কবি বিবেকানন্দ জানার কবিতা
*
যদি যাও যাবো কেন বলে যাও
কবি বিবেকানন্দ জানা

যদি যাও যাবো কেন বলে যাও
যদি যাও
তবে যাবে কেন বলে যাও?
সেই যাবে কিছু ফুল
রক্ত বিনা হাঁড়ের উপর চাঁমড়া
ভুলে গেছো
সাদা দুধে দাঁত দিয়ে
শুধু রক্ত চাওয়া পাওয়া।
ভাবে ছিলাম চাইবে টিনের তরোয়াল
সেটা ও ভোগের একটা চাবি
বুঝে ছিলাম গ্রহন লাগা চাঁদে।
যদি যাও
তবে যাবে কেন বলে যাও?
হাতের উপর ভাত রেখেছি আমি
ধানের শীষে রং লাগেনি মোটে
চোখের ভাঁজে হাজার ছেঁড়া
বুটের ফিতায় আকাশ গুরু গুরু
এর পরে কি আরো কিছু চাও?
যদি যাও তবে যাবে কেন বলে যাও?

.              ****************                          
.                                                                            
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর
*
মেয়েটা বিয়ের পরে একটু রং চেয়েছিল
কবি বিবেকানন্দ জানা

মেয়েটা বিয়ের পরে ঠোটের রং চেয়েছিল
মেয়েটা বিয়ের পরে একটা তাঁতের শাড়ী চেয়েছিল
কপালে লাল টিপ আর স্মৃতিতে লাল টুকটুকে সিন্দুর
সপ্তাহে একদিন মাংস,
প্রেমিক মাথা নেড়ে বলেছিল দেবে।
মেয়েটা পালিয়ে অগ্নি সাক্ষি করে বিয়ে করে
তার পরে স্বামীর আদরের অত্যাচার
তাকে দাঁড়াতেই হবে শহরের কানা গলিতে
তাকে দাঁড়াতেই হবে।
ঠোঁটের রঙ্গিন রং এলো
সিঁথিতে সিন্দুর নয়
তাঁতের শাড়ী ও নয়
সেক্সি জিন্স এর শুট আর
পেট বারকরা গেঞ্জি
না চাইতেই চোখে লোভের কাজল
ধরানো হল চোখে পলক চওয়া আগুন।
তর সাজানো গছানো সংসার
ঠোঁটের রং ফিকে করে পরপুরুষের  চুম্বন
মেয়েটা বিয়ের পরে ঠোঁটে একুটু রং চেয়েছিল
রং পেয়েছে
তারই নরম মাংসতে ঝালে সেদ্ধ হয়
শহরের কচি পাঁঠা
মেয়েটা বিয়ের পরে মাংস খেতে চেয়েছিল
মাংস পেয়েছে।
মেয়েটাকে দামি সেন্ট নিতে হয়
দাঁড়াতে হয় রাস্তার পাশে
দামদর করতে হয় ঠোটের কাঁমোড়
মেয়েটা বিয়ের পরে ঠোঁটে একুটু রং চেয়েছিল রং পেয়েছে।
এক্ষণ দূগা পূজো শুরু
মায়ের  হাতে তীরশূল ঠোঁটের রং মেখেছে মা।
কত কাষ্টমারের ভীড়ে
তার কত বেশি রেট
দিন রাত ধরে সামলাতে হবে তাকে
স্বামি বলেছে ফাঁকি দেওয়া যাবে না
তার অতি ভদ্র কিছু বন্ধু আসবে
তাদের আগে সুযোগ করে করে দিতে হবে
তারা বলেছে ঠোঁটে লাল রং টাই ভালো মানায়
মেয়েটা বিয়ের পরে ঠোঁটে একুটু রং চেয়েছিল
রং পেয়েছে।

.              ****************                          
.                                                                            
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর
*
রাগ ভাঙ্গে
কবি বিবেকানন্দ জানা

রাগ ভাঙ্গা গান গুলো ডাক দেয় বার বার
তার ছেঁড়া গিটারের  
.     ঘুম ভাঙ্গে সন্ধ্যায়,
বিছানার কাছে খুঁজে মরে
লন্ঠের দেখা ভোরের দরজা।

কী যে ছাই করি ভাই  
.        ঘুম ভাঙ্গে লজ্জায়।
রাজ্যের ছোট ভাই রাজ কাজে ব্যাস্ত
জং ধরা চিন্তায় মাথা তার মস্ত।

রামুদার হাতুড়ী চীকেনের কচুরী
মুড়ি দিয়ে ভাত খায়
কাগোজের মশারী।

দাঁত দিয়ে রাত ভাঙ্গে
.    দীনের ঐ ছোট চোর
ব্যাঁঙ সকলেই বলে দেয়
.     ভোর হলো খোল ডোর।

ডিম  দিয়ে দাঁত মাজে
.     দিনের ঐ সব কাজে
খবরের কাগজে বলে দেই সব বাজে।

মুখ দিয়ে মাতলামি
.       বলে বিকেলের সোনা রোদ,
দিনে দেখি রাত বলে
.    সব কিছু সোদবোধ।

কী যে ছাই করি ভাই
.       ঘরে বসে সারা দিন
যাকে পারি তাকে দেই
.      বাশেঁর ঐ কালো পিন।

.              ****************                          
.                                                                            
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর
*
সিন্দুর হারা মেয়ে
কবি বিবেকানন্দ জানা

এই যে
দুষ্টুমেয়ের মিষ্টি বিকাল
তুমি মেয়েটার সিন্দুর দেখেছো?
মেয়েটার আদর মেখেছো?
মেয়েটা সকাল হতেই
সকাল পেরিয়েছে
মেয়েটা দুপুর হতেই
দুপুর পেরিয়েছে
মেয়েটা বিয়ের রাতে স্বামী হারিয়েছে!

এই যে আকাশ
তুমি হাজার লালের বাহার নিয়ে
আকাশ মাঝে সাজো
সিন্দুর হারা মেয়ের চোখে
বারুদ তুমি জ্বালো।

এই তো সিন্দুর এই তো মেয়ে
কপাল জুড়ে কালি
পথের শেষে বুকের মাঝে
সিন্দুর হারা নারী।
যা তুই মেয়েটা না বড্ড রঙ্গিন হতে চাস
তাই তো পোড়া মুখির
বুকের ভিতর গোলাপ ঝরা লাশ।

এই যে!
দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি বিকাল
মেয়েটার কপাল থেকে সিন্দুর নিয়ে
মিষ্টি বিকাল সাজে
বুকের প্রদীপ দিনে দিনে
চোখ মেলিয়ে কাঁদে ।
আয়রে বেলা দুয়ার ছেড়ে
মেঠো পথ বেয়ে
সিন্দুর হারা মেয়ের বুকে
হৃদয় বাতাস দিয়ে।

.              ****************                          
.                                                                            
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর
*
বাড়ী থেকে বাহির
কবি বিবেকানন্দ জানা

কিবা আছে কিবা নেই
যা আছে সব শ্বশ্মান চোখে বাঁধা
যা নেই তার থেকে কম কিছু নেই
যদি পেতে রাজি হও
তার থেকে বেশি কিছু নও
নও আরো কিছু
হয়তো বা তার থেকে বেশি কিছু
যেটা না দেখা
বাড়ীর অন্ধকার থেকে বাহীর।

.              ****************                          
.                                                                            
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর