নিচের সূচিতে ক্লিক করে গানের কথার পাতায় গিয়ে গানের লিঙ্কে ক্লিক্
করলেই গানটি আপনার কমপিউটরে এসে বাজতে শুরু করবে |
আমরা হাঁটি যেখানে মাটি
Amra Hanti Jekhane Mati
An Appeal - Many of Anushree-Bipul's old cassettes and songs are no longer
available. We will be extremely grateful if you have them and if you share them with
all in our site. We will mention your names here as a mark of gratitude. Also please
send Anushree-Bipul's photos with eminent personalities such as Poet Birendra
Chattopadhyay, Hemanga Biswas, Salil Choudhury, if you have them.
Click on the links below to go to the Song and its lyrics :--
AUDIO
প্রথম প্রকাশ : ১৯৯১
Released : 1991
প্রতিদিন জন্মদিন
কবিতা - বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, গীতিরূপ ও সুর - বিপুল চক্রবর্তী
প্রতিদিন জন্মদিন
হাজার লক্ষ মানুষের, পাখির, ফুলের
প্রতিদিন জন্মদিন
প্রতিদিন পৃথিবী গর্ভবতী হয়
গাছের পাতায়, জলের ঢেউয়ে লাগে রোমাঞ্চ
প্রতিদিন জন্মদিন
হাজার লক্ষ মানুষের, পাখির, ফুলের
প্রতিদিন জন্মদিন
প্রতিদিন মৃত্যুর কুঠার ধ্বংস করে
প্রতিদিন, প্রতিদিন
এক চোখে জল এক চোখে হাসি নিয়ে
জন্মদিনের কবিতা লেখে মানুষ
প্রতিদিন জন্মদিন
হাজার লক্ষ মানুষের, পাখির, ফুলের
প্রতিদিন জন্মদিন
প্রতিদিন জন্মদিন...
___
. **************** গানের সূচিতে
বলো, ভুলতে কি পারি
কথা ও সুর – বিপুল চক্রবর্তী
বলো, ভুলতে কি পারি
বলো, ভুলতে কি পারি
সাথীদের খুনে রাঙা পথ
বলো, ভুলতে কি পারি
বলো, ভুলতে কি পারি
সাথীদের স্বপ্ন, শপথ
সাথীদের গানে গানে আগামীর আহ্বানে
চঞ্চল এই পথ, চঞ্চল
সাথীদের মায়েদের শিশুদের কান্নায়
ছলছল এই ছলছল
সাথীদের স্মৃতি আজও
মহাজীবনের কলরোলে
সাথীদের স্মৃতি আজও
আঁধারে মশাল হয়ে জ্বলে
সাথীদের প্রাণে প্রাণে মুক্তির সন্ধানে
উজ্জ্বল এই পথ, উজ্জ্বল
সাথীদের মায়েদের শিশুদের কান্নায়
ছলছল এই ছলছল
বলো, ভুলতে কি পারি
বলো, ভুলতে কি পারি
সাথীদের খুনে রাঙা পথ
বলো, ভুলতে কি পারি
বলো, ভুলতে কি পারি
সাথীদের স্বপ্ন, শপথ
. **************** গানের সূচিতে
উলু উলু উলু দে
কথা ও সুর – বিপুল চক্রবর্তী
উলু উলু উলু দে
হলুদ মাখা কনেকে
বিকেলে আজ বিয়ে রে ভাই বিকেলে আজ বিয়ে
আসছে ইঞ্জিনিয়ার বর
মাথায় শোলার টোপর
ইঞ্জিনিয়ার বর আসছে টোপর মাথায় দিয়ে
পাত্র ভালো, এক পয়সা পণ নেবে না সে
শুধু কনেকে তার মনের মতো সাজাতে বলেছে
বলেছে গলায় সোনার হার দিও, কানে সোনার দুল
হাতের বালা দেবেই, বাউটি দিতেও হয় না যেন ভুল
আর যা বাকি টুকিটাকি, তা আর থাকবে কি না-দিয়ে
বিকেলে আজ বিয়ে রে ভাই বিকেলে আজ বিয়ে
উলু উলু উলু দে
হলুদ মাখা কনেকে
বিকেলে আজ বিয়ে রে ভাই বিকেলে আজ বিয়ে
আসছে ইঞ্জিনিয়ার বর
মাথায় শোলার টোপর
ইঞ্জিনিয়ার বর আসছে টোপর মাথায় দিয়ে
পাত্র খুবই শিক্ষিত, তাই পণ নেবে না সে
শুধু লোকনিন্দার ভয়ে কিছু জিনিষ চেয়েছে
চেয়েছে একটি কালার টি ভি, একটি রেফ্রিজারেটার
সোফা, আলমারি, খাট আর একটি বাজাজ স্কুটার
আর যা বাকি টুকিটাকি, তা আর থাকবে কি না-দিয়ে
বিকেলে আজ বিয়ে রে ভাই বিকেলে আজ বিয়ে
উলু উলু উলু দে
হলুদ মাখা কনেকে
বিকেলে আজ বিয়ে রে ভাই বিকেলে আজ বিয়ে
আসছে ইঞ্জিনিয়ার বর
মাথায় শোলার টোপর
ইঞ্জিনিয়ার বর আসছে টোপর মাথায় দিয়ে
. **************** গানের সূচিতে
ধান ফলানোর ছড়া
কবিতা – রঞ্জিত গুপ্ত, গীতিরূপ ও সুর – বিপুল চক্রবর্তী
ধান ফলানোর ছড়া মিছেই
সুখ ফলানোর ছড়া
বৃষ্টি আনার মন্ত্র মিছেই
মোহর ঘড়া ঘড়া
ধান চাইলাম ধান, সই লো
বছর ভরে ধান
মাথা গোঁজার ঠাঁই চাইলাম
একটু বাসস্থান
কিছুই পেলাম না -
ফুল-সিঁদুর দিলাম, তবু
ব্রতের ঠাকুর মুখ তুলল না
ধান ফলানোর ছড়া মিছেই
সুখ ফলানোর ছড়া
বৃষ্টি আনার মন্ত্র মিছেই
মোহর ঘড়া ঘড়া
জমি চাইলাম জমি, সই লো
জমি দু-এক কাঠা
পোড়া জীবনে স্বামী চাইলাম
স্বামী গতর খাটা
কিছুই পেলাম না -
ফুল-সিঁদুর দিলাম, তবু
ব্রতের ঠাকুর মুখ তুলল না
ধান ফলানোর ছড়া মিছেই
সুখ ফলানোর ছড়া
বৃষ্টি আনার মন্ত্র মিছেই
মোহর ঘড়া ঘড়া
. **************** গানের সূচিতে
গিরিবালা
কবিতা – নির্মল হালদার, গীতিরূপ ও সুর – বিপুল চক্রবর্তী
গিরিবালা নাক বিঁধালো
চলো চলো ফুল ফোটাতে যাই, চলো চলো
আমাদের সোনা নাই রুপা নাই
ফুল ফোটাতে যাই
চলো চলো...
গিরিবালার নাকের ফুটোয় গুঁজে দেবো ফুল
ফুল ফুটিয়ে গুঁজে দেবো ফুল
আমাদের সোনা নাই রুপা নাই
ফুল ফোটাতে যাই
চলো চলো...
রাগ কোর না গিরিবালা, রাগ কোর না
আসছে বছর গমের ফলন বেশি হলে
গড়িয়ে দেবো নাকের নোলক, রাগ কোর না
গরবে গরবে নোলক উঠবে দুলে
আমাদের সোনা নাই রুপা নাই
ফুল ফোটাতে যাই
চলো চলো...
. **************** গানের সূচিতে
আমরা দেবো বোবাকে ধ্বনি
কথা ও সুর – বিপুল চক্রবর্তী
আমরা দেবো বোবাকে ধ্বনি
খোঁড়াকে দ্রুত ছন্দ
অসম্ভবের পথে হেঁটেই
আমাদের আনন্দ
দু-হাত ভরে ভোরের মাঠে
সূর্য ছড়ায় সোনা
মুক্তো ছড়ায় অন্ধকারে
লক্ষ লক্ষ জোনাক
দেখতে যারা পায় না, তারা
চোখ থাকতে অন্ধ
আমরা দেবো বোবাকে ধ্বনি
খোঁড়াকে দ্রুত ছন্দ
অসম্ভবের পথে হেঁটেই
আমাদের আনন্দ
মাথার ওপর খোলা আকাশ
পায়ের নিচে মাটি
মিলেছি এই ছাতিমতলায়
গোটা আকাশ ছাতিম
আমরা হাঁটি যেখানে মাটি
মানি না প্রতিবন্ধ
আমরা দেবো বোবাকে ধ্বনি
খোঁড়াকে দ্রুত ছন্দ
অসম্ভবের পথে হেঁটেই
আমাদের আনন্দ
. **************** গানের সূচিতে
মানুষের হাতে গড়া
কথা ও সুর – বিপুল চক্রবর্তী
মানুষের হাতে গড়া মানুষের দেবতারা
মানুষের মতন সবাই
উদ্ভট, আজে বাজে প্রশ্নেরা মাঝে মাঝে
এ মগজে ভীড় করে তাই
ভাবি একটি ঘোড়ার যদি জানা থাকত
খোদাই করার জাদুবিদ্যা
তবে তার গড়া ঈশ্বর কেমন হোত –
হোত কি ঘোড়ার মতো ঠিক তা
মাঝে মাঝে মাঝরাতে স্বপ্নের বিছানাতে
গাধা এক, দেখি ছবি আঁকে দেবতার
আঁকা তার শেষ হলে, হায় রে, তা হাতে তুলে
দেখি সে এঁকেছে ছবি একটি গাধার
ভাবি সত্যি গাধার যদি জানা থাকত
তূলি ধরবার জাদুবিদ্যা
তবে তার আঁকা ঈশ্বর কেমন হোত –
হোত কি গাধার মতো ঠিক তা
মানুষের হাতে গড়া মানুষের দেবতারা
মানুষের মতন সবাই
উদ্ভট, আজে বাজে প্রশ্নেরা মাঝে মাঝে
এ মগজে ভীড় করে তাই
. **************** গানের সূচিতে
কইলকাতা শহরে
কথা ও সুর – বিপুল চক্রবর্তী
কইলকাতা শহরে
সিধু-কানু ডহরে
সিধু-কানু নাই
সিধু-কানু নাই
কেনে মিছা আনালি
কইলকাতা শহরে
কেনে বোকা বানালি
কইলকাতা শহরে
ঘুইরে ফিরে সাহেবরা
মহাজন, নায়েবরা
সিধু-কানু নাই
সিধু-কানু নাই
কুথা গেলি ভাই রে
ও চাঁদ, ও ভৈরো
কুথা গেলি, আয় রে
ও চাঁদ, ও ভৈরো
শালে শালে, পলাশে
সিধু-কানুর তলাশে
চল ফিরে যাই
চল ফিরে যাই
. **************** গানের সূচিতে
ধ্যাৎ তেরি কি
কথা ও সুর – বিপুল চক্রবর্তী
ধ্যাৎ তেরি কি বইলে
হামার মন চায় উইঠে যেইতে
যখন বাবুরা দেশের কথা বলে, হেহে
যখন বাবুরা দশের কথা বলে
বাবুদের ছানা-পুনা
ইস্কুলে আনাগুনা
হামাদের টুকচা নুনা ভাইসলেক বানের জলে
ধ্যাৎ তেরি কি...
বাবুদের বিবিগুলা
বাজারের রাঙা মূলা
হামাদের মেইয়েগুলা
হায় গো হায় পথের ধূলা
হামাদের মেইয়েগুলা রইলেক পায়ের তলে
ধ্যাৎ তেরি কি...
বাবুদের খানা-পিনা
হবেক নাই মাছ বিনা
বাবুদের খানা-পিনা
হবেক নাই মাংস বিনা
হামাদের ভুখা পেটে হিলিহিলি আগুন জ্বলে
ধ্যাৎ তেরি কি...
ধ্যাৎ তেরি কি বইলে
হামার মন চায় উইঠে যেইতে
যখন বাবুরা দেশের কথা বলে, হেহে
যখন বাবুরা দশের কথা বলে
. **************** গানের সূচিতে
সুয্যিমামা ! সুয্যিমামা !
কথা ও সুর – বিপুল চক্রবর্তী
সুয্যিমামা ! সুয্যিমামা !
আমরা ভাগ্নে-ভাগ্নি তোর
কেন তবে এমন শীতে
কাঁপছি বসে রাত্রিভোর
কাঁপছি বসে কাঁপছি শুধু
কাঁদছি বসে কাঁদছি শুধু
ঘুমিয়ে তবু সারাটা দেশ
নেই খলা নেই একটি দোর
দ্যাখ তাকিয়ে সারা শরীর
বিশ্রী ফাটায় ফাটায় হাঁ
হায়, কী ভীষণ যন্ত্রণাতে
গুমরে কাঁদে শহর-গাঁ
গুমরে কাঁদে গাঁয়ের চাষি
বস্তি-মজুর, দুঃখী মাসি
একটু আগুন, উত্তাপ নেই
হায়, জমে যায় বুকের ছা
সুয্যিমামা ! সুয্যিমামা !
চুপ করে আর থাকিস নে
উগরে-ওঠা বুকের আগুন
স্তূপ করে আর রাখিস নে
আগুন আগুন ছড়িয়ে দে
আগুন আগুন ভরিয়ে দে
আগুন আগুন না-দিস যদি
ভাগ্নে বলে ডাকিস নে
ভাগ্নি বলে ডাকিস নে
. **************** গানের সূচিতে