কবি রাধামোহন ঠাকুরের বৈষ্ণব পদাবলী
*
আগতি বেরি বর নাগর
কবি রাধামোহন দাস
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত
এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৫৪ ।

.        ॥ গৌরীনটরাগ চঞ্চুপুটতালেভ্যশ্চ ॥

আগতি বেরি বর নাগর মুখ হেরি অনিমিখ হোই নয়ান  ।
তুষিত চকোর কীএ শশীকর পাওত ঐছে রূপ করু পান ॥
সজনী রাইক কো কহু প্রেম ।
ঐছন ভুবনে কতিহুঁ না হেরিএ নিরূপম ধাতুহিঁ হেম  ॥ ধ্রু ॥
পুন সখি হাত পাঠাওল মৌক্তিক মনোহর লড্ডুক খীর ।
শিথরিণী আদি যো কছু বনাওল  সুগন্ধ সুশীতল নীর ॥
কব সখি আওব ইহ পুন অন্তর পাওব তাকর শেষ ।        
ভণ রাধামোহন চিতে এই অনুমান পীছে বনাওব বেশ ॥

.                       *************************                      
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
আজু এক অপরুব গৌরাঙ্গের ভাব
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও
বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-১২১ ।

॥ তোড়ী রাগ রূপক তালাভ্যাং ॥

আজু এক অপরুব গৌরাঙ্গের ভাব ।
শুনিয়া বুঝহ এই করি অনুভাব ॥ ধ্রু ॥
সোনার বরণ তনু অতি মনোহর ।
লাবণ্যের সীমা তাঁর প্রথম কৈশোর ॥
কৃষ্ণগুণ কেহ যদি কহে তাঁর পাশে ।
লাজে অবনত মুখ করে উপহাসে ॥
পুনরপি কহে ভাবে তোমরা যাই ভজ ।
আমার উচিত নহে এই বড় লাজ ॥
এতেক কহিতে গোরা ছল ছল আঁখি ।
ভাবের বিকার হেন মন দেয় সাখি ॥
যাচে রাধামোহন রাঙ্গা চরণে তাঁহার ।
প্রেম লব কণিকা এই জগতের সার ॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে
অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ
থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত
ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ২৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তোড়ী রাগ রূপকাভ্যাং॥

আজু এক অপরুব গৌরাঙ্গের ভাব। সুনিঞা বুঝহ এই করি অনুভাব॥ ধ্রু॥
সোনার বরণ তনু অতি মনোহর। লাবণ্যের সীমা তার প্রথম কৈশোর॥
কৃষ্ণগুণ কেহো যদি কহে তাঁর পাশে। লাজে অবনত মুখ করে উপহাসে॥
পুনরপি কহে তারে তোমরা জাহঁ ভজ। আমার উচিত নহে এহ বড় লাজ॥
এতেক কহিতে গোরা ছল ছল আখি। ভাবের বিকার হেন মন দেএ সাখি॥
যাচে রাধামোহন রাঙ্গা চরণে তাহার। প্রেম নবকলিকা এহঁ জগতের সার॥

.              *************************                      
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
আজুক জামিনি নিধুবনে আনি
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২৪০। প্রথম পংক্তির
ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “আজুক রজনী নিধুবনে আনি” এবং “অজুক রজনী নিধুবনে আনি” শিরোনামে
স্বতন্ত্র দুটি পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে।

॥ বিভাস রাগ যতি তালৌ ॥

আজুক জামিনি নিধুবনে আনি করিল বিবিধ রাস ।
রসের সাগরে ডুবাইল মোরে ভূললু আপন বাস ॥
শুনহ মরম সই ।
তুহু সে হামারি প্রাণের সোসর তেঞিসে তোহাঁরে কই ॥
তাঁহার সাধন বচন যতেক তাহাকি কহন যায় ।
রতি বিপরীত লাগিয়া নাগর ধয়ল হামারি পায় ॥
তাঁহার পিরিতি বশ যে হইয়া করিলু তাহার মত ।
না জানিলু মুঞি তাঁহার সুখে আপনি হইলু রত ॥
মোর শ্রম জল হইয়া বিকল মোছয়ে আপন করে ।
বিজন লইয়া আপুনি বিজয়ে আমার ছরম ডরে ॥
সে সব কাহিনি কহিতে আপনি অবশ হইছে অঙ্গ ।
এ রাধা মোহন দাস কি শুনব এসব প্রেমক রঙ্গ ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ১৬শ পল্লব, বিপরীত-
সম্ভোগ-রসোদ্গার, ১০৯৪সংখ্যক পদ। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির ১৫৯২সংখ্যক
পদ।

॥ বিভাষ॥

আজুক রজনী                                নিধুবনে আনি
করল বিনোদ রাস।
রসের সাগরে                                ডুবাইল মোরে
ভূলল আপন বাস॥
শুনহ মরমি সোই।
তুহুঁ সে আমার                              প্রাণের সোসর
তেঞি সে তোমারে কই॥
তাহার সাধন-                                  বচন যতেক
তাহা কি কহনে যায়।
রতি বিপরীত                                  লাগিয়া নাগর
ধয়ল হামারি পায়॥
তাহারি পিরিতে                               বশ যে হইয়া
করিলুঁ তাহারি মত।
না জানিলুঁ মুঞি                                 তাহার সুখে
আপনি হইলুঁ রত॥
মোর শ্রমজল                                   হইয়া বিকল
মোছয়ে আপন করে।
বীজন লইয়া                                  আপনি বীজয়ে
আমার ছরম-ডরে॥
সে সব কাহিনী                                কহিতে আপনি
অবশ হইল অঙ্গ।
এ রাধামোহন-                                 দাস কি শুনব
এ সব প্রেমক রঙ্গ॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪২৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাস॥

আজুক রজনী, নিধুবনে আনি, করল বিনোদ রাস।
রসের সাগরে, ডুবাইল মোরে, ভুলল আপন বাস॥
শুনহ মরমি সোই।
তুহুঁ সে আমার, প্রাণের সোসর, তেঞি সে তোমারে কই॥
তাহার সাধন, বচন যতেক, তাহা কি কহনে যায়।
রতি বিপরীত, লাগিয়া নাগর, ধরল হামারি পায়॥
তাহার পিরীতে, বশ যে হইয়া, করিনু তাহারি মত।
না জানিনু মুঞি, তাহার সুখে, আপনি হইনু রত॥
মোর শ্রমজল, হইয়া বিকল, মোছয়ে আপন করে।
বীজন লইয়া, আপনি বীজয়ে, আমার ছরম ডরে॥
সে সব কাহিনী, কহিতে আপনি, অবশ হইল অঙ্গ।
এ রাধামোহন, দাস কি শুনব, এ সব প্রেমক রঙ্গ॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৪০-
পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাষ॥

আজুক রজনী,                                নিধুবনে আনি,
করল বিনোদ রাস।
রসের সাগরে,                                ডুবায়ল মোরে,
ভূলল আপন বাস॥
শুনহ মরমি সোই।
তুহুঁ সে আমার,                             পরাণের সোসর,
তেঞি সে তোমারে কই॥
তাহার সাধন,                                   বচন যতেক,
তাহা কি কহনে যায়।
রতি বিপরীত,                                লাগিয়া নাগর,
ধরল হামারি পায়॥
তাহার পিরীতে,                                বশ যে হইয়া,
করিনু তাহারি মত।
না জানিনু মুঞি,                                তাহার সুখে,
আপনি হইনু রত॥
মোর-শ্রমজল,                                  হইয়া বিকল,
মোছয়ে আপন করে।
বীজন লইয়া,                                আপনি বীজয়ে,
আমার ছরম ডরে॥
সে সব কাহিনী,                             কহিতে আপনি,
অবশ হইল অঙ্গ।
এ রাধামোহন,                                দাস কি শুনব,
এ সব প্রেমক রঙ্গ॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯২৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

বিপরীত-সম্ভোগ-রসোদ্গার
॥ বিভাস॥

আজুক রজনী                                নিধুবনে আনি
করল বিনোদ রাস।
রসের সাগরে                                ডুবায়ল মোরে
ভূলল আপন বাস॥
শুনহ মরমি সই।
তুহুঁ সে আমার                                প্রাণের সোসর
তেঞি সে তোমারে কই॥ ধ্রু॥
তাহার সাধন-                                   বচন যতেক
তাহা কি কহনে যায়।
রতি বিপরীত                                 লাগিয়া নাগর
ধয়ল হামারি পায়॥
তাহারি পিরীতে                                বশ যে হইয়া
করিলুঁ তাহারি মত।
না জানিলুঁ মুঞি                              তাহার সুখেতে
আপনি হইলুঁ রত॥
মোর শ্রমজল                                   হইয়া বিকল
মোছয়ে আপন করে।
বীজন লইয়া                                  আপনি বীজয়ে
আমার ছরম-ডরে॥
সে সব কাহিনী                                কহিতে আপনি
অবশ হইল অঙ্গ।
এ রাধামোহন-                                দাস কি শুনব
এ সব প্রেমক রঙ্গ॥


ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ২৪৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাস তাল পিরিতবশ॥

অজুক রজনী নিধুবনে আনি কয়ল বিনোদ রাস।
রসের সাওরে ডুবাওল মোরে ভূলল আপন বাস॥
সুনহ মরম সোই। ওই সে হামারি প্রাণের দোসর তেই সে তোহারে কই॥
তাহার সাধন বচন জতেক তাহা কি কহনে যায়।
রতি বিপরীত লাগিএ নাগর ধরল আমার পায়॥
তাহার পিরিতিবশ জে হইঞা করুন তাহারি মত।
না জানিএ মুঞি তাহার সুখেতে আপনি হইল রত॥
মোর শ্রমজল হইঞা বিকল মোছএ আপন করে।
বিজন লইঞা আপুনি বিজই আমার ছরম ডরে॥
সে রসকাহিনী কহিতে আপুনি অবশ হইল অঙ্গ।
এ রাধামোহন দাসকি সুনিব সে সব প্রেমতরঙ্গ॥

.                 *************************                      
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
আজুক প্রাতর কান্দি শচিনন্দন
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২৮৪ ।

অথ ভবন বিরহ স্তত্র গৌরচন্দ্রো যথা॥
॥ সুহই চঞ্চু পুটতালাভ্যাং॥

আজুক প্রাতর কান্দি শচিনন্দন কহতহিঁ গদ গদ বাত ।
হোর দেখ অক্রুর লেই চলু প্রাণপতি অবুধ গোপ চলু সাত ॥
সজনী কঠিন প্রাণ নাহি যায় ।
হেরইতে যো মুখ নিমিষ দেই দুখ সো অব বহু অন্তরায় ॥ ধ্রু ॥
কি করব গুরুজন অরুযত দুরজন বারহ নাহ আগোরি ।
ঐছন ভাঁতি গৌরাঙ্গ পহুঁ তৈখন পড়লহি ভোরি ॥
নয়নক নীরে বহই জনু সুরধনি ঐছন হোওত ভান ।
রাধামোহন বড় কাঠ কঠিন মতি ও রস যতি করু গান ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ৩য় পল্লব,
ভবন্ বিরহ, ১৬২১সংখ্যক পদ। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির ৮৪১সংখ্যক পদ।

অথ ভবন্ বিরহ॥
॥ সুহই॥

আজুক প্রাতরে কান্দি শচিনন্দন
কহতহিঁ গদগদ বাত।
হোর দেখ অকুর লেই চলু প্রাণ-পতি
অবুধ গোপ চলু সাথ॥
সজনি কঠিন প্রাণ নাহি যায়।
হেরইতে যো মুখ নিমিষ দেই দুখ
সো অব বহু অন্তরায়॥ ধ্রু॥
কি করব গুরুজন আর যত দুরজন
বারহ নাহ আগোরি।
ঐছন ভাতি কহই গৌরাঙ্গ পহু
তৈখনে পড়লহি ভোরি॥
নয়নক নীর বহই জনু সুরধুনি
ঐছন হোয়ত ভান।
রাধামোহন কাঠ-কঠিন মতি
ও রস যতি করু গান॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪৩১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহই॥

আজুক প্রাতর, কান্দি শচীনন্দন, কহতহিঁ গদগদ বাত।
হোর দেখ অ@@ লেই চলু প্রাণপতি, অবুধ গোপ চলু সাথ॥
সজনি কঠিন প্রাণ নাহি যায়।
হেরইতে ও মুখ, নিমিখ দেই দুখ সো অব বহু অন্তরায়॥
কি করব গুরুজন, আর যত দুরজন, বারহ নাহ আগোরি।
ঐছন ভাতি, কহই গৌরাঙ্গ পহু, তৈখনে পড়লহি ভোরি॥
নয়নক নীর, বহই জনু সুরধুনী, ঐছন হোয়ত ভাণ।
রাধামোহন, কাঠ-কঠিন-মতি, ও রস যতি করু গান॥

@ - অপাঠ্য অক্ষর।

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”,
১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৮৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ কামোদ॥

আজুক প্রাতর কাঁদি শচীনন্দন, কহতহি গদগদ বাত।
হেরে দেখ অকুর, লেই চলু প্রাণপতি, অবুধ গোপকুল সাথ॥
সজনি কঠিন পরাণ নাহি যায়।
হেরইতে ও মুখ, নিমিখ দেই দুখ, সো অব বহু অন্তরায়॥ ধ্রু॥
কি করব গুরুজন, আর যত দুরজন, বারহ নাহ আগোরি।
ঐছন ভাতি কহই গৌরাঙ্গ পহুঁ, তৈখন পড়ল হি ভোরি॥
নয়নক নীর বহই জনু সুরধুনী, ঐছন হোয়ত ভাণ।
রাধামোহন কাঠ কঠিন মতি ও রস যতি করু গান॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”,
৪৩৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহই॥

আজুক প্রাতর,                                কান্দি শচীনন্দন,
কহতহিঁ গদগদ বাত।
হোর দেখ অকূর,                          লেই চলু প্রাণ-পতি,
অবুধ গোপ চলু মাথ॥
সজনি, কঠিন প্রাণ নাহি যায়।
হেরইতে ও মুখ,                              নিমিখ দেই দুখ,
সো অব বহু অন্তরায়॥
কি করব গুরুজন,                           আর যত দুরজন,
বারহ নাহ আগোরি।
ঐছন ভাতি,                                 কহই গৌরাঙ্গ পহুঁ,
তৈখনে পড়লহি ভোরি॥
নয়নক নীর,                                 বহই জনু সুরধুনী,
ঐছন হোয়ত ভান।
রাধামোহন,                                   কাঠ কঠিন মতি,
ও রসবতি করু গান॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯০৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

ভবন্ বিরহ
গৌরচন্দ্র
॥ সুহই॥

আজুক প্রাতরে                                কান্দি শচিনন্দন
কহতহি গদ গদ বাত।
হোর দেখ অকুর                           লেই চলু প্রাণ-পতি
অবুধ গোপ চলু সাথ॥
সজনি কঠিন প্রাণ নাহি যায়।
হেরইতে যো মুখ                              নিমিখ দেই দুখ
সো অব বহু অন্তরায়॥
কি করব গুরুজন                           আর যত দুরজন
বারহ নাহ আগোরি।
ঐছন ভাতি                                কহই গৌরাঙ্গ পহু
তৈখনে পড়লহি ভোরি॥
নয়নক নীর                                বহই জনু সুরধুনি
ঐছন হোয়ত ভান।
রাধামোহন                                  কাঠ-কঠিন মতি
ও রস যতি করু গান॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী টীকা সম্বলিত মহাজন পদাবলী
“শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৪র্থ খণ্ড, ২৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

ভবন বিরহ
শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ সুহই কামোদ - মধ্যম দশকুশী॥

আজুক প্রাতর,                                  কাঁদি শচীনন্দন,
কহতহি গদগদ বাত।
হোর দেখ অক্রুর                             লেই চলু প্রাণপতি
অবুধ গোপ চলু সাথ॥
সজনি কঠিন প্রাণ নাহি যায়।
হেরইতে যো মুখ,                              নিমিখ দেই দুখ,
সো অব বহু অন্তরায়॥ ধ্রু॥
কি করব গুরুজন,                           আর যত দুরজন,
বারহ নাহ আগোরি।
ঐছন ভাতি,                                   কহই গৌরাঙ্গ পহু
তৈখনে পড়ল হি ভোরি॥
নয়নক নীর,                                  বহই জনু সুরধুনী,
ঐছন হোয়ত ভান।
রাধামোহন বড়                                কাঠ কঠিন মতি,
ও রস যতি করু গান॥

.                 *************************                      
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
এত সব রাইক কহলু বিলাপ        
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও
বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৩১২ ।

॥ ঐশান্যধানশী রাগৈক তালিতালাভ্যাং॥

এত সব রাইক কহলু বিলাপ ।
আর কত আছই মানস তাপ ॥
জগতহি কো অছু সো করু গান ।
রসিক শিরোমণি সব তুহুঁ জান ॥
ঝটিতি চলহ ব্রজ মধুপুর ছোরি ।
পরতেক দেখবি যৈছন গোরি ॥
সখিগণ মরমে মরত সোই দুখে ।
কহবি এতেক সব মাধব সমুখে ॥
এত কহি আয়ল পিয়া সখি ঠাম ।
উচ করি বোলত প্রাণনাথ নাম ॥
তৈখনে পায়ল রাই পরাণ ।
করু রাধামোহন পহুঁ গুণ গান ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং
সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড,
৪র্থ শাখা, ৬ষ্ঠ পল্লব, দূতী-সংবাদ, ১৬৯০সংখ্যক পদ। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত
পদরসসার পুথির ৯১৩সংখ্যক পদ।

॥ কল্যাণী॥

এত সব রাইক কহলুঁ বিলাপ।
আর কত আছয়ে মানস-তাপ॥
জগতহিঁ কো অছু সো করু গান।
রসিক-শিরোমণি সব তুহুঁ জান॥
ঝটিতে চলহ ব্রজ মধুপুর ছোড়ি।
পরতেখ দেখবি যৈছন গোরি॥
সখিগণ মরমে মরত সোই দুখে।
কহবি এতেক সব মাধব সমুখে॥
এত কহি আওল প্রিয়-সখি ঠাম।
উচ করি বোলল প্রাণনাথ-নাম॥
তৈখনে পাওল রাই পরাণ।
করু রাধামোহন-পহুঁ গুণ গান॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
“সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৩৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ কল্যাণী॥

এত সব রাইক কহলু বিলাপ।
আর কত আছয়ে মানস-তাপ॥
জগতহিঁ কো অছু সো করু গান।
রসিক-শিরোমণি সব তুহুঁ জান॥
ঝটিতে চলহ তুহুঁ মধুপুর ছোড়ি।
পরতেক দেখবি যৈছন গোরী॥
সখীগণ মরমে মরত সোই দুখে।
কহবি এতেক সব মাধব সমুখে॥
এত কহি আওল প্রিয়-সখী ঠাম।
উচ করি বোলত প্রাণনাথ-নাম॥
তৈখনে পাওল রাই পরাণ।
করু রাধামোহন পহু গুণ গান॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-
পদলহরী”, ৪৪৪-পৃষ্ঠায় পুনঃ এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ কল্যাণী॥

এত সব রাইক কহলুঁ বিলাপ।
আর কত আছয়ে মানস তাপ॥
জগতহিঁ কো অছু সো করু গান।
রসিক-শিরোমণি সব তুহুঁ জান॥
ঝটিতে চলহ তুহুঁ মধুপুর ছোড়ি।
পরতেক দেখবি যৈছন গোরী॥
সখীগণ মরমে মরত সোই দুখে।
কহবি এতেক সব মাধব সমুখে॥
এত কহি আওল প্রিয় সখী ঠাম।
উচ করি বোলত প্রাণনাথ-নাম॥
তৈখনে পাওল রাই পরাণ।
করু রাধামোহন পহুঁ গুণ গান॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯২৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ কল্যাণী॥

এত সব রাইক কহলুঁ বিলাপ।
আর কত আছয়ে মানস-তাপ॥
জগতহিঁ কো অছু সো করু গান।
রসিক-শিরোমণি সব তুহুঁ জান॥
ঝটিতে চলহ ব্রজ মধুপুর ছোড়ি।
পরতেখ দেখবি যৈছন গোরি॥
সখীগণ মরমে মরত সোই দুখে।
কহবি এতেক সব মাধব সমুখে॥
এত কহি আওল প্রিয় সখি ঠাম।
উচ করি বোলল প্রাণনাথ-নাম॥
তৈখনে পাওল রাই পরাণ।
করু রাধামোহন-পহুঁ গুণগান॥

.            *************************                      
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
কতহুঁ যতনে দুহুঁ নিজ নিজ
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪০৭ ।

॥ ললিতরাগ সমতালাভ্যাং ॥

কতহুঁ যতনে দুহুঁ নিজ নিজ মন্দির বিমনহি করত পয়ান ।
দুহুঁক নয়ন গল প্রেম বিচ্ছেদ জল দারুণ দৈব বিহান ॥
দেখ রাধামাধব প্রেম ।
ঐছন ঘটন কহিহুঁ নাহি হেরিএ যৈছন লাখবান হেম ॥
পদ আধ চলত খলত পুন ফীরত কাতর নেহারই মুখ ।
একই পরাণ দেহ পুন ভিন ভিন অত এসে মানিএ দূখ ॥
তিল এক বিরহ কলপ করি মানই গায়ই ও পর সঙ্গ ।
ভণ রাধামোহন ঐছে গান গুণ যতনেহ সোরস ভঙ্গ ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ৫ম পল্লব, রসালস,
৬৬১পদসংখ্যক পদ-রূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত  পদরসসার পুথির
১১৩৬সংখ্যক পদ।

॥ তথা রাগ॥

কতহুঁ যতনে দুহুঁ        নিজ নিজ মন্দিরে
বিমনহি করত পয়ান।
দুহুঁক নয়ন গল           প্রেম-বিচ্ছেদ-জল
দারুণ দৈব বিহান॥
দেখ রাধামাধব-প্রেম।
ঐছন ঘটন             কতিহুঁ নাহি হেরিয়ে
যৈছন লাখবান হেম॥
পদ আধ চলত            খলত পুন ফীরত
কাতর নেহারই মুখ।
একই পরাণ             দেহ পুন ভিন ভিন
অতয়ে সে মানয়ে দুখ॥
তিল এক বিরহ           কলপ করি মানই
গায়ই দুহুঁ পরসঙ্গ।
ভণ রাধামোহন               ঐছে গান গুণ
যতনহ সো রস-ভঙ্গ॥

ই পদটি শ্রীশ্রীপদকল্পতরুই ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ, ৩০শ পল্লব,
অষ্টকালীয় নিত্য-লীলা, ২৫০৮সংখ্যক পদ হিসেবেও এই রূপে দেওয়া রয়েছে।

ততো গমনং যথা
॥ তথা রাগ॥

কতহুঁ যতনে দুহুঁ নিজ নিজ মন্দিরে
বিমনহি করত পয়াণ।
দুহুঁক নয়ানে গল প্রেম-বিচ্ছেদ-জল
দারুণ দৈব বিহান॥
দেখ রাধামাধব-প্রেম।
ঐছন ঘটন কতিহুঁ নাহি হেরিয়ে
যৈছন লাখবান হেম॥ ধ্রু॥
পদ-আধ চলত খলত পুন ফীরত
কাতরে নেহারই মুখ।
একই পরাণ দেহ পুন ভিন ভিন
অতয়ে সে মানিয়ে দুখ॥
তিল এক বিরহ কলপ করি মানয়ে
গাবয়ে ও পরসঙ্গ।
ভণ রাধামোহন ঐছে গান গুণ
যাতে নহ ও রস ভঙ্গ॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ২৩৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ললিতরাগ সমতালৈকতালি তালাভ্যাং॥

কতহু জতনে দুহুঁ নিজনিজ মন্দিরে বিমলহি করত পয়ান।
দুহুক নয়নগণ প্রেমবিচ্ছেদ জন দারুণ দৈব বিহান॥
দেখ রাধামাধব প্রেম।
ঐছন ঘটন কহিহুঁ নাহি হেরিআ জৈছন লাখবান হেম॥
পদ আধ চলত খলত পুন ফীরত কাতর নেহারই মুখ।
একই পরাণ দেহ পুন ভিন ভিন অতএ সে মানিএ দুখ॥
তিল এক বিরহ কলপ করি মানই গাওই ও পরসঙ্গ।
ভণ রাধামোহন ঐছে গানগণ জতনেহ সো রস ভঙ্গ॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪২৪ এবং পুনরায় ৪৪০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সারঙ্গ॥

কতহুঁ যতনে দুহুঁ নিজ নিজ মন্দিরে, বিমনহি করত পয়ান।
দুহুঁক নয়ন গল, প্রেম-বিচ্ছেদ জল, দারুণ দৈব বিহান॥
দেখ রাধামাধব-প্রেম।
ঐছন ঘটন, কতিহুঁ না হেরিয়ে, যৈছন লাখবাণ হেম॥
পদ আধ চলত, খলত পুন গীরত, কাতরে নেহারই মুখ।
এক পরাণ, দেহ পুন ভিন ভিন, অতয়ে সে মানয়ে দুখ॥
তিল এক বিরহ, কলপ করি মান, গায়ই দুহুঁ পরসঙ্গ।
ভণ রাধামোহন, ঐছে গান গুণ, যব নহ সো রস-ভঙ্গ॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”,
৪৩৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তথা রাগ॥

কতহুঁ যতনে দুহুঁ,                        নিজ নিজ মন্দিরে,
বিমনহি করত পয়াণ।
দুহুঁক নয়ান গল,                           প্রেম-বিচ্ছেদ জল,
দারুণ দৈব বিহান॥
দেখ রাধামাধব-প্রেম।
ঐছন ঘটন,                                কতিহুঁ না হেরিয়ে,
যৈছন লাখবাণ হেম॥
পদ আধ চলত,                            খলত পুন গিরত,
কাতরে নেহারই মুখ।
এক পরাণ,                              দেহ পুন ভিন ভিন,
অতএ সে মানয়ে দুখ॥
তিল এক বিরহ,                            কলপ করি মান,
গায়ই দুহুঁ পরসঙ্গ।
ভণ রাধামোহন,                               ঐছে গান গুণ,
যব নহ সো রস-ভঙ্গ॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯২০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

রসালাস
॥ তথারাগ॥

কতহুঁ যতনে দুহুঁ             নিজ নিজ মন্দিরে
বিমনহি করত পয়াণ।
দুহুঁক নয়ন গল               প্রেম-বিচ্ছেদ-জল
দারুণ দৈব বিহান॥
দেখ রাধামাধব-প্রেম।
ঐছন ঘটন                 কতিহুঁ নাহি হেরিয়ে
যৈছন লাখবাণ হেম॥ ধ্রু॥
পদ আধ চলত                খলত পুন ফীরত
কাতরে নেহারই মুখ।
একই পরাণ                  দেহ পুন ভিন ভিন
অতয়ে সে মানিয়ে দুখ॥
তিল এক বিরহ              কলপ করি মানয়ে
গায়ই দুহুঁ পরসঙ্গ।
ভণ রাধামোহন                   ঐছে গান গুণ
যতনহ সো রস-ভঙ্গ॥

.                *************************                  
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
কাঁচা কাঞ্চন কাঁতি কলেবর
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৫৬ ।

॥ মাউররাগ একতালীতালৌ ॥

কাঁচা কাঞ্চন কাতি কলেবর চাহনি কুটিল সুধীর ।
অতি সুখ বসনহিঁ আবৃত সব তনু যায়ত সুরধনী তীর ॥
সজনী গৌরাঙ্গ লখই নাপার ।
চান্দ কিরণ সঞে মিলন গৌর দুতি গজ গতি চলু অনিবার ॥ ধ্রু ॥
নারিক যৈছন বাম চরণ আগু ঐছন করত সঁচার ।
কৈছন ভাব কিরতি তছু অন্তর কছু নাহি বুঝিএ পার ॥
চকিত বিলোচনে চাহই দশ দিশ অলখিত দ্বিজ মুখ হাস ।
সোপহুঁ চরণ শরণ কিয়ে পায়ব ইহ রাধামোহন দাস ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ, ৩০শ পল্লব,
অষ্টকালীয় নিত্য-লীলা, ২৭০২সংখ্যক পদ।

অথ রাত্রি-লীলা যথা।
তত্র অভিসারঃ।
শ্রীগৌরচন্দ্রো যথা।
॥ মায়ূর॥

কাঁচা-কাঞ্চন-                             কাঁতি-কলেবর
চাহনি কুটিল সুধীর।
অতি সুখ-বসনহিঁ                        আবৃত সব তনু
যায়ত সুরধুনী-তীর॥
সজনী গৌরাঙ্গ লখই না পারি।
চাঁদ-কিরণ সঞে                        মিলন গৌর-দুতি
গজ-গতি চলু আনিবারি॥
নারিক যৈছন                            বাম চরণ আগু
ঐছন করত সঞ্চার।
কৈছন ভাবকি                          রিতি তছু অন্তর
কছু নাহি বূঝিএ পার॥
চকিত-বিলোচনে                           চাহই দশ দিশ
অলখিত-দ্বিজ মুখ-হাস।
সো পহুঁ চরণ-                         শরণ কিয়ে পাওব
ইহ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ২৫৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ পুনশ্চ রাসাদৈ অভিসারিকা॥ তদ্ভাবাক্রান্ত মহাপ্রভু॥ মাউর॥

কাঁচা কাঞ্চন কাঁতি কলেবর চাহনি কুটিল সুধীর।
অতি সুখ বসনহি আবৃত সব তনু জাওত সুরধুনী তীর॥
সজনি গৌরাঙ্গ লখিতে না পারি।
চাঁদ কিরণ জনু জৈছে গোরি জ্যোতি গজগতি চলু অনিবার॥ ধ্রু॥
নারীক জৈছন বাম চরণ আগু ঐছন করত সঞ্চার।
কৈছন ভাবক রীতি অন্তর কছু নাহি বুঝিতে পার॥
চকিত বিলোকনে চাহই দশদিগ অলখিত দ্বিজ মুখ হাস।
সোপহুঁ চরণ স্মরণ কিএ পাওব ইহ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”,
১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৯৪-পৃষ্ঠা।

॥ মায়ূর॥

কাঁচা কাঞ্চন কান্তি কলেবর, চাহনি কোটিল সুধীর।
অতি সুখ বসনহি, আবৃত সব তনু, যায়ত সুরধুনীতীর॥
সজনি গৌরাঙ্গ লখই না পারি।
চাঁদকিরণ সনে, মিলন গৌরদ্যুতি, গজগতি চলু আনিবারি॥
নারীক যৈছন, বামচরণ আগু, ঐছন করত সঞ্চার।
কৈছন ভাব, কি রীতি অছু অন্তর, কছু নাহি বুঝিয়ে পার॥
চকিত বিলোচনে, চাহই দশ দিশ, অলখিত দ্বিজমুখ হাস।
সো পহুঁ চরণ, শরণ কিয়ে পাওব, ইহ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীপদরত্ন-
মালা”, ১৮৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহই॥

কাঁচা কাঞ্চন                                কান্তি কলেবর
চাহনি কোটি সুধীর।
অতি সুখ বসনহি                          আবৃত সব তনু
যায়ত সুরধুনী তীর॥
সজনী গৌরাঙ্গ নখই না পারি।
চাঁদ কিরণ সনে                           মিলন গৌর দ্যূতি
গজগতি চলু আনিবার॥ ধ্রু॥
নারীক যৈছন                              বাম চরণ আগু
ঐছন করত সঞ্চার।
কৈছন ভাব                            কি রীতি অছু অন্তর
কছু নাহি বূঝিয়ে পার॥
চকিত বিলোকনে                             চাহই দশ দিশ
অলখিত দ্বিজ মুখ হাস।
সো পহুঁ চরণে                            শরণ কিয়ে পাওব
ইহ রাধা মোহন দাস॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯১২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ মায়ূর॥

কাঁচা-কাঞ্চন-                                কাঁতি-কলেবর
চাহনি কুটিল অধীর।
অতি সুখ-বসনহি                        আবৃত সব তনু
যাযত সুরধুনী-তীর॥
সজনী গৌরাঙ্গ লখই না পারি।
চাঁদ-কিরণ সঞে                          মিলল গৌর-দুতি
গজ-গতি চলু আনিবারি॥
নারিক যৈছন                               বাম চরণ আগু
ঐছন করত সঞ্চার।
কৈছন ভাবকি                            রিতি তছু অন্তর
কছু নাহি বূঝিএ পার॥
চকিত-বিলোচনে                            চাহই দশ দিশ
অলখিত-দ্বিজ মুখ-হাস।
সো পহু চরণ-                           শরণ কিয়ে পাওব
ইহ রাধামোহন দাস॥

.                *************************                  
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
কাঞ্চন কমল জিনিয়া মুখ সুন্দর
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও
বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২০৬ ।

॥ দেশাগরাগ ধ্রুব তালৌ ॥

কাঞ্চন কমল জিনিয়া মুখ সুন্দর আজু কাহে আর কত ভান ।
তহিঁ অতি অরুণ নয়ন যুগ ছল ছল শ্বাসহি অধর মৈলান ॥
হোর দেখ নবদ্বীপ চন্দ ।
কো হইভাব কথিহুঁ না হেরিএ অদভূত হৃদয়ক দ্বন্দ্ব  ॥ ধ্রু ॥
কম্পহি কন্ঠ শবদ ভেল গদগদ আধ আধ না বুঝ এ বাণি ।
ঘামহি ভিগল সকল কলেবর ঘন ঘন চালই পানি ॥
পুন ভেল রোদন সো ভাব খিন হেম হেরিএ বদনক ছান্দে ।
রাধা মোহন পহুঁ নিতি কত ভাবহি ঐছন কতবিধ কান্দে ॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে
অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ
থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত
ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ১৫০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ অথ নির্হেতু মান॥ তদুচিত গৌরচন্দ্র॥
॥ ধ্রুব তালৌ॥

কাঞ্চন কোমল জিনিয়া মুখ সুন্দর আজু কাহে আর কত ভান।
তহি অতি অরুণ নয়নজুগ ছল ছল শ্বাসহি অধর মৈলান॥
হের দেখ নবদ্বীপচন্দ্র।
কো ইহ ভাব কথিহু নাহি হেরিএ অদভূত হৃদয়ক দ্বন্দ্ব॥ ধ্রু॥
কম্পহি কন্ঠ শবদ ভেল গদ গদ আধ আধ না বুঝিএ বাণী।
ঘামহি ভীগল সকল কলেবর ঘন ঘন ঢালহু পাণি॥
পুন ভেল রোদন সো ভাব খিন হীন হেরিএ বদনচাঁন্দে।
রাধামোহন পহু নিতি কত ভাবহিঁ ঐছন কতবিধ কান্দে॥

.                *************************                      
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
আজুক রজনী নিধুবনে আনি
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত
শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ১৬শ পল্লব, বিপরীত-সম্ভোগ-
রসোদ্গার, ১০৯৪সংখ্যক পদ। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির ১৫৯২সংখ্যক পদ।
প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “আজুক জামিনি নিধুবনে আনি” এবং “অজুক রজনী নিধুবনে
আনি” শিরোনামে স্বতন্ত্র দুটি পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে।

॥ বিভাষ॥

আজুক রজনী                                নিধুবনে আনি
করল বিনোদ রাস।
রসের সাগরে                                ডুবাইল মোরে
ভূলল আপন বাস॥
শুনহ মরমি সোই।
তুহুঁ সে আমার                              প্রাণের সোসর
তেঞি সে তোমারে কই॥
তাহার সাধন-                                  বচন যতেক
তাহা কি কহনে যায়।
রতি বিপরীত                                  লাগিয়া নাগর
ধয়ল হামারি পায়॥
তাহারি পিরিতে                               বশ যে হইয়া
করিলুঁ তাহারি মত।
না জানিলুঁ মুঞি                                 তাহার সুখে
আপনি হইলুঁ রত॥
মোর শ্রমজল                                   হইয়া বিকল
মোছয়ে আপন করে।
বীজন লইয়া                                  আপনি বীজয়ে
আমার ছরম-ডরে॥
সে সব কাহিনী                                কহিতে আপনি
অবশ হইল অঙ্গ।
এ রাধামোহন-                                 দাস কি শুনব
এ সব প্রেমক রঙ্গ॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪২৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাস॥

আজুক রজনী, নিধুবনে আনি, করল বিনোদ রাস।
রসের সাগরে, ডুবাইল মোরে, ভুলল আপন বাস॥
শুনহ মরমি সোই।
তুহুঁ সে আমার, প্রাণের সোসর, তেঞি সে তোমারে কই॥
তাহার সাধন, বচন যতেক, তাহা কি কহনে যায়।
রতি বিপরীত, লাগিয়া নাগর, ধরল হামারি পায়॥
তাহার পিরীতে, বশ যে হইয়া, করিনু তাহারি মত।
না জানিনু মুঞি, তাহার সুখে, আপনি হইনু রত॥
মোর শ্রমজল, হইয়া বিকল, মোছয়ে আপন করে।
বীজন লইয়া, আপনি বীজয়ে, আমার ছরম ডরে॥
সে সব কাহিনী, কহিতে আপনি, অবশ হইল অঙ্গ।
এ রাধামোহন, দাস কি শুনব, এ সব প্রেমক রঙ্গ॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৪০-
পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাষ॥

আজুক রজনী,                                নিধুবনে আনি,
করল বিনোদ রাস।
রসের সাগরে,                                ডুবায়ল মোরে,
ভূলল আপন বাস॥
শুনহ মরমি সোই।
তুহুঁ সে আমার,                             পরাণের সোসর,
তেঞি সে তোমারে কই॥
তাহার সাধন,                                   বচন যতেক,
তাহা কি কহনে যায়।
রতি বিপরীত,                                লাগিয়া নাগর,
ধরল হামারি পায়॥
তাহার পিরীতে,                                বশ যে হইয়া,
করিনু তাহারি মত।
না জানিনু মুঞি,                                তাহার সুখে,
আপনি হইনু রত॥
মোর-শ্রমজল,                                  হইয়া বিকল,
মোছয়ে আপন করে।
বীজন লইয়া,                                আপনি বীজয়ে,
আমার ছরম ডরে॥
সে সব কাহিনী,                             কহিতে আপনি,
অবশ হইল অঙ্গ।
এ রাধামোহন,                                দাস কি শুনব,
এ সব প্রেমক রঙ্গ॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯২৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

বিপরীত-সম্ভোগ-রসোদ্গার
॥ বিভাস॥

আজুক রজনী                                নিধুবনে আনি
করল বিনোদ রাস।
রসের সাগরে                                ডুবায়ল মোরে
ভূলল আপন বাস॥
শুনহ মরমি সই।
তুহুঁ সে আমার                                প্রাণের সোসর
তেঞি সে তোমারে কই॥ ধ্রু॥
তাহার সাধন-                                  বচন যতেক
তাহা কি কহনে যায়।
রতি বিপরীত                                  লাগিয়া নাগর
ধয়ল হামারি পায়॥
তাহারি পিরীতে                                বশ যে হইয়া
করিলুঁ তাহারি মত।
না জানিলুঁ মুঞি                                তাহার সুখেতে
আপনি হইলুঁ রত॥
মোর শ্রমজল                                    হইয়া বিকল
মোছয়ে আপন করে।
বীজন লইয়া                                   আপনি বীজয়ে
আমার ছরম-ডরে॥
সে সব কাহিনী                                কহিতে আপনি
অবশ হইল অঙ্গ।
এ রাধামোহন-                                দাস কি শুনব
এ সব প্রেমক রঙ্গ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং
১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২৪০।

॥ বিভাস রাগ যতি তালৌ ॥

আজুক জামিনি নিধুবনে আনি করিল বিবিধ রাস ।
রসের সাগরে ডুবাইল মোরে ভূললু আপন বাস ॥
শুনহ মরম সই ।
তুহু সে হামারি প্রাণের সোসর তেঞিসে তোহাঁরে কই ॥
তাঁহার সাধন বচন যতেক তাহাকি কহন যায় ।
রতি বিপরীত লাগিয়া নাগর ধয়ল হামারি পায় ॥
তাঁহার পিরিতি বশ যে হইয়া করিলু তাহার মত ।
না জানিলু মুঞি তাঁহার সুখে আপনি হইলু রত ॥
মোর শ্রম জল হইয়া বিকল মোছয়ে আপন করে ।
বিজন লইয়া আপুনি বিজয়ে আমার ছরম ডরে ॥
সে সব কাহিনি কহিতে আপনি অবশ হইছে অঙ্গ ।
এ রাধা মোহন দাস কি শুনব এসব প্রেমক রঙ্গ ॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ২৪৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাস তাল পিরিতবশ॥

অজুক রজনী নিধুবনে আনি কয়ল বিনোদ রাস।
রসের সাওরে ডুবাওল মোরে ভূলল আপন বাস॥
সুনহ মরম সোই। ওই সে হামারি প্রাণের দোসর তেই সে তোহারে কই॥
তাহার সাধন বচন জতেক তাহা কি কহনে যায়।
রতি বিপরীত লাগিএ নাগর ধরল আমার পায়॥
তাহার পিরিতিবশ জে হইঞা করুন তাহারি মত।
না জানিএ মুঞি তাহার সুখেতে আপনি হইল রত॥
মোর শ্রমজল হইঞা বিকল মোছএ আপন করে।
বিজন লইঞা আপুনি বিজই আমার ছরম ডরে॥
সে রসকাহিনী কহিতে আপুনি অবশ হইল অঙ্গ।
এ রাধামোহন দাসকি সুনিব সে সব প্রেমতরঙ্গ॥

.                 *************************                      
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
অজুক রজনী নিধুবনে আনি
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ২৪৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।
প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “আজুক রজনী নিধুবনে আনি” এবং “আজুক জামিনি নিধুবনে
আনি” শিরোনামে স্বতন্ত্র দুটি পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে।

॥ বিভাস তাল পিরিতবশ॥

অজুক রজনী নিধুবনে আনি কয়ল বিনোদ রাস।
রসের সাওরে ডুবাওল মোরে ভূলল আপন বাস॥
সুনহ মরম সোই। ওই সে হামারি প্রাণের দোসর তেই সে তোহারে কই॥
তাহার সাধন বচন জতেক তাহা কি কহনে যায়।
রতি বিপরীত লাগিএ নাগর ধরল আমার পায়॥
তাহার পিরিতিবশ জে হইঞা করুন তাহারি মত।
না জানিএ মুঞি তাহার সুখেতে আপনি হইল রত॥
মোর শ্রমজল হইঞা বিকল মোছএ আপন করে।
বিজন লইঞা আপুনি বিজই আমার ছরম ডরে॥
সে রসকাহিনী কহিতে আপুনি অবশ হইল অঙ্গ।
এ রাধামোহন দাসকি সুনিব সে সব প্রেমতরঙ্গ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ১৬শ পল্লব, বিপরীত-
সম্ভোগ-রসোদ্গার, ১০৯৪সংখ্যক পদ। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির ১৫৯২সংখ্যক
পদ।

॥ বিভাষ॥

আজুক রজনী                                নিধুবনে আনি
করল বিনোদ রাস।
রসের সাগরে                                ডুবাইল মোরে
ভূলল আপন বাস॥
শুনহ মরমি সোই।
তুহুঁ সে আমার                              প্রাণের সোসর
তেঞি সে তোমারে কই॥
তাহার সাধন-                                  বচন যতেক
তাহা কি কহনে যায়।
রতি বিপরীত                                  লাগিয়া নাগর
ধয়ল হামারি পায়॥
তাহারি পিরিতে                               বশ যে হইয়া
করিলুঁ তাহারি মত।
না জানিলুঁ মুঞি                                 তাহার সুখে
আপনি হইলুঁ রত॥
মোর শ্রমজল                                   হইয়া বিকল
মোছয়ে আপন করে।
বীজন লইয়া                                  আপনি বীজয়ে
আমার ছরম-ডরে॥
সে সব কাহিনী                                কহিতে আপনি
অবশ হইল অঙ্গ।
এ রাধামোহন-                                 দাস কি শুনব
এ সব প্রেমক রঙ্গ॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪২৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাস॥

আজুক রজনী, নিধুবনে আনি, করল বিনোদ রাস।
রসের সাগরে, ডুবাইল মোরে, ভুলল আপন বাস॥
শুনহ মরমি সোই।
তুহুঁ সে আমার, প্রাণের সোসর, তেঞি সে তোমারে কই॥
তাহার সাধন, বচন যতেক, তাহা কি কহনে যায়।
রতি বিপরীত, লাগিয়া নাগর, ধরল হামারি পায়॥
তাহার পিরীতে, বশ যে হইয়া, করিনু তাহারি মত।
না জানিনু মুঞি, তাহার সুখে, আপনি হইনু রত॥
মোর শ্রমজল, হইয়া বিকল, মোছয়ে আপন করে।
বীজন লইয়া, আপনি বীজয়ে, আমার ছরম ডরে॥
সে সব কাহিনী, কহিতে আপনি, অবশ হইল অঙ্গ।
এ রাধামোহন, দাস কি শুনব, এ সব প্রেমক রঙ্গ॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৪০-
পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাষ॥

আজুক রজনী,                                নিধুবনে আনি,
করল বিনোদ রাস।
রসের সাগরে,                                ডুবায়ল মোরে,
ভূলল আপন বাস॥
শুনহ মরমি সোই।
তুহুঁ সে আমার,                             পরাণের সোসর,
তেঞি সে তোমারে কই॥
তাহার সাধন,                                   বচন যতেক,
তাহা কি কহনে যায়।
রতি বিপরীত,                                লাগিয়া নাগর,
ধরল হামারি পায়॥
তাহার পিরীতে,                                বশ যে হইয়া,
করিনু তাহারি মত।
না জানিনু মুঞি,                                তাহার সুখে,
আপনি হইনু রত॥
মোর-শ্রমজল,                                  হইয়া বিকল,
মোছয়ে আপন করে।
বীজন লইয়া,                                আপনি বীজয়ে,
আমার ছরম ডরে॥
সে সব কাহিনী,                             কহিতে আপনি,
অবশ হইল অঙ্গ।
এ রাধামোহন,                                দাস কি শুনব,
এ সব প্রেমক রঙ্গ॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯২৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

বিপরীত-সম্ভোগ-রসোদ্গার
॥ বিভাস॥

আজুক রজনী                                নিধুবনে আনি
করল বিনোদ রাস।
রসের সাগরে                                ডুবায়ল মোরে
ভূলল আপন বাস॥
শুনহ মরমি সই।
তুহুঁ সে আমার                                প্রাণের সোসর
তেঞি সে তোমারে কই॥ ধ্রু॥
তাহার সাধন-                                  বচন যতেক
তাহা কি কহনে যায়।
রতি বিপরীত                                  লাগিয়া নাগর
ধয়ল হামারি পায়॥
তাহারি পিরীতে                                বশ যে হইয়া
করিলুঁ তাহারি মত।
না জানিলুঁ মুঞি                                তাহার সুখেতে
আপনি হইলুঁ রত॥
মোর শ্রমজল                                    হইয়া বিকল
মোছয়ে আপন করে।
বীজন লইয়া                                   আপনি বীজয়ে
আমার ছরম-ডরে॥
সে সব কাহিনী                                কহিতে আপনি
অবশ হইল অঙ্গ।
এ রাধামোহন-                                দাস কি শুনব
এ সব প্রেমক রঙ্গ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং
১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২৪০।

॥ বিভাস রাগ যতি তালৌ ॥

আজুক জামিনি নিধুবনে আনি করিল বিবিধ রাস ।
রসের সাগরে ডুবাইল মোরে ভূললু আপন বাস ॥
শুনহ মরম সই ।
তুহু সে হামারি প্রাণের সোসর তেঞিসে তোহাঁরে কই ॥
তাঁহার সাধন বচন যতেক তাহাকি কহন যায় ।
রতি বিপরীত লাগিয়া নাগর ধয়ল হামারি পায় ॥
তাঁহার পিরিতি বশ যে হইয়া করিলু তাহার মত ।
না জানিলু মুঞি তাঁহার সুখে আপনি হইলু রত ॥
মোর শ্রম জল হইয়া বিকল মোছয়ে আপন করে ।
বিজন লইয়া আপুনি বিজয়ে আমার ছরম ডরে ॥
সে সব কাহিনি কহিতে আপনি অবশ হইছে অঙ্গ ।
এ রাধা মোহন দাস কি শুনব এসব প্রেমক রঙ্গ ॥

.                 *************************                      
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর