এখানে আকাশ
কথা ও সুর – বিপুল চক্রবর্তী
এখানে আকাশ তেল-কালি মাখা চিমনির ধোঁওয়া জড়ানো
তবু এইখানে, এখানেই গান আছে
এখানে বাতাস ঘামে স্যাঁত-স্যাঁতে ধুলো আর বালি ভরানো
তবু এইখানে, এখানেই প্রাণ আছে
এখানেই গান আছে, এখানেই প্রাণ আছে
এখানে মাটিতে হা-হুতাশ আর দু-চোখের জল ঝরানো
তবু এইখানে, এখানেই গান আছে
এখানে মাটিতে দিকে দিকে শুধু মৃত্যুর ফাঁদ ছড়ানো
তবু এইখানে, এখানেই প্রাণ আছে
এখানেই গান আছে, এখানেই প্রাণ আছে
. **************** গানের সূচিতে
নিচের সূচিতে ক্লিক করে গানের কথার পাতায় গিয়ে গানের লিঙ্কে
ক্লিক্ করলেই গানটি আপনার কমপিউটরে এসে বাজতে শুরু
করবে
গানের পাখিরা
Gaaner Pakhira
An Appeal - Many of Anushree-Bipul's old cassettes and songs are no
longer available. We will be extremely grateful if you have them and if
you share them with all in our site. We will mention your names here as
a mark of gratitude. Also please send Anushree-Bipul's photos with
eminent personalities such as Poet Birendra Chattopadhyay, Hemanga
Biswas, Salil Choudhury, if you have them.
Click on the links below to go to the Song and its lyrics :--
AUDIO
Songs of Anushree & Bipul অনুশ্রী-বিপুলের গান Go back
প্রথম প্রকাশ : ২০০৬
Released : 2006
তুমি হাত বাড়ালেই
কথা ও সুর – বিপুল চক্রবর্তী
তুমি হাত বাড়ালেই সে হাত বাড়াবে
তুনি উঠে দাঁড়ালেই সে উঠে দাঁড়াবে
হাতে হাত রেখে সে-ও, বন্ধু
তোমার সঙ্গে হেঁটে যাবে
আমার সঙ্গে হেঁটে যাবে
সব কুঁড়ি ফুল হয়ে ফোটে কি
সব ফুলে মৌমাছি জোটে কি
সাত-রঙা সুর্যের পৃথিবী
তাদেরও বুকের মাঝে জড়াবে
না হয় তোমার মতো হাঁটবে না সে
হাঁটবে তবুও জেনো তোমারই পাশে
সব্বাই এক ভাবে হাঁটে কি
কেউ বেঁটে কেউ ঢ্যাঙা, তাতে কী
জীবনের এ চলার মিছিলে
সকলেই পথ খুঁজে পাবে
তুমি হাত বাড়ালেই সে হাত বাড়াবে
তুনি উঠে দাঁড়ালেই সে উঠে দাঁড়াবে
হাতে হাত রেখে সে-ও, বন্ধু
তোমার সঙ্গে হেঁটে যাবে
আমার সঙ্গে হেঁটে যাবে
বহু দূর দূর হেঁটে যাবে
বহু দূর দূর হেঁটে যাবে...
. **************** গানের সূচিতে
মালতী তাহার নাম
কথা ও সুর – বিপুল চক্রবর্তী
মালতী তাহার নাম –
মন নিয়ে চলে গেল
কোথায় যে চলে গেল
আমি কেঁদে কেঁদে মরলাম
তোমরা চেনো কি মালতীকে
সেই যে সহজ মেয়েটি
হেঁটেছে জটিল পৃথিবীতে
চেয়েছে সহজ পৃথিবী
বন্ধু পায়নি সঙ্গে
বড্ডো সেকেলে মালতী
বখাটে পড়েছে পিছনে
মা-মা-মা মাল, মালতী
মালতী তাহার নাম –
কবিরা বলেছে, মালতী
নামটি সত্যি সেকেলে
মালতী বলেছে, হে কবি
আমি যে বন্দী শেকলে
নেতারা বলেছে, ভয় নেই
দিয়ে যা দিয়ে যা তুই ভোট
আমাদের জয় সামনেই
আবারও গড়ছি নয়া-জোট
ওঠ্ ওঠ্ ওঠ্ ওঠ্
মালতী তাহার নাম –
বণিক ডেকেছে ইশারায় –
শুনহ শুনহ মাল্তী
বাজার মাল্টি-ন্যাশনাল
কে জানে ঘটবে কাল কী
কে জানে ঘটবে কী বা কাল
মালতী মাল্তী হবে কি
মাল্তী মাল্টি হবে কি
হবে কি মাল্টি-ন্যাশানাল
মালতী তাহার নাম...
. **************** গানের সূচিতে
ফুলেরা ডেকেছে আমাদের
কথা ও সুর – বিপুল চক্রবর্তী
ফুলেরা ডেকেছে আমাদের
ফুলেদের কাছে যাইনি
পাখিরা ডেকেছে আমাদের
পাখিদের কাছে যাইনি
আমাদের আজ ঘিরেছে
ঘিরেছে যুদ্ধ-ডাইনি
ফুল ফুটবে না আর কি
ঝলসানো এই সকালে
চাঁদ উঠবে না আর কি
টিপ দেবে না কি কপালে
চাঁদ ডুবে গেছে আমাদের
আস্তে আস্তে আস্তে
তারা নিভে গেছে আমাদের
আস্তে আস্তে আস্তে
আমাদের আজ ঘিরেছে
আমাদেরই ক্ষেপণাস্ত্রে
ফুল ফুটবে না আর কি
ঝলসানো এই সকালে
চাঁদ উঠবে না আর কি
টিপ দেবে না কি কপালে
ফুলেরা ডেকেছে আমাদের
পাখিরা ডেকেছে আমাদের...
. **************** গানের সূচিতে
আমাকে দাও
কথা - বিশ্বম্ভর নারায়ণ দেব , সুর – বিপুল চক্রবর্তী
আমাকে দাও টটকো নদীর স্রোত
আমাকে দাও পারাপারের ভাষা
আমাকে দাও এক জোড়া কপোত
আমাকে দাও বাবুই পাখির বাসা
আমাকে দাও পারাপারের ভাষা
আমাকে দাও শাল মহুলের তল
আমাকে দাও হাঁড়িয়ার এক চুমুক
আমাকে দাও ধামসা আর মাদল
আমাকে দাও শ্যামলী ঐ সুমুখ
আমাকে দাও মহুয়ার এক চুমুক
আমাক দাও পাত কুড়ানো ঝুড়ি
আমাকে দাও শালের মতো হাত
আমাকে দাও গুটেক বুড়া-বুড়ি
আমাকে দাও কলমকাঠির ভাত
আমাকে দাও শালের মতো হাত
আমাকে দাও ডুংরি ধারের হাওয়া
আমাকে দাও চৌডোলের ওই দোলা
আমাকে দাও গোরুর পালে ধাওয়া
আমাকে দাও নেংটি, আরশোলা
আমাকে দাও চৌডোলের ওই দোলা
আমাকে দাও জলের মতো দৃষ্টি
আমাকে দাও পা-ঘষানোর ঘাট
আমাকে দাও বৃষ্টি অনাবৃষ্টি
আমাকে দাও ফুটি ফাটা মাঠ
আমাকে দাও পা-ঘষানোর ঘাট
আমাকে দাও বারোমেসে পরব
আমাকে দাও শহর থেকে দূরে
আমাকে দাও লোকায়ত গরব
আমাকে দাও পরাণ বন্ধুরে...
. **************** গানের সূচিতে
আমি ভীষণ ভালোবাসতাম
কথা - সুভাষ মুখোপাধ্যায় , সুর – বিনয় চক্রবর্তী
আমি ভীষণ ভালোবাসতাম আমার মাকে
কখনও মুখ ফুটে বলিনি
টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে
কখনও কখনও কিনে আনতাম
কমলা লেবু
শুয়ে শুয়ে মা’র চোখ জলে ভরে উঠত
আমার ভালোবাসার মাকে কখনও আমি
মুখ ফুটে বলতে পারিনি
হে দেশ, হে আমার জননী
কেমন করে তোমাকে আমি বলি
যে মাটিতে ভর দিয়ে আমি উঠে দাঁড়িয়েছি
আমার দু-হাতের দশ আঙ্গুলে তারই স্মৃতি
আমি যা কিছু স্পর্শ করি
সেখানেই হে জননী তুমি
আমার হৃদয় বীণা তোমার হাতে বাজে –
হে জননী তুমি –
. **************** গানের সূচিতে
রোদ্দুর
কথা ও সুর – বিপুল চক্রবর্তী
রোদ্দুর আমার কাঁধে আমার শিশু
রোদ্দুর আমার দুচোখ চেপে ধরছে
রোদ্দুর ছুটছে আমার পিছু পিছু
রোদ্দুর আমার সঙ্গে খেলা করছে
রোদ্দুর আমার সঙ্গে রাস্তা হাঁটছে
রোদ্দুর নদীর জলে সাঁতার কাটছে
রোদ্দুর দৌড়ে জামরুল গাছে উঠছে
রোদ্দুর কাঠবিড়ালির সঙ্গে ছুটছে
রোদ্দুর তোমার কাঁধে তোমার শিশু
রোদ্দুর তোমার দুচোখ চেপে ধরছে
রোদ্দুর ছুটছে তোমার পিছু পিছু
রোদ্দুর তোমার আঁচল চেপে ধরছে
তুমি কালো মেয়ে তুমি কালো মেয়ে তুমি রাত্রি
রোদ্দুর তোমার সন্তান তুমি ধাত্রী
পুড়ে যেতে যেতে আমি হাঁটি এই রাস্তায়
আমি আলো আর আঁধারের পথ-যাত্রী
রোদ্দুর আমার কাঁধে আমার শিশু
রোদ্দুর আমার দুচোখ চেপে ধরছে
রোদ্দুর ছুটছে আমার পিছু পিছু
রোদ্দুর আমার সঙ্গে খেলা করছে
রোদ্দুর তোমার কাঁধে তোমার শিশু
রোদ্দুর তোমার দুচোখ চেপে ধরছে
রোদ্দুর ছুটছে তোমার পিছু পিছু
রোদ্দুর তোমার আঁচল চেপে ধরছে
. **************** গানের সূচিতে
আমার মায়ের সোনার নোলক
কথা - আল মাহমুদ, সুর – বিপুল চক্রবর্তী
আমার মায়ের সোনার নোলক হারিয়ে গেল শেষে
হেথায় খুঁজি হোথায় খুঁজি সারা বাংলাদেশে
নদীর কাছে গিয়েছিলাম, আছে তোমার কাছে
হাত দিওনা পানি আমার ভরা বোয়াল মাছে
বললো কেঁদে তিতাস নদী হরিণ বেড়ের বাঁকে
শাদা পালক বকরা যেথায় পাখ ছড়িয়ে থাকে
জল ছাড়িয়ে দল হারিয়ে গেলাম বনের দিক
সবুজ বনের হরিত টিয়ে করে রে ঝিক্ মিক্
বনের কাছে এই মিনতি, ফিরিয়ে দেবে ভাই
আমার মায়ের গয়না নিয়ে ঘরকে যেতে চাই
কোথায় পাব তোমার মায়ের হারিয়ে যাওয়া ধন
আমরা তো সব পাখপাখালি বনের সাধারণ
সবুজ চুলে ফুল পিন্দেছি নোলক পরি না তো
ফুলের গন্ধ চাও যদি নাও, হাত পাতো হাত পাতো-
বলে পাহাড় দেখায় তাহার আহার ভরা বুক
হাজার হরিণ পাতার ফাঁকে বাঁকিয়ে রাখে মুখ
এলিয়ে খোঁপা রাত্রি এলেন, ফের বাড়ালাম পা
আমার মায়ের গয়না ছাড়া ঘরকে যাবো না
. **************** গানের সূচিতে
বাংলায় গান
কথা ও সুর – বিপুল চক্রবর্তী
বাংলায় গান গেয়েছি আমরা, গান গাই আজো বাংলাতেই
তবু, বলতেই হবে বাংলা আজকে আগেকার সেই বাংলা নেই
বাংলা শরীরে চাপিয়েছে জিনস ধুতি কামিজের পাশে
জিনস পরা কিছু ছেলে মেয়ে দেখি বাংলাকে ভালবাসে
কী বা ভালো কী বা মন্দ
তাই নিয়ে চলে দন্দ্ব চলুক চলুক
আমি রেখে যাই আমার দুঃখ উলুক ঝুলুক
আমাদের এই বঙ্গে পোষাক ছিল না যাদের অঙ্গে
পোষাক বলতে তাদের তো আজও কিছুই নেই
কত রকমের খাবার দাবার, বারগার চাউমিন
পা বাড়ালেই বেদুইন, হাত বাড়ালেই ক্যাথলিন
কত রকমের খাবার দাবার কত যে রান্না বান্না
কিন্তু তোমার খাবারে মিশছে পথশিশুদের কান্না
বাংলার হাসি হেসেছে ক্রিকেটে সৌরভ গাঙ্গুলি
কোথায় হারিয়ে গিয়েছে হা-ডু-ডু কোথায় বা ডাংগুলি
কী বা ভালো কী বা মন্দ
তাই নিয়ে চলে দন্দ্ব চলুক চলুক
আমি রেখে যাই আমার দুঃখ উলুক ঝুলুক
আমাদের এই বঙ্গে খেলা ছিল তো ধুলোর সঙ্গে
খেলা আছে আজ এ কোন খেলায়, ধুলো যে নেই
বাংলায় গান গেয়েছি আমরা গান গাই আজো বাংলাতেই
তবু, বলতেই হবে বাংলা আজকে আগেকার সেই বাংলা নেই
. **************** গানের সূচিতে
মাছেদের নেই প্রতিযোগিতা
কথা ও সুর – বিপুল চক্রবর্তী
মাছেদের নেই প্রতিযোগিতা
পাড়ায় পাড়ায় ইস্কুলে
তারা সাঁতার শিখতে কেউ আসে না
আমাদের সুইমিং পুলে –
লাল নীল সুইমিং পুলে
সাঁতরায় তারা সাঁতরায়
সাঁতপ্রায় আর সাঁতরায়...
একটিও নেই রঙ-পেনসিল
রঙ মেখে তবু সারা গায়
সকালের রদ্দুরে ঝিলমিল
প্রজাপতি পৃথিবী সাজায় –
রঙে রঙে পৃথিবী সাজায়
গানের পাখিরা জেনো গান গায়
সকালের বিকেলের গাছে
তারা স্বরলিপি শিখতে কি আসে হায়
সুচিত্রা মিত্রের কাছে –
অনুশ্রী-বিপুলের কাছে
গান গায় তারা গান গায়
গান গায় আর গান গায়...
. **************** গানের সূচিতে