লোকহিত কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ কাব্যমঞ্জুষা” কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া | ১৯০৬-০৭ সালে প্রকাশিত “শতদল” কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
বই পড়া জ্ঞান কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ কাব্যমঞ্জুষা” কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া | ১৯০৬-০৭ সালে প্রকাশিত “শতদল” কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
বিদুষী মহিলা পাক প্রণালী পড়িয়া বলেন রন্ধন সব ফেলেছি শিখিয়া, বই পড়ে বুঝিলাম এতদিনে আজ রন্ধন সবার চেয়ে অতি সোজা কাজ | দিনেক রন্ধনশালে রাঁধিবারে গিয়া এলেন কেবল মুখ হাত পোড়াইয়া ||
বিস্ময় কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ কাব্যমঞ্জুষা” কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া | ১৯১১ সালে প্রকাশিত “বন তুলসী” কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
শিল্পকর বলে সদা আমি ভেবে মরি কি বিরাট কি নিপুণ শিল্পী তুমি হরি | হে হাত গড়েছে অভ্রভেদী হিমালয় অদৃশ্য অণুকা তারি গড়া সমুদয় | জলদের গায়ে যাহে আঁক হে বিজলী তাতেই কুসুম দলে টান রেখাগুলি | অপূর্ব্ব তুলিকা যাহা রাঙ্গায় গগন ছোট প্রজাপতি পাখা সাজায় কেমন | অতি ক্ষুদ্র তৃণে তব হেরি কারিগরি বিস্ময়ে পুলকে চক্ষু জলে উঠে ভরি |
মহাকবি কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ কাব্যমঞ্জুষা” কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া | ১৯১১ সালে প্রকাশিত “বন তুলসী” কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
মহাকবি বলে, হেরি মূক মোর বাণী কি জীবন্ত মহাকাব্য এই বিশ্বখানি | কি লালিত্য, অলঙ্কারে, অর্থের গৌরবে, সর্ব রস সমাবেশ, তুল্য নাহি ভবে | এক মহাকাব্য অনবদ্য, অনাবিল, অমিলের মাঝে নিত্য কি সুন্দর মিল | কি আশ্চর্য্য প্রতি ছত্রে প্রত্যেক অক্ষরে করুণা বারিধি কবি নিজে ধরা পড়ে |
বদ্ধ ও মুক্ত কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ কাব্যমঞ্জুষা” কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া | ১৯১১ সালে প্রকাশিত “বন তুলসী” কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
মরাল বলিছে, বক এস মোর সাথে যাইবে মানস সরে নব বরষাতে | মরকতে বাঁধা তট, নমেরুতে ঢাকা, সমীরণ নীলোত্পল পরিমল মাখা | মরাল মুখের সাথে করিবে ভ্রমণ, মধুর মৃণাল তুলি করিবে ভক্ষণ | নাহি ক্লেশ, নাহি দুঃখ, নিষাদের-ডর, পুলকে ভ্রমিবে নীল জলের উপর | বক বলে, সেথা গিয়া কি হইবে ভাই গুগলি কর্দ্দম কীট সেখানে যে নাই |
প্রকৃত সাধক কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ কাব্যমঞ্জুষা” কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া | ১৯১১ সালে প্রকাশিত “বন তুলসী” কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
সংগ্রামী সংসারে থাকি হিংসাদ্বেষহীন হৃদিখানি থাকে সদা হরিপদে লীন, স্বার্থশূন্য, পরহিতে রত যাঁর মন, সেই পঞ্চতপা তাঁর গৃহ তপোবন |
সংযম কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ কাব্যমঞ্জুষা” কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া | ১৯১১ সালে প্রকাশিত “বন তুলসী” কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
ঝটিকা সংযত হয়ে হলে সমীরণ, কুসুম সুরভি তবে করে বিতরণ | নদীর উদ্দমি স্রোত হইলে সংযত, তবে হৃদে পূর্ণশশী হয় সে বিম্বিত | সংযম পবিত্র হলে, হইলে নির্মল, জাগে হৃদে শ্রীহরির মূরতি বিমল |
কবিরাজ কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ কাব্যমঞ্জুষা” কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া | ১৯১১ সালে প্রকাশিত “বন তুলসী” কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
হারায়ে চোখের কাছে জামাতারে আজ কাঁদিছেন ধন্বন্তরী-কল্প কবিরাজ | বলেন আমি যে কিছু করিতে না পারি, তাহাই দেখায়ে দিলে ওহে দর্পহারী | হৃদে যে লেগেছে ব্যথা, শত প্রলেপেতে সাধ্য নাই কণামাত্র তাও কমাইতে | তুমি রাখ, তুমি মার জানিনে কি লাগি আমারে করহ হরি নিমিত্তের ভাগী |