কবি রাধামোহন ঠাকুরের বৈষ্ণব পদাবলী |
এতহুঁ বিলাপ করল ললিতা সখি ভণিতা রাধামোহন দাস কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৩য় খণ্ড, ৪র্থ শাখা, ৬ষ্ঠ পল্লব, হংস-দূত, ১৬৭৯সংখ্যক পদ। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির ৯০২সংখ্যক পদ। ॥ গান্ধার॥ এতহুঁ বিলাপ করল ললিতা সখি ঊড়ি চলল বর হংস। কানুক পাশ চলল অনুমানিয়া তবহিঁ বহুত পরশংস॥ আওল পুন যাহাঁ কিশলয় শেজহি শুতি আছয়ে ধনি রাই। চৌদিগে সহচরি-গণ তহিঁ বেড়িয়া রোয়ত আনন চাই॥ হেরি ললিতা সবহুঁ পরবোধই কহতহিঁ মৃদু মৃদু ভাষ। এ দুখ কহিতে বর দূত পাঠায়লুঁ মধুপুর কানুক পাশ॥ এত শুনি বিরহিণি চেতন পাওল হোয়ল জিবনক আশ। এ সব প্রলাপ-বচন কিয়ে বোলব দুখি রাধামোহন দাস॥ এই পদটি দ্বিজ মাধব দ্বারা সংকলিত, উনিশ শতকের প্রথমার্ধে অনুলিখিত, বিশ্বভারতীর গ্রন্থশালায় সংরক্ষিত, ১৯৮২ সালে বিশ্বভারতী বাংলা বিভাগ থেকে ভূদেব চৌধুরী, সুখময় মুখোপাধ্যায়, পঞ্চানন মণ্ডল ও সুমঙ্গল রাণা দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত, “শ্রীপদমেরুগ্রন্থ”, ৩৬৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ রাগিণী গান্ধার তাল সমুচিত॥ এত বিলাপ করল ললিতা সখী উঠি চলল বরহংস। কানুক পাস চলল অনুমানিয়া তবহু বহুত পরশংস॥ আওল পুন যাহা কিসলহি সেজহি সুতি আছয়ে ধনি রাই। চৌদিকে সহচরীগণ তাহা বেড়িআ রোয়ত রোয়ত আনল চাই॥ হেরি ললিতা তব সব পরবোধই কহতহি মৃদুমৃদু ভাষ। এত দুখ কহিতে বরদূত পাঠাঅনু মধুপুর কানুক পাস॥ এত সুনি বিরহিনী চেতন পাওল হোওল জীবনক আশ। এ সব প্রলাপ বচন কিয়ে বোলব দুখি রাধামোহনদাস॥ এই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৩৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ গান্ধার॥ এতহুঁ বিলাপ, করল ললিতা সখী, উড়ি চলল বর হংস। কানুক পাশ, চলল অনুমানিয়া, তবহিঁ বহুত পরশংস॥ আওল পুন যাঁহা, কিশলয় শেযহি, শুতি আছয়ে ধনী রাই। চৌদিগে সহচরি, গণ তহিঁ বেড়িয়া, রোয়ত আনন চাই॥ হেরি ললিতা, সবহুঁ পরবোধই, কহতহিঁ মৃদু মৃদু ভাষ। এ দুখ কহিতে বর, দূত পাঠাইনু, মধুপূর কানুক পাশ॥ এত শুনি বিরহিণী, চেতন পাওল, হোয়ল জীবনক আশ। এ সব প্রলাপবচন কিয়ে বোলব, দুখী রাধামোহন দাস॥ এই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৪৪-পৃষ্ঠায় পুনঃ এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ গান্ধার॥ এতহুঁ বিলাপ, করল ললিতা সখী, উড়ি চলিল বর হংস। কানুক পাশ, চলল অনুমানিয়া, তবহিঁ বহুত পরশংস॥ আওল পুন যাহাঁ, কিশলয় শেজহি, শুতি আছয়ে ধনী রাই। চৌদিগে সহচরী, গণ তহিঁ বেড়িয়া, রোয়ত আনন চাই॥ হেরি ললিতা, সবহুঁ পরবেধেই, কহতহিঁ মৃদু মৃদু ভাষ। এ দুখ কহিতে বর, দূত পাঠায়নু, মধুপুর কানুক পাশ॥ এত শুনি বিরহিণী, চেতন পাওল, হোয়ল জীবনক আশ। এ সব প্রলাপ- বচন কিয়ে বোলব, দুখী রাধামোহন দাস॥ এই পদটি ১৯৪৬সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯২৭-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ গান্ধার॥ এতহুঁ বিলাপ করল ললিতা সখি ঊড়ি চলল বর হংস। কানুক পাশ চলল অনুমানিয়া তবহিঁ বহুত পরশংস॥ আওল পুন যাহাঁ কিশলয় শেজহি শুতি আছয়ে ধনি রাই। চৌদিগে সহচরি-গণ তহিঁ বেড়িয়া রোয়ত আনন চাই॥ হেরি ললিতা সবহুঁ পরবোধই কহতহিঁ মৃদু মৃদু ভাষ। এ দুখ কহিতে বর দূত পাঠায়লুঁ মধুপুর কানুক পাশ॥ এত শুনি বিরহিণি চেতন পাওল হোয়ল জিবনক আশ। এ সব প্রলাপ-বচন কিয়ে বোলব দুখি রাধামোহন দাস॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
ওগো বড়াই হোর রূপ ভণিতা শ্রীরাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত, ১৯২৬ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “অপ্রকাশিত পদরত্নাবলী”, ১৪২-পৃষ্ঠা। [ নৌকা-বিলাস ] ॥ ধানশী॥ ওগো বড়াই হোর রূপ দেখ সিয়া। যেমন আপনি তেমনি না খানি বিনোদ-নাগর নায়্যা॥ ধ্রু॥ রজতে রচিত কনকে খচিত বিধির গঠিত নায়। মুক্তার ছাওনি কেরোয়াল খানি সোণায় মড়ান তায়॥ কেরোয়াল জলে খেণে তুলি ফেলে খেণে পরশিয়া থাকে। খেণে হাসে গায় খেণে বাহি যায় যমুনা উথলে সুখে॥ বড়াই বলে ভাল বেলা অধিক হৈল যাব মথুরার বিকে। তীরে আন তরি দেহ পার করি শ্রীরাধামোহনে ডাকে॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
কবে প্রভুর অনুগ্রহ হব ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৮২ । ॥ ঐশান্য গুজ্জরীরাগ পঠতালৌ ॥ কবে প্রভুর অনুগ্রহ হব । বিষয় বাসনা পাশ কবে মোর হইব নাশ কবে আমি বৃন্দাবনে যাব ॥ ধ্রু ॥ এ সংসারে দুঃখ ফল সে আনন্দ মহাবল জানিয়া যাইব সেই স্থানে । সর্ব্ব দুঃখ পলাইবে গড়াগড়ি দিব যবে রাসস্থলী যমুনা পুলিনে ॥ কৃষ্ণ মূর্ত্তী গোবর্দ্ধন মহাভাগ্যে দরশন মোর কিএ হব সেই কর্ম্ম । কৃষ্ণের রাধিকা যৈছে শ্রীকুণ্ড তাঁহার তৈছে কায়মনে কবে হবে মর্ম্ম ॥ কুণ্ড যুগে স্নান করি সেই খানে যদি মরি তবে বুঝি মোর হব গতি । তুমি প্রভু দয়াময় এ রাধামোহনে কয় সিদ্ধ কর এইত কাকুতি ॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ, ৩৬শ পল্লব, প্রার্থনা, ৩০৫৩সংখ্যক পদ হিসেবে এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ গুর্জ্জরী॥ কবে প্রভুর অনুগ্রহ হব। বিষয়-বাসনা-পাশ কবে মোর হবে নাশ কবে আমি বৃন্দাবনে যাব॥ ধ্রু॥ এ সংসারে দুঃখ ফল সে আনন্দে মহাবল জানিয়া যাইব সেই স্থানে। সর্ব্ব দুঃখ পলাইবে গড়াগড়ি দিব যবে রাস-স্থলী যমুনা-পুলিনে॥ কৃষ্ণ-মূর্ত্তী গোবর্দ্ধন মহাভাগ্যে দরশন মোর কিয়ে হবে হেন কর্ম্ম। কৃষ্ণের রাধিকা যৈছে শ্রীকুণ্ড তাঁহার তৈছে কায়মনে কবে হবে মর্ম্ম॥ কুণ্ড-যুগে স্নান করি সেইখানে যদি মরি তবে বুঝি মোর হয়ে গতি। তুমি প্রভু দয়াময় এ রাধামোহনে কয় সিদ্ধ কর এই ত কাকুতি॥ এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯০১-পৃষ্ঠায় একইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ গুর্জ্জরী॥ কবে প্রভুর অনুগ্রহ হব। বিষয়-বাসনা-পাশ কবে মোর হবে নাশ কবে আমি বৃন্দাবনে যাব॥ ধ্রু॥ এ সংসারে দুঃখ ফল সে আনন্দে মহাবল জানিয়া যাইব সেই স্থানে। সর্ব্ব দুঃখ পলাইবে গড়াগড়ি দিব যবে রাস-স্থলী যমুনা-পুলিনে॥ কৃষ্ণ-মূর্ত্তী গোবর্দ্ধন মহাভাগ্য দরশন মোর কিয়ে হবে হেন কর্ম্ম। কৃষ্ণের রাধিকা যৈছে শ্রীকুণ্ড তাঁহার তৈছে কায়মনে কবে হবে মর্ম্ম॥ কুণ্ড-যুগে স্নান করি সেইখানে যদি মরি তবে বুঝি মোর হয়ে গতি। তুমি প্রভু দয়াময় এ রাধামোহনে কয় সিদ্ধ কর এই ত কাকুতি॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
কয়লি কঠিন মৌন কাম রিপু ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-১৭৩ । ॥ গুজ্জরী রাগৈক তালি তালাভ্যাং॥ কয়লি কঠিন মৌন কাম রিপু কামহিঁ না করলি কর কশ মান । কাঞ্চন কমল কবল কর মুখরুচি কাহে তব কোকনদ ভান ॥ কোপিনি কাতরে কর পরসাদ । কেবল ক্রীত দাস মোহে জানীয় কর দূত কৈতব বাদ ॥ ধ্রু ॥ কাহা করলি ইহ কোপক শীখন কতিহু না হেরলুঁ রেহ । কথনক কৌশল কত বিধ জানসি করণ উচিত নহ এহ ॥ কছুই করএ কভু নিজ জন কলমষ করইতে হয় কর দণ্ড । কহ রাধা মোহন পহুঁক করণ নহ কমল নহুঁ কোপক চণ্ড ॥ এই পদটি ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী ব্যাখ্যা সম্বলিত মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ২য় খণ্ড, ৩১০-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। শ্রীকৃষ্ণের প্রত্যুত্তর। ॥ গুর্জ্জরী - একতালা॥ কয়লি কঠিন মৌন কামরিপু কামহিঁ না করলি করকশ মান। কাঞ্চন কমল- কবল-কর-মুখরুচি কাহে তব কোকনদ ভান॥ কোপিনি কাতরে কর পরসাদ। কেবল ক্রীত দাস মোহে জানিয়ে দূত কর কৈতব বাদ॥ কাঁহা করলি ইহ কোপক শীখন কতিহু না হেরলুঁ রেহ। কথনক কৌশল কত বিধ জানসি করণ উচিত নহ এহ॥ কছুই করএ কভু নিজ জন কলমষ করইতে হয় করদণ্ড। কহ রাধা মোহন পহুঁক করণ নহ কমল নহুঁ কোপক চণ্ড॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |