কবি রাধামোহন ঠাকুরের বৈষ্ণব পদাবলী
*
শতবর পুট পাক তাপক সার  
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত
এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৩৬৫ ।

॥ ধানশীরাগ নন্দন তালাভ্যাং ॥

শতবর পুট পার তাপক সার় ।
পিয়াক বিরহ আগে কিবা সেই ছার ॥
কোটিকাল কুটবর ক্ষোভক যোই ।
পিয়াক বিরহ আগে তৃণ নহ সোই ॥
বজরপাত শত সহইতে পারি ।
পিয়াক বিরহ হাম সহই না পারি ॥
হৃদয়ে মগন শেল সেহ সহি যায় ।
পিয়াক বিরহ তভো সহনে না যায় ॥
বড়ই বিসুচি হৈতে ইহ বলবান্ ।
মরম ভেদই মোর না সহে পরাণ ॥
ঐছন কত কহ বিরহ বেয়াধি ।
রাধামোহন পহুঁ শুন ইহ আধি ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
শুন ইতে গৌরাঙ্গ খেদ
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত
এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৩৩২ ।

॥ সুহই রাগ নন্দন তালৌ ॥

শুন ইতে গৌরাঙ্গ খেদ ।
মঝু বুক নহ কাহে ভেদ॥
রোই কহই শুন মাই ।
বিরহ জরহি জরি যাই ॥
পুট পাক শত গুণ লেখ ।
মঝু তাপ আগে কোই রেখ ॥
কাল কুট শত গুণ মান ।
সো নহ অছুক সমান ॥
বজরক শত গুণ আগি ।
সেহ ইহ আগে রহু ভাগি ॥
হৃদয় নিমগন শেল ।
তা সঞে অধিকহি ভেল ॥
শত গুণ বিসুচি বেয়াধি ।
তা সঞে ইহ বড় আধি॥
গৌরক শুন ইহ ভাষ ।
ভণ রাধা মোহন দাস ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং
সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড,
৪র্থ শাখা, ১১শ পল্লব, দশ দশা, ১৯০৯সংখ্যক পদ। এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত,
হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯০৯-পৃষ্ঠায়
একইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহই॥

শুনইতে গৌরাঙ্গ-খেদ।
মঝু বুক নহে কাহে ভেদ॥
রোই কহয়ে শুন মাই।
বিরহ-জ্বরহি জ্বরি যাই॥
পুট-পাক শত-গুণ লেখ।
মঝু তাপ আগে সোই রেখ॥
কালকুট শত-গুণ মান।
সো নহ অছুক সমান॥
বজরক শত-গুণ আগি।
সেহ ইহ আগে রহু ভাগি॥
হৃদয়-নিমগন শেল।
তা সঞে অধিকহি ভেল॥
শত গুণ বিসুচি বেয়াধি।
তা সঞে ইহ বড় আধি॥
গৌরক শুনি ইহ ভাষ।
ভণ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত,
বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব
চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত,
“শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৪২৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ রাগিণী সুহই॥

সুনইতে গৌরাঙ্গ-খেদ। মঝু বুক লহ কাহে ভেদ॥
রোই কহই সুন মাই। বিরহ জ্বরহি জরি জাই॥
পুটপাক শতগুণ লেখ। মঝু তাপো আগে সোই রেখ॥
কালকুট শতগুণ মান। সো নহ অছুক সমান॥
বজরক শতগুণ আগী। সেহ ইহ আগে রহু ভাগি॥
হৃদয়ে নিমগন শেল। তা সঞে অধিকহি ভেল॥
শতগুণে বিসুচীয়ে আধী। তা সঞে ইহ বড় আধি॥
গৌরক সুনি ইহ ভাষ। ভণ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
“সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৩৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহই॥

শুনইতে গৌরাঙ্গ-খেদ।
মঝু বুক নহে কাঁহে ভেদ॥
রোই কহই শুন মাই।
বিরহ-জ্বরহি জ্বরি যাই॥
পুটপাক শত গুণ লেখ।
মঝু তাপ আগে সোই রেখ॥
কালকূট শত গুণ মান।
সো নহ অছুক সমান॥
বজরক শত গুণ আগি।
বোই ইহ আগেহুঁ ভাগি॥
হৃদয় নিমগন শেল।
তা সঞে অধিকহি ভেল॥
শত গুণ বিসূচী বেয়াধি।
তা সঞে ইহ বড় আধি॥
গৌরক শুনি ইহ ভাষ।
ভণ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন
“শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, ১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২০৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহই॥

শুনইতে গৌরাঙ্গ খেদ। মঝু বুক নহে কাহে ভেদ॥
রোই কহয়ে শুন মাই। বিরহ জ্বরহি জ্বরি যাই॥
পুটপাক শত গুণ লেখ। মঝু তাপ আগে সোই রেখ॥
কালকূট শত গুণ মান। সো নহ অছুক সমান॥
বজরক শত গুণ আগি। সেই ইহ আগে রহুঁ ভাগি॥
হৃদয় নিমগন শেল। তসঞে অধিকহি ভেল॥
শতগুণ বিসুচি বেয়াধি। তাসঞে ইহ বড় আধি॥
গৌরক শুনি ইহ ভাষ। ভণ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-
পদলহরী”, ৪৪৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহই॥

শুনইতে গৌরাঙ্গ-খেদ।
মঝু বুক নহে কাঁহে ভেদ॥
রোই কহয়ে শুন মাই।
বিরহ-জ্বরহি জ্বরি যাই॥
পুট পাক শত গুণ লেখ।
মঝু তাপ আগে সোই রেখ॥
কালকূট শত গুণ মান।
সো নহ অছুক সমান॥
বজরক শত গুণ আগি।
সোই ইহ আগেহুঁ ভাগি॥
হৃদর-নিমগন শেল।
তা সঞে অধিকহি ভেল॥
শত গুণ বিসূচী বেয়াধি।
তা সঞে ইহ বড় আধি॥
গৌরক শুনি ইহ ভাষ।
ভণ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী টীকা সম্বলিত মহাজন
পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৪র্থ খণ্ড, ২২৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

ব্যধি দশা
শ্রীগৌরচন্দ্র
॥ সুহই - কাটা দশকুশী॥

শুনইতে গৌরাঙ্গ খেদ।
মঝু বুক নহ কাহে ভেদ॥
রোই কহয়ে শুন মাই।
বিরহ-জ্বরহি জরি যাই॥
পুটপাক শতগুণ লেখ।
মঝু তাপ আগে সোই রেখ॥
কালকুট শত গুণ মান।
সো নহ অছুক সমান॥
বজরক শত গুণ আগি।
সেহ ইহ আগে রহু ভাগি॥
হৃদয় নিমগন শেল।
তা সঞে অধিকহি ভেল॥
শত গুণ বিসুচি বেয়াধি।
তা সঞে ইহ বড় আধি॥
গৌরক শুনি ইহ ভাষ।
ভণ রাধা মোহন দাস॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯০৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহই॥

শুনইতে গৌরাঙ্গ-খেদ।
মঝু বুক নহে কাহে ভেদ॥
রোই কহয়ে শুন মাই।
বিরহ-জ্বরহি জ্বরি যাই॥
পুট-পাক শত-গুণ লেখ।
মঝু তাপ আগে সোই রেখ॥
কালকুট শত-গুণ মান।
সো নহ অছুক সমান॥
বজরক শত-গুণ আগি।
সেহ ইহ আগে রহু ভাগি॥
হৃদয়-নিমগন শেল।
তা সঞে অধিকহি ভেল॥
শত গুণ বিসুচি বেয়াধি।
তা সঞে ইহ বড় আধি॥
গৌরক শুনি ইহ ভাষ।
ভণ রাধামোহন দাস॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
শুন মাধব কি কহব রাইক তাপ
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৩১১ ।

॥ শ্রীরাগ কন্দর্প তালৌ ॥

শুন মাধব কি কহব রাইক তাপ ।
কত বেরি মুরছই কতবেরি কত বিধ করত প্রলাপ ॥ ধ্রু ॥
খেনে অছু কহই দেখ ইহ শামর মথুরা নাগর ধূত ।
উঠি বেগে বান্ধহ মুকুতা লতিকা পাশে নাহি যায় করিয়া আকুত ॥
ঐছন কতবিধ করু তুয়া অনুভব প্রেমহি কত উনমাদ ।
হেরইতে ঐছন কান্দএ সখিগণ কত শত করত বিষাদ ॥
এ সব বিপতি সময় ব্রজনন্দন যাই সকল কর দূর ।
রাধামোহন পহুঁ দীনদয়াল তহুঁ সকল মনোরথ পূর ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ৬ষ্ঠ পল্লব, দূতী-
সংবাদ, ১৬৮৯সংখ্যক পদ। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির ৯১২সংখ্যক পদ।

॥ শ্রীরাগ॥

শুন মাধব কি কহব রাইক তাপ।
কত বেরি মুরছই কত বেরি বিলপই
কতবিধ করত প্রলাপ॥ ধ্রু॥
খেণে অছু কহই দেখ ইহ শ্যামর
মথুরা-নাগর ধূত।
উঠি বেগে বান্ধহ ললিত-মুকুতা-পাশে
নাহি যায় করিয়া আকূত॥
ঐছন কতবিধ করু তুয়া অনুভব
প্রেমহি কত উনমাদ।
হেরইতে ঐছন কান্দয়ে সখিগণ
কত শত করত বিষাদ॥
এ সব বিপতি-সময় ব্রজনন্দন
যাই সকল কর দূর।
রাধামোহন-পহুঁ দীন-দয়াল তুহুঁ
সকল মনোরথ পূর॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৩৭২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ রাগিণী শ্রীরাগ তাল সমুচিত॥

সুন মাধব কি কহব রাইক তাপ।
কত বেরি মুরূছি কত বেরি বিলপই কতবিধ করত প্রলাপ॥
ক্ষেণে অছু কহই দেখ ইহ শামর মথুরা নাগর ধৃত।
উঠে বেগে বান্ধহ মুকুতা লতিকা পাশে নাহি জায় করিআ কৃত॥
ঐছন কত বিধ করূতুয়া অনুভব প্রেমহি কত উনমাদ।
রাধামোহন পহু দীনদয়াল তুহু সকল মনোরথপূর॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪৩৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীরাগ॥

শুন মাধব কি কহব রাইক তাপ।
কত বেরি মুরছই, কত বেরি বিলপই, কতবিধ করত প্রলাপ॥
খেণে অছু কহই, দেখ ইহ শ্যামর, মথুরা নাগর ধূত।
উঠি বেগে বান্ধহ, মুকুতা-ললিত-পাশে, নাহি যায় করিয়া আকুত॥
ঐছন কতবিধ, করু তুয়া অনুভব, প্রেমহি কত উনমাদ।
হেরইতে ঐছন, কান্দয়ে সখীগণ, কত শত করত বিষাদ॥
এ সব বিপতি-সময় ব্রজনন্দন, যাই সকল কর দূর।
রাধামোহন পহুঁ, দীন-দয়াল, তুহুঁ সকল মনোরথ পূর॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৪৪-
পৃষ্ঠায় পুনঃ এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীরাগ॥

শুন মাধব কি কহব রাইক তাপ।
কত বেরি মূরছই,                   কত বেরি বিলপই,
কতবিধ করত প্রলাপ॥
খেণে অছু কহই,                        দেখ ইহ শ্যামর,
মথুরা-নাগর ধূত।
উঠি বেগে বান্ধহ,                মুকুতা-লতিকা-পাশে,
নাহি যায় করিয়া আকুত॥
ঐছন কতবিব,                      করু তুয়া অনুভব,
প্রেমহি কত উনমাদ।
হেরইতে ঐছন,                        কান্দয়ে সখীগণ,
কত শত করত বিষাদ॥
এ সব বিপতি,                          সময় ব্রজনন্দন,
যাই সকল কর দূর।
রাধামোহন পহুঁ,                         দীন-দয়াল তুহুঁ,
সকল মনোরথ পূর॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯২৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

দূতী সংবাদ
॥ শ্রীরাগ॥

শুন মাধব কি কহব রাইক তাপ।
কত বেরি মুরছই কত বেরি বিলপই
কতবিধ করত প্রলাপ॥
খেণে অছু কহই দেখ ইহ শ্যামর
মথুরা-নাগর ধূত।
উঠি বেগে বান্ধহ ললিত-মুকুতা-পাশে
নাহি যায় করিয়া আকূত॥
ঐছন কতবিধ করু তুয়া অনুভব
প্রেমহি কত উনমাদ।
হেরইতে ঐছন কান্দয়ে সখিগণ
কত কত করত বিষাদ॥
এ সব বিপতি সময় ব্রজনন্দন
যাই সকল করু দূর।
রাধামোহন-পহুঁ দীন-দয়াল তুহুঁ
সকল মনোরথ পূর॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী টীকা সম্বলিত মহাজন পদাবলী
“শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৪র্থ খণ্ড, ৯৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীরাগ॥

শুন মাধব কি কহব রাইক তাপ।
কত বেরি মুরছই                      কত বেরি বিলপই
কতবিধ করত প্রলাপ॥
খেণে অছু কহই                             দেখ ইহ শ্যামর
মথুরা-নাগর ধূত।
উঠি বেগে বান্ধহ                       ললিত-মুকুতা-পাশে
নাহি যায় করিয়া আকূত॥
ঐছন কতবিধ করু                            তুয়া অনুভব
প্রেমহি কত উনমাদ।
হেরইতে ঐছন                              কান্দয়ে সখিগণ
কত কত করত বিষাদ॥
এ সব বিপতি-                                সময় ব্রজনন্দন
যাই সকল কর দূর।
রাধামোহন পহুঁ                                দীন-দয়াল তুহুঁ
সকল মনোরথ পূর॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
শুন শুন সুন্দর শ্যাম
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও
বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৩৪৪। প্রথম পংক্তির বানানের ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে
“সুন সুন সুন্দর শ্যাম” শিরোনামে স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে।

অথ প্রলাপ॥
॥ ধানসী রাগ কন্দর্প তালৌ॥

শুন শুন সুন্দর শ্যাম ।
রাইক প্রেম পরিণাম ॥ ধ্রু ॥
তুহারি দরশ লাগি সোই ।
সখি আগে পুন পুন রোই ॥
কহই দেখাও প্রাণনাথ ।
অবহিঁ মিলাও মঝু সাথ ॥
তুহারি অবশ নহ শ্যাম ।
সাধহ হামারি মন কাম ॥
ঐছন শুনইতে বাত ।
পরিজন হৃদি শেল ঘাত ॥
কহইতে আওলুঁ হাম ।
রাধামোহন পহুঁ ঠাম ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং
সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড,
৪র্থ শাখা, ১১শ পল্লব, দশ দশা, ১৯০৭সংখ্যক পদ।

॥ ধানশী॥

শুন শুন সুন্দর শ্যাম।
রাইক প্রেম-পরিণাম॥
তোহারি দরশ লাগি সোই।
সখি-আগে পুন পুন রোই॥
কহই দেখাও প্রাণ-নাথ।
অবহুঁ মিলাও মঝু সাথ॥
তোহারি অবশ নহ শ্যাম।
সাধহ হামারি মনকাম॥
ঐছন শুনইতে বাত।
পরিজন-হৃদি শেল-ঘাত॥
কহইতে আওলুঁ হাম।
রাধামোহন-পহুঁ ঠাম॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
“সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৩৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী॥

শুন শুন সুন্দর শ্যাম।
রাইক প্রেম-পরিণাম॥
তোহারি দরশ লাগি সোই।
সখা আগে পুন পুন রোই॥
কহই দেখাও প্রাণনাথ।
অবহুঁ মিলাও মঝু সাথ॥
তোহারি অবশ নহ শ্যাম।
সাধহ হামারি মনস্কাম॥
ঐছন শুনইতে বাত।
পরিজন হৃদি শেলাঘাত॥
কহইতে আওনু হাম।
রাধামোহন পহুঁ ঠাম॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-
পদলহরী”,
৪৪৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী॥

শুন শুন সুন্দর শ্যাম।
রাইক প্রেম-পরিণাম॥
তোহার দরশ লাগি সোই।
সখী আগে পুন পুন রোই॥
কহই দেখাও প্রাণনাথ।
অবহুঁ মিলাও মঝু সাথ॥
তোহারি অবশ নহ শ্যাম।
সাধহ হামারি মনকাম॥
ঐছন শুনইতে বাত।
পরিজন-হৃদি শেলাঘাত॥
কহইতে আওনু হাম।
রাধামোহন পহুঁ ঠাম॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯২৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী॥

শুন শুন সুন্দর শ্যাম।
রাইক প্রেম পরিণাম॥
তোহারি দরশ লাগি সোই।
সখি-আগে পুন পুন রোই॥
কহই দেখাও প্রাণ-নাথ।
অবহুঁ মিলাও মঝু সাথ॥
তোহারি অবশ নহ শ্যাম।
সাধহ হামারি মনকাম॥
ঐছন শুনইতে বাত।
পরিজন-হৃদি শেল-ঘাত॥
কহইতে আওলুঁ হাম।
রাধামোহন-পহুঁ ঠাম॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী টীকা সম্বলিত মহাজন
পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৪র্থ খণ্ড, ২২২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী - দুঠুকী॥

শুন শুন সুন্দর শ্যাম।
রাইক প্রেম পরিণাম॥
তোঁহারি দরশ লাগি সোই।
সখী আগে পুন পুন রোই॥
কহই দেখাও প্রাণনাথ।
অবহু মিলাও মঝু সাথ॥
তোঁহারি অবশ নহ শ্যাম।
সাধহ আমারি মনকাম॥
ঐছন শুনইতে বাত।
পরিজন হৃদি শেলাঘাত॥
কহইতে আয়লুঁ হাম।
রাধামোহন পহু ঠাম॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে
অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ
থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত
ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৪২৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। প্রথম পংক্তির
বানানের ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “শুন শুন সুন্দর শ্যাম” শিরোনামে স্বতন্ত্র পদ
হিসেবেও দেওয়া হয়েছে।

॥ রাগিণী ধানশ্রী॥ তালোচিত॥

সুন সুন সুন্দর শ্যাম। রাইক প্রেম পরিণাম॥
তোহারি দরস লাগি সোই। সখী আগে পুনপুন রোই॥
কহই দেখাও প্রাণনাথ। সদাই রহই জার সাঁথ॥
তোহারি অবস নাহি শ্যাম। সাধহ হামারি মনকাম॥
ঐছন সুনইতে বাত। পরিজন হৃদি শেলঘাত॥
কহইতে আয়লু হাম। রাধামোহন পহু ঠাম॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
সুন সুন সুন্দর শ্যাম
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময়
মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”,
৪২৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। প্রথম পংক্তির বানানের ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে
“শুন শুন সুন্দর শ্যাম” শিরোনামে স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে।

॥ রাগিণী ধানশ্রী॥ তালোচিত॥

সুন সুন সুন্দর শ্যাম। রাইক প্রেম পরিণাম॥
তোহারি দরস লাগি সোই। সখী আগে পুনপুন রোই॥
কহই দেখাও প্রাণনাথ। সদাই রহই জার সাঁথ॥
তোহারি অবস নাহি শ্যাম। সাধহ হামারি মনকাম॥
ঐছন সুনইতে বাত। পরিজন হৃদি শেলঘাত॥
কহইতে আয়লু হাম। রাধামোহন পহু ঠাম॥

ই পদটি দ্বিজ আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত
ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৩৪৪। প্রথম পংক্তির বানানের ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে
“সুন সুন সুন্দর শ্যাম” শিরোনামে স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে।

অথ প্রলাপ॥
॥ ধানসী রাগ কন্দর্প তালৌ॥

শুন শুন সুন্দর শ্যাম ।
রাইক প্রেম পরিণাম ॥ ধ্রু ॥
তুহারি দরশ লাগি সোই ।
সখি আগে পুন পুন রোই ॥
কহই দেখাও প্রাণনাথ ।
অবহিঁ মিলাও মঝু সাথ ॥
তুহারি অবশ নহ শ্যাম ।
সাধহ হামারি মন কাম ॥
ঐছন শুনইতে বাত ।
পরিজন হৃদি শেল ঘাত ॥
কহইতে আওলুঁ হাম ।
রাধামোহন পহুঁ ঠাম ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং
সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড,
৪র্থ শাখা, ১১শ পল্লব, দশ দশা, ১৯০৭সংখ্যক পদ।

॥ ধানশী॥

শুন শুন সুন্দর শ্যাম।
রাইক প্রেম-পরিণাম॥
তোহারি দরশ লাগি সোই।
সখি-আগে পুন পুন রোই॥
কহই দেখাও প্রাণ-নাথ।
অবহুঁ মিলাও মঝু সাথ॥
তোহারি অবশ নহ শ্যাম।
সাধহ হামারি মনকাম॥
ঐছন শুনইতে বাত।
পরিজন-হৃদি শেল-ঘাত॥
কহইতে আওলুঁ হাম।
রাধামোহন-পহুঁ ঠাম॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
“সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৩৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী॥

শুন শুন সুন্দর শ্যাম।
রাইক প্রেম-পরিণাম॥
তোহারি দরশ লাগি সোই।
সখা আগে পুন পুন রোই॥
কহই দেখাও প্রাণনাথ।
অবহুঁ মিলাও মঝু সাথ॥
তোহারি অবশ নহ শ্যাম।
সাধহ হামারি মনস্কাম॥
ঐছন শুনইতে বাত।
পরিজন হৃদি শেলাঘাত॥
কহইতে আওনু হাম।
রাধামোহন পহুঁ ঠাম॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-
পদলহরী”,
৪৪৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী॥

শুন শুন সুন্দর শ্যাম।
রাইক প্রেম-পরিণাম॥
তোহার দরশ লাগি সোই।
সখী আগে পুন পুন রোই॥
কহই দেখাও প্রাণনাথ।
অবহুঁ মিলাও মঝু সাথ॥
তোহারি অবশ নহ শ্যাম।
সাধহ হামারি মনকাম॥
ঐছন শুনইতে বাত।
পরিজন-হৃদি শেলাঘাত॥
কহইতে আওনু হাম।
রাধামোহন পহুঁ ঠাম॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯২৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী॥

শুন শুন সুন্দর শ্যাম।
রাইক প্রেম পরিণাম॥
তোহারি দরশ লাগি সোই।
সখি-আগে পুন পুন রোই॥
কহই দেখাও প্রাণ-নাথ।
অবহুঁ মিলাও মঝু সাথ॥
তোহারি অবশ নহ শ্যাম।
সাধহ হামারি মনকাম॥
ঐছন শুনইতে বাত।
পরিজন-হৃদি শেল-ঘাত॥
কহইতে আওলুঁ হাম।
রাধামোহন-পহুঁ ঠাম॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী টীকা সম্বলিত মহাজন
পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৪র্থ খণ্ড, ২২২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী - দুঠুকী॥

শুন শুন সুন্দর শ্যাম।
রাইক প্রেম পরিণাম॥
তোঁহারি দরশ লাগি সোই।
সখী আগে পুন পুন রোই॥
কহই দেখাও প্রাণনাথ।
অবহু মিলাও মঝু সাথ॥
তোঁহারি অবশ নহ শ্যাম।
সাধহ আমারি মনকাম॥
ঐছন শুনইতে বাত।
পরিজন হৃদি শেলাঘাত॥
কহইতে আয়লুঁ হাম।
রাধামোহন পহু ঠাম॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
শুন সুন্দরী আর কত মন বাঢায়সি ভোর
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত
এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২০৩ ।

॥ নট রাগ দশকোশী তালাভ্যাং ॥

শুন সুন্দরি আর কত মান বাঢায়সি ভোর ।
সো নব নাগর কাতর অন্তর সঘন নয়নে ঝরু লোর ॥
তুয়া বিনু কুসুম শয়নে ঘন কাঁপই ঘন ঘন বহত নিশাস ।
তুহাঁরি পরশ বিনু ঘামই সব তনু খরতর বিরহ হুতাশ ॥
তুয়া বিনু আন মনহি নাহি জানত তুয়া গুণগণ করু গান ।
তুহাঁরি পরশ লাগি সাধই অনখন লোরহি করত সিনান ॥
যত কছু বিপতি গণই না পারিএ কো করু কতশত লেখ ।
রাধামোহন পহুঁ সাধনা মানিয়া অভিসরি দেখ পরতেক ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
শুনি হসি শশি-মুখী লাজহি কুঞ্চিত
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৪৬-পৃষ্ঠা।

॥ বালা ধানশী॥

শুনি হসি শশি-মুখী,                         লাজহি কুঞ্চিত,
অবনত করত বয়ান।
জীউইতে উপবাসী,                           দারিদ যৈছন,
মাগয়ে ভোজন পান॥
দেখ দেখ বৈদগধি-রঙ্গ।
কামকলা-গুরু,                             রসিক-শিরোমণি,
না ছোড়ই সো রস ঢঙ্গ॥
পাদ পরশি পুন,                               রাই মানাওল,
নিজসুখ বহুত জানাই।
ভণ রাধামোহন,                        তছু সুখে সুখী উহ,
অতয়ে সে হোত বাধাই॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
শেষ রজনী মাহা সূতল শচীসুত
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৭৬ ।

অথ রসালসঃ॥
তদুচিত গৌরচন্দ্র যথা ॥

শেষ রজনী মাহা সূতল শচীসুত ততহিঁ ভাবে ভেল ভোর ।
সপন জাগর কিএ দুহুঁ নাহি সমুঝিএ নয়নহি আনন্দ লোর ॥
অনুমানে বুঝহ রঙ্গ ।
যৈছন গোকুল নায়ক কোরহি নায়রি শয়ন বিভঙ্গ ॥ ধ্রু ॥
বাম চরণ ভুজ পুন পুন আগোরই জাতই দক্ষিণ পাশ ।
তৈছন বচন কহত পুন আঁখি মুদি বসন রসালস হাস ॥
যাকর ভাব প্রকট নন্দ সুত গৌর বরণ পরকাশ ।
সতত নবদ্বীপে সোই বিথারই কহ রাধামোহন দাস ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ, ৩০শ পল্লব,
অষ্টকালীয় নিত্য-লীলা, ২৭৪২সংখ্যক পদ।

অথালস-নিদ্রা-লীলা।
শ্রীগৌরচন্দ্রো যথা॥
॥ তথা রাগ॥

শেষ-রজনি মাহা                        শূতল শচি-সুত
ততহিঁ ভাবে ভেল ভোর।
স্বপন জাগর কিয়ে                     দুহুঁ নাহি সমুঝই
নয়নহি আনন্দ-লোর॥
অনুমানে বূঝহ রঙ্গ।
যৈছন গোকুল-                            নায়ক-কোরহি
নায়রি-শয়ন-বিভঙ্গ॥ ধ্রু॥
বাম চরণ ভুজ                       পুন পুন আগোরই
যাঁতই দক্ষিণ পাশ।
তৈছন বচন                      কহত পুন আঁখি মুদি
বসন রসাল সহাস॥
যাকর ভাবহি                          প্রকট নন্দ-সুত
গৌর-বরণ পরকাশ।
সতত নবদ্বিপে                          সোই বিথারই
কহ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ২৬৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ নিদ্রাবিলাস তত্র গৌরচন্দ্র॥

শেষ রজনী মাহা সুতল শচীসুত ততহি ভাবে ভেল ভোর।
সপন জাগর কিএ দুহুঁ নাহি সমুঝিএ নয়নহি আনন্দলোর॥
অনুমানে বুঝই রঙ্গ। জৈছন গোকুল নায়ক কোরহি নাগর নাগরী শয়ন বিভঙ্গ॥
বাম চরণ ভুজ পুনু আগোরই জাততি দক্ষিণ পাশে।
তৈছন বচন কহত পুনু আঁখি মুদি বদন রসাল সহাসে॥
জাকর ভাবহি প্রকট নন্দসুত গৌরবরণ পরকাস।
সতত নবদ্বীপে সোই বিহরই কহ রাধামোহনদাস॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪৪৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ভূপালী॥

শেষ রজনী মাহা, শুতল শচীসুত, ততহিঁ ভাবে ভেল ভোর।
স্বপন জাগর কিয়ে, দুহু নাহি সমুঝই, নয়নহি আনন্দ-লোর॥
অনুমানে বূঝহ রঙ্গ।
যৈছন গোকুল, নায়ককোরহি, নায়রী শয়নবিভঙ্গ॥
বাম চরণ ভুজ, পুন পুন আগোরই, যাঁতহি দক্ষিণ পাশ।
তৈছন বচন, কহত পুন আঁখি, মুদি, বচন রসাল সহাস॥
যাকর ভাবহি, প্রকট নন্দসুত, গৌরবরণ পরকাশ।
সতত নবদ্বিপে, সোই বিথারই, কহ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”,
১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২২৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ কামোদ॥

শেষ রজনি মাহা, শুতল শচীসুত, ততহি ভাবে ভেল ভোর।
স্বপন জাগর কিয়ে, দুহু নাহি সমুঝই, নয়নহি আনন্দ লোর॥
অনুমানে বুঝহ রঙ্গ।
যৈছন গোকুল-নায়ক-কোরহি, নায়রী শয়ন বিভঙ্গ॥ ধ্রু॥
বামচরণ ভুজ, পুনঃ পুনঃ আগোরই, যাতহি দক্ষিণ পাশ।
তৈছন বচন, কহত পুনঃ আঁখি মুদি, বচন রসাল সহাস॥
যাকর ভাবহি প্রকট নন্দসুত, গৌর-বরণ পরকাশ।
সতত নবদ্বীপে, সোই বিহরই, কহ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীপদরত্ন-
মালা”, ২২৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

রসালস।
তস্য শ্রীগৌরচন্দ্র॥
॥ যথা রাগ॥

শেষ রজনী                                শুতল শচীসুত
ততহি ভাবে ভেল ভোর।
স্বপন জাগর কিয়ে                       দুহুঁ নাহি সমুঝই
নয়নহি আনন্দ লোর॥
অনুমানে বূঝহ রঙ্গ।
যৈছন গোকুল                              নায়ক কোরহি
নায়রী শয়ন বিভঙ্গ॥
বাম চরণ ভুজ                        পুনঃ পুনঃ আগোরই
যাঁতহি দক্ষিণ পাশ।
তৈছন বচন                        কহত পুনঃ আঁখি মুদি
বসন রসাল সহাস॥
যাকর ভাবহি                                প্রকট নন্দসুত
গৌর বরণ পরকাশ।
সতত নবদ্বীপ                                 সোই বিথারই
কহ রাধা মোহন দাস॥ 
ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯১২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তথা রাগ॥

শেষ-রজনি মাহা                        শূতল শচি-সুত
ততহিঁ ভাবে ভেল ভোর।
স্বপন জাগর কিয়ে                    দুহুঁ নাহি সমুঝই
নয়নহি আনন্দ-লোর॥
অনুমানে বূঝহ রঙ্গ।
যৈছন গোকুল-                            নায়ক-কোরহি
নায়রি-শয়ন-বিভঙ্গ॥ ধ্রু॥
বাম চরণ ভুজ                       পুন পুন আগোরাই
যাঁতই দক্ষিণ পাশ।
তৈছন বচন                       কহত পুন আঁখি মুদি
বসন রসাল সহাস॥
যাকর ভাবহি                            প্রকট নন্দ-সুত
গৌর-বরণ পরকাশ।
সতত নবদ্বিপে                            সোই বিথারই
কহ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” তয় খণ্ড, ৫৭৩-
পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাস - মধ্যম দশকুশী॥

শেষ রজনি মাহা                        শূতল শচীসুত
ততহিঁ ভাবে ভেল ভোর।
স্বপন জাগর কিয়ে                    দুহুঁ নাহি সমুঝই,
নয়নহি আনন্দ লোর॥
অনুমানে বূঝহ রঙ্গ।
যৈছন গোকুল                           নায়ক কোরহি
নাঁয়রি শয়ন বিভঙ্গ॥ ধ্রু॥
বামচরণ ভুজ,                        পুন পুন আগোরই
যাতহি দক্ষিণ পাশ।
তৈছন বচন কহত                     পুন আঁখি মুদি,
বসন রসাল সহাস॥
যাকর ভাবহি                           প্রকট নন্দসুত
গৌর বরণ পরকাশ।
সতত নবদ্বিপে                         সোই বিথারই,
কহ রাধামোহন দাস॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
শ্রীগুরু বৈষ্ণব অবতার সার
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত
এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন
“পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২৪ ।

॥ তোড়ী দশকোষী তালৌ ॥

শ্রীগুরু বৈষ্ণব অবতার সার ।
নাম প্রেম দিয়া সকল তরাইলা সংসার ॥ ধ্রু ॥
অধম দুর্গত জনের করিলে উদ্ধার ।
এইত ভরসা চিত্তে মুঞি হমু পার ॥
এই বড় ডর হয় আমার অন্তরে ।
মো সম পাতকি নাহি ব্রহ্মাণ্ড ভিতরে ॥
নিরপরাধি পাপি যত তারা হইল পার ।
সাপরাধ মহাপাপী মুঞি জীব ছার ॥
সকল খণ্ডিতে পারে করুণা তোমার ।
লোকে শাস্ত্রে শুনি অতি ভরসা আমার ।
এ জন উদ্ধার করি দেখাও নিজ বল ।
রাধামোহন যশ গায় আর ভুবন সকল ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
শ্রীগুরু বৈষ্ণব তোমার চরণ
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৯৫ ।
এই পদটিই
রাধামোহন ঠাকুর সংকলিত পদামৃতসমুদ্র সংকলনের শেয পদ এবং তাঁর শিষ্য বৈষ্ণবদাস
সংকলিত “শ্রীশ্রীপদকল্পতরু” গ্রন্থেরও শেষ পদ।

॥ দুখি বরাড়ীরাগ দশকোশীতালৌ ॥

শ্রীগুরুবৈষ্ণব তোমার চরণ শরণ না কৈলু আমি ।
বিষম বিষয় বিষ ভাল মানি খাইছোঁ হইয়া কামী ॥ ধ্রু ॥
সেই বিষ মোরে জারিয়া মারিবে বড়ই বিপাক হইল ।
জনমে জনমে এমত কতই আত্মঘাত পাপ কৈল ॥
সেই অপরাধে এভব সাগরে বান্ধিল এ মায়া জালে ।
তোমা না ভজিয়া আপনা খাইয়া আপনি ডুবিল  হেলে ॥
আর কত কাল এ দুখ ভুজিমু ভোগ দেহ নাহি যায় ।
সহিতে নারিয়া কাতর হইয়া নিবেদিএ তুয়া পায় ॥
ও রাঙ্গাচরণ পরশ কেবল বিচারিয়া এই দায় ।
উদ্ধার করিয়া লেহ দীনবন্ধু আপন চরণ নায় ॥
আপন সেবন অমৃত ভোজন করাইয়া মোরে রাখ ।
এ রাধামোহন খতে বিকাইল দাস গগনে লেখ ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ, ৩৬শ
পল্লব, প্রার্থনা, ৩১০১সংখ্যক পদ হিসেবে এইরূপে দেওয়া রয়েছে।
এই পদটিই রাধামোহন ঠাকুর
সংকলিত পদামৃতসমুদ্র সংকলনের শেয পদ এবং তাঁর শিষ্য বৈষ্ণবদাস সংকলিত
“শ্রীশ্রীপদকল্পতরু” গ্রন্থেরও শেষ পদ।

॥ সুহই॥

শ্রীগুরু বৈষ্ণব                              তোমার চরণ
শরণ না কৈলাম আমি।
বিষয়-বিষম-                              বিষ ভাল মানি
খাইছু হইয়া কামী ॥ ধ্রু॥
সেই বিষে মোরে                        জারিয়া মারিলে
বড়ই বিপাক হৈল।
জনমে জনমে                                 এমত কতই
আত্ম-ঘাতী পাপ কৈল॥
সেই অপরাধে                                এভব সাগরে
বান্ধিলে এ মায়া-জালে।
তোমা না ভজিয়া                          আপনা খাইয়া
আপনি ডুবিছু হেলে॥
আর কত কাল                                এ দুখ ভুঞ্জিব
ভোগ-দেহ নাহি যায়।
সহিতে নারিয়া                                কাতর হইয়া
নিবেদিছু তুয়া পায়॥
ও রাঙ্গা চরণ-                                পরশ কেবল
বিচারিয়া এই দায়।
উদ্ধার করিয়া                                লেহ দীন-বন্ধু
আপন চরণ-নায়॥
তোমার সেবন                                অমৃত-ভোজন
করাইয়া মোরে রাখ।
এ রাধামোহন                                খতে বিকাইল
দাস-গণনে লেখ॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪৪৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহই॥

শ্রীগুরু বৈষ্ণব, তোমার চরণ, শরণ না কৈনু আমি।
বিষয় বিষম, বিষ ভাল মানি, খাইছু হইয়া কামী॥
সেই বিষে মোরে, জরিয়া মারিলে, বড়ই বিপাক হৈল।
জনমে জনমে, এমত কতই, আত্মঘাতী পাপ কৈল॥
সেই অপরাধে, এ ভব-সাগরে, বান্ধিলে এ মায়া-জালে।
তোমা না ভজিয়া, আপনা খাইয়া, আপনি ডুবেছি হেলে॥
আর কত কাল, এ দুঃখ ভুঞ্জিব, ভোগ দেহ নাহি যায়।
সহিতে নারিয়া, কাতর হইয়া, নিবেদিছি তুয়া পায়॥
ও রাঙ্গা চরণ, পরশ কেবল, বিচারিয়া এই দায়।
উদ্ধার করিয়া, লেহ দীনবন্ধু, আপন চরণ-নায়॥
তোমার সেবন, অমৃত-ভোজন, করাইয়া মোরে রাখ।
এ রাধামোহন, খতে বিকাইল, দাস-গণনে লেখ॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” তয় খণ্ড,
৭১৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বরাড়ি রাগ - দশকুশী॥

শ্রীগুরু বৈষ্ণব,                              তোমার চরণ,
স্মরণ না কৈলুঁ আমি।
বিষম বিষয়-                              বিষ ভাল মানি,
খাইছু হইয়া কামী॥ ধ্রু॥
সেই বিষে মোরে,                          জারিয়া মারিরে
বড়ই বিপাক হৈল।
জনমে জনমে,                                  এমত কতই,
আত্মঘাতী পাপ কৈল॥
যেই অপরাধে,                                এ ভব সাগরে,
বান্ধিল এ মায়াজালে।
তোমা না ভজিয়া,                           আপনা খাইয়া,
আপনি ডুবিছু হেলে॥
আর কত কাল,                                এ দুখ ভুঞ্জিব,
ভোগ-দেহ নাহি যায়।
সহিতে নারিয়া,                                কাতর হইয়া,
নিবেদিয়ে তুয়া পায়॥
ও রাঙ্গা চরণ,                                পরশ কেবল,
বিচারিয়া এই দায়।
উদ্ধার করিয়া,                                লেহ দীনবন্ধু,
আপন চরণ-নায়॥
তোমার সেবন,                                অমৃত ভোজন,
করাইয়া মোরে রাখ।
এ রাধামোহন,                                খতে বিকাইল,
দাস গণনে লিখ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর