কবি রাধামোহন ঠাকুরের বৈষ্ণব পদাবলী |
চৌদিগে চারু অঙ্গনা বেড়ি ভণিতা রাধামোহন দাস কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২২২ । ॥ তথারাগ লঘু একতালী তালাভ্যাং ॥ চৌদিগে চারু অঙ্গনা বেড়ি রঙ্গিণি কত গাঙনী । ক্রতা তা থৈয়া থৈয়া থৈয়া বোলনী ॥ মাঝে বিরাজে শ্যাম সুঘড় শিরোমণি কঙ্কিনি কিনি কিনি বোলনী ॥ তাগরণ ধোঁগ্ গা ঘেটিতা ঘেটিতা ঘেটিতী ঘেনেনাঙ তীন্তঘ তিন্তব নাঙ । গরণ ঘেনা তীনিতা খিটিতৃঘং তীগর ঝাঁঙ ॥ বর্ণিত রাস বিদ্যাপতিসুর । রাধামোহন দাস রস পুর ॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ২৪শ পল্লব, শরত্কালীয় মহারাস, ১২৭১সংখ্যক পদ, এইরূপে দেওয়া রয়েছে। এই পদটি নিমানন্দ দাস সংকলিত পদরসসার পুথির ১৫০৭সংখ্যাক পদ। ॥ বিহগড়া॥ চৌদিগে চারু অঙ্গনা বেঢ়িয়া রঙ্গিণি কত গায়নি। ক্রত্তা থৈয়া থৈয়া বোলনী॥ মাঝে বিরাজে শ্যাম সুঘড় শিরোমণি কঙ্কিনি কিনি কিনি বোলনী॥ তাগর ন ধোগ্ গা ঘেটিতা ঘেটিতা ঘেটি তী ঘেনে নাঙ্ তীন্তঘ তিন্ত ঘ নাঙ্। গরণ ঘেনাতীনি তা খিটি তৃঘং তীঘর ঝাঁ॥ বর্ণিত রাস বিদ্যাপতিসুর। রাধামোহন দাস রস-পুর॥ এই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪২৮-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ বিহগড়া॥ চৌদিগে চারু, অঙ্গনা বেড়ি, রঙ্গিণী কত গাউনি। ক্রতা ত্তা থৈয়া থৈয়া থৈয়া বোলনী॥ মাঝে বিরাজে শ্যাম সুঘড় শিরোমণি। কঙ্কিণী কিনি কিনি কিনি কিনি বোলনি॥ তাগর নাধোগ্ গা, ঘেটিতা ঘেটিতা, ঘেটিতা ঘেনে নাঙ্, তিন্তগ্ তিন্ত ঘেনাং, গরণ ঘেনাতি নিতা খিটিতুং গা তীগরঝাং॥ বর্ণিত রাস বিদ্যাপতি সূর। রাধামোহন দাস রসপুর॥ এই পদটি দুর্গাদাস লাহিড়ী সম্পাদিত ১৯০৫ সালে প্রকাশিত, পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব-পদলহরী”, ৪৫১- পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ বিহগড়া॥ চৌদিগে চারু, অঙ্গনা বেড়ি, রঙ্গিনা কত গাউনি। ক্রতা তা থৈয়া থৈয়া থৈয়া থৈয়া বোলনী॥ মাঝে বিরাজ শ্যাম সুঘড় শিরোমণি। কঙ্কিণী কিনি কিনি কিনি কিনি বোলনি॥ তাগর নাধোগ্ গা ঘেটিতা ঘেটিতা, ঘেটিতা ঘেনে নাঙ্ তীণ্ডগ্ তিন্তগ্ ঘেনাং। গরণ ঘেনাতি নিতা খিটিতুং গাতীগরঝাং॥ বর্ণিত রাস বিদ্যাপতি সুর। রাধামোহন দাস রস-পুর॥ এই পদটি নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” তয় খণ্ড, ৫০৫- পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ খাম্বাজমিশ্র বেহাগ - ছোট একতালা॥ চৌদিগে চারু অঙ্গনা বেঢ়িয়া রঙ্গিণি কত গায়নী। ক্রত্তা থৈয়া থৈয়া বোলনী॥ তার মাঝে বিরাজে শ্যাম সুঘড় শিরোমণি। বাজে কঙ্কিনী কিনি কিনি বোলনী॥ বাজে তাগরন ধোগ্ গাঃ তিগরন ধোগ্ গাঃ দুগর ঘেটিতা ঘেটিতা ঘেনে নাঙ। বাজে তুং থুং জি ঝননন বর্ণিত রাস বিদ্যাপতি সূর। নাচত রঙ্গে নাগর নাগরী রাধামোহন দাস রস-পুর॥ এই পদটি ১৯৫৯ সালে প্রকাশিত, দুর্গাচরণ বিশ্বাস সংগৃহীত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “কীর্ত্তন-পদাবলী”, ১১৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। চৌদিগে চারু, অঙ্গনা বেড়ি, রঙ্গিণী কত গাঙনী। তা তা থৈয়া থৈয়া থৈয়া বোলনী॥ মাঝে বিরাজে শ্যাম সুঘড় শিরোমণি। কিঙ্কিণী কিনি বোলনা॥ তাগরণা ধোঁগ্ গা, ঘেটিতা ঘেটিতা, ঘেনে ঘেটি তিনাং। তীন্ত ঘটিত ঘনাং, গরণ ঘেনা, তিনিতা খিটিতঘং তীগর ঝাং॥ বর্ণিত রাস বিদ্যাপতি সুর। রাধামোহন দাস রস পুর॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
জয় জয় জয় শচীনন্দন রঙ্গী ভণিতা রাধামোহন দাস কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৩১। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “জয় জয় শচীনন্দন বর রঙ্গী” শিরোনামে স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে। ॥ বসন্ত রাগ প্রতি মন্ঠক তালৌ ॥ জয় জয় জয় শচীনন্দন রঙ্গী । বিবিধ বিনোদ কত কৌতুক করতহি অবিরত প্রেম তরঙ্গী ॥ বিপুল পুলক কুল সঞ্চরু সবতনু নয়নহী আনন্দ নীর । ভাবহিঁ কহত জিতল মঝু সখি কুল শুন শুন গোকুল বীর ॥ মৃদু মৃদু হাসি চলত করি কর ভঙ্গি লিএ যনু খেলন যন্ত্র । যুগলকিশোর বসন্তহি যৈছন বিতানিত মনসিজ তন্ত্র ॥ যো ইহ অপরূব বিহরে নবদ্বীপ জগদানন্দ বিলাসী । রাধামোহন দাস মূঢ় চিতে সো নিজ গুণ পরকাশী ॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ, ৩০শ পল্লব, অষ্টকালীয় নিত্য-লীলা, ২৬০৯সংখ্যক পদ। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “জয় জয় জয় শচীনন্দন রঙ্গী” শিরোনামে স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে। অথ হোলিদোলা। শ্রীগৌরচন্দ্রো যথা। ॥ বসন্ত রাগ॥ জয় জয় শচীনন্দন বর রঙ্গী। বিবিধ বিনোদ কত কৌতুক করতহি প্রেম-তরঙ্গী॥ বিপুল-পুলক-কুল সঞ্চরু সব তনু নয়নহিঁ আনন্দ-নীর। ভাবহিঁ কহত জিতল মঝু সখিকুল শুন শুন গোকুল-বীর॥ মৃদু মৃদু হাসি চলত কত ভঙ্গিম করে জনু খেলন যন্ত্র। যুগলকিশোর বসন্ত হি যৈছন বিতানিত মনসিজ-তন্ত্র॥ যো ইহ অপরুব বিহরে নবদ্বিপ জগদানন্দ-বিলাসী। রাধামোহন দাস-মূঢ়-চিতে সো নিজ গুণ পরকাশী॥ এই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৪১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ বসন্ত রাগ॥ জয় জয় শচীনন্দন বর রঙ্গী। বিবিধ বিনোদ, কলা কত কৌতুক, করতহিঁ প্রেম-তরঙ্গী॥ বিপুলপুলককুল, সঞ্চরু সব তনু, নয়নহিঁ আনন্দনীর। ভাবহিঁ কহত, জিতল মঝু সখীকুল, শুন শুন গোকুল-বীর॥ মৃদু মৃদু হাসি, চলত কত ভঙ্গিম, করে জনু খেলন যন্ত্র। যুগলকিশোর, বসন্তহি যৈছন, বিতানিত মনসিজ-যন্ত্র॥ যো ইহ অপরুপ, বিহরে নবদ্বীপ, জগদানন্দ বিলাসী। রাধামোহন, দাস মূঢ়চিত, সো নিজ গুণ পরকাশী॥ এই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, ১৯৩৪, ৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ বসন্ত॥ জয় জয় শচীর নন্দনবর রঙ্গ। বিবিধ বিনোদ, কল কত কৌতুক, করতহি প্রেমতরঙ্গ॥ ধ্রু॥ বিপুল পুলক কুল, সঞ্চরু সব তনু, নয়নহি আনন্দনীর। ভাবহি কহত, জিতল মঝু সখীকুল, শুন শুন গোকুলবীর॥ মৃদু মৃদু হাসি, চলত কত ভঙ্গিম, করে জনু খেলন যন্ত্র। যুগলকিশোর, বসন্তহি যৈছন, বিতানিত মনসিজ তন্ত্র॥ যো ইহ অপরূপ, বিহরে নবদ্বীপ, জগদানন্দন বিলাসী। রাধামোহন দাস, মূঢ়চিত সোই, তার নিজগুণ পরকাশি॥ এই পদটি এই সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”-এই ২১৯-পৃষ্ঠায় পুনরায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ বসন্ত॥ জয় জয় শচীর নন্দনবর রঙ্গী। বিবিধ বিনোদ কলা কত কৌতুক করতহি প্রেমতরঙ্গী॥ ধ্রু॥ বিপুল পুলককুল সঞ্চরু সব তনু নয়নহি আনন্দনীর। ভাবহি কহত জিতল মঝু সখীকুল শুন শুন গোকুলবীর॥ মৃদু মৃদু হাসি চলত কত ভঙ্গিম করে জনু খেলন যন্ত্র। যুগল কিশোর বসন্তহি যৈছন বিতানিত মনসিজ তন্ত্র॥ যো ইহ অপরূপ বিহরে নবদ্বীপ জগদানন্দ বিলাসী। রাধামোহন দাস মূঢ়চিত সো নিজগুণ পরকাশী॥ এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯১১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ তথা রাগ॥ জয় জয় শচিনন্দন বর রঙ্গী। বিবিধ বিনোদ কত কৌতুক করতহি প্রেম-তরঙ্গী॥ ধ্রু॥ বিপুল-পুলক-কুল সঞ্চরু সব তনু নয়নহিঁ আনন্দ-নীর। ভাবহিঁ কহত জিতল মঝু সখিকুল শুন শুন গোকুলবীর॥ মৃদু মৃদু হাসি চলত কত ভঙ্গিম করে জনু খেলন যন্ত্র। যুগল কিশোর বসন্ত হি যৈছন বিতানিত মনসিজ-তন্ত্র॥ যো ইহ অপরূপ বিহরে নবদ্বিপ জগদানন্দ-বিলাসী। রাধামোহন দাস-মূঢ়-চিতে সো নিজগুণ পরকাশী॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
জয় জয় শচীনন্দন বর রঙ্গী ভণিতা রাধামোহন দাস কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ, ৩০শ পল্লব, অষ্টকালীয় নিত্য-লীলা, ২৬০৯সংখ্যক পদ। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “জয় জয় জয় শচীনন্দন রঙ্গী” শিরোনামে স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে। অথ হোলিদোলা। শ্রীগৌরচন্দ্রো যথা। ॥ বসন্ত রাগ॥ জয় জয় শচীনন্দন বর রঙ্গী। বিবিধ বিনোদ কত কৌতুক করতহি প্রেম-তরঙ্গী॥ বিপুল-পুলক-কুল সঞ্চরু সব তনু নয়নহিঁ আনন্দ-নীর। ভাবহিঁ কহত জিতল মঝু সখিকুল শুন শুন গোকুল-বীর॥ মৃদু মৃদু হাসি চলত কত ভঙ্গিম করে জনু খেলন যন্ত্র। যুগলকিশোর বসন্ত হি যৈছন বিতানিত মনসিজ-তন্ত্র॥ যো ইহ অপরুব বিহরে নবদ্বিপ জগদানন্দ-বিলাসী। রাধামোহন দাস-মূঢ়-চিতে সো নিজ গুণ পরকাশী॥ এই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৪১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ বসন্ত রাগ॥ জয় জয় শচীনন্দন বর রঙ্গী। বিবিধ বিনোদ, কলা কত কৌতুক, করতহিঁ প্রেম-তরঙ্গী॥ বিপুলপুলককুল, সঞ্চরু সব তনু, নয়নহিঁ আনন্দনীর। ভাবহিঁ কহত, জিতল মঝু সখীকুল, শুন শুন গোকুল-বীর॥ মৃদু মৃদু হাসি, চলত কত ভঙ্গিম, করে জনু খেলন যন্ত্র। যুগলকিশোর, বসন্তহি যৈছন, বিতানিত মনসিজ-যন্ত্র॥ যো ইহ অপরুপ, বিহরে নবদ্বীপ, জগদানন্দ বিলাসী। রাধামোহন, দাস মূঢ়চিত, সো নিজ গুণ পরকাশী॥ এই পদটি জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”, ১৯৩৪, ৪-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ বসন্ত॥ জয় জয় শচীর নন্দনবর রঙ্গ। বিবিধ বিনোদ, কল কত কৌতুক, করতহি প্রেমতরঙ্গ॥ ধ্রু॥ বিপুল পুলক কুল, সঞ্চরু সব তনু, নয়নহি আনন্দনীর। ভাবহি কহত, জিতল মঝু সখীকুল, শুন শুন গোকুলবীর॥ মৃদু মৃদু হাসি, চলত কত ভঙ্গিম, করে জনু খেলন যন্ত্র। যুগলকিশোর, বসন্তহি যৈছন, বিতানিত মনসিজ তন্ত্র॥ যো ইহ অপরূপ, বিহরে নবদ্বীপ, জগদানন্দন বিলাসী। রাধামোহন দাস, মূঢ়চিত সোই, তার নিজগুণ পরকাশি॥ এই পদটি এই সংকলন “শ্রীগৌরপদ-তরঙ্গিণী”-এই ২১৯-পৃষ্ঠায় পুনরায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ বসন্ত॥ জয় জয় শচীর নন্দনবর রঙ্গী। বিবিধ বিনোদ কলা কত কৌতুক করতহি প্রেমতরঙ্গী॥ ধ্রু॥ বিপুল পুলককুল সঞ্চরু সব তনু নয়নহি আনন্দনীর। ভাবহি কহত জিতল মঝু সখীকুল শুন শুন গোকুলবীর॥ মৃদু মৃদু হাসি চলত কত ভঙ্গিম করে জনু খেলন যন্ত্র। যুগল কিশোর বসন্তহি যৈছন বিতানিত মনসিজ তন্ত্র॥ যো ইহ অপরূপ বিহরে নবদ্বীপ জগদানন্দ বিলাসী। রাধামোহন দাস মূঢ়চিত সো নিজগুণ পরকাশী॥ এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৯১১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ তথা রাগ॥ জয় জয় শচিনন্দন বর রঙ্গী। বিবিধ বিনোদ কত কৌতুক করতহি প্রেম-তরঙ্গী॥ ধ্রু॥ বিপুল-পুলক-কুল সঞ্চরু সব তনু নয়নহিঁ আনন্দ-নীর। ভাবহিঁ কহত জিতল মঝু সখিকুল শুন শুন গোকুলবীর॥ মৃদু মৃদু হাসি চলত কত ভঙ্গিম করে জনু খেলন যন্ত্র। যুগল কিশোর বসন্ত হি যৈছন বিতানিত মনসিজ-তন্ত্র॥ যো ইহ অপরূপ বিহরে নবদ্বিপ জগদানন্দ-বিলাসী। রাধামোহন দাস-মূঢ়-চিতে সো নিজগুণ পরকাশী॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪৩১। প্রথম পংক্তির ভিন্নতার জন্য এই পদটিকে “জয় জয় শচীনন্দন বর রঙ্গী” শিরোনামে স্বতন্ত্র পদ হিসেবেও দেওয়া হয়েছে। ॥ বসন্ত রাগ প্রতি মন্ঠক তালৌ ॥ জয় জয় জয় শচীনন্দন রঙ্গী । বিবিধ বিনোদ কত কৌতুক করতহি অবিরত প্রেম তরঙ্গী ॥ বিপুল পুলক কুল সঞ্চরু সবতনু নয়নহী আনন্দ নীর । ভাবহিঁ কহত জিতল মঝু সখি কুল শুন শুন গোকুল বীর ॥ মৃদু মৃদু হাসি চলত করি কর ভঙ্গি লিএ যনু খেলন যন্ত্র । যুগলকিশোর বসন্তহি যৈছন বিতানিত মনসিজ তন্ত্র ॥ যো ইহ অপরূব বিহরে নবদ্বীপ জগদানন্দ বিলাসী । রাধামোহন দাস মূঢ় চিতে সো নিজ গুণ পরকাশী ॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
জয় জয় নন্দ নন্দন চন্দ ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-২৭৮ । তদুচিত শ্রীকৃষ্ণ রূপং যথা॥ ॥ জয় জয়ন্তি রাগ চঞ্চুপুট তালৌ॥ জয় জয় নন্দ নন্দন চন্দ । অঙ্গ দীপতি নিন্দি নীরদ নীল নীরজ কন্দ ॥ পীত অম্বর কনক ভূষণ মকর কুণ্ডল ধারি । বৃষ্ণিদূষণ কংস মারণ করণ মানস কারি ॥ বল্লরী কুল হৃদয় আকুল করণ উদ্যম বন্ত । ততহিঁ কিঞ্চিত মসৃণ মানস নিজহি মন্দির বসন্ত ॥ চরণ পঙ্কজ ভকত মানস সরসি উদয় কারি । এ রাধামোহন পাপিক মোহন এ ভব সাগর তারি ॥ এই পদটি আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩০ বঙ্গাব্দের (১৯২৩ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা - ২য় ভাগ, ২৮শ পল্লব, শ্রীকৃষ্ণের রূপ, ২৪৩৫সংখ্যক পদ। এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “বৈষ্ণব পদাবলী”, ৮৯৮-পৃষ্ঠায় একইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ সিন্ধুড়া॥ ফু প্রকারান্তরং মাথুর-ভাবি-বিরহোপযুক্তং যথা। ॥ জয়জয়ন্তী॥ জয় জয় নন্দ-নন্দন চন্দ। অঙ্গ-দীপতি নিন্দি নীরদ নীল-নীরজ-কন্দ॥ ধ্রু॥ পীত-অম্বর কনক-ভূষণ মকর-কুণ্ডল-ধারি। বৃষ্ণি-দূষণ কংস-মারণ করণ-মানস-কারি॥ বল্লরীকুল- হৃদয় আকুল- করণ-উদ্যমবন্ত। ততহিঁ কিঞ্চিত মসৃণ-মানস- নিজহুঁ মন্দিরে সন্ত॥ চরণ-পঙ্কজ ভকত-মানস- সরসি উদয়-কারি। এ রাধামোহন- পাপ-বিমোচন এ ভব-সাগর-তারি॥ এই পদটি ১৯০০ সালে প্রকাশিত, হরিমোহন মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত পদাবলী সংকলন “সঙ্গীত-সার-গ্রন্থ”, ১ম খণ্ড, ৪৩৯-পৃষ্ঠায় পুনঃ এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ জয়জয়ন্তী॥ জয় জয় নন্দনন্দন চন্দ। অঙ্গ-দীপতি নিন্দি নীরদ, নীল-নীরজ কন্দ॥ পীত অম্বর, কনক-ভূষণ, মকর-কুণ্ডলধারী। বৃষ্ণি-দূষণ, কংস-মারণ, করণ মানসকারি॥ বল্লরীকুল, হৃদয় আকুল, করণ উদ্যমবন্ত। ততহিঁ কিঞ্চিত, মসৃণ মানস, নিজহি মন্দির বসন্ত॥ চরণ পঙ্কজ, ভকত-মানস, সরসী উদয়কারী। এ রাধামোহন, পাপ-বিমোচন, এ ভবসাগর তারী॥ এই পদটি ১৯৫৩ সালে প্রকাশিত, নবদ্বীপ চন্দ্র ব্রজবাসী ও খগেন্দ্রনাথ মিত্রের মাধুরী নাম্নী ব্যাখ্যা সম্বলিত মহাজন পদাবলী “শ্রীপদামৃতমাধুরী” ২য় খণ্ড, ১০১-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। ॥ সুহই - বড়দশকুশী॥ জয় জয় নন্দ-নন্দন-চন্দ। অঙ্গ দীপতি নিন্দি নীরদ নীল নীরজ কন্দ॥ ধ্রু॥ পীত অম্বর কনক ভূষণ মকর কুণ্ডল ধরি। বৃষ্ণি-দূষণ- কংস-মারণ- করণ মানস-কারি॥ বল্লরী কুল হৃদয় আকুল করণ উদ্যমবন্ত। ততহি কিঞ্চিত মসৃণ মানস নিজহুঁ মন্দিরে সন্ত॥ চরণ-পঙ্কজ ভকত মানস- সরসি উদয় কারি। এ রাধা মোহন পাপ-বিমোচন এ ভব সাগর তারি॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
জয় জয় নব নাগর নিন্দি ইন্দিবর কাঁতি ভণিতা রাধামোহন কবি রাধামোহন ঠাকুর আনুমানিক ১৭২৫ সালে রাধামোহন ঠাকুর ( রাধামোহন দাস ) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৮৭৮ সালে, রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “পদামৃত সমুদ্র”, পৃষ্ঠা-৪০২ । ॥ তদুচিত রূপং যথা ॥ জয় জয় নব নাগর নিন্দি ইন্দিবর কাঁতি । কোটি মদন, কদন বদন, দাড়িমি দুতি দমন রদন ইযত হাস দুখ তরাস অমৃত অমৃত কথন ভাঁতি ॥ ধ্রু ॥ চামর চমক চূড় ভাঁতি, অলক উপমা অলিক পাঁতি, বর কপোল মকর লোল কাম নৃত্য নিন্দই । গরুড় চঞ্চু নাশামঞ্জু চঞ্চল লোচন পদুম ভঞ্জ ভূরু নরতন অতনু ভীষণ কম্বু কন্ঠ বন্দই ॥ করভ শুণ্ড কৃত বিখণ্ড কত মকরত বাহুদণ্ড শয়ন মসৃণ ঘুসৃণ লগন পীন উর অতি বিসাল । মাঝ অঙ্গ জিতল সিংহ কুম্ভ রম্ভা নিতম্ব জঙ্ঘ ভকত মানস মধুপ মদন চরণ পঙ্কজ অতি রসাল ॥ নখর মুকুর শশধর ডর পদতল থল কমল নিন্দি প্যারি পরম পিরিতি বিবশ তদাত উদিত রতি তরঙ্গ । রাধামোহন ধ্যান রূপ রজনী শেষ রসনিকূপ যাক গোপি চরণ শরণ সোই হেরত ওহি রঙ্গ ॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |