কবি রাধামোহন ঠাকুরের বৈষ্ণব পদাবলী |
রাই কানু মেলি প্রহেলি আলাপন ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৬৭ । ॥ কেদাররাগ মন্ঠকতালৌ ॥ রাই কানু মেলি প্রহেলি আলাপন রাগ তালযুত গান । বহুবিধ সুনটন রাস লাস্য অরু করি কত বিবিধ বিধান ॥ দেখ দেখ অদভুত সখিগণ ভাব । দুহুঁক উলাসহি উলসিত অন্তর মানই কত কত লাভ ॥ ধ্রু ॥ দুহুঁকর মানস রতিগত হোয়ল অনুমানি পরম আনন্দে । যৈছন উহ রস হোয় সমাপন ঐছন করু পরবন্ধে ॥ রতি সুখ শেষ আদি সমাপন আন ছলে কয়ল পয়ান । অদভুত বৈদগধি অদভুত গুণগণ করু রাধামোহন গান ॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ, ৩১শ পল্লব, অষ্টকালীয় নিত্য-লীলা, ২৮৩০সংখ্যক পদ হিসেবে এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ তথা রাগ॥ রাই কানু মেলি প্রহেলি আলাপন রাগ-তাল-যুত গান। বহুবিধ সুনটন রাস-লাস্য অরু করি কত বিবিধ বিধান॥ দেখ দেখ অদভুত সখিগণ-ভাব। দুহুঁক উলাসহি উলসিত অন্তর মানই কত কত লাভ॥ ধ্রু॥ দুহুঁকর মানস রতি-গত হোয়ল অনুমানি পরম আনন্দ। যৈছন উহ রস হোয় সমাপন ঐছন করু পরবন্ধ॥ রতি সুখ-শেজ- আদি সমাপন আন ছলে কয়ল পয়াণ। অদভুত বৈদগধি অদভুত গুণগণ করু রাধামোহন গান॥ এই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৪৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ কেদার॥ রাই কানু মেলি, প্রহেলী আলাপন, রাগ-তাল-যুত গান। বহুবিধ সুনটন, রাস-লাস্য করু, করি কত বিবিধ বিধান॥ দেখ দেখ অদভুত সখীগণ ভাব। দুহুক উলাসহি, উলসিত অন্তর, মানই কত কত লাভ॥ দুহুকর মানস, রতি-গত হোয়ল, অনুমানি পরম আনন্দ। যৈছন উহ রস, হোয় সমাপন, ঐছন করু পরবন্ধ॥ রতি সুখ-শেষ, আদি সমাপন, আন ছলে কয়ল পয়ান। অদভুত বৈদগধি, অদভুত গুণগণ, করু রাধামোহন গান॥ এই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৩১- পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ তথা রাগ॥ রাই কানু মেলি-, প্রহেলী আলাপন, রাগ-তালযুত গান। বহুবিধ সুনটন রাস লাস্য করু, করি কত বিবিধ বিধান॥ দেখ দেখ অদভুত সখীগণভাব। দুহুঁক উলাসহি, উলসিত অন্তর, মানই কত কত লাভ॥ দুহুঁকর মানস, রতিগত হোয়ল, অনুমানি পরম আনন্দ। যৈছন উহ রস, হোয় সমাপন, ঐছন করু পরবন্ধ॥ রতি-সুখ-শেজ- আদি সমাপন, আন ছলে কয়ল পয়াণ। অদভুত বৈদগধি, অদভুত গুণগণ, করু রাধামোহন গান॥ এই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯৩১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ তথা রাগ॥ রাই কানু মেলি প্রহেলি আলাপন রাগ-তাল-যুত গান। বহুবিধ সুনটন রাস-লাস্য অরু করি কত বিবিধ-বিধান॥ দেখ দেখ অদভুত সখিগণ-ভাব। দুহুঁক উলাসহি উলসিত অন্তর মানই কত কত লাভ॥ ধ্রু॥ দুহুঁকর মানস রতি-গত হোয়ল অনুমানি পরম আনন্দ। যৈছন উহ রস হোয়ত সমাপন ঐছন করু পরবন্ধ॥ রতি সুখ-শেজ- আদি সমাপন আন ছলে কয়ল পয়াণ। অদভুত বৈদগধি অদভুত গুণগাণ করু রাধামোহন গান॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
রাগ তাল দুহুঁ হৃদয়ে ধরলি ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২১৩ । ॥ তথা রাগ তালৌ ॥ রাগ তাল দুহুঁ হৃদয়ে ধরলি তুহুঁ জানল বচনক রীতে । গ্রাম তিন স্বর বহুবিধ পরকার জানসি কত কত নীতে ॥ গুণবতি অতএ নিবেদএ তোয় । মধুর আলাপ শিখায়বি নিরজনে নিজ জন জানিয়া মোয় ॥ ধ্রু ॥ মুরলি ছোরি হাম নিকটহিঁ বৈঠব শীখব সুমধুর গান । গৌরি শ্যাম নট তব নহ দুরঘট হোয়ব মিলন সন্ধান ॥ মুখহিঁ মুখহিঁ যব তুহুঁ শিখায়বি হৃদয়ে ধরব তব হাম । ভণ রাধামোহন বচন রচন পুন ভালেসে জানএ শ্যাম ॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ১ম পল্লব, স্বয়ং দৌত্য, ৬২২পদসংখ্যক পদ-রূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির ১০৯৫সংখ্যক পদ। ॥ গান্ধার॥ রাগ তাল দুহুঁ হৃদয়ে ধয়লি তুহুঁ . জানলু বচনক রীতে। গ্রাম তিন স্বর বহুবিধ পরকার . জানসি কত কত নীতে॥ . গুণবতি অতয়ে নিবেদিয়ে তোয়। মধুর আলাপ শিখায়বি নিরজনে . নিজ জন জানিয়া মোয়॥ ধ্রু॥ মুরলি ছোড়ি হাম নিকটহি বৈঠব . শীখব সুমধুর গান। গৌরি শ্যাম নট তব নহ দুরঘট . হোয়ব মিলন-সন্ধান॥ মুখহিঁ মুখহিঁ যব তুহুঁ শিখায়বি . হৃদয়ে ধরব তব হাম। ভণ রাধামোহন বচন-রচন পুন . ভালে সে জানয়ে শ্যাম॥ এই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪২৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ গান্ধার॥ রাগ তাল দুহুঁ, হৃদয়ে ধরলি তুহুঁ, জানলু বচনক রীতে। গ্রাম তিন স্বর, বহুবিধ পরকার, জানসি কত কত নীতে॥ গুণবতি অতয়ে নিবেদিয়ে তোয়। মধুর আলাপ, শিখায়বি নিরজনে, নিজ জন জানিয়া মোয়॥ মুরলী ছারি হাম, নিকটহি বৈঠব, শিখব সুমধুর গান। গৌরি শ্যাম নট, তব নহ দুরঘট, হোয়ব মিলন সন্ধান॥ মুখহিঁ মুখ যব, তুহুঁ শিখায়বি, হৃদয়ে ধরব হাম। ভণ রাধামোহন, বচন-রচন পুন, ভালে সে জানয়ে শ্যাম॥ এই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৩৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ গান্ধার॥ রাগ তাল দুহুঁ, হৃদয়ে ধয়লি তুহুঁ, জানলু বচনক রীতে। গ্রাম তিন স্বর, বহুবিধ পরকার, জানসি কত কত নীতে॥ গুণবতি, অতয়ে নিবেদিয়ে তোয়। মধুর আলাপ, শিখায়বি নিরজনে, নিজ জন জানিয়া মোয়॥ মুরলী ছোরি হাম, নিকটহিঁ বৈঠব, শিখব সুমধুর গান। গোরী শ্যাম নট, তব নহ দুরঘট, হোয়ব মিলন-সন্ধান॥ মুখহিঁ মুখ যব, তুহুঁ শিখায়বি, হৃদয়ে ধরব তব হাম। ভণ রাধামোহন, বচন-রচন পুন, ভালে সে জানয়ে শ্যাম॥ এই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯১৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। শ্রীকৃষ্ণের স্বয়ংদৌত্য ॥ গান্ধার॥ রাগ তাল দুহুঁ হৃদয়ে ধয়লি তুহুঁ . জানলু বচনক রীতে। গ্রাম তিন স্বর বহুবিধ পরকার . জানসি কত কত নীতে॥ . গুণবতি অতয়ে নিবেদিয়ে তোয়। মধুর আলাপ শিখায়বি নিরজনে . নিজ জন জানিয়া মোয়॥ ধ্রু॥ মুরলি ছোড়ি হাম নিকটহি বৈঠব . শীখব সুমধুর গান। গৌরি শ্যাম নট তব নহ দুরঘট . হোয়ব মিলন-সন্ধান॥ মুখহিঁ মুখহিঁ যব তুহুঁ শিখায়বি . হৃদয়ে ধরব তব হাম। ভণ রাধামোহন বচন-রচন পুন . ভালে সে জানয়ে শ্যাম॥ ব্যাখ্যা - তোমার কথার ছলে জানিলাম, তুমি (সঙ্গীতের) রাগ (অন্য অর্থে অনুরাগ) এবং তাল (সঙ্গীতের যতি প্রভৃতি, অন্য অর্থে তাল ফলরূপ স্তনদ্বয়) হৃদয়ে ধারণ করিয়াছ। স্বরগ্রাম উদারা মুদারা তারার বহু প্রকার (অন্য পক্ষে সম্ভোগ কালে কপোত কোকিলাদির কূজনানুকারী কলরবের) নীতি জান। গুণবতী অতএব তোমাকে নিবেদন করি, নিজ জন জানিয়া নির্জ্জনে আমাকে মধুর আলাপ (রাগ রাগিণীর আলাপ, অপর পক্ষে রসালাপ) শিখাইবে। মুরলী ছাড়িয়া আমি (বিলাস জন্য) তোমার নিকট বসিব, সুমধুর গান শিখিব। (তোমার গুণগান করিব) তখন আর গৌরী শ্যাম নট রাগিণীর (অন্য অর্থে তুমি গৌরী আমি শ্যাম নটরাজ আমাদের) মিলন দুর্ঘট হইবে না। মিলনের সন্ধান হইবে। মুখে মুখে (আমার মুখে মুখ রাখিয়া) তুমি যখন শিখাইবে, আমি তখন (তোমাকে অমনই) হৃদয়ে ধারণ করিব। রাধামোহন বলিতেছেন - শ্যাম বচন রচনা ভালই জানেন। --- হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, “বৈষ্ণব পদাবলী”॥ এই পদটি ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী ব্যাখ্যা সম্বলিত মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ২য় খণ্ড, ৫৮৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। শ্রীকৃষ্ণের উত্তর। ॥ সুহই - কাটা দশকুশী॥ রাগ তাল দুহুঁ হৃদয়ে ধয়লি তুহুঁ . জানলুঁ বচনক রীতে। গ্রাম তিন স্বর বহুবিধ পরকার . জানসি কত কত নীতে॥ গুণবতি অতয়ে নিবেদিয়ে তোয়। মধুর আলাপ শিখায়বি নিরজনে . নিজ জন জানিয়া মোয়॥ ধ্রু॥ মুরলি ছোড়ি হাম নিকটহি বৈঠব . শীখব সুমধুর গান। গৌরি শ্যাম নট তব নহ দুরঘট . হোয়ব মিলন সন্ধান॥ মুখহিঁ মুখহিঁ যব তুহুঁ শিখায়বি . হৃদয়ে ধরব তব হাম। ভণ রাধামোহন বচন রচন পুন . ভালে সে জানয়ে শ্যাম॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |