কবি রাধামোহন ঠাকুরের বৈষ্ণব পদাবলী
*
হরি হরি গোরা কোথা গেল
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-
তরঙ্গিণী”, ১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২৫১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সুহই॥

হরি হরি গোরা কোথা গেল।
মপমে পশিল শেল বাহির না ভেল॥
কাহারে কহিব দুঃখ না নিঃসরে বাণী।
অনুক্ষণ পড়ে মনে গোরা গুণমণি॥
মো যদি জানিতাঙ গোরা যাবেরে ছাড়িয়া।
পরাণে পরাণ দিয়া রাখিতাম বাঁধিয়া॥
গদাধর দামোদর কেমনে বাঁচিবে।
এর রাধামোহন দাস পরাণে মরিবে॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
হামারি নিঠুর পণ শুনই ইন্দুমুখি
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৬৪ ।

॥ পঠ মঞ্জরী রাগ ধরা দশকোশী তালৌ ॥

হামারি নিঠুর পণ শুনই  ইন্দুমুখি ভাঙ্গই প্রেম অঙ্কুর ।
দুখিত হৃদয় মাহা ধৈরয করি পুন ও সুখ করে জানি দূর ॥
কিয়ে জানি পাপ মদন কদনশরে তেজই নিরুপম দেহ ।
হাহা মনোরথ সব কৈঁলু আনমত কি করব অবহাম থেহ ॥ ধ্রু ॥
অব মঝু অন্তর জ্বলত তুষানল সহই না পারই অঙ্গ ।
হোই সমীরণ বাঢ়ই পুন পুন দারুণ মদন তরঙ্গ ॥
ধিক জীবন ধন যৌবন অভরণ ধিক মোর এ সুখ সকল ।
কহ রাধামোহন অনুগত বঞ্চিলে পরিণামে ঐছন ফল ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড, ১ম শাখা, ২য় পল্লব, শ্রীরাধার
পূর্ব্বরাগ, পদসংখ্যা ৪৭।

অথ শ্রীকৃষ্ণস্যানুতাপঃ।
॥ শ্রীগান্ধার॥

হামারি নিঠুরপনা                        শুনই ইন্দুমুখি
ভাঙ্গই প্রেম-অঙ্কুর।
দুখিত হৃদয় মাহা                      ধৈরজ করি পুন
ও রস করে জানি দূর॥
কিয়ে জানি পাপহি                    মদন-কদন-শরে
তেজই নিরুপম দেহ।
হাহা মনোরথ                       সব কৈল আনমত
কি করব অব হাম থেহ॥
অব মঝু অন্তর                          জ্বলত তুষানল
সহই না পারই অঙ্গে।
হোই সমীরণ                             বাঢ়ই পুন পুন
দারুণ মদন-তরঙ্গে॥
ধিক যৌবন ধন                           জীবন অভরণ
ধিক মোর এ সুখ সকল।
কহ রাধামোহন                          অনুগত বঞ্চিলে
পরিণাম ঐছন ফল॥

টীকা -
৫ - ৮। কিয়ে জানি ইত্যাদি। কি জানি, (যদি) শ্রীরাধা কন্দর্পের পাপ-জনক ও ক্লেশজনক বাণে (পীড়িতা
হইয়া) নিরুপম দেহ পরিত্যাগ করে! হায়! হায়! (আমার) মনোরথ সকলি অন্যমত করিল অর্থাৎ ইচ্ছার
বিরুদ্ধ ফল জন্মাইল ; আমি এখন কি স্থির করিব ? ---সতীশচন্দ্র রায়, পদকল্পতরু॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ১৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীকৃষ্ণস্য সন্তাপ গোপীগমনান্তে॥

হামারি নিঠুরপনা শুনই ইন্দুমুখী ভাঙ্গই প্রেমঅঙ্কুর।
দুখিত হৃদয় মাহা ধৈরয ধরে পুন ও রস করি জনি দূর॥
কি জানি পাপহু মদন কদন সারে তেজই নিরুপম দেহ।
হা হা মনোরথ সব কৈলে আনমত কি করব অব হাম থেহ॥ ধ্রু॥
অব মঝু অন্তরে জ্বলত তুষানল সহই না পারই অঙ্গ।
সোই সমীরণ বাঢ়ত পুন পুন দারুণ মদন তুরঙ্গ॥
ধিক জীবন ধন যৌবন অভরণ ধিক মোর এ সুখ সকল।
কহ রাধামোহন অনুগত বঞ্চিলে পরিণামে ঐছন ফল॥

ই পদটি চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৮৭০ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত এবং তাঁর পুত্র রাজেন্দ্রনাথ
বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৯২২ সালে প্রকাশিত “শ্রীশ্রীপদামৃতসিন্ধু”, ১৩৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীগান্ধার॥

হামারি নিঠুরপণা, শুনই ইন্দুমুখী, ভাঙ্গই প্রেম-অঙ্কুর।
দুঃখিত হৃদয় মাহা, ধৈরয করি পুনঃ, সো রস করে জানি দূর॥
কিয়ে জানি পাপহি মদন কদন শরে তেজই নিরূপম দেহ।
হা হা মনোরথ, সব কৈল আন মত, কি করব অবহাম থেহ॥
অব মঝু অন্তর, জ্বলত তুষানল, সহই না পারই অঙ্গে।
হোই সমীরণ, বাঢ়ই পুনঃ পুনঃ, দারুণ মদন-তরঙ্গে॥
ধিক যৌবন ধন, জীবন অভরণ, ধিক মোর ও সুখ সকল।
কহ রাধামোহন, অনুগত বঞ্চিলে, পরিণামে ঐছন ফল॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪১৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীগান্ধার॥

হামারি নিঠুরপনা, শুনই ইন্দুমুখী, ভাঙ্গই প্রেম-অঙ্কুর।
দুঃখিত হৃদয়মাহা, ধৈরজ করি পুন, সো রস করে জানি দূর॥
কিয়ে জানি পাপহি, মদন কদন শরে, তেজই নিরুপম দেহ।
হাহা মনোরথ, সব কৈল আনমত, কি করব অব হাম থেহ॥
অব মঝু অন্তর, জ্বলত তুষানল, সহই না পারই অঙ্গে।
হোই সমীরণ, বাঢ়ই পুনঃ পুনঃ, দারুণ মদন-তরঙ্গে॥
ধিক্ যৌবন ধন, জীবন আভরণ, ধিক্ মোর এ সুখ সকল।
কহ রাধামোহন, অনুগত বঞ্চিলে, পরিণাম ঐছন ফল॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”,
৪৫৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

হামারি নিঠুরপনা,                        শুনই ইন্দুমুখী,
ভাঙ্গই প্রেম অঙ্কুর।
দুঃখিত হৃদয়মাহা,                     ধৈরয করি পুন
সো রস করে জানি দূর॥
কিয়ে জানি পাপহি,                  মদন কদদ শরে,
তেজই নিরুপম দেহ।
হাহা মনোরথ,                      সব কৈল আনমত,
কি করব অব হাম থেহ॥
অব মঝু অন্তর,                        জ্বলত তুষানল,
সহই না পারই অঙ্গে।
হোই সমীরণ,                         বাঢ়ই পুনঃ পুনঃ,
দারুণ মদন তরঙ্গে॥
ধিক্ যৌবন ধন,                        জীবন আভরণ,
ধিক্ মোর এ সুখ সকল।
কহ রাধামোহন,                      অনুগত বঞ্চিলে,
পরিণাম ঐছন ফল॥

ই পদটি ১৯১৬ সালে প্রকাশিত, হরিলাল চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীপদরত্ন-
মালা”, ১১০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীকৃষ্ণের অনুতাপ।
॥ গান্ধার॥

হামারি নিঠুরপাণা                        শুনই ইন্দু মুখী
ভাঙ্গই প্রেম অঙ্কুর।
দুঃখিত হৃদয়মাহা                      ধৈরজ ধরি পুনঃ
ও রস করয় জানি দূর॥
কিয়ে জাতি জানহি                    মদন কদন শরে
তেজই নিরুপম দেহ।
হা হা মনোরথ                      সব কৈল আন মত
কি করব অব হাম থেহ॥
অব মঝু অন্তর                          জ্বলত তুষানল
সহই না পারই অঙ্গে।
হোই সমীরণ                          বাঢ়ই পুনঃ পুনঃ
দারুণ মদন তরঙ্গ॥
ধিক জীবন ধন                        যৌবন আভরণ
ধিক মোর এ সুখ সকল।
কহ রাধা মোহন                       অনুগত বঞ্চিলে
পরিণাম ঐছন ফল॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯১৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীকৃষ্ণের উক্তি
॥ শ্রীগান্ধার॥

হামারি নিঠুরপনা                        শুনই ইন্দুমুখি
ভাঙ্গই প্রেম-অঙ্কুর।
দুখিত হৃদয় মাহা                     ধৈরজ করি পুন
ও রস করে জানি দূর॥
কিয়ে জানি পাপহি                    মদন-কদন-শরে
তেজই নিরুপম দেহ।
হাহা মনোরথ                        সব কৈল আনমত
কি করব অব হাম থেহ॥
অব মঝু অন্তর                         জ্বলত তুষানলে
সহই না পারই অঙ্গে।
হোই সমীরণে                            বাঢ়ই পুন পুন
দারুণ মদন-তরঙ্গে॥
ধিক যৌবন ধন                         জীবন আভরণ
ধিক্ মোর এ সুখ সকল।
কহ রাধামোহন                       অনুগত বঞ্চিলে
পরিণাম ঐছন ফল॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
হামারি বচন যত বিবিধ বিধান
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও
বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৩০৪ ।

॥ দাক্ষিণাত্য শ্রীরাগ নন্দন তালৌ ॥

হামারি বচন যত বিবিধ বিধান ।
কহবি কানুর পায়ে করি অবধান ॥
যব তুহুঁ বিরাজলি গোকুল মাঝ ।
তহিঁ প্রিয়তমা যই রমণি সমাজ ॥
তছু সখি কোই করিয়া পরণাম ।
নিজগণ বচন কহত তুয়া ঠাম ॥
নীচল চিত করি শুন তছু অন্ত ।
রাধামোহন পহুঁ তুহুঁ গুণবন্ত ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং
সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড,
৪র্থ শাখা, ৬ষ্ঠ পল্লব, হংস-দূত, ১৬৭৮সংখ্যক পদ। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত
পদরসসার পুথির ৯০১সংখ্যক পদ।

॥ শ্রীরাগ॥

হামারি বচন যত বিবিধ বিধান।
কহবি কানুর পায় করি অবধান॥
যব তুহুঁ বিরাজলি গোকুল মাঝ।
তহিঁ প্রিয়তমা যেই রমণি সমাজ॥
তছু সখি কোই করিয়া পরণাম।
নিজগণ-বচন কহত তুয়া ঠাম॥
নীচল চিত করি শুন তছু অন্ত।
রাধামোহন-পহুঁ তুহুঁ গুণবন্ত॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে
অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ
থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত
ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৩৬৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ রাগিণী সুহই॥ তাল সমুচিত॥

হামারি বচন জত বিবিধ বিধান। কহবি কানুর পায় করি অবধান॥
জব তুহু বিরাজলি গোকুলমাঝ। তহি প্রিয়তমা জই রমণিসমাজ॥
তছু সখী কোই করিআ পরনাম। নিজগণ বচন কহয়ে তুয়া ঠাম॥
নিচল চিত করি সুন অছু অন্ত। রাধামোহন পহু তহু গুণবন্ত॥

এই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
“সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৩৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীরাগ॥

হামারি বচন যত বিবিধ বিধান।
কহবি কানুর পায় করি অবধান॥
যব তুহুঁ বিরাজলি গোকুল মাঝ।
তহিঁ প্রিয়তমা যোই রমণী সমাজ॥
তছু সখী কোই করিয়া পরণাম।
নিজগণ বচন কহত তুয়া ঠাম॥
নিচল চিত করি শুন তছু অন্ত।
রাধামোহন পহুঁ তুহুঁ গুণবন্ত॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-
পদলহরী”, ৪৪৪-পৃষ্ঠায় পুনঃ এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীরাগ॥

হামারি বচন যত বিবিধ বিধান।
কহবি কানুর পায় করি অবধান॥
যব তুহুঁ বিরাজলি গোকুল মাঝ।
তহিঁ প্রিয়তমা যোই রমণী-সমাজ॥
তছু সখী কোই করিয়া পরণাম।
নিজগণ-বচন কহত তুয়া ঠাম॥
নিচল চিত করি শুন তছু অন্ত।
রাধামোহন পহুঁ তুহুঁ গুণবন্ত॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯২৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ শ্রীরাগ॥

হামারি বচন যত বিবিধ বিধান।
কহবি কানুর পায় করি অবধান॥
যব তুহুঁ বিরাজলি গোকুল মাঝ।
তহিঁ প্রিয়তমা যেই রমণি-সমাজ॥
তছু সখি কোই করিয়া পরণাম।
নিজগণ-বচন কহত তুয়া ঠাম॥
নীচল চিত করি শুন তছু অন্ত।
রাধামোহন-পহুঁ তুহুঁ গুণবন্ত॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
হাসি হাসি সহচরি যবহুঁ জানাওল
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত
শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড, ২য় শাখা, ২৩শ পল্লব, অকারণ মান,
৬০৭পদসংখ্যক পদ-রূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির
৭৯১সংখ্যক পদ।

॥ ধানশী॥

হাসি হাসি সহচরি                        যবহুঁ জানাওল
ইহ তুয়া নিরহেতু মান।
তব ধনি লাজে                      অধিক মুখ অবনত
বুঝল রসিক বর-কান॥
সখিগণ-ইঙ্গিতে                          রসিক-মুকুটমণি
কোরে আগোরল রাই।
আনন্দে দুহুঁ জন                       পুন ভেল নিমগন
কৌতুক ওর না পাই॥
ইহ অদভুত দুহুঁ দন্দ।
ঐছন কথিহুঁ না                         হেরিয়ে ত্রিভূবনে
শুনইতে লাগয়ে ধন্দ॥ ধ্রু॥
দুহুঁ দুহুঁ সরস                           পরশ পুন বাঢ়ল
দুহুঁ দুহুঁ অধিক উল্লাস।
নিকটহি চামর                        করে করি হেরত
তহিঁ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ১৫২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী॥

হাঁসি হাঁসি সহচরী জবহু জানাওলু ইহ তুয়া নিরহেতু মান।
তব ধনি লাজে অধিক ভেল অবনত বুঝল রসিকবর কান॥
সখীগণ ইঙ্গিতে রসিক মুকুটমণি কোরে আগোরল রাই।
আনন্দে দুহু জন পুন ভেল নিমগন কৌতুক ওর না পাই॥
ইহ অদভুত দুহু দ্বন্দ্ব।
ঐছন কতিহু না হেরিয়ে ত্রিভুবন সুনইতে লাগল ধন্দ॥ ধ্রু॥
দুহুঁ দুহুঁ সরস পরস পুন বাঢ়ল দুহু দুহু অধিক উল্লাস।
নিকটই চামর করে করি হেরত তহি রাধামোহন দাস॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪২২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী॥

হাসি হাসি সহচরী, যবহুঁ জানাওল, ইহ তুয়া নিরহেতু মান।
তব ধনী লাজে, অধিক মুখ অবনত, বুঝল রসিক বরকান॥
সখীগণ ইঙ্গিতে, রসিক-মুকুটমণি, কোরে আগোরল রাই।
আনন্দে দুহুঁজন, পুন ভেল নিমগন, কৌতুক ওর না পাই॥
ইহ অদভূত দুহুঁ দ্বন্দ্ব।
ঐছন কথিহুঁ না, হেরিয়ে ভুবনে, শুনইতে লাগয়ে ধন্দ॥
দুহুঁ মুহুঁ সরস, পরশ পুন বাঢ়ল, দুহুঁ দুহুঁ অধিক উল্লাস।
নিকটহি চা@র, করে করি হেরত, তহিঁ রাধামোহন দাস॥

@ - অপাঠ্য অক্ষর।

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”,
৪৩৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী॥

হাসি হাসি সহচরি,                        যবহুঁ জানাওল,
ইহ তুয়া নিরহেতু মান।
তব ধনী লাজে,                      অধিক মুখ অবনত,
বুঝল রসিক বর-কান॥
সখীগণ ইঙ্গিতে,                          রসিক মুকুটমণি,
কোরে আগোরল রাই।
আনন্দে দুহুঁ জন,                        পুন ভেল নিমগন,
কৌতুক ওর না পাই॥
ইহ অদভুত দুহুঁ দ্বন্দ্ব।
ঐছন কতিহুঁ না,                           হেরিয়ে ভূবনে,
শুনইতে লাগয়ে ধন্দ॥
@@ @@ সরস,                          পরশ পুন বাঢ়ল,
দুহুঁ দুহুঁ অধিক উলাস।
নিকটহি চামর,                         করে করি হেরত,
তঁহি রাধামোহন দাস॥

@ - অপাঠ্য অক্ষর।

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯১৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

অকারণ মান
॥ ধানশী॥

হাসি হাসি সহচরি                        যবহুঁ জানাওল
ইহ তুয়া নিরহেতু মান।
তব ধনি লাজে                        অধিক মুখ অবনত
বুঝল রসিক বর-কান॥
সখিগণ-ইঙ্গিতে                                রসিক-মুকুটমণি
কোরে আগোরল রাই।
আনন্দে দুহুঁ জন                        পুন ভেল নিমগন
কৌতুক ওর না পাই॥
ইহ অদভুত দুহুঁ দন্দ।
ঐছন কথিহুঁ না                                হেরিয়ে ত্রিভূবনে
শুনইতে লাগয়ে ধন্দ॥ ধ্রু॥
দুহুঁ দুহুঁ সরস                                পরশ পুন বাঢ়ল
দুহুঁ দুহুঁ অধিক উল্লাস।
নিকটহি চামর                                করে করি হেরত
তহিঁ রাধামোহন দাস॥

ই পদটি ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী ব্যাখ্যা সম্বলিত
মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ২য় খণ্ড, ৫১৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ ধানশী - দশকুশী॥

হাসি হাসি সহচরি,                        সবহুঁ জানাওল,
ইহ তুয়া নিরহেতু মান।
তব ধনি লাজে,                        অধিক মুখ অবনত
বুঝল রসিক বর-কান॥
সখিগণ ইঙ্গিতে,                           রসিক-মুকুট-মণি,
কোরে আগোরল রাই।
আনন্দে দুহুঁ জন,                        পুন ভেল নিমগন,
কৌতুক ওর না পাই॥
ইহ অদভুত দুহুঁ দন্দ।
ঐছন কথিহুঁ না                          হেরিয়ে ত্রিভূবনে,
শুনইতে লাগয়ে ধন্দ॥ ধ্রু॥
দুহুঁ দুহুঁ সরস,                            পরশ পুন বাঢ়ল,
দুহুঁ দুহুঁ অধিক উল্লাস।
নিকটহি চামর,                         করে করি হেরত,
তহিঁ রাধামোহন দাস॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
হিম ঋতু দিনহি মিলল দুহুঁ কুঞ্জে
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও
বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২৬৯ ।

॥ সুহই রাগ কন্দর্প তালৌ ॥

হিম ঋতু দিনহি মিলল দুহুঁ কুঞ্জে ।
রাধা মাধব করু রস পুঞ্জে ॥
নিবিড় আলিঙ্গন শীত অনিবার ।
এক মুখে ঘরম আরে শিতকার ॥
ঐছন কত বিধ করত সঁচার ।
সুরত পয়োনিধি দুহুঁ ভেল পার ॥
দুহুঁ কর গুণ দুহুঁ করু পরশংস ।
রাধামোহন পহুঁ দুহুঁ অবতংশ ॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে
অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ
থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত
ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ১০৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ সোহই রাগ কন্দর্প তালো॥

হিমঋতু দিনহু মিলল দুহু কুঞ্জে।
রাধামাধব করু রসপুঞ্জে॥
নিবিড় আলিঙ্গন শীত নিবার।
একু মুখে ঘরম আরে সিতকার॥
ঐছন কত বিধ করত সঞ্চার।
সুরত পয়োনিধি দুহু ভেল পার॥
দুহুঁ কর গুণ দুহু করু পরশংস।
রাধামোহন পহুঁ দুহু অবতংশ॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
হে দেব হে দয়িত হে ভুবনৈকবন্ধো
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ৬ষ্ঠ
পল্লব, বাহ্য-দশায় প্রলাপ, ১৬৬৬সংখ্যক পদ। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত
পদরসসার পুথির ৮৮৯সংখ্যক পদ।

॥ তুড়ী॥

হে দেব হে দয়িত হে ভুবনৈকবন্ধো
হে কৃষ্ণ হে চপল হে করুণৈকসিন্ধো।
হে নাথ হে রমণ হে নয়নাভিরাম
হা হা কদা নু ভবিতাসি পদং দৃশোর্ম্মে॥
কাহাঁ মোর প্রাণ-নাথ মুরলী-বদন।
কাহাঁ মোর গুণ-নিধি ও চান্দ-বদন॥
কাহাঁ মোর প্রাণ-বন্ধু নব-ঘন-শ্যাম।
কাহাঁ মোর প্রাণেশ্বর কোটি কোটি কাম॥
কাহাঁ মোর মৃগমদ-কোটীন্দু শীতল।
কাহাঁ মোর নবাম্বুদ-সুধা-নিরমল॥
ঐছন প্রলাপিতে ভেল মুরছিত।
এ রাধামোহন পহু বিরহ-চরিত॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
“সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৩২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তুড়ী॥

হে দেব হে দয়িত হে ভুবনৈকবন্ধো।
হে কৃষ্ণ হে চপল হে করুণৈকসিন্ধো।
হে নাথ হে রমণ হে নয়নাভিরাম
হা হা কদা নু ভবিতাসি পদং দৃশোর্মে॥
কাহাঁ মোর প্রাণাথ মুরলী-বদন।
কাহাঁ মোর গুণনিধি ও চান্দ-বদন॥
কাহাঁ মোর প্রাণবন্ধু নবঘন-শ্যাম।
কাহাঁ মোর প্রাণেশ্বর কোটি কোটি কাম॥
কাহাঁ মোর মৃগমদ-কোটীন্দু-শীতল।
কাহাঁ মোর নবাম্বুদ সুধা-নিরমল॥
ঐছন প্রলাপিতে ভেল মুরছিত।
এ রাধামোহন পহু বিরহ-চরিত॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-
পদলহরী”, ৪৪৩-পৃষ্ঠায় পুনঃ এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তুড়ী॥

হে দেব হে দয়িত হে ভুবনৈকবন্ধো।
হে কৃষ্ণ হে চপল হে করুণৈকসিন্ধো॥
হে নাথ হে রমণ হে নয়নাভিরাম।
হা হা কদা নু ভবিতাসি পদং দৃশোর্ম্মে॥
কাহাঁ মোর প্রাণ-নাথ মুরলী-বদন।
কাহাঁ মোর গুণ-নিধি ওচান্দ-বদন॥
কাহাঁ মোর প্রাণ-বন্ধু নবঘন-শ্যাম।
কাহাঁ মোর প্রাণেশ্বর কোটি কোটি কাম॥
কাহাঁ মোর মৃগমদ-কোটীন্দু শীতল।
কাহাঁ মোর নবাম্বুদ সুধা-নিরমল॥
ঐছন প্রলাপিতে ভেল মূরছিত।
এ রাধামোহন পহু বিরহ-চরিত॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯২৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

দিব্যোন্মাদ
॥ তুড়ী॥

হে দেব হে দয়িত হে ভুবনৈকবন্ধো
হে কৃষ্ণ হে চপল হে করুণৈকসিন্ধো।
হে নাথ হে রমণ হে নয়নাভিরাম।
হা হা কদা নু ভবিতাসি পদং দৃশোর্ম্মে॥
কাহাঁ মোর প্রাণ-নাথ মুরলী-বদন।
কাহাঁ মোর গুণ-নিধি বিধু বিনিন্দন॥
কাহাঁ মোর প্রাণ-বন্ধু নব ঘন-শ্যাম।
কাহাঁ মোর প্রাণেশ্বর কোটি কোটি কাম॥
কাহাঁ মোর মৃগমদ-কোটীন্দু শীতল।
কাহাঁ মোর নবাম্বুদ-সুধা-নিরমল॥
ঐছন প্রলাপিতে ভেল মুরছিত।
এ রাধামোহন পহু বিরহ-চরিত॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
হেম সঞে অতি গোরা মধুর
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৩০। এই পদটির
প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য পদটিকে “হেম সঞে রতি গোরা মধুর” শিরেনামে একটি স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও
দেওয়া হলো।

॥ সারঙ্গ রাগ পঠ তালৌ ॥

হেম সঞে অতি গোরা মধুর হাসিনি থোরা জগজন নয়ন আনন্দ ।
পিরিতি মুরতি কিএ রূপ স্বরূপ ধর ঐছন প্রতি অঙ্গ বন্ধ ॥
সজনী কি পেখলু নবদ্বীপচন্দ ।
কামিনি কাম কবলিত মানস গতি তছু গজপতি মন্দ ॥ ধ্রু ॥
মাঝ দিনহিঁ পুন বসন আবৃত তনু কহতহিঁ পূজব সুর ।
কম্প পূলক ঘাম স্বর ভঙ্গ অনুপাম নয়নহিঁ জল পরিপূর ॥
বামহিঁ ভুজহিঁ বসনে মুখ ঝাঁপই বাম নয়নে ঘন চায় ।
রাধামোহন দাস চিতে এই অভিলাষ সোই চরণ যনু পায় ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ, ৩০শ পল্লব,
অষ্টকালীয় নিত্য-লীলা, ২৫৯৩সংখ্যক পদ।

অথ মধ্যাহ্ন-লীলা।
তত্রাভিসারঃ।
শ্রীগৌরচন্দ্রো যথা।
॥ তুড়ী॥

হেম সঞে অতি গোরা মধুর হাস থোরা
জগ-জন-নয়ন-আনন্দ।
পিরিতি-মুরতি কিয়ে রূপ স্বরূপ-ধর
ঐছন প্রতিঅঙ্গ-বন্ধ॥
আজু কিয়ে নবদ্বীপ-চন্দ।
কামিনি-কাম-কলিত তছু মানস
গতি অছু গজ জিতি মন্দ॥
মাঝ-দিনহি পুন বসন-আবৃত তনু
কহতহি পূজব সুর।
কম্প পূলক ঘাম স্বর-ভঙ্গ অনুপাম
নয়নহি জল পরিপূর॥
বাম ভুজহিঁ বসনে মুখ ঝাঁপই
বাম নয়নে ঘন চায়।
রাধামোহন দাস চিতে অভিলাষই
সোই চরণ জনু পায়॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪৪১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।


হেম সঞে অতি গোরা, সুমধুর হাস থোরা, জগজন-নয়ন আনন্দ।
পিরীতি-মুরতি কিয়ে, রূপ স্বরূপধর, ঐছন প্রতি অঙ্গবন্ধ॥
আজু কিয়ে নবদ্বীপচন্দ্র।
কামিনী কামকলিত তছু মানস, গতি তছু গজ জিনি মন্দ॥
মাঝদিনহি পুন, বসন-আবৃত তনু, কহতহি পূজব সূর।
পুলক-কম্প ঘাম, স্বর-ভঙ্গ অনুপাম, নয়নহি জল পরিপুর॥
বামহিঁ ভুজহিঁ, বসনে মুখ ঝাঁপই, বাম নয়নে ঘন চায়।
রাধামোহন দাস, চিতে অভিলাষই, সোই চরণ জনু পায়॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯১১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তুড়ী॥

হেম সঞে অতি গোরা মধুর হাস থোরা
জগ-জন-নয়ন-আনন্দ।
পিরীতি-মুরতি কিয়ে রূপ স্বরূপ-ধর
ঐছন প্রতিঅঙ্গ-বন্ধ॥
আজু কিয়ে নবদ্বীপ-চন্দ।
কামিনি-কাম-কলিত তছু মানস
গতি অছু গজ জিতি মন্দ॥
মাঝ-দিনহি পুন বসন-আবৃত তনু
কহতহি পূজব সুর।
কম্প পূলক ঘাম স্বরভঙ্গ অনুপাম
নয়নহি জল পরিপূর॥
বাম ভুজহিঁ বসনে মুখ ঝাঁপই
বাম নয়নে ঘন চায়।
রাধামোহন দাস চিতে অভিলাষই
সোই চরণ জনু পায়॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৩য় খণ্ড,
২৫০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীশ্রীরাধাকুণ্ড মিলন।
শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ ধানশী - যোত সমতাল॥

হেম সঞে অতি গোরা,                  মধুর হাস থোরা,
জগজন নয়ন আনন্দ।
পীরিতি মুরতি কিয়ে,                      রূপ স্বরূপ ধর,
ঐছন প্রতি অঙ্গ-বন্ধ॥
আজু কিয়ে নবদ্বীপ চন্দ।
কামিনি কাম-                           কলিত তছু মানস,
গতি অছু গজ জিতি মন্দ॥
মাঝ দিনহি পুন,                       বসনে আবৃত তনু,
কহতহি পূজব সূর।
কম্প পূলক ঘাম,                        স্বর ভঙ্গ অনুপাম,
নয়নহি জল পরিপূর॥
বাম ভুজহি,                              বসনে মুখ ঝাঁপই,
বাম নয়নে ঘন চায়।
রাধামোহন দাস,                        চিতে অভিলাষই,
সোই চরণ জনু পায়॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”,
১৯৩৪, ১৮৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটির প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য পদটিকে “হেম
সঞে অতি গোরা মধুর” শিরেনামে একটি স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া হলো।

॥ তুড়ী - কন্দর্প তাল॥

হেম সঞে রতি গোরা                  সুমধুর হাস থোরা
জগজন নয়ন আনন্দ।
পীরিতি মুরতি কিয়ে                        রূপ স্বরূপ ধর
ঐছন প্রতি অঙ্গ বন্ধ॥
আজু কিয়ে নবদ্বীপ চন্দ।
কামিনি কাজ                            কলিত তছু মানস
গতি অছু গজ জিনি মন্দ॥
মাঝ দিনহি পুন                         বসনে আবৃত তনু
কহ কহি পূজব সুর।
পূলক ঘাম                                স্বরভঙ্গ অনুপাম
নয়নহি জল পরিপূর॥
বাম ভুজহি                                বসনে মুখ ঝাপই
বাম নয়নে ঘন চায়।
রাধামোহন দাস                          চিতে অভিলাষই
সোই চরণ জনু পায়॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
হেম সঞে রতি গোরা
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, ১৯৩৪, ১৮৩-
পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটির প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য পদটিকে “হেম সঞে অতি গোরা
মধুর” শিরেনামে একটি স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া হলো।

॥ তুড়ী - কন্দর্প তাল॥

হেম সঞে রতি গোরা                  সুমধুর হাস থোরা
জগজন নয়ন আনন্দ।
পীরিতি মুরতি কিয়ে                        রূপ স্বরূপ ধর
ঐছন প্রতি অঙ্গ বন্ধ॥
আজু কিয়ে নবদ্বীপ চন্দ।
কামিনি কাজ                            কলিত তছু মানস
গতি অছু গজ জিনি মন্দ॥
মাঝ দিনহি পুন                         বসনে আবৃত তনু
কহ কহি পূজব সুর।
পূলক ঘাম                                স্বরভঙ্গ অনুপাম
নয়নহি জল পরিপূর॥
বাম ভুজহি                                বসনে মুখ ঝাপই
বাম নয়নে ঘন চায়।
রাধামোহন দাস                          চিতে অভিলাষই
সোই চরণ জনু পায়॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং
১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৩০।
এই পদটির প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য পদটিকে “হেম সঞে রতি গোরা মধুর” শিরেনামে একটি স্বতন্ত্র
পদ হিসেবেও দেওয়া হলো।

॥ সারঙ্গ রাগ পঠ তালৌ ॥

হেম সঞে অতি গোরা মধুর হাসিনি থোরা জগজন নয়ন আনন্দ ।
পিরিতি মুরতি কিএ রূপ স্বরূপ ধর ঐছন প্রতি অঙ্গ বন্ধ ॥
সজনী কি পেখলু নবদ্বীপচন্দ ।
কামিনি কাম কবলিত মানস গতি তছু গজপতি মন্দ ॥ ধ্রু ॥
মাঝ দিনহিঁ পুন বসন আবৃত তনু কহতহিঁ পূজব সুর ।
কম্প পূলক ঘাম স্বর ভঙ্গ অনুপাম নয়নহিঁ জল পরিপূর ॥
বামহিঁ ভুজহিঁ বসনে মুখ ঝাঁপই বাম নয়নে ঘন চায় ।
রাধামোহন দাস চিতে এই অভিলাষ সোই চরণ যনু পায় ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ, ৩০শ পল্লব,
অষ্টকালীয় নিত্য-লীলা, ২৫৯৩সংখ্যক পদ।

অথ মধ্যাহ্ন-লীলা।
তত্রাভিসারঃ।
শ্রীগৌরচন্দ্রো যথা।
॥ তুড়ী॥

হেম সঞে অতি গোরা মধুর হাস থোরা
জগ-জন-নয়ন-আনন্দ।
পিরিতি-মুরতি কিয়ে রূপ স্বরূপ-ধর
ঐছন প্রতিঅঙ্গ-বন্ধ॥
আজু কিয়ে নবদ্বীপ-চন্দ।
কামিনি-কাম-কলিত তছু মানস
গতি অছু গজ জিতি মন্দ॥
মাঝ-দিনহি পুন বসন-আবৃত তনু
কহতহি পূজব সুর।
কম্প পূলক ঘাম স্বর-ভঙ্গ অনুপাম
নয়নহি জল পরিপূর॥
বাম ভুজহিঁ বসনে মুখ ঝাঁপই
বাম নয়নে ঘন চায়।
রাধামোহন দাস চিতে অভিলাষই
সোই চরণ জনু পায়॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪৪১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।


হেম সঞে অতি গোরা, সুমধুর হাস থোরা, জগজন-নয়ন আনন্দ।
পিরীতি-মুরতি কিয়ে, রূপ স্বরূপধর, ঐছন প্রতি অঙ্গবন্ধ॥
আজু কিয়ে নবদ্বীপচন্দ্র।
কামিনী কামকলিত তছু মানস, গতি তছু গজ জিনি মন্দ॥
মাঝদিনহি পুন, বসন-আবৃত তনু, কহতহি পূজব সূর।
পুলক-কম্প ঘাম, স্বর-ভঙ্গ অনুপাম, নয়নহি জল পরিপুর॥
বামহিঁ ভুজহিঁ, বসনে মুখ ঝাঁপই, বাম নয়নে ঘন চায়।
রাধামোহন দাস, চিতে অভিলাষই, সোই চরণ জনু পায়॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯১১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ তুড়ী॥

হেম সঞে অতি গোরা মধুর হাস থোরা
জগ-জন-নয়ন-আনন্দ।
পিরীতি-মুরতি কিয়ে রূপ স্বরূপ-ধর
ঐছন প্রতিঅঙ্গ-বন্ধ॥
আজু কিয়ে নবদ্বীপ-চন্দ।
কামিনি-কাম-কলিত তছু মানস
গতি অছু গজ জিতি মন্দ॥
মাঝ-দিনহি পুন বসন-আবৃত তনু
কহতহি পূজব সুর।
কম্প পূলক ঘাম স্বরভঙ্গ অনুপাম
নয়নহি জল পরিপূর॥
বাম ভুজহিঁ বসনে মুখ ঝাঁপই
বাম নয়নে ঘন চায়।
রাধামোহন দাস চিতে অভিলাষই
সোই চরণ জনু পায়॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৩য় খণ্ড,
২৫০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীশ্রীরাধাকুণ্ড মিলন।
শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ ধানশী - যোত সমতাল॥

হেম সঞে অতি গোরা,                  মধুর হাস থোরা,
জগজন নয়ন আনন্দ।
পীরিতি মুরতি কিয়ে,                      রূপ স্বরূপ ধর,
ঐছন প্রতি অঙ্গ-বন্ধ॥
আজু কিয়ে নবদ্বীপ চন্দ।
কামিনি কাম-                           কলিত তছু মানস,
গতি অছু গজ জিতি মন্দ॥
মাঝ দিনহি পুন,                       বসনে আবৃত তনু,
কহতহি পূজব সূর।
কম্প পূলক ঘাম,                        স্বর ভঙ্গ অনুপাম,
নয়নহি জল পরিপূর॥
বাম ভুজহি,                              বসনে মুখ ঝাঁপই,
বাম নয়নে ঘন চায়।
রাধামোহন দাস,                        চিতে অভিলাষই,
সোই চরণ জনু পায়॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
হের দেখ নব নব গৌরাঙ্গ মাধুরি
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২৫৩। প্রথম পংক্তির
ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “হোর দেখ নব নব গৌরাঙ্গ মাধুরি” শিরোনামে একটি স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও
দেওয়া হল।

অথ দান লীলা॥
তত্র গৌরচন্দ্রঃ॥
॥ মল্লার রাগ সমতাল রূপকেভ্যশ্চ॥

হের দেখ নব নব গৌরাঙ্গ মাধুরি রূপে জিতল কোটি কাম ।
অঙ্গহি অঙ্গ ঘাম কুল সঞ্চরু যৈছন মোতিক দাম ॥
নয়নহি নীর বহ কম্পহি থির নহ হাসি কহত মৃদু বাত ।
কো জানে কি ক্ষণে ঘর সঞে আওলু ঠেকিলু শ্যামর হাত ॥
বেশক উচিত দান কভু না শুনিএ কাঁহা শিখলি অবিচার ।
বুঝি দেখি নিরজন গোর্বদ্ধন বন লূটবি তুহু বাট পার ॥
কো হই ভাব ভরহিঁ ভরমাইত কিঞ্চিত পাটল আঁখি ।
রাধামোহন কিএ আনন্দে ডূবব ও রস মাধুরি পেখি ॥

ই পদটি চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৮৭০ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত এবং তাঁর পুত্র রাজেন্দ্রনাথ
বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৯২২ সালে প্রকাশিত “শ্রীশ্রীপদামৃতসিন্ধু”, ৮৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ মল্লার। সমরূপ তাল॥

হের দেখ নব নব, গৌরাঙ্গ মাধুরী, রূপে জিতল কোটী কাম।
অঙ্গহি অঙ্গ ঘামকুল চঞ্চরু যৈছন মোতিমদাম॥
নয়নহি নীর বহ, কম্পই থিরনহ, হাসি কহত মৃদুবাত।
কো জানে কিক্ষণে ঘর সনে আইনু ঠেকিনু শ্যামর হাত॥
বেশক উচিত দান, কভু নাহি শুনিয়ে, কাঁহা শিখলি অবিচার।
বুঝি দেখি নিরজন, গোবদ্ধন বন, লূটবি তুহু বাটপার॥
কোইহ ভাব ভরহি ভরমাইত কিঞ্চিত পাটল আঁখি।
রাধামোহন কিয়ে আনন্দে ডূবব সোরস মাধুরী পেখি॥

এখানে এরপরে আরও চারটি পংক্তি দেওয়া রয়েছে! . . .

রহ রহ বলি কানাই করিল গমন।
কালিন্দির তীরে আসি দিল দরশন॥
কালিন্দীর তারে এক তরণী ছিঁচিয়া।
তাহাতে বসিল কৃষ্ণ কাণ্ডারী হইয়া॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”,
১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২১৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ মল্লার॥

হের দেখ নব নব                          গৌরাঙ্গ মাধুরী
রূপে জিতল কোটি কাম।
অঙ্গহি অঙ্গ                                ঘামকুল সঞ্চরু
যৈছন মোতিম দাম॥
নয়নহি নীর বহ                          কম্পই থির নহ
হাসি কহত মৃদু বাত।
কে জানে কি ক্ষণে                       ঘর সঞে আয়লু
ঠেকি গেনু শ্যামর হাত॥
বেশক উচিত                         দান কভু না শুনিয়ে
কাঁহা শিখলি অবিচার।
বুঝি দেখি নিরজন                          গোর্বদ্ধন লূঠবি
তুহু বাটপার॥
কো ইহ ভাব                            ভরহি ভরমাইত
কিঞ্চিত পাটল আঁখি।
রাধামোহন কিয়ে                           আনন্দে ডুবব
ও রসমাধুরী পেখি॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”,
৪৩২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ মল্লার - সমতাল॥

হের দেখ নব নব,                          গৌরাঙ্গ-মাধুরী
রূপে জিতল কোটি কাম।
অঙ্গহি অঙ্গ,                               ঘামকুল সঞ্চরু,
যৈছন মোতিম-দাম॥
নয়নহি নীর বহ,                         কম্পই থির নহ,
হাসি কহত মৃদু বাত।
কো জানে কি ক্ষণে,                     ঘর সঞে আওলু,
ঠেকি গেনু শ্যামর হাত॥
বেশক উচিত,                        দান কভু না শুনিয়ে,
কাঁহা শিখলি অবিচার।
বুঝি দেখি নিরজন,                          গোর্বদ্ধন-বন
লূটবি তুহুঁ বাটপার॥
কো ইহ ভাব,                          ভরহি ভরমাইত,
কিঞ্চিত পাঠল আঁখি।
রাধামোহন কিয়ে,                         আনন্দে ডূবব,
ও রস-মাধুরী দেখি॥

ই পদটি ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত, দেবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদসঙ্কলন”, ১৬২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

দানলীলা ও নৌকালীলা।

হের দেখ নব নব                        গৌরাঙ্গ-মাধুরি
রূপে জিতল কোটি কাম।
অঙ্গহি অঙ্গ                             ঘাম কুল সঞ্চরু
যৈছন মোতিক দাম॥
নয়নহি নীর বহ                        কম্পই থির নহ
হাসি কহত মৃদু বাত।
কো জানে কি ক্ষণে                     ঘর সঙে আয়লুঁ
ঠেকিলু শ্যামর হাত॥
বেশক উচিত                       দান কভু না শুনিয়ে
কাহাঁ শিখলি অবিচার।
বুঝি দেখি নিরজন                           গোর্বদ্ধন বন
লুটবি তুহুঁ বাটপার॥
কো ইহ ভাব-                          ভরহি ভরমাইত
কিঞ্চিত পাটল আঁখি।
রাধামোহন কিয়ে                          আনন্দে ডুবব
ও রসমাধুরি দেখি॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ২৫শ পল্লব, দান-লীলা,
১৩৩১সংখ্যক পদ, এইরূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির
১৮৪১সংখ্যাক পদ। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “হের দেখ নব নব গৌরাঙ্গ মাধুরি”
শিরোনামে একটি স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া হল।

অথ দান লীলা॥
শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ মল্লার। সমতাল॥

হোর দেখ নব নব                          গৌরাঙ্গ-মাধুরি
রূপে জিতল কোটি কাম।
অঙ্গহি অঙ্গ                                ঘামকুল সঞ্চরু
যৈছন মোতিম-দাম॥
নয়নহি নির বহ                           কম্পই থির নহ
হাসি কহত মৃদু বাত।
কো জানে কি ক্ষণে                      ঘর সঞে আওলুঁ
ঠেকি গেলুঁ শ্যামর হাত॥
বেশক উচিত                          দান কভু না শুনিয়ে
কাঁহা শীখলি অবিচার।
বুঝি দেখি নিরজন                         বন সে গোর্বদ্ধন
লূটবি তুহুঁ বাটপার॥
কো ইহ ভাব-                            ভরহি ভরমাইত
কিঞ্চিত পাটল আঁখি।
রাধামোহন কিয়ে                           আনন্দে ডূবব
ও রস-মাধুরি দেখি॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”,
১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৮৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ মল্লার - সমতাল॥

হোরে দেখ নব নব                       গৌরাঙ্গ মাধুরি
রূপে জিতল কোটি কাম।
অঙ্গহি অঙ্গ                               ঘামকুল সঞ্চরু
যৈছন মোতিম দাম॥
নয়নহি নীরবহ                           কম্পই থির নহ
হাস কহত মৃদু বাত।
কো জানে কি ক্ষণে                    ঘর সঞে আয়লু
ঠেকি গেনু শ্যামের হাত॥
বেশক উচিতদান                        কভু না শুনিয়ে
কাহা শিখলি অবিচার।
বুঝি দেখি নিরজন                        গোর্বদ্ধন লুটবি
তুহুঁ বাট পার॥
কো ইহ ভাব                           ভরহি ভরমাইত
কিঞ্চর পাটল আঁখি।
রাধামোহন কিয়ে                        আনন্দে ডূবব
ও রস মাধুরি দেখি॥


ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯০৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

দানলীলা
গৌরচন্দ্র
॥ মল্লার - সমতাল॥

হোর দেখ নব নব                         গৌরাঙ্গ-মাধুরি
রূপে জিতল কোটি কাম।
অঙ্গহি অঙ্গ                                ঘামকুল সঞ্চরু
যৈছন মোতিম-দাম॥
নয়নহি নির বহ                          কম্পই থির নহ
হাসি কহত মৃদু বাত।
কো জানে কি ক্ষণে                        ঘর সঞে আয়লুঁ
ঠেকি গেলুঁ শ্যামর হাত॥
বেশক উচিত                          দান কভু না শুনিয়ে
কাঁহা শীখলি অবিচার।
বুঝি দেখি নিরজন                         বন সে গোর্বদ্ধন
লূটবি তুহুঁ বাটপার॥
কো ইহ ভাব-                             ভরহি ভরমাইত
কিঞ্চিত পাটল আঁখি।
রাধামোহন কিয়ে                            আনন্দে ডূবব
ও রস-মাধুরি দেখি॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” তয় খণ্ড,
৩১৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

দানঘাটিক দানলীলা।
শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ সুরট মল্লার - তেওট॥

হোর দেখ নব নব,                      গৌরাঙ্গ মাধুরী,
রূপে জিতল কোটী কাম।
অঙ্গহি অঙ্গ,                             ঘামকুল সঞ্চরু,
যৈছন মোতিম দাম॥
নয়নহি নীর বহ,                        কম্পই থির নহ,
হাসি কহত মৃদু বাত।
কো জানে কি ক্ষণে,                   ঘরসঞে নিকসলুঁ,
ঠেকি গেলুঁ শ্যামের হাত॥
বেশক উচিত দান,                    কভু নাহি শুনিয়ে,
কাঁহা শিখলি অবিচার।
বুঝি দেখি নিরজন,                        গোর্বদ্ধন বন,
লুঠবি তুহুঁ বাটপাড়॥
কো ইহ ভাব                           ভরহি ভরমাইত
কিঞ্চর পাটল আঁখি।
রাধামোহন কিয়ে,                        আনন্দে ডূবল,
ও-রস মাধুরী পেখি॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
হোর দেখ নব নব গৌরাঙ্গ মাধুরি
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত
শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ২৫শ পল্লব, দান-লীলা,
১৩৩১সংখ্যক পদ, এইরূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির
১৮৪১সংখ্যাক পদ। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “হের দেখ নব নব গৌরাঙ্গ মাধুরি”
শিরোনামে একটি স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া হল।

অথ দান লীলা॥
শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ মল্লার। সমতাল॥

হোর দেখ নব নব                          গৌরাঙ্গ-মাধুরি
রূপে জিতল কোটি কাম।
অঙ্গহি অঙ্গ                                ঘামকুল সঞ্চরু
যৈছন মোতিম-দাম॥
নয়নহি নির বহ                           কম্পই থির নহ
হাসি কহত মৃদু বাত।
কো জানে কি ক্ষণে                      ঘর সঞে আওলুঁ
ঠেকি গেলুঁ শ্যামর হাত॥
বেশক উচিত                          দান কভু না শুনিয়ে
কাঁহা শীখলি অবিচার।
বুঝি দেখি নিরজন                         বন সে গোর্বদ্ধন
লূটবি তুহুঁ বাটপার॥
কো ইহ ভাব-                            ভরহি ভরমাইত
কিঞ্চিত পাটল আঁখি।
রাধামোহন কিয়ে                           আনন্দে ডূবব
ও রস-মাধুরি দেখি॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”,
১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৮৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ মল্লার - সমতাল॥

হোরে দেখ নব নব                       গৌরাঙ্গ মাধুরি
রূপে জিতল কোটি কাম।
অঙ্গহি অঙ্গ                               ঘামকুল সঞ্চরু
যৈছন মোতিম দাম॥
নয়নহি নীরবহ                           কম্পই থির নহ
হাস কহত মৃদু বাত।
কো জানে কি ক্ষণে                    ঘর সঞে আয়লু
ঠেকি গেনু শ্যামের হাত॥
বেশক উচিতদান                        কভু না শুনিয়ে
কাহা শিখলি অবিচার।
বুঝি দেখি নিরজন                        গোর্বদ্ধন লুটবি
তুহুঁ বাট পার॥
কো ইহ ভাব                           ভরহি ভরমাইত
কিঞ্চর পাটল আঁখি।
রাধামোহন কিয়ে                        আনন্দে ডূবব
ও রস মাধুরি দেখি॥


ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯০৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

দানলীলা
গৌরচন্দ্র
॥ মল্লার - সমতাল॥

হোর দেখ নব নব                         গৌরাঙ্গ-মাধুরি
রূপে জিতল কোটি কাম।
অঙ্গহি অঙ্গ                                ঘামকুল সঞ্চরু
যৈছন মোতিম-দাম॥
নয়নহি নির বহ                          কম্পই থির নহ
হাসি কহত মৃদু বাত।
কো জানে কি ক্ষণে                        ঘর সঞে আয়লুঁ
ঠেকি গেলুঁ শ্যামর হাত॥
বেশক উচিত                          দান কভু না শুনিয়ে
কাঁহা শীখলি অবিচার।
বুঝি দেখি নিরজন                         বন সে গোর্বদ্ধন
লূটবি তুহুঁ বাটপার॥
কো ইহ ভাব-                             ভরহি ভরমাইত
কিঞ্চিত পাটল আঁখি।
রাধামোহন কিয়ে                            আনন্দে ডূবব
ও রস-মাধুরি দেখি॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” তয় খণ্ড,
৩১৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

দানঘাটিক দানলীলা।
শ্রীগৌরচন্দ্র।
॥ সুরট মল্লার - তেওট॥

হোর দেখ নব নব,                      গৌরাঙ্গ মাধুরী,
রূপে জিতল কোটী কাম।
অঙ্গহি অঙ্গ,                             ঘামকুল সঞ্চরু,
যৈছন মোতিম দাম॥
নয়নহি নীর বহ,                        কম্পই থির নহ,
হাসি কহত মৃদু বাত।
কো জানে কি ক্ষণে,                   ঘরসঞে নিকসলুঁ,
ঠেকি গেলুঁ শ্যামের হাত॥
বেশক উচিত দান,                    কভু নাহি শুনিয়ে,
কাঁহা শিখলি অবিচার।
বুঝি দেখি নিরজন,                        গোর্বদ্ধন বন,
লুঠবি তুহুঁ বাটপাড়॥
কো ইহ ভাব                           ভরহি ভরমাইত
কিঞ্চর পাটল আঁখি।
রাধামোহন কিয়ে,                        আনন্দে ডূবল,
ও-রস মাধুরী পেখি॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং
১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২৫৩।
প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “হোর দেখ নব নব গৌরাঙ্গ মাধুরি” শিরোনামে একটি স্বতন্ত্র পদ
হিসেবেও দেওয়া হল।

অথ দান লীলা॥
তত্র গৌরচন্দ্রঃ॥
॥ মল্লার রাগ সমতাল রূপকেভ্যশ্চ॥

হের দেখ নব নব গৌরাঙ্গ মাধুরি রূপে জিতল কোটি কাম ।
অঙ্গহি অঙ্গ ঘাম কুল সঞ্চরু যৈছন মোতিক দাম ॥
নয়নহি নীর বহ কম্পহি থির নহ হাসি কহত মৃদু বাত ।
কো জানে কি ক্ষণে ঘর সঞে আওলু ঠেকিলু শ্যামর হাত ॥
বেশক উচিত দান কভু না শুনিএ কাঁহা শিখলি অবিচার ।
বুঝি দেখি নিরজন গোর্বদ্ধন বন লূটবি তুহু বাট পার ॥
কো হই ভাব ভরহিঁ ভরমাইত কিঞ্চিত পাটল আঁখি ।
রাধামোহন কিএ আনন্দে ডূবব ও রস মাধুরি পেখি ॥

ই পদটি চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৮৭০ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত এবং তাঁর পুত্র রাজেন্দ্রনাথ
বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ১৯২২ সালে প্রকাশিত “শ্রীশ্রীপদামৃতসিন্ধু”, ৮৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ মল্লার। সমরূপ তাল॥

হের দেখ নব নব, গৌরাঙ্গ মাধুরী, রূপে জিতল কোটী কাম।
অঙ্গহি অঙ্গ ঘামকুল চঞ্চরু যৈছন মোতিমদাম॥
নয়নহি নীর বহ, কম্পই থিরনহ, হাসি কহত মৃদুবাত।
কো জানে কিক্ষণে ঘর সনে আইনু ঠেকিনু শ্যামর হাত॥
বেশক উচিত দান, কভু নাহি শুনিয়ে, কাঁহা শিখলি অবিচার।
বুঝি দেখি নিরজন, গোবদ্ধন বন, লূটবি তুহু বাটপার॥
কোইহ ভাব ভরহি ভরমাইত কিঞ্চিত পাটল আঁখি।
রাধামোহন কিয়ে আনন্দে ডূবব সোরস মাধুরী পেখি॥

এখানে এরপরে আরও চারটি পংক্তি দেওয়া রয়েছে! . . .

রহ রহ বলি কানাই করিল গমন।
কালিন্দির তীরে আসি দিল দরশন॥
কালিন্দীর তারে এক তরণী ছিঁচিয়া।
তাহাতে বসিল কৃষ্ণ কাণ্ডারী হইয়া॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”,
১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২১৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ মল্লার॥

হের দেখ নব নব                          গৌরাঙ্গ মাধুরী
রূপে জিতল কোটি কাম।
অঙ্গহি অঙ্গ                                ঘামকুল সঞ্চরু
যৈছন মোতিম দাম॥
নয়নহি নীর বহ                          কম্পই থির নহ
হাসি কহত মৃদু বাত।
কে জানে কি ক্ষণে                       ঘর সঞে আয়লু
ঠেকি গেনু শ্যামর হাত॥
বেশক উচিত                         দান কভু না শুনিয়ে
কাঁহা শিখলি অবিচার।
বুঝি দেখি নিরজন                          গোর্বদ্ধন লূঠবি
তুহু বাটপার॥
কো ইহ ভাব                            ভরহি ভরমাইত
কিঞ্চিত পাটল আঁখি।
রাধামোহন কিয়ে                           আনন্দে ডুবব
ও রসমাধুরী পেখি॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”,
৪৩২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ মল্লার - সমতাল॥

হের দেখ নব নব,                          গৌরাঙ্গ-মাধুরী
রূপে জিতল কোটি কাম।
অঙ্গহি অঙ্গ,                               ঘামকুল সঞ্চরু,
যৈছন মোতিম-দাম॥
নয়নহি নীর বহ,                         কম্পই থির নহ,
হাসি কহত মৃদু বাত।
কো জানে কি ক্ষণে,                     ঘর সঞে আওলু,
ঠেকি গেনু শ্যামর হাত॥
বেশক উচিত,                        দান কভু না শুনিয়ে,
কাঁহা শিখলি অবিচার।
বুঝি দেখি নিরজন,                          গোর্বদ্ধন-বন
লূটবি তুহুঁ বাটপার॥
কো ইহ ভাব,                          ভরহি ভরমাইত,
কিঞ্চিত পাঠল আঁখি।
রাধামোহন কিয়ে,                         আনন্দে ডূবব,
ও রস-মাধুরী দেখি॥

ই পদটি ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত, দেবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদসঙ্কলন”, ১৬২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

দানলীলা ও নৌকালীলা।

হের দেখ নব নব                        গৌরাঙ্গ-মাধুরি
রূপে জিতল কোটি কাম।
অঙ্গহি অঙ্গ                             ঘাম কুল সঞ্চরু
যৈছন মোতিক দাম॥
নয়নহি নীর বহ                        কম্পই থির নহ
হাসি কহত মৃদু বাত।
কো জানে কি ক্ষণে                     ঘর সঙে আয়লুঁ
ঠেকিলু শ্যামর হাত॥
বেশক উচিত                       দান কভু না শুনিয়ে
কাহাঁ শিখলি অবিচার।
বুঝি দেখি নিরজন                           গোর্বদ্ধন বন
লুটবি তুহুঁ বাটপার॥
কো ইহ ভাব-                          ভরহি ভরমাইত
কিঞ্চিত পাটল আঁখি।
রাধামোহন কিয়ে                          আনন্দে ডুবব
ও রসমাধুরি দেখি॥

.              *************************                
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর