কবি রাধামোহন ঠাকুরের বৈষ্ণব পদাবলী
*
বিদগধ শেখর ভুবন মনোহর
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও
বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-১০৭ ।

॥ নট রাগ শেখর তালৌ ॥

বিদগধ শেখর ভুবন মনোহর অপরুব সুন্দর শ্যাম ।
ব্রজপতি নন্দন নয়ন আনন্দন জীতল কত কোটি কাম ॥
সজনি কি মোহন নটবর বেশ ।
জনমন রঞ্জন যনু ঘন চন্দন মূরতি পিরিতি বিশেষ ॥ ধ্রু ॥
বিশেষহি নিজ জন অনুগত অনুক্ষণ পালক ভকত নিদেশ ।
নিরুপম গুণগণ নিরুপম লাবণি নিরুপম কুঞ্চিত কেশ ॥
নিরুপম বসন ভূষণমণি অভরণ কি কহব পদনখ শোভা ।
রাধামোহন পহু নিতি নব নূতন নূতন নারিক লোভা ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
বিনোদিনি বিনোদ নাগর
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ২৭শ
পল্লব, বাসন্তী রাস-লীলা প্রাকারান্তর, ১৫১৯সংখ্যক পদ।

॥ কেদার॥

বিনোদিনি বিনোদ নাগর।
প্রেমে নাচে আনন্দে বিভোর॥
বাজত কত কত তান।
কত রস করতহি গান॥
গগনে মগন ভেল চন্দ।
ফিরয়ে দীপ ধর ছন্দ॥
অপরূপ দুহুঁক বিলাস।
কহ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
“সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৩০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ কেদার॥

বিনোদিনী বিনোদ নাগর।
প্রেমে নাচে আনন্দে বিভোর॥
বাজত কত কত তান।
কত কত রস করতহি গান॥
গগনে মগন ভেল চন্দ।
ফিরয়ে দীপ ধর ছন্দ॥
অপরূপ দুহুঁক বিলাস।
কহ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-
পদলহরী”, ৪৩৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ কেদার॥

বিনোদিনী বিনোদ নাগর।
প্রেমে নাচে আনন্দে বিভোর॥
বাজত কত কত তান।
কত কত রস করতহিঁ গান॥
গগনে মগন ভেল চন্দ।
ফিরয়ে দীপ ধর ছন্দ॥
অপরূপ দুহুঁক বিলাস।
কহ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী”
তয় খণ্ড, ৬২৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ কেদার বসন্ত - কাটা দশকুশী॥

বিনোদিনি বিনোদ নাগর।
প্রেমে নাচে আনন্দে বিভোর॥
বাওত কত কত তাল।
কত কত রস করতহি গান॥
গগনে মগন ভেল চন্দ।
ফীরয়ে দীপ ধরি ছন্দ॥
অপরূপ দুহুক বিলাস।
কহ রাধামোহন দাস॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
বিপিন বিহারি হারি বর
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও
বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২৭৬ ।

॥ গৌরী রাগ মহামন্ঠক তালৌ ॥

বিপিন বিহারি হারি বর মুকুলক ফূলক কত কত ভাঁতি ।
ইন্দ্রনীল মণি নবঘন আদি জিনি অদভূত অঙ্গক কাঁতি ॥
সুন্দরি হোর দেখ বেলি অবসানে ।
অপরূপ চান্দ তৈছে নখত সঞে ঐছে হোয়ত মঝু ভানে ॥ ধ্রু ॥
মোহন মুরুলি খুরলি বর গানহি সব জন উলাস বাঢ়াই ।
গোখুর ধূলি ধূসরিতাম্বার ডম্বর তছু পিছে ধাই ॥
চঞ্চল নয়ন কমল বর পুন পুন অরপই তুয়া আঁখি ভৃঙ্গে ।
যনু বর কমল মধুকর চুম্বই ফিরি ফিরি প্রেম তরঙ্গে ॥
কিএ পুন ভৃঙ্গে পদুম মুখ চুম্বই ঐছন তুহারি নয়ান ।
অতএ সে নাগর বিদগধ আগর পুন পুন ফিরাএ বয়ান ॥
ঐছন ভাঁতি নিজ ভবনক দ্বারহিঁ আনছলে রহু কত বেরি ।
রাধামোহন পহুঁ রসিক শিরোমণি ব্যাকুল তুয়া মন হেরি ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
বুঝলমু কাহ্নুক আগমন সঙ্কেত
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২৯১ ।

অথ ভূত স্তত্র বর্ত্তমান প্রায়ো যতা॥
॥ গুজ্জরী রাগৈক তালিতালাভ্যাং॥

বুঝলমু কাহ্নুক আগমন শঙ্কেত পাশ ভই বান্ধল পরাণ ।
দুঃখ দিতে ঐছন বিহি বর দারুণ কিএ করু ইহ নিরমাণ ॥
সজনী হোর দেখ দারুণ বিষাদ ।
আপন মরণ পুন তছু পাএ মাগিএ হেরইতে রাই উনমাদ ॥ ধ্রু ॥
খেনে উচ রোঅই খেনে পুন ধাবই খেনে পুন খল খল হাস ।
চীত পুতলি সম খেনে পুন হো অই প্রলপই খেনে দিঘ শ্বাস ॥
এ বড়বানল লাখ অধিক ভেল কত সহু ইহ সুকুমারি ।
অতুল প্রেম রিতি ঐছন পরতিতি রাধামোহন বলিহারি ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ৬ষ্ঠ পল্লব, বাহ্য-দশায়
প্রলাপ, ১৬৬৫সংখ্যক পদ। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির ৮৮৮সংখ্যক পদ।

॥ গুজ্জরী॥

বুঝলম কানুক                                আগমন-সঙ্কেত
পাশ ভই বান্ধল পরাণ।
দুখ দিতে ঐছন                              বিহি বর দারুণ
কিসে করু ইহ নিরমাণ॥
সজনি হোর দেখ দারুণ বিষাদ।
আপন মরণ পুন                            তছু পায় মাগিয়ে
হেরইতে রাই উনমাদ॥ ধ্রু॥
খেণে উচ রোয়ই                             খেণে পুন ধাবই
খেণে পুন খলখল হাস।
চীত-পুতলি সম                           খেণে খেণে হোয়ই
প্রলপই দীঘ নিশাস॥
এ বড়বানল                                লাখ অধিক ভেল
কত সহুঁ ইহ সুকুমারি।
অতুল প্রেম-রিতি                           ঐছন পরতিতি
রাধামোহন বলিহারি॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪৩২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ গুর্জ্জরী॥

বুঝলম কানুক, আগমন সঙ্কেত, পাশ ভই বান্ধল পরাণ।
দুখ দিতে ঐছন, বিহি বড় দারুণ, কিসে করু ইহ নিরমাণ॥
সজনী হোর দেখ দারুণ বিষাদ।
আপন মরণ পুন, তছু পায় মাগিয়ে, হেরইতে রাই উনমাদ॥
ক্ষণে উচ রোয়ই, ক্ষণে পুন ধাবই, ক্ষণে পুন খল খল হাস।
চিত-পুতলী সম, ক্ষণে ক্ষণে হোয়ই, প্রলপই দীঘল শোয়াস॥
এ বড়বানল, লাখ অধিক ভেল, কত সহুঁ ইহ সুকুমারী।
অতুল প্রেম-রীতি, ঐছন পরতীতি, রাধামোহন বলিহারি॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৪২-
পৃষ্ঠায় পুনঃ এইরূপে দেওয়া রয়েছে।


বুঝলমু কানুক,                             আগমন-সঙ্কেত,
পাশ ভই বান্ধল পরাণ।
দুখ দিতে ঐছন,                         বিহি বড় দারুণ,
কিয়ে করু ইহ নিরমাণ॥
সজনি, হোর দেখ দারুণ বিষাদ।
আপন মরণ,                            তছু পায় মাগিয়ে,
হেরইতে রাই উনমাদ॥
ক্ষণে উচ রোয়ই,                         ক্ষণে পুন ধাবই,
ক্ষণে পুন খল খল হাস।
চিত-পুতলী সম,                        ক্ষণে ক্ষণে হোয়ই,
প্রলপই দীঘল শোয়াস॥
এ বড়বানল,                             লাখ অধিক ভেল,
কত সহুঁ ইহ সুকুমারী।
অতুল প্রেম-রীতি,                         ঐছন পরতীতি,
রাধামোহন বলিহারি॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯২৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

দিব্যোন্মাদ
॥ গুর্জ্জরী॥

বুঝলুম কানুক                                আগমন-সঙ্কেত
পাশ ভই বান্ধল পরাণ।
দুখ দিতে ঐছন                             বিহি বর দারুণ
কিসে করু ইহ নিরমাণ॥
সজনি হোর দেখ দারুণ বিষাদ।
আপন মরণ পুন                           তছু পায় মাগিয়ে
হেরইতে রাই উনমাদ॥
খেণে উচ রোয়ই                            খেণে পুন ধাবই
খেণে পুন খল খল হাস।
চীত-পুতলি সম                           খেণে খেণে হোয়ই
প্রলপই দীঘ নিশাস॥
এ বড়বানল                                লাখ অধিক ভেল
কত সহুঁ ইহ সুকুমারি।
অতুল প্রেম-রিতি                            ঐছন পরতিতি
রাধামোহন বলিহারি॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী টীকা সম্বলিত মহাজন পদাবলী
“শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৪র্থ খণ্ড, ৩৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ গুর্জ্জরী - একতালা॥

বুঝলুম কানুক                              আগমন সঙ্কেত,
পাশ ভই বাঁধল পরাণ।
দুখ দিতে ঐছন                           বিহি বর দারুণ,
কিসে করু ইহ নিরমাণ॥
সজনি হোর দেখ দারুণ বিষাদ।
আপন মরণ পুন,                         তছু পায় মাগিয়ে,
হেরইতে রাই উনমাদ॥ ধ্রু॥
খেনে উচ্চ রোয়ই,                          খেনে পুন ধাবই,
খেনে পুন খল খল হাস।
চীত পুতলি সম,                          খেনে পুন হোয়ই,
প্রলপই খেনে দীঘশ্বাস॥
এ বাড়বানল,                             লাখ অধিক ভেল
কত সহুঁ ইহ সুকুমারী।
অতুল প্রেমরীতি,                           ঐছন পরতীতি
রাধামোহন বলিহারি॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
বেলি অবসান হেরি শচী নন্দন
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২৭৫ ।

॥ গৌরী রাগ নন্দন তালাভ্যাং ॥

বেলি অবসান হেরি শচী নন্দন ভাবহিঁ গদ গদ বোল ।
কানুক গমন সময় অব হোয়ল সুনিয়ে বেনুক বোল ॥
সজনী না বুঝিয়ে গৌরাঙ্গ বিলাস ।
প্রেমহি নিমগন রহতহিঁ অনুখন কতিহুঁ নাহি অবকাশ ॥ ধ্রু ॥
খেনে পুন কহই নিকটহিঁ শুনিএ ঘন হাম্বারব রাব ।
হেরইতে শ্যাম চন্দ্র অনুমানিএ গোকুল জন যত ধাব ॥
ঐছন ভীতি করত কত অনুভব যো রসে কৃত অবতার ।
রাধামোহন পহুঁ সো বর শেখর তৈছন সতত বিহার ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ২৪শ পল্লব,
উত্তর-গোষ্ঠ, ১৩১৭সংখ্যক পদ, এইরূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার
পুথির ১৮২৮সংখ্যাক পদ।

অথ উত্তর-গোষ্ঠ-গৃহাগমনম্।
শ্রীগৌরচন্দ্রঃ।
॥ তুড়ী॥

বেলি অবসান                                হেরি শচি-নন্দন
ভাবহিঁ গদ গদ বোল।
কানুক গমন-                               সময় অব হোয়ল
সুনিয়ে বেণুক রোল॥
সজনি না বুঝিয়ে গৌরাঙ্গ-বিলাস।
প্রেমহি নিমগন                                রহতহিঁ অনুখন
কতিহু নাহি অবকাশ॥ ধ্রু॥
খেনে পুন কহই                            নিকট শুনিয়ে অব
ঘন হাম্বা-রব রাব।
হেরইতে শ্যাম-                                চন্দ্র অনুমানিয়ে
গোকুল-জন যত ধাব॥
ঐছন ভাতি                                করত কত অনুভব
যো রসে কৃত-অবতার।
রাধামোহন-পহু                                  সো বর শেখর
তৈছন সতত বিহার॥

ই পদটি চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৮৭০ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত এবং তাঁর পুত্র রাজেন্দ্রনাথ
বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৯২২ সালে প্রকাশিত “শ্রীশ্রীপদামৃতসিন্ধু”, ১০৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীকৃষ্ণের গোষ্ঠ হইতে গৃহে আগমন।
॥ তুড়ি॥

বেলি অবসান হেরি শচীনন্দন ভাবহি গদ গদ বোল।
কানুক গমন সময় অব হোয়ল শুনিয়ে বেণুক রোল॥
না বুঝিয়ে গৌরাঙ্গ বিলাস।
প্রেমহি নিমগন, রহতহি অনুক্ষণ, কতিলু নাহি অবকাশ॥ ধ্রু॥
ক্ষণে পুন কহই, নিকটহি শুনিয়ে, ঘন হাম্বারব রাব।
হেরইতে শ্যাম চন্দ্র অনুমানিয়ে গোকুলজন যতধাব॥
ঐছন ভাঁতি, করত কত অনুভব, যো রসে কৃত অবতার।
রাধামোহন পহুঁ, সো বর শেখর, তৈছন সতত বিহার॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪২৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তুড়ী॥

বেলি অবসান, হেরি শচী নন্দন, ভাবহিঁ গদ গদ বোল।
কানুক গমন-সময় অব হোয়ল, শুনিয়ে বেণুক রোল॥
সজনি না বুঝিয়ে গৌরাঙ্গ বিলাস।
প্রেমহি নিমগন, রহতহিঁ অনুক্ষণ, কতিহুঁ নাহি অবকাশ॥
খেনে পুন কহই, নিকটে শুনিয়ে অব, ঘন হাম্বারব রাব।
হেরইতে শ্যাম-চন্দ্র অনুমানিয়ে, গোকুল-জন যত ধাব॥
ঐছন ভাতি, করত কত অনুভব, যো রসে কৃত অবতার।
রাধামোহন পহু, সো বর শেখর, তৈছন সতত বিহার॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”,
১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২১৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তুড়ী॥

বেলি অবসান, হেরি শচীনন্দন, ভাবহি গদ গদ বোল।
কানুক গমন, সময় এবে হোয়ল, শুনিয়ে বেণুক রোল॥
সজনি, না বুঝিয়ে গৌরাঙ্গবিলাস।
প্রেমহি নিমগন, রহত অনুখন, কতিহুঁ নাহি অবকাশ॥ ধ্রু॥
ক্ষণে পুলক হোই, নিকট শুনিয়ে, অব হাম্বারব রাব।
হেরইতে শ্যামচন্দ্র অনুমানিয়ে, গোকুল জন কত ধাব॥
ঐছন ভাতি করত কত অনুভব, যো রসে কৃত অবতার।
রাধামোহন পহুঁ, সো বর শেখর, তৈছন সতত বিহার॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”,
৪৩২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তুড়ী॥

বেলি অবসান,                                হেরি শচী-নন্দন,
ভাবহিঁ গদ গদ বোল।
কানুক গমন-                                সময় অব হোয়ল,
শুনিয়ে বেণুক রোল॥
সজনি না বুঝিয়ে গৌরাঙ্গ-বিলাস।
প্রেমহি নিমগন,                                রহতহিঁ অনুখণ,
কতিহুঁ নাহি অবকাশ॥
খেণে পুন কহই,                            নিকট শুনিয়ে অব,
ঘন হাম্বা-রব রাব।
হেরইতে শ্যাম-                                চন্দ্র অনুমানিয়ে
গোকুল-জন যত ধাব॥
ঐছন ভাতি,                              করত কত অনুভব,
যো রসে কৃত অবতার।
রাধামোহন-পহু,                                সো বর শেখর,
তৈছন সতত বিহার॥

ই পদটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীপদরত্ন-
মালা”, ৩৩৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

তস্য শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ তুড়ী॥

বেলি অবসান                                হেরি শচীনন্দন
ভাবহি গদ গদ বোল।
কানুক গমন                              সময় অব হোয়ল
শুনিএ বেণুক বোল॥
সজনি না বুঝিএ গৌরাঙ্গ বিলাস।
প্রেমহি নিমগন                            রাই তাই অনুক্ষণ
কথিহু নাহিক অবকাশ॥ ধ্রু॥
খেনে পুলক হোই                            নিকটহি শুনিএ
অব হাম্বা রব রাব।
হেরইতে শ্যাম                              চন্দ্র অনুমানি এ
গোকুল যত জন ধাব॥
ঐছন ভাতি                             করত কত অনুভব
যো রসে কৃত অবতার।
রাধামোহন পহু                                সো বর শেখর
তৈছন সতত বিহার॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯০৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

উত্তরগোষ্ঠ
গৌরচন্দ্র
॥ তুড়ী॥

বেলি অবসান                                হেরি শচি-নন্দন
ভাবহিঁ গদগদ বোল।
কানুক গমন-                               সময় অব হোয়ল
সুনিয়ে বেণুক রোল॥
সজনি না বুঝিয়ে গৌরাঙ্গ বিলাস।
প্রেমহি নিমগন                               রহতহিঁ অনুখন
কতিহু নাহি অবকাশ॥ ধ্রু॥
খেনে পুন কহই                           নিকট শুনিয়ে অব
ঘন হাম্বা-রব রাব।
হেরইতে শ্যাম-                              চন্দ্র অনুমানিয়ে
গোকুল-জন যত ধাব॥
ঐছন ভাতি                             করত কত অনুভব
যো রসে কৃত অবতার।
রাধামোহন-পহু                                সো বর শেখর
তৈছন সতত বিহার॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” তয় খণ্ড,
৪০৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

পুনশ্চ শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ তুড়ী গৌরী - তেওট॥

বেলি অবসান                                হেরি শচীনন্দন
ভাবহিঁ গদগদ বোল।
কানুক গমন                               সময় অব হোয়ল
সুনিয়ে মুরলীক রোল॥
সজনি না বুঝিয়ে গৌরাঙ্গ-বিলাস।
ভাবহি নিমগন                             কহতহি অনুক্ষণ
কতিহুঁ নাহিক অবকাশ॥ ধ্রু॥
ক্ষণে পুন কহতহি                          নিকটহি শুনিয়ে
ঘন হাম্বারব রাব।
হেরইতে শ্যাম-                             চন্দ্র অনুমানিয়ে
গোকুল জন যত ধাব॥
ঐছন ভাতি                             করত কত অনুভব
যো রসে ইহ অবতার।
রাধামোহন পহুঁ                              সো বর শেখর
তৈছন সতত বিহার॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
ব্রজ অভিসারিণি ভাব বিভাবিত
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-১৩২ ।

॥ কামোদ রাগ সমতালৌ ॥

ব্রজ অভিসারিণি ভাব বিভাবিত নবদ্বীপ চান্দ বিভোর ।
অভিনয় তৈছন করত পুলিকি তনু নয়নহি আনন্দ লোর ॥
দেখ দেখ প্রেম সিন্ধু অবতার ।
তহি পুন নিমগন নাহি জানে রাতিদিন বুঝি সো মহাভাব সার ॥ ধ্রু ॥
নিশবদ মণ্ডন অঙ্গহি পহিরণ গতি অতি ললিত সুধীর ।
বৃন্দাবন ভানে চকিত বিলোকনে পাওল সুরধনি তীর ॥
কেবল কৃষ্ণ নাম গুণ কীর্ত্তন করতহিঁ পরমা নন্দে ।
রাধামোহন দাস আস রাখত জানি সো প্রভু চরণারবিন্দে ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড, ২য় শাখা, ৭ম পল্লব,
সর্ব্বকালোচিত অভিসারিকা, পদসংখ্যা ৩৫২।

অথ অভিসারিকা।
তদুচিত-শ্রীগৌরচন্দ্রঃ।
॥ কামোদ॥

ব্রজ অভিসারিণি-                        ভাব-বিভাবিত
নবদিপ-চান্দ বিভোর।
অভিনয় তৈছন                        করত পুলকি-তনু
নয়নহি আনন্দ-লোর॥
দেখ দেখ প্রেমসিন্ধু-অবতার।
তঁহি পুন নিমগন                   নাহি জানে রাতি দিন
বুঝি সো মহাভাব-সার॥ ধ্রু॥
নিশবদ মণ্ডন                              অঙ্গহি পহিরণ
গতি অতি ললিত সুধীর।
বৃন্দাবন-ভানে                           চকিত বিলোকনে
পাওল সুরধুনী-তীর॥
কেবল কৃষ্ণ-                               নাম গুণ-কীর্ত্তন
করতহিঁ পরম আনন্দে।
রাধামোহন দাস                        আশ রাখত জানি
সো প্রভু-চরণারবিন্দে॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪২০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ কামোদ॥

ব্রজ অভিসারিণী-ভাবে ভাবিত, নবদ্বীপ-চাঁদ বিভোর।
অভিনয় তৈছন, করত পুলকি-তনু, নয়নহি আনন্দ-লোর॥
দেখ দেখ প্রেমসিন্ধু অবতার।
তহিঁ পুন নিমগন, নাহি জানে রাতি দিন, বুঝি সো মহাভাব-সার॥
নিশবদ মণ্ডন, অঙ্গহি পহিরণ, গতি অতি ললিত সুধীর।
বৃন্দাবন পানে, চকিত বিলোকনে, পাওল সুরধুনী তীর॥
কেবল কৃষ্ণনাম গুণ কীর্ত্তন, করতহিঁ পরম আনন্দে।
রাধামোহন দাস, আশ রাখত জানি সো প্রভু-চরণারবিন্দে॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”,
১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৯৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ কামোদ॥

ব্রজ-অভিসারিণী-                        ভাব বিভাবিত
নবদিপচাঁদ বিভোর।
অভিনয় তৈছন                        করত পুলকি তনু
নয়নহি আনন্দ-লোর॥
দেখ দেখ প্রেমসিন্ধু অবতার।
তঁহি পুন নিমগন                   নাহি জানে রাতি দিন
বুঝি সো মহাভাব সার॥ ধ্রু॥
নিশবদ মণ্ডন                                অঙ্গ পহিরণ
গতি অতি ললিত সুধীর।
বৃন্দাবন ভাণে                           চকিত বিলোকনে
পাঅল সুরধনীতীর॥
কেবল কৃষ্ণ-                               নাম গুণকীর্ত্তন
করতহি পরম আনন্দে।
রাধামোহন দাস                        আশ রাখত জানি
সো প্রভু চরণারবিন্দে॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”,
৪৩৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহই॥

ব্রজ অভিসারিণি-                        ভাবে-ভাবিত,
নবদ্বীপ-চাঁদ বিভোর।
অভিনয় তৈছন,                      করত পুলকি-তনু
নয়নহি আনন্দ লোর॥
দেখ দেখ প্রেম-সিন্ধু অবতার।
তঁহি পুন নিমগন,                নাহি জানে রাতি দিন,
বুঝি সো মহাভাষ সার॥
নিশবদ মণ্ডন,                          অঙ্গহি পহিরল,
গতি অতি ললিত সুধীর।
বৃন্দাবন-পানে,                        চকিত বিলোকনে,
পাওল সুরধুনী তীর॥
কেবল কৃষ্ণ-                             নাম গুণ কীর্ত্তন,
করতহি পরম আনন্দে।
রাধামোহন দাস,                      আশ রাখত জানি,
সো প্রভু-চরণারবিন্দে॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯০৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

সর্ব্বকালোচিত অভিসারিকা
গৌরচন্দ্র
॥ কামোদ॥

ব্রজ অভিসারিণি-                        ভাব-বিভাবিত
নবদ্বিপ-চান্দ বিভোর।
অভিনয় তৈছন                        করত পুলকি-তনু
নয়নহি আনন্দ-লোর॥
দেখ দেখ প্রেমসিন্ধু-অবতার।
তঁহি পুন নিমগন                    নাহি জানে রাতি দিন
বুঝি সো মহাভাব-সার॥ ধ্রু॥
নিশবদ মণ্ডন                              অঙ্গহি পহিরণ
গতি অতি ললিত সুধীর।
বৃন্দাবন-ভানে                           চকিত বিলোকনে
পাওল সুরধুনী-তীর॥
কেবল কৃষ্ণ-                                নাম গুণ-কীর্ত্তন
করতহিঁ পরম আনন্দে।
রাধামোহন দাস                         আশ রাখত জানি
সো প্রভু-চরণারবিন্দে॥

ই পদটি ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী ব্যাখ্যা সম্বলিত
মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ২য় খণ্ড, ১৩৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

অভিসারিকা
শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ কামোদ রাগ - বড় দশকুশী॥

ব্রজ অভিসারিণী,                        ভাবে বিভাবিত,
নবদিপ-চাঁদ বিভোর।
অভিনয় তৈছন,                       করত পুলকি তনু,
নয়নহিঁ আনন্দ লোর॥
দেখ দেখ প্রেমসিন্ধু অবতার।
তঁহি পুন নিমগন,                   নাহি জানে রাতি দিন,
বুঝি সো মহাভাব সার॥
নিশবদ মণ্ডন,                              অঙ্গহি পহিরণ
গতি অতি ললিত সুধীর।
বৃন্দাবন ভাণে,                           চকিত বিলোকনে,
পাওল সুরধনী-তীর॥
কেবল কৃষ্ণ-                                নামগুণ-কীর্ত্তন
করতহিঁ পরম আনন্দে।
রাধামোহন দাস                        আশ রাখত জানি
সো প্রভু-চরণারবিন্দে॥

ই পদটি ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত, দেবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদসঙ্কলন”, ১২২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

অভিসার।

ব্রজ-অভিসারিণি-                        ভাব-বিভাবিত
নবদ্বীপ-চান্দ বিভোর।
অভিনয় তৈছন                       করত পুলকি তনু
নয়নহি আনন্দ-লোর॥
দেখ দেখ প্রেমসিন্ধু অবতার।
তহিঁ পুন নিমগন                  নাহি জানে রাতি দিন
বুঝি সো মহাভাব-সার॥
নিশবদ মণ্ডন                            অঙ্গহি পহিরণ
গতি অতি ললিত সুধীর।
বৃন্দাবন-ভানে                         চকিত বিলোকনে
পাওল সুরধনী-তীর॥
কেবল কৃষ্ণ-                            নাম গুণ-কীর্ত্তন
করতহিঁ পরম আনন্দে।
রাধামোহন দাস                       আশ রাখত জনি
সো প্রভু চরণারবিন্দে॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
ব্রজ কুল নন্দন চান্দ হাম
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২৫৫ ।

॥ দাক্ষিণাত্য শ্রীমালব রাগ ধ্রুব তালৌ ॥

ব্রজ কুল নন্দন চান্দ হাম পেখলুঁ অপরুব কত কত বেরি ।
প্রতি অঙ্গ রঙ্গ তরঙ্গিম শোভন পুরুবহু এতহু না হেরি ॥
সজনি কো ইহ মাধুরি অপার ।
যো সুধা সিন্ধু বিন্দু নব পুন পুন মঝু আঁখি পিবই না পার ॥ ধ্রু ॥
তনু তনু অতনু যূথ কিএ সেবই কিএ রূপ আপহিঁ সেব ।
কিএ সু মনোহর কান্তি রূপ ধর কিএ বর রস আধ দেব ॥
এত কহি গোরি ভোরি পুন অনিমিখ নয়ন চসকে করু পান ।
সো বচনা মৃতে কিএ রাধামোহন শ্লাঘয়ি পাতব কান ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ২৫শ পল্লব, দান-লীলা,
১৩৩৪সংখ্যক পদ, এইরূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির
১৮৪৪সংখ্যাক পদ।

॥ শ্রীরাগ॥

ব্রজকুল-নন্দন                           চান্দ হাম পেখলুঁ
অপরুপ কত কত বেরি।
প্রতি অঙ্গ রঙ্গ                          তরঙ্গিম শোভন
পুরবহি এতহুঁ না হেরি॥
সজনি কো ইহ মাধুরি অপার।
যো সুধা-সিন্ধু                          বিন্দু নব পুন পুন
মঝু আঁখি পিবই না পার॥ ধ্রু॥
তনু তনু অতনু-                        যূথ কিয়ে সেবই
কিয়ে রুপ আপহি সেব।
কিয়ে সুমনোহর                          কান্তি-রূপ-ধর
কিয়ে বর-রস-অধিদেব॥
এত কহি গোরি                    ভোরি পুন অনিমিখ-
নয়ন-চষকে করু পান।
সো বচনামৃতে                         কিয়ে রাধামোহন
শ্লাঘই পাতব কান॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪৩০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীরাগ॥

ব্রজকুল-নন্দন, চান্দ হাম পেখলু, অপরুপ কত কত বেরি।
প্রতি অঙ্গ রঙ্গ, তরঙ্গিম শোভন, পুরুবহি এতহুঁ না হেরি॥
সজনি কো ইহ মাধুরী অপার।
যো সুধা-সিন্ধু, বিন্দু নব পুন পুন, মঝু আঁখি পিবই না পার॥
তনু তনু অতনু-যূথ কিয়ে সেবই, কিয়ে রূপ আপহি সেব।
কিয়ে সুমনোহর, কান্তি রূপ ধর, কিয়ে বর-রস অধিদেব॥
এত কহি গৌরী, ভোরি পুন অনিমিখ, নয়ন চষকে করু পান।
সো বচনামৃতে, কিয়ে রাধামোহন, শ্লাঘই পাতব কান॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”,
৪৩০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীরাগ॥

ব্রজকুল নন্দন,                               চান্দ হাম পেখলু,
অপরুপ কত কত বেরি।
প্রতি অঙ্গ রঙ্গ,                               তরঙ্গিম শোভন,
পুরবহি এতহুঁ না হেরি॥
সজনি, কো ইহ মাধুরী অপার।
যো সুধা-সিন্ধু,                             বিন্দু নব পুন পুন,
মঝু আঁখি পিবই না পার॥
তনু তনু অতনু-                             যূথ কিয়ে সেবই,
কিয়ে রূপ আপহি সেব।
কিয়ে সুমনোহর,                               কান্তি রূপ ধর,
কিয়ে বররস অধিদেব॥
এত কহি গোরী,                          ভোরি পুন অনিমিখ,
নয়নচষকে করু পান।
সো বচনামৃত,                                কিয়ে রাধামোহন,
শ্লাঘই পাতব কান॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯২৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীরাধার রূপানুরাগ
॥ শ্রীরাগ॥

ব্রজকুল-নন্দন                             চান্দ হাম পেখলুঁ
অপরুপ কত কত বেরি।
প্রতি অঙ্গ রঙ্গ                            তরঙ্গিম শোভন
পুরবহি এতহুঁ না হেরি॥
সজনি কো ইহ মাধুরি অপার।
যো সুধা-সিন্ধু                           বিন্দু নব পুন পুন
মঝু আঁখি পিবই না পার॥ ধ্রু॥
তনু তনু অতনু-                        যূথ কিয়ে সেবই
কিয়ে রুপ আপহি সেব।
কিয়ে সুমনোহর                            কান্তি-রূপ-ধর
কিয়ে বর-রস-অধিদেব॥
এত কহি গোরি                     ভোরি পুন অনিমিখ-
নয়ন-চষকে করু পান।
সো বচনামৃতে                          কিয়ে রাধামোহন
শ্লাঘই পাতব কান॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” তয় খণ্ড, ৩২৪-
পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ কামোদ - মধ্যম দশকুশী॥

ব্রজকুল নন্দন                           চান্দ হাম পেখলুঁ
অপরুপ কত কত বেরি।
প্রতি অঙ্গ রঙ্গ-                           তরঙ্গিম শোভন
পুরুবহি এতহুঁ না হেরি॥
সজনি কো ইহ মাধুরী অপার।
যো রসসিন্ধু                             বিন্দু নব পুন পুন
মঝু আঁখি পিবই না পার॥ ধ্রু॥
তনু তনু অতনু,                         যূথ কিয়ে সেবই
কিয়ে রূপ আপহি সেব।
কিয়ে সুমনোহর                            কান্তি রূপ ধর
কিয়ে বর রস অধিদেব॥
এত কহি গোরি                     ভোরি কিয়ে অনিমিখ
নয়ন চসকে করু পান।
সো বচনামৃত                            কিয়ে রাধামোহন
শ্লাঘই পাতব কান॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
ব্রজপুর মনে করি অট্টালিকাপরে চড়ি
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীপদরত্ন-মালা”, ৪৪৭-
পৃষ্ঠা।

॥ কামোদ॥

ব্রজপুর মনে করি                                অট্টালিকাপরে চড়ি
দশদিক নেহারই কান।
চাহি বৃন্দাবন পানে                             শ্রীরাধিকা প্রেম গুণে
অনিমিখে ঝরয়ে নয়ান॥
ধিক রহু ধিক রহু মোরে।
কুল শীল তেয়াগিয়া                            যে মোরে সঁপিল হিয়া
বধিয়া আইলাম আমি তারে॥ ধ্রু॥
মোছে নয়নের বারি                            হা হা প্রাণেশ্বরি স্মরি
অনিমিখে পথ পানে চায়।
হেন কালে রাজপথে                            দূতী আইসে আচম্বিতে
তারে দেখি আনিবারে ধায়॥
কৃষ্ণেরে ব্যাকুল দেখি                            দূতী না ফিরায় আঁখি
যেন আন কাজে চলি যায়।
পড়িয়া বিরহ শোকে                              এ রাধামোহন ডাকে
চতুরা চাতুরী করি যায়॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী টীকা সম্বলিত মহাজন পদাবলী
“শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৪র্থ খণ্ড, ১৫৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

দিনান্তরে।
॥ ধানশী - ছোট দশকুশী॥

ব্রজপুর মনে করি                                অট্টালিকা পরে চড়ি
দশদিক নেহারই কান।
চাহি বৃন্দাবন পানে                            শ্রীরাধিকার প্রেম গুণে
অনিমিখ ঝরয়ে নয়ান॥
ধিক রহু ধিক রহু মোরে।
কুলশীল তেয়াগিয়া                             যে মোরে সঁপিল হিয়া
বধিয়া আইলাম আমি তারে॥
মোছে নয়নের বারি                           হা হা প্রাণেশ্বরি স্মরি
অনিমিখ পথ পানে চায়।
হেন কালে রাজপথে                          দূতী আইসে আচম্বিতে
তারে দেখি আনিবারে ধায়॥
কৃষ্ণেরে ব্যাকুল দেখি                          দূতী না ফিরায় আঁখি
যেন আন কাজে চলি যায়।
পড়িয়া বিরহ-শোকে                            এ রাধামোহন ডাকে
চতুরা চাতুরী করি যায়॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
ভজ মন সতত ইহ নিরদ্বন্দ্ব
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৮৪ ।

॥ সর্ব্বরাগ মধ্যগত সর্ব্বকালোচিতরাগ তালৈর্গীয়তাৎ ॥

ভজ মন সতত ইহ নিরদ্বন্দ্ব ।
রাধাকৃষ্ণ পরম সুখ দায়ক রসময় পরমানন্দ ॥ ধ্রু ॥
চঞ্চল বিষয় বিষ সুখমানি খাওসি না জানসি ইহ অতি মন্দ ।
পরকালে বিকট মরণ দুখ দেওব বুঝহ অবহু করু অন্ধ ॥
মোহে দুখ ভাগি করণ নহ সমুচিত তোহাম জনমক বন্ধু ।
নিজ দোখ জানি অবহি শরণ করু ও দুহুঁ করুণাসিন্ধু ॥
ও পদ পঙ্কজ প্রেম সুধাপিবি দুরকর নিজ দুখ কন্দ ।
এ রাধামোহন কহ, তেজহ মিছই মোহ, যৈছে নহত নিজবন্ধ ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ,
৩৬শ পল্লব, প্রার্থনা, ৩০৩৪সংখ্যক পদ হিসেবে এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তথা রাগ॥

ভজ মন সতত হইয়া নিরদন্দ্ব।
রাধা কৃষ্ণ পরম-সুখ-দায়ক
রসময় পরমানন্দ॥ ধ্রু॥
চঞ্চল বিষয়-বিষ সুখ মানি খাওসি
না জানসি ইহ অতি মন্দ।
পরকালে বিকট মরণ-দুখ দেয়ব
বুঝহ অবহি করু অন্ধ॥
মোহে দুখ-ভাগি করণ নহে সমুচিত
তো হাম জনমক বন্ধু।
নিজ দুখ জানি অবহি শরণ করু
ও দুহুঁ করুণার সিন্ধু॥
ও পদ-পঙ্কজ-প্রেম-সুধা পিবি
দুর কর নিজ দুখ-কন্দ।
এ রাধামোহন কহ তেজহ মিছই মোহ
যৈছে নহত নিজ বন্ধ॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪৪৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সারঙ্গ॥

ভজ মন সতত হইয়া নিরদন্দ্ব।
রাধা কৃষ্ণ, পরম সুখ দায়ক, রসময় পরমানন্দ॥
চঞ্চল বিষয়-বিষ, সুখ মানি খাওসি, না জানসি ইহ মতি-মন্দ।
পরকালে বিকট, মরণ দুখ দেয়ব, বুঝহ অবহি করু অন্ধ॥
মোহে দুঃখ-ভাগী, করণ নহে সমূচিত, তো হাম জনমক বন্ধু।
নিজ দুখ জানি, অবহি শরণ করু, ও দুহুঁ করুণার সিন্ধু॥
ও পদ পঙ্কজ, প্রেম সুধা পিবি, দূর কর নিজ দুখ কন্দ।
এ রাধামোহন কহ, তেজহ মিছই মোহ, যৈছে নহত নিজ বন্ধ॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”,
১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৩৪৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী॥

ভজ মন সতত হইয়া নির্দ্বন্দ্ব।
রাধাকৃষ্ণ পরমসুখদায়ক রসময় পরমানন্দ॥ ধ্রু॥
চঞ্চল বিষয়-বিষ                        সুখ মানি খাওসি
না জানসি ইহ মতি মন্দ।
পরকালে বিকট                         মরণ দুঃখ দেয়ব
বুঝহ অবহুঁ করু অন্ধ॥
মোহে দুখঃভাগি                        করণ নহ সমুচিত
তো হাম জনমবন্ধু।
নিজ দুঃখ জানি                         অবহুঁ স্মরণ করু
যো তুহুঁ করুণার সিন্ধু॥
ও পদপঙ্কজ-প্রেম-                        সুধা পিবি পিবি
দুর কর নিজ দুখঃকন্দ।
এ রাধামোহন কহ                      তেজহ মিছই মোহ
যৈছন হত নিজ বন্ধ॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” তয় খণ্ড,
৭১৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সর্ব্বরাগ - ছোট একতালা॥

ভজ মন সতত হই নিরদন্দ্ব।
শ্রীরাধাকৃষ্ণ,                            পরম সুখ-দায়ক,
রসময় পরম আনন্দ॥
চঞ্চল বিষয়-বিষ                       সুখ মানি খাওসি,
না জানসি ইহ অতি মন্দ।
পরকালে বিকট,                          মরণ দুখ দেয়ব,
বুঝহ অবহুঁ করু অন্ধ॥
মোহে দুখ ভাগি                        করণ নহ সমুচিত,
তুঁ হাম জনমক বন্ধু।
নিজ দুখ জানি,                        অব হি শরণ করু,
ও দুহুঁ করুণার-সিন্ধু॥
ও পদ পঙ্কজ,                              প্রেম সুধা পিবি,
দুর কর নিজ দুখ কন্দ।
এ রাধামোহন কহ,                     তেজহ মিছা মোহ,
যৈছে নহত নিজ বন্ধ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
ভজ মন নন্দকুমার
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-
তরঙ্গিণী”, ১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ৩৪৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ আশাবরী॥

ভজ মন নন্দকুমার।
ভাবিয়া দেখহ ভাই গতি নাহি আর॥ ধ্রু॥
ধন জন পুত্র আদি কেবা আপনার।
অতএ করহ মন হরিপদ সার॥
কুসঙ্গ ছাড়িয়া সদা সত্সঙ্গে থাক।
পরম নিপুণ ইহ নাম বলি ডাক॥
তার নামলীলাগানে সদা হও মত্ত।
সো চরণ-ধন পাবে হইবে কৃতার্থ॥
রাধামোহন বলে মন কি বলিব তোরে।
সংসার যাতনা আর নাহি দেহ মোরে॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর