল, বিহি সিরজন ভেল রাধে॥
অকলঙ্ক চান্দ, ভাণে নিধুন্ত্তদ, ধাবই পরশক লাগি।
নিকটহি যাই, হেরি তছু মাধুরী, তছু কর-ভয়ে পুন ভাগি॥
প্রতিযোগি আদি, নাম-দোষ শত-গুণ, ভেলহিঁ যাক ধেয়ানে।
সোই চরণ-গুণ, কলিযুগ-পাবন করু রাধামোহন গানে॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”,
১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৯৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বরাড়ি॥

নিরুপম সুন্দর গৌর-কলেবর, মুখজিত-শারদ-চাঁদ।
কুন্দ করগ বীজ, নিন্দি সুশোভিত, অতিশয় দন্ত সুছাঁদ॥
বুঝলু কাম পুনঃ সাধে।
অমিয়াক সার, ছানি নিরমায়ল, বিহি সিরজন ভেল বাধে॥
অকলঙ্ক চাঁদ ভালে বিধুন্ত্তদ, ধাঅই পরশ লাগি।
নিকটহি যাই, হেরি তছু মাধুরী তছু কর ভয়ে পুন লাগি॥
প্রতিযোগী আদি, নামদোষ শতগুণ, ভেলহি যাক ধেয়ানে।
সেই চরণগুণ, কলিযুগপাবন, করু রাধামোহন গানে॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”,
৪৪২-পৃষ্ঠায় পুনঃ এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বরাড়ী॥

নিরুপম সুন্দর,                                গৌর কলেবর,
মুখ জিতি শারদ-চন্দ্র।
কুন্দ করগ-বীজ,                             নিন্দি সুশোভিত,
অতিশয় দন্ত সুছন্দ॥
বুঝল কাম পুন সাধে।
অমিয়াক সার                                ছানি নিরমায়ল,
বিহি সিরজন ভেল রাধে॥
অকলঙ্ক চান্দ,                                  ভানে বিধুন্ত্তদ
ধাবই পরশক লাগি।
নিকটহি যাই,                                দেখি তছু মাধূরী
তছু কর-ভয়ে পুন ভাগি॥
প্রতিযোগী আদি,                           নাম-দোষ শতগুণ,
ভেলহি যাক ধেয়ানে।
সোই চরণ-গুণ,                                কলিযুগ-পাবন,
করু রাধামোহন গানে॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯০৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

রূপোল্লাস
গৌরচন্দ্র
॥ বরাড়ী॥

নিরুপম সুন্দর                                গৌর-কলেবর
মুখ জিতি শারদ-চান্দ।
কুন্দ-করগ-বিজ                             নিন্দি সুশোভিত
অতিশয় দন্ত সুছন্দ॥
বুঝলুঁ কাম পুন সাধে।
অমিয়াক সার                               ছানি নিরমায়ল
বিহি-সিরজন ভেল রাধে॥ ধ্রু॥
অকলঙ্ক চান্দ                                 ভালে বিধুন্ত্তদ
ধাবই পরশক লাগি।
নিকটহি যাই                                দেখি তছু মাধুরি
তছু কর-ভয়ে পুন ভাগি॥
প্রতিযোগি যত                                নাম-দোষ শত
গুণ ভেল যাক ধেয়ানে।
সোই চরণ-গুণ                                কলিযুগ-পাবন
করু রাধামোহন গানে॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
নীলাচলে শ্রীগৌরাঙ্গ উদ্যান ভিতরে
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৩য় খণ্ড,
২২৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

বন ভোজন।
( যজ্ঞ-পত্নী-অন্নভোজন )
শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ তুড়ি - মধ্যম একতালা॥

নীলাচলে শ্রীগৌরাঙ্গ উদ্যান ভিতরে।
সখ্যরসে বিভোর গোরা সঙ্গী সহচরে॥
হরি বলি নাচে সবে সেভাবে বিভোর।
মধ্যে নিত্যানন্দ নাচে গৌরকিশোর॥
কীর্ত্তন পরিশ্রমে গোরা শ্রমযুক্ত হয়ে।
বৈঠল তরুতলে সঙ্গী সভে লয়ে॥
বন ভোজন লীলা গোরার পড়ি গেল মনে।
সজল নয়ানে চাহে অভিরাম পানে॥
বুঝিয়া প্রভুর ভাব অভিরাম ধায়।
নানা উপহার আনি সমুখে যোগায়॥
নিতাই গৌর মাঝে করি সহচরগণ।
পূর্ব্ব রসে সবে করে বন্য ভোজন॥
খাইতে খাইতে যাহা বড় ভাল লাগে।
নিতাই গৌর মুখে দেয় সেই অনুরাগে॥
ভোজন সমাধি সবে কৈল আচমন।
দেখিয়া রাধামোহনের জুড়াইল নয়ন॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
নূপুর কলরব শুনই চমকিত
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৬৪  ।

॥ ধানশীরাগ যতিতালৌ ॥

নূপুর কলরব শূনই চমকিত কুঞ্জক হোই বাহার ।
চলইতে খলই বলই সব অভরণ অম্বর নহক সাম্ভার ॥
সজনী অদভূত কানুক নেহ ।
আগুসরি আদর ভাবহি বাদর কি করব না পাওই থেহ ॥
করগহি সঙ্কেত পুন পর বেশই করু নীরাজন নিজ হাথ ।
শীকর যুত সরসিজ দলে বীজই মলয়জ লেপই গাত ॥
রাই পুন দরশ পরস রসে নিগমন লাজহি অবনত মুখ ।
হেরি রাধামোহন সোই সুশোভন মেটব পুরু বক দুখ ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ১৪শ পল্লব, রূপোল্লাস,
১০৪২সংখ্যক পদ-রূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির
১৪৬২সংখ্যক পদ।

অস্য মিলনম্।
॥ ধানশী॥

নূপুর-কলরব শুনইতে মাধব
কুঞ্জক হোই বাহার।
চলইতে খলই বলই সব আভরণ
অম্বর নহত সম্ভার॥
সজনি অদভুত কানুক নেহ।
আগুসরি আদর ভাবহি বাদর
কি করব না পায়ই থেহ॥ ধ্রু॥
কর গহি সঙ্কেত লেই পরবেশই
করু নিরজন নিজ হাত।
শীকরযুত সর-সিজ-দলে বীজই
মলয়জ লেপই গাত॥
রাই পুন দরশ-পরশ রসে নিগমন
লাজহি অবনত মুখ।
হেরি রাধামোহন সোই সুশোভন
মীটব পুরুবক দূখ॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪২৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী॥

নূপুর-কলরব, শুনইতে মাধব, কুঞ্জক হোই বাহার।
চলইতে খলই, পড়ই সব আভরণ, অম্বর নহত সম্ভার॥
সজনি অদভুত কানুক লেহ।
আগুসরি আদর, ভাবহি বাদর, কি করব না পায়ই থেহ॥
কর গহি সঙ্কেত, লেই পরবেশই, করু নীরাজন নিজ হাত।
শীকরযুত বাজই সরসিজ-দলে, মলয়জ লেপই গীত॥
রাই পুন দরশ-পরশ রসে গমন, লাজহি অবনত মুখ।
হেরি রাধামোহন, সোই সুশোভন, মীটব পুরুষক দুখ॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”,
৪৪১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী॥

নূপুর-কলেবর,(!) ১                        শুনাইতে মাধব,
কুঞ্জক হোই বাহার।
চলইতে খলই,                         পড়ই সব আভরণ,
অম্বর নহত সম্ভার॥
সজনি অদভুত কানুক লেহ।
আগুসরি আদর,                            ভাবহি বাদর,
কি করব না পায়ই থেহ॥
কর গহি সঙ্কেত,                            লেই পরবেশই,
করু নারীজন নিজ হাত।
শীকরযুত,                            বীজই সরসিজ-দলে,
মলয়জ লেপই গাত॥
রাই পুন দরশ-,                          পরশ রসে মগন,
লাজহি অবনত মুখ।
হেরি রাধামোহন,                           সোই সুশোভন,
মীটব পুরুবক দুখ॥

১ - কলেবর,(!) সম্ভবত “কলরব” হবে। মুদ্রণ প্রমাদ হয়ে থাকতে পারে।

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯২২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

মিলন
॥ ধানশী॥

নূপুর-কলরব শুনইতে মাধব
কুঞ্জক হোই বাহার।
চলইতে খলই বলই সব আভরণ
অম্বর নহত সম্ভার॥
সজনি অদভুত কানুক নেহ।
আগুসরি আদর ভাবহি বাদর
কি করব না পায়ই থেহ॥ ধ্রু॥
কর গহি সঙ্কেত লেই পরবেশই
করু নিরাজন নিজ হাত।
শীকরযুত সরসিজদলে বীজই
মলয়জ লেপই গাত॥
রাই পুন দরশ-পরশ রসে নিগমন
লাজহি অবনত মুখ।
হেরি রাধামোহন সোই সুশোভন
মীটব পুরুবক দূখ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
পশ্য শচীসুতমনুপম রূপং
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও
বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-১৬৭ ।

অথ খণ্ডিতা॥
তত্র গৌরচন্দ্রো যথা॥
॥ ভৈরব রাগৈক তালাভ্যাং॥

পশ্য শচীসুতমনুপম রূপং ।
খণ্ডিতামৃত রস নিরুপম কূপং॥  ধ্রু ॥
কৃষ্ণ রাগ কৃত মানস তাপং ।
লীলা প্রকটিত রুদ্র প্রতাপং ॥
প্রকলিত পুরুষোত্তম সুবিষাদং ।
কমলাকর কমলাঞ্চিত পাদং ॥
রোহিত বদন তিরোহিত ভাষং ।
রাধামোহন কৃত চরণাশং ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং
সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড,
২য় শাখা, ৮ম পল্লব, সর্ব্বকালোচিত খণ্ডিতা, পদসংখ্যা ৩৭৮। এই পদটি
পদকল্পতরুর ২য় শাখা, ১২শ পল্লব, ধীরাধীরা মধ্যা খণ্ডিতা, পদসংখ্যা ৪২২ হিসেবেও
দেওয়া রয়েছে। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির ৫২৩সংখ্যক পদ।

অথ খণ্ডিতা।
ধীরামধ্যা-স্বভাবেন যথা॥
॥ ভৈরবী॥

পশ্য শচীসুতমনুপমরূপম্ ।
খণ্ডিতামৃত-রস-নিরুপম-কূপম্॥
কৃষ্ণরাগ-কৃত-মানস-তাপম্।
লীলা-প্রকটিত-রুদ্রপ্রতাপম্॥
প্রকলিত-পুরুষোত্তম-সুবিষাদম্।
কমলাকর-কমলাঞ্চিত-পাদম্॥
রোহিত-বদন-তিরোহিত-ভাষম্।
রাধামোহন-কৃত-চরণাশম্॥

অনুবাদ -
১ - ৮। অনুপম-রূপ-বিশিষ্ট খণ্ডিতামৃত-রসকূপ শচী-সুতকে দেখ ; ইনি কৃষ্ণ-রাগ-জনিত-
মানস-তাপ-যুক্ত ও লীলা হেতু প্রকটিত-রুদ্র-প্রতাপ ; ইনি প্রকলিত-পুরুষোত্তম-বিষাজ ও
কমলাকরাঞ্চিতপাদ ; ইনি লোহিত-বদন, তিরোহিত-বচন ও রাধামোহন-বাঞ্ছিত-চরণ।
---সতীশচন্দ্র রায়, পদকল্পতরু॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন
“শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, ১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৯৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ভৈরবী॥

পশ্য শচীসুতমনুপমরূপং। খণ্ডিতামৃতরসনিরুপমকূপম্॥
কৃষ্ণরাগকৃতমানসতাপং। লীলাপ্রকটিতরুদ্রপ্রতাপম্॥
প্রকলিত-পুরুষোত্তমসুবিষাদং। কমলাকরকমলাঞ্চিতপাদম্॥
রোহিতবদনতিরোহিতভাষং। রাধামোহনকৃতচরণাশম্॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-
পদলহরী”, ৪৫৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ভৈরবী॥

পশ্য শচী-সুতমনুপমরূপং।
কলিতামৃত-রস-নিরুপম-কূপং॥
কৃষ্ণাগঃ-কৃত-মানস-তাপং।
লীলা-প্রকটিত-রুদ্রপ্রতাপং॥
প্রকটিতে পুরুষোত্তম-সবিষাদং।
কমলাকরকমলাঞ্চিতপাদং॥
রোহিত-বদন-তিরোহিত ভাষং।
রাধামোহনকৃতচরণাশং॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৮৯৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

ধীরা মধ্যা খণ্ডিতা।
তদুচিত গৌরচন্দ্র॥
॥ ভৈরবী॥

পশ্য শচীসুতমনুপমরূপম্ ।
খণ্ডিতামৃত-রস-নিরুপম-কূপম্॥
কৃষ্ণরাগ-কৃত-মানস-তাপম্।
লীলা-প্রকটিত-রুদ্রপ্রতাপম্॥
প্রকলিত-পুরুষোত্তম-সুবিষাদম্।
কমলাকর-কমলাঞ্চিত-পাদম্॥
রোহিত-বদনতিরোহিত ভাষম্।
রাধামোহন-কৃত-চরণাশম্॥

অনুবাদ ও ব্যাখ্যা -
অনুপম রূপসম্পন্ন খণ্ডিতামৃত রসকূপ শ্রীগৌরাঙ্গকে দেখ। যিনি কৃষ্ণের প্রতি
অনুরাগজনিত মানস সন্তাপযুক্ত এবং যাঁহার রুদ্রপ্রকাপ বিবিধ লীলায় প্রকটিত। শচীনন্দন
প্রলিত পুরুষোত্তম বিষাদ আর কমলা করাঞ্চিত পাদকমলযুক্ত। ইনি লোহিত
বদন, বচনহীন এবং রাধামোহনের অভিলষিত শ্রীচরণ।
শ্রীল রাধামোহন ঠাকুর এই পদের শ্রীগৌরাঙ্গ ও শ্রীকৃষ্ণ পক্ষে ব্যাখ্যা করিয়াছেন
(পদামৃতসমুদ্র গ্রন্থের ১৬৭ ও ১৬৮ পৃষ্ঠা, সংস্কৃত ভাষায় লিখিত টীকা)।
খণ্ডিতামৃত রসকূপ, শ্রীগৌরাঙ্গ পক্ষে পরাজিত অমৃতকূপ যাহা হইতে। শ্রীকৃষ্ণ পক্ষে
খণ্ডিতা নায়িকার মানরূপ অমৃত রসের কূপ। কৃষ্ণ রাগ কৃত মানসতাপ---শ্রীকৃষ্ণ পক্ষে
শ্রীরাধার ক্রোধ যাহার প্রতি, সেই ক্রোধে যিনি মনস্তাপযুক্ত। প্রকটিত রুদ্র প্রতাপ---
শ্রীগৌরাঙ্গের পক্ষে রুদ্র নামক কোন ব্যক্তি অখবা মহারাজ গজপতি রুদ্রের প্রতাপ যাঁহার
দ্বারা প্রকাশিত। শ্রীকৃষ্ণ পক্ষে মহাদেবের ন্যায় প্রতাপ প্রকাশ পাইয়াছে যাঁহার দ্বারা।
প্রকলিত পুরুষোত্তম বিষাদ---শ্রীগৌরাঙ্গের পক্ষে পুরুষোত্তম নামক ভক্তের বিষাদ যাঁহার
দ্বারা দূরীভূত হইয়াছে। শ্রীকৃষ্ণ পক্ষে---পুরুষোত্তমে শ্রীজগন্নাথদেব হইতে যাঁহার
বিষাদ লব্ধ হইয়াছে। কমলাঞ্চিত পাদ---শ্রীগৌরাঙ্গ পক্ষে কমলাকর (পিপলাই) সেবিত
পদদ্বয়। শ্রীকৃষ্ণ পক্ষে কমলা---লক্ষ্মীর অর্চ্চিত পদযুগল। লোহিত বদন---উভয় পক্ষেই
মনস্তাপ জন্য আরক্ত বদন। তিরোহিত বচন---উভয় পক্ষেই বিষাদে বাক্যহীন। রাধামোহন
বাঞ্ছিত চরণ শ্রীগৌরাঙ্গে পক্ষে পদকর্ত্তা রাধামোহনের আকাঙ্ক্ষিত। শ্রীকৃষ্ণপক্ষে রাধামোহন
কৃষ্ণ কর্ত্তৃক বাঞ্ছিত (শ্রীরাধিকার) চরণ। --- হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, “বৈষ্ণব পদাবলী”॥

ই পদটি ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী
ব্যাখ্যা সম্বলিত মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ২য় খণ্ড, ১৬০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া
রয়েছে।

খণ্ডিতা।
শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ কৌ বিভাস - জপতাল॥

পশ্য শচীসুতমনুপমরূপম্ ।
খণ্ডিতামৃত-রস-নিরুপম-কূপম্॥
কৃষ্ণরাগকৃত-মানস-তাপম্।
লীলা প্রকটিত-রুদ্র-প্রতাপম্॥
প্রকলিত-পুরুষোত্তম-সুবিষাদম্।
কমলাকর-কমলাঞ্চিত-পাদম্॥
রোহিত-বদন তিরোহিত-ভাষম্।
রাধামোহনকৃত-চরণাশম্॥

অনুবাদ -
অনুপমরূপ শ্রীশচীসুতকে দেখ। খণ্ডিতামৃতরসের অনুপম কূপ সদৃশ (গৌরচন্দ্রকে দেখ)।
কৃষ্ণানুরাগে ইহার মন তাপযুক্ত। লীলার দ্বারা ইনি গজপতি রুদ্রনরাধিপের প্রতাপ প্রকাশ
করিয়াছেন। পুরুষোত্তম নামক ভক্তের ঘোর বিষাদ ইনি দূর করিয়াছিলেন। পিপলাই
কমলাকর পদ্মের দ্বারা ইঁহার চরণযুগল পূজা করিয়াছিলেন। কাধামোহন ইঁহার চরণ বাঞ্ছা
করেন। ---নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্র, “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ২য় খণ্ড॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর