কবি রাধামোহন ঠাকুরের বৈষ্ণব পদাবলী
*
পরশহি গদ গদ নহি নহি বোল
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও
বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২৬২ ।

॥ ধানশী রাগ চঞ্চুপুট তালাভ্যাং ॥

পরশহি গদ গদ নহি নহি বোল ।
তনু তনু পুলকিত আনন্দ হিলোল ॥
কো করু অনুভব দুহুঁক বিলাস ।
একু মুখে শিতকার একু মুখে হাস ॥
নিমিলিত নয়ন নয়ন অরু থীর ।
মণি তরলিত মণি মঞ্জু মঞ্জীর ॥
নাগরি দেয়ল ঘন রস দান ।
রাধামোহন পহুঁ অমিঞা সিনান ॥

ই পদটি চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৮৭০ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত এবং তাঁর পুত্র
রাজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৯২২ সালে প্রকাশিত “শ্রীশ্রীপদামৃতসিন্ধু”, ৮১-পৃষ্ঠায়
এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানসী॥

পরশহি গদ গদ নহি নহি বোল্।
তনু তনু পুলকিত আনন্দ-হিল্লোল॥
কো করু অনুভব দুহুক বিলাস।
একু মুখে সিতকার একু মুখে হাস॥
নিমিলিত নয়ন নয়ন অরু থির।
মণিতরলিত মণি মঞ্জু মঞ্জীর॥
নাগরী দেয়ল ঘন রসদান।
রাধামোহন পহু অমিয়া সিনান॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
“সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৩০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী॥

পরশহি গদ গদ নহি নহি বোল।
তনু তনু পুলকিত আনন্দ-হিলোল॥
কো করু অনুভব দুহুঁক বিলাস।
এক মুখে সীতকার এক মুখে হাস॥
নিমীলিত নয়ন নয়ন অরু থির।
মণি তরলিত মণি মঞ্জু মঞ্জীর॥
নাগরী দেওল ঘন রসদান।
রাধামোহন পহুঁ অমিয়া সিনান॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-
পদলহরী”, ৪৩১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী॥

পরশহি গদ গদ নহি নহি বোল।
তনু তনু পুলকিত আনন্দ হিলোল॥
কো করু অনুভব দুহুঁক বিলাস।
একু মুখে সীতকার একু মুখে হাস॥
নিমীলিত নয়ন নয়ন অরু থির।
মণি তরলিত মণি মঞ্জু মঞ্জীর॥
নাগরী দেয়ল ঘন-রস দান।
রাধামোহন পহুঁ অমিয়া সিনান॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী”
তয় খণ্ড, ৩৪৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বালাধানশী - জপতাল॥

পরশহি গদ গদ নহি নহি বোল।
তনু তনু পুলকিত আনন্দ হিলোল॥
কো করু অনুভব দুহুঁক বিলাস।
এক মুখে সিতকার এক মুখে হাস॥
নিমিলিত নয়ন নয়ন করু থির।
মণি-তরলিত মণি মঞ্জু-মঞ্জীর॥
নাগরী দেয়ল ঘন রস দান।
রাধামোহন পহুঁ অমিয়া সিনান॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
পিয়া যত কয়ল সোহাগ
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও
বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৩০৯ ।

॥ সুহই রাগ সমতালৌ ॥

পিয়া যত কয়ল সোহাগ ।
সো মঝু হৃদি মহা জাগ ॥
সখি সো যদি নিকরুণ ভেল ।
মানিএ জীবন শেল ॥
কহ পুন কি করব কাজ ।
খেন একু জীবইতে লাজ ॥
কৈছনে প্রাণ বাহিরায় ।
দুখি রাধামোহন গায় ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
পীত বসন একু হৃদয় উপর
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৩৩৪ ।

॥ মল্লার মিশ্র ধানশী রাগ যতি তালৌ ॥

পীত বসন একু হৃদয় উপর ধরি গৌরাঙ্গ ভাবহিঁ ভোর ।
কিএ লাগি সোবর কান্দয়ে উচ সর পেখলু সুরধনি ওর ॥
ইহ মঝু মরমক শেল ।
যো রসময় তনু লুনিক পুতলি যনু তাহে কাহে এত দুখ ভেল ॥ ধ্রু ॥
জলে যত জলচর কান্দয়ে থাবর বিরিখ উপরে অরু পাখি ।
আর যত পশু কুল কান্দি বেয়াকুল পহুর কান্দনা শুনি দেখি ॥
কান্দি অছু মুরছিত পড়ল ভূমিতল হরি বোল শুনি ভেল জ্ঞান ।
যো বর ভাবহিঁ প্রকট শচীসুত রাধামোহন করু গান ॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী টীকা সম্বলিত মহাজন পদাবলী
“শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৪র্থ খণ্ড, ২৭০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

পুনশ্চ শ্রীগৌরচন্দ্র
॥ ধানশী - মধ্যম দশকুশী॥

পীত বসন একু,                                হৃদয় উপর ধরি,
গৌরাঙ্গ ভাবহি ভোর।
কি এ লাগি সো বর,                          কান্দয়ে উচ স্বর,
পেখলুঁ সুরধুনী ভোর॥
ইহ মঝু মরমক শেল।
যো রসময় তনু,                             লুনিক পুতলি জনু,
তাহে কাহে এত দুখ ভেল॥ ধ্রু॥
জলে যত জলচর,                                কান্দই থাবর,
বিরিখ উপরে অরু পাখী।
আর যত পশুকুল,                             কান্দি বেআকুল,
পহুঁক কান্দনা শুনি দেখি॥
কান্দি অছু মূরছিত,                            পড়ল ভূমিতলে,
হরিবোল শুনি ভেল জ্ঞান।
যো বর ভাবহি,                                 প্রকট শচীসুত,
রাধামোহন করু গান॥

.              *************************               
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
পুন পুন গতাগতি কর ঘর পন্থ
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও
বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৩২ ।

॥ কানর রাগ বিজয়ানন্দ তালাভ্যাং ॥

পুন পুন গতাগতি কর ঘর পন্থ !
খেনে খেনে বনে চলই একান্ত ॥
আজু হাম পেখলু নবদ্বীপচন্দ্র ।
করতলে করই বয়ন অবলম্ব ॥ ধ্রু ॥
ছল ছল নয়ন কমল সুবিলাস ।
নব নব ভাব করত পরকাশ ॥
পুলক মুকুল বরতরু দেহ ।
রাধামোহন না পাওল থেহ ॥

.              *************************               
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
পূরব জনম দিবস দেখিয়া আবেশে গৌর রায়
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “পদামৃত লহরী”, ১৫-পৃষ্ঠায় এই রূপে
দেওয়া রয়েছে।

শ্রীশ্রীকৃষ্ণের জন্মোত্সব
॥ রাগিণী বিভাষ - তাল দোঠুকি ॥

পূরব জনম, দিবস দেখিয়া, আবেশে গৌর রায়।
নিজগণ লৈয়া, হরষিত হৈয়া, নন্দ মহোত্সব গায়॥
খোল করতাল, বাজয়ে রসাল, কীর্ত্তন জনম লীলা।
আবেশে আমার, গৌরাঙ্গ সুন্দর, গোপ বেশ নিরমিলা॥
ঘৃত ঘোল দধি, গোরস হলদি, আবনী মাঝালে ঢালি।
কান্ধে ভার করি, তাহার উপরি, নাচে গোরা বনমালী॥
করেতে লগুড়, নিতাই সুন্দর, আনন্দ আবেশে নাচে।
রামাই মহেশ, রাম গৌরীদাসী, নাচে তার পাছে পাছে॥
হেরিয়া যতেক, নীলাচল লোক, প্রেমের পাথারে ভাসে।
দেখিয়া বিভোর, আনন্দ সাগর, এ রাধা মোহন দাসে॥

.              *************************               
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
পূরবহি শচীসুত ভবহি উনমত
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৮ ।

॥ গুজ্জরি রাকৈগতালীভ্যাং ॥

পূরবহি শচীসুত ভবহি উনমত পেখলু কত শত বেরি ।
এবে দিন দিন পুন নব নব শতগুণ বাঢ়ল হাম অবহেরি ॥
সজনি কোই না পাওই ওর ।
হোর দেখ শ্যাম কহই পুন তৈখন ভূতলে পড়লহি ভোর ॥ ধ্রু ॥
মধুর ভকত কুল কান্দি বেয়াকুল যব হরি বোলল কানে ।
তবঁহি পুলক কুল তনুমাহা উয়ল থির ভেল সকল পরাণে ॥
ঐছন ভাব রতন পরিপূরণ কাহুক কহিঁ নাহি দেখি ।
কাঠ পুতলি যেন কুহকহিঁ নাচয়ে তৈছে রাধামোহন লেখি ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড, ১ম শাখা, ৭ম পল্লব, শ্রীরাধার
পূর্ব্বরাগ-সবিস্তার, পদসংখ্যা ১৭৬।

॥ গুজ্জরী॥

পূরবহিঁ শচি-সুত                        ভবহিঁ উনমত
পেখলুঁ কত শত বেরি।
এবে দিন দিন পুন                    নব নব শত গুণ
বাঢ়ল অব হাম হেরি॥
সজনি, কোই না পাওই ওর।
হোর দেখ শ্যাম                      কহই পুন তৈখনে
ভূতলে পড়লহি ভোর॥ ধ্রু॥
মধুর ভকত-কুল                       কান্দি বেয়াকুল
যব হরি বোলল কাণে।
তবহিঁ পুলক-কুল                       তনু মাহা উয়ল
থির ভেল সকল পরাণে॥
ঐছন ভাব-                            রতন পরিপূরল
কাহুক কহি নাহি দেখি।
কাঠ-পুতলি জনু                       কুহকে নাচায়ত
ঐছে রাধামোহন লেখি॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৪৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ অথ মোহদশা তত্র গৌরচন্দ্র॥
॥ গুজ্জরি॥

পুরবহি শচীসুত ভাবহি উনমত পেখল কত শত বেরি।
এবে দিন দিন পুন নব নব শত গুণ বাঢ়ল অব হাম হেরি॥
সজনি কোই না পায়ই ওর।
হোর দেখ শ্যাম কহই পুন তৈখনে ভূতলে পড়লহি ভোর॥
মধুর ভকতকুল কান্দি বেয়াকুল জবে হরি বোলল কানে।
তবহি পুলককুল তনু মহা উবল থির ভেল নিকল পরাণে॥
ঐছন ভাব রতন পরিপূরণ কাহুক কথি নাহি দেখি।
কাঠপুতলি জনু কুহকে নাচাওত ঐছে রাধামোহন লেখি॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪১৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ গুর্জ্জরী॥

পূরবহি শচীসুত, ভাবহি উনমত, পেখলু কত শত বেরি।
এবে দিন দিন পুন, নব নব শত গুণ, বাঢ়ল অব হাম হেরি॥
সজনি কোই না পাওই ওর।
হের দেখ শ্যাম, কহই পুন তৈখনে, ভূতলে পড়লহি ভোর॥
মধুর ভকতগণ, কান্দি বেয়াকুল, যব হরি বোলল কাণে।
তবহিঁ পুলক কুল, তনু মাহা উয়ল, থির ভেল সকল পরাণে॥
ঐছন ভাব, রতন পুন পূরল, কাহুক কহি নাহি দেখি।
কাঠ-পুতলী জনু, কুহকে নাচাওত, ঐছে রাধামোহন লেখি॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”,
১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৮৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ গুর্জ্জরী॥

পূরবহি শচিসুত                        ভাবহি উনমত
পেখলু কত শত বেরি।
এবে দিনে দিনে                       পুন নব শত গুণ
বাঢ়ল অব হাম হেরি॥
সজনি কোই না পাওই ওর।
হের দেখ শ্যাম                       কহই পুন তৈখনে
ভূতলে পড়লহি ভোর॥ ধ্রু॥
মধুর ভকতগণ                          ভাবি বেয়াকুল
যব হরি বোলয়ে কানে।
তবহি পুলকাকুল                       তনু মাহা উয়ল
থির ভেল সকল পরাণে॥
ঐছন ভাব                              রতন পুন পূরল
কাহুক কহি নাহি দেখি।
কাঠ পুতুল জনু                       কুহকে নাচাও ত
ঐছে রাধামোহন পেখি॥

ই পদটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীপদরত্ন-
মালা”, ১০৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

পূর্ব্বরাগ।
মোহ দশা।
তস্য শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ সুহই॥

পুরবহি শচীসুত                              ভাবহি উনমত
পেখলু কত শত বেরি।
এবে দিন দিন পুনঃ                        নব নব শত গুণ
বাঢ়ল অব হাম হেরি॥
সজনি কোই না পাওই ওর।
হোর দেখ শ্যাম                         কহই পুনঃ তৈখনে
ভূতলে পড়লহি ভোর॥ ধ্রু॥
মধুর ভকত কুল                           কান্দি বেয়াকুল
যব হরি বোলল কাণে।
তবহিঁ পুলক কুল                           তনু মাহা উয়ল
থির ভেল সকল পরাণে॥
ঐছন ভাব                                  রতন পরিপূরল
কাহুক কঁহি নাহি দেখি।
কাঠ পুতলি জনু                            কুহুকে নাচায়ত
ঐছে রাধামোহন লেখি॥

.              *************************               
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
পৌগণ্ড বয়স শেষ গৌরাঙ্গ সুন্দর
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও
বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৮৭ ।

॥ দাক্ষিণাত্য শ্রী ॥

পৌগণ্ড বয়স শেষ গৌরাঙ্গ সুন্দর।
ভুরুর নাচনি করে কিবা সে অন্তর॥
লাজে অবনত মুখ আর আঁখি দুটি।
বুঝিতে না পারিলুঁ মুঞি তার পরিপাটি ॥ ধ্রু॥
বাম নয়ানে তঁহি কটাক্ষ করয়।
মধুর মধুর স্মিত করে বুঝিল না হয়॥
কুন্দন কনয়া জিনি অঙ্গ ঝল মলি।
রাধামোহন পঁহু ভাবে কুতূহলী॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং
সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম
খণ্ড, ১ম শাখা, ৫ম পল্লব, পূর্ব্বরাগ-বয়ঃসন্ধি, পদসংখ্যা ১০২। এই পদটি ১৯৪৬ সালে
প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”,
৯০৪-পৃষ্ঠায় একইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীরাগ॥

পৌগণ্ড বয়স শেষ গৌরাঙ্গ সুন্দর।
ভুরূর নাচনি করে কিবা সে অন্তর॥
লাজে অবনত মুখ আর আঁখি দুটি।
বুঝিতে নারিনু এই ভাব-পরিপাটি॥
বাম নয়ানে পুন কটাক্ষ করয়।
মধুর মধুর স্মিত করে বুঝিল না হয়॥
কুন্দন কনয়া জিনি অঙ্গ ঝলমলি।
রাধামোহন-পহুঁ ভাবে কুতূহলী ॥

ই পদটি চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৮৭০ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত এবং তাঁর পুত্র
রাজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৯২২ সালে প্রকাশিত “শ্রীশ্রীপদামৃতসিন্ধু”, ১৯৩-পৃষ্ঠায়
এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীকৃষ্ণস্য স্বয়ং দূতী।

পৌগণ্ডবয়স শেষ গৌরাঙ্গ সুন্দর।
ভুরুর নাচনি করে কিবা সে অন্তর॥
লাজে অবনত মুখ আর আঁখি দুটী।
বুঝিতে নারিনু এই ভাব পরিপাটী॥
বাম নয়ানে তহি কটাক্ষ করয়।
মধুর মধুর স্মিত করে বুঝল না হয়॥
কুন্দন কনয়া জিনি অঙ্গ ঝলমলি।
রাধামোহন পহুঁ ভাবে কুতূহলী॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
“সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪১৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীরাগ॥

পৌগণ্ড বয়স শেষে গৌরাঙ্গ সুন্দর।
ভুরূর নাচনি করে কিবা সে অন্তর॥
লাজে অবনত মুখ আর আঁখি দুটী।
বুঝিতে নারিনু এই তার পরিপাটী॥
বাম নয়ানে পুন কটাক্ষ করয়।
মধুর মধুর স্মিত করে বুঝিল না হয়॥
কুন্দন কনয়া জিনি অঙ্গ ঝলমলি।
রাধামোহন পহুঁ ভাবে কুতূহলী॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন
“শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, ১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৯১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীরাগ বা ধানশী॥

পৌগণ্ডবয়স শেষে গৌরাঙ্গ সুন্দর।
ভুরূর নাচনি করে কিবা সে অন্তর॥
লাজে অবনত মুখ আর আঁখি দুটী।
বুঝিতে নারিনু এই তার পরিপাটী॥
বাম নয়ানে পুন কটাক্ষ করয়।
মধুর মধুর স্মিত বুঝিল না হয়॥
কুন্দ কনয়া জিনি অঙ্গ ঝলমলি।
রাধামোহন পহুঁ ভাবে কুতূহলী॥

.              *************************               
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
প্রাণনাথ কবে মোর হইব সুদিনে
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৮০ ।

॥ গুজ্জরী রাগৈকতালী তলৌ॥

প্রাণনাথ কবে মোর হইব সুদিনে।
রাধাকৃষ্ণ রাত্রি কালে নানা ক্রীড়া কুতূহলে করি শ্রমে করিব শয়নে॥ ধ্রু॥
সুবাসিত জলে রাঙ্গা চরণ ধোয়াইব পুন খাওয়াইব আর জল।
তাম্বুল কর্পূর যুত যোগাইব অভিমত সম্বাহিব ও পাদ কমল॥
সুগন্ধ চন্দন অঙ্গে লেপন করিব রঙ্গে বিজন করব নানা ভাঁতি।
দুই জন নিদ্রা যাব পরম আনন্দ পাব পুন জাগরণ হব নিতি॥
মোর সেই অভিলাষ পুরাইলে পূরে আশ কৃপা করি কর অবধান।
তোমার করুণা বিনে প্রাপ্তি নহে এই ধনে এ রাধামোহন যাচে দান॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ,
৩৬শ পল্লব, প্রার্থনা, ৩০৭০সংখ্যক পদ হিসেবে এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ গুর্জ্জরী॥

প্রাণনাথ কবে মোর হইব সুদিনে।
রাধাকৃষ্ণ রাত্রি-কালে                          নানা ক্রীড়া-কুতূহলে
পরিশ্রমে করিবে শয়নে॥ ধ্রু॥
সুবাসিত জলে রাঙ্গা                                চরণ ধোয়ায়ব
পুন খাওয়াইব আর জল।
তাম্বূল কর্পূরযুত                                যোগাইব অভিমত
সম্বাহব ও পাদ-কমল॥
সুগন্ধ চন্দন অঙ্গে                              লেপন করিব রঙ্গে
বীজন করিব নানা ভাতি।
দুই জন নিদ্রা যাব                               পরম আনন্দ পাব
পুন জাগরণ হব নিতি॥
মোর এই অভিলাষ                            পূরাইলে পূরে আশ
কৃপা করি কর অবধান।
তোমার করুণা বিনে                           প্রাপ্তি নহে এই ধনে
এ রাধামোহন যাচে দান॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪৪৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ গুর্জ্জরী॥

প্রাণনাথ কবে মোর হইব সুদিনে।
রাধাকৃষ্ণ রাত্রিকালে, নানা ক্রীড়াকুতুহলে, পরিশ্রমে করিবে শয়নে॥
সুবাসিত জলে রাঙ্গা, চরণ ধোয়ায়ব, পুন খাওয়াইব আর জল।
তাম্বূল কপূরযুত, যোগাই অভিমত, সম্বাহব ও পদ-কমল॥
সুগন্ধি চন্দন অঙ্গে, লেপন করিব রঙ্গে, বীজন করিব নানা ভাতি।
দুই জন নিদ্রা যাব, পরম আনন্দ পাব, পুন জাগরণ হব নিতি॥
মোর এই অভিলাষ, পূরাইলে পূরে আশ, কৃপা করি কর অবধান।
তোমার করুণা বিনে, প্রাপ্ত নহে এই ধনে, এ রাধামোহন যাচে দান॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”,
৪৫২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ গুর্জ্জরী॥

প্রাণনাথ, কবে মোর হইবে সুদিনে।
রাধাকৃষ্ণ রাত্রিকালে,                            নানা ক্রীড়া কুতূহলে,
পরিশ্রমে করিবে শয়নে॥
সুবাসিত জলে রাঙ্গা---                                চরণ ধোয়ায়ব,
পুন খাওয়াইব আর জল।
তাম্বূল কর্পূর যুত,                                যোগাইব অভিমত,
সম্বাহব ও পদ-কমল॥
সুগন্ধ চন্দন অঙ্গে,                                লেপন করিব রঙ্গে,
বীজন করিব নানা ভাতি।
দুই জন নিদ্রা যাব,                               পরম আনন্দ পাব,
পুন জাগরণ হব নিতি॥
মোর এই অভিলাষ,                             পূরাইলে পূরে আশ,
কৃপা করি কর অবধান।
তোমার করুণা বিনে,                            প্রাপ্ত নহে এই ধনে,
এ রাধামোহন যাচে দান॥

.              *************************               
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
প্রাণনাথ কৃপা করি শুন দুঃখ মোর
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৯২ ।

॥ ঐশান্য গুজ্জরীরাগ মন্ঠকতালৌ ॥

প্রাণনাথ কৃপাকরি শুন দুঃখ মোর ।
আপন অনন্ত গুণে হেন মহাপাপীজনে দয়া কৈলে জার নাহি ওর ॥
প্রেম সেবা প্রাপ্ত্যুপায় উপদেশ দিলে তায় মুঞি তার নাছুইলু গন্ধ ।
আপন করণ দোষে সেবিছুঁ বিষয় বিসে মোর দেখি পুন ভব বন্ধ ॥
যত পাপ সঞ্চয় যত অপরাধ হয় তাহার নিলয় রূপ আমি ।
মোর মন দুষ্ট যত তাহা না কহিব কত কি বা নাহি জান প্রভু তুমি ॥
সেই সব ভাবিতে, মুখ নাহি ক্ষমা ইতে, কতবা ক্ষমিবে নিজগুণে ।
নিরঙ্কুশ কৃপাময় অনায়াসে সব হয় ফূকারয়ে এ রাধামোহনে ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ,
৩৬শ পল্লব, প্রার্থনা, ৩০৯৮সংখ্যক পদ হিসেবে এইরূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি ১৯৪৬ সালে
প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯০১-পৃষ্ঠায়
একইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীগুরু-স্তুতি।
॥ তথা রাগ॥

প্রাণনাথ কৃপাকরি শুন দুঃখ মোর।
আপন অনন্ত গুণে                                হেন মহাপাপী জনে
দয়া কৈলা যার নাহি ওর॥ ধ্রু॥
প্রেম-সেবা-প্রাপ্ত্যুপায়                             উপদেশ দিলা তায়
মুঞি তার না ছুইলুঁ গন্ধ।
আপন করম-দোষে                               সেবিছু বিষয় বিষে
মোর দেখি পুন ভব-বন্ধ॥
যত পাপ-সঞ্চয়                                       যত অপরাধ হয়
তাহার আলয়-রূপ আমি।
মোর মন দুষ্ট যত                                তাহা না কহিব কত
কিবা নাহি জান প্রভু তুমি॥
সেই সব ভাবিতে                                  মুখ নাহি ক্ষেমাইতে
কত বা ক্ষেমিবা নিজ-গুণে।
নিরঙ্কুশ কৃপাময়                                    অনায়াসে সব হয়
ফূকারয়ে এ রাধামোহনে॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪৪৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীরাগ॥

প্রাণনাথ কৃপাকরি শুন দুঃখ মোর।
আপন অনন্ত গুণে, হেন মহাপাপী জনে, দয়া কৈলা যার নাহি ওর॥
প্রেম-সেবা-প্রাপ্ত্যুপায়, উপদেশ দিলা তায়, মুঞি তার না ছুইনু গন্ধ।
আপন করম দোষে, সেবিছু বিষয় বিষে, মোর দেখি পুন ভব-বন্ধ॥
যত পাপ সঞ্চয়, তত অপরাধ হয়, তাহার আলয় রূপ আমি।
মোর মন দুষ্ট যত, তাহা না কহিব কত, কিবা নাহি জান প্রভু তুমি॥
সেই সব ভাবিতে, মুখ নাহি ক্ষমাইতে, কত বা ক্ষমিবা নিজ-গুণে।
নিরঙ্কুশ কৃপাময়, অনায়াসে সব হয়, ফুকারয়ে এ রাধামোহনে॥

.              *************************               
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
প্রাণনাথ মোরে তুমি কৃপা দৃষ্টি কর
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৯৩ ।

॥ যথা সম্ভবরাগ তালাভ্যাং ॥

প্রাণনাথ মোরে তুমি কৃপা দৃষ্টি কর ।
মুঞি পাপী দুরাচার মোরে কর অঙ্গীকার এ ভবসাগর হইতে তার ॥ ধ্রু ॥
মধ্যে মধ্যে বাঞ্ছা হয় সেহো মোর স্থায়ি নয় মনোযোগ এ রাঙ্গা চরণে ।
সেহো বুদ্ধি মোর নয় বিচারিলে এই হয় আকর্ষয়ে তোমার নিজ গুণে ॥
তুমি করুণায় সিন্ধু এ দীন জনের বন্ধু উদ্ধারিয়া দেহ পাদ সেবা ।
এই অধমের ত্রাতা তোমা বিনু প্রেমদাতা ভুবনে আছয়ে অন্য কেবা ॥
মোর কর্ম্ম না বিচারি পূর্ব্ববত দয়া করি মোরে দেহ সেই প্রেম সেবা ।
এ রাধামোহনে কয় মোর পরিত্রাণ হয় আর গুণ নাহি গায় কেবা ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ,
৩৬শ পল্লব, প্রার্থনা, ৩১০০সংখ্যক পদ হিসেবে এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তথা রাগ॥

প্রাণনাথ মোরে তুমি কৃপা-দৃষ্ট কর।
মুঞি পাপী দুরাচার, মোরে কর অঙ্গীকার, এ ভব-সাগর হৈতে তার॥
মধ্যে মধ্যে মাঞ্জা হয়, সেহো মোর স্থায়ী নয়, মন-যোগে ও রাঙ্গা-চরণে।
সেহো বুদ্ধি মোর নয়, বিচারিলে এই হয়, আকর্ষ সে তোমার নিজগুণে॥
তুমি করুণার সিন্ধু, এ দীন জনের বন্ধু, উদ্ধারিয়া দেহ পদ-সেবা।
এই অধমের ত্রাতা, তোমা বিনে প্রেমদাতা, ভুবনে আছয়ে অন্য কেবা॥
মোর কর্ম্ম না বিচারি, পূর্ব্ববৎ দয়া করি, মোরে দেহ সেই প্রেমসেবা।
এ রাধামোহন কয়, মোর পরিত্রাণ হয়, তবে গুণ নাহি গায় কেবা॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪৪৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীরাগ॥

প্রাণনাথ মোরে তুমি কৃপা-দৃষ্টি কর।
মুঞি পাপী দুরাচার                            মোরে কর অঙ্গীকার
এ ভব-সাগর হইতে তার॥ ধ্রু॥
মধ্যে মধ্যে বাঞ্ছা হয়                          সেহো মোর স্থায়ী নয়
মন-যোগে ও রাঙ্গা-চরণে।
সেহো বুদ্ধি মোর নয়                               বিচারিলে এই হয়
আকর্ষয়ে তোমার নিজ-গুণে॥
তুমি করুণার সিন্ধু                                এ দীন জনের বন্ধু
উদ্ধারিয়া দেহ পদ-সেবা।
এই অধমের ত্রাতা                            তোমা বিনে প্রেম-দাতা
ভুবনে আছয়ে অন্য কেবা॥
মোর কর্ম্ম না বিচারি                             পূর্ব্ববত দয়া করি
মোরে দেহ সেই প্রেম-সেবা।
এ রাধামোহন কয়                                মোর পরিত্রাণ হয়
তবে গুণ নাহি গায় কেবা॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” তয় খণ্ড,
৭০৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ যথারাগ - মধ্যম একতালা॥

প্রাণনাথ মোরে তুমি কৃপাদৃষ্ট কর।
মুঞি পাপী দুরাচার,                           মোরে কর অঙ্গীকার,
এ ভব সাগর হইতে তার॥ ধ্রু॥
মধ্যে মধ্যে বাঞ্ছা হয়,                          সেহো মোর স্থায়ী নয়,
মনযোগে ও রাঙ্গা চরণে।
সেই বুদ্ধি মোর নয়,                                বিচারিলে এই হয়,
আকর্ষিয়ে তোমার নিজ গুণে॥
তুমি করুণার সিন্ধু,                                এ দীন জনের বন্ধু,
উদ্ধারিয়া দেহ পদ সেবা।
এই অধমের ত্রাতা,                             তোমা বিনু প্রেমদাতা,
ভুবনে আছয়ে অন্য কেবা॥
মোর কর্ম্ম না বিচারি,                             পূর্ব্ববত দয়া করি,
মোরে দেহ সেই প্রেম-সেবা।
এ রাধামোহনে কয়,                                মোর পরিত্রাণ হয়,
তবে গুণ নাহি গায় কেবা॥

.              *************************               
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর