কবি কুমুদ রঞ্জন মল্লিকের কবিতা
*
মহৎ চরিত
কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক
শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ
কাব্যমঞ্জুষা”  কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া | ১৯১১ সালে প্রকাশিত “বন তুলসী” কাব্যগ্রন্থের
কবিতা।


উদয়ে লোহিত রবি অস্তেও লোহিত,
সুখে দুখে একরূপ মহৎ চরিত |

.              *************************              
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
ভ্রম
কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক
শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ
কাব্যমঞ্জুষা”  কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া | ১৯১১ সালে প্রকাশিত “বন তুলসী” কাব্যগ্রন্থের
কবিতা।


ঈশ্বর না মানি যেই শাস্ত্র নানা পড়ে,
বীজ না রোপিয়া সে ত শুধু চষে মরে,
হৃদয়ে হয় না বিন্দু আলোক সঞ্চার,
ফুঁপাড়িয়া মরে, মাত্র ধোঁয়া লাভ তার |

.              *************************              
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
সাধু ও গৃহী
কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক
শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ
কাব্যমঞ্জুষা”  কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া | ১৯১১ সালে প্রকাশিত “বন তুলসী” কাব্যগ্রন্থের
কবিতা।


সাধুরে জিজ্ঞাসে বক, এই গঙ্গাতটে
প্রভাতে সন্ধ্যায় দোঁহে বসে থাকি বটে |
আমি ত তোমারি মত থাকি চোখ বুজে
কই ত হরির কিছু পেলাম না খুঁজে |
সাধু কন, চোক বোজ, মনে থাকে তব,
আসিবে শীকার কবে ছোঁ মারিয়া লব |
ও নহে হরির লাগি তব চোক বোজা,
ও কেবল মনে মনে মত্স্য কীট খোঁজা |

.              *************************              
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
সংজ্ঞা
কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক
শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ
কাব্যমঞ্জুষা”  কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া | ১৯১১ সালে প্রকাশিত “বন তুলসী” কাব্যগ্রন্থের
কবিতা।


সৌন্দর্য্য --- বিশ্বেতে তাঁর পুণ্য করলেখা.
প্রেম --- সে সৌন্দর্য্য মাঝে নিত্য তাঁরে দেখা,
প্রীতি --- রূপ হেরি তাঁর হওয়া অনুরাগী,
ভকতি --- উত্কন্ঠা হরি মিলনের লাগি |

.              *************************              
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
কর্ত্তব্য
কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক
শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ
কাব্যমঞ্জুষা”  কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া | ১৯১১ সালে প্রকাশিত “বন তুলসী” কাব্যগ্রন্থের
কবিতা।


কোকিল বলিছে সদা তাঁর নাম গাই
তবু কেন হৃদে মোর শান্তি নাহি পাই |
সারসী বলিছে কর কর্তব্য লঙ্ঘন,
করো না যে তুমি স্বীয় সন্তান পালন |
মাতা হয়ে তনয়ে যে না করে শিক্ষিত
জগত জননী স্নেহে হয় সে বঞ্চিত |

.              *************************              
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
পুণ্যশ্লোক
কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক
শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ
কাব্যমঞ্জুষা”  কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া | ১৯১৬ সালে প্রকাশিত “চুন ও কালি”
কাব্যগ্রন্থের কবিতা।


লোকটা তিনি সত্য বটে ছিলেন পুণ্যশ্লোক
নামটি শুধু প্রভাত কালে করত না ক লোক |
করতে কিছু বাকী বড় ছিল না ক তাঁর
করেন  নাইকো জীবনেতে পরের উপকার |
সেই খেদটা মিটিয়ে গেলেন এত দিনের পরে
জীবনে যা করেননি তা করে দিলেন মরে |

.              *************************              
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
প্রগল্ ভ
কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক
শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ
কাব্যমঞ্জুষা”  কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া |  ১৯১৬ সালে প্রকাশিত “চুন ও কালি”
কাব্যগ্রন্থের কবিতা।


মদমত্ত চামচিকা এক গরুড় পাখীর ঘাড়ে
উড়ে যেতে পড়ল গিয়ে সাঁজের অন্ধকারে |
প্রাতে গিয়ে বললে একটা কাণ্ড শোন খুড়া
আমার পাখায় লেগে গরুড় কালকে হ’ত গুঁড়া |
ভাগ্যে একটু সামলে ছিল নৈলে হত সাফ,
কৃষ্ণ তারে রাখতে জেনো পারত নাক বাপ |
পক্ষীরা সব এসব কথা তুললে গরুড় কানে
চামচিকেটার অহঙ্কার যে যায় না সহা প্রাণে |
হেসে গরুড় বলেন তারে দাও গো বলিহারী
জানুক সবাই চামচিকেরি কাছেই আমি হারি |

.              *************************              
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
তার্কিক
কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক
শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ
কাব্যমঞ্জুষা”  কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া | ১৯১৬ সালে প্রকাশিত “চুন ও কালি”
কাব্যগ্রন্থের কবিতা।


রয়েছে ‘ভাটপাড়া’ ছাড়িয়া ভাট,
নাহি সে বাবু আছে ‘বাবুর ঘাট’,
নামটা ‘শুকচর’, নাহিক শুক,
দেখিয়া বাড়িয়াছে মোদেরও বুক |
চলিয়া গেছে যদি দেশেতে এতখানি,
হিঁদু না র’বে কেন ছাড়িয়া হিঁদুয়ানি |

.              *************************              
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
আদর্শ শিক্ষক
কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক
শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ
কাব্যমঞ্জুষা”  কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া | ১৯১৬ সালে প্রকাশিত “চুন ও কালি”
কাব্যগ্রন্থের কবিতা।


পড়োর পিতা আসি করিয়ে সবিনয়
বলিছে ছেলে মোর বোকা কি অতিশয় ?
যা কিছু শিখেছিল বাড়ীতে মহাশয়
এখানে ভুলে গেল এটাত ভাল নয় ?
রাগিয়া কহে গুরু সড়াতে হবে মাটি
তবে ত পাকা ‘ভিত’ বসানো যাবে খাঁটি |
আইরি নাড়াগুলা তুলে না দিলে হেন
জ্ঞানের সারো কচু বসানো যাবে কেন ?
এসব সোজা কথা বোঝ না জ্ঞানহীন
জোলাপ না দিলে কি ধরে হে কুইনিন |

.              *************************              
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
অপূর্ব্ব ওভরসিয়র
কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক
শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ
কাব্যমঞ্জুষা”  কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া | ১৯১৬ সালে প্রকাশিত “চুন ও কালি”
কাব্যগ্রন্থের কবিতা।


মণ্ডলদের দালান গেল বিশ বছরে ফেটে
ওভরসিয়র দেখে রেগে গেলেন বড়ই চটে |
বলেন আমি দালান করে দেখিয়ে দিতে চাই
মাল মসলার জ্ঞানটা লোকের একেবারেই নাই |
বিজ্ঞানেতে নেইক দখল পণ্ডিত যে সবে
দালানগুলো স্থায়ী বল কেমন করে হবে |
হ’ল দালান দুই বছরে ধরলো মহাফাট
গ্রামের লোকে হাসির রোলে লাগিয়ে দিল হাট |
বসেছিলেন যারা শুধু ওভরসিয়র কাছে
বলেন যত কারিগরি ফাটের মাঝেই আছে |

.              *************************              
.                                                                                 
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর