কবি রাধামোহন ঠাকুরের বৈষ্ণব পদাবলী |
সখি অনুমানে জানিএ কাজ ভণিতা রাধামোহন দাস কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২১৬ । প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য, এই পদটি “সখি, অনুমানে বুঝল কাজ” শিরোনামে একটি স্বতন্ত্র পদ হিসেবে দেওয়া রয়েছে। ॥ শ্রীরাগ নন্দন তালাভ্যাং ॥ সখি অনুমানে জানিএ কাজ । জয় জয় জয় কিঙ্কিনি নূপুর দুহুঁক রণধ্বনি বাজ ॥ ধ্রু ॥ নিবিড় আলিঙ্গন ভুজ ভুজ বন্ধন প্রতি অঙ্গ জনু ভটরীর । কীয়ে পরস্পর করু পরিরম্ভণ জানিঞা সমর সুধীর ॥ কঙ্কণ বলয়া সঘন সম বোলত চুম্বন যুগ যুগ ঘোর । বুঝলুঁ মদন পরাভব মানল জীতল যুগল কীশোর ॥ সৌরভে মাতি ভ্রমর কুল ধাওত ছোড়ল কুসুম বিলাস । নিজ অভিযোগে হোয়ত পুন ঐছন কহ রাধামোহন দাস ॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ১ম পল্লব, স্বয়ং দৌত্য, ৬২৬পদসংখ্যক পদ-রূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির ১০৯৭সংখ্যক পদ। ॥ তথা রাগ॥ . সখি অনুমানে জানিয়ে কাজ। জয় জয় কিঙ্কিনি দুহুঁ নূপুর-মণি . কঙ্কণ রণ-রব বাজ॥ ধ্রু॥ নিবিড় আলিঙ্গন ভুজে ভুজে বন্ধন . প্রতি অঙ্গ জনু ভট বীর। কীয়ে পরস্পর করু পরিরম্ভণ . জানিয়া সমর সুধীর॥ কঙ্কণ বলয়া সঘন সম বোলত . চুম্বন যুগ যুগ থোর। বুঝলুঁ মদন পরাভব পায়ল . জীতল যুগল-কিশোর॥ সৌরভে মাতি ভ্রমরকুল ধায়ত . ছোড়ল কুসুম-বিলাস। নিজ অভিযোগে হোয়ত পুন ঐছন . কহ রাধামোহন দাস॥ এই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪২৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ কেদার॥ সখি অনুমানে জানিয়ে কাজ। জয় জয় কিঙ্কিনী, দুহু নূপুর-মণি, কঙ্কণ রণ-রব বাজ॥ নিবিড় আলিঙ্গন, ভুজে ভুজে বন্ধন, প্রতি অঙ্গ জনু ভট বীর। কিয়ে পরস্পর, করু পরিরম্ভণ, জানিয়া সময় সুধীর॥ কঙ্কণ বলয়া, সঘন সম বোলত, চুম্বন যুগ যুগ থোর। যুঝল মদন, পরাভব পাওল, জীতল যুগল-কীশোর॥ সৌরভে মাতি, ভ্রমরকুল ধাওত, ছোড়ল কুসুম-বিলাস। নিজ অভিযোগ, হোয়ত পুন ঐছন, কহ রাধামোহন দাস॥ এই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯২০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। সম্ভোগ ॥ তথা রাগ॥ . সখি অনুমানে জানিয়ে কাজ। জয় জয় কিঙ্কিনি দুহুঁ নূপুর-মণি . কঙ্কণ রণ-রব বাজ॥ ধ্রু॥ নিবিড় আলিঙ্গন ভুজে ভুজে বন্ধন . প্রতি অঙ্গ জনু ভট বীর। কীয়ে পরস্পর করু পরিরম্ভণ . জানিয়ে সমর সুধীর॥ কঙ্কণ বলয়া সঘন সম বোলত . চুম্বন যুগ যুগ থোর। বুঝলুঁ মদন পরাভব পায়ল . জীতল যুগল-কিশোর॥ সৌরভে মাতি ভ্রমরকুল ধায়ত . ছোড়ল কুসুম-বিলাস। নিজ অভিযোগে হোয়ত পুন ঐছন . কহ রাধামোহন দাস॥ এই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৩৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য, এই পদটি “সখি অনুমানে জানিএ কাজ” শিরোনামে একটি স্বতন্ত্র পদ হিসেবে দেওয়া রয়েছে। ॥ তথা রাগ॥ সখি, অনুমানে বুঝল কাজ। জয় জয় কিঙ্কিণী, দুহুঁ নূপুর-মণি, কঙ্কণ রণ রব বাজ॥ নিবিড় আলিঙ্গন, ভুজে ভুজে বন্ধন, প্রতি অঙ্গ জনু ভট বীর। কীয়ে পরস্পর, করু পরিরম্ভণ, জানিয়া সমর সুধীর॥ কঙ্কণ বলয়া, সঘন সম বোলত, চুম্বন যুগ যুগ থোর। যুঝল মদন, পরাভব পাওল, জীতল যুগল-কিশোর॥ সৌরভে মাতি, ভ্রমরকুল ধাওত, ছোড়ল কুসুম-বিলাস। নিজ অভিযোগ, হোয়ত পুন ঐছন, কহ রাধামোহন দাস॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
সখি অনুমানে বুঝল কাজ ভণিতা রাধামোহন দাস কবি রাধামোহন ঠাকুর দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৩৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য, এই পদটি “সখি অনুমানে জানিএ কাজ” শিরোনামে একটি স্বতন্ত্র পদ হিসেবে দেওয়া রয়েছে। ॥ তথা রাগ॥ সখি, অনুমানে বুঝল কাজ। জয় জয় কিঙ্কিণী, দুহুঁ নূপুর-মণি, কঙ্কণ রণ রব বাজ॥ নিবিড় আলিঙ্গন, ভুজে ভুজে বন্ধন, প্রতি অঙ্গ জনু ভট বীর। কীয়ে পরস্পর, করু পরিরম্ভণ, জানিয়া সমর সুধীর॥ কঙ্কণ বলয়া, সঘন সম বোলত, চুম্বন যুগ যুগ থোর। যুঝল মদন, পরাভব পাওল, জীতল যুগল-কিশোর॥ সৌরভে মাতি, ভ্রমরকুল ধাওত, ছোড়ল কুসুম-বিলাস। নিজ অভিযোগ, হোয়ত পুন ঐছন, কহ রাধামোহন দাস॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২১৬ । প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য, এই পদটি “সখি, অনুমানে বুঝল কাজ” শিরোনামে একটি স্বতন্ত্র পদ হিসেবে দেওয়া রয়েছে। ॥ শ্রীরাগ নন্দন তালাভ্যাং ॥ সখি অনুমানে জানিএ কাজ । জয় জয় জয় কিঙ্কিনি নূপুর দুহুঁক রণধ্বনি বাজ ॥ ধ্রু ॥ নিবিড় আলিঙ্গন ভুজ ভুজ বন্ধন প্রতি অঙ্গ জনু ভটরীর । কীয়ে পরস্পর করু পরিরম্ভণ জানিঞা সমর সুধীর ॥ কঙ্কণ বলয়া সঘন সম বোলত চুম্বন যুগ যুগ ঘোর । বুঝলুঁ মদন পরাভব মানল জীতল যুগল কীশোর ॥ সৌরভে মাতি ভ্রমর কুল ধাওত ছোড়ল কুসুম বিলাস । নিজ অভিযোগে হোয়ত পুন ঐছন কহ রাধামোহন দাস ॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ১ম পল্লব, স্বয়ং দৌত্য, ৬২৬পদসংখ্যক পদ-রূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির ১০৯৭সংখ্যক পদ। ॥ তথা রাগ॥ . সখি অনুমানে জানিয়ে কাজ। জয় জয় কিঙ্কিনি দুহুঁ নূপুর-মণি . কঙ্কণ রণ-রব বাজ॥ ধ্রু॥ নিবিড় আলিঙ্গন ভুজে ভুজে বন্ধন . প্রতি অঙ্গ জনু ভট বীর। কীয়ে পরস্পর করু পরিরম্ভণ . জানিয়া সমর সুধীর॥ কঙ্কণ বলয়া সঘন সম বোলত . চুম্বন যুগ যুগ থোর। বুঝলুঁ মদন পরাভব পায়ল . জীতল যুগল-কিশোর॥ সৌরভে মাতি ভ্রমরকুল ধায়ত . ছোড়ল কুসুম-বিলাস। নিজ অভিযোগে হোয়ত পুন ঐছন . কহ রাধামোহন দাস॥ এই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪২৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ কেদার॥ সখি অনুমানে জানিয়ে কাজ। জয় জয় কিঙ্কিনী, দুহু নূপুর-মণি, কঙ্কণ রণ-রব বাজ॥ নিবিড় আলিঙ্গন, ভুজে ভুজে বন্ধন, প্রতি অঙ্গ জনু ভট বীর। কিয়ে পরস্পর, করু পরিরম্ভণ, জানিয়া সময় সুধীর॥ কঙ্কণ বলয়া, সঘন সম বোলত, চুম্বন যুগ যুগ থোর। যুঝল মদন, পরাভব পাওল, জীতল যুগল-কীশোর॥ সৌরভে মাতি, ভ্রমরকুল ধাওত, ছোড়ল কুসুম-বিলাস। নিজ অভিযোগ, হোয়ত পুন ঐছন, কহ রাধামোহন দাস॥ এই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯২০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। সম্ভোগ ॥ তথা রাগ॥ . সখি অনুমানে জানিয়ে কাজ। জয় জয় কিঙ্কিনি দুহুঁ নূপুর-মণি . কঙ্কণ রণ-রব বাজ॥ ধ্রু॥ নিবিড় আলিঙ্গন ভুজে ভুজে বন্ধন . প্রতি অঙ্গ জনু ভট বীর। কীয়ে পরস্পর করু পরিরম্ভণ . জানিয়ে সমর সুধীর॥ কঙ্কণ বলয়া সঘন সম বোলত . চুম্বন যুগ যুগ থোর। বুঝলুঁ মদন পরাভব পায়ল . জীতল যুগল-কিশোর॥ সৌরভে মাতি ভ্রমরকুল ধায়ত . ছোড়ল কুসুম-বিলাস। নিজ অভিযোগে হোয়ত পুন ঐছন . কহ রাধামোহন দাস॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
সখিগণ সঙ্গে চলু নব রঙ্গিণী ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-১২৫। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য, এই পদটি “সখীগণ সঙ্গে চললি বররঙ্গিণী” শিরোনামে একটি স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া রয়েছে। সখিগণ সঙ্গে চলু নব রঙ্গিণী শোভা বরণি না হোই । কত শত চাঁদ চরণ তলে নীছই লাখ মদন তাঁহি রোই ॥ দেখ দেখ পহিল সমাগম রঙ্গ । পদ দুই চারি চলত পুন ফীরই ভীত কম্পিত অঙ্গ ॥ ধ্রু ॥ ঐছন ভাঁতি আয়ল যাঁহা মাধব ঠাড়হিঁ পুনরহু দ্বারি । অদভূত মনহি বিলাস উনমুখ তবহি নয়নে ঝরু বারি ॥ পুন পরবোধি নিকটহিঁ আনিঞা কহে সখি সুমধুর বাণি । বুঝি করবি রতি জগত দুলহ অতি কমলিনি সোপলু আনি ॥ আপন করি তোঁহে এই যৈছে জানএ ঐছল করবি আচার । মধুসূদন পুন চন্দন বিলেপন বর কুসুমে সুশিঙ্গার ॥ কহ রাধামোহন ঐছন শুভ দিন আর কি এ হোয়ব মোরি । নিজ জন জানি সেবনে নিযোজব সদয় হৃদয় মোহে গোরি ॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড, ১ম শাখা, ৪র্থ পল্লব, শ্রীরাধাকৃষ্ণের পূর্ব্বরাগ, পদসংখ্যা ১১৩, এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ কামোদ॥ সখিগণ সঙ্গে চললি নবরঙ্গিণি শোভা বরণি না হোয়। কত শত চাঁদ চরণ-তলে নীছই লাখ মদন তহিঁ রোয়॥ দেখ দেখ পহিল সমাগম-রঙ্গ। পদ দুই চারি চলত পুন ফীরই ভীতহিঁ কম্পিত অঙ্গ॥ ধ্রু॥ ঐছন ভাতি আওল যাহাঁ মাধব দ্বারহি রহু পুন থারি। অদভুত মনহি বিলাসন-উন্মুখ তবহিঁ নয়নে ঝরু বারি॥ পুন পরবোধিয়া নিকটহিঁ আনিয়া কহে সখি সুমধুর বাণী। বুঝি করবি রতি জগত-দুলহ অতি কমলিনি সোঁপিলুঁ আনি॥ আপন করি তোঁহে ইহ যৈছে জানত ঐছন করবি আচার। মধুসূদন পুন চন্দন বিলেপন বর-কুসুমে সুশিঙ্গার॥ কহ রাধামোহন আর কিয়ে শুভদিন ঐছন হোয়ব মোরি। নিজ-জন জানি সেবনে নিযোজব সদয়হৃদয় মোহে গোরি॥ টীকা - ৮ - ১১। “ঐছন ভাতি” ইত্যাদি। ঐ প্রকারে (শ্রীরাধা) যেখানে মাধব (আছেন), সেখানে আসিলেন ; (আসিয়া) কিন্তু (কুঞ্জের) দ্বারেই দাঁড়াইয়া রহিলেন ; কি আশ্চর্য্য! (শ্রীরাধা) মনে বিলাসের জন্য উন্মুখ অর্থাৎ উত্কণ্ঠিত ; তথাপি নয়নে (“কিলিকিঞ্চিত” নামক ভয়, লজ্জা, হর্ষ প্রভৃতির সাঙ্কর্য্যবশতঃ) অশ্রু ঝরিতেছে। ১৬ - ১৯। “আপন করি” ইত্যাদি। এ যাহাতে তোমাকে আপনার বলিয়া জানিতে পারে, ঐরূপ ব্যবহার করিবে। হে মধুসূদন! (বিলাসের অন্তে) পুনর্ব্বার (শ্রীরাধার অঙ্গে) চন্দন-বিলেপন ও উত্কৃষ্ট কুসুমের বেশ- ভূষা (করিবে)। রাধামোহন ঠাকুর তাঁর এই পদের “বরকুসুমের সুশিঙ্গার” বাক্যের নিম্নলিখিত শ্লেষ-ঘটিত অর্থও করিয়াছেন ; যথা,---“পক্ষে কুসুমেষুঃ কন্দর্পস্তেন প্রেরিতঋ শৃঙ্গারঃ কর্ত্তব্যঃ। * * ষকার-ভেদাভেদমবিচার্য্য শাব্দশ্রুত্যভেদেন ব্যাখ্যাদ্বয়ী লিখিতা।” সুতরাং ঐরূপ শ্লেষ-প্রয়োগ নির্দ্দোষ না হইলেও শ্লিষ্ট অর্থটিও যে তাঁহার অভিপ্রেত, তাহাতে সন্দেহ নাই।---সতীশচন্দ্র রায়, পদকল্পতরু॥ এই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯১৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। শ্রীরাধার প্রথম অভিসার ॥ কামোদ॥ সখিগণ সঙ্গে চললি নবরঙ্গিণি শোভা বরণি না হোয়। কত শত চাঁদ চরণ-তলে নীছই লাখ মদন তহিঁ রোয়॥ দেখ দেখ পহিল সমাগম-রঙ্গ। পদ দুই চারি চলত পুন ফীরই ভীতহিঁ কম্পিত অঙ্গ॥ ঐছন ভাতি আওল যাহাঁ মাধব দ্বারহি রহু পুন থারি। অদভুত মনহি বিলাসন-উন্মুখ তবহিঁ নয়নে ঝরু বারি॥ পুন পরবোধিয়া নিকটহিঁ আনিয়া কহে সখি সুমধুর বাণী। বুঝি করবি রতি জগত দুলহ অতি কমলিনি সোঁপিলুঁ আনি॥ আপন করি তোঁহে ইহ যৈছে জানত ঐছন করবি আচার। মধুসূদন পুন চন্দন বিলেপন বর-কুসুমে সু-শিঙ্গার॥ কহ রাধামোহন আর কিয়ে শুভদিন ঐছন হোয়ব মোরি। নিজ-জন জানি সেবনে নিয়োজব সহৃদয় মোহে গোরি॥ এই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ২৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য, এই পদটি “সখিগণ সঙ্গে চলু নব রঙ্গিণী” শিরোনামে একটি স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া রয়েছে। সখীগণ সঙ্গে চললি বররঙ্গিণী শোভা বরনি না হোয়। শত কত চান্দ চরণতলে নিছই লাখ মদন তহি রোয়॥ দেখ দেখ পহিলা সমাগম রঙ্গ। পদ দুই চারি চলত পুন ফিরই ভীতহি কম্পিত অঙ্গ॥ ধ্রু॥ ঐছন ভাতি আওল যাহা মাধব দ্বারহি রহু পুন থারি। অদভুত মনহি বিলাসন উনমুখ তবহু নয়নে ঝরু বারি॥ পুন পরবোধএ নিকটহি আনিএ কহে সখী মধুরিম বাণী। বুঝি করবি রতি শত দুল্লভ অতি কমলিনী সোপনু আনি॥ আপন করি তোহে ইহ জৈছে জানত ঐছন করবি আচার। মধুসূদন পুনু চন্দন বিলেপন বর কুসুমে সুসিঙ্গার॥ কহ রাধামোহন আর কি এ শুভদিন ঐছন হোয়বি মোরি। নিজজন জানি সেবনে নিজোজব সদয় হৃদয় মোহে গোরি॥ এই পদটি চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৮৭০ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত এবং তাঁর পুত্র রাজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৯২২ সালে প্রকাশিত “শ্রীশ্রীপদামৃতসিন্ধু”, ২২৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ কামোদ॥ সখিগণ সঙ্গে চলহি বর-রঙ্গিণী শোভাবরণি না হোয়। কত শত চাঁদ চরণ তলে, নিছই লাখ মদন তহি রোয়॥ দেখ দেখ পহিল সমাগম রঙ্গ। পদ দুই চারি চলত পুন ফিরই, ভীত কম্পিত অঙ্গ॥ ঐছন ভাঁতি আওল যাহা মাধব, দ্বারহি রহু পুন খারী। অদভূত মনহি বিলাসন, উনমুখ তবহি, নয়নে ঝরু বারি॥ পুন পরবোধয়া, নিকট হ আনিয়া, কহে সখী সুমধুর বাণী। বুঝি কর বিরতি, জগত দুর্ল্লভ অতি, কমলিনী সোঁপলু আনি॥ আপন করি ভোহি, এই যেছে জানত, ঐছন করবি আচার। মধুসূদন পুনঃ, চন্দন বিলেপন, বর কুসুমে সুশৃঙ্গার॥ কহে রাধামোহন আর কি শুভদিন, ঐছন হোয়ব মোরি। নিজজন জানি, সেবনে নিযোজব, সদয় হৃদয় মোহে গোরি॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
সখীগণ সঙ্গে চললি বররঙ্গিণী ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ২৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য, এই পদটি “সখিগণ সঙ্গে চলু নব রঙ্গিণী” শিরোনামে একটি স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া রয়েছে। সখীগণ সঙ্গে চললি বররঙ্গিণী শোভা বরনি না হোয়। শত কত চান্দ চরণতলে নিছই লাখ মদন তহি রোয়॥ দেখ দেখ পহিলা সমাগম রঙ্গ। পদ দুই চারি চলত পুন ফিরই ভীতহি কম্পিত অঙ্গ॥ ধ্রু॥ ঐছন ভাতি আওল যাহা মাধব দ্বারহি রহু পুন থারি। অদভুত মনহি বিলাসন উনমুখ তবহু নয়নে ঝরু বারি॥ পুন পরবোধএ নিকটহি আনিএ কহে সখী মধুরিম বাণী। বুঝি করবি রতি শত দুল্লভ অতি কমলিনী সোপনু আনি॥ আপন করি তোহে ইহ জৈছে জানত ঐছন করবি আচার। মধুসূদন পুনু চন্দন বিলেপন বর কুসুমে সুসিঙ্গার॥ কহ রাধামোহন আর কি এ শুভদিন ঐছন হোয়বি মোরি। নিজজন জানি সেবনে নিজোজব সদয় হৃদয় মোহে গোরি॥ এই পদটি চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৮৭০ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত এবং তাঁর পুত্র রাজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৯২২ সালে প্রকাশিত “শ্রীশ্রীপদামৃতসিন্ধু”, ২২৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ কামোদ॥ সখিগণ সঙ্গে চলহি বর-রঙ্গিণী শোভাবরণি না হোয়। কত শত চাঁদ চরণ তলে, নিছই লাখ মদন তহি রোয়॥ দেখ দেখ পহিল সমাগম রঙ্গ। পদ দুই চারি চলত পুন ফিরই, ভীত কম্পিত অঙ্গ॥ ঐছন ভাঁতি আওল যাহা মাধব, দ্বারহি রহু পুন খারী। অদভূত মনহি বিলাসন, উনমুখ তবহি, নয়নে ঝরু বারি॥ পুন পরবোধয়া, নিকট হ আনিয়া, কহে সখী সুমধুর বাণী। বুঝি কর বিরতি, জগত দুর্ল্লভ অতি, কমলিনী সোঁপলু আনি॥ আপন করি ভোহি, এই যেছে জানত, ঐছন করবি আচার। মধুসূদন পুনঃ, চন্দন বিলেপন, বর কুসুমে সুশৃঙ্গার॥ কহে রাধামোহন আর কি শুভদিন, ঐছন হোয়ব মোরি। নিজজন জানি, সেবনে নিযোজব, সদয় হৃদয় মোহে গোরি॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-১২৫। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য, এই পদটি “সখীগণ সঙ্গে চললি বররঙ্গিণী” শিরোনামে একটি স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া রয়েছে। সখিগণ সঙ্গে চলু নব রঙ্গিণী শোভা বরণি না হোই । কত শত চাঁদ চরণ তলে নীছই লাখ মদন তাঁহি রোই ॥ দেখ দেখ পহিল সমাগম রঙ্গ । পদ দুই চারি চলত পুন ফীরই ভীত কম্পিত অঙ্গ ॥ ধ্রু ॥ ঐছন ভাঁতি আয়ল যাঁহা মাধব ঠাড়হিঁ পুনরহু দ্বারি । অদভূত মনহি বিলাস উনমুখ তবহি নয়নে ঝরু বারি ॥ পুন পরবোধি নিকটহিঁ আনিঞা কহে সখি সুমধুর বাণি । বুঝি করবি রতি জগত দুলহ অতি কমলিনি সোপলু আনি ॥ আপন করি তোঁহে এই যৈছে জানএ ঐছল করবি আচার । মধুসূদন পুন চন্দন বিলেপন বর কুসুমে সুশিঙ্গার ॥ কহ রাধামোহন ঐছন শুভ দিন আর কি এ হোয়ব মোরি । নিজ জন জানি সেবনে নিযোজব সদয় হৃদয় মোহে গোরি ॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড, ১ম শাখা, ৪র্থ পল্লব, শ্রীরাধাকৃষ্ণের পূর্ব্বরাগ, পদসংখ্যা ১১৩, এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ কামোদ॥ সখিগণ সঙ্গে চললি নবরঙ্গিণি শোভা বরণি না হোয়। কত শত চাঁদ চরণ-তলে নীছই লাখ মদন তহিঁ রোয়॥ দেখ দেখ পহিল সমাগম-রঙ্গ। পদ দুই চারি চলত পুন ফীরই ভীতহিঁ কম্পিত অঙ্গ॥ ধ্রু॥ ঐছন ভাতি আওল যাহাঁ মাধব দ্বারহি রহু পুন থারি। অদভুত মনহি বিলাসন-উন্মুখ তবহিঁ নয়নে ঝরু বারি॥ পুন পরবোধিয়া নিকটহিঁ আনিয়া কহে সখি সুমধুর বাণী। বুঝি করবি রতি জগত-দুলহ অতি কমলিনি সোঁপিলুঁ আনি॥ আপন করি তোঁহে ইহ যৈছে জানত ঐছন করবি আচার। মধুসূদন পুন চন্দন বিলেপন বর-কুসুমে সুশিঙ্গার॥ কহ রাধামোহন আর কিয়ে শুভদিন ঐছন হোয়ব মোরি। নিজ-জন জানি সেবনে নিযোজব সদয়হৃদয় মোহে গোরি॥ টীকা - ৮ - ১১। “ঐছন ভাতি” ইত্যাদি। ঐ প্রকারে (শ্রীরাধা) যেখানে মাধব (আছেন), সেখানে আসিলেন ; (আসিয়া) কিন্তু (কুঞ্জের) দ্বারেই দাঁড়াইয়া রহিলেন ; কি আশ্চর্য্য! (শ্রীরাধা) মনে বিলাসের জন্য উন্মুখ অর্থাৎ উত্কণ্ঠিত ; তথাপি নয়নে (“কিলিকিঞ্চিত” নামক ভয়, লজ্জা, হর্ষ প্রভৃতির সাঙ্কর্য্যবশতঃ) অশ্রু ঝরিতেছে। ১৬ - ১৯। “আপন করি” ইত্যাদি। এ যাহাতে তোমাকে আপনার বলিয়া জানিতে পারে, ঐরূপ ব্যবহার করিবে। হে মধুসূদন! (বিলাসের অন্তে) পুনর্ব্বার (শ্রীরাধার অঙ্গে) চন্দন-বিলেপন ও উত্কৃষ্ট কুসুমের বেশ- ভূষা (করিবে)। রাধামোহন ঠাকুর তাঁর এই পদের “বরকুসুমের সুশিঙ্গার” বাক্যের নিম্নলিখিত শ্লেষ-ঘটিত অর্থও করিয়াছেন ; যথা,---“পক্ষে কুসুমেষুঃ কন্দর্পস্তেন প্রেরিতঋ শৃঙ্গারঃ কর্ত্তব্যঃ। * * ষকার-ভেদাভেদমবিচার্য্য শাব্দশ্রুত্যভেদেন ব্যাখ্যাদ্বয়ী লিখিতা।” সুতরাং ঐরূপ শ্লেষ-প্রয়োগ নির্দ্দোষ না হইলেও শ্লিষ্ট অর্থটিও যে তাঁহার অভিপ্রেত, তাহাতে সন্দেহ নাই।---সতীশচন্দ্র রায়, পদকল্পতরু॥ এই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯১৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। শ্রীরাধার প্রথম অভিসার ॥ কামোদ॥ সখিগণ সঙ্গে চললি নবরঙ্গিণি শোভা বরণি না হোয়। কত শত চাঁদ চরণ-তলে নীছই লাখ মদন তহিঁ রোয়॥ দেখ দেখ পহিল সমাগম-রঙ্গ। পদ দুই চারি চলত পুন ফীরই ভীতহিঁ কম্পিত অঙ্গ॥ ঐছন ভাতি আওল যাহাঁ মাধব দ্বারহি রহু পুন থারি। অদভুত মনহি বিলাসন-উন্মুখ তবহিঁ নয়নে ঝরু বারি॥ পুন পরবোধিয়া নিকটহিঁ আনিয়া কহে সখি সুমধুর বাণী। বুঝি করবি রতি জগত দুলহ অতি কমলিনি সোঁপিলুঁ আনি॥ আপন করি তোঁহে ইহ যৈছে জানত ঐছন করবি আচার। মধুসূদন পুন চন্দন বিলেপন বর-কুসুমে সু-শিঙ্গার॥ কহ রাধামোহন আর কিয়ে শুভদিন ঐছন হোয়ব মোরি। নিজ-জন জানি সেবনে নিয়োজব সহৃদয় মোহে গোরি॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
সখিগণ সমুখহিঁ কাতর কানু ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২৬২ । ॥ মাউর রাগ প্রতি দশাক্ষ তালৌ ॥ সখিগণ সমুখহিঁ কাতর কানু যব সুবিনয় করলহি দীঠে । তব তছু অভিমত করইতে কোই সখি গুপতে বচন কহু মিঠে ॥ সুন্দরী অলখিতে হও তিরোধান । গিরি বর কুঞ্জ কুঠির অতি গুপতে যাই রাখহ নিজ মান ॥ ধ্রু ॥ ইহ অতি চপল চরিত বর গিরিধর কিএ জানি করু বিপরীত । শুনি উহ সুবচন ভীতহি যনু জন রাই করল সোই নিত ॥ বুঝি পুন নাগর সব গুণ আগর অলখিতে তহিঁ উপনিত। রাধামোহন পুন দেখি সুনাগরি আনন্দ নিগমন চিত ॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ২৫শ পল্লব, দান-লীলা, ১৩৪৩সংখ্যক পদ, এইরূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির ১৮৫৩সংখ্যাক পদ। ॥ মায়ূর॥ সখিগণ সমুখহি কাতরে কানু যব সুবিনয় করলহিঁ দীঠে। তব তছু অভিমত করইতে কোই সখি গোপতে বচন কহু মীঠে॥ সুন্দরি অলখিতে হও তিরোধান। গিরিবর-কুঞ্জ- কুটিরে অতি গোপতে যাই রাখহ নিজ মান॥ ধ্রু॥ ইহ অতি চপল- চরিত বর গিরিধর কিয়ে জানি করু বিপরীতে। শুনি উহ সুবচন ভীতহিঁ জনু জন রাই করল সোই নীতে॥ বুঝি পুন নাগর সব গুণ-আগর অলখিতে তহিঁ উপনীত। রাধামোহন দেখি সুনাগরি আনন্দে নিগমন-চীত॥ এই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৩০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ মায়ূর॥ সখীগণ সমুখহি, কাতরে কানু যব, সুবিনয় করলহিঁ দীঠে। তব তছু অভিমত, করইতে কোই সখী, গোপতে বচন কহু মিঠে॥ সুন্দরী অলখিতে হও তিরোধান। গিরিবর কুঞ্জ কুটীরে অতি গোপতে, যাই রাখহ নিজ মান॥ ইহ অতি চপল চরিত বর গিরিধর কিয়ে জানি করু বিপরীত। শুনি উহ সুবচন, ভীতহিঁ জনু জন, রাই করল সোই নীত॥ বুঝি পুন নাগর, সব গুণ আগর, অলখিতে তহিঁ উপনীত। রাধামোহন পুন, দেখি সুনাগরী, আনন্দে নিগমন চিত॥ এই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৩১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ মায়ূর॥ সখীগণ সমুখহি, কাতরে কানু যব, সুবিনয় করহিঁ দীঠে। তব তছু অভিমত, করইতে কোই সখী, গোপতে বচন কহু মিঠে॥ সুন্দরি, অলখিতে হও তিরোধান। গিরিবর-কুঞ্জ-, কুটীরে অতি গোপতে যাই রাখহ নিজ মান॥ ইহ অতি চপল- চরিত বর গিরিধর কিয়ে জানি করু বিপরীত। শুনি উহ সুবচন, ভীতহিঁ জনু জন, রাই করল সোই নীত॥ বুঝি পুন নাগর, সব গুণ-আগর, অলখিতে তহিঁ উপনীত। রাধামোহন পুন, দেখি সুনাগরী, আনন্দে নিগমন চিত॥ এই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯২৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। দানলীলা ॥ মায়ূর॥ সখিগণ সমুখহি কাতরে কানু যব সুবিনয় করলহিঁ দীঠে। তব তছু অভিমত করইতে কোই সখি গোপত বচন কহু মীঠে॥ সুন্দরি অলখিতে হও তিরোধান। গিরিবর-কুঞ্জ- কুটিরে অতি গোপতে যাই রাখহ নিজ মান॥ ধ্রু॥ ইহ অতি চপল- চরিত বর গিরিধর কিয়ে জানি করু বিপরীতে। শুনি উহ সুবচন ভীতহিঁ জনু জন রাই করল সোই নীতে॥ বুঝি পুন নাগর সব গুণ আগর অলখিতে তহিঁ উপনীত। রাধামোহন দেখি সুনাগরি আনন্দে নিগমন-চীত॥ এই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” তয় খণ্ড, ৩৪৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ মায়ূর - তেওট॥ সখিগণ সমুখহি, কাতর কানু যব, সুবিনয় করলহি দিঠে। তব তছু অভিমত করইতে কোই সখি গোপতে বচন কহু মিঠে॥ সুন্দরী অলখিতে হও তিরোধান। গিরিবর কুঞ্জ- কুটির অতি গুপতে যাই রাখহ নিজ মান॥ ধ্রু॥ ইহ অতি চপল- চরিতবর গিরিধর কিয়ে জানি করু বিপরীত। শুনি ইহ সুবচন ভীতহি জনু জন রাই করল সোই নীত॥ বুঝি পুন নাগর সব গুণ আগর অলখিতে তহি উপনীত। রাধামোহন দেখি সুনাগরী আনন্দে নিগমন চীত॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
সজনি অদভুত প্রেমক রীত ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৩০৩ । ॥ গুজ্জরী রাগৈক তালী তালাভ্যাং ॥ সজনি অদভুত প্রেমক রীত । তিরযক জঙ্গম ইহ নাহি জানত কহ তহিঁ কত বিপরীত ॥ তুহুঁ অতি নিরমল অন্তর কোমল পরম হংস দয়াশীল । হাম সব দুখিনি তাহে অবলা গণি পিয়ক বিরহ হৃদি কীল ॥ সো হরি গোপীগণ, বিসারি রহল পুন মথুরা নগরহিঁ ভোর । এসব আধি পয়োধি বর তো বিনু কো জন আর করু ওর ॥ যো কছু বচন হৃদয়ে অবধারণ করি অব করহ পয়ান । রাধামোহন পহুঁ, আগে জাই তুহুঁ পুন করু তৈছন গান ॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ৬ষ্ঠ পল্লব, হংস-দূত, ১৬৭৬সংখ্যক পদ। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির ৮৯৯সংখ্যক পদ। ॥ ধানশী॥ সজনি অদভুত প্রেমক রীত। তিরযক জঙ্গম ইহ নাহি জানত কহতহিঁ কত বিপরীত॥ ধ্রু॥ তুহুঁ অতি নিরমল অন্তর কোমল পরম-হংস দয়াশীল। হাম সব দুখিনী তাহে অবলা গণি পিয়ক বিরহ হৃদি কীল॥ যো হরি গোপিগণ বিসরি রহল পুন মথুরা নগরহিঁ ভোর। এ সব আধি- পয়োধি-বর তো বিনু কো জন অব করু ওর॥ যো কছু বচন হৃদয়ে অবধারণ করি অব করহ পয়ান। রাধামোহন আগে যাই তুহুঁ পুন করু তৈছন গান॥ এই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৩৬৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ রাগিণী ধানশ্রী॥ তাল সমুচিত॥ হংসদূত॥ সজনি অদ্ভুত প্রেমক রিৎ। তিরজক জঙ্গম, ইহ নাহি জানত কহতহি কত বিপরীত॥ তুহু অতি নিরমল অন্তর কোমল পরমহংস দয়াশীল। হাম সব দুখিনি তাহে অবলা গণি প্রিয়াক বিরহ হৃদি কিল॥ জো হরি গোপীগণ বিসারি রহল পুন মথুরা নগরহি ভোর। এসবে আঁধি পয়োধি বরত বিনু কো জনু অব করূ ওর॥ জো কিছু বচন হৃদয়ে অবধারল করি অব করহ পয়ান। রাধামোহন পহু আগে জাই তোহু পুনু করূ তৈছন গান॥ এই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৩২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ ধানশী॥ সজনি অদভুত প্রেমক রীত। তিরযক জঙ্গম, ইহ নাহি জানত, কহতহিঁ কত বিপরীত॥ তুহুঁ অতি নিরমল, অন্তর কোমল, পরম-হংস দয়াশীল। হাম সব দুখিনী, তাহে অবলা গণি, পিয়ক বিরহ হৃদি কীল॥ সো হরি গোপীগণ, বিসরি রহল পুন, মথুরা নগরহিঁ ভোর। এ সব আধি-পয়োধি-বর তো বিনু, কো জন অব করু ওর॥ যো কিছু বচন, হৃদয়ে অবধারণ, করি অব করহ পয়ান। রাধামোহন, আগে যাই তুহুঁ, পুন করু তৈছন গান॥ এই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৪৩-পৃষ্ঠায় পুনঃ এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ ধানশী॥ সজনি অদভুত প্রেমক রীত। তিরয়ক জঙ্গম, ইহ নাহি জানত, কহতহিঁ কত বিপরীত॥ তুহুঁ অতি নিরমল, অন্তর কোমল, পরম-হংস দয়াশীল। হাম সব দুঃখিনী, তাহে অবলা গণি, পিয়াক বিরহ হৃদি কীল॥ সো হরি গোপীগণ, বিসরি রহল পুন, মথুরা নগরহিঁ ভোর। এ সব আধি, পয়োধি-বর তো বিনু, কো জন অব করু ওর॥ যো কিছু বচন, হৃদয়ে অবধারণ, করি অব করহ পয়াণ। রাধামোহন, আগে জাই তুহুঁ, পুন করু তৈছন গান॥ এই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯২৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। হংস-দূত ॥ ধানশী॥ সজনি অদভুত প্রেমক রীত। তিরযক জঙ্গম ইহ নাহি জানত কহতহিঁ কত বিপরীত॥ তুহুঁ অতি নিরমল অন্তর কোমল পরম-হংস দয়াশীল। হাম সব দুখিনী তাহে অবলা গণি পিয়ক বিরহ হৃদি কীল॥ যো হরি গোপিগণ বিসরি রহল পুন মথুরা নগরহিঁ ভোর। এ সব আধি- পয়োধি-বর তো বিনু কো জন অব করু ওর॥ যো কিছু বচন হৃদয়ে অবধারণ করি অব করহ পয়ান। রাধামোহন আগে যাই তুহুঁ পুন করু তৈছন গান॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
সজনি অপরূপ গোকুল চান্দ ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২৪৩ । এতদুচিত রূপং যথা॥ ॥ সারঙ্গ রাগ মন্ঠক চঞ্চু পুট তালাভ্যাং ॥ সজনি অপরূপ গোকুল চান্দ । অনুভবি পিরিতি মুরতি কিএ সুধাময় যুবতি মনো শশ ফাঁদ ॥ ধ্রু ॥ নব নব জলধর নিন্দি মনোরম সুচিকন বরণ উজোর । কাম কামান জিতি ভাঙ ধুনায়তি যছু সরে কামিনী ভোর ॥ পীতাম্বর ধর সুঘড় বেণুকর মুনি মন মোহন ঠাঠ । বর কৌস্তুভ ধর মাল্য মনোহর যনু নব মনমথ নাট ॥ পদ নখ চন্দ অমন্দ সুধা ঝর থাবর জঙ্গম প্রাণ । রাধামোহন প্রভু নব নব অনুখন সহজহি রূপ নিধান ॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ, ২৮শ পল্লব, শ্রীকৃষ্ণের রূপ, ২৪৪৪সংখ্যক পদ। ॥ তথা রাগ॥ সজনি অপরূপ গোকুল-চাঁদ। অনুভবি পিরিতি-মুরতি কিয়ে সুধাময় কামিনি-মন-শশ-ফাঁদ॥ ধ্রু॥ নব নব জলধর নিন্দি মনোরম সুচিকণ বরন উজোর। কাম-কামান জিতি ভাঙ ধুনায়তি যছু শরে কামিনি ভোর॥ পীতাম্বর-ধর সুঘড় বেণু-কর মুনি-মনমোহন নাট। বর-কৌস্তুভ-ধর মাল্য-মনোহর জনু নব মনমথ-ঠাট॥ পদ-নখ-চন্দ অমন্দ-সুধা ঝরু থাবর-জঙ্গম-প্রাণ। রাধামোহন-প্রভু নব নব অনুখণ সহজহি রূপ-নিধান॥ এই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৪০-পৃষ্ঠায় পুনঃ এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ বেলোয়ার॥ সজনি অপরূপ গোকুল-চাঁদ। অনুভবি পিরীতি, মুরতি কিয়ে সুধাময়, কামিনী-মন শশ-ফাঁদ॥ নব নব জলধর, নিন্দি মনোরম, সুচিকণ বরন উজোর। কাম-কামান জিনি, ভাঙ ধুনায়তি, যছু শরে কামিনী ভোর॥ পীতাম্বর-ধর, সুঘড় বেণু-কর, মুনিমনোমোহন নাট। বর-কৌস্তুভ ধর, মাল্য মনোহর, জনু নব মনমথ ঠাট॥ পদ-নখ-চন্দ্র, অমন্দ সুধা ঝরু, থাবর জঙ্গম প্রাণ। রাধামোহন পহু, নব নব অনুখণ, সহজহি রূপ-নিধান॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |