কবি রাধামোহন ঠাকুরের বৈষ্ণব পদাবলী
*
রাইক লিখন শুনহ তহুঁ কান
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও
বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৬০।

॥ বরাড়ী রাগেণ ধরা যতি তালাভ্যাং ॥

রাইক লিখন শুনহ তহুঁ কান ।
যৈছন তাকর জ্বলত পরাণ ॥ ধ্রু ॥
মঝু হিয়া বীন্ধসি করি তুহুঁ রোখ ।
কাহে মদনে পুন দেয়সি দোখ ॥
দিশি দিশি মদন কতিহুঁ নাহি পেখি ।
তুয়া অদভূত রূপ যাঁহা তাঁহা দেখি ॥
তব ধরি ছট ফট জীবন হুতাস ।
পুছত ইহ রাধামোহন দাস ॥

ই পদটি চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৮৭০ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত এবং তাঁর পুত্র
রাজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৯২২ সালে প্রকাশিত “শ্রীশ্রীপদামৃতসিন্ধু”, ১৬৪-পৃষ্ঠায়
এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীরাধিকার উন্মাদ-দশা
॥ বরাড়ী ॥

রাইক লিখন শুনহ তহুঁ কান।
যৈছন তাকর জ্বলত পরাণ॥ ধ্রু॥
মঝু হিয়া বিন্ধসি করি তুহুঁ রোষ।
কাহে মদনে পুন দেখসি দোষ॥
দিশি দিশি মদন যতহু নাহি পেখি।
তুয়া অদভূত রূপ যাঁহা তাঁহা দেখি॥
তব ধরি ছট ফট জীবন হুতাস।
পুছত ইহ রাধামোহন দাস ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
রাই কানু মেলি প্রহেলি আলাপন
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৬৭ ।

॥ কেদাররাগ মন্ঠকতালৌ ॥

রাই কানু মেলি প্রহেলি আলাপন রাগ তালযুত গান ।
বহুবিধ সুনটন রাস লাস্য অরু করি কত বিবিধ বিধান ॥
দেখ দেখ অদভুত সখিগণ ভাব ।
দুহুঁক উলাসহি উলসিত অন্তর মানই কত কত লাভ ॥ ধ্রু ॥
দুহুঁকর মানস রতিগত হোয়ল অনুমানি পরম আনন্দে ।
যৈছন উহ রস হোয় সমাপন ঐছন করু পরবন্ধে ॥
রতি সুখ শেষ আদি সমাপন আন ছলে কয়ল পয়ান ।
অদভুত বৈদগধি অদভুত গুণগণ করু রাধামোহন গান ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ, ৩১শ পল্লব,
অষ্টকালীয় নিত্য-লীলা, ২৮৩০সংখ্যক পদ হিসেবে এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তথা রাগ॥

রাই কানু মেলি                           প্রহেলি আলাপন
রাগ-তাল-যুত গান।
বহুবিধ সুনটন                             রাস-লাস্য অরু
করি কত বিবিধ বিধান॥
দেখ দেখ অদভুত সখিগণ-ভাব।
দুহুঁক উলাসহি                              উলসিত অন্তর
মানই কত কত লাভ॥ ধ্রু॥
দুহুঁকর মানস                             রতি-গত হোয়ল
অনুমানি পরম আনন্দ।
যৈছন উহ রস                                হোয় সমাপন
ঐছন করু পরবন্ধ॥
রতি সুখ-শেজ-                                আদি সমাপন
আন ছলে কয়ল পয়াণ।
অদভুত বৈদগধি                            অদভুত গুণগণ
করু রাধামোহন গান॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪৪৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ কেদার॥
রাই কানু মেলি, প্রহেলী আলাপন, রাগ-তাল-যুত গান।
বহুবিধ সুনটন, রাস-লাস্য করু, করি কত বিবিধ বিধান॥
দেখ দেখ অদভুত সখীগণ ভাব।
দুহুক উলাসহি, উলসিত অন্তর, মানই কত কত লাভ॥
দুহুকর মানস, রতি-গত হোয়ল, অনুমানি পরম আনন্দ।
যৈছন উহ রস, হোয় সমাপন, ঐছন করু পরবন্ধ॥
রতি সুখ-শেষ, আদি সমাপন, আন ছলে কয়ল পয়ান।
অদভুত বৈদগধি, অদভুত গুণগণ, করু রাধামোহন গান॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৩১-
পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তথা রাগ॥

রাই কানু মেলি-,                        প্রহেলী আলাপন,
রাগ-তালযুত গান।
বহুবিধ সুনটন                            রাস লাস্য করু,
করি কত বিবিধ বিধান॥
দেখ দেখ অদভুত সখীগণভাব।
দুহুঁক উলাসহি,                           উলসিত অন্তর,
মানই কত কত লাভ॥
দুহুঁকর মানস,                            রতিগত হোয়ল,
অনুমানি পরম আনন্দ।
যৈছন উহ রস,                             হোয় সমাপন,
ঐছন করু পরবন্ধ॥
রতি-সুখ-শেজ-                             আদি সমাপন,
আন ছলে কয়ল পয়াণ।
অদভুত বৈদগধি,                         অদভুত গুণগণ,
করু রাধামোহন গান॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯৩১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তথা রাগ॥

রাই কানু মেলি                           প্রহেলি আলাপন
রাগ-তাল-যুত গান।
বহুবিধ সুনটন                              রাস-লাস্য অরু
করি কত বিবিধ-বিধান॥
দেখ দেখ অদভুত সখিগণ-ভাব।
দুহুঁক উলাসহি                              উলসিত অন্তর
মানই কত কত লাভ॥ ধ্রু॥
দুহুঁকর মানস                              রতি-গত হোয়ল
অনুমানি পরম আনন্দ।
যৈছন উহ রস                              হোয়ত সমাপন
ঐছন করু পরবন্ধ॥
রতি সুখ-শেজ-                                আদি সমাপন
আন ছলে কয়ল পয়াণ।
অদভুত বৈদগধি                           অদভুত গুণগাণ
করু রাধামোহন গান॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
রাগ তাল দুহুঁ হৃদয়ে ধরলি
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২১৩ ।

॥ তথা রাগ তালৌ ॥

রাগ তাল দুহুঁ হৃদয়ে ধরলি তুহুঁ জানল বচনক রীতে ।
গ্রাম তিন স্বর বহুবিধ পরকার জানসি কত কত নীতে ॥
গুণবতি অতএ নিবেদএ তোয় ।
মধুর আলাপ শিখায়বি নিরজনে নিজ জন জানিয়া মোয় ॥ ধ্রু ॥
মুরলি ছোরি হাম নিকটহিঁ বৈঠব শীখব সুমধুর গান ।
গৌরি শ্যাম নট তব নহ দুরঘট হোয়ব মিলন সন্ধান ॥
মুখহিঁ মুখহিঁ যব তুহুঁ শিখায়বি হৃদয়ে ধরব তব হাম ।
ভণ রাধামোহন বচন রচন পুন ভালেসে জানএ শ্যাম ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ১ম পল্লব, স্বয়ং দৌত্য,
৬২২পদসংখ্যক পদ-রূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির
১০৯৫সংখ্যক পদ।

॥ গান্ধার॥

রাগ তাল দুহুঁ হৃদয়ে ধয়লি তুহুঁ
.                জানলু বচনক রীতে।
গ্রাম তিন স্বর বহুবিধ পরকার
.                জানসি কত কত নীতে॥
.                গুণবতি অতয়ে নিবেদিয়ে তোয়।
মধুর আলাপ শিখায়বি নিরজনে
.                নিজ জন জানিয়া মোয়॥ ধ্রু॥
মুরলি ছোড়ি হাম নিকটহি বৈঠব
.                শীখব সুমধুর গান।
গৌরি শ্যাম নট তব নহ দুরঘট
.                হোয়ব মিলন-সন্ধান॥
মুখহিঁ মুখহিঁ যব তুহুঁ শিখায়বি
.                হৃদয়ে ধরব তব হাম।
ভণ রাধামোহন বচন-রচন পুন
.                ভালে সে জানয়ে শ্যাম॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪২৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ গান্ধার॥

রাগ তাল দুহুঁ, হৃদয়ে ধরলি তুহুঁ, জানলু বচনক রীতে।
গ্রাম তিন স্বর, বহুবিধ পরকার, জানসি কত কত নীতে॥
গুণবতি অতয়ে নিবেদিয়ে তোয়।
মধুর আলাপ, শিখায়বি নিরজনে, নিজ জন জানিয়া মোয়॥
মুরলী ছারি হাম, নিকটহি বৈঠব, শিখব সুমধুর গান।
গৌরি শ্যাম নট, তব নহ দুরঘট, হোয়ব মিলন সন্ধান॥
মুখহিঁ মুখ যব, তুহুঁ শিখায়বি, হৃদয়ে ধরব হাম।
ভণ রাধামোহন, বচন-রচন পুন, ভালে সে জানয়ে শ্যাম॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”,
৪৩৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ গান্ধার॥

রাগ তাল দুহুঁ,                             হৃদয়ে ধয়লি তুহুঁ,
জানলু বচনক রীতে।
গ্রাম তিন স্বর,                             বহুবিধ পরকার,
জানসি কত কত নীতে॥
গুণবতি, অতয়ে নিবেদিয়ে তোয়।
মধুর আলাপ,                            শিখায়বি নিরজনে,
নিজ জন জানিয়া মোয়॥
মুরলী ছোরি হাম,                            নিকটহিঁ বৈঠব,
শিখব সুমধুর গান।
গোরী শ্যাম নট,                              তব নহ দুরঘট,
হোয়ব মিলন-সন্ধান॥
মুখহিঁ মুখ যব,                                তুহুঁ শিখায়বি,
হৃদয়ে ধরব তব হাম।
ভণ রাধামোহন,                                বচন-রচন পুন,
ভালে সে জানয়ে শ্যাম॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯১৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীকৃষ্ণের স্বয়ংদৌত্য
॥ গান্ধার॥

রাগ তাল দুহুঁ হৃদয়ে ধয়লি তুহুঁ
.                জানলু বচনক রীতে।
গ্রাম তিন স্বর বহুবিধ পরকার
.                জানসি কত কত নীতে॥
.                গুণবতি অতয়ে নিবেদিয়ে তোয়।
মধুর আলাপ শিখায়বি নিরজনে
.                নিজ জন জানিয়া মোয়॥ ধ্রু॥
মুরলি ছোড়ি হাম নিকটহি বৈঠব
.                শীখব সুমধুর গান।
গৌরি শ্যাম নট তব নহ দুরঘট
.                হোয়ব মিলন-সন্ধান॥
মুখহিঁ মুখহিঁ যব তুহুঁ শিখায়বি
.                হৃদয়ে ধরব তব হাম।
ভণ রাধামোহন বচন-রচন পুন
.                ভালে সে জানয়ে শ্যাম॥

ব্যাখ্যা -
তোমার কথার ছলে জানিলাম, তুমি (সঙ্গীতের) রাগ (অন্য অর্থে অনুরাগ) এবং তাল (সঙ্গীতের
যতি প্রভৃতি, অন্য অর্থে তাল ফলরূপ স্তনদ্বয়) হৃদয়ে ধারণ করিয়াছ। স্বরগ্রাম উদারা মুদারা তারার বহু
প্রকার (অন্য পক্ষে সম্ভোগ কালে কপোত কোকিলাদির কূজনানুকারী কলরবের) নীতি জান। গুণবতী
অতএব তোমাকে নিবেদন করি, নিজ জন জানিয়া নির্জ্জনে আমাকে মধুর আলাপ (রাগ রাগিণীর আলাপ,
অপর পক্ষে রসালাপ) শিখাইবে। মুরলী ছাড়িয়া আমি (বিলাস জন্য) তোমার নিকট বসিব, সুমধুর গান
শিখিব। (তোমার গুণগান করিব) তখন আর গৌরী শ্যাম নট রাগিণীর (অন্য অর্থে তুমি গৌরী আমি শ্যাম
নটরাজ আমাদের) মিলন দুর্ঘট হইবে না। মিলনের সন্ধান হইবে। মুখে মুখে (আমার মুখে মুখ রাখিয়া)
তুমি যখন শিখাইবে, আমি তখন (তোমাকে অমনই) হৃদয়ে ধারণ করিব। রাধামোহন বলিতেছেন - শ্যাম
বচন রচনা ভালই জানেন। --- হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, “বৈষ্ণব পদাবলী”॥

ই পদটি ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী ব্যাখ্যা সম্বলিত
মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ২য় খণ্ড, ৫৮৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীকৃষ্ণের উত্তর।
॥ সুহই - কাটা দশকুশী॥

রাগ তাল দুহুঁ হৃদয়ে ধয়লি তুহুঁ
.                জানলুঁ বচনক রীতে।
গ্রাম তিন স্বর বহুবিধ পরকার
.                জানসি কত কত নীতে॥
গুণবতি অতয়ে নিবেদিয়ে তোয়।
মধুর আলাপ শিখায়বি নিরজনে
.                নিজ জন জানিয়া মোয়॥ ধ্রু॥
মুরলি ছোড়ি হাম নিকটহি বৈঠব
.                শীখব সুমধুর গান।
গৌরি শ্যাম নট তব নহ দুরঘট
.                হোয়ব মিলন সন্ধান॥
মুখহিঁ মুখহিঁ যব তুহুঁ শিখায়বি
.                হৃদয়ে ধরব তব হাম।
ভণ রাধামোহন বচন রচন পুন
.                ভালে সে জানয়ে শ্যাম॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
রাধা কৃষ্ণ প্রেম রস ময় কলেবর
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও
বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৯১। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “রাধা
কৃষ্ণ রসময়-মূর্ত্তি কলেবর” শিরোনামে স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে।

॥ যথারাগতালৌ ॥

রাধা কৃষ্ণ প্রেম রস ময় কলেবর ।
শ্রীল শ্রী আচার্য্য প্রভু দয়ার সাগর ॥
অয়ে প্রভু দয়া কর মোরে ।
কাতর হইয়া কহি পাই বড় ডরে ॥
মোর মন অনিবার সেবিয়া বিষয় ।
যত পাপে ডুবাইল কহিল নাহয় ॥
তোমার সম্বন্ধ মোতে এইত বিচারে ।
কৃপা করি কর প্রভু আমার উদ্ধারে ॥
জয় জয় দীনবন্ধু পতিত পাবন ।
জয় জয় প্রেমদাতা দেহ প্রেমধন ॥
এই নিবেদন করোঁ চরণে তোমার ।
এ রাধামোহনের এবার করহ উদ্ধার ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং
সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড,
৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ, ৩৬শ পল্লব, প্রার্থনা, ৩০৯১সংখ্যক পদ হিসেবে এইরূপে দেওয়া
রয়েছে। এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত
বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯০১-পৃষ্ঠায় একইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তথা রাগ॥

রাধা কৃষ্ণ প্রেমরসময় কলেবর।
জয় শ্রীআচার্য্য প্রভু দয়ার সাগর॥
অয়ে প্রভু দয়াময় দয়া কর মোরে।
কাতর হইয়া ডাকি পাই বড় ডরে॥
মোর মন অনিবার সেবিয়া বিষয়।
যত পাপে ডুবাইল কহিল না হয়॥
তোমার সম্বন্ধ মোতে এই ত বিচার।
কৃপা করি কর প্রভু আমার উদ্ধার॥
জয় জয় দীন-বন্ধু পতিত-পাবন।
জয় জয় প্রেম-দাতা দেহ প্রেম-ধন॥
এই নিবেদন করোঁ চরণে তোমার।
এ রাধামোহনের এবার করহ উদ্ধার॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
“সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৪৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার
জন্য এই পদটিকে রাধা কৃষ্ণ প্রেমরসময় কলেবর” শিরোনামে স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া
হয়েছে।

॥ ধানশী॥

রাধা কৃষ্ণ রসময়মূর্ত্তি কলেবর।
জয় শ্রীআচার্য্য প্রভু দয়ার সাগর॥
অয়ে প্রভু দয়াময় দয়া কর মোরে।
কাতর হইয়া ডাকি পাই বড় ডরে॥
মোর মন অনিবার সেবিয়া বিষয়।
যত পাপে ডুবাইল কহিল না হয়॥
তোমার সম্বন্ধ মোতে এই ত বিচার।
কৃপা করি কর প্রভু আমার উদ্ধার॥
জয় জয় দীনবন্ধু পতিত পাবন।
জয় জয় প্রেমদাতা দেহ প্রেমধন॥
এই নিবেদন করি চরণে তোমার।
এ রাধামোহনের এবার করহ উদ্ধার॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-
পদলহরী”, ৪৩০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তথা রাগ॥

রাধা কৃষ্ণ রসময়-মূর্ত্তি কলেবর।
জয় শ্রীআচার্য্য প্রভু দয়ার সাগর॥
অয়ে প্রভু দয়াময় দয়া কর মোরে।
কাতর হইয়া ডাকি পাই বড় ডরে॥
মোর মন অনিবার সেবিয়া বিষয়।
যত পাপে ডুবাইল কহিল না হয়॥
তোমার সম্বন্ধ মোতে এই ত বিচার।
কৃপা করি কর প্রভু আমার উদ্ধার॥
জয় জয় দীনবন্ধু পতিত-পাবন।
জয় জয় প্রেম-দাতা দেহ প্রেম-ধন॥
এই নিবেদন করি চরণে তোমার।
এ রাধামোহনের এবার করহ উদ্ধার॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
রাধা কৃষ্ণ রসময়মূর্ত্তি কলেবর
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-
গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৪৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই
পদটিকে রাধা কৃষ্ণ প্রেমরসময় কলেবর” শিরোনামে স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে।

॥ ধানশী॥

রাধা কৃষ্ণ রসময়মূর্ত্তি কলেবর।
জয় শ্রীআচার্য্য প্রভু দয়ার সাগর॥
অয়ে প্রভু দয়াময় দয়া কর মোরে।
কাতর হইয়া ডাকি পাই বড় ডরে॥
মোর মন অনিবার সেবিয়া বিষয়।
যত পাপে ডুবাইল কহিল না হয়॥
তোমার সম্বন্ধ মোতে এই ত বিচার।
কৃপা করি কর প্রভু আমার উদ্ধার॥
জয় জয় দীনবন্ধু পতিত পাবন।
জয় জয় প্রেমদাতা দেহ প্রেমধন॥
এই নিবেদন করি চরণে তোমার।
এ রাধামোহনের এবার করহ উদ্ধার॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-
পদলহরী”, ৪৩০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তথা রাগ॥

রাধা কৃষ্ণ রসময়-মূর্ত্তি কলেবর।
জয় শ্রীআচার্য্য প্রভু দয়ার সাগর॥
অয়ে প্রভু দয়াময় দয়া কর মোরে।
কাতর হইয়া ডাকি পাই বড় ডরে॥
মোর মন অনিবার সেবিয়া বিষয়।
যত পাপে ডুবাইল কহিল না হয়॥
তোমার সম্বন্ধ মোতে এই ত বিচার।
কৃপা করি কর প্রভু আমার উদ্ধার॥
জয় জয় দীনবন্ধু পতিত-পাবন।
জয় জয় প্রেম-দাতা দেহ প্রেম-ধন॥
এই নিবেদন করি চরণে তোমার।
এ রাধামোহনের এবার করহ উদ্ধার॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও
বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৯১। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “রাধা
কৃষ্ণ রসময়-মূর্ত্তি কলেবর” শিরোনামে স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে।

॥ যথারাগতালৌ ॥

রাধা কৃষ্ণ প্রেম রস ময় কলেবর ।
শ্রীল শ্রী আচার্য্য প্রভু দয়ার সাগর ॥
অয়ে প্রভু দয়া কর মোরে ।
কাতর হইয়া কহি পাই বড় ডরে ॥
মোর মন অনিবার সেবিয়া বিষয় ।
যত পাপে ডুবাইল কহিল নাহয় ॥
তোমার সম্বন্ধ মোতে এইত বিচারে ।
কৃপা করি কর প্রভু আমার উদ্ধারে ॥
জয় জয় দীনবন্ধু পতিত পাবন ।
জয় জয় প্রেমদাতা দেহ প্রেমধন ॥
এই নিবেদন করোঁ চরণে তোমার ।
এ রাধামোহনের এবার করহ উদ্ধার ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং
সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড,
৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ, ৩৬শ পল্লব, প্রার্থনা, ৩০৯১সংখ্যক পদ হিসেবে এইরূপে দেওয়া
রয়েছে। এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত  বৈষ্ণব
পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯০১-পৃষ্ঠায় একইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তথা রাগ॥

রাধা কৃষ্ণ প্রেমরসময় কলেবর।
জয় শ্রীআচার্য্য প্রভু দয়ার সাগর॥
অয়ে প্রভু দয়াময় দয়া কর মোরে।
কাতর হইয়া ডাকি পাই বড় ডরে॥
মোর মন অনিবার সেবিয়া বিষয়।
যত পাপে ডুবাইল কহিল না হয়॥
তোমার সম্বন্ধ মোতে এই ত বিচার।
কৃপা করি কর প্রভু আমার উদ্ধার॥
জয় জয় দীন-বন্ধু পতিত-পাবন।
জয় জয় প্রেম-দাতা দেহ প্রেম-ধন॥
এই নিবেদন করোঁ চরণে তোমার।
এ রাধামোহনের এবার করহ উদ্ধার॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
রাধানাম কি কহিলে আগে
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও
বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৮২ ।

॥ তথারাগ তালাভ্যাং ॥

রাধানাম কি কহিলে আগে ।
শুনইতে মনমথ জাগে ॥
সখি কাহে কহলি উহ নাম ।
মন মাহা নাহি লাগে আন ॥ ধ্রু ॥
কহ তছু অনুপম রূপ ।
বুঝল মো অমিয়া স্বরূপ ॥
দেখইতে আঁখি করে আশ ।
কহ রাধামোহন দাস ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং
সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম
খণ্ড, ১ম শাখা, ৪র্থ পল্লব, শ্রীরাধাকৃষ্ণের পূর্ব্বরাগ, পদসংখ্যা ৭৮।

॥ তথা॥

রাধানাম কি কহিলে আগে।
শুনইতে মনমথ জাগে॥
সখি কাহে কহলি উহ নাম।
মন মাহা নাহি লাগে আন॥
কহ তছু অনুপম রূপ।
বুঝলম অমিয়া স্বরূপ॥
হেরইতে আঁখি করে আশ।
কহে রাধামোহন দাস॥

টীকা -
৩ - ৪। “সখি কাহে” ইত্যাদি। হে সখি! তুমি কি জন্য ঐ “রাধা” নাম কহিলে ?
(উহা শুনিয়া) মনে আর অন্য কিছুই (ভাল) লাগিতেছে না। তৃতীয় পংক্তির “সখি” শব্দটি
ছন্দের অনুরোধে স্বতন্ত্র পড়িতে হইবে অর্থাৎ ঐ “সখি” শব্দটির পরে একটু অধিক যতি
দিয়া তত্পরে “কাহে কহলি” ইত্যাদি পড়িতে হইবে। এই পদের  প্রত্যেক চরণে ১২টি
মাত্রা  আছে ; কেবল ৩য় পংক্তিতে “সখি” শব্দটি অতিরিক্ত। ধ্রুব-কলির আদিতে এইরূপ
অতিরিক্ত শব্দের প্রয়োগের দৃষ্টান্ত পদাবলী হইতে অনেক দেওয়া যাইতে পারে।
---সতীশচন্দ্র রায়, শ্রীশ্রীপদকল্পতরু॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
“সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪১৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহিনী॥

রাধা নাম কি কহিলে আগে।
শুনই মনমথ জাগে॥
সখি কাহে উহ নাম।
মন মাহা নাহি লাগে আন॥
কহ তছু অনুপম রূপ।
বুঝলমো অমিয়া স্বরূপ॥
হেরইতে আঁখি করে আশ।
কহে রাধামোহন দাস॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯১৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীকৃষ্ণের উক্তি
॥ তথা রাগ॥

রাধানাম কি কহিলে আগে।
শুনইতে মনমথ জাগে॥
সখি কাহে কহলি উহ নাম।
মন মাহা নাহি লাগে আন॥
কহ তছু অনুপম রূপ।
বুঝলম অমিয়া স্বরূপ॥
হেরইতে আঁখি করে আশ।
কহে রাধামোহন দাস॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
রাধানাম রসনদী বিহি নিরমাণ
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও
বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৬৬ ।

॥ ধানসী রাগ দশকোষী তালৌ ॥

রাধানাম রসনদী বিহি নিরমাণ ।
ত্রিভুবনে যাকর নাহিক সমান ॥
শুন শ্যামসিন্ধু জগজীবন নিধান ।
সোপদ বিনু তুহুঁ কেবল জড়জান ॥ ধ্রু ॥
লঙ্ঘন করল গুরুলোক ধরাবর ।
মিলব মনোরথ রতন আকর ॥
ভাঙ্গল নিজ কুল ধরম নিবন্ধ ।
ধবতরু পরিহর রাগহি অন্ধ ॥
বেগে ধাওল তুয়া পরশক রঙ্গে ।
বিমুখ করসি কাহে বাগ তরঙ্গে ॥
এতহুঁ শুনল যব বচন বিশেষ ।
দখিণ নয়ন মুদি কয়ল নিদেশ ॥
ধাই আওলু হাম কহিতে সম্বাদ ।
অব বিরমহ ধনি বিরহ বিষাদ ॥
করণিকা কুঞ্জে তুহুঁ করহ পয়ান
তঁহি রাধামোহন মিলায়ব কান ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
রাধা বয়স কহসি তুহুঁ থোর
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও
বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৮৪ ।

॥ বরাড়ী রাগ শেখর তালৌ ॥

রাধা বয়স কহসি তুহুঁ থোর ।
মনমাহা মনসিজ তব কাহে মোর ॥
ইথে যদি সজনি না কর নানা ছন্দ ।
বুঝলম সকল কহসি পুন বন্ধ ॥ ধ্রু॥
হামারি সপদি তোহে কহ কথি রূপ ।
শ্রবণ রসায়ণ আমিয়া স্বরূপ ॥
নামহিঁ যাক অবস ভেল অঙ্গ ।
কহ রাধামোহন প্রেমতরঙ্গ ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং
সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম
খণ্ড, ১ম শাখা, ৪র্থ পল্লব, শ্রীরাধাকৃষ্ণের পূর্ব্বরাগ, পদসংখ্যা ৮৪, এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীকৃষ্ণস্য উক্তিঃ।
॥ তথা॥

রাধা বয়স কহসি তুহুঁ থোর।
মন মাহা মনসিজ তব কাহে মোর॥
ইথে যদি সজনি কহসি নানা ছন্দ।
বুঝলম কহসি সকলি পুন ধন্দ॥
হামারি শপথি তোহে কহ কথি রূপ।
শ্রবণ-রসায়ন আমিয়া স্বরূপ॥
নামহি যাক অবশ ভেল অঙ্গ।
কহ রাধামোহন প্রেম-তরঙ্গ॥

ই পদটি শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থেরই ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড, ১ম শাখা, ৫ম
পল্লব, পূর্ব্বরাগ-বয়ঃসন্ধি-তে, পদসংখ্যা ১০৭ হিসেবে এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বরাড়ি॥

রাধা-বয়স কহসি তুহুঁ থোর।
মন মাহা মনসিজ তব কাহে মোর॥
ইথে যদি জানি করু নানা ছন্দ।
বুঝলম কহসি সকল পুন ধন্দ॥
হামারি শপথি তোহে কহ কথি রূপ।
শ্রবণ-রসায়ন আমিয়া স্বরূপ॥
নামহি যাক অবশ ভেল অঙ্গ।
কহ রাধামোহন প্রেমতরঙ্গ॥

টীকা -
৩ - ৪। “ইথে যদি” ইত্যাদি। যদি জানিয়াও ইহাতে (অর্থাৎ শ্রীরাধার প্রকৃত অবস্থা বর্ণনে)
নানা প্রকার কর অর্থাৎ নানা ভাবের কথা বল, (তবে) জানিলাম যে, সকল কথাই ধাঁধা
বলিতেছ অর্থাৎ আমার ভ্রম জন্মাইবার উদ্দেশ্যে মিথ্যা কথা কহিতেছ।
---সতীশচন্দ্র রায়, পদকল্পতরু॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
“সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪১৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহিনী॥

রাধা বয়স কহসি তুহুঁ থোর।
মন মাহা মনসিজ তব কাহে মোর॥
ইথে যদি সজনি কহসি নানা ছন্দ।
বুঝলমো কহসি সকল পুন ধন্দ॥
হামারি শপথি তোহে কহ কথি রূপ।
শ্রবণ-রসায়ন আমিয়া স্বরূপ॥
নামহি যাক অবশ ভেল অঙ্গ।
কহ রাধামোহন প্রেমতরঙ্গ॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
“সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪১৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বরাড়ী॥

রাধা বয়স হেরি তুহুঁ থোর।
মন মাহা মনসিজ তব কাহে মোর॥
ইথে যদি জানি করু নানা ছন্দ।
বুঝলমো কহসি সকল পুন ধন্দ॥
হামারি শপথি তোহে কহ কথি রূপ।
শ্রবণ-রসায়ন আমিয়া স্বরূপ॥
নামহি যাক অবশ ভেল অঙ্গ।
কহ রাধামোহন প্রেমতরঙ্গ॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯১৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বরাড়ি॥

রাধা-বয়সে কহসি তুহুঁ থোর।
মন মাহা মনসিজ তব কাহে মোর॥
ইথে যদি জানি করু নানা ছন্দ।
বুঝলম কহসি সকল পুন ধন্দ॥
হামারি শপথি তোহে কহ কথি রূপ।
শ্রবণ রসায়ন আমিয়া স্বরূপ॥
নামহি যাক অবশ ভেল অঙ্গ।
কহ রাধামোহন প্রেমতরঙ্গ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
রাধা বলি নাচে গোরা রাধা বলি গায়
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-
তরঙ্গিণী”, ১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৮৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীরাগ - বড় দশকুশী॥

রাধা বলি নাচে গোরা রাধা বলি গায়।
হা রাধা হা রাধা বলি ইতি উতি ধায়॥
রাধা বলি গোরা মোর নেত্রনীরে ভাসে।
রাধা বলি ক্ষণে কাঁদে ক্ষণে ক্ষণে হাসে॥
রাধা রাধা বলি গোরা করয়ে হুঙ্কার।
দেহ রে সুবল মোর রাধা প্রমাধার॥
মোহন মুরলী মোর রাধা নামে সাধা।
দেহ রে মুরলী করে ডাকি রাধা রাধা॥
মরম জানহ ভাই এবে কেন দেরি।
দেখা রে রাধায় আনি নৈলে প্রাণে মরি॥
প্রভু লৈয়া গৌরীদাস নামিলেন জলে।
ছায়া দেখাইয়া অই তব রাধা বলে॥
নিজ মুখ প্রতিবিম্বে ভাবি রাধামুখ।
প্রেমধারা বহে চিতে উপজিল সুখ॥
এ রাধামোহনে কহে গৌরীদাস বিনে।
মনের মরম পহুঁর আর কেবা জানে॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-
পদলহরী”, ৪৫৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীরাগ - বড় দশকুশী॥

রাধা বলি নাচে গোরা রাধা বলি গায়।
হা রাধা হা রাধা বলি ইতি উতি চায়॥
রাধা বলি গোরা মোর নেত্রনীরে ভাসে।
রাধা বলি ক্ষণে কাঁদে ক্ষণে ক্ষণে হাসে॥
রাধা রাধা বলি গোরা করয়ে হুঙ্কার।
দেহ রে সুবল মোর রাধাপ্রমাধার॥
মোহন মুরলি মোর রাধা নামে সাধা।
দেহ রে মুরলি করে ডাকি রাধা রাধা॥
মরম জানহ ভাই এবে কেন দেরি।
দেখারে রাধায় আনি নৈলে প্রাণে মরি॥
প্রভু লৈয়া গৌরীদাস নামিলেন জলে।
ছায়া দেখাইয়া অই তব রাধা বলে॥
নিজ মুখ প্রতিবিম্বে ভাবি রাধামুখ।
প্রেমধারা বহে চিতে উপজিল সুখ॥
এ রাধামোহন কহে গৌরীদাস বিনে।
মনের মরম পহুঁর আর কেবা জানে॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
রাধামাধব করু রস-পুঞ্জে
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ১৩শ
পল্লব, অভিসারোত্কণ্ঠা, ৯৯৮পদসংখ্যক পদ-রূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তথা রাগ॥

রাধামাধব করু রস-পুঞ্জে।
হিম-ঋতু-দিনহিঁ মিলল দুহুঁ কুঞ্জে॥
নিবিড় আলিঙ্গনে শীত নিবার।
এক মুখে ঘাম আরে শিতকার॥
ঐছনে কতহুঁ করত সঞ্চার।
সুরত-পয়োনিধি দুহুঁ ভেল পার॥
দুহুঁকর গুণ দুহুঁ করু পরশংস।
রাধামোহন-পহু দুহুঁ অবতংস॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
“সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪২৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী॥

রাধামাধব করু রস-পুঞ্জে।
হিম-ঋতু-দিনহিঁ মিলল দুহুঁ কুঞ্জে॥
নিবিড় আলিঙ্গনে শীত অনিবার।
এক মুখে ঘাম আর শীতকার॥
ঐছনে কতহুঁ করত সঞ্চার।
সুরত-পয়োনিধি দুহুঁ ভেল পার॥
দুহুঁকগণ দুহুঁ জন পরশংস।
রাধামোহন পহু দুহুঁ অবতংস॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-
পদলহরী”, ৪৪০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তথা রাগ॥

রাধামাধব করু রস-পুঞ্জে।
হিম-ঋতু-দিনহিঁ মিলল দুহুঁ কুঞ্জে॥
নিবিড় আলিঙ্গনে শীত অনিবার।
এক মুখে ঘাম আর শিতকার॥
ঐছনে কতহুঁ করত সঞ্চার।
সুরত-পয়োনিধি দুহুঁ ভেল পার॥
দুহুঁকগণ দুহুঁ জন পরশংস।
রাধামোহন পহুঁ দুহুঁ অবতংস॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯২১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

হিমাকালোচিত মিলন
॥ তথা রাগ॥

রাধামাধব করু রস-পুঞ্জে।
হিম-ঋতু-দিনহিঁ মিলল দুহুঁ কুঞ্জে॥
নিবিড় আলিঙ্গনে শীত নিবার।
এক মুখে ঘাম আরে শিতকার॥
ঐছনে কতহুঁ করত সঞ্চার।
সুরত-পয়োনিধি দুহুঁ ভেল পার॥
দুহুঁকর গুণ দুহুঁ করু পরশংস।
রাধামোহন-পহু দুহুঁ অবতংস॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর