কবি রাধামোহন ঠাকুরের বৈষ্ণব পদাবলী |
অপযশ লাগিয়া তুহুঁ অতি চিন্তিত ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ৬ষ্ঠ পল্লব, দূতী-সংবাদ, ১৮৭৪সংখ্যক পদ। ॥ ধানশী॥ অপযশ লাগিয়া তুহুঁ অতি চিন্তিত চিন্তা অব নাহি করবি। সো ঘর বাহির অব নাহি হোয়ত ক্ষিতি-তলে নিজ তনু ধরই॥ নয়নক লোর লেশ নাহি আওত ধারা অব নাহি বহই। বিরহক তাপ অবহুঁ নাহি জানত অনিমিখ লোচনে রহই॥ ললিতা বদনে বদনহি দেওত শ্রুতি-মুলে তুয়া নাম কহই। শ্বাসক লেশ কেশ পর গীরত ইথে বুঝি জীবন রহই। তুহুঁ অতি মন্থর চলবি দূরন্তর সো অতি দূবরি বালা। রাধামোহন-বচন অব মানহ মেটউ বিরহক জ্বালা॥ এই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৪৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ ধানশী॥ অপযশ লাগিয়া, তুহুঁ অতি চিন্তিত, চিন্তা অব নাহি করবি। সো ঘর বাহির, অব নাহি হোয়ত, ক্ষিতি-তলে নিজ তনু ধরবি॥ নয়নক লোর, লেশ নাহি আওত, ধরা ধরি অববহই। বিরহক তাপ, অবহুঁ নাহি জানত, অনিমিখ লোচনে রহই॥ ললিতা বদনে, বদনহি দেওত, শ্রুতি-মুলে পিয়া নাম কহই। শ্বাসক লেশ, কেশ পর গীরত, ইথে বুঝি জীবন রহই। তুহুঁ অতি মন্থর, চলবি দূরান্তর, সো অতি দুবরী বালা। রাধামোহন, বচন অব মানহ, মেটব বিরহক জ্বালা॥ এই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯২৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। নানাবিধ বিরহ ॥ ধানশী॥ অপযশ লাগিয়া তুহুঁ অতি চিন্তিত চিন্তা অব নাহি করই। সো ঘর বাহির অব নাহি হোয়ত ক্ষিতি-তলে নিজতনু ধরই॥ নয়নক লোর লেশ নাহি আওত ধারা অব নাহি বহই। বিরহক তাপ অবহুঁ নাহি জানত অনিমিখ লোচনে রহই॥ ললিতা বদনে বদনহি দেওত শ্রুতি-মুলে তুয়া নাম কহই। শ্বাসক লেশ লেশ পর গীরত ইথে বুঝি জীবন রহই। তুহুঁ অতি মন্থর চলবি দূরন্তর সো অতি দূবরি টলই। রাধামোহন-বচন অব মানহ তোড়হ বিরহ জ্বালা চলই॥ এই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী টীকা সম্বলিত মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৪র্থ খণ্ড, ১১৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ শ্রী - দশকুশী॥ অপযশ লাগিয়া তুহুঁ অতি চিন্তিত চিন্তা অব নাহি করবি। সো ঘর বাহির অব নাহি হোয়ত ক্ষিতিতলে নিজ তনু ধরই॥ নয়নক লোর লেশ নাহি আওত ধারা অব নাহি বহই। বিরহক তাপ অবহুঁ নাহি জানত অনিমিখ লোচনে রহই॥ ললিতা বদনে বদনহি দেওত শ্রুতি-মুলে তুয়া নাম কহই। শ্বাসক লেশ লেশ পর গীরত ইথে বুঝি জীবন রহই। তুহুঁ অতি মন্থর চলবি দূরন্তর সো অতি দুবরি বালা। রাধামোহন বচন অব মানহ মেটউ বিরহক জ্বালা॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
আজু কহত ভাবে শচির কোঙর ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২৯০ । আজু কহত ভাবে শচির কোঙর । হরিক বিচ্ছেদ দুখ দহএ অন্তর ॥ বড় ভেল হামারি অভাগি । তত ধিক মঝু আশা কি ভেল আগি ॥ ধ্রু॥ দাব দহন শতাধিক অনুমান । কত না সহিব দুঃখ এ পাপ পরাণ ॥ এত শুনি মধুর ভকত পায় দুখ । পাপি রাধামোহন পাথর বুক ॥ এই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৩৪৫-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ রাগিণী তোড়ি॥ ॥ ম@ক তালো॥ (কথাটা “মণ্ঠক” তাল লেখা নয়। “মঞ্জক” লেখা হতে পারে।) আজু কহত ভাবে শচীর কোঙর। হরিক বিচ্ছেদদুখ দহয়ে অন্তর॥ বড় ভেল হামারি অভাগি। ততোধিক মঝু আশা কি না ভেল আগী॥ ধ্রু॥ দাবদহন শতাধিক অনুমান। কত না সহিব দুখ এ পাপ পরাণ॥ এত সুনি মধুর ভকত পায় দুখ। পাপী রাধামোহন পাথর বুক॥ @ - অপাঠ্য অক্ষর। এই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী টীকা সম্বলিত মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৪র্থ খণ্ড, ৩৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ভূত বিরহ শ্রীগৌরচন্দ্র। ॥ সুহই - কাটাদশকুশী॥ আজু কহত ভাবে শচীর কোঙর। হরিক বিচ্ছেদ দুখ দহয়ে অন্তর॥ বড় ভেল হামারি অভাগী। ততোহধিক মঝু আশা কি ভেল আগি॥ ধ্রু॥ দাবদহন শতাধিক অনুমান। কত না সহিব দুখ এ পাপ পরাণ॥ এত শুনি মধুর ভকত পায় দুখ । পাপী রাধামোহন পাথর বুক॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
আজু শচীনন্দন নব বিরহিণী জনু ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, ১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৮৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ সুহই॥ আজু শচীনন্দন নব বিরহিণী জনু রহি রহি রোয় অনিবার। কহে মঝু বল্লভ কো হরি নেওল হিয়া গেহ করু আঁধিয়ার॥ আহা কানু যব ছোড়ি গেল। কাহে এ পাষাণ হিয়া ফাটি নাহি গেও তব কাহে মঝু মরণ না ভেল॥ ধ্রু॥ যছুকা গরবে হাম গরবিনী গোকুলে সো যদি বিছুরল মোহে। বিনু নবঘন-জল আন নীরে কো ফল চাতক পিয়ব বারি কাহে॥ চাঁদ চন্দিমা লাগি চকোরিণী আকুলি রাহু যদি গরাসল চাঁদে। চকোরিণী পিয়াস তবে কাহে মিটব কাহে সোই হিয় থির বাঁধে॥ যদি প্রাণপিয় মোহে ছোড়ি গেও মধুপুর হাম কাহে জীয়ব জীয়ে। কহ রাধামোহন পহুঁ সঞে তেজব এপরাণ কালকূট কিয়ে॥ এই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৫২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ সুহই॥ আজু শচীনন্দন, নব বিরহিণী জনু, রহি রহি রোয় অনিবার। কহে মঝু বল্লভ, কো হেরি নেওল, হিয়া গেহ করু আঁধিয়ার॥ আহা কানু যব ছোড়ি গেল। কাহে এ পাষাণ হিয়া, ফাটি নাহি গেও তব, কাহে মঝু মরণ না ভেল॥ যছুকা গরবে হাম, গরবিনী গোকুলে, সো যদি বিছুরল মোহে। বিনু নবঘন জল, আননীরে কো ফল, চাতক পিলব বারি কাহে॥ চাঁদ চান্দিমা লাগি, চকোরিণী আকুলি, রাহু যদি গরাসল চাঁদে। চকোরিণী পিয়াস, তবে কাহে মিটব, কাহে সোই হিয় থির বাঁধে॥ যদি প্রাণ পিয় মোহে, ছোড়ি গেও মধুপুর, হাম কাহে জীয়ব জীয়ে। কহ রাধামোহন, পহুঁ সঞে তেজব, এ পরাণ কালকুট কিয়ে॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
আজু শচীসুত পেখলুঁ থিরচিত ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৩৭৭ । অথ ভাবোল্লাস ॥ দাক্ষিণাত্য শ্রীরাগ কন্দর্পতালৌ ॥ আজু শচীসুত পেখলুঁ থিরচিত না বুঝল কৈছন ভাব । অনুখন বোলত আজু মঝু হোয়ব চিরদিন পর বর লাভ ॥ সজনী মঙ্গল করব সচাঁর । বহু দিনে মাধব নিজ ঘর আওব সব দুখ মিটব হামার ॥ ধ্রু ॥ দেহ নয়ন মন গৃহ ধন যৌবন দরশনে হইব সফল । চান্দ বদনে পুন কত শুভ সূচন ঐছন বচন সকল ॥ সো নন্দনন্দন হৃদয় আনন্দন করু যোই ভাবে অবতার । রাধামোহন চিত জাগউ অবিরত সোই করত পরচার ॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
আজু হাম পেখলু চিন্তায়ে নিমগন ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৩২৯ । অথ সামান্যেতঃ সখ্যুক্তি স্তত্র গৌরচন্দ্রো যথা॥ তত্র চিন্তা ক্রান্তো যথা॥ ॥ কামোদ রাগ কন্দর্প তালৌ॥ আজু হাম পেখলু চিন্তায়ে নিমগন গৌরাঙ্গ নবদ্বীপ চান্দ। তাহে মঝু মানস, কাঁপই অহনিশ ঝর ঝর নয়নহি কান্দ॥ ইহ বর হৃদয়ক তাপ । গোকুল নায়ক গোপিকা ভাবহিঁ কত শত করত বিলাপ ॥ ধ্রু॥ ঘন ঘন শ্বাস ডারত মহি লিখত বিবরণ ভেল অরু ক্ষীন। বাম করতল অবলম্বন মুখ বিধু লোচন নিরঝর চীন॥ জগ ভরি করুণায় দেয়ল প্রেম ধন দারিদ না রহ কোই। রাধামোহন পুন তহিঁ ভেল বঞ্চিত আপন করম দোষে রোই॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ১১শ পল্লব, দশ দশা, ১৮৮৩সংখ্যক পদ। ॥ কামোদ॥ আজু হাম পেখলুঁ চিন্তায় নিমগন গৌরাঙ্গ নবদ্বিপ-চান্দ। তাহে মঝু মানস কাঁপই অহনিশি ঝর ঝর নয়নহি কান্দ॥ ইহ বড় হৃদয়ক তাপ। গোকুল-নায়ক গোপিকা-ভাবহি কত শত করত বিলাপ॥ ধ্রু॥ ঘন ঘন শাস ডারত মহি লীখত বিবরণ ভেল অরু ক্ষীণ। বাম করে অবলম্বই মুখ-বিধু লোচন নিরঝর-চীন॥ জগ ভরি করুণায় দেয়ল প্রেম-ধন দারিদ না রহ কোই। রাধামোহন পুন তহিঁ ভেল বঞ্চিত আপন করম-দোষে রোই॥ এই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৪২০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ রাগিণী কামোদ॥ ॥ তালোচিত॥ আজু হাম পেখনু চিন্তায় নিমগন গৌরাঙ্গ নবদ্বীপচান্দ। তাহে মঝু মানস কাপয়ে অহর্নিশ ঝরঝর নয়নহি কান্দ॥ ইহ বর হৃদয়ক গোকুল নায়ক গোপিকা ভাবহি কত শত কয়ত বিলাস॥ ধ্রু॥ (! ) ঘনঘন শ্বাস ডারত মহী লীখত বিবরণ ভেল অব খীন। বাম করে অবলম্বই মুখবিধু লোচন নিঝরে চিহ্ন॥ জগভরি করুণায় দেয়ল প্রেমধন দারিদ্র্য না রহ কোই। রাধামোহন পহু তহি ভেল বঞ্চিত আপন করমদোষে রোই॥ এই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৩৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ কামোদা॥ আজু হাম পেখলু, চিন্তায় নিমগন, গৌরাঙ্গ নবদ্বীপ-চান্দ। তাহে মঝু মানস, কাঁপই অহর্নিশি, ঝর ঝর নয়নহি কান্দ॥ ইহ বড় হৃদয়ক তাপ। গোকুল-নায়ক, গোপিকা-ভাবহি, কত শত করত বিলাপ॥ ঘন ঘন শাস, ডারত মহী লিখত, বিবরণ ভেল অরু ক্ষীণ। বাম করতল অবলম্বন মুখ-বিধু, লোচন-নীর ধরু চিন॥ জগ ভরি করুণায়, দেষল প্রেম-ধন, দারিদ না রহ কোই। রাধামোহন পুন, তহিঁ ভেল বঞ্চিত, আপন করম-দোষে রোই॥ এই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, ১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ২০২-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ কামোদ॥ আজু হাম পেখলুঁ চিন্তায় নিমগন গৌরাঙ্গ নবদ্বীপচাঁদ। তাহে মঝু মানস কাঁপয়ে অহনিশ ঝর ঝর নয়নহি কাঁদ॥ ইহ বর হৃদয়ক তাপ। গোকুল-নায়ক গোপিকা-ভাবহি কত শত করত বিলাপ॥ ধ্রু॥ ঘন ঘন শ্বাস ডারত মহী লিখত বিবরণ ভেল অরুক্ষীণ। বামকরে অব- লম্বই মুখবিধু লোচননীর ঝরু চিন॥ জগভরি করুণায়ে দেয়ল প্রেমধন দরিদ না রহ কোই। রাধামোহন পুন তহি ভেল বঞ্চিত আপন করম-দোষে রই॥ এই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৪৫-পৃষ্ঠায় পুনঃ এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ কামোদ॥ আজু হাম পেখলু, চিন্তায় নিমগন, গৌরাঙ্গ নবদ্বীপ-চান্দ। তাহে মঝু মানস, কাঁপই অহনিশি, ঝর ঝর নয়নহি কান্দ॥ ইহ বর হৃদয়ক তাপ। গোকুল নায়ক, গোপিকা-ভাবহি, কত শত করত বিলাপ॥ ঘন ঘন শ্বাস, ডারত মহী লিখত, বিবরণ ভেল অরু ক্ষীণ। বাম করতল অব, লম্বন মুখ-বিধু, লোচন-নীর ধরু চিন॥ জগ ভরি করুণায়, দেয়ল প্রেম ধন, দারিদ না রহ কোই। রাধামোহন পুন, তহিঁ ভেল বঞ্চিত, আপন করম-দোষে রই॥ এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯০৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। দশ দশা গৌরচন্দ্র ॥ কামোদ॥ আজু হাম পেখলুঁ চিন্তায় নিমগন গৌরাঙ্গ নবদ্বিপ-চান্দ। তাহে মঝু মানস কাঁপই অহনিশি ঝর ঝর নয়নহি কান্দ॥ ইহ বড় হৃদয়ক তাপ। গোকুল-নায়ক গোপিকা-ভাবহি কত শত করত বিলাপ॥ ঘন ঘন শাস ডারত মহি লীখত বি-বরণ ভেল অরু ক্ষীণ। বাম করে অব- লম্বই মুখ-বিধু লোচন নিরঝর-চীন॥ জগ ভরি করুণায়ে দেয়ল প্রেম-ধন দারিদ না রহ কোই। রাধামোহন পুন তহিঁ ভেল বঞ্চিত আপন করম-দোষে রোই॥ এই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী টীকা সম্বলিত মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৪র্থ খণ্ড, ১৯৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। চিন্তাদশা শ্রীগৌরচন্দ্র। ॥ কামোদ - বড় দশকুশী॥ আজু হাম পেখলুঁ চিন্তায় নিমগন গৌরাঙ্গ নবদ্বীপচান্দ। তাহে মঝু মানস, কাঁপয়ে অহনিশি ঝর ঝর নয়নহি কান্দ॥ ইহ বড় হৃদয়ক তাপ। গোকুল নায়ক গোপিকা ভাবহি কত শত করত বিলাপ॥ ঘন ঘন শ্বাস ডারত মহি লীখত বিবরণ ভেল অরু ক্ষীণ। বাম করতল অবলম্বন মুখবিধু লোচন নিরঝর চীন॥ জগ ভরি করুণায় দেয়ল প্রেমধন দারিদ না রহ কোই। রাধামোহন পুন তহিঁ ভেল বঞ্চিত আপন করম দোষে রোই॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
আনন্দ নীর যতনে বারি হরি ভণিতা রাধামোহন দাস কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৭৩ । ॥ তথারাগ তালৌ॥ আনন্দ নীর যতনে বারি হরি অলক তিলক নিরমাই। ঈষদবলোকনে রাই সুকম্পিত কোরে জাঁতি পুন তাঞি॥ মৃগমদ চিত্র করত কর পঞ্কজে ঘামহি ধোয়ল ওই। ভাবে অবশ দুহুঁ বেশ না হোয়ল মনহি করত তব কোই॥ হরি হরি সোই করব কিএ নেহ। নাগরি নাগর সেবনপরা সখি যাক সোঁপলো হাম দেহ॥ ধ্রু॥ যাকর বচনহি দুহুঁক সুসেবন ঘটতহিঁ ইহ বর ভাগি। হৃদয় জানি মুঝে সেবনে নিয়োজব ভাব শয়ন সঞে জাগি॥ দুহুকর বেশ ভূষণ করি হিম জল তাম্বুল দেই যোগাই। মলয়জ কর্পূর শিত অনুলেপন পুন পুন গাত লাগাই॥ শীকর লগন নলিনি দলে বীজিয়ে @@ সম্বাহন করি পাদ। দাস রাধামেহন চিতে করু অনু@ন তব পূরয়ে মনসাধ॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ, ৩০শ পল্লব, অষ্টকালীয় নিত্য-লীলা, ২৭৩৩সংখ্যক পদ। ॥ তথা রাগ॥ আনন্দ-নীর যতনে বারি হরি অলক তিলক নিরমাই। ঈষদবলোকনে রাই সুকম্পিত কোরে যাঁতি পুন তাই॥ মৃগমদ-চিত্র করত কর-পঙ্কজে ঘামহি ধোয়ল ওই। ভাবে অবশ দুহুঁ বেশ না হোয়ল মনহি করত তব কোই॥ হরি হরি সোই করব কিয়ে নেহ। নাগরি-নাগর-সেবন-পরা সখি যাক সোঁপলো হাম দেহ॥ ধ্রু॥ যাকর বচনহি দুহুঁক সুসেবন ঘটতহি ইহ বর ভাগি। হৃদয় জানি মুঝে সেবনে নিয়োজব ভাব-শয়ন সঞে জাগি॥ দুহুঁকর বেশ ভূষণ করি হিম জল তাম্বুল দেই যোগাই। মলয়জ কর্পূর শিত অনুলেপন পুন পুন গাত লাগাই॥ শীকর-লগন নলিনি-দলে বীজয়ে মৃদু সম্বাহন করি পাদ। দাস রাধামেহন চিতে করু অনুমান তব পূরয়ে মন-সাধ॥ এই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৪৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ ললিত॥ আনন্দ-নীর, যতনে বারি হরি, অলক তিলক নিরমাই। ঈষদবলোকনে, রাই সুকম্পিত, কোরে যাঁতি পুন তাই॥ মৃগমদচিত্র, করত করপঙ্কজে, ঘামহি ধোয়ল ওই। ভাবে অবশ দুহুঁ, বেশ না হোয়ল, মনহি করত তব কোই॥ হরি হরি সোই, করব কিয়ে লেহ। নাগরীনাগর-সেবনপরা সখী, যাক সোঁপল হাম দেহ॥ যাকর বচনহি, দুহুঁক সুসেবন, ঘটতহি ইহ বড় ভাগি। হৃদয় জানি মুঝে, সেবনে নিয়োজব, ভাব শয়ন সঞে জাগি॥ দুহুঁ কর বেশ, ভূষণ করি হিম জল, তাম্বুল দেই যোগাই। মলয়জ কর্পূর, শীত অনুলেপন, পুন পুন গাত লাগাই॥ শীকর-লগন নলিনি-দলে বীজয়ে, মৃদু সম্বাহন করি পাদ। দাস রাধামেহন, চিতে করু অনুমান, তব পূরয়ে মনসাধ॥ এই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৫০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ তথা রাগ॥ আনন্দ-নীর, যতনে বারি হরি, অলক তিলক নিরমাই। ঈষদবলোকনে, রাই সুকম্পিত, কোরে যাঁতি পুন তাই॥ মৃগমদ-চিত্র, করত কর-পঙ্কজে, ঘামহি ধোয়ল ওই। ভাবে অবশ দুহুঁ, বেশ না হোয়ল, মনহি করত তব কোই॥ হরি হরি সোই করব কিয়ে লেহ। নাগরি-নাগর, সেবন-পরা সখী, যাক সোঁপল হাম দেহ॥ যাকর বচনহি, দুহুঁক সুসেবন, ঘটতহি ইহ বর ভাগি। হৃদয় জানি মুঝে, সেবনে নিয়োজব, ভাব শয়ন সঞে জাগি॥ @@@@ @@ ভূষণ করি হিম জল, তাম্বুল দেই যোগাই। মলয়জ কর্পূর, শীত অনুলেপন, পুন পুন গাত লাগাই॥ শীকর-লগন, নলিনী-দলে বীজয়ে, মৃদু সম্বাহন করি পাদ। দাস রাধামেহন, চিতে করু অনুমান, তব পূরয়ে মন-সাধ॥ @ - অপাঠ্য অক্ষর। . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
আনন্দ সার শকতি সত চিদ্ঘন ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৫৭ । ॥ বরাড়ীরাগ প্রতি মন্ঠকতালৌ ॥ আনন্দ সার শকতি সত চিদ্ঘন পুনসো মিলন স্বরূপ । মরকত কাঞ্চন ঝাপল নিজগুণে ঐছন যাকর রূপ ॥ দেখ দেখ গৌর রস অবতার। উভয় সুখময় হৃদয় উদয় ভেল তৈছন করু ব্যবহার ॥ ধ্রু ॥ শ্রম জল কণভর বিপুল পুলক কুল সঞ্চরু সকল শরীর । কাপই থরহরি স্তম্ভ প্রলয় ভরি নয়নহি আনন্দ নীর ॥ ঐছন কেলি কথিহুঁ নাহি হেরিএ অতএসে অবতার সার । ভণ রাধামোহন তাক চরণ পুন ভজনে সে পাইএ সার ॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |