কবি রাধামোহন ঠাকুরের বৈষ্ণব পদাবলী
*
যো মুখ জিতল কমল অতি নিরমল
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৩৩১ ।

॥ শ্রীরাগ ধ্রুব তালৌ ॥

যো মুখ জিতল কমল অতি নিরমল সো অব হেরিএ মৈলান ।
যো বর অধর বিম্বু ফল নিন্দল তছু রাগ হেরি আন ভান ॥
গৌরাঙ্গ দেখিতে ফাটে প্রাণ ।
বিরহক তাপে লুঠত সতত মহী নিরবধি ঝরএ নয়ান ॥ ধ্রু ॥
কাঞ্চন বরণ মলিন হেন হেরইতে মঝু হিয়া বিদরিয়া যায় ।
কহ সোই যুগতি যাহে পুন গৌরক বিরহক তাপ পলায় ॥
ঐছন ভাঁতি ভকত গণ অনু ভবি করতহিঁ বিরহে হুতাস ।
নবদ্বীপ চান্দক ভাবহিঁ ঐছন কহ রাধামোহন দাস ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ১১শ পল্লব, দশ দশা,
১৯০৩সংখ্যক পদ। এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯০৯-পৃষ্ঠায় একইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীরাগ॥

যো মুখ জিতল কমল অতি নিরমল
সো অব হেরিয়ে মৈলান।
যো বর অধর বিম্বুফল নিন্দল
তছু রাগ হেরি আন ভান॥
গৌরাঙ্গ দেখিতে ফাটে প্রাণ।
বিরহক তাপে লুঠত সতত মহি
নিরবধি ঝরয়ে নয়ান॥
কাঞ্চন বরণ মলিন হেন হেরইতে
মঝু হিয়া বিদরিয়া যায়।
কহ সোই যুগতি যাহে পুন গৌরক
বিরহক তাপ পলায়॥
ঐছন ভাতি ভকতগণ অনুভবি
করতহি বিরহে হুতাশ।
নবদ্বিপ-চাঁদক ভাবহি ঐছন
কহ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪৩৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীরাগ॥

যো মুখ জিতল, কমল অতি নিরমল, সো, অব হেরি সে মৈলান।
যো বর অধর, বিম্বুফল নিন্দল, তছু রাগ হেরি আন ভাণ॥
গৌরাঙ্গ দেখিতে ফাটে প্রাণ।
বিরহক তাপে লুঠত সতত মহী, নিরবধি ঝরয়ে নয়ান॥
কাঞ্চন বরণ, মলিন হেন হেরইতে, মঝু হিয়া বিদরিয়া যায়।
কহ সোই যুকতি, যাহে পুন গৌরক, বিরহক তাপ পলায়॥
ঐছন ভাতি, ভকতগণ অনুভবি, করতহি বিরহে হুতাশ।
নবদ্বীপ-চাঁদক, ভাবহি ঐছন, কহ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”,
১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৮৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীরাগ॥

যোমুখ জিতিল                        কমল অতি নিরমল
সো অব হেরিসে মৈলান।
যোবর অধর                               বিম্বফল নিন্দল
তছু রাগ হেরি আন ভাণ॥
গৌরাঙ্গ দেখিতে ফাটে প্রাণ।
বিরহক তাপে                             লুঠত সতত মহী
নিরবধি ঝুরয়ে নয়ান॥ ধ্রু॥
কাঞ্চন বরণ                           মলিন হেন হেরইতে
মঝু হিয়া বিদরিয়া যায়।
কহ সই যুকতি                           যাহে পুন গৌরক
বিরহক তাপ পলায়॥
যৈছন ভাতি                          ভকতগণ অনুভাবি
করতহি বিরহ হুতাশ।
নবদ্বিপচাঁদক                                 ভাবহি ঐছন
কহ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”,
৪৪৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীরাগ॥

যো মুখ জিতেল,                কমল অতি নিরমল,
সো অব হেরি সে মৈলান।
যো বর অধর,                        বিম্বুকল নিন্দল,
তছু রাগ হেরি আন তান॥
গৌরাঙ্গ দেখিতে ফাটে প্রাণ।
বিরহক তাপে,                      লুঠত সতত মহী,
নিরবধি ঝরয়ে নয়ান॥
কাঞ্চন বরণ,                     মলিন হেন হেরইতে,
মঝু হিয়া বিদরিয়া যায়।
কই সোই যুকতি,                   যাহে পুন গৌরক,
বিরহক তাপ পলায়॥
ঐছন ভাতি,                      ভকতগণ অনুভবি,
করতহি বিরহে হুতাশ।
নবদ্বীপ-চাঁদক,                           ভাবহি ঐছন,
কহ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী টীকা সম্বলিত মহাজন পদাবলী
“শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৪র্থ খণ্ড, ১৪৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটিই “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৪র্থ খণ্ড,
২১৭-পৃষ্ঠায় একইরূপে দেওয়া রয়েছে মলিনাঙ্গতা দশার অন্তর্গত। এখানে পদটির তাল মধ্যম একতালা।

পুনশ্চ দূতী সংবাদ
শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ শ্রীরাগ - যোত সমতাল॥

যো মুখ জিতল                          কমল অতি নিরমল
সো অব হেরিয়ে মৈলান।
যো বর অধর                                বিম্বুফল নিন্দল
তছু রাগ হেরি আন ভান॥
গৌরাঙ্গ দেখিতে ফাটে প্রাণ।
বিরহক তাপে                               লুঠত সতত মহি
নিরবধি ঝরয়ে নয়ান॥
কাঞ্চন বরণ                              মলিন হেন হেরইতে
মঝু হিয়া বিদরিয়া যায়।
কহ সোই যুগতি                             যাহে পুন গৌরক
বিরহক তাপ পলায়॥
ঐছন ভাতি                                ভকতগণ অনুভবি
করতহি বিরহে হুতাশ।
নবদ্বিপ-চাঁদক                                    ভাবহি ঐছন
কহ রাধামোহন দাস॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
যো শচীনন্দন চান্দ জিনি
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৩৩০ ।

॥ ধানশী রাগ মন্ঠক তালৌ ॥

যো শচীনন্দন চান্দ জিনি উজর সুমেরু জিনিয়া বর অঙ্গ ।
কাম কোটি জিনি যছু অঙ্গ লাবণি মত্ত গজ জিনি গতি ভঙ্গ ॥
সজনী কো ইহ দুখ সহ পার ।
সো অব অসিত চাঁদ সম ক্ষীয়ত লোচন ঝর অনি বার ॥ ধ্রু ॥
মথুরা মথুরা বলি নিরবধি কাঁদই অতিশয় দূবর ভেলি ।
হাস কলা রস সবহুঁ দূরগেও নারহ ভকতক মেলি ॥
ইহ বড় শেল লাগল মঝু অন্তরে কহ কহ কি করি উপায় ।
রাধামোহন প্রাণ কাঠ কঠিন যনু যতনেহ নাহি বাহিরায় ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ১১শ পল্লব, দশ দশা,
১৮৯৮সংখ্যক পদ।

॥ বালা ধানসী॥

যো শচিনন্দন চাঁদ জিনি উজর
সুমেরু জিনিয়া বর অঙ্গ।
কাম কোটি কোটি জিনি যছু লাবণি
মত্ত-গজ জিনি গতি-ভঙ্গ॥
সজনী কো ইহ দুখ সহ পার।
সো অব অসিত-চাঁদ সম খীয়ত
লোচন ঝর অনিবার॥
মথুরা মথুরা বলি পুন পুন কান্দই
অতিশয় দূবর ভেল।
হাস-কলা-রস দূরহিঁ সবহুঁ গেও
না রহ ভকতক মেল॥
ইহ বড় শেল রহল মঝু অন্তর
কহ কহ কি করি উপায়।
রাধামোহন-প্রাণ কঠিন জনু
যতনে নাহি বাহিরায়॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৪২৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ রাগিণী বালা ধানশ্রী॥

জো শচীনন্দন চান্দ জীনি উজোর সুমেরু জিনিয়া বর অঙ্গ।
ক্রোটি কাম জিনি জছু না বনি বনি মত্ত গজ জিনি গতি ভঙ্গ॥
সজনী কো ইহ দুঃখ সহ পার।
সে অব অসিত চান্দ সম খীয়ত লোচন ঝরু অনিবার॥
মথুরা বলি পুনুপুনু কান্দই অতিশয় দুবর ভেল।
হাস কলারস দূরহি সব গেও না রহ ভকতমেল॥
ইহ বড় শেল রহল মঝু অন্তর কহ কহ কি করি উপায়।
রাধামোহন প্রাণ কঠিন জনু জতনে নাহি বাহিরায়॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪৩৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বালা ধানশী॥

যো শচীনন্দন, চাঁদ জিনি উজোর, সুমেরু জিনিয়া বর অঙ্গ।
কাম কোটি কোটি, জিনি যছু লাবণী, মত্ত-গজ জিনি গতি-ভঙ্গ॥
সজনি কো ইহ দুখ সহ পার।
সো অব অসিত, চাঁদ সম ক্ষীয়ত, লোচন ঝর অনিবার॥
মথুরা মথুরা বলি, পুন পুন কান্দই, অতিশয় দূবর ভেল।
হাস কলারস, দূরহি সবহুঁ গেও, না রহ ভকতক মেল॥
ইহ বড় শেল, রহল মঝু অন্তর, কহ কহ কি করি উপায়।
রাধামোহন, প্রাণ কঠিন জনু, যতনে নাহি বাহিরায়॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”,
৪৪৬-পৃষ্ঠায় পুনঃ এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বালা ধানশী॥

যো শচীনন্দন,                             চাঁদ জিনি উজোর,
সুমেরু জিনিয়া বর অঙ্গ।
কাম কোটি কোটি,                         জিনি তছু লাবণী,
মত্ত-গজ জিনি গতি-ভঙ্গ॥
সজনি কো ইহ দুখ সহ পার।
সো অব অসিত,-                            চাঁদ সম ক্ষীয়ত,
লোচন ঝর অনিবার॥
মথুরা মথুরা বলি,                            পুন পুন কান্দই,
অতিশয় দূবর ভেল।
হাস কলারস,                                দূরহি সবহুঁ গেও,
না রহ ভকতক মেল॥
ইহ বড় শেল,                                রহল মঝু অন্তর,
কহ কহ কি করি উপায়।
রাধামোহন,                                   প্রাণ কঠিন জনু,
যতনে নাহি বাহিরায়॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯০৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বালা ধানসী॥

যো শচিনন্দন                            চাঁদ জিনি ঊজর
সুমেরু জিনিয়া বর অঙ্গ।
কাম কোটি কোটি                        জিনি যছু লাবণি
মত্ত-গজ জিনি গতি-ভঙ্গ॥
সজনী কো ইহ দুখ সহ পার।
সো অব অসিত-                           চাঁদ সম খীয়ত
লোচন ঝর অনিবার॥
মথুরা মথুরা বলি                          পুন পুন কান্দই
অতিশয় দূবর ভেল।
হাস-কলা-রস                             দূরহিঁ সবহুঁ গেও
না রহ ভকতক মেল॥
ইহ বড় শেল                              রহল মঝু অন্তর
কহ কহ কি করি উপায়।
রাধামোহন                                প্রাণ কঠিন জনু
যতনে নাহি বাহিরায়॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী টীকা সম্বলিত মহাজন পদাবলী
“শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৪র্থ খণ্ড, ২১২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

তানব দশা
॥ ধানশী - যোত সমতাল॥

যো শচীনন্দন                          চান্দ জিনি উজর
সুমেরু জিনিয়া বর অঙ্গ।
কাম কোটি জিনি                       যছু অঙ্গ লাবণি
মত্ত গজ জিনি গতি-ভঙ্গ॥
সজনী কো ইহ দুখ সহ পার।
সো অব অসিত-                        চাঁদ সম ক্ষীয়ত
লোচন ঝর অনিবার॥
মথুরা মথুরা বলি                       নিরবধি কান্দই
অতিশয় দূবর ভেল।
হাস কলা-রস                            সবহুঁ দূর গেও
না রহ ভকতক মেলি॥
ইহ বড় শেল                          রহল মঝু অন্তরে
কহ কহ কি করি উপায়।
রাধামোহন-প্রাণ                         কাঠ কঠিন জনু
যতনেহ নাহি বাহিরায়॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
যো শচীনন্দন ভুবন আনন্দন
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৩৩১। প্রথম পংক্তির
ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “যো শচীনন্দন জীবন আনন্দন” এবং “সো শচীনন্দন ভুবন আনন্দন” শিরোনামে
স্বতন্ত্র দুটি পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে।

প্রলাপ দশাক্রান্তো যথা॥
॥ গান্ধার রাগ কন্দর্প তালৌ॥

যো শচীনন্দন ভুবন আনন্দন করু কত সুখদ বিলাস ।
কৌতুক কেলি কলা রসে নিমগন সতত রহত মুখে হাস ॥
সজনী ইহ বড় হৃদয়ক তাপ ।
অব সোই বিরহে বেয়াকুল অন্তর করতহিঁ কতই প্রলাপ ॥ ধ্রু ॥
গদ গদ কহত কাঁহা মঝু প্রাণনাথ ব্রজজন নয়ন আনন্দ ।
কাঁহা মঝু জীবন ধারণ মহৌষধি কাঁহা মজু সুধারস কন্দ ॥
পুন পুন ঐছন পূছত নিজ জনে রোয়ত করত বিসাদ ।
রাধামোহন দুখি ভকত বচন দেখি কৃপায়ে করয়ে অনুবাদ ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ১১শ পল্লব, দশ দশা,
১৯০৬সংখ্যক পদ। এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯০৯-পৃষ্ঠায় একইরূপে দেওয়া রয়েছে।

অথ প্রলাপ-দশা।
তত্র শ্রীমবাপ্রভুর্যথা।
॥ গান্ধার॥

যো শচীনন্দন ভুবন-আনন্দন
করু কত সুখদ বিলাস।
কৌতুক-কেলি-কলা-রসে নিমগন
সতত রহত মুখে হাস॥
সজনী ইহ বড় হৃদয়ক তাপ।
অব সোই বিরহে বেয়াকুল-অন্তর
করতহিঁ কতই প্রলাপ॥ ধ্রু॥
গদ গদ কহত কাহাঁ মঝু প্রাণ-নাথ
ব্রজ-জন-নয়ন-আনন্দ।
কাঁহা মঝু জীবন-ধারণ-মহৌষধি
কাঁহা মজু সুধারস-কন্দ॥
পুন পুন ঐছন পূছত নিজ জনে
রোয়ত করত বিষাদ।
রাধামোহন দুখি ভকত-বচন দেখি
কৃপায়ে করয়ে অনুবাদ॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”,
১৯৩৪, ২০৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে

॥ গান্ধার॥

যো শচীনন্দন                              ভুবনআনন্দন
করু কত সুখদ বিলাস।
কৌতুক কেলি                          কলারসে নিমগন
সতত রহত মুখে হাস॥
সজনি ইহ বড় হৃদয়ক তাপ।
অব সোই বিরহে                       বেয়াকুল অন্তর
করতহি কতএ প্রলাপ॥ ধ্রু॥
গদ গদ কহত                        কাঁহা মঝু প্রাণনাথ
ব্রজ-জন-নয়ন-আনন্দ।
কাঁহা মঝু জীবন-                        ধারণ মহৌষধি
কাঁহা মঝু সুধারস কন্দ॥
পুন পুন ঐছন                            পূছত নিজজনে
রোয়ত করত বিষাদ।
রাধামোহন দুখী                        ভকতবচন দেখি
কৃপায়ে করয়ে অনুবাদ॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী টীকা সম্বলিত মহাজন পদাবলী
“শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৪র্থ খণ্ড, ২২১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

প্রলাপ দশা
শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ গান্ধার - যোত সমতাল॥

যো শচীনন্দন                             ভুবন আনন্দন
করু কত সুখদ বিলাস।
কৌতুক কেলি                          কলারসে নিমগন
সতত রহত মুখে হাস॥
সজনী ইহ বড় হৃদয়ক তাপ।
অব সোই বিরহে                        বেয়াকুল অন্তর
করতহি কতই প্রলাপ॥ ধ্রু॥
গদ গদ কহত                        কাঁহা মঝু প্রাণনাথ
ব্রজ জন নয়ন আনন্দ।
কাঁহা মঝু জীবন-                        ধারণ মহৌষধি
কাঁহা মজু সুধারস কন্দ॥
পুন পুন ঐছন                            পূছত নিজজনে
রোয়ত করত বিষাদ।
রাধামোহন দুখি                        ভকত বচন দেখি
কৃপায়ে করয়ে অনুবাদ॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪৩৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “যো শচীনন্দন
ভূবন আনন্দন” এবং “সো শচীনন্দন ভুবন আনন্দন” শিরোনামে স্বতন্ত্র দুটি পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে।

॥ গান্ধার॥

যো শচীনন্দন, জীবন-আনন্দন, করু কত সুখদ বিলাস।
কৌতুক কেলি, কলা-রসে নিমগন, সতত রহত মুখে হাস॥
সজনি ইহ বড় হৃদয়ক তাপ।
অব সোই বিরহে, বেয়াকুল অন্তর, করতহিঁ কতই প্রলাপ॥
গদ গদ কহত, কাহাঁ মঝু-প্রাণ-নাথ, ব্রজজন নয়ন-আনন্দ।
কাঁহা মঝু জীবন-ধারণ-মহৌষধি, কাঁহা মঝু সুধারস-কন্দ॥
পুন পুন ঐছন পূছত নিজ জনে, রোয়ত করত বিষাদ।
রাধামোহন দুখী, ভকত বচন দেখি, কৃপায়ে করয়ে অনুবাদ॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”,
৪৪৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীগান্ধার॥

যো শচীনন্দন,                           জীবন-আনন্দন,
করু কত সুখদ বিলাস।
কৌতুক কেলি,                        কলা-রসে নিমগন,
সতত রহত মুখে হাস॥
সজনি ইহ বড় হৃদয়ক তাপ।
অব সোই বিরহে,                        বেয়াকুল অন্তর,
করতহিঁ কতই প্রলাপ॥
গদ গদ কহত,                         কাহাঁ মঝু প্রাণনাথ,
ব্রজ-জন-নয়ন-আনন্দ।
কাঁহা মঝু জীবন,                         ধারণ মহৌষধি,
কাঁহা মজ সুধারস-কন্দ॥
পুন পুন ঐছন,                           পূছত নিজ জনে,
রোয়ত করত বিষাদ।
রাধামোহন দুখী,                        ভকত-বচন দেখি,
কৃপায়ে করয়ে অনুবাদ॥

ই পদটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীপদরত্ন-
মালা”, ৪২৮-পৃষ্ঠা।

প্রলাপ দশা।
তস্য শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ গান্ধার॥

যো শচীনন্দন                              জীবন আনন্দন
করু কত সুখদ বিলাস।
কৌতুক কেলি                          কলা রসে নিমগণ
সতত রহত মুখে হাস॥
সজনি ইহ বড় হৃদয়ক তাপ।
অব সোই বিরহে                        বেয়াকুল অন্তর
কহতই কতই প্রলাপ॥
গদ গদ কহত                          কাঁহা মঝু প্রাণনাথ
ব্রজ-জন নয়ন আনন্দ।
কাহাঁ মঝু জীবন                            ধারণ মহৌষধি
কাঁহা মঝু সুধারস-কন্দ॥
পুনঃ পুনঃ ঐছন                           পুছত নিজ জনে
রোয়ত করত বিষাদ।
রাধামোহন দুঃখী                        ভকত বচন দেখি
কৃপায়ে করয়ে অনুবাদ॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৪২৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।
প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “যো শচীনন্দন ভূবন আনন্দন” এবং “যো শচীনন্দন জীবন
আনন্দন” শিরোনামে স্বতন্ত্র দুটি পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে।

॥ অথ প্রলাপ-দশা॥ শ্রীশ্রীগৌরচন্দ্র মহাপ্রভু॥
॥ রাগিণী গান্ধার॥ তালোচিত॥

সো শচীনন্দন ভুবন আনন্দন করূ কত সুখদ বিলাস।
কৌতুক কেলি কলারসে নিমগন সতত রহত মুখে হাস॥
সজনি ইহ বড় হৃদয় তাপ।
অব সোই বিরহে বেয়াকুল অন্তর করতহি কতয়ে প্রলাপ॥
গদগদ কহত কাহা মঝু প্রাণনাথ ব্রজজন নয়ন আনন্দ।
কাহা মঝু জীবন ধারণ মহৌষধি কাহা মঝু সুধারস কন্দ॥
পুনপুন ঐছন পুছত নিজজন রোয়ত করত বিষাদ।
রাধামোহন দুখিত ভকত দেখি কৃপায়ে করত অনুবাদ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
যো শচীনন্দন জীবন-আনন্দন
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৩৫-
পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “যো শচীনন্দন ভূবন আনন্দন”
এবং “সো শচীনন্দন ভুবন আনন্দন” শিরোনামে স্বতন্ত্র দুটি পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে।

॥ গান্ধার॥

যো শচীনন্দন, জীবন-আনন্দন, করু কত সুখদ বিলাস।
কৌতুক কেলি, কলা-রসে নিমগন, সতত রহত মুখে হাস॥
সজনি ইহ বড় হৃদয়ক তাপ।
অব সোই বিরহে, বেয়াকুল অন্তর, করতহিঁ কতই প্রলাপ॥
গদ গদ কহত, কাহাঁ মঝু-প্রাণ-নাথ, ব্রজজন নয়ন-আনন্দ।
কাঁহা মঝু জীবন-ধারণ-মহৌষধি, কাঁহা মঝু সুধারস-কন্দ॥
পুন পুন ঐছন পূছত নিজ জনে, রোয়ত করত বিষাদ।
রাধামোহন দুখী, ভকত বচন দেখি, কৃপায়ে করয়ে অনুবাদ॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”,
৪৪৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীগান্ধার॥

যো শচীনন্দন,                           জীবন-আনন্দন,
করু কত সুখদ বিলাস।
কৌতুক কেলি,                        কলা-রসে নিমগন,
সতত রহত মুখে হাস॥
সজনি ইহ বড় হৃদয়ক তাপ।
অব সোই বিরহে,                        বেয়াকুল অন্তর,
করতহিঁ কতই প্রলাপ॥
গদ গদ কহত,                         কাহাঁ মঝু প্রাণনাথ,
ব্রজ-জন-নয়ন-আনন্দ।
কাঁহা মঝু জীবন,                         ধারণ মহৌষধি,
কাঁহা মজ সুধারস-কন্দ॥
পুন পুন ঐছন,                           পূছত নিজ জনে,
রোয়ত করত বিষাদ।
রাধামোহন দুখী,                        ভকত-বচন দেখি,
কৃপায়ে করয়ে অনুবাদ॥

ই পদটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীপদরত্ন-
মালা”, ৪২৮-পৃষ্ঠা।

প্রলাপ দশা।
তস্য শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ গান্ধার॥

যো শচীনন্দন                              জীবন আনন্দন
করু কত সুখদ বিলাস।
কৌতুক কেলি                          কলা রসে নিমগণ
সতত রহত মুখে হাস॥
সজনি ইহ বড় হৃদয়ক তাপ।
অব সোই বিরহে                        বেয়াকুল অন্তর
কহতই কতই প্রলাপ॥
গদ গদ কহত                          কাঁহা মঝু প্রাণনাথ
ব্রজ-জন নয়ন আনন্দ।
কাহাঁ মঝু জীবন                            ধারণ মহৌষধি
কাঁহা মঝু সুধারস-কন্দ॥
পুনঃ পুনঃ ঐছন                           পুছত নিজ জনে
রোয়ত করত বিষাদ।
রাধামোহন দুঃখী                        ভকত বচন দেখি
কৃপায়ে করয়ে অনুবাদ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং
১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৩৩১।
প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “যো শচীনন্দন জীবন আনন্দন” এবং “সো শচীনন্দন ভুবন
আনন্দন” শিরোনামে স্বতন্ত্র দুটি পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে।

প্রলাপ দশাক্রান্তো যথা॥
॥ গান্ধার রাগ কন্দর্প তালৌ॥

যো শচীনন্দন ভুবন আনন্দন করু কত সুখদ বিলাস ।
কৌতুক কেলি কলা রসে নিমগন সতত রহত মুখে হাস ॥
সজনী ইহ বড় হৃদয়ক তাপ ।
অব সোই বিরহে বেয়াকুল অন্তর করতহিঁ কতই প্রলাপ ॥ ধ্রু ॥
গদ গদ কহত কাঁহা মঝু প্রাণনাথ ব্রজজন নয়ন আনন্দ ।
কাঁহা মঝু জীবন ধারণ মহৌষধি কাঁহা মজু সুধারস কন্দ ॥
পুন পুন ঐছন পূছত নিজ জনে রোয়ত করত বিসাদ ।
রাধামোহন দুখি ভকত বচন দেখি কৃপায়ে করয়ে অনুবাদ ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ১১শ পল্লব, দশ দশা,
১৯০৬সংখ্যক পদ। এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯০৯-পৃষ্ঠায় একইরূপে দেওয়া রয়েছে।

অথ প্রলাপ-দশা।
তত্র শ্রীমবাপ্রভুর্যথা।
॥ গান্ধার॥

যো শচীনন্দন ভুবন-আনন্দন
করু কত সুখদ বিলাস।
কৌতুক-কেলি-কলা-রসে নিমগন
সতত রহত মুখে হাস॥
সজনী ইহ বড় হৃদয়ক তাপ।
অব সোই বিরহে বেয়াকুল-অন্তর
করতহিঁ কতই প্রলাপ॥ ধ্রু॥
গদ গদ কহত কাহাঁ মঝু প্রাণ-নাথ
ব্রজ-জন-নয়ন-আনন্দ।
কাঁহা মঝু জীবন-ধারণ-মহৌষধি
কাঁহা মজু সুধারস-কন্দ॥
পুন পুন ঐছন পূছত নিজ জনে
রোয়ত করত বিষাদ।
রাধামোহন দুখি ভকত-বচন দেখি
কৃপায়ে করয়ে অনুবাদ॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”,
১৯৩৪, ২০৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে

॥ গান্ধার॥

যো শচীনন্দন                              ভুবনআনন্দন
করু কত সুখদ বিলাস।
কৌতুক কেলি                          কলারসে নিমগন
সতত রহত মুখে হাস॥
সজনি ইহ বড় হৃদয়ক তাপ।
অব সোই বিরহে                       বেয়াকুল অন্তর
করতহি কতএ প্রলাপ॥ ধ্রু॥
গদ গদ কহত                        কাঁহা মঝু প্রাণনাথ
ব্রজ-জন-নয়ন-আনন্দ।
কাঁহা মঝু জীবন-                        ধারণ মহৌষধি
কাঁহা মঝু সুধারস কন্দ॥
পুন পুন ঐছন                            পূছত নিজজনে
রোয়ত করত বিষাদ।
রাধামোহন দুখী                        ভকতবচন দেখি
কৃপায়ে করয়ে অনুবাদ॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী টীকা সম্বলিত মহাজন পদাবলী
“শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৪র্থ খণ্ড, ২২১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

প্রলাপ দশা
শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ গান্ধার - যোত সমতাল॥

যো শচীনন্দন                             ভুবন আনন্দন
করু কত সুখদ বিলাস।
কৌতুক কেলি                          কলারসে নিমগন
সতত রহত মুখে হাস॥
সজনী ইহ বড় হৃদয়ক তাপ।
অব সোই বিরহে                        বেয়াকুল অন্তর
করতহি কতই প্রলাপ॥ ধ্রু॥
গদ গদ কহত                        কাঁহা মঝু প্রাণনাথ
ব্রজ জন নয়ন আনন্দ।
কাঁহা মঝু জীবন-                        ধারণ মহৌষধি
কাঁহা মজু সুধারস কন্দ॥
পুন পুন ঐছন                            পূছত নিজজনে
রোয়ত করত বিষাদ।
রাধামোহন দুখি                        ভকত বচন দেখি
কৃপায়ে করয়ে অনুবাদ॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৪২৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।
প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “যো শচীনন্দন ভূবন আনন্দন” এবং “যো শচীনন্দন জীবন
আনন্দন” শিরোনামে স্বতন্ত্র দুটি পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে।

॥ অথ প্রলাপ-দশা॥ শ্রীশ্রীগৌরচন্দ্র মহাপ্রভু॥
॥ রাগিণী গান্ধার॥ তালোচিত॥

সো শচীনন্দন ভুবন আনন্দন করূ কত সুখদ বিলাস।
কৌতুক কেলি কলারসে নিমগন সতত রহত মুখে হাস॥
সজনি ইহ বড় হৃদয় তাপ।
অব সোই বিরহে বেয়াকুল অন্তর করতহি কতয়ে প্রলাপ॥
গদগদ কহত কাহা মঝু প্রাণনাথ ব্রজজন নয়ন আনন্দ।
কাহা মঝু জীবন ধারণ মহৌষধি কাহা মঝু সুধারস কন্দ॥
পুনপুন ঐছন পুছত নিজজন রোয়ত করত বিষাদ।
রাধামোহন দুখিত ভকত দেখি কৃপায়ে করত অনুবাদ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
সো শচীনন্দন ভুবন আনন্দন
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৪২৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।
প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “যো শচীনন্দন ভূবন আনন্দন” এবং “যো শচীনন্দন জীবন
আনন্দন” শিরোনামে স্বতন্ত্র দুটি পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে।

॥ অথ প্রলাপ-দশা॥ শ্রীশ্রীগৌরচন্দ্র মহাপ্রভু॥
॥ রাগিণী গান্ধার॥ তালোচিত॥

সো শচীনন্দন ভুবন আনন্দন করূ কত সুখদ বিলাস।
কৌতুক কেলি কলারসে নিমগন সতত রহত মুখে হাস॥
সজনি ইহ বড় হৃদয় তাপ।
অব সোই বিরহে বেয়াকুল অন্তর করতহি কতয়ে প্রলাপ॥
গদগদ কহত কাহা মঝু প্রাণনাথ ব্রজজন নয়ন আনন্দ।
কাহা মঝু জীবন ধারণ মহৌষধি কাহা মঝু সুধারস কন্দ॥
পুনপুন ঐছন পুছত নিজজন রোয়ত করত বিষাদ।
রাধামোহন দুখিত ভকত দেখি কৃপায়ে করত অনুবাদ॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪৩৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ গান্ধার॥

যো শচীনন্দন, জীবন-আনন্দন, করু কত সুখদ বিলাস।
কৌতুক কেলি, কলা-রসে নিমগন, সতত রহত মুখে হাস॥
সজনি ইহ বড় হৃদয়ক তাপ।
অব সোই বিরহে, বেয়াকুল অন্তর, করতহিঁ কতই প্রলাপ॥
গদ গদ কহত, কাহাঁ মঝু-প্রাণ-নাথ, ব্রজজন নয়ন-আনন্দ।
কাঁহা মঝু জীবন-ধারণ-মহৌষধি, কাঁহা মঝু সুধারস-কন্দ॥
পুন পুন ঐছন পূছত নিজ জনে, রোয়ত করত বিষাদ।
রাধামোহন দুখী, ভকত বচন দেখি, কৃপায়ে করয়ে অনুবাদ॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”,
৪৪৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “যো শচীনন্দন ভূবন
আনন্দন” এবং “সো শচীনন্দন ভুবন আনন্দন” শিরোনামে স্বতন্ত্র দুটি পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে।

॥ শ্রীগান্ধার॥

যো শচীনন্দন,                           জীবন-আনন্দন,
করু কত সুখদ বিলাস।
কৌতুক কেলি,                        কলা-রসে নিমগন,
সতত রহত মুখে হাস॥
সজনি ইহ বড় হৃদয়ক তাপ।
অব সোই বিরহে,                        বেয়াকুল অন্তর,
করতহিঁ কতই প্রলাপ॥
গদ গদ কহত,                         কাহাঁ মঝু প্রাণনাথ,
ব্রজ-জন-নয়ন-আনন্দ।
কাঁহা মঝু জীবন,                         ধারণ মহৌষধি,
কাঁহা মজ সুধারস-কন্দ॥
পুন পুন ঐছন,                           পূছত নিজ জনে,
রোয়ত করত বিষাদ।
রাধামোহন দুখী,                        ভকত-বচন দেখি,
কৃপায়ে করয়ে অনুবাদ॥

ই পদটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীপদরত্ন-
মালা”, ৪২৮-পৃষ্ঠা।

প্রলাপ দশা।
তস্য শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ গান্ধার॥

যো শচীনন্দন                              জীবন আনন্দন
করু কত সুখদ বিলাস।
কৌতুক কেলি                          কলা রসে নিমগণ
সতত রহত মুখে হাস॥
সজনি ইহ বড় হৃদয়ক তাপ।
অব সোই বিরহে                        বেয়াকুল অন্তর
কহতই কতই প্রলাপ॥
গদ গদ কহত                          কাঁহা মঝু প্রাণনাথ
ব্রজ-জন নয়ন আনন্দ।
কাহাঁ মঝু জীবন                            ধারণ মহৌষধি
কাঁহা মঝু সুধারস-কন্দ॥
পুনঃ পুনঃ ঐছন                           পুছত নিজ জনে
রোয়ত করত বিষাদ।
রাধামোহন দুঃখী                        ভকত বচন দেখি
কৃপায়ে করয়ে অনুবাদ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং
১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৩৩১।
প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “যো শচীনন্দন জীবন আনন্দন” এবং “সো শচীনন্দন ভুবন
আনন্দন” শিরোনামে স্বতন্ত্র দুটি পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে।

প্রলাপ দশাক্রান্তো যথা॥
॥ গান্ধার রাগ কন্দর্প তালৌ॥

যো শচীনন্দন ভুবন আনন্দন করু কত সুখদ বিলাস ।
কৌতুক কেলি কলা রসে নিমগন সতত রহত মুখে হাস ॥
সজনী ইহ বড় হৃদয়ক তাপ ।
অব সোই বিরহে বেয়াকুল অন্তর করতহিঁ কতই প্রলাপ ॥ ধ্রু ॥
গদ গদ কহত কাঁহা মঝু প্রাণনাথ ব্রজজন নয়ন আনন্দ ।
কাঁহা মঝু জীবন ধারণ মহৌষধি কাঁহা মজু সুধারস কন্দ ॥
পুন পুন ঐছন পূছত নিজ জনে রোয়ত করত বিসাদ ।
রাধামোহন দুখি ভকত বচন দেখি কৃপায়ে করয়ে অনুবাদ ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ১১শ পল্লব, দশ দশা,
১৯০৬সংখ্যক পদ। এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯০৯-পৃষ্ঠায় একইরূপে দেওয়া রয়েছে।

অথ প্রলাপ-দশা।
তত্র শ্রীমবাপ্রভুর্যথা।
॥ গান্ধার॥

যো শচীনন্দন ভুবন-আনন্দন
করু কত সুখদ বিলাস।
কৌতুক-কেলি-কলা-রসে নিমগন
সতত রহত মুখে হাস॥
সজনী ইহ বড় হৃদয়ক তাপ।
অব সোই বিরহে বেয়াকুল-অন্তর
করতহিঁ কতই প্রলাপ॥ ধ্রু॥
গদ গদ কহত কাহাঁ মঝু প্রাণ-নাথ
ব্রজ-জন-নয়ন-আনন্দ।
কাঁহা মঝু জীবন-ধারণ-মহৌষধি
কাঁহা মজু সুধারস-কন্দ॥
পুন পুন ঐছন পূছত নিজ জনে
রোয়ত করত বিষাদ।
রাধামোহন দুখি ভকত-বচন দেখি
কৃপায়ে করয়ে অনুবাদ॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”,
১৯৩৪, ২০৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে

॥ গান্ধার॥

যো শচীনন্দন                              ভুবনআনন্দন
করু কত সুখদ বিলাস।
কৌতুক কেলি                          কলারসে নিমগন
সতত রহত মুখে হাস॥
সজনি ইহ বড় হৃদয়ক তাপ।
অব সোই বিরহে                       বেয়াকুল অন্তর
করতহি কতএ প্রলাপ॥ ধ্রু॥
গদ গদ কহত                        কাঁহা মঝু প্রাণনাথ
ব্রজ-জন-নয়ন-আনন্দ।
কাঁহা মঝু জীবন-                        ধারণ মহৌষধি
কাঁহা মঝু সুধারস কন্দ॥
পুন পুন ঐছন                            পূছত নিজজনে
রোয়ত করত বিষাদ।
রাধামোহন দুখী                        ভকতবচন দেখি
কৃপায়ে করয়ে অনুবাদ॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী টীকা সম্বলিত মহাজন পদাবলী
“শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৪র্থ খণ্ড, ২২১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

প্রলাপ দশা
শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ গান্ধার - যোত সমতাল॥

যো শচীনন্দন                             ভুবন আনন্দন
করু কত সুখদ বিলাস।
কৌতুক কেলি                          কলারসে নিমগন
সতত রহত মুখে হাস॥
সজনী ইহ বড় হৃদয়ক তাপ।
অব সোই বিরহে                        বেয়াকুল অন্তর
করতহি কতই প্রলাপ॥ ধ্রু॥
গদ গদ কহত                        কাঁহা মঝু প্রাণনাথ
ব্রজ জন নয়ন আনন্দ।
কাঁহা মঝু জীবন-                        ধারণ মহৌষধি
কাঁহা মজু সুধারস কন্দ॥
পুন পুন ঐছন                            পূছত নিজজনে
রোয়ত করত বিষাদ।
রাধামোহন দুখি                        ভকত বচন দেখি
কৃপায়ে করয়ে অনুবাদ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
রজনিক শেষে জাগি শচীনন্দন ততহি ভাবে ভেল ভোর
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময়
মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”,
৭৩-পৃষ্ঠা।

॥ ললিত রাগ রূপক তাল॥

রজনীক শেষে জাগি শচীনন্দন  ততহি ভাবে ভেল ভোর।
সপন জাগর কি এ দোহু নাহি সমজিয়ে নয়নহি আনন্দলোর॥
অনুমানে বুঝহ রঙ্গ।
জৈছন গোকুল নাএক কোরহি নায়রি তৈছন শয়ন বিহঙ্গ॥
বাম চরণ ভুজ পুন পুন আগোরই জাতই দক্ষিণ পাস।
তৈছন বচন কহত পুন আঁখি মুদি বচন রসাল সহাস॥
জাকর ভাবে প্রকট শচীনন্দন গৌরবরণ পরকাস।
সো ভাব নবদ্বীপে এই হরিহরই কহ রাধামোহন দাস॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
রজনিক শেষে জাগি শচীনন্দন শুনইতে অলিকুল রাব
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪০১ ।

॥ ললিত রাগ প্রতি রূপক তালৌ ॥

রজনিক শেষে জাগি শচীনন্দন শুনইতে অলিকুল রাব ।
সহজহি নিজ ভাবে গর গর অন্তর তহি উহ দ্বিতীয় বিভাব ॥
বেকত গৌর অনুভাব ।
পুরব রজনি শেষে জাগি দুহুঁ যৈছন উপজল তৈছন ভাব ॥
নয়নে অমল জল অমিয়া বচন খল পুলকে ভরল সব অঙ্গ ।
হর্ষ বিষাদ শঙ্কাদি পুন উয়ত কো কহু ভাব তরঙ্গ ॥
ঐছন অনুদিন বিহরে নদীয়া মাহা পূরব ভাব পরকাশ ।
সো অনুভব কব মঝু মনে হোয়ব কহ রাধামোহন দাস ॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৭৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

রজনীক শেষে জাগি শচীনন্দন শুনইতে অলি পিক রব।
সহজহি নিজভাবে গরগর অন্তর তহি উহ দ্বিতীয় বিভাব॥
বেকত গৌর অনুভাব।
পুরব রজনীশেষে জাগি দুহু জৈছন উপজল তৈছন ভাব॥
নয়নে অমল জল অমিয়া বচন খল পুলকে ভরল সব অঙ্গ।
হর্ষ বিষাদ শঙ্কাদি পুন উয়ত কো কহু ভাবতরঙ্গ॥
ঐছন অনুদিন বিহরে নদিয়া মাহা পুরব ভাব পরকাস।
সো অনুভব কব মঝু মনে হোয়ব ভন রাধামোহন দাস॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪৪০-পৃষ্ঠায় পুনঃ এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ললিতা॥

রজনীক শেষে, জগি শচী-নন্দন, শুনইতে অলি পিক রাব।
সহজহি নিজভাবে গর গর অন্তর, তহিঁ উহ দ্বিতীয় বিভাব॥
বেকত গৌর অনুভাব।
পূরব রজনী-শেষে, জাগি দুহুঁ যৈছন, উপজল তৈছন ভাব॥
নয়নে অমল জল, অমিয় বচন খল, পুলকে ভরল সব অঙ্গ।
হরিষ বিষাদ, শঙ্কাদি পুন উয়ত, কো কহ ভাব তরঙ্গ॥
ঐছন অনুদিন, বিহরে নদীয়া পুরে, পূরব ভাব পরকাশ।
সো অনুভব কব, মঝু মনে হোয়ব, কহ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”,
১৯৩৪, ২২৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ললিত॥

রজনীক শেষে                                জাগি শচীনন্দন
শুনইতে অলি পিকুরাব।
সহজই নিজ ভাবে                              গর গর অন্তর
তহি উহ দ্বিতীয় বিভাব॥
বেকত গৌর অনুভাব।
পুরুব রজনীশেষে                              জাগি দুহুঁ যৈছন
উপজল তৈছন ভাব॥
নয়ন অমিয় জল                               অমিয় বচন খল
পুলকে ভরল সব অঙ্গ।
হরিষ বিষাদে                                শঙ্কাদি পুনঃ উয়ত
কো হক ভাব তরঙ্গ॥
ঐছন অনুদিন                                বিহরে নদীয়াপুরে
পূরুব ভাব পরকাশ।
সো অনুভব কব                                মঝু মনে হোয়ব
কহ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীপদরত্ন-
মালা”, ২৩৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

কুঞ্জ ভঙ্গ।
তস্য শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ ললিত॥

রজনিক শেষ                                জাগি শচীনন্দন
শুনইতে অলি পিকরাব।
সহজহি নিজ ভাবে                            গর গর অন্তর
তঁহি উঠু দ্বিতীয় বিভাব॥
বেকত গৌর অনুভাব।
পূরুব রজনী শেষে                          জাগি দুহুঁ যৈছন
উপজল তৈছন ভাব॥
নয়ন কমল জল                             অমিয়া বচন খল
পুলকে ভরল সব অঙ্গ।
হরিষ বিষাদে                            শঙ্কাদি পুনঃ হোয়ত
কো কহ ভাব তরঙ্গ॥
ঐছন অনুদিন                            বিহরে নদীয়া পুরে
পূরব ভাব পরকাশ।
সো অনুভব কব                            মঝু মনে হোয়ব
কহ রাধা মোহন দাস॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯০৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

কুঞ্জভঙ্গ
গৌরচন্দ্র
॥ ললিত॥

রজনিক শেষে জাগি শচি-নন্দন
শুনইতে অলি-পিকু-রাব।
সহজহি নিজ-ভাবে গরগর অন্তর
তহিঁ উহ দ্বিতীয় বিভাব॥
বেকত গৌর-অনুভাব।
পুরব-রজনি-শেষে জাগি দুহুঁ যৈছন
উপজল তৈছন ভাব॥
নয়ন কমল-জল অমিয়-বচন খল
পুলকে ভরল সব অঙ্গ।
হরিষ বিষাদ শঙ্কাদি পুন ঊয়ত
কো কহ ভাব-তরঙ্গ॥
ঐছন অনুদিন বিহরে নদিয়া-পুরে
পূরব-ভাব পরকাশ।
সো অনুভব কব মঝু মনে হোয়ব
কহ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “পদামৃত লহরী”, ১৫৮-পৃষ্ঠায় এই রূপে
দেওয়া রয়েছে।

॥ রাগিণী ললিত - তাল জোত সম॥

রজনিক শেষে, জাগি শচীনন্দন, শুনইতে অলি পিক রাব।
সহজহি নিজভাবে, গরগর অন্তর, তহিঁ উহ দ্বিতীয় বিভাব॥
বেকত গৌর অনুভাব।
পূরব রজনী শেষে, জাগি দুহুঁ যৈছন, উপজল তৈছন ভাব॥
নয়ন কমলজল, অমিয়া বচন খল, পুলকে ভরল সব অঙ্গ।
হরিষ বিষাদ, শঙ্কাদি পুনঃ হোয়ত, কো কহুঁ ভাব তরঙ্গ॥
ঐছন অনুদিন, বিহরে নদীয়াপুরে, পূরবের ভাব পরকাশ।
সো অনুভব, মঝুমনে হোয়ব, কহ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” তয় খণ্ড,
৫৯০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

কুঞ্জভঙ্গ।
শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ বিভাস - মধ্যম দশকুশী॥

রজনীক শেষে,                         জাগি শচীনন্দন,
শুনইতে অলি-পিক রাব।
সহজই নিজভাবে                        গরগর অন্তর,
তহিঁ উহ দ্বিতীয়-ভাব॥
বেকত গৌর অনুভাব।
পূরব রজনীশেষে                     জাগি দুহুঁ যৈছন,
উপজল তৈছন ভাব॥ ধ্রু॥
নয়ন অমল জল,                    অমিয়া বচন খল,
পুলকে ভরল সব অঙ্গ।
হরিষ বিষাদে,                      শঙ্কাদি পুন ঊয়ত,
কোকহ ভাব তরঙ্গ॥
ঐছন অনুদিন,                    বিহারে নদীয়া পুরে,
পূরব ভাব পরকাশ।
সো অনুভব কব                       মঝু মনে হোয়ব
কহ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি ১৯৫৯ সালে প্রকাশিত, দুর্গাচরণ বিশ্বাস সংগৃহীত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “কীর্ত্তন-পদাবলী”,
১১৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

কুঞ্জ ভঙ্গ।
শ্রীগৌরচন্দ্র।

রজনীক শেষ, জাগি শচীনন্দন, শুনইতে অলি পিকরাব।
সহজহি নিজ ভাবে, গর গর অন্তর, তঁহি উঠু দ্বিতীয় বিভাব॥
বেকত গৌর-অনুভাব।
পূরুব রজনী শেষে, জাগি দুহুঁ যৈছন, উপজল তৈছন ভাব॥
নয়ন কমল জল, অমিয়া বচন খল, পুলকে ভরল সব অঙ্গ।
হরিষ বিষাদে, শঙ্কাদি পুন হোয়ত, কোকহ ভাব-তরঙ্গ॥
ঐছন অনুদিন, বিহরে নদীয়া পুরে, পূরুবের ভাব পরকাশ।
সো অনুভব কব, মঝু মনে হোয়ব, কহ রাধামোহন দাস॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
রতন মন্দির পীঠে নাগর নাগরি
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৪২ ।

॥ শারঙ্গ রাগ ধ্রুব তালৌ ॥

রতন মন্দির পীঠে নাগর নাগরি বৈঠল সখিক সমাঝ ।
নাগর ইঙ্গিত করণ বৃন্দা সখি তুরিতহি বুঝল কাজ ॥
যোই নিন্দই সিধু সুবাসিত বর মধু তবহিঁ আনি আগে দেল ।
আপে ভোজন করি সকলে ভুঞ্জায়ল যতন করিয়া অরু কেল ॥
কো কহু প্রেম তরঙ্গ ।
সহজহিঁ প্রেম মধুর মধুরাধিক তাহে পুন মধুপান রঙ্গ ॥
ঢুলি ঢুলি পরত খলত অবলাগণ ঘুঘুমে ববঠি না পারি ।
এত কহি নিজ নিজ কুঞ্জক শয়ন কয়ল সব নারি ॥
রাধামাধব করগহি তলপহিঁ যাই করল পরবেশ ।
রাধামোহন পহুঁ বিথারল রতিরণ কত কত ভাব বিশেষ ॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪৪২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বরাড়ী॥

রতন-মন্দিরে দুহুঁ নাগর-নাগরী, বৈঠল সখীক সমাজ।
নাগর ইঙ্গিত, কারণে বৃন্দা সখী, তুরিতহি বুঝল কাজ॥
যোই নিন্দয়ে সীধু, সুবাসিত বর মধু, তবহিঁ আনি আগে দেল।
আপে ভোজন করি, সকলে ভুঞ্জায়ল, যতনহি কৌতুক কেল॥
কো কহু প্রেম-তরঙ্গ।
সহজহি প্রেম-মধুর মধুরাধিক, তাহে পুন মধুপান-রঙ্গ॥
ঢুলি ঢুলি পরত, খলত অবলাগণ ঘু-ঘুমে ব-বঠি না পারি।
এত কহি নিজ নিজ, কুঞ্জক মন্দিরে, শয়ন করত বরনারি॥
রাধা মাধব, কর গহি তলপহিঁ যাই করল পরবেশ।
রাধামোহন পহু, বিথারল রতি রণ, কত কত ভাব বিশেষ॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৫১-
পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বরাড়ী॥

রতন-মন্দিরে দুহু,                            নাগর নাগরী,
বৈঠল সখীক সমাজ।
নাগর ইঙ্গিত,                            করণে বৃন্দা সখী,
তুরিতহি বুঝল কাজ॥
যোই নিন্দয়ে সীধু,                       সুবাসিত বর মধু,
তবহিঁ আনি আগে দেল।
আপে ভোজস করি,                       সকলে ভুঞ্জায়ল,
যতনহি কৌতুহক কেল॥
কো কহুঁ প্রেম-তরঙ্গ।
সহজই প্রেম,                              মধুর মধুরাধিক,
তাহে পুন মধুপান-রঙ্গ॥
ঢুলি ঢুলি পড়ত,                         ফলত অবলাগণ,
ঘু-ঘুমে ব-বঠি না পারি।
এত কহি নিজ নিজ,                       কুঞ্জক মন্দিরে,
শয়ন করত বরনারী॥
রাধা মাধব,                             কয় গহি তলপহিঁ,
যাই করল পরবেশ।
রাধামোহন পহুঁ,                         বিথার রতি-রণ,
কত কত ভাব-বিশেষ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
রতন মন্দিরে জাগি নাগর নাগরি
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৪৬ ।

॥ শ্রীরাগ গমকতালৌ॥

রতন মন্দিরে জাগি নাগর নাগরি হেরইতে বেশ বিসাজ ।
ভাবে ভরল চিত আপদ পুলকিত বুরল আনন্দ মাঝ ॥
কো কহু প্রেম তরঙ্গ ।
তনু তনু পরশি কোটিযুগ থাকই নহ লব যাকর ভঙ্গ ॥ ধ্রু ॥
ধৈরয লাই হরি বেশ বনাওত নয়ন কোন হেরি তাই ।
ঘামে ভিগল দেহ নয়নহি নীর বহ ঘন ঘন কাঁপই রাই ॥
কত পরকারে সিন্দুর বিন্দু দেওল অরু বেশ করু সখি রঙ্গে ।
রাধামোহন দাস চিতে করু ঐছন কবহু করব মোহে সঙ্গে ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ, ৩০শ পল্লব,
অষ্টকালীয় নিত্য-লীলা, ২৬৫৪সংখ্যক পদ।

॥ শ্রীরাগ॥

রতন-মন্দিরে জাগি নাগর নাগরি
হেরইতে বেশ বিসাজ।
ভাবে ভরল চিত আপদ পুলকিত
ডূরল আনন্দ মাঝ॥
কো কহুঁ প্রেম-তরঙ্গ।
তনু তনু পরখি কোটিযুগ থাকই
নহ লব যাকর ভঙ্গ॥
ধৈরজ ধরি হরি বেশ বনায়ত
নয়ন-কোণে হেরি তাই।
ঘামে ভিগল দেহ নয়নে নীর বহ
ঘন ঘন কাঁপয়ে রাই॥
কত পরকারে সিন্দুর-বিন্দু দেওল
অর বেশ করু সখি রঙ্গে।
রাধামোহন দাস চিতে করু ঐছন
কবহু করব মোহে সঙ্গে॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪৪৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।


রতন মন্দিরে জাগি, নাগর নাগরী, হেরইতে বেশ বিসাজ।
ভাবে ভরল চিত, আপাদ পুলকিত, ডুরল আনন্দ মাঝ॥
কো কহুঁ প্রেম-তরঙ্গ।
তনু তনু পরখি, কোটি যুগ থাকই, নহ লব যাকর ভঙ্গ॥
ধৈরজ ধরি হরি, বেশ বনায়ত, নয়ন কোণে হেরি তাই।
ঘামে ভিগল দেহ, নয়নে নীর বহ, ঘন ঘন কাঁপয়ে রাই॥
কত পরকারে সিন্দুর বিন্দু দেওল, আর বেশ করু সখী রঙ্গে।
রাধামোহন দাস চিতে করু ঐছন, কবহু করব মোহে সঙ্গে॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
রতি অবসানে বৈঠি বরনাগরি
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৭২ ।

অত্রাপি পূর্ব্বোক্ত বৈপরীত্যাদিকং গেয়ঃ॥
অথ স্বাধীন ভর্ত্তৃকা কেবল মধ্যা যথা॥
॥ পঠমঞ্জুরীরাগ বৃহদেকতালীতালৌ ॥

রতি অবসানে বৈঠি বরনাগরি উদসল আপক দেহ ।
হেরইতে অবনত বদন কয়ল পুন কি করব না পায়ই থেহ ॥
প্রেম রাই রূপধারি ।
ইঙ্গিতে নিজ বেশ করণে নিয়োজল রতি সুখ কুঞ্জ বিহারী ॥  ধ্রু ॥
ঈষদবলোকনে মাধব হেরইতে নয়নহি আনন্দ নীর ।
যনু বর বিধুমণি বিধুকর দরশনে তৈছনে সকল শরীর ॥
অলক সঙারিতে পহিলহি কাঁপই বর করে পরশিতে কান্ত ।
কহ রাধামোহন বেশ হোয়ব কৈছে চূড় চরণ পরিযন্ত ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড, ২য় শাখা, তয় পল্লব,
বসন্তকালোচিত বাসকসজ্জা, পদসংখ্যা ৩০৩।

॥ তথা রাগ॥

রতি-অবসানে                         বৈঠি বর-নাগরি
উদসল আপক দেহ।
হেরইতে অবনত                       বদন কয়ল পুন
কি করব না পায়ই থেহ॥
প্রেম রাই-রূপ-ধারী।
ইঙ্গিতে নিজবেশ-                     করণে নিয়োজল
রতি-সুখ-কুঞ্জবিহারী॥ ধ্রু॥
ঈষদবলোকনে                          মাধব হেরইতে
নয়নহিঁ আনন্দ-নীর।
জনু বর বিধু-মণি                     বিধু-কর দরশনে
তৈছন সকল শরীর॥
অলক সঙারিতে                        পহিলহিঁ কাঁপই
বর-করে পরশিতে কন্ত।
কহ রাধামোহন                       বেশ কৈছে হোয়ব
চূড় চরণ পরিযন্ত॥

টীকা -
৫ - ৭। “প্রেম রাই-রূপ” ইত্যাদি।শ্রীরাধার রূপ-ধারী প্রেম অর্থাৎ মূর্ত্তিমতী প্রেম-রূপিণী শ্রীরাধা (তখন
শ্রীকৃষ্ণের প্রেমানন্দ-বর্দ্ধনের জন্যই) রতিসুখে বিমোহিত শ্রীকৃষ্ণকে নিজের (বিস্রস্ত) বেশ-ভূষার সংস্কারে
(কৌশল-পূর্ণ) ইঙ্গিত দ্বারা নিয়োজিত করিলেন।
১২ - ১৫। “অলক সঙারিতে” ইত্যাদি। প্রিয়তম শ্রীকৃষ্ণ প্রথমে শ্রীরাধার চূর্ণ-কুন্তগুলির সংস্কার করিতে
(যাইয়া) পদ্ম-হস্তে তাঁহার (ললাট) স্পর্শ করিতে (সাত্বিক ভাবের উদয় হেতু) কম্পিত কলেবর হইতেছেন ;
পদ-কর্ত্তা রাধামোহন বলেন যে, (এ অবস্থায়) শ্রীরাধার চূড়া হইতে চরণ পর্য্যন্ত বেশ-কচনা কি প্রকারে
সম্পন্ন হইবে ? ---সতীশচন্দ্র রায়, পদকল্পতরু॥

ই পদটিই পুনঃ সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল)
৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ, ৩০শ পল্লব, অষ্টকালীয় নিত্য-লীলা, ২৭৩০সংখ্যক পদ হিসেবে এইরূপে
দেওয়া রয়েছে।

॥ পঠমঞ্জরী॥

রতি-অবসানে                           বৈঠি বর-নাগরি
উদসল আপক দেহ।
হেরইতে অবনত                        বদন কয়ল পুন
কি করব না পায়ই থেহ॥
প্রেম রাই-রূপ-ধারী।
ইঙ্গিতে নিজ বেশ-                    করণে নিয়োজল
রতি-সুখে কুঞ্জ-বিহারী॥ ধ্রু॥
ঈষদবলোকনে                           মাধব হেরইতে
নয়নহি আনন্দ-নীর।
জনু বর-বিধু-মণি                      বিধু-কর দরশনে
তৈছন সকল শরীর॥
অলক সঙারিতে                        পহিলহিঁ কাঁপই
বর-করে পরশিতে কন্ত।
কহ রাধামোহন                       বেশ কৈছে হোয়ব
চূড় চরণ পরিযন্ত॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪২০-পৃষ্ঠায় এবং ৪৪৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ কেদার॥

রতি অবসানে, বৈঠি বর-নাগরী, উদসল আপক দেহা।
হেরইতে অবনত, বদন কয়ল পুন, কি করব না পায়ই থেহা॥
রাই প্রেমরূপধারী।
ইঙ্গিতে নিজবেশ, করণে নিয়োজল, রতিসুখ কুঞ্জবিহারী॥
ঈষদবলোকনে, মাধব হেরইতে, নয়নহি আনন্দ নীর।
জনু বর বিধুমণি, বিধুকর দরশনে, তৈছন সকল শরীর॥
অলক সাঙারিতে, পহিরহি কাঁপই, বর-করে পরশিতে কান্ত।
কহ রাধামোহন, বেশ কৈছে হোয়ব, চূড় চরণ পরিযন্ত॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯১৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীকৃষ্ণ কর্ত্তৃক শ্রীরাধার বেশ বিন্যাস
॥ তথা রাগ॥

রতি-অবসানে                           বৈঠি বর-নাগরি
উদসল আপক দেহ।
হেরইতে অবনত                        বদন কয়ল পুন
কি করব না পায়ই থেহ॥
প্রেম রাই-রূপ-ধারী।
ইঙ্গিতে নিজবেশ-                       করণে নিয়োজল
রতি-সুখ-কুঞ্জবিহারী॥
ঈষদবলোকনে                            মাধব হেরইতে
নয়নহিঁ আনন্দ-নীর।
জনু বর বিধু-মণি                      বিধু-কর পরশনে
তৈছন সকল শরীর॥
অলক সঙারিতে                          পহিলহি কাঁপই
বর করে পরশিতে কন্ত।
কহ রাধামোহন                        বেশ কৈছে হোয়ব
চূড় চরণ পরিযন্ত॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর