কবি রাধামোহন ঠাকুরের বৈষ্ণব পদাবলী
*
আমার গৌরাঙ্গ পতিত পাবন
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও
বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২৬৩ ।
    
আমার গৌরাঙ্গ পতিত পাবন অবতার ।
যছু করুণা মৃতে দুর্গত জন মন হোয়ল ত্রিভুবন সার ॥
আপক নিজ রসে নিমগন অনু দিন আনন্দ নির হিলোল ।
আপহিঁ আপক করত আলিঙ্গন ঐছন প্রেম বিভোল ॥
কত মৃদু হাস হসহি পুন সম্বরু ডম্বরু স্বেদক ভেলি ।
কতবিধ বচন বচনহি গদ গদ কত বিধ করতহিঁ কেলি ॥
ও রসে ভাসি ভাসাওল নিজ জন অরু অনুগত কত লোক ।
রাধামোহন নিজ দোষে বঞ্চিত তবহি করত কাহে শোক ॥

.                       *************************                      
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
আর পুন শূনহ রাইক বাত
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও
বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৩৬৬ ।
    
॥ মল্লার রাগৈক তালিতালাভ্যাং ॥
    
আর পুন শূনহ রাইক বাত ।
শুনইতে যাক মরম জরি জাত ॥
সখি আর কিএ হেরব সো মুখচন্দ ।
পুন কিয়ে হেরব হসিত লবমন্দ ॥ ধ্রু ॥
পুন কিয়ে শূনব সো বেণুগান ।
পুন কিএ হেরব ভ্রুধনু কামান ॥
পাসরিতে নারি আমি নবঘন শ্যাম ।
কে মোরে মিলায়া দিবে ইন্দীবর দাম ॥
কৈছনে বঞ্চির ইহ দিন রাতি ।
কি করব সোবিনু ফাটএ ছাতি ॥
ঐছন কহত যব হোয়ত জ্ঞান ।
রাধামোহন পহু করহ পয়ান ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং
সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড,
৪র্থ শাখা, ১১শ পল্লব, দশ দশা, ১৯৬৫সংখ্যক পদ।

॥ মল্লার॥

আর পুন শূনহ রাইক বাত।
শুনইতে যাক মরম জরি জাত॥
সখি আর কিয়ে হেরব সো মুখ-চন্দ।
পুন কিয়ে হেরব হসিত-লব মন্দ॥
পুন কিয়ে শূনব সো বেণু-গান।
পুন কিয়ে হেরব ভ্রু-ধনু-কামান॥
পাসরিতে নারি আমি নবঘন-শ্যাম।
কে মোরে মিলাঞা দিবে ইন্দিবর-দাম॥
কৈছনে বঞ্চিব ইহ দিন রাতি।
কি করব সো বিনু ফাটি যায় ছাতি॥
ঐছন কহত যব হোয়ত জ্ঞান।
রাধামোহন পহুঁ করহ পয়াণ॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
“সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৩৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ মল্লার॥

আর পুন শুনহ রাইক বাত।
শুনইতে যাক মরম জরি যাত॥
আর কিয়ে হেরব সো মুখ-চন্দ।
পুন কিয়ে হেরব হসিত লব মন্দ॥
পুন কিয়ে শুনব সো বেণু গান।
পুন কিয়ে হেরব ভ্রু-ধনু কামান॥
পাসরিতে নারি আমি নবঘন-শ্যাম।
কে মোরে মিলাঞা দিবে ইন্দীবর-দাম॥
কৈছনে বঞ্চিব ইহ দিন রাতি।
কি করব সো বিনু ফাটি যায় ছাতি॥
ঐছন কহত যব হোয়ত জ্ঞান।
রাধামোহন পহুঁ করহ পয়ান॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-
পদলহরী”, ৪৪৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ মল্লার॥

আর পুন শুনহ রাইক বাত।
শুনইতে যাক মরম জরি যাত॥
আর কিয়ে হেরব সো মুখ-চন্দ।
পুন কিয়ে হেরব হসিত-লব মন্দ॥
পুন কিয়ে শুনব সো বেণু-গান।
পুন কিয়ে হেরব ভ্রূ-ধনু-কামান॥
পাসরিতে নারি আমি নবঘন-শ্যাম।
কে মোরে মিলাঞা দিবে ইন্দীবর-দাম॥
কৈছনে বঞ্চিব ইহ দিন রাতি।
কি করব সো বিনু ফাটি যায় ছাতি॥
ঐছন কহত যব হোয়ত জ্ঞান।
রাধামোহন পহুঁ করহ পয়াণ॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯২৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ মল্লার॥

আর পুন শূনহ রাইক বাত।
শুনইতে যাক মরম জরি জাত॥
সখি আর কিয়ে হেরব সো মুখ-চন্দ।
পুন কিয়ে হেরব হসিত-লব মন্দ॥
পুন কিয়ে শূনব সো বেণু গান।
পুন কিয়ে হেরব ভ্রু-ধনু-কামান॥
পাসরিতে নারি আমি নবঘন-শ্যাম।
কে মোরে মিলাঞা দিবে ইন্দিবর-দাম॥
কৈছনে বঞ্চিব ইহ দিন রাতি।
কি করব সো বিনু ফাটি যায় ছাতি॥
ঐছন কহত যব হোয়ত জ্ঞান।
রাধামোহন পহুঁ করহ পয়াণ॥

ই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী টীকা সম্বলিত মহাজন
পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ৪র্থ খণ্ড, ২৭৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বালাধানশী - একতালা॥

আর পুন শূনহ রাইক বাত।
শুনইতে যাক মরম জরি যাত॥
আর কিয়ে হেরব সো মুখ চন্দ।
পুন কিয়ে হেরব হসিত-লব মন্দ॥
পুন কিয়ে শূনব সো বেণু গান।
পুন কিয়ে হেরব ভ্রু ধনু কামান॥
পাসরিতে নারি আমি নবঘন শ্যাম।
কে মোরে মিলাঞা দিবে ইন্দিবর দাম॥
কৈছনে বঞ্চব ইহ দিন রাতি।
কি করব সো বিনু ফাটি যায় ছাতি॥
ঐছন কহত যব হোয়ত জ্ঞান।
রাধামোহন পহুঁ করহ পয়াণ॥

.           *************************             
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
আরে মোর গৌর কিশোর
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ১৬শ
পল্লব, রসালসোচিত রূপ, ১০৯২সংখ্যক পদ।

অস্যোচিত-রসোদ্গারঃ।
॥ বিভাষ ॥

আরে মোর গৌর কিশোর।
রজনী-বিলাস-রস-ভাবে বিভোর॥ ধ্রু॥
কহইতে গদগদ কহই না পার।
নিরজনে বসিয়া নয়নে জলধার॥
প্রেমালসে ঢুলু ঢুলু অরুণ নয়ান।
কহইতে রসরস বিরস বয়ান॥
চকিত-নয়নে পহু চৌদিশে নেহারে।
চতুর ভকতগণ পুছে বারে বারে॥
কি আছে মনের কথা কহনে না যায়।
এ রাধামোহন পহু গোরা-গুণ গায়॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে
অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ
থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত
ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ২৪৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ অথ রসোদ্গার আরব্ধ তদুচিত গৌরচন্দ্র॥
॥ বিভাস তাল পরিমিত॥

আরে মোর গৌর কিশোর। রজনীবিলাসরসে ভাবে বিভোর॥
কহইতে গদগদ কহই না পার। নিরজনে বসিএ নয়ানে জলধার॥
প্রেম লালসে ঢুলু অরুণ বয়ান। কহইতে রসরস বিরস বয়ান॥
চকিত নয়ানে পুনু চৌদিকে নেহারে। চতুর ভকতগণ পুছে বারেবারে॥
কি আছে মনের কথা কহনে না জায়। এ রাধামোহন পুনু গোরাগুণ গায়॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
“সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪২৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাস॥

আরে মোর গৌর কিশোর।
রজনী-বিলাস রস ভাবে বিভোর॥
কহইতে গদগদ কহই না পার।
নিরজনে বসিয়া নয়নে জলধার॥
প্রেমালসে ঢুলু ঢুলু অরুণ নয়ান।
কহই সরস বিরস বয়ান॥
চকিত-নয়নে প্রভু চৌদিশে নেহারে।
চতুর ভকতগণ পুছে বারে বারে॥
কি আছে মনের কথা কহনে না যায়।
এ রাধামোহন পহু গোরা গুণ গায়॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন
“শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, ১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৯৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাষ ॥

আরে মোর গৌরকিশোর।
রজনীবিলাসরস ভাবে বিভোর॥
কহইতে গদগদ কহই না পার।
নিরজনে বসিয়া নয়নে জলধার॥
প্রেমালসে ঢুলু ঢুলু অরুণ নয়ান।
কহইতে সরস রস বিরস বয়ান॥
চকিত নয়নে পহুঁ চৌদিক্ নেহারে।
চতুর ভকতগণ পুছে বারে বারে॥
কি আছে মনের কথা কহনে না যায়।
এ রাধামোহন পহুঁ গোরাগুণ গায়॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-
পদলহরী”, ৪৪৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাষ ॥

আরে মোর গৌর কিশোর।
রজনী-বিলাস-রস-ভাবে বিভোর॥
কহইতে গদগদ কহই না পার।
নিরজনে বসিয়া নয়নে জলধার॥
প্রেমালসে ঢুলু ঢুলু অরুণ নয়ান।
কহইতে সরস বিরস বয়ান॥
চকিত নয়নে প্রভু চৌদিশে নেহারে।
চতুর ভকতগণ পুছে বারে বারে॥
কি আছে মনের কথা কহনে না যায়।
এ রাধামোহন পহুঁ গোরা গুণ গায়॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯০৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

রসালসোচিত রূপ
গৌরচন্দ্র
॥ বিভাস ॥

আরে মোর গৌর কিশোর।
রজনী বিলাস রস ভাবে বিভোর॥ ধ্রু॥
কহইতে গদগদ কহই না পার।
নিরজনে বসিয়া নয়নে জলধার॥
প্রেমালসে ঢুলু ঢুলু অরুণ নয়ান।
কহইতে রস রহু বিরস বয়ান॥
চকিত নয়নে পহু চৌদিশে নেহারে।
চতুর ভকতগণ পুছে বারে বারে॥
কি আছে মনের কথা কহনে না যায়।
এ রাধামোহন পহু গোরা গুণ গায়॥

ই পদটি ১৯৭৭ সালে প্রকাশিত, দেবনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদসঙ্কলন”, ১৮৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

সম্ভোগ ও রসোদ্গার।

আরে মোর গৌরকিশোর।
রজনী-বিলাস-রস-ভাবে বিভোর॥
কহইতে গদগদ কহই না পার।
নিরজনে বসিয়া নয়নে জলধার॥
প্রেমালসে ঢুলু ঢুলু অরুণ নয়ান।
কহই সরস রস বিরস বয়ান॥
চকিত-নয়নে পহু চৌদিশে নেহারে।
চতুর ভকতগণ পুছে বারে বারে॥
কি আছে মনের কথা কহনে না যায়।
এ রাধামোহন পহু গোরা-গুণ গায়॥

.           *************************             
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
আরে মোর আরে মোর গৌরাঙ্গ-বিধু
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য়
ভাগ, ৩০শ পল্লব, অষ্টকালীয় নিত্য-লীলা, ২৫২০সংখ্যক পদ। প্রথম পংক্তির  ভিন্নতার
জন্য এই পদটিকে  “আরে মোর গৌরাঙ্গ-বিধু” শিরোনামে স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া
হয়েছে।

অথ রসোদ্গারঃ॥
শ্রীমহাপ্রভুর্যথা॥
॥ বিভাষ॥

আরে মোর আরে মোর গৌরাঙ্গ-বিধু।
পুরব-প্রেম-রস কহই মধু॥
ভাব-ভরে গদগদ আধ আধ বাণী।
অমিয়ার সার যেন পড়ে খানি খানি॥
পুলকে পূরল তনু পিরিতি-রসে।
ঝাঁপয়ে বসন বিবশে পুন খসে॥
আনন্দ-জলে ডুবে নয়ান-রাতা।
রাধামোহন দাসের শরণ-দাতা॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
“সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৪১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাস॥

আরে মোর আরে মোর গৌরাঙ্গ-বিধু।
পূরব প্রেম-রস কহই মধু॥
ভাব-ভরে গদ গদ আধ আধ বাণী।
অমিয়ার সার যেন পড়ে খানি খানি॥
পুলকে পূরল তনু পিরীতি-রসে।
ঝাঁপয়ে বসন বিবশে পুন খসে॥
আনন্দ-জলে ডুবে নয়ন রাতা।
রাধামোহন দাসের শরণদাতা॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন
“শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, ১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৯৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাস॥

আরে মোর আরে মোর গৌরাঙ্গবিধু।
পুরব প্রেমরস কহই মধু॥
ভাবভরে গদগদ আধ আধ বাণী।
অমিয়ার সার যেন পড়ে খানি খানি॥
পুলকে পূরল তনু পিরিতিরসে।
ঝাঁপয়ে বসন বিবশে পুন খসে॥
আনন্দজলে ডুবে নয়ন রাতা।
রাধামোহন দাসের শরণদাতা॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯১১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

অষ্টকালীয় নিত্যলীলা
গৌরচন্দ্র
॥ বিভাস॥

আরে মোর আরে মোর গৌরাঙ্গ-বিধু।
পুরব-প্রেম-রস কহই মধু॥
ভাব-ভরে গদগদ আধ আধ বাণী।
অমিয়ার সার যেন পড়ে খানি খানি॥
পুলকে পূরল তনু পিরিতি-রসে।
ঝাঁপয়ে বসন বিবশে পুন খসে॥
আনন্দ-জলে ডুবে নয়ান-রাতা।
রাধামোহন দাসের শরণ-দাতা॥

ই পদটি সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “পদামৃত লহরী”, ১৬৩-
পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে।

অথ রসোদ্গার।
গৌরচন্দ্র।
॥ রাগিণী বিভাষ - সমতাল॥

আরে মোর আরে মোর গৌরাঙ্গ বিধু।
পুরব প্রেমরস কহই মধু॥
ভাব ভরে গদ গদ আধ আধ বাণী।
অমিয়ার সার যেন পড়ে খানি খানি॥
পুলকে পূরল তনু পিরীতির রসে।
ঝাঁপয়ে বসনে বিবশে পুনঃ খসে॥
আনন্দ জলে ডুবে নয়ন রাতা।
রাধা মোহনদাসের শরণদাতা॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও
বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব
পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪১৪।

অথ রসোদ্গারঃ॥
তদুচিত গৌরচন্দ্রো যথা॥
॥ বিভাষরাগপ্রতি চঞ্চুপুটতালাভ্যাং॥

আরে মোর গৌরাঙ্গ বিধু ।
পুরব প্রেম রস কহত মধু ॥
ভাবে গদ গদ আধ আধ বাণি ।
অমিয়ার সার ঘন যনু খানি খানি ॥
পুলকে পুরল তনু পিরিতি রসে ।
ঝাপই বসন বিবশে পুন খসে ॥
আনন্দ জলে ডুবে নয়ন রাতা ।
রাধামোহন দাসের শরণ দাতা ॥

.           *************************             
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
আরে মোর গৌরাঙ্গ-বিধু
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও  বিরচিত
এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী  সংকলন
“পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪১৪। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে  “আরে মোর আরে
মোর গৌরাঙ্গ-বিধু” শিরোনামে স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে।

অথ রসোদ্গারঃ॥
তদুচিত গৌরচন্দ্রো যথা॥
॥ বিভাষরাগপ্রতি চঞ্চুপুটতালাভ্যাং॥

আরে মোর গৌরাঙ্গ বিধু ।
পুরব প্রেম রস কহত মধু ॥
ভাবে গদ গদ আধ আধ বাণি ।
অমিয়ার সার ঘন যনু খানি খানি ॥
পুলকে পুরল তনু পিরিতি রসে ।
ঝাপই বসন বিবশে পুন খসে ॥
আনন্দ জলে ডুবে নয়ন রাতা ।
রাধামোহন দাসের শরণ দাতা ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং
সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড,
৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ, ৩০শ পল্লব, অষ্টকালীয় নিত্য-লীলা, ২৫২০সংখ্যক পদ।

অথ রসোদ্গারঃ॥
শ্রীমহাপ্রভুর্যথা॥
॥ বিভাষ॥

আরে মোর আরে মোর গৌরাঙ্গ-বিধু।
পুরব-প্রেম-রস কহই মধু॥
ভাব-ভরে গদগদ আধ আধ বাণী।
অমিয়ার সার যেন পড়ে খানি খানি॥
পুলকে পূরল তনু পিরিতি-রসে।
ঝাঁপয়ে বসন বিবশে পুন খসে॥
আনন্দ-জলে ডুবে নয়ান-রাতা।
রাধামোহন দাসের শরণ-দাতা॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
“সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৪১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাস॥

আরে মোর আরে মোর গৌরাঙ্গ-বিধু।
পূরব প্রেম-রস কহই মধু॥
ভাব-ভরে গদ গদ আধ আধ বাণী।
অমিয়ার সার যেন পড়ে খানি খানি॥
পুলকে পূরল তনু পিরীতি-রসে।
ঝাঁপয়ে বসন বিবশে পুন খসে॥
আনন্দ-জলে ডুবে নয়ন রাতা।
রাধামোহন দাসের শরণদাতা॥

ই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন
“শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, ১৯৩৪ (প্রথম সংস্করণ ১৯০২), ১৯৬-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ বিভাস॥

আরে মোর আরে মোর গৌরাঙ্গবিধু।
পুরব প্রেমরস কহই মধু॥
ভাবভরে গদগদ আধ আধ বাণী।
অমিয়ার সার যেন পড়ে খানি খানি॥
পুলকে পূরল তনু পিরিতিরসে।
ঝাঁপয়ে বসন বিবশে পুন খসে॥
আনন্দজলে ডুবে নয়ন রাতা।
রাধামোহন দাসের শরণদাতা॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯১১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

অষ্টকালীয় নিত্যলীলা
গৌরচন্দ্র
॥ বিভাস॥

আরে মোর আরে মোর গৌরাঙ্গ-বিধু।
পুরব-প্রেম-রস কহই মধু॥
ভাব-ভরে গদগদ আধ আধ বাণী।
অমিয়ার সার যেন পড়ে খানি খানি॥
পুলকে পূরল তনু পিরিতি-রসে।
ঝাঁপয়ে বসন বিবশে পুন খসে॥
আনন্দ-জলে ডুবে নয়ান-রাতা।
রাধামোহন দাসের শরণ-দাতা॥

ই পদটি সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “পদামৃত লহরী”, ১৬৩-
পৃষ্ঠায় এই রূপে দেওয়া রয়েছে।

অথ রসোদ্গার।
গৌরচন্দ্র।
॥ রাগিণী বিভাষ - সমতাল॥

আরে মোর আরে মোর গৌরাঙ্গ বিধু।
পুরব প্রেমরস কহই মধু॥
ভাব ভরে গদ গদ আধ আধ বাণী।
অমিয়ার সার যেন পড়ে খানি খানি॥
পুলকে পূরল তনু পিরীতির রসে।
ঝাঁপয়ে বসনে বিবশে পুনঃ খসে॥
আনন্দ জলে ডুবে নয়ন রাতা।
রাধা মোহনদাসের শরণদাতা॥

.           *************************             
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
এতহুঁ বিলাপ করল ললিতা সখি
ভণিতা রাধামোহন দাস
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত
শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ৬ষ্ঠ পল্লব, হংস-দূত,
১৬৭৯সংখ্যক পদ। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির ৯০২সংখ্যক পদ।

॥ গান্ধার॥

এতহুঁ বিলাপ করল ললিতা সখি
ঊড়ি চলল বর হংস।
কানুক পাশ চলল অনুমানিয়া
তবহিঁ বহুত পরশংস॥
আওল পুন যাহাঁ কিশলয় শেজহি
শুতি আছয়ে ধনি রাই।
চৌদিগে সহচরি-গণ তহিঁ বেড়িয়া
রোয়ত আনন চাই॥
হেরি ললিতা সবহুঁ পরবোধই
কহতহিঁ মৃদু মৃদু ভাষ।
এ দুখ কহিতে বর দূত পাঠায়লুঁ
মধুপুর কানুক পাশ॥
এত শুনি বিরহিণি চেতন পাওল
হোয়ল জিবনক আশ।
এ সব প্রলাপ-বচন কিয়ে বোলব
দুখি রাধামোহন দাস॥

ই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায়
সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন
মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৩৬৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ রাগিণী গান্ধার তাল সমুচিত॥

এত বিলাপ করল ললিতা সখী উঠি চলল বরহংস।
কানুক পাস চলল অনুমানিয়া তবহু বহুত পরশংস॥
আওল পুন যাহা কিসলহি সেজহি সুতি আছয়ে ধনি রাই।
চৌদিকে সহচরীগণ তাহা বেড়িআ রোয়ত রোয়ত আনল চাই॥
হেরি ললিতা তব সব পরবোধই কহতহি মৃদুমৃদু ভাষ।
এত দুখ কহিতে বরদূত পাঠাঅনু মধুপুর কানুক পাস॥
এত সুনি বিরহিনী চেতন পাওল হোওল জীবনক আশ।
এ সব প্রলাপ বচন কিয়ে বোলব দুখি রাধামোহনদাস॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”,
১ম খণ্ড, ৪৩৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ গান্ধার॥

এতহুঁ বিলাপ, করল ললিতা সখী, উড়ি চলল বর হংস।
কানুক পাশ, চলল অনুমানিয়া, তবহিঁ বহুত পরশংস॥
আওল পুন যাঁহা, কিশলয় শেযহি, শুতি আছয়ে ধনী রাই।
চৌদিগে সহচরি, গণ তহিঁ বেড়িয়া, রোয়ত আনন চাই॥
হেরি ললিতা, সবহুঁ পরবোধই, কহতহিঁ মৃদু মৃদু ভাষ।
এ দুখ কহিতে বর, দূত পাঠাইনু, মধুপূর কানুক পাশ॥
এত শুনি বিরহিণী, চেতন পাওল, হোয়ল জীবনক আশ।
এ সব প্রলাপবচন কিয়ে বোলব, দুখী রাধামোহন দাস॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”,
৪৪৪-পৃষ্ঠায় পুনঃ এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ গান্ধার॥

এতহুঁ বিলাপ,                                করল ললিতা সখী,
উড়ি চলিল বর হংস।
কানুক পাশ,                                 চলল অনুমানিয়া,
তবহিঁ বহুত পরশংস॥
আওল পুন যাহাঁ,                               কিশলয় শেজহি,
শুতি আছয়ে ধনী রাই।
চৌদিগে সহচরী,                               গণ তহিঁ বেড়িয়া,
রোয়ত আনন চাই॥
হেরি ললিতা,                                   সবহুঁ পরবেধেই,
কহতহিঁ মৃদু মৃদু ভাষ।
এ দুখ কহিতে বর,                                দূত পাঠায়নু,
মধুপুর কানুক পাশ॥
এত শুনি বিরহিণী,                                চেতন পাওল,
হোয়ল জীবনক আশ।
এ সব প্রলাপ-                                বচন কিয়ে বোলব,
দুখী রাধামোহন দাস॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯২৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ গান্ধার॥

এতহুঁ বিলাপ করল ললিতা সখি
ঊড়ি চলল বর হংস।
কানুক পাশ চলল অনুমানিয়া
তবহিঁ বহুত পরশংস॥
আওল পুন যাহাঁ কিশলয় শেজহি
শুতি আছয়ে ধনি রাই।
চৌদিগে সহচরি-গণ তহিঁ বেড়িয়া
রোয়ত আনন চাই॥
হেরি ললিতা সবহুঁ পরবোধই
কহতহিঁ মৃদু মৃদু ভাষ।
এ দুখ কহিতে বর দূত পাঠায়লুঁ
মধুপুর কানুক পাশ॥
এত শুনি বিরহিণি চেতন পাওল
হোয়ল জিবনক আশ।
এ সব প্রলাপ-বচন কিয়ে বোলব
দুখি রাধামোহন দাস॥

.           *************************             
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
ওগো বড়াই হোর রূপ
ভণিতা শ্রীরাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত, ১৯২৬ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “অপ্রকাশিত পদরত্নাবলী”, ১৪২-পৃষ্ঠা।

[ নৌকা-বিলাস ]
॥ ধানশী॥

ওগো বড়াই হোর রূপ দেখ সিয়া।
যেমন আপনি                                তেমনি না খানি
বিনোদ-নাগর নায়্যা॥ ধ্রু॥
রজতে রচিত                                  কনকে খচিত
বিধির গঠিত নায়।
মুক্তার ছাওনি                                কেরোয়াল খানি
সোণায় মড়ান তায়॥
কেরোয়াল জলে                             খেণে তুলি ফেলে
খেণে পরশিয়া থাকে।
খেণে হাসে গায়                               খেণে বাহি যায়
যমুনা উথলে সুখে॥
বড়াই বলে ভাল                            বেলা অধিক হৈল
যাব মথুরার বিকে।
তীরে আন তরি                                দেহ পার করি
শ্রীরাধামোহনে ডাকে॥

.           *************************            
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
কবে প্রভুর অনুগ্রহ হব
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৮২ ।

॥ ঐশান্য গুজ্জরীরাগ পঠতালৌ ॥

কবে প্রভুর অনুগ্রহ হব ।
বিষয় বাসনা পাশ কবে মোর হইব নাশ কবে আমি বৃন্দাবনে যাব ॥ ধ্রু ॥
এ সংসারে দুঃখ ফল সে আনন্দ মহাবল জানিয়া যাইব সেই স্থানে ।
সর্ব্ব দুঃখ পলাইবে গড়াগড়ি দিব যবে রাসস্থলী যমুনা পুলিনে ॥
কৃষ্ণ মূর্ত্তী গোবর্দ্ধন মহাভাগ্যে দরশন মোর কিএ হব সেই কর্ম্ম ।
কৃষ্ণের রাধিকা যৈছে শ্রীকুণ্ড তাঁহার তৈছে কায়মনে কবে হবে মর্ম্ম ॥
কুণ্ড যুগে স্নান করি সেই খানে যদি মরি তবে বুঝি মোর হব গতি ।
তুমি প্রভু দয়াময় এ রাধামোহনে কয় সিদ্ধ কর এইত কাকুতি ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায়
সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ,
৩৬শ পল্লব, প্রার্থনা, ৩০৫৩সংখ্যক পদ হিসেবে এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ গুর্জ্জরী॥

কবে প্রভুর অনুগ্রহ হব।
বিষয়-বাসনা-পাশ                  কবে মোর হবে নাশ
কবে আমি বৃন্দাবনে যাব॥ ধ্রু॥
এ সংসারে দুঃখ ফল                সে আনন্দে মহাবল
জানিয়া যাইব সেই স্থানে।
সর্ব্ব দুঃখ পলাইবে                     গড়াগড়ি দিব যবে
রাস-স্থলী যমুনা-পুলিনে॥
কৃষ্ণ-মূর্ত্তী গোবর্দ্ধন                       মহাভাগ্যে দরশন
মোর কিয়ে হবে হেন কর্ম্ম।
কৃষ্ণের রাধিকা যৈছে                 শ্রীকুণ্ড তাঁহার তৈছে
কায়মনে কবে হবে মর্ম্ম॥
কুণ্ড-যুগে স্নান করি                    সেইখানে যদি মরি
তবে বুঝি মোর হয়ে গতি।
তুমি প্রভু দয়াময়                       এ রাধামোহনে কয়
সিদ্ধ কর এই ত কাকুতি॥

ই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব
পদাবলী”, ৯০১-পৃষ্ঠায় একইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ গুর্জ্জরী॥

কবে প্রভুর অনুগ্রহ হব।
বিষয়-বাসনা-পাশ               কবে মোর হবে নাশ
কবে আমি বৃন্দাবনে যাব॥ ধ্রু॥
এ সংসারে দুঃখ ফল              সে আনন্দে মহাবল
জানিয়া যাইব সেই স্থানে।
সর্ব্ব দুঃখ পলাইবে                  গড়াগড়ি দিব যবে
রাস-স্থলী যমুনা-পুলিনে॥
কৃষ্ণ-মূর্ত্তী গোবর্দ্ধন                    মহাভাগ্য দরশন
মোর কিয়ে হবে হেন কর্ম্ম।
কৃষ্ণের রাধিকা যৈছে              শ্রীকুণ্ড তাঁহার তৈছে
কায়মনে কবে হবে মর্ম্ম॥
কুণ্ড-যুগে স্নান করি                  সেইখানে যদি মরি
তবে বুঝি মোর হয়ে গতি।
তুমি প্রভু দয়াময়                   এ রাধামোহনে কয়
সিদ্ধ কর এই ত কাকুতি॥

.           *************************            
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
কয়লি কঠিন মৌন কাম রিপু
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে,
রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-১৭৩ ।

॥ গুজ্জরী রাগৈক তালি তালাভ্যাং॥

কয়লি কঠিন মৌন কাম রিপু কামহিঁ না করলি কর কশ মান ।
কাঞ্চন কমল কবল কর মুখরুচি কাহে তব কোকনদ ভান ॥
কোপিনি কাতরে কর পরসাদ ।
কেবল ক্রীত দাস মোহে জানীয় কর দূত কৈতব বাদ ॥ ধ্রু ॥
কাহা করলি ইহ কোপক শীখন কতিহু না হেরলুঁ রেহ ।
কথনক কৌশল কত বিধ জানসি করণ উচিত নহ এহ ॥
কছুই করএ কভু নিজ জন কলমষ করইতে হয় কর দণ্ড ।
কহ রাধা মোহন পহুঁক করণ নহ কমল নহুঁ কোপক চণ্ড ॥

ই পদটি ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী ব্যাখ্যা সম্বলিত
মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ২য় খণ্ড, ৩১০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীকৃষ্ণের প্রত্যুত্তর।
॥ গুর্জ্জরী - একতালা॥

কয়লি কঠিন মৌন                                কামরিপু কামহিঁ
না করলি করকশ মান।
কাঞ্চন কমল-                                   কবল-কর-মুখরুচি
কাহে তব কোকনদ ভান॥
কোপিনি কাতরে কর পরসাদ।
কেবল ক্রীত                                    দাস মোহে জানিয়ে
দূত কর কৈতব বাদ॥
কাঁহা করলি                                     ইহ কোপক শীখন
কতিহু না হেরলুঁ রেহ।
কথনক কৌশল                                   কত বিধ জানসি
করণ উচিত নহ এহ॥
কছুই করএ কভু                                  নিজ জন কলমষ
করইতে হয় করদণ্ড।
কহ রাধা মোহন                                   পহুঁক করণ নহ
কমল নহুঁ কোপক চণ্ড॥

.           *************************            
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
কলধৌত কান্তি কলেবর গোরি
ভণিতা রাধামোহন
কবি রাধামোহন ঠাকুর
আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও
বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-১৭০ ।

॥ রামকিরি রাগ নন্দন তালাভ্যাং ॥

কলধৌত কান্তি কলেবর গোরি ।
কান্তক কত দুখ না জানসি থোরি ॥
কৈতব না কহো এ তুয়া কান ।
কোপে করসি তুহুঁ কত মত ভান ॥
কুসুমিত কাননে জাগলু তুয়া লাগি ।
কেবল করণ উচিত হিএ লাগি ॥
কুসুম হার কয়লু কত রাধে ।
কন্ঠে করসি যদি পূরয়ে সাধে ॥
কপট না কর ইথে কোপিনি থোর ।
কাতর অন্তর না করহ মোর ॥
কামিনি কুকরম কতয়ে হামারি ।
কহ রাধা মোহন পহু করহারি ॥

ই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং
সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২২ বঙ্গাব্দের (১৯১৫ সাল) ১ম খণ্ড,
২য় শাখা, ১০ম পল্লব, ধীরা মধ্যা খণ্ডিতা, পদসংখ্যা ৪০৪। এই পদটি নিমানন্দ দাস
সংকলিত পদরসসার পুথির ৫৪৯সংখ্যক পদ।

॥ রামকেলি॥

কলধৌত-কান্তি-কলেবর গোরি।
কান্তক কত দুখ না জানসি থোরি॥
কৈতব না কহ এ তুয়া কান।
কোপে করসি তুহুঁ কত মত ভান॥
কুসুমিত-কাননে জাগলু তুয়া লাগি।
কেবল করণ উচিত হিয়ে লাগি॥
কুসুমক হার কয়লুঁ কত রাধে।
কন্ঠে করসি যদি পূরয়ে সাধে॥
কপট না কর ইথে কোপিনি থোর।
কাতর অন্তর না করহ মোর॥
কামিনি কুকরম কতয়ে হামারি।
কহ রাধামোহন পহুঁকর হারি॥

ই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন
“সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪২১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ রামকেলি॥

কলধৌত কান্তি-কলেবর গৌরী।
কান্তক কত দুখ না জানসি থোরি॥
কৈতব বচন না কহে তুয়া কান।
কোপে করসি তুহুঁ কত মত ভাণ॥
কুসুমিত-কাননে জাগলু তুয়া লাগি।
কেবল করল উচিত হিয়া লাগি॥
কুসুমক হার কয়লু কত রাধে।
কন্ঠে করসি যদি পূরয়ে সাধে॥
কপট না করইতে কোপিনী থোরি।
কাতর অন্তর না করহ মোরি॥
কামিনী-কুকরম কতয়ে হামারি।
কহ রাধামোহন পহুঁক বলিহারি॥

ই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-
পদলহরী”, ৪৩৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

॥ রামকেলি॥

কলধৌত-কান্তি-কলেবর গোরী।
কান্তক কত দুখ না জানসি থোরি॥
কৈতব বচন না কহে তুয়া কান।
কোপে করসি তুহুঁ কত মত ভান॥
কুসুমিত-কাননে জাগলু তুয়া লাগি।
কেবল করল উচিত হিয়ে লাগি॥
কুসুমক হার করলু কত রাধে।
কন্ঠে করসি যদি পূরয়ে সাধে॥
কপট না করইতে কোপিনী থোরি।
কাতর অন্তর না করহ মোরি॥
কামিনী-কুকরম করয়ে হামারি।
কহ রাধামোহন পহুঁক বলিহারি॥

ই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী
সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯১৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে।

শ্রীকৃষ্ণের উক্তি
॥ রামকেলি॥

কলধৌত-কান্তি-কলেবর গোরি।
কান্তক কত দুখ না জানসি থোরি॥
কৈতব না কহ এ তুয়া কান।
কোপে করসি তুহুঁ কত মত ভান॥
কুসুমিত কাননে জাগলুঁ তুয়া লাগি।
কেবল করণ উচিত হিয়ে লাগি॥
কুসুমক হার কয়লুঁ কত রাধে।
কন্ঠে করসি যদি পূরয়ে সাধে॥
কপট না কর ইথে কোপিনি থোর।
কাতর অন্তর না করহ মোর॥
কামিনি কু-করম কতয়ে হামারি।
কহ রাধামোহন পহুঁকর হারি॥

ই পদটি ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী
ব্যাখ্যা সম্বলিত মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ২য় খণ্ড, ৩০৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া
রয়েছে।

শ্রীকৃষ্ণের উক্তি।
॥ রামকিরি - নন্দনতাল॥

কলধৌত কান্তি কলেবর গোরি।
কান্তক কত দুখ না জানসি থোরি॥
কৈতব না কহ এ তুয়া কান।
কোপে করসি তুহুঁ কতমত ভান॥
কুসুমিত কাননে জাগলুঁ তুয়া লাগি।
কেবল করণ উচিত হিএ লাগি॥
কুসুম হার কয়লুঁ কত রাধে।
কন্ঠে করসি যদি পূরয়ে সাধে॥
কপট না কর ইথে কোপিনি থোর।
কাতর অন্তর না করহ মোর॥
কামিনি কুকরম কতয়ে হামারি।
কহ রাধামোহন-পহুঁকর হারি॥

.           *************************            
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর