কবি শ্রীনিবাস আচার্যের বৈষ্ণব পদাবলী |
বদন-চান্দ কোন কুদাঁরে কুন্দিল গো কবি শ্রীনিবাস দাস আনুমানিক ১৭০০ সালে বিশ্বনাথ চক্রবর্তী (হরিবল্লভ দাস) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৯২৪ সালে, রাধানাথ কাবাসী দ্বারা সম্পাদিত বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীক্ষণদা-গীতচিন্তামণি”, পৃষ্ঠা ৪২০। তদুচিত রূপং যথা॥ ভাটিয়ারীরাগ বৃহদেকতালীতালৌ॥ বদন চান্দ কোন কুদাঁরে কুন্দিল গো কেনা কুদিঁল দুটি আখিঁ। দেখিতে দেখিতে মোর পরাণ যেমন করে সেই সে পরাণ তার সাখি॥ সুন্দর কপালে শোভে সুন্দর তিলক গো তাহে শোভে অলঙ্কার পাঁতি। মেঘের উপরে যেন ঝল মল করে গো চান্দে যেন ভ্রমরার ভাঁতি॥ রতন করিয়া কিবা যতন করিয়া গো কেনা গড়াইয়া দিল কানে। মনের সহিতে মোর এ পাঁচ পরাণি গো যোগী হইল ওহারি ধেয়ানে॥ নাসিকার আগে শোভে এ গজমুকুতা গো সোনাএ মঢ়িত তার পাশে। বিজুরি সহিতে যেন চান্দের কলিকা গো মেঘের আঢ়ালে থাকি হাসে॥ করিবর কর জিনি বাহুর বলনি গো হিঙ্গুলে মঢ়িত তার আগে। যৌবন বনের পাখি পিয়াসে মরয়ে গো তুহারি পরস রস মাগে॥ মদন ফান্দ ওনা চূড়ার টাননি গো উহা না শিখিয়াছে কোথা। এবুক ভরিয়া আমি উহা না দেখিলুঁ গো এবড়ি মরমে মোর বেথা॥ মধুর মধুর ও না বোল খানি খানি গো হাতের উপরে লাগি পাই। এমতি করিয়া যদি বিধাতা গাঢ়িত গো ভাঙ্গিয়া ভাঙ্গিয়া উহা খাই॥ ঢুলিতে ঢুলিতে যায় ফিরিয়া ফিরিয়া চায় যেন গজরাজ মদ মাতা। শ্রীনিবাস দাস কয় ওপর নখিল নয় রূপ সিন্ধু গঢ়ল বিধাতা॥ এই পদটি, নরহরি চক্রবর্তী (ঘনশ্যাম) সংকলিত শ্রীশ্রীগীতচন্দ্রোদয় গ্রন্থে না থাকলেও, আনুমানিক ১৭২৫ সালে তাঁরই বিরচিত এবং ৪০২ গৌরাব্দে (১৮৮৯ সালে), রামনারায়ণ বিদ্যারত্ন দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকাশিত “শ্রীভক্তিরত্নাকর” গ্রন্থের ষষ্ঠ তরঙ্গের, ৪৮২পৃষ্ঠায় এভাবে রয়েছে। সুহই রাগঃ। বদন চান্দ কোন কুন্ কুন্দরে কুন্দিল গো, কে না কুন্দিল দুটি আঁখি। দেখিতে দেখিতে মোর পরাণ যেমন করে গো, সেই সে পরাণ তার সাক্ষী॥ রতন কাটিয়া কে বা যতন করিয়া গো, কে না গড়াইয়া দিল কানে। মনের সহিতে মোর এ পাঁচ পরাণে গো যোগী হৈল উহারি ধিয়ানে॥ নাসিকা উপরে শোভে এ গজমুকুতা গো, সোনায় মণ্ডিত তার পাশে। বিজুরি জড়িত কিবা চান্দের কলিকা গো, মেঘের আঢ়ালে থাকি হাসে॥ সুন্দর কপালে শোভে সুন্দর তিলক গো, তাহে শোভে অলকার পাঁতি। হিয়ার মাঝারে মোর ঝলমল করে গো, চান্দে যেন ভ্রমরার পাঁতি॥ মদন ফাঁদুয়া ওনা চূড়ার টালনি গো, উহা না শিখিয়াছিল কোথা। এ বুক ভরিয়া মুখ দেখিতে না পানু গো, এ বড়ি মরমে মোর ব্যথা॥ কেমন মধুর সে না বোল খানি খানি গো, হাতের উপরে লাগি পাঙ। তেমন করিয়া যদি বিধাতা গাঢ়িত গো, ভাঙ্গিয়া ভাঙ্গিয়া তাহা খাঙ॥ করিবর কর জিনি বাহুর বলনী গো, হিঙ্গুলে মণ্ডিত তার আগে। যৌবন বনের পাখী পিয়াসে মরয়ে গো, তাহারি পরশ রস মাগে॥ ঠমকি ঠমকি যায় তেরচ নয়নে চায় যেনমত গজরাজ মাতা। শ্রীনিবাস দাসে কয় ও রূপ লখিল নয় রূপসিন্ধু গঢ়িল বিধাতা॥ এই পদটি, আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ সাল) ২য় খণ্ড, ৩য় শাখা, ১০ম পল্লব, রূপানুরাগ, পদসংখ্যা ৭৯০-এ এভাবে দেওয়া রয়েছে। কবি শ্রীনিবাস দাস। ॥ সুহই॥ বদন-চান্দ কোন কুন্দারে কুন্দিলে গো কে না কুন্দিলে দুই আঁখি। দেখিতে দেখিতে মোর পরাণ যেমন করে সেই সে পরাণ তার সাখী॥ রতন কাড়িয়া অতি যতন করিয়া গো কে না গড়িয়া দিল কাণে। মনের সহিতে মোর এ পাঁচ পরাণি গো যোগী হবে উহারি ধেয়ানে॥ অমিয়া মধুর বোল সুধা খানি খানি গো হাতের উপর নাহি পাঙ। এমতি করিয়া যদি বিধাতা গঢ়িত গো ভাঙিয়া ভাঙিয়া উহা খাঙ॥ মদন-ফান্দ ও না চূড়ায় টালনি গো উহা না শিখিয়া আইল কোথা। এ বুক ভরিয়া মুঞি উহা না দেখিলুঁ গো এ বড়ি মরমে মোর বেথা॥ নাসিকার আগে দোলে এ গজ-মুকুতা গো সোণায় মড়িত তার পাশে। বিজুরী জড়িত যেন চাঁদের কণিকা গো মেঘের আড়ালে থাকি হাসে॥ করভের কর জিনি বাহুর বলনি গো হিঙ্গুল মণ্ডিত তার আগে। যৌবন-বনের পাখী পিয়াসে মরয়ে গো উহারি পরশ-রস মাগে॥ নাটুয়া-ঠমকে যায় রহিয়া রহিয়া চায় চলে যেন গজরাজ মাতা। শ্রীনিবাস দাস কয় লখিলে লখিল নয় রূপসিন্ধু গঢ়ল বিধাতা॥ এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত “বৈষ্ণব পদাবলী” সংকলনের, ১০৫৮ পৃষ্ঠায় এভাবে রয়েছে। শ্রীনিবাস আচার্য্যের পদ। শ্রীকৃষ্ণের রূপ ॥ সুহই॥ বদন চাঁদ কোন কুন্দারে কুন্দিলে গো কে না কুন্দিলে দুই আঁখি। দেখিতে দেখিতে মোর পরাণ যেমন করে সেই সে পরাণ তার সাখী॥ রতন কাড়িয়া অতি যতন করিয়া গো কে না গঢ়িয়া দিল কানে। মনের সহিতে মোর এ পাঁচ পরাণি গো যোগী হবে উহারি ধেয়ানে॥ অমিয়া মধুর বোল সুধা খানি খানি গো হাতের উপর নাহি পাঙ। এমতি করিয়া যদি বিধাতা গঢ়িত গো ভাঙিয়া ভাঙিয়া উহা খাঙ॥ মদন-ফান্দ ও না চূড়ায় টালনি গো উহা না শিখিয়া আইল কোথা। এ বুক ভরিয়া মুঞি উহা না দেখিলুঁ গো এ বড়ি মরমে মোর বেথা॥ নাসিকার আগে দোলে এ গজ-মুকুতা গো সোনায় মড়িত তার পাশে। বিজুরী জড়িত যেন চাঁদের কণিকা গো মেঘের আড়ালে থাকি হাসে॥ করভের কর জিনি বাহুর বলনি গো হিঙ্গুল মণ্ডিত তার আগে। যৌবন-বনের পাখী পিয়াসে মরয়ে গো উহারি পরশ-রস মাগে॥ নাটুয়া-ঠমকে যায় রহিয়া রহিয়া চায় চলে যেন গজরাজ মাতা। শ্রীনিবাস দাস কয় লখিলে লখিল নয় রূপসিন্ধু গঢ়ল বিধাতা॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
প্রেমক পুঞ্জ রি শুন গুণমঞ্জরি কবি শ্রীনিবাস দাস আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের (১৯২৭ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা-২য় ভাগ, ৩৬শ পল্লব, প্রার্থনা, পদসংখ্যা ৩০৭২। ॥ পঠমঞ্জরী॥ প্রেমক পুঞ্জ রি শুন গুণমঞ্জরি তুহুঁ সে সকল শুভ-দাই। তোহারি গুণগণ চিন্তই অনুখণ মঝু মন রহল বিকাই॥ হরি হরি কবে মোর শুভ দিন হোয়। কিশোর-রিশোরি-পদ সেবন-সম্পদ তুয়া সনে মিলব মোয়॥ ধ্রু॥ হেরই কাতর জন কুরু-কৃপা-নিরখণ নিজ-গুণে পূরবি আশে। তুহুঁ নব ঘন বিনু বিন্দু বরিখণ কো পুরব পিপিয় পিয়াসে॥ তুহুঁ সে বিবল গতি নিশ্চয় নিশ্চয় অতি মঝু মন ইহ পরমাণে। কহই কাতর-ভাষে পুন পুন শ্রীনিবাসে করুণায় কর অবধানে॥ এই পদটি ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত “বৈষ্ণব পদাবলী” সংকলনের, ১০৫৯ পৃষ্ঠায় এভাবে রয়েছে। শ্রীনিবাস আচার্য্যের পদ। ॥ পঠমঞ্জরী॥ প্রেমক পুঞ্জরি শুন গুণমঞ্জরি তুহুঁ সে সকল শুভ-দাই। তোহারি গুণগণ চিন্তই অনুখণ মঝু মন রহল বিকাই॥ হরি হরি কবে মোর শুভ দিন হোয়। কিশোর-রিশোরি পদ সেবন সম্পদ তুয়া সনে মিলব মোয়॥ হেরই কাতর জন কুরু কৃপা-নিরখণ নিজ-গুণে পূরবি আশে। তুহুঁ নব ঘন বিনু বিন্দু বরিখণে পুনু কো পুরব পিপিয় পিয়াসে॥ তুহুঁ সে অহতি-গতি নিশ্চয় নিশ্চয় অতি মঝু মন ইহ পরমাণে। কহই কাতর-ভাষে পুন পুন শ্রীনিবাসে করুণায় কর অবধানে॥ এই পদটি, ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ- তরঙ্গিণী” সংকলনের, ৩৬০ পৃষ্ঠায় এভাবে দেওয়া রয়েছে। ॥ পঠমঞ্জরী॥ প্রেমক পঞ্জরি শুন গুণমঞ্জরী তুহুঁ সে সকল সুখদায়ী। তোহারি গুণাগুণ চিন্তই অনুখণ মঝু মন রহল বিকাই॥ হরি হরি কবে মোর শুভ দিন হোয়। কিশোরা-রিশোরিপদ সেবকের সম্পদ তুয়া গুণে মিলব মোয়॥ ধ্রু॥ হেরই কাতর জন কর কৃপা নিরিখণ নিজ গুণে পূরবি আশে। তুয়া নব ঘন বিন্দু বিন্দু বরিষণ কো পুরব পিয়া পিয়াসে॥ তুয়া সেবি ধন গতি নিশ্চয় নিশ্চয় অতি মঝু মনে ইহ পরমাণে। কহই কাতর ভাষে পুনঃ পুনঃ শ্রীনিবাসে করুণায় করু অবধানে॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
তুহুঁ গুণমঞ্জরি রুপে গুণে আগরি কবি শ্রীনিবাস দাস আনুমানিক ১৭৫০ সালে, বৈষ্ণবদাস (গোকুলানন্দ সেন) সংকলিত এবং সতীশচন্দ্র রায় সম্পাদিত শ্রীশ্রীপদকল্পতরু গ্রন্থের ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের (১৯২৭ সাল) ৪র্থ খণ্ড, ৪র্থ শাখা-২য় ভাগ, ৩৬শ পল্লব, প্রার্থনা, পদসংখ্যা ৩০৭৩। ॥ পঠমঞ্জরী॥ তুহুঁ গুণমঞ্জরি রুপে গুণে আগরি মধুর মধুর গুণ-ধামা। ব্রজ-নব-যুব-দ্বন্দ্ব প্রেম-সেবা-পরবন্ধ বরণ উজ্জ্বল তনু শ্যামা॥ কি কহুব তুয়া যশ দুহুঁ সে তোঁহার বশ হৃদয় নিশ্চয় মঝু মানে। আপন অনুগা করি করুণা-কটাক্ষে হেরি সেবা-সম্পদ কর দানে॥ ইহ বামন-তনু চাঁদ ধরিতে জনু মঝু মন হেন অভিলাষে। এ জন কৃপণ অতি তুহুঁ সে কেবল গতি নিজ-গুণে পূরবি আশে॥ ঊর্দ্ধ অঙ্গুলি করি দশনেত তৃণ ধরি নিবেদহুঁ বারহি বার। শ্রীনিবাস দাস কামে প্রেম-সেবা ব্রজ-ধামে প্রার্থহুঁ তুয়া পরিবার॥ এই পদটি, ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত জগবন্ধু ভদ্র সংকলিত ও মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত, বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীগৌরপদ- তরঙ্গিণী” সংকলনের, ৩৬০ পৃষ্ঠায় এভাবে দেওয়া রয়েছে। ॥ পঠমঞ্জরী॥ তুহুঁ গুণমঞ্জরি রুপে গুণে আগোরি মধুর মধুর গুণধামা। ব্রজের নবযুবদ্বন্দ্ব প্রেমসেবা পরবন্ধ বরণ উজ্জ্বল তনুশ্যামা॥ কি কহুব তুয়া যশ তুহুঁ সে তোঁহার বশ হৃদয়ে নিশ্চয় মঝু মানে। আপন অনুগা করি করুণাকটাক্ষে হেরি সেবাসম্পদ করু দানে॥ ইহ বামন তনু চাঁদ ধরিতে জনু মঝু মন হেন অভিলাষে। এজন কপট অতি তুহুঁ সে কেবল গতি নিজ গুণে পূরবি আশে॥ অর্দ্ধ অঙ্গুলি করি দশনেতে তৃণ ধরি নিবেদহুঁ বারহি বার। শ্রীনিবাসদাস কামে প্রেমসেবা ব্রজধামে প্রার্থহুঁ তুয়া পরিবার॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |
অনুখণ কোণে থাকি বসনে আপনা ঢাকি কবি শ্রীনিবাস দাস ১৬৪৩-১৬৭৬ সময়কালে, রামগোপাল দাস (গোপাল দাস) সংকলিত ও বিরচিত এবং ১৯৪৬ সালে হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, সুকুমার সেন ও প্রফুল্ল পাল দ্বারা সম্পাদিত, বৈষ্ণব পদাবলী সংকলন “শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণ-রসকল্পবল্লী”, ৭৫ পৃষ্ঠায় কেবল এইটুকুই দেওয়া রয়েছে। তত্র পদং শ্রীনিবাসঠাকুরস্য--- অনুক্ষণ কোণে থাকি বসনে আপনা ঢাকি দুয়ারে বাহিরে পরবাস। আপনা বলিয়া বোলে হেন নাহি ক্ষিতিতলে হেন ছারের হেন অভিলাস॥ সজনি তুয়া পায়ে কি বলিব আর। সে হেন দুলহ জন অনুগত জার মন নিশ্চয় মরণ প্রতিকার॥ এই পদটি ১৯৩২ সালে (৪৪৫গৌরাব্দ) প্রকাশিত, ১৬১৮শকাব্দে (১৬৯৬খৃ) মনোহর দাস প্রণিত এবং মৃণালকান্তি ঘোষ সম্পাদিত “অনুরাগ-বল্লী” গ্রন্থের ৬ষ্ঠ মঞ্জরী, ৪৩-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। তথাহি পদং অনুক্ষণ কোলো থাকে, বসনে আপনা ঢাকে, দুয়ার বাহির পরবাস। আপন বলিয়া বোলে, হেন নাহি ক্ষিতিতলে, হেন ছারে হেন অভিলাষ॥ জজনি, তুয়া পায়ে কি বলিব আর। সে দুলহ জনে অনু- রকত যাহার মন, কেবল মরণ প্রতিকার॥ ধ্রু॥ কি করিতে কিবা করি, আপনা দঢ়াইতে নারি, রাতি দিবস নাহি যায়। গৃহে যত বন্ধু জন, সব মোর বৈরী গণ. কি করিব কি হবে উপায়॥ এই পদটি, ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত, হরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত “বৈষ্ণব পদাবলী” সংকলন, ১০৫৯-পৃষ্ঠায় এইরূপে দেওয়া রয়েছে। আক্ষেপানুরাগ ॥ সুহই॥ অনুখণ কোণে থাকি বসনে আপনা ঢাকি দুয়ারে বাহির পরবাস। আপনা বলিয়া বলে হেন নাহি ক্ষিতিতলে হেন ছারের হেন অভিলাষ॥ সখি হে তুয়া পায়ে কি বলিব আর। সে হেন দুলহ জনে অবিরত যার মনে নিশ্চয় মরণ প্রতিকার॥ বুঝাইলুঁ অনুক্ষণ না বুঝে পামর মন পিরীতি হইল মোর কাল। তাহে ননদিনী-কথা শুনিতে মরম বেখা এ ঘর-বসতি বড় জাল॥ যত তত মনে করি নিশ্চয় করিতে নারি রাতি দিবস নাহি যায়। ঘরে যত গুরুজন সব মোর রিপুগণ কি করিব কি হবে উপায়॥ দেহে বৈরী এ যৌবন বৈরী হইল বৃন্দাবন যাইবার নাহিক কোন ঠাঁই। শ্রীনিবাস দাসে কয় মন আপনার নয় মরণ হইলে প্রাণ পাই॥ . ************************* . সূচীতে . . . মিলনসাগর |