কবি রাধামোহন ঠাকুরের বৈষ্ণব পদাবলী
*
মাধব তোহে যব আনল অকূর
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত
এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৩৩৭ ।

॥ সুহই রাগ নিঃসারক তালৌ ॥

মাধব তোহে যব আনল অকুর ।
রাই তব চিন্তা নদি মাহা বূর ॥
কো জানে কত কত করল বিলাপ ।
কো অনুভব করু করমক তাপ ॥
ঘন ঘন ঘূরত ঘন ঘন রোই ।
চীত পুতলি সম তব ভেল সোই ॥
কোই নাহি কহইতে সো দুঃখ পার ।
রাধা মোহন কহু সো বর ছার ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং
সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড,
৪র্থ শাখা, ১১শ পল্লব, দশ দশা, ১৮৮৪সংখ্যক পদ।

॥ সুহই॥

মাধব তোহে যব আনল অকূর।
রাই তব চিন্তা-নদি মাহা বূর॥
কো জানে কত কত করল বিলাপ।
কো অনুভব করু করমক তাপ॥
ঘন ঘন ঘূরত ঘন ঘন রোই।
চীত-পুতলি সম তব ভেল সোই॥
কোই নাহি কহইতে সো দুখ পার।
রাধামোহন কহুঁ সো বড় ছার॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত,
বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব
চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত,
“শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৪২১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ রাগিণী সুহই॥
॥ তালোচিত॥

মাধব তোহে জব আনল অক্রূর। রাই তব চিন্তায় নদী মাহা বূড়॥
কো জানে কত কত কয়ল বিলাপ। কো অনুভব করূ মরমকতাপ॥
ঘনঘন মুরত ঘনঘন রোই। চিত পুথলি সম তব ভেল সোই॥
কোই নাহি কহইতে সো দুখ পার। রাধামোহন কহু শো বড় ছার॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
“সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৩৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহই॥

মাধব তোহে যব আনল অকূর।
রাই তব্ চিন্তানদী মাহা বুর॥
কো জানে কত কত করিল বিলাপ।
কো অনুভব করু করমক তাপ॥
ঘন ঘন ঘূরত ঘন ঘন রোই।
চিত-পুতলী সম তব ভেল সোই॥
কো নাহি কহইতে সো দুখ পার।
রাধামোহন কহু সো বড় ছার॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-
পদলহরী”, ৪৪৫-পৃষ্ঠায় পুনঃ এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহই॥

মাধব তোহে যব আনল অকুর।
রাই তব চিন্তা-নদী মাহাবুর॥
কো জানে কত কত করিল বিলাপ।
কো অনুভব করু করমক তাপ॥
ঘন ঘন ঘুরত ঘন ঘন রোই।
চিত-পুতলী সম তব ভেল সোই॥
কোই নাহি কহইতে সো মুখ পার।
রাধামোহন কহুঁ সো বড় ছার॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯২৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

দশ-দশা
॥ সুহই॥

মাধব তোহে যব আনল অকূর।
রাই তব চিন্তা-নদি মাহা বূর॥
কো জানে কত কত করল বিলাপ।
কো অনুভব করু করমক তাপ॥
ঘন ঘন ঘূরত ঘন ঘন রোই।
চীত-পুতলি সম তব ভেল সোই॥
কোই নাহি কহইতে সো দুখ পার।
রাধামোহন কহুঁ সো বড় ছার॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী টীকা সম্বলিত মহাজন
পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৪র্থ খণ্ড, ১৯৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহই - একতালা॥

মাধব তোঁহে যব আনল অক্রূর।
রাই তব চিন্তানদী মহা বূর॥
কো জানে কতহু করল বিলাপ।
কো অনুভব করু মরমক তাপ॥
ঘন ঘন ঘুরত ঘন ঘন রোই।
চীত পুতলি সম তব ভেল সোই॥
কোই নাহি কহইতে সো দুঃখ পার।
রাধামোহন কহুঁ সো বড় ছার॥

ই পদটি ১৯৫৯ সালে প্রকাশিত, দুর্গাচরণ বিশ্বাস সংগৃহীত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“কীর্ত্তন-পদাবলী”, ১৬৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

চিন্তা-দশা

মাধব, তোহে যব আনল অকুর। রাই তব চিন্তানদী মাহাবুর॥
কো জানে কত কত করল বিলাপ। কো অনুভব করু করমক তাপ॥
ঘন ঘন ঘুরত ঘন ঘন রোই। চিত পুতলী সম তব ভেল সোই॥
কো নাহি কহইতে সো দুঃখ পার। রাধামোহন কহুঁ সো বড় ছার॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
মান বিরহ ভাবে পহুঁ ভেল ভোর
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত
এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-১৮১। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “মান বিরহ জ্বরে
পহুঁ ভেল ভোর” শিরোনামে স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে।

অথ কলহান্তরিতা॥
তত্র গৌরচন্দ্র যথা।
॥ বিভাষ রাগৈকতালি তালাভ্যাং ॥

মান বিরহ ভাবে পহুঁ ভেল ভোর ।
ও রাঙ্গা নয়নে বহে উতপল নোর ॥
আরে মোর গৌরাঙ্গ চাঁদ ।
অখিল জনের মন লোচন ফান্দ ॥ ধ্রু ॥
প্রেম জলে ডুবু ডুবু লোচনতারা ।
প্রলাপ সন্তাপ ভাবাদি ভোরা ॥
কহইতে গদগদ ধিক মোর বুদ্ধি ।
অভিমানে না ভজিলুঁ কানু গুণনিধি ॥
কাহারে কহিব দুঃখ কেবা পাতিয়ায় ।
মঝু মন লোচন কৈছে জুড়ায় ॥
হেন রূপে তারল সব নর নারি ।
রাধামোহন কহে কিছু নহিল হামারি ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং
সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড,
২য় শাখা, ১৩শ পল্লব, কলহান্তরিতা, পদসংখ্যা ৪৩২। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত
পদরসসার পুথির ৬২২সংখ্যক পদ।

অথ কলহান্তরিতা॥

নিরস্তো মন্যুনা কান্তো নমম্নপি যয়া পুরঃ।
সানুতাপযুতা দীনা কলহান্তরিতা ভবেৎ॥

তদুচিত শ্রীগৌরচন্দ্রঃ।
॥ তুড়ী॥

মান-বিরহ-ভাবে পহুঁ ভেল ভোর।
ও রাঙ্গা নয়নে বহে তপতহিঁ লোর॥
আরে মোর আরে মোর গৌরাঙ্গ-চাঁদ।
অখিল জীবের মনলোচন-ফাঁদ॥ ধ্রু॥
প্রেম-জলে ডুবু ডুবু লোচন-তারা।
প্রলাপ সন্তাপ ভাব আদি ভোরা॥
হাসিয়া কহয়ে পুন ধিক মোর বুদ্ধি।
অভিমানে না উপেখলুঁ কানু গুণ-নিধি॥
হইল মনের দুখ কি বলিব কায়।
মঝু মন জীবন কৈছে জুড়ায়॥
এই রূপে উদ্ধারিলা সব নর নারী।
এ রাধামোহন কহে কিছু নহিল হামারি॥

টীকা -
৭ - ৮। “হাসিয়া কহয়ে” ইত্যাদি। শ্রীগৌরাঙ্গ নিজের কার্য্য-দর্শনে বিদ্রূপাত্মক হাস্য করিয়া
বলিতেছেন,---আমার বুদ্ধিকে ধিক্! আমি কানু গুণনিধিকে পাইয়াও অভিমানে উপেক্ষা
করিলাম। ---সতীশচন্দ্র রায়, পদকল্পতরু॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত,
বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব
চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত,
“শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ১২৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ অথ কলহান্তরিতা আরব্ধ॥ তদুচিত মহাপ্রভু॥ রাগিণী তুড়ি॥

মানবিরহজ্বরে পহু ভেল ভোর। অরুণ নয়ানে বহে তপতহি লোর॥
আরে মোর আরে মোর গৌরাঙ্গচাঁদ। অখিল জীবের মনলোচন ফাদ॥
প্রেমজলে ডুবু ডুবু লোচনতারা। প্রলাপ সন্তাপ ভাব আদি ভোরা॥
হাঁসিয়া কহএ পুন ধিক মোর বুদ্ধি। অভিমানে হারাইলে কানু গুণনিধি॥
হইল মনের দুখ কি বলিব তাই। মঝু মন জীবন কৈছে জুড়াই॥
এইরূপে উদ্ধারিল সব নরনারী। এ রাধামোহন কহে কিছু না হইল হামারি॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
“সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪২২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তুড়ী॥

মান-বিরহ-ভরে পহুঁ ভেল ভোর।
ও রাঙ্গা নয়নে বহে তপতহিঁ লোর॥
আরে মোর আরে মোর গৌরাঙ্গ চাঁদ।
অখিল জীবের মনোলোচন ফাঁদ॥ ধ্রু॥
প্রেম-জলে ডুবু ডুবু লোচন-তারা।
প্রলাপ সন্তাপ ভাব আদি ভোরা॥
কান্দিয়া কহে পুন ধিক মোর বুদ্ধি।
অভিমানে উপেখনু কানু গুণ-নিধি॥
যে হৈল মনের দুঃখ কি বলিব কায়।
মঝু মন জীবন কৈছে জুড়ায়॥
এই রূপে উদ্ধারিলা সব নর নারী।
এ রাধামোহন কহে কিছু ন হল হামারি॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন
“শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, ১৯৩৪, ২০০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তুড়ী॥

মান বিরহ ভাবে পহুঁ ভেল ভোর।
ও রাঙ্গা নয়নে বহে তপতহি লোর॥
আরে মোর আরে মোর গৌরাঙ্গচাঁদ।
অখিল জীবের মনলোচনফাঁদ॥
প্রেমজলে ডুবু ডুবু লোচনতারা।
প্রলাপ সন্তাপ ভাব আদি ভোরা॥
হাসিয়া কহয়ে পুন ধিক্ মোর বুদ্ধি।
অভিমানে উপেখলুঁ কানু গুণনিধি॥
হৈল মনের দুখ কি বলিব কায়।
মঝু মন জীবন কৈছে জুড়ায়॥
এইরূপে উদ্ধারিল সব নরনারী।
এ রাধামোহন কহে কিছু নহিল হামারি॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-
পদলহরী”, ৪৩৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তুড়ী॥

মান-বিরহ-ভরে পহুঁ ভেল ভোর।
ও রাঙ্গা নয়নে বহে তপতহিঁ লোর॥
আরে মোর আরে মোর গৌরাঙ্গ-চাঁদ।
অখিল জীবের মনোলোচন-ফাঁদ॥
প্রেম-জলে ডুবু ডুবু লোচন-তারা।
প্রলাপ সন্তাপ ভাব আদি ভোরা॥
কান্দিয়া কহে পুন ধিক্ মোর বুদ্ধি।
অভিমানে উপেখনু কানু গুণ-নিধি॥
যে হৈল মনের দুঃখ কি বলিব কায়।
মঝু মন জীবন কৈছে জুড়ায়॥
এই রূপে উদ্ধারিলা সব নর-নারী।
এ রাধামোহন কহে কিছু নহিল হামারি॥

ই পদটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “শ্রীশ্রীপদরত্ন-মালা”, ৩৬৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

মান কলহান্তরিতা।
তস্য শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ বিভাষ॥

মান বিরহ ভাবে পহুঁ ভেল ভোর।
ও রাঙ্গা নয়নে বহে তপতহি লোর॥
আরে মোর আরে মোর গৌরাঙ্গ চাঁদ।
অখিল জীবের মন লোচন ফাঁদ॥
প্রেমজলে ডুবু ডুবু লোচন তারা।
প্রলাপ সন্তাপ ভাব আদি ভোরা॥
কান্দিয়া কহয়ে পুনঃ ধিক মোর বুদ্ধি।
অভিমানে উপেখিলুঁ কানু গুণনিধি॥
যে হৈল মনের দুঃখ কি বলিব কায়।
মঝু মন জীবন কৈছে জুড়ায়॥
এইরূপে উদ্ধারিল সব নর নারী।
এ রাধামোহন কহে নহিল হামারি॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯০৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

কলহান্তরিতা
গৌরচন্দ্র
॥ তুড়ী॥

মান-বিরহ-ভাবে পহুঁ ভেল ভোর।
ও রাঙ্গা নয়নে বহে তপতহিঁ লোর॥
আরে মোর আরে মোর গৌরাঙ্গ-চাঁদ।
অখিল জীবের মনলোচন ফাঁদ॥
প্রেম-জলে ডুবু ডুবু লোচন-তারা।
প্রলাপ সন্তাপ আদি ভাব বিভোরা॥
কান্দিয়া কহয়ে পুন ধিক মোর বুদ্ধি।
অভিমানে উপেখলুঁ কানু গুণ-নিধি॥
হইল মনের দুখ কি বলিব কায়।
মঝু মন জীবন কৈছে জুড়ায়॥
এই রূপে উদ্ধারিলা সব নরনারী।
এ রাধামোহনে কিছু নহিল হামারি॥

ই পদটি ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী
ব্যাখ্যা সম্বলিত মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ২য় খণ্ড, ২০১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া
রয়েছে।

কলহান্তরিতা।
তদুচিত শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ তুড়ী বা সুহই - রূপক বা বড় সমতাল॥

মান-বিরহ ভাবে পহুঁ ভেল ভোর।
ও-রাঙ্গা নয়নে বহে তপতহি লোর॥
আরে মোর আরে মোর গৌরাঙ্গ চান্দ।
অখিল জীবের মন-লোচন-ফান্দ॥
প্রেমজলে ডুবু ডুবু লোচন-তারা।
প্রলাপ সন্তাপ ভাব আদি ভোরা॥
কহই গদগদ ধিক মোর বুদ্ধি।
অভিমানে না উপেখলুঁ কানু গুণনিধি॥
হইল মনের দুখ কি বলিব কায়।
মঝু মন লোচন কৈছে জুড়ায়॥
এইরূপে উদ্ধারিলা সব নরনারী।
এ রাধামোহন কহে কিছু না হইল হামারি॥

ই পদটি ১৯৫৯ সালে প্রকাশিত, দুর্গাচরণ বিশ্বাস সংগৃহীত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“কীর্ত্তন-পদাবলী”, ৮৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

কলহান্তরিতা
গৌরচন্দ্র

মান বিরহ ভাবে পহুঁ ভেল ভোর।
( কি ভাবে আজ উদয় হ’ল, ভাবত কিছু বুঝা যায় না )
মান বিরহ ভাবে পহুঁ ভেল ভোর।
ও রাঙ্গা নয়নে বহে তপতহিঁ লোর।
( গোরা কেঁদে আকুল হলো, নয়ন ধারার বিরাম নাই গো )
ও রাঙ্গা নয়নে বহে তপতহিঁ লোর॥
আরে মোর আরে মোর গৌরাঙ্গ চাঁদ,
অখিল জীবের মন লোচন ফাঁদ॥
( কেন কাঁদেরে, জগৎ কাঁদায় যে গোরা কেন কাঁদেরে )
অখিল জীবের মন লোচন ফাঁদ॥
প্রেমজলে ডুবু ডুবু লোচন তারা,
প্রলাপ সন্তাপ ভাব আদি ভোরা।
(প্রলাপ বকেরে, দু’নয়নে ধারা বহে প্রলাপ বকেরে)
প্রলাপ সন্তাপ ভাব আদি ভোরা॥
কাঁদিয়া কহয়ে পুনঃ ধিক মোর বুধি,
অভিমানে হারাইনু কানু গুণনিধি।
( হায় হায় কি করিলাম, অভিমানে মত্ত হয়ে কি করিলাম )
অভিমানে হারাইনু কানু গুণনিধি॥
যে হইল মনের দুঃখ কি বলিব কায়,
মঝু মন জীবন কৈছে জুড়ায়॥
এই রূপে উদ্ধারিলা সব নর-নারী।
এ রাধামোহন কহে না হলো হামারি॥
( কিছু হ’লনারে, অভিমানে কিছু হ’লনারে )
এ রাধামোহন কহে না হ’ল হামারি॥

ই পদটি ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত, দেবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদসঙ্কলন”, ১৪৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

খণ্ডিতা-মানিনী-কলহান্তরিতা।

মান-বিরহ-ভাবে পহুঁ ভেল ভোর।
ও রাঙ্গা নয়নে বহে তপতহি লোর॥
আরে মোর আরে মোর গৌরাঙ্গ চাঁদ।
অখিল জীবের মনলোচন-ফাঁদ॥
প্রেম জলে ডুবু ডুবু লোচন-তারা।
প্রলাপ সন্তাপ আদি ভাবে ভোরা॥
কান্দিয়া কহয়ে পুন ধিক মোর বুদ্ধি।
অভিমানে উপেখিলুঁ কানু গুণনিধি॥
হইল মনের দুখ কি বলিব কায়।
মঝু মন জীবন কৈছে জুড়ায়॥
এই রূপে তারল সব নর নারী।
রাধামোহন কহে কিছু নাহিল হামারি॥

ই পদটি সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “পদামৃত লহরী”, ৮৬-
পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে।

অথ কলহান্তরিতা
তদুচিত শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ রাগিণী বাভাষ - তাল জোত সোম॥

মান বিরহ জ্বরে পহুঁ ভেল ভোর।
ও রাঙ্গা নয়নে বহে তপতহি লোর॥
আরে মোর আরে মোর গৌরাঙ্গ চাঁদ।
অখিল জীবের মন লোচন ফাঁদ॥
প্রেমজলে ডুবু ডুবু লোচন তারা।
প্রলাপ সন্তাপ আদি ভাবে ভোরা॥
কান্দিয়া কহয়ে পুনঃ ধিক মোর বুদ্ধি।
অভিমানে উপেখিনু কানু গুণনিধি॥
হইল মনের দুঃখ কি বলিব কায়।
মঝু মন জীবন কৈছে জুড়ায়॥
এই রূপে উদ্ধারিল সব নর নারী।
এ রাধামোহন কহে না হইল হামারি॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
মানিনি মিললহি কুঞ্জক মাঝ
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত
এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২০৪ ।

॥ সহই রাগ মন্ঠক তালৌ ॥

মানিনি মিললহি কুঞ্জক মাঝ ।
আনন্দে নিগমন নাগর রাজ ॥
অগুসরি বিনয় করই কত ছন্দ ।
কতবিধ সেবন যাহে নিরদ্বন্দ্ব ॥
তবহুঁ বিমুখ ভেল প্রেমহি রাই ।
কত পর কারে বুঝায়ল তাই ॥
সো কিছু বচন করহ অবধান ।
রাধামোহন পহুঁ যো করু গান ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং
সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড,
২য় শাখা, ২১শ পল্লব, মান-প্রকারন্তর, ৫৮১পদসংখ্যক পদ-রূপে দেওয়া রয়েছে। এই
পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির ৭৩১সংখ্যক পদ।

॥ সুহই॥

মানিনি মীলল কুঞ্জক মাঝ।
আনন্দে নিগমন নাগর-রাজ॥
অগুসরি বিনয় করউ কত ছন্দ।
কতবিধ সেবন যাহে নিরবন্ধ॥
তবহুঁ বিমুখি ভেল মানিনি রাই।
কত পরকারে বুঝায়ল তাই॥
সো কিছু বচন করহ অবধান।
রাধামোহন-পহুঁ যো করু গান॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
“সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪২২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহই॥

মানিনি মিলল কুঞ্জক মাঝ।
আনন্দে নিগমন নাগর রাজ॥
আগুসরি বিনয় করহুঁ কত ছন্দ।
কতবিধ সেবন যাহে নিরবন্ধ॥
তবহুঁ বিমুখ ভেল মানিনী রাই।
কত পরকারে বুঝায়ল তাই॥
কো কিছু বচন করহ অবধান।
রাধামোহন পহুঁ যো করু গান॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯১৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

মান - প্রকারান্তর
॥ সুহই॥

মানিনি মীলল কুঞ্জক মাঝ।
আনন্দে নিগমন নাগর-রাজ॥
অগুসরি বিনয় করউ কত ছন্দ।
কতবিধ সেবন যাহে নিরবন্ধ॥
তবহুঁ বিমুখ ভেল মানিনি রাই।
কত পরকারে বুঝায়ল তাই॥
সো কিছু বচন করহ অবধান।
রাধামোহন-পহুঁ যো করু গান॥

ই পদটি ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী
ব্যাখ্যা সম্বলিত মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ২য় খণ্ড, ৪৭২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া
রয়েছে।

॥ সুহই - লোফা॥

মানিনি মীলল কুঞ্জক মাঝে।
আনন্দে নিগমন নাগর-রাজ॥
অগুসরি বিনয় করউ কতছন্দ।
কতবিধ সেবন যাহে নিরবন্ধ॥
তবহুঁ বিমুখি ভেল মানিনি রাই।
সো কিছু বচন করহ অবধান।
রাধামোহন পহুঁ যো কর গান॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
মনোহর বেশ বনাওলি সখীগণ
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৪৭ ।

॥ বরাড়ীরাগ নন্দনতালৌ ॥

মনোহর বেশ বনাওলি সখীগণ বৈঠল সব একু ঠাম ।
পাশক কেলি রচন পুন তৈখন পুন করু নিজ নিজ ঠাম ॥
সজনী কাহ্নু কহ বড় বিপরীত ।
যো ইথে হারব দখিন গণ্ড নিজ দেয়ব দংশন নীত ॥
পহিলহি কান জীতি করু ঐছন কামিনী তহিঁ করু ভোর ।
খেলন পুন কর বলি রাই বিরচল পাশক জোরহি জোর ॥
বামঞ্চ দশ করি সুন্দরি ডারল নিজ জিতি লিএ সোই দান ।
বলে ছলে বাম গণ্ড পুন দংশই হোর দেখ বিদগধ কান ॥
রাই জীতি পুন মুরলী হরল বলে কানু কহ ইহ নহ রীত ।
মঝু মুখ চুম্বন কিএ ভুজ বন্ধন করহ যোই ইহ নীত ॥
এত শুনি রাই কহত শুন নাগর যাহক যোমন মান ।
রাধামোহন পহুঁ হাসি কহত তুহুঁ জনি পুন পিছে কর আন ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ, ৩০শ পল্লব,
অষ্টকালীয় নিত্য-লীলা, ২৬৭২সংখ্যক পদ।

॥ বরাড়ী॥

মনোহর বেশ বনাওল সখিগণ
বৈঠল সব একু-ঠাম।
পাশক কেলি রচল পুন তৈখনে
পণ করু নিজ নিজ কাম॥
সজনী কানুক বড় বিপরীত।
যো ইথে হারব দখিণ গণ্ড নিজ
দেয়ব দংশন নীত॥
পহিলহিঁ কানু জীতি করু ঐছন
কামিনী তহিঁ ভেল ভোর।
খেলন পুন কর বলি রাই বিরচল
পাশক জোরহি জোর॥
বামঞ্চ দশ করি সুন্দরি ডারল
নিজ জিত লিয়ে সোই দান।
বলে ছলে বাম গণ্ড পুন দংশই
হোর দেখ বিদগধ কান॥
রাই জীতি পুন মুরলি হরল বলে
কানু কহ ইহ নহ রীত।
মঝু মুখ-চুম্বন কিয়ে ভুজ-বন্ধন
করহ যোই ইহ নীত॥
এত শুনি রাই কহত শুন নাগর
যাহক যো মন মান।
রাধামোহন পহু হাসি কহত তুহুঁ
জানি পুন পিছে কর আন॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪৪৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।


॥ বরাড়ী॥

মনোহর বেশ, বনাওল সখীগণ, বৈঠল সব একু ঠাম।
পাশক কেলি রচন পুন তৈখনে, পুণ করু নিজ নিজ কাম॥
সজনি কানু কহ বড় বিপরীত।
যো ইথে হারব, দখিণ গণ্ড নিজ, দেয়ব দংশন নীত॥
পহিলহিঁ কানু, জীত করু ঐছন, কামিনী তহিঁ ভেল ভোর।
খেলন পুন কর, বলি রাই বিরচিল, পাশক জোরহি জোর॥
“বামঞ্চ দশ” করি সুন্দরী ডারল, নিজ জিতি লিয়ে সোই দান।
বলে ছলে বাম, গণ্ড পুন দংশই, হোর দেখ বিদগধ কান॥
রাই জিতি পুন, মুরলী হরল বলে, কানু কহ ইহ নহ রীত।
মঝু মুখ চুম্বন কিয়ে ভুজ-বন্ধন, করহ যোই ইহ নীত॥
এত শুনি রাই, কহত শুন নাগর, যাহক যো মন মান।
রাধামোহন পহু, হাসি কহত তুহুঁ, জানি পুন পিছে কর আন॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯৩২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বরাড়ী॥

মনোহর বেশ বনাওল সখিগণ
বৈঠল সব একু-ঠাম।
পাশক কেলি রচল পুন তৈখনে
পণ করই নিজ কাম॥
সজনী কানুক বড় বিপরীত।
যো ইথে হারব দখিণ গণ্ড নিজ
দেয়ব দংশন নীত॥
পহিলহিঁ কানু জীতি করু ঐছন
কামিনী তহিঁ ভেল ভোর।
খেলন পুন কর বলি রাই বিরচল
পাশক জোরহি জোর॥
দু চারি দশ করি সুন্দরি ডারল
নিজ জিত লিয়ে সোই দান।
বলে ছলে বাম গণ্ড পুন দংশই
হোর দেখ বিদগধ কান॥
রাই জীতি পুন মুরলি হরল বলে
কানু কহ ইহ নহ রীত।
মঝু মুখ-চুম্বন কিয়ে ভুজ-বন্ধন
করহ যোই ইহ নীত॥
এত শুনি রাই কহত শুন নাগর
সো কহ যো মন মান।
রাধামোহন পহু হাসি কহত তুহুঁ
জানি পুন পিছে কর আন॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ২০৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ রাগ তালো যথা॥

মনোহর বেশ রচই সব সখীগণ বৈঠই সভে এক ঠাম।
পাসক কেলি রচন বচন পুন তৈখন পুন করু নিজ নিজ কাম॥
সজনি কানুক বড় বিপরীত।
জেই নেহারব দখিন গণ্ড নিজ দেয়ব দংশন নিত॥ ধ্রু॥
পহিলহি কাহ্ন জিত করি ঐছন কামিনী তহি ভেলি ভোর।
খেলল পুন করবলি রাই বিরচল পাসক জোড়হি জোড়॥
বামঙ্ক দশ করি সুন্দরী ডারল নিজ জিত নিএ সোই দান।
বলে ছলে বামগণ্ড পুন দংশই হোর দেখ বিদগদ কান॥
রাই জিতল পুন মুরূলি হরল বল কান্হ কহ ইহ নহ রিত।
মঝু মুখচুম্বন কিএ ভুজবন্ধন করহ জো ইহ নিত॥
এত সুনি নাগরী কহত সূন নাগর জাহক জো মন মান।
রাধামোহন পুন হাঁসি কহ তছু জানি পুন পিছে কর আন॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” তয় খণ্ড, ৩০৪-
পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বরাড়ী - একতাল॥

মনোহর বেশ,                                রচল সব সখিগণ,
বৈঠল সবে একঠাম।
পাশক কেলি,                                রচল পুন তৈখনে,
পুন করু নিজ নিজ কাম॥
সজনী কানুক বড় বিপরীত।
যো ইথে হারয়ে,                                দখিণ গণ্ড নিজ,
দেয়ব দংশন নিত॥
পহিলহি কানু,                                 জিতি করু ঐছন,
কামিনী তহিঁ ভেল ভোর।
খেলন পুন কর,                               বলি রাই বিরচল,
পাশক জোরহি জোর॥
বামঞ্চ দশ করি,                                 সুন্দরি ডারল,
নিজ জিত লিয়ে সোই দান।
বলে ছলে বাম,                                 গণ্ড পুন দংশই,
হোর দেখ বিদগধ কান॥
রাই জিতি পুন,                               মুরলী হরল বলে,
কানু কহে ইহ নহে রীত।
মঝু মুখ চুম্বন,                                কিয়ে ভুজ বন্ধন,
করহ যোই ইহ নীত॥
এত শুনি রাই,                                কহত শুন নাগর
যাহক যো মন মান।
রাধামোহন-পহুঁ,                                হাসি কহত তুহুঁ,
জানি পিছে কর আন॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
মনোহর বেশ রচই সব সখীগণ
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত,
১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও
সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ২০৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ রাগ তালো যথা॥

মনোহর বেশ রচই সব সখীগণ বৈঠই সভে এক ঠাম।
পাসক কেলি রচন বচন পুন তৈখন পুন করু নিজ নিজ কাম॥
সজনি কানুক বড় বিপরীত।
জেই নেহারব দখিন গণ্ড নিজ দেয়ব দংশন নিত॥ ধ্রু॥
পহিলহি কাহ্ন জিত করি ঐছন কামিনী তহি ভেলি ভোর।
খেলল পুন করবলি রাই বিরচল পাসক জোড়হি জোড়॥
বামঙ্ক দশ করি সুন্দরী ডারল নিজ জিত নিএ সোই দান।
বলে ছলে বামগণ্ড পুন দংশই হোর দেখ বিদগদ কান॥
রাই জিতল পুন মুরূলি হরল বল কান্হ কহ ইহ নহ রিত।
মঝু মুখচুম্বন কিএ ভুজবন্ধন করহ জো ইহ নিত॥
এত সুনি নাগরী কহত সূন নাগর জাহক জো মন মান।
রাধামোহন পুন হাঁসি কহ তছু জানি পুন পিছে কর আন॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” তয় খণ্ড,
৩০৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বরাড়ী - একতাল॥

মনোহর বেশ,                                রচল সব সখিগণ,
বৈঠল সবে একঠাম।
পাশক কেলি,                                রচল পুন তৈখনে,
পুন করু নিজ নিজ কাম॥
সজনী কানুক বড় বিপরীত।
যো ইথে হারয়ে,                                দখিণ গণ্ড নিজ,
দেয়ব দংশন নিত॥
পহিলহি কানু,                                 জিতি করু ঐছন,
কামিনী তহিঁ ভেল ভোর।
খেলন পুন কর,                               বলি রাই বিরচল,
পাশক জোরহি জোর॥
বামঞ্চ দশ করি,                                 সুন্দরি ডারল,
নিজ জিত লিয়ে সোই দান।
বলে ছলে বাম,                                 গণ্ড পুন দংশই,
হোর দেখ বিদগধ কান॥
রাই জিতি পুন,                               মুরলী হরল বলে,
কানু কহে ইহ নহে রীত।
মঝু মুখ চুম্বন,                                কিয়ে ভুজ বন্ধন,
করহ যোই ইহ নীত॥
এত শুনি রাই,                                কহত শুন নাগর
যাহক যো মন মান।
রাধামোহন-পহুঁ,                                হাসি কহত তুহুঁ,
জানি পিছে কর আন॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং
১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৪৭ ।

॥ বরাড়ীরাগ নন্দনতালৌ ॥

মনোহর বেশ বনাওলি সখীগণ বৈঠল সব একু ঠাম ।
পাশক কেলি রচন পুন তৈখন পুন করু নিজ নিজ ঠাম ॥
সজনী কাহ্নু কহ বড় বিপরীত ।
যো ইথে হারব দখিন গণ্ড নিজ দেয়ব দংশন নীত ॥
পহিলহি কান জীতি করু ঐছন কামিনী তহিঁ করু ভোর ।
খেলন পুন কর বলি রাই বিরচল পাশক জোরহি জোর ॥
বামঞ্চ দশ করি সুন্দরি ডারল নিজ জিতি লিএ সোই দান ।
বলে ছলে বাম গণ্ড পুন দংশই হোর দেখ বিদগধ কান ॥
রাই জীতি পুন মুরলী হরল বলে কানু কহ ইহ নহ রীত ।
মঝু মুখ চুম্বন কিএ ভুজ বন্ধন করহ যোই ইহ নীত ॥
এত শুনি রাই কহত শুন নাগর যাহক যোমন মান ।
রাধামোহন পহুঁ হাসি কহত তুহুঁ জনি পুন পিছে কর আন ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ, ৩০শ পল্লব,
অষ্টকালীয় নিত্য-লীলা, ২৬৭২সংখ্যক পদ।

॥ বরাড়ী॥

মনোহর বেশ বনাওল সখিগণ
বৈঠল সব একু-ঠাম।
পাশক কেলি রচল পুন তৈখনে
পণ করু নিজ নিজ কাম॥
সজনী কানুক বড় বিপরীত।
যো ইথে হারব দখিণ গণ্ড নিজ
দেয়ব দংশন নীত॥
পহিলহিঁ কানু জীতি করু ঐছন
কামিনী তহিঁ ভেল ভোর।
খেলন পুন কর বলি রাই বিরচল
পাশক জোরহি জোর॥
বামঞ্চ দশ করি সুন্দরি ডারল
নিজ জিত লিয়ে সোই দান।
বলে ছলে বাম গণ্ড পুন দংশই
হোর দেখ বিদগধ কান॥
রাই জীতি পুন মুরলি হরল বলে
কানু কহ ইহ নহ রীত।
মঝু মুখ-চুম্বন কিয়ে ভুজ-বন্ধন
করহ যোই ইহ নীত॥
এত শুনি রাই কহত শুন নাগর
যাহক যো মন মান।
রাধামোহন পহু হাসি কহত তুহুঁ
জানি পুন পিছে কর আন॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪৪৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।


॥ বরাড়ী॥

মনোহর বেশ, বনাওল সখীগণ, বৈঠল সব একু ঠাম।
পাশক কেলি রচন পুন তৈখনে, পুণ করু নিজ নিজ কাম॥
সজনি কানু কহ বড় বিপরীত।
যো ইথে হারব, দখিণ গণ্ড নিজ, দেয়ব দংশন নীত॥
পহিলহিঁ কানু, জীত করু ঐছন, কামিনী তহিঁ ভেল ভোর।
খেলন পুন কর, বলি রাই বিরচিল, পাশক জোরহি জোর॥
“বামঞ্চ দশ” করি সুন্দরী ডারল, নিজ জিতি লিয়ে সোই দান।
বলে ছলে বাম, গণ্ড পুন দংশই, হোর দেখ বিদগধ কান॥
রাই জিতি পুন, মুরলী হরল বলে, কানু কহ ইহ নহ রীত।
মঝু মুখ চুম্বন কিয়ে ভুজ-বন্ধন, করহ যোই ইহ নীত॥
এত শুনি রাই, কহত শুন নাগর, যাহক যো মন মান।
রাধামোহন পহু, হাসি কহত তুহুঁ, জানি পুন পিছে কর আন॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯৩২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বরাড়ী॥

মনোহর বেশ বনাওল সখিগণ
বৈঠল সব একু-ঠাম।
পাশক কেলি রচল পুন তৈখনে
পণ করই নিজ কাম॥
সজনী কানুক বড় বিপরীত।
যো ইথে হারব দখিণ গণ্ড নিজ
দেয়ব দংশন নীত॥
পহিলহিঁ কানু জীতি করু ঐছন
কামিনী তহিঁ ভেল ভোর।
খেলন পুন কর বলি রাই বিরচল
পাশক জোরহি জোর॥
দু চারি দশ করি সুন্দরি ডারল
নিজ জিত লিয়ে সোই দান।
বলে ছলে বাম গণ্ড পুন দংশই
হোর দেখ বিদগধ কান॥
রাই জীতি পুন মুরলি হরল বলে
কানু কহ ইহ নহ রীত।
মঝু মুখ-চুম্বন কিয়ে ভুজ-বন্ধন
করহ যোই ইহ নীত॥
এত শুনি রাই কহত শুন নাগর
সো কহ যো মন মান।
রাধামোহন পহু হাসি কহত তুহুঁ
জানি পুন পিছে কর আন॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
যছু মুখ লাবণি কত কুলকামিনী
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৯ ।

দশমী দশা যথা॥
॥ তথা রাগ তালৌ ॥

যছু মুখ লাবণি কত কুলকামিনী হেরইতে মদন আগোর ।
সো অব বরজ রমণী শিরোমণি নব নব ভাব বিভোর ॥
অপরূপ গোরা অবতার ।
ঐ ছন প্রেমধন বিতরয়ে জগজন তারল সকল সংসার ॥ ধ্রু ॥
গদগদ কহত মোহে যদি নিকরুণ নাগর করুণাক সীম ।
অখিল রসামৃত সকল সুখাকর বিদগধ গুণহি গরিম ॥
এত কহি তৈখনে করল প্রিয়ক হেরি দশমী দশা পরকাশ ।
কান্দি ভকত সব উঠ হরি বোলত কহ রাধামোহন দাস ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড, ১ম শাখা, ৭ম পল্লব, শ্রীরাধার
পূর্ব্বরাগ-সবিস্তার, পদসংখ্যা ১৭৯। এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত
বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯০৩-পৃষ্ঠায় একইরূপে দেওয়া রয়েছে।

অথ দশমী দশা।
শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ ধানশী॥

যছু মুখ লাবণি                          কত কুল-কামিনি
হেরইতে মদন আগোর।
সো অব বরজক                        রমণি-শিরোমণি-
নব-নব-ভাবে বিভোর॥
অপরূপ গোরা অবতার।
ঐছন প্রেম-ধন                          বিতরয়ে জগ-জন
তারল সকল সংসার॥ ধ্রু॥
গদ গদ কহত                         মোহে যদি নিকরুণ
নাগর করুণা-সীম।
অখিল রসামৃত                             সকল সুখাকর
বিদগধ গুণহিঁ গরীম॥
এত কহি তৈখনে                       করল প্রিয়ক কেরি
দশমী দশা পরকাশ।
কান্দি ভকত সব                          উচ হরি বোলত
কহ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৪৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীমত্যা দশমীদশা সঙ্গীতসংগ্রহ॥ উক্ত দশা গৌরচন্দ্র॥
॥ ধানশী॥

যছু মুখলাবণি কত কুলকামিনী হেরইতে মদন আগোর।
সো অব বরজক রমণী শিরোমণি নব নব ভাব বিভোর॥
অপরূপ গোরা অবতার।
ঐছনে প্রেমধন বিতরয়ে জগজন তারল সকল সংসার॥
গদগদ কহত মোহি জদি নিকরুণ নাগর করুণা সীম।
অখিলরসামৃত সকল সুখাকর বিদগধ গুণহি গরীম॥
এত কহি তৈখনে করল প্রিয়ক হেরি দশমী দশা পরুকাশ।
কান্দি ভকত সব উচ হরি বোলত কহ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪১৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী॥

যছু মুখ-লাবণী, কত কুলকামিনী, হেরই মদন আগোর।
সো অব বরজক, রমণী-শিরোমণি, নব নব ভাবে বিভোর॥
অপরূপ গোরা অবতার।
ঐছন প্রেমধন, বিতরয়ে জগজন, তারল সকল সংসার॥
গদ গদ কহত, মোহে যদি নিকরুণ, নাগর করুণাসীম।
অখিল রসামৃত, সকল সুখাকর, বিদগধ গুণহি গরিম॥
এত কহি তৈখনে, করল প্রিয়ক কেরি, দশমী দশা পরকাশ।
কান্দি ভকত সব, উচ্চ হরি বোলত, কহ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”,
১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৮৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী॥

যছু মুখ লাবণি, হেরি কত কামিনী, হেরই মদন আগোর।
সো অব বরজক, রমণী-শিরোমণি, নব নব ভাবে বিভোর॥
অপরূপ গোরা অবতার।
ঐছন প্রেমধনে, বিতরই জগজনে, তারল সকল সংসার॥ ধ্রু॥
গদ গদ কহত, মোহে যদি নিকরুণ নাগর করুণা অসীম।
অখিল রসামৃত সকল সুখাকর, বিদগধ গুণগরীম॥
এত কহি তৈখনে, করল প্রিয়ক ফেরি, দশমী দশা পরকাশ।
কাঁদি ভকত সব, উচ্চ হরি বোলত, কহ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”,
৪৫২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী॥

যছু মুখলাবণী,                         হেরি কত কামিনী
হেরই মদন আমোর।
সো অব বরজক,                        রমণীশিরোমণি,
নব নব ভাবে বিভোর॥
অপরূপ গোরা অবতার।
ঐছন প্রেমধনে,                         বিতরই জগজনে,
তারল সকল সংসার॥
গদ গদ কহত,                       মোহে যদি নিকরুণ,
নাগর করুণা অসীম।
অখিল রসামৃত,                            সকল সুধাকর,
বিদগধ গুণ গরীম॥
এত কহি তৈখনে,                    করল প্রিয়ক কেরি,
দশমী দশা পরকাশা।
কাঁদি ভকত সব,                        উচ্চ হরি বোলত,
কহ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীপদরত্ন-
মালা”, ১০৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

পূর্ব্বরাগ।
দশম দশা।
॥ গুর্জ্জরী॥

যছু মুখ লাবণী                         কত কুল কামিনী
হেরইতে মদন আগোর।
সো অব বরজক                        রমণী শিরোমণি
নব নব ভাবে বিভোর॥
অপরূপ গোরা অবতার।
ঐছন প্রেমধন                          বিতরয়ে জগজনে
তারল সকল সংসার॥ ধ্রু॥
গদ গদ কহত                         মোহে যদি নিকরুণ
নাগর করুণা সীম।
অখিল রসামৃত                            সকল সুখাকর
বিদগধ গুণহি গরিম॥
এত কহি তৈখনে                      করল প্রিয়ক হেরি
দশমী দশা পরকাশ।
কান্দি ভকত সব                        উচ হরি বোলত
কহ রাধা মোহন দাস॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
যব তুয়া নয়ন মুরলী বিষ জারল
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৬৩ ।

॥ ধানশী দশকোষী তালাভ্যাং ॥

যব তুয়া নয়ন মুরলী বিষ জারল তব মনমোহন ভেল ।
নিচল কলেবর পড়ল ধরণীতল পরিজনে লাগল শেল ॥
আন উপদেশে তুঁহারি নাম তৈখনে দৈবহি উপনীত কেল ।
সোই শবদ পুন কানে সম্ভায়ল ঐছনে চেতন ভেল ॥
মাধব কি কহব সোই অনুরাগ ।
ঐ ছন ভাঁতি দশা হোয়ে পুন পুন না বুঝিয়ে জাগ না জাগ ॥ ধ্রু ॥
কিয়ে জানি দশমী দশা যদি নীচয়ে ইছই তুয়া অভিলাষে ।
আশা পরম দুখদ পুন মেটউ নহ কহ সুখদ নৈরাশে ॥
যাচিত লখিমি উপেখয়ে যোজন কভু নহে তাহারি কল্যাণ ।
অতয়ে তুরিতে চল রমণী রতনে মিল রাধামোহন যশ গান ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড, ১ম শাখা, ৭ম পল্লব, শ্রীরাধার
পূর্ব্বরাগ-সবিস্তার, পদসংখ্যা ১৭৭।

॥ ধানশী॥

যব তুয়া নয়ন                            মুরলি-বিষ জারল
তব মন মোহন ভেল।
নিচল কলেবর                              পড়ল ধরণিতল
পরিজনে লাগল শেল॥
আন উপদেশে                        তোহারি নামে তৈখনে
দৈবহি উপনিত কেল।
সোই শবদ পুন                                কাণে সম্ভায়ল
ঐছনে চেতন ভেল॥
মাধব, কি কহব সো অনুরাগ।
ঐছন ভাতি                             দিশই মোহে পুন পুন
না বুঝিয়ে জাগ না জাগ॥
কিয়ে জানি দশমী-                           দশা যদি নীচয়ে
ইছয়ে তুয়া অভিলাষে।
আশা পরম                                  দুখদ পুন মেটউ
নহ কহ সুখদ নৈরাশে॥
যাচিত লখিমি                             উপেখয়ে যো জন
কভু নহে তাক কল্যাণ।
অতয়ে তুরিতে চল                        রমণী-রতনে মিল
রাধামোহন যশ গান॥

টীকা -
৯ - ১১। “মাধব, কি কহব” ইত্যাদি। হে মাধব! (শ্রীরাধার) সেই অনুরাগ কি বলিব ? আমার নিকট পুনঃ
পুনঃ ঐরূপ দৃষ্ট হইতেছে, (যাহাতে) (শ্রীরাধা) জাগিয়া আছে কিংবা জাগিয়া নাই, বুঝিতে পারি না।
তুলনা করুন ;---
“সাভ্রেহহ্ণীব স্থলকমলিনীং ন প্রবুদ্ধাং ন সুপ্তাম্।”---মেঘদূত, উত্তর-মেঘ।
১২ - ১৫। “কিয়ে জানি” ইত্যাদি। কি জানি যদি (শ্রীরাধা) তোমার আশায় নিশ্চিতই দশমী দশা অর্থাৎ মৃত্যু
ইচ্ছা করিয়া থাকে, (তাহা হইলে অতৃপ্ত আশায় তাহাকে মারিবে কেন ?) তাহার পরম দুঃখজনক আশা
পূর্ণ হইক ; যদি তাহা না হয়, তাহা হইলে সুখজনক নৈরাশ্য আজ্ঞা কর অর্থাৎ যদি তাহার বাঞ্ছা নিতান্তই
পূর্ণ করিবে না, তাহা হইলে তাহাকে সে কথা স্পষ্টবাবে জবাব দিয়া দেও ; নিষ্ফল আশা অপেক্ষা সেই
নৈরাশ্য তাহার পক্ষে অনেক সুখজনক হইবে। তুলনা করুন ;---
“ন তথা সুখয়ত্যঙ্গ-সংলগ্না বরবর্ণিনী।
যথা সুখয়তি স্বান্তমিন্দু শীতা নিরাশতা॥”---যোগবাশিষ্ঠ, ৪০| ৭৪ |
---সতীশচন্দ্র রায়, পদকল্পতরু॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৪৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ দৈবাহিত ধানশী॥

যব তুয়া নয়ন মুরলী বিষ জারল তব মনমোহন ভেল।
নিচল কলেবর পড়ল ধরণীতল পরিজনে লাগল শেল॥
আন উপদেশে তোহারি নাম তৈখনে দৈবেহি উপনীত কেল।
সোই বরদ পুন কানে সম্ভাষণ ঐছনে চেতন ভেল॥
মাধব কি কহব সো অনুরাগ।
ঐ ছন ভাঁতি দিশ মোহে পুন পুন না বুঝিএ জাগ না জাগ॥
কিয়ে জানি দশমী দশা যদি নীচয়ে ইছয়ে তুয়া অভিলাষে।
আশা পরম দুখদ পুন মেটউ নহ কহ সুখদ নৈরাশে॥
যাচিত লছমি উপেখয়ে যো জন কভু নহে তাক কল্যাণ।
অতএ তুরিতে চল রমণীরতনে মিল রাধামোহন যশ গান॥

ই পদটি চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৮৭০ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত এবং তাঁর পুত্র রাজেন্দ্রনাথ
বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৯২২ সালে প্রকাশিত “শ্রীশ্রীপদামৃতসিন্ধু”, ১৬৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী রাগ - দশকুশী॥

যব তুয়া নয়ন, মুরলী-বিষ জারল, তব মনোমোহন ভেল।
নিচল কলেবর, পড়ল ধরণীতল, পরিজনে লাগল শেল॥
আন উপদেশে, তুঁহারি নাম তৈখনে, দৈবাহ উপনীত কেল।
সোই শবদ পুন, কানে সম্ভায়ল, ঐছনে চেতন ভেল॥
মাধব, কি কহব সোই অনুরাগ।
ঐছন ভাঁতি, দিশই মোহে পুন পুন, না বুঝি এ জাগ না জাগ॥ ধ্রু॥
কি এ জানি দশমী, দশা যদি নীচয়ে, ইছয়ে তুয়া অভিলাষে।
আশা পরম দুখদ, পুন মেটউ, নহ কহ সুখদ নৈরাশে॥
যাচিত লখমি, উপেখয়ে যো জন, কভু নহে তাক কল্যাণ।
অত এ তুরিতে চল, রমণী রতনে মিল, রাধামোহন রস গান॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪১৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী॥

যব তুয়া নয়ন, মুরলী বিষে জারল, তব মনোমোহন ভেল।
নিচল কলেবর, পুন ধরণিতলে, পরিজনে লাগল শেল॥
আন উপদেশে, তোহারি নামে তৈখনে, দৈবহি উপনীত কেল।
সোই শবদ পুন, কাণে সম্ভায়ল, ঐছনে চেতন ভেল॥
মাধব কি কহব সো অনুরাগ।
ঐছন ভাঁতি, দিশই মোহে পুন পুন, না বুঝিয়ে জাগ না জাগ॥
কিয়ে জানি দশমী, দশা যদি নিচয়ে, ইছয়ে তুয়া অভিলাষে।
আশা পরম, দুখ পুন মেটউ, নহ কহ সুখদ নৈরাশে॥
যাচিত লখিমী, উপেখয়ে যো জন, কভু নহে তাক কল্যাণ।
অতয়ে তুরিতে চল, রমণী রতনে মিল, রাধামোহন রস গান॥

ই পদটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীপদরত্ন-
মালা”, ১০৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীমতীর মোহদশা।
॥ ধানশী॥

যব তুয়া নয়ন                           মুরলী বিষে জারল
তব মন মোহন ভেল।
নিচল কলেবর                              পড়ল ধরণী তল
পরিজন লাগল শেল॥
আন উপদেশ                         তোহারি নাম তৈখনে
দৈবহি উপনীত কেল।
সোই শব্দ পুনঃ                               কাণে সন্ধায়ল
ঐছন চেতন ভেল॥
মাধব কি কহব সো অনুরাগ।
ঐছন ভাঁতি                          দিশই মোহ পুনঃ পুনঃ
না বুঝিয়ে জাগ না জাগ॥ ধ্রু॥
কিয়ে জানি দশমী                            দশা যদি নিচয়
ইছয়ে তুয়া অভিলাষে।
আশা পরম দুখদ                                    পুন মেট
নহ কহ সুখদ নৈরাশে॥
যাচিতে লছমী                            উপেখয়ে যো জন
কভু নহে তাক কল্যাণ।
অত এ তুরিতে চল                        রমণী রতনে মিল
রাধা মোহন রস গান॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯১৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী॥

যব তুয়া নয়ন                           মুরলি-বিষ জারল
তব মন মোহন ভেল।
নিচল কলেবর                             পড়ল ধরণিতল
পরিজনে লাগল শেল॥
আন উপদেশে                        তোহারি নামে তৈখনে
দৈবহি উপনিত কেল।
সোই শবদ পুন                                কাণে সম্ভায়ল
ঐছনে চেতন ভেল॥
মাধব, কি কহব সো অনুরাগ।
ঐছন ভাতি                           দেখই মোহে পুন পুন
না বুঝিয়ে জাগ না জাগ॥
কিয়ে জানি দশমী                          দশা যদি নীচয়ে
ইছয়ে তুয়া অভিলাষে।
আশা পরম                                 দুখদ পুন মেটউ
নহ কহ সুখদ নৈরাশে॥
যাচিত লখিমি                             উপেখয়ে যো জন
কভু নহে তাক কল্যাণ।
অতয়ে তুরিতে চল                         রমণী-রতন মিল
রাধামোহন যশ গান॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
যব রহ অচেতন বিরহ বিভোর
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত
এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৩৬৫ ।

অথ বাহ্যদশা জ্ঞাপনং॥
॥ সুহই রাগ সমতালৌ॥

যব রহ অচেতন বিরহ বিভোর ।
সো দুখ কোজন কহি কভূ ওর ॥
তুয়া নাম শুনি যব চেতন পাই ।
যো কিছু বিলপই নিজ দুঃখ রাই ॥
যদুপতি সো অব কর অবধান ।
যাহা শুনি বিদরএ দারু পাষাণ ॥ ধ্রু ॥
সো গুণ নিধি মোহে যত কর প্রেম ।
নিরুপম যৈছন লাখবান হেম ॥
সো যদি বিছুরল বিদগধ রাজ ।
ক্ষেণ রহ জীবন ইহ বড় লাজ ॥
কি করব অব হাম কহত উপায় ।
রাধামোহন কহ বড় ভেল দায় ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং
সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড,
৪র্থ শাখা, ১১শ পল্লব, দশ দশা, ১৯৬৪সংখ্যক পদ।

॥ সুহই॥

যব রহ অচেতন বিরহ-বিভোর।
সো দুখ কো জন কহি করু ওর॥
তুয়া নাম শুনি যব চেতন পাই।
যো কছু বিলপয়ে নিজ-দুখে রাই॥
যদুপতি সো অব কর অবধান।
যাহা শুনি বিদরয়ে দারু পাষাণ॥
সো গুণনিধি মোহে যত করু প্রেম।
নিরুপম যৈছন লাখবান হেম॥
সো যদি বিছুরল বিদগধ-রাজ।
ক্ষণ রহুঁ জীবন বড় ইহ লাজ॥
কি করব অব হাম কহত উপায়।
রাধামোহন কহ ভেল বড় দায়॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
“সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৩৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহই॥

যব রহ অচেতন বিরহে বিভোর।
সো দুখ কো জন কহি করু ওর॥
তুয়া নাম শুনি যব চেতন পাই।
যো কছু বিলপয়ে নিজ দুখে রাই॥
যদুপতি সো সব কর অবধান।
যাহা শুনি বিদরয়ে দারু পাষাণ॥
সো গুণনিধি মোহে যত করু প্রেম।
নিরুপম যৈছন লাখবান হেম॥
সো যদি বিছুরল বিদগধ রাজ।
ক্ষণ রহুঁ জীবন বড় ইহ লাজ॥
কি করব অব হাম কহত উপায়।
রাধামোহন কহ ভেল বড় দায়॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-
পদলহরী”, ৪৪৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহই॥

যব রহ অচেতন বিরহে বিভোর।
সো দুখ কো জন কহি করু ওর॥
তুয়া নাম শুনি যব চেতন পাই।
যো কছু বিলপয়ে নিজ দুখে রাই॥
যদুপতি সো অব কর অবধান।
যাহা শুনি বিদরয়ে দারু পাষাণ॥
সো গুণনিধি মোহে এত করু প্রেম।
নিরুপম যৈছন লাখবান হেম॥
সো যদি বিছুরল বিদগধ-রাজ।
ক্ষণ রহুঁ জীবন বড় ইহ লাজ॥
কি করব অব হাম কহত উপায়।
রাধামোহন কহ ভেল বড় দায়॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯২৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহই॥

যব রহ অচেতন বিরহ-বিভোর।
সো দুখ কো জন কহি করু ওর॥
তুয়া নাম শুনি যব চেতন পাই।
যো কছু বিলপয়ে নিজ-দুখে রাই॥
যদুপতি সো অব কর অবধান।
যাহা শুনি বিদরয়ে দারু পাষাণ॥
সো গুণনিধি মোহে যত করুঁ প্রেম।
নিরুপম যৈছন লাখবাণ হেম॥
সোহে যদি বিছুরল বিদগধ রাজ।
ক্ষণ রহুঁ জীবন ইহ বড় লাজ॥
কি করব অব হাম কহত উপায়।
রাধামোহন কহ ভেল বড় দায়॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী টীকা সম্বলিত মহাজন
পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৪র্থ খণ্ড, ২৭৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ভূপালী - একতালা॥

যব রহ অচেতন বিরহ-বিভোর।
সো দুখ কা জন কহি করু ওর॥
তুয়া নাম শুনি যব চেতন পাই।
যো কিছু বিলপয়ে নিজ-দুখে রাই॥
যদুপতি সো অব কর অবধান।
যাহা শুনি বিদরয়ে দারু পাষাণ॥
সো গুণনিধি মোহে যয করু প্রেম।
নিরুপম যৈছন লাখবাণ হেম॥
সো যদি বিছুরল বিদগধ-রাজ।
ক্ষণ রহুঁ জীবন বড় ইহ লাজ॥
কি করব অব হাম কহত উপায়।
রাধামোহন কহ ভেল বড় দায়॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
যব রাই বিছুরল নাগর সঙ্গ
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত
এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৩৯৮ ।

॥ ভূপালি রাগ প্রতি মন্ঠক তালৌ ॥

যব রাই বিছুরল নাগর সঙ্গ ।
তবহিঁ বাঢ়ল অছু বিরহ তরঙ্গ ॥
হের দেখ শ্যাম সুনাগর রায় ।
কত বিধ করি পুন চেতায়ল তায় ॥ ধ্রু ॥
শশি মুখ লাজহি অবনত মুখ ।
নাগর চুম্বই করি কত সুখ ॥
পুন তছু হোয়ল আনন্দ কেলি ।
রাধামোহন পহুঁ দুহুঁ কর মেলি ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
যো ধনি সপনে নাহ মুখ
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৩১৫ ।

॥ সুহই রাগ নন্দন তালাভ্যাং ॥

যো ধনি সপনে নাহ মুখ হেরই যো পুনবতি ব্রজমাঝ ।
ধনি ধনি তাক সফল করু জীবন দেহ গেহ তছু কাজ ॥
সজনী নীদঁ বৈরিণি মঝু ভেল ।
যো দিন অবধি ছোড়ল ব্রজ নন্দন তাকর সঙ্গহি গেল ॥ ধ্রু ॥
শয়নক সাধ বাদ করু যো বিহি সো বিপরিত মতিমন্দ ।
সহজে অভাগিনি মোহে পুন বঞ্চই দরশন ও মুখ চন্দ ॥
কৈছনে ঐছহিঁ দরশন পাইয়ে সুন্দর বিদগধ শ্যাম ।
রাধামোহন পহুঁ কঠিন উজাগর তিল একু নহত বিরাম ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ৪র্থ পল্লব, ভূত বিরহ,
১৬৪৪সংখ্যক পদ। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির ৮৬৭সংখ্যক পদ।

॥ ধানশী॥

যো ধনি সপনে নাহ-মুখ হেরই
সো পুনবতি ব্রজ মাঝ।
ধনি ধনি তাক সফল বরু জীবন
দেহ গেহ তছু কাজ॥
সজনি নিন্দ বৈরিণি মুঝে ভেল।
যো দিন অবধি ছোড়ল ব্রজনন্দন
তাকর সঙ্গহি গেল॥ ধ্রু॥
শয়নক সাধ বাদ করু যো বিধি
সো বিপরিত মতি মন্দ।
সহজে অভাগিনি মোহে পুন বঞ্চই
দরশনে ও মুখচন্দ॥
কৈছনে ঐছন দরশন পাইয়ে
সুন্দর বিদগধ শ্যাম।
রাধামোহন পহুঁ কঠিন উজাগর
তিল এক নহত বিরাম॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪৩১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী॥

যো ধনি স্বপনে, নাহ মুখ হেরয়ে, সো পুণবতী ব্রজ মাঝ।
ধনি ধনি তাক, সফল করু জীবন, দেহ গেহ তছু কাজ॥
সজনি নিঁদ বৈরী মঝু ভেল।
যো দিন অবধি, ছোড়ল ব্রজনন্দন, তাকর সঙ্গহি গেল॥
শয়নক সাধ, বাদ করু যো বিহি, সো বিপরীত মতি মন্দ।
সহজে অভাগিনী, মোহে পুন বঞ্চই, দরশনে ও মুখ চন্দ॥
কৈছনে ঐছন, দরশন পাইয়ে, সুন্দর বিদগধ শ্যাম।
রাধামোহন পহুঁ, কঠিন উজাগর, তিল এক নহত বিরাম॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”,
৪৪০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী॥

যো ধনী স্বপনে,                             নাহ মুখ হেরয়ে,
সে পুণবতী ব্রজ মাঝ।
ধনি ধনি তাক,                             সফল বরু জীবন,
দেহ গেহ তছু কাজ॥
সজনি নিদ বৈরি মঝু ভেল।
যো দিন অবধি,                            ছোড়ল ব্রজনন্দন,
তাকর সঙ্গহি গেল॥
শয়নক সাধ,                             বাদ করু যো বিহি,
সো বিপরীত মতি মন্দ।
সহজে অভাগিনী,                            মোহে পুন বঞ্চই,
দরশনে ও মুখ চন্দ॥
যৈছেন ঐছন,                                 দরশন পাইয়ে,
সুন্দর বিদগধ শ্যাম।
রাধামোহন পহুঁ,                                কঠিন উজাগর,
তিল এক নহত বিরাম॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯২৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

ভূত বিরহ
॥ ধানশী॥

যো ধনি সপনে নাহ-মুখ হেরই
সো পুনবতি ব্রজ মাঝ।
ধনি ধনি তাক সফল বরু জীবন
দেহ গেহ তছু কাজ॥
সজনি নিন্দ বৈরিণি মুঝে ভেল।
যে দিন অবধি ছোড়ল ব্রজনন্দন
তাকর সঙ্গহি গেল॥ ধ্রু॥
শয়নক সাধ বাদ করু যো বিধি
সো বিপরিত মতি মন্দ।
সহজে অভাগিনি মোহে পুন বঞ্চই
দরশনে ও মুখচন্দ॥
কৈছনে ঐছন দরশন পাইয়ে
সুন্দর বিদগধ শ্যাম।
রাধামোহন পহুঁ কঠিন উজাগর
তিল এক নহত বিরাম॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর