ভ্রম কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ কাব্যমঞ্জুষা” কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া | ১৯১১ সালে প্রকাশিত “বন তুলসী” কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
ঈশ্বর না মানি যেই শাস্ত্র নানা পড়ে, বীজ না রোপিয়া সে ত শুধু চষে মরে, হৃদয়ে হয় না বিন্দু আলোক সঞ্চার, ফুঁপাড়িয়া মরে, মাত্র ধোঁয়া লাভ তার |
সাধু ও গৃহী কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ কাব্যমঞ্জুষা” কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া | ১৯১১ সালে প্রকাশিত “বন তুলসী” কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
সাধুরে জিজ্ঞাসে বক, এই গঙ্গাতটে প্রভাতে সন্ধ্যায় দোঁহে বসে থাকি বটে | আমি ত তোমারি মত থাকি চোখ বুজে কই ত হরির কিছু পেলাম না খুঁজে | সাধু কন, চোক বোজ, মনে থাকে তব, আসিবে শীকার কবে ছোঁ মারিয়া লব | ও নহে হরির লাগি তব চোক বোজা, ও কেবল মনে মনে মত্স্য কীট খোঁজা |
সংজ্ঞা কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ কাব্যমঞ্জুষা” কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া | ১৯১১ সালে প্রকাশিত “বন তুলসী” কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
সৌন্দর্য্য --- বিশ্বেতে তাঁর পুণ্য করলেখা. প্রেম --- সে সৌন্দর্য্য মাঝে নিত্য তাঁরে দেখা, প্রীতি --- রূপ হেরি তাঁর হওয়া অনুরাগী, ভকতি --- উত্কন্ঠা হরি মিলনের লাগি |
কর্ত্তব্য কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ কাব্যমঞ্জুষা” কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া | ১৯১১ সালে প্রকাশিত “বন তুলসী” কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
কোকিল বলিছে সদা তাঁর নাম গাই তবু কেন হৃদে মোর শান্তি নাহি পাই | সারসী বলিছে কর কর্তব্য লঙ্ঘন, করো না যে তুমি স্বীয় সন্তান পালন | মাতা হয়ে তনয়ে যে না করে শিক্ষিত জগত জননী স্নেহে হয় সে বঞ্চিত |
পুণ্যশ্লোক কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ কাব্যমঞ্জুষা” কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া | ১৯১৬ সালে প্রকাশিত “চুন ও কালি” কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
লোকটা তিনি সত্য বটে ছিলেন পুণ্যশ্লোক নামটি শুধু প্রভাত কালে করত না ক লোক | করতে কিছু বাকী বড় ছিল না ক তাঁর করেন নাইকো জীবনেতে পরের উপকার | সেই খেদটা মিটিয়ে গেলেন এত দিনের পরে জীবনে যা করেননি তা করে দিলেন মরে |
প্রগল্ ভ কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ কাব্যমঞ্জুষা” কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া | ১৯১৬ সালে প্রকাশিত “চুন ও কালি” কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
মদমত্ত চামচিকা এক গরুড় পাখীর ঘাড়ে উড়ে যেতে পড়ল গিয়ে সাঁজের অন্ধকারে | প্রাতে গিয়ে বললে একটা কাণ্ড শোন খুড়া আমার পাখায় লেগে গরুড় কালকে হ’ত গুঁড়া | ভাগ্যে একটু সামলে ছিল নৈলে হত সাফ, কৃষ্ণ তারে রাখতে জেনো পারত নাক বাপ | পক্ষীরা সব এসব কথা তুললে গরুড় কানে চামচিকেটার অহঙ্কার যে যায় না সহা প্রাণে | হেসে গরুড় বলেন তারে দাও গো বলিহারী জানুক সবাই চামচিকেরি কাছেই আমি হারি |
তার্কিক কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ কাব্যমঞ্জুষা” কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া | ১৯১৬ সালে প্রকাশিত “চুন ও কালি” কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
রয়েছে ‘ভাটপাড়া’ ছাড়িয়া ভাট, নাহি সে বাবু আছে ‘বাবুর ঘাট’, নামটা ‘শুকচর’, নাহিক শুক, দেখিয়া বাড়িয়াছে মোদেরও বুক | চলিয়া গেছে যদি দেশেতে এতখানি, হিঁদু না র’বে কেন ছাড়িয়া হিঁদুয়ানি |
আদর্শ শিক্ষক কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ কাব্যমঞ্জুষা” কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া | ১৯১৬ সালে প্রকাশিত “চুন ও কালি” কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
পড়োর পিতা আসি করিয়ে সবিনয় বলিছে ছেলে মোর বোকা কি অতিশয় ? যা কিছু শিখেছিল বাড়ীতে মহাশয় এখানে ভুলে গেল এটাত ভাল নয় ? রাগিয়া কহে গুরু সড়াতে হবে মাটি তবে ত পাকা ‘ভিত’ বসানো যাবে খাঁটি | আইরি নাড়াগুলা তুলে না দিলে হেন জ্ঞানের সারো কচু বসানো যাবে কেন ? এসব সোজা কথা বোঝ না জ্ঞানহীন জোলাপ না দিলে কি ধরে হে কুইনিন |
অপূর্ব্ব ওভরসিয়র কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক শ্রীজ্যোত্স্নানাথ মল্লিক, শ্রীকৌশাম্বীনাথ মল্লিক ও শ্রীসুধেন্দু মল্লিক সম্পাদিত “কুমুদ কাব্যমঞ্জুষা” কাব্যসংকলন থেকে নেওয়া | ১৯১৬ সালে প্রকাশিত “চুন ও কালি” কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
মণ্ডলদের দালান গেল বিশ বছরে ফেটে ওভরসিয়র দেখে রেগে গেলেন বড়ই চটে | বলেন আমি দালান করে দেখিয়ে দিতে চাই মাল মসলার জ্ঞানটা লোকের একেবারেই নাই | বিজ্ঞানেতে নেইক দখল পণ্ডিত যে সবে দালানগুলো স্থায়ী বল কেমন করে হবে | হ’ল দালান দুই বছরে ধরলো মহাফাট গ্রামের লোকে হাসির রোলে লাগিয়ে দিল হাট | বসেছিলেন যারা শুধু ওভরসিয়র কাছে বলেন যত কারিগরি ফাটের মাঝেই আছে |