কবি রাধামোহন ঠাকুরের বৈষ্ণব পদাবলী |
হোর দেখ সাঁজহি গৌরাঙ্গ বেয়াকুল ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২৭৮। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “হের দেখ সাঁজহি গৌরাঙ্গ বেয়াকুল” এবং “হের দেখ সজনি গৌরাঙ্গের অকুল” শিরোনামে স্বতন্ত্র দুটি পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে। ॥ যথা বা ॥ হোর দেখ সাঁজহি গৌরাঙ্গ বেয়াকুল নদি যনু ঝরএ নয়ান । কো ইহ ভাব বিভাবিত অন্তর হেরি হেরি ঝুরএ পরাণ ॥ সজনী ক্ষেনে ক্ষেনে কহু ইহ বাত । ঐছন তন্ত্র মন্ত্র পরচারহ যৈছন নহ পরভাত ॥ ধ্রু ॥ তাক বিছেদ হাম সহই না পারব নিকশউ পাপ পরাণ । কি করব কৈছনে ইহ দুখ মেটব সো রিতি করহ বিধান ॥ এত শুনি মধুর ভকত গণ কান্দই ততহি করত অনুবাদ । রাধামোহন দিন কিছুই না জানল অতএ সে করত বিষাদ ॥ এই পদটি ১৮৪৯ সালে প্রকাশিত গৌরমোহন দাস সংকলিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদকল্পলতিকা”, ৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ কামোদ॥ হোর দেখ সাজহি গৌরাঙ্গের অকূল নদী জনু ঝরয়ে নয়ান। কে ই ভাবে ভাবিত অন্তর হেরি হের ঝুরয়ে পরাণ॥ সজনী ক্ষণে কহই বাত। ঐছন তন্ত্র মন্ত্র পড়ত কেহ যৈছনে নহে পরভাত॥ তাক বিচ্ছেদে হাম সহই না পারব নিকসয় পাপ পরাণ। কি করব কৈছনে ইহ দুখ মিটব @রিতে করহ বিধান॥ এত শুনি ভকত গণ কান্দই তহি করব অনুবাদ। রাধামোহন দীন কিছুই না জানহ অতয়ে সে করত বিষাদ॥ এই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৩১৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “হোর দেখ সাঁজহি গৌরাঙ্গ বেয়াকুল” এবং “হের দেখ সজনি গৌরাঙ্গের অকুল” শিরোনামে স্বতন্ত্র দুটি পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে। ॥ রাগিণী কামোদ॥ তাল মন্টক॥ হের দেখ সাজহি গৌরাঙ্গ বেআকুল নদী জনু রহএ নআন। কো ইহ ভাব বিভাবিত অন্তর হেরি হেরি ঝুরয়ে পরাণ॥ সজনি ক্ষণে ক্ষণে কহু ইহ বাত। ঐছন তন্ত মন্ত পরচারহ জৈছন নহ পরভাত॥ ধ্রু॥ তাক বিচ্ছেদ হাম সহই না পারই নিকসউ পাপ পরাণ। কি করব কৈছনে ইহ দুখ মেটব সো রীতি করহ বিধান॥ এত সুনি মধুর ভকতগণ কান্দই ততহি করত অনুবাদ। রাধামোহন দীন কিছুই না জানল অতএ সে করত বিষাদ॥ এই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, ১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৮৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “হোর দেখ সাঁজহি গৌরাঙ্গ বেয়াকুল” এবং “হের দেখ সাঁজহি গৌরাঙ্গ বেয়াকুল” শিরোনামে স্বতন্ত্র দুটি পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে। ॥ কামোদ॥ হের দেখ সজনি গৌরাঙ্গের অকুল নদী যেন ঝরয়ে নয়ান। কোই ভাবে ভাবিত, অন্তর হেরি হেরি, ঝুরয়ে পরাণ॥ সজনী ক্ষণে কহই বাত। ঐছন তন্ত্র মন্ত্র পড়ত কেহ যৈ জানে নহে পরভাত॥ তাক বিচ্ছেদ হাম, সহই না পারব, নিকষয়ে পাপ-পরাণ। কি করব কৈছনে, ইহ দুখ মিটব, তুরিতে করহ বিধান॥ এত শুনি ভকতগণ কাঁদহি তহি করব অনুবাদ। রাধামোহন দীন, কিছুই না জানত, অতয়ে সে করত বিষাদ॥ এই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৫২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ কামোদ॥ হের দেখ সজনি গৌরাঙ্গের আকুল নদী যেন ঝরয়ে নয়ান। কোই ভাবে ভাবিত অন্তর হেরি হেরি ঝুরয়ে পরাণ॥ সজনি ক্ষেণে কহই বাত ঐছন তন্ত্র মন্ত্র পরত কেহ। যৈ জানে নহে পরভাত॥ তাক বিচ্ছেদ হাম, সহই না পারব নিকষয়ে পাপ পরাণ। কি করব কৈছনে, ইহ দুখ মিটব, তুরিতে করহ বিধান॥ এতশুনি ভকত গণ কাঁদহি তহি করব অনুবাদ। রাধামোহন দীন, কিছুই না জানত, অতয়ে যে করত বিষাদ॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
হের দেখ সাজহি গৌরাঙ্গ বেআকুল ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৩১৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “হোর দেখ সাঁজহি গৌরাঙ্গ বেয়াকুল” এবং “হের দেখ সজনি গৌরাঙ্গের অকুল” শিরোনামে স্বতন্ত্র দুটি পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে। ॥ রাগিণী কামোদ॥ তাল মন্টক॥ হের দেখ সাজহি গৌরাঙ্গ বেআকুল নদী জনু রহএ নআন। কো ইহ ভাব বিভাবিত অন্তর হেরি হেরি ঝুরয়ে পরাণ॥ সজনি ক্ষণে ক্ষণে কহু ইহ বাত। ঐছন তন্ত মন্ত পরচারহ জৈছন নহ পরভাত॥ ধ্রু॥ তাক বিচ্ছেদ হাম সহই না পারই নিকসউ পাপ পরাণ। কি করব কৈছনে ইহ দুখ মেটব সো রীতি করহ বিধান॥ এত সুনি মধুর ভকতগণ কান্দই ততহি করত অনুবাদ। রাধামোহন দীন কিছুই না জানল অতএ সে করত বিষাদ॥ এই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, ১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৮৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “হোর দেখ সাঁজহি গৌরাঙ্গ বেয়াকুল” এবং “হের দেখ সাঁজহি গৌরাঙ্গ বেয়াকুল” শিরোনামে স্বতন্ত্র দুটি পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে। ॥ কামোদ॥ হের দেখ সজনি গৌরাঙ্গের অকুল নদী যেন ঝরয়ে নয়ান। কোই ভাবে ভাবিত, অন্তর হেরি হেরি, ঝুরয়ে পরাণ॥ সজনী ক্ষণে কহই বাত। ঐছন তন্ত্র মন্ত্র পড়ত কেহ যৈ জানে নহে পরভাত॥ তাক বিচ্ছেদ হাম, সহই না পারব, নিকষয়ে পাপ-পরাণ। কি করব কৈছনে, ইহ দুখ মিটব, তুরিতে করহ বিধান॥ এত শুনি ভকতগণ কাঁদহি তহি করব অনুবাদ। রাধামোহন দীন, কিছুই না জানত, অতয়ে সে করত বিষাদ॥ এই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৫২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ কামোদ॥ হের দেখ সজনি গৌরাঙ্গের আকুল নদী যেন ঝরয়ে নয়ান। কোই ভাবে ভাবিত অন্তর হেরি হেরি ঝুরয়ে পরাণ॥ সজনি ক্ষেণে কহই বাত ঐছন তন্ত্র মন্ত্র পরত কেহ। যৈ জানে নহে পরভাত॥ তাক বিচ্ছেদ হাম, সহই না পারব নিকষয়ে পাপ পরাণ। কি করব কৈছনে, ইহ দুখ মিটব, তুরিতে করহ বিধান॥ এতশুনি ভকত গণ কাঁদহি তহি করব অনুবাদ। রাধামোহন দীন, কিছুই না জানত, অতয়ে যে করত বিষাদ॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২৭৮। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “হের দেখ সাঁজহি গৌরাঙ্গ বেয়াকুল” এবং “হের দেখ সজনি গৌরাঙ্গের অকুল” শিরোনামে স্বতন্ত্র দুটি পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে। ॥ যথা বা ॥ হোর দেখ সাঁজহি গৌরাঙ্গ বেয়াকুল নদি যনু ঝরএ নয়ান । কো ইহ ভাব বিভাবিত অন্তর হেরি হেরি ঝুরএ পরাণ ॥ সজনী ক্ষেনে ক্ষেনে কহু ইহ বাত । ঐছন তন্ত্র মন্ত্র পরচারহ যৈছন নহ পরভাত ॥ ধ্রু ॥ তাক বিছেদ হাম সহই না পারব নিকশউ পাপ পরাণ । কি করব কৈছনে ইহ দুখ মেটব সো রিতি করহ বিধান ॥ এত শুনি মধুর ভকত গণ কান্দই ততহি করত অনুবাদ । রাধামোহন দিন কিছুই না জানল অতএ সে করত বিষাদ ॥ এই পদটি ১৮৪৯ সালে প্রকাশিত গৌরমোহন দাস সংকলিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদকল্পলতিকা”, ৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ কামোদ॥ হোর দেখ সাজহি গৌরাঙ্গের অকূল নদী জনু ঝরয়ে নয়ান। কে ই ভাবে ভাবিত অন্তর হেরি হের ঝুরয়ে পরাণ॥ সজনী ক্ষণে কহই বাত। ঐছন তন্ত্র মন্ত্র পড়ত কেহ যৈছনে নহে পরভাত॥ তাক বিচ্ছেদে হাম সহই না পারব নিকসয় পাপ পরাণ। কি করব কৈছনে ইহ দুখ মিটব @রিতে করহ বিধান॥ এত শুনি ভকত গণ কান্দই তহি করব অনুবাদ। রাধামোহন দীন কিছুই না জানহ অতয়ে সে করত বিষাদ॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
হের দেখ সজনি গৌরাঙ্গের অকুল ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, ১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৮৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “হোর দেখ সাঁজহি গৌরাঙ্গ বেয়াকুল” এবং “হের দেখ সাঁজহি গৌরাঙ্গ বেয়াকুল” শিরোনামে স্বতন্ত্র দুটি পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে। ॥ কামোদ॥ হের দেখ সজনি গৌরাঙ্গের অকুল নদী যেন ঝরয়ে নয়ান। কোই ভাবে ভাবিত, অন্তর হেরি হেরি, ঝুরয়ে পরাণ॥ সজনী ক্ষণে কহই বাত। ঐছন তন্ত্র মন্ত্র পড়ত কেহ যৈ জানে নহে পরভাত॥ তাক বিচ্ছেদ হাম, সহই না পারব, নিকষয়ে পাপ-পরাণ। কি করব কৈছনে, ইহ দুখ মিটব, তুরিতে করহ বিধান॥ এত শুনি ভকতগণ কাঁদহি তহি করব অনুবাদ। রাধামোহন দীন, কিছুই না জানত, অতয়ে সে করত বিষাদ॥ এই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৫২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ কামোদ॥ হের দেখ সজনি গৌরাঙ্গের আকুল নদী যেন ঝরয়ে নয়ান। কোই ভাবে ভাবিত অন্তর হেরি হেরি ঝুরয়ে পরাণ॥ সজনি ক্ষেণে কহই বাত ঐছন তন্ত্র মন্ত্র পরত কেহ। যৈ জানে নহে পরভাত॥ তাক বিচ্ছেদ হাম, সহই না পারব নিকষয়ে পাপ পরাণ। কি করব কৈছনে, ইহ দুখ মিটব, তুরিতে করহ বিধান॥ এতশুনি ভকত গণ কাঁদহি তহি করব অনুবাদ। রাধামোহন দীন, কিছুই না জানত, অতয়ে যে করত বিষাদ॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২৭৮। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “হের দেখ সাঁজহি গৌরাঙ্গ বেয়াকুল” এবং “হের দেখ সজনি গৌরাঙ্গের অকুল” শিরোনামে স্বতন্ত্র দুটি পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে। ॥ যথা বা ॥ হোর দেখ সাঁজহি গৌরাঙ্গ বেয়াকুল নদি যনু ঝরএ নয়ান । কো ইহ ভাব বিভাবিত অন্তর হেরি হেরি ঝুরএ পরাণ ॥ সজনী ক্ষেনে ক্ষেনে কহু ইহ বাত । ঐছন তন্ত্র মন্ত্র পরচারহ যৈছন নহ পরভাত ॥ ধ্রু ॥ তাক বিছেদ হাম সহই না পারব নিকশউ পাপ পরাণ । কি করব কৈছনে ইহ দুখ মেটব সো রিতি করহ বিধান ॥ এত শুনি মধুর ভকত গণ কান্দই ততহি করত অনুবাদ । রাধামোহন দিন কিছুই না জানল অতএ সে করত বিষাদ ॥ এই পদটি ১৮৪৯ সালে প্রকাশিত গৌরমোহন দাস সংকলিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদকল্পলতিকা”, ৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ কামোদ॥ হোর দেখ সাজহি গৌরাঙ্গের অকূল নদী জনু ঝরয়ে নয়ান। কে ই ভাবে ভাবিত অন্তর হেরি হের ঝুরয়ে পরাণ॥ সজনী ক্ষণে কহই বাত। ঐছন তন্ত্র মন্ত্র পড়ত কেহ যৈছনে নহে পরভাত॥ তাক বিচ্ছেদে হাম সহই না পারব নিকসয় পাপ পরাণ। কি করব কৈছনে ইহ দুখ মিটব @রিতে করহ বিধান॥ এত শুনি ভকত গণ কান্দই তহি করব অনুবাদ। রাধামোহন দীন কিছুই না জানহ অতয়ে সে করত বিষাদ॥ এই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৩১৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “হোর দেখ সাঁজহি গৌরাঙ্গ বেয়াকুল” এবং “হের দেখ সজনি গৌরাঙ্গের অকুল” শিরোনামে স্বতন্ত্র দুটি পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে। ॥ রাগিণী কামোদ॥ তাল মন্টক॥ হের দেখ সাজহি গৌরাঙ্গ বেআকুল নদী জনু রহএ নআন। কো ইহ ভাব বিভাবিত অন্তর হেরি হেরি ঝুরয়ে পরাণ॥ সজনি ক্ষণে ক্ষণে কহু ইহ বাত। ঐছন তন্ত মন্ত পরচারহ জৈছন নহ পরভাত॥ ধ্রু॥ তাক বিচ্ছেদ হাম সহই না পারই নিকসউ পাপ পরাণ। কি করব কৈছনে ইহ দুখ মেটব সো রীতি করহ বিধান॥ এত সুনি মধুর ভকতগণ কান্দই ততহি করত অনুবাদ। রাধামোহন দীন কিছুই না জানল অতএ সে করত বিষাদ॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |