চাঁদের বুড়ি থাকনা পূর্ণিমাতে চাঁদকে দেখে . যেই না বাবা শুধায় বল তো খোকা চাঁদের বুড়ি . থাকে এখন কোথায় ? প্রশ্ন শুনে বললো হেসে . খোকার দিদি টুয়া, চাঁদেতে নেই চড়কা বুড়ি . আছে পাহাড় গুহা। মানুষ এখন যাচ্ছে চাঁদে . বাঁধছে সেথায় ঘর, এমনি করেই চাঁদের বুড়ি . হলো মোদের পর। মানুষ তাদের রকেট চড়ে . চাঁদের দেশে যাক না, কিন্তু বলি, তাদের পাশে . চাঁদের বুড়ি থাকনা। |
ময়না , ময়না ! কথা ঠিক কয় না | যদি বলি ---‘বলো আম’, বলে সে যে ---‘বলরাম’ | বলি ---পড়ো ‘রাধা রাধা’ , সে তো বলে ---‘গাধা গাধা’ ; বললেই ---‘আয়না’ বলে দেয় ---‘গয়না’ | আমাদের ময়না ঠিক কথা কয় না | কচি পেটে ছাতু ছাড়া আর কিছু সয় না !! |
মূল্য নিয়ে মারামারি মূল্য কোথায় আছে ? মূল্য আছে টাকার মাপে বৈষয়িকের কাছে | শিশুর কাছে দুই পয়সার পুতুল মূল্যবান | গবেষকের টেষ্ট টিউব, অনেক তার দাম | ছাত্র বলে কলেজ নোট অনেক দাম ভাই | বই তো তবু কিনতে পারি, নোটটি কোথায় পাই ! পুরুত ভাবে দামী পুঁথি হারিয়ে ফেলি পাছে | দাঁড়ি-পাল্লার অনেক মূল্য দোকানদারের কাছে | দুটি আনার ডেইলি নিউজ’ সামান্য তো জিনিস | রাজনীতিক বলবে এসে “ওর কত দাম জানিস” ? প্রাচীন টেরাকোটার মূল্য ঐতিহাসিক দেয় | ময়লা কাগজ দামী বলে তাও কুড়িয়ে নেয় | আসল দামী বলব আমি অনেক ভেবে চিনতে চিরকালের বাঞ্ছিত ধন যায়না পাওয়া কিনতে | স্নেহ প্রীতি ভালবাসা সবাই পেতে চাই | টাকার মূল্যে পাইনা এসব, অমূল্য যে তাই || |
পিক পক্ষী কৃষ্ণ বর্ণে কর্ণে মিষ্টি মধু দেয় | শিখী নৃত্যে পারদর্শী কিন্তু কণ্ঠে শেলকায় || ভাগ্যলক্ষ্মী তৈল-মস্তে আরও তৈল-বৃষ্টি দেয় || নিঃস্ব-প্রজা পরিণত জীবন্-মৃত পরযায় || বিধাতারি খেলাতে কেউ আজীবন দুঃখ পায় | কেউ বা বঙ্গে জীবন-রঙ্গে পূর্ণ আয়ু সুখ ভায় || লাস্যময়ী হাস্যগীতে মোহপাশে ধরা দেয় | দূরদেশেতে প্রতারিত হ’য়ে সংজ্ঞা ফিরে পায় || রাষ্ট্র শক্তি ঠুটো ক’রে রাজনীতিজ্ঞ তোল্লা চায় | ত্রস্ত প্রজা রাষ্ট্র-দল-ঝাণ্ডা-তলে খাবি খায় || কষ্ট সাধ্য বাক্যে লেখে ভূঁই-ফোড় এ কবি হায় | দুষ্ট কবি লিখছে সবি হাস্য-করা কবিতায় || . ২০.৩.২০১২ |
লক্ষণ! লক্ষণ! কোথা ছিলি এতক্ষণ ? গিয়াছিলাম সাগরের তীরে মিশিতে মুম্বাইয়ের ভীড়ে! মুম্বাইয়ের ভীড়ে ? আরব সাগরের তীরে ? দুই বিন্দু জল দিয়া করি আচমন! যাও কর হাজত ভ্রমণ! দাদা! দাদা! যবে চারিদিক ঘিরিয়াছিলাম! লাইফ হেল করিয়াছিলাম! নতুন সূর্যোদয় দিয়াছিলাম ভেঁট! তখন তো ভুলেও বলনি দাদা থামাও কূকর্ম সব, কর মাথা হেঁট! হাজত ভ্রমণ! কেওড়া! . ১৯/৩/২০১২ |
শক্তি মায়ের ভৃত্য মোরা- নিত্য খাটি নিত্য খাই, শক্ত বাহু, শক্ত চরণ, চিত্তে সাহস সর্বদাই | ক্ষুদ্র হউক, তুচ্ছ হউক, সর্ব সরম-শঙ্কাহীন--- কর্ম মোদের ধর্ম বলি কর্ম করি রাত্রি দিন | চৌদ্দ পুরুষ নিঃস্ব মোদের - বিন্দু তাহে লজ্জা নাই, কর্ম মোদের রক্ষা করে অর্ঘ্য সঁপি কর্মে তাই | সাধ্য যেমন - শক্তি যেমন - তেমনি অটল চেষ্টাতে-- দুঃখে-সুখে হাস্যমুখে কর্ম করি নিষ্ঠাতে | কর্মে ক্ষুধার অন্ন যোগায়, কর্মে দেহে স্বাস্থ্য পাই ; দুর্ভাবনায় শান্তি আনে --- নির্ভাবনায় নিদ্রা যাই | তুচ্ছ পরচর্চাগ্লানি--- মন্দ ভালো--- কোন্ টা কে--- নিন্দা হতে মুক্তি দিয়া হাল্কা রেখে মনটাকে | |
ছিপখান তিন-দাঁড়-- তিনজন মাল্লা চৌপর দিন-ভোর দ্যায় দূর-পাল্লা ! পাড়ময় ঝোপঝাড় জঙ্গল,--জঞ্জাল, জলময় শৈবাল পান্নার টাঁকশাল | কঞ্চির তীর-ঘর ঐ-চর জাগছে, বন-হাঁস ডিম তার শ্যাওলায় ঢাকছে | চুপ চুপ--ওই ডুব দ্যায় পান্ কৌটি দ্যায় ডুব টুপ টুপ ঘোমটার বৌটি ! ঝকঝক কলসীর বক্ বক্ শোন্ গো ঘোমটার ফাঁক বয় মন উন্মন গো | তিন-দাঁড় ছিপখান মন্থর যাচ্ছে, তিনজন মাল্লায় কোন গান গাচ্ছে ? |
বলতে পারো, সরস্বতীর মস্ত কেন সম্মান ? বিদ্যে যদি বলো, তবে গণেশ কেন কম যান ? সরস্বতী কি করেছেন ? মহাভারত লেখেন নি। ভাব দেখে তো হচ্ছে মনে, তর্ক করাও শেখেন নি। তিন ভুবনে গণেশদাদার নেই জুড়ি পাণ্ডিত্যে অথচ তার বোনের দিকেই ভক্তি কেন চিত্তে ? সমস্ত রাত ভেবে ভেবে এই পেয়েছি উত্তর--- বিদ্যা যাকে বলি, তারই আর একটি নাম সুন্দর। |
যত ক্যানভাসের ভাষা তাতে পাইনু আশা বলে সেন্ট পারসেন্ট ভোট তব আমি তাতে রিলাই করি দুহাতে বিলাই করি অভিনয় আমি নেতা কি অভিনেতা ঐ মালুম করিবে কে তা আমি এই রূপে গত বারে ফিরেছিনু দ্বারে দ্বারে পেয়েছিনু এই রূপ হোপ গো মোরে ভুলাইয়ে প্রলোভনে ভোট দিল অন্য জনে মোর ডিপজিট মানি হল জব্দ আমার মান গেল মানিও গেল আমি আসমান হতে পরলাম দাদা আমার আশা মান দুই চূর্ণ হল |
বোসেদের মেজছেলে গৌরভজন শিখে ফেলেছেন ভাষা আড়াই ডজন কখন বলেন কোন ভাষা কোন দিন করে ফেলেছেন তারও একটা রুটিন রবিতে তামিল বলে, বুধে পারসিক শনিতে ল্যাটিন আর শুক্কুরে গ্রিক ঘুম থেকে উঠে চীনা, ঘুম পেলে রুশি জ্বর হলে জার্মান, চেক হলে খুশি তুর্কি বলেন শুধু ব্যাথা হোলে পেটে বর্মি বলেন যদি আসে কোনো বেঁটে হাই পেলে থাই বলে, ক্ষিদে পেলে উর্দু প্লেনে বলে সাঁওতালি, ট্রেনে বলে পুস্তু চোস্ত স্প্যানিস বলে হলে হাঁপানি হাঁচি পেলে থেমে থেমে বলে জাপানি তিব্বতি বলে হলে রাত্রি নটা তারপর কন্নড় তিনঘন্টা হিব্রু বলেন গেলে ডিব্রুগড়ে মৈথিলী বৈকালে বোশেখি ঝড়ে পুলিশ দেখলে ভয়ে বলে নেপালি কেউ যদি গালি দেয় বলে সে পালি ফ্রেঞ্চ বলে সন্ধ্যায় বাজে পিয়ানো ফুটবল মাঠে গেলে ইতালিয়ানো ইংরেজী বলে তেজে তেড়ে এলে ঘোড়া লস্যি খাবার পর হিন্দিও থোড়া একটু সময় যদি মাঝরাতে পায় ভাটিয়ালি গান গায় খাঁটি বাংলায় | |
ভোটের আগে গান, জেতার পরে ফান্! পাঁচটি বছর টিকলে পরেই, আজীবন পেনশান! নিখরচাতে ভারত ভ্রমণ, জীবন ভ্রাম্যমান! এম.পি. কোটার কোটি টাকার, আপন হাতে দান! সংসদের ওই ক্যানটিনেতে, জলের দরে ’পান --- মণ্ডা মিঠাই হরেক রকম, সঙ্গেতে জলপান! দুষ্ট কবি খাচ্ছে খাবি, লিখতে এ ঘ্যান্ ঘ্যান্! নিন্দুকেরা চুপ বসে নেই, দাগছে তীর, কামান! বলছে--- “এত খেয়ে গাছের-খাওয়া, তলানিটাও চান! তাই উদাস মনে লেখেন বসে, ছত্রধরের গান! যখন--- ফেলে আসা বামের তরে, মন করে আনচান! পত্র লেখেন বামের সভায়, ‘খোলা’ চিঠির খাম! সেই চিঠির ভেতর সবাই যে পান বিরুদ্ধতার ঘ্রাণ! তবু, আনেন না যে মুখে, ভুলে, --- ইস্তফাটার নাম! আরে ছোঃ ছোঃ --- টিকলে পরে পাঁচটি বছর, আজীবন পেনশান! বলুক যে যা, কেবল বোকাই এসব ছাড়তে চান!” . ********** কলকাতা, ১৪/৩/২০১১ |
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে লিখি কথা | আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার স্বাধীনতা || |
পূর্বাভাস |
মুখোশটা বদলায়, মুখগুলো নয়। কাল ‘হার্মাদ’, আজ ‘ভৈরব’ হয়। মৃত গণতন্ত্রের লাশ পড়ে রয়। তবু করজোড়ে বলো ‘শাসকের জয়’! রাজবন্দীরা মাথা কোটে কারাগারে। কণ্ঠ স্তব্ধ করো ট্রিগারের জোরে।। ২৪ নভেম্বর ২০১১ |
বর এসেছে বীরের ছাঁদে |
বিশ্বে দিছেন উপরওয়ালা দুইটি জাতি, খালি! একটি বাংগালি আর অন্য অবাংগালি! মোছলমান হইলে কিন্তু নয়কো সে বাংগালি! নোবেল পাইলে যে কেউ হেথা হইবেই বাংগালি! . ২২/০৭/২০১০ |
দিদির হাঁড়িতে যেই এল ক্ষমতার ক্ষীর, মোসায়েব, তোষায়েব, যত হার্মাদ বীর--- হয় বুক চিরে আঁকে ঘাসফুল তসবির! নয় তো বা আন্ডার গ্রাউণ্ডে করে ভীড়! . ২৪/৫/২০১১ |
বাঙালীর মন চায় ফরমুলা ওয়ানে ধায়! হইয়া বিফল তায় কলকাতায় অটো চালায়! . ১২.০৩.২০১২ |
বেডরুমে বুদ্ধমূর্তি, লেনিন ও মার্ক্স --- মেরে জান চুমু খেতে পারছি না, একটাকে অন্তত সরান | |
চুমু |
পরিণতি |
আছি হাঁটাহাঁটিতে |
ছড়াং |
চিড়িয়াখানা |
নববর্ষের ভোজ |
চন্দ্রহাস |
ময়মনসিংহের চিঠি |
বর এসেছে বীরের ছাঁদে, বিয়েক লগ্ন আট্টা--- পিতল-আঁটা লাঠি কাঁধে, গালেতে গালপাট্টা। শ্যালির সঙ্গে ক্রমে ক্রমে আলাপ যখন উঠল জমে রায়বেঁশে নাচ নাচের ঝোঁকে মাথায় মারলে গাঁট্টা। শশুর কাঁদে মেয়ের শোকে, বর হেসে কয় --- "ঠাট্টা"। |
বর এসেছে বীরের ছাঁদে, বিয়ের লগ্ন আট্টা--- পিতল-আঁটা লাঠি কাঁধে, গালেতে গালপাট্টা। শ্যালির সঙ্গে ক্রমে ক্রমে আলাপ যখন উঠল জমে রায়বেঁশে নাচ নাচের ঝোঁকে মাথায় মারলে গাঁট্টা। শশুর কাঁদে মেয়ের শোকে, বর হেসে কয় --- "ঠাট্টা"। |
খুকু ও খোকা তেলের শিশি ভাঙল বলে খুকুর পরে রাগ করো তোমরা যে সব বুড়ো খোকা ভারত ভেঙে ভাগ করো ! তার বেলা? ভাঙছ প্রদেশ ভাঙছ জেলা জমিজমা ঘরবাড়ী পাটের আড়ত্ ধানের গোলা করখানা আর রেলগাড়ী ! তার বেলা ? |
কঞ্জুস বুড়ো বসে আছে গাছে পাখিদের বলে, "আয় কাছে--- তোরা যদি ঠুকরিয়ে দাড়িগুলো নিস নিয়ে, নাপিতের খরচটা বাঁচে |" |
কেউ যায় ইংল্যান্ড, কেউ যায় ফ্রান্সে গান আনে গান গায় জমকালো গান সে কেউ যায় আমেরিকা, কেউ যায় ইটালি আমি চাই, বাংলায় বাংলার মিতালি বিশ্ব-ও চাই আমি আমাদের আকাশে শিমূলে-শিরীষে চাই কুয়াসায় ঢাকা সে বিশ্বকে চাই আমি, চাই এই মাটিতে আজও তাই হেঁটে যাই, আছি হাঁটাহাঁটিতে | |
পড়ার হিসাব |
ফিরল সবাই ইস্কুলেতে সাঙ্গ হল ছুটি- আবার চলে বই বগলে সবাই গুটি গুটি। পড়ার পরে কার কি রকম মনটি ছিল এবার, সময় এল এখন তারই হিসেবখানা দেবার। কেউ পড়েছেন পড়ার পুঁথি, কেউ পড়েছেন গল্প, কেউ পড়েছেন হদ্দমতন, কেউ পড়েছেন অল্প। কেউ-বা তেড়ে গড়গড়িয়ে মুখস্থ কয় ঝাড়া, কেউ-বা কেবল কাঁচুমাচু মোটে না দেয় সাড়া। গুরুমশাই এসেই ক্লাসে বলেন, `ওরে গদাই, এবার কিছু পড়লি? নাকি খেলতি কেবল সদাই?' গদাই ভয়ে চোখ পাকিয়ে ঘাবড়ে গিয়ে শেষে বল্লে, 'এবার পড়ার ঠেলা বেজায় সর্বনেশে- মামার বাড়ি যেম্নি যাওয়া অম্নি গাছে চড়া, এক্কেবারে অম্নি ধপাস্- পড়ার মতো পড়া!' |
মুখ্যমন্ত্রী নিদ্রাহীন ওদের কথা ভেবে নিঃশর্তে চাইলে মুক্তি যাবে ভীষণ রেগে | |
ইঁদুর বলে বয়স হলে আমি-ই হব হাতি, দূর্বা বলে বংশ হব আমি তো তার নাতি | রুই কাতলা যা হোক হব কয় পুঁটি মাছ হেঁকে, গুগলি বলে শঙ্খ হব হুগলী গাঙেই থেকে || |
ওসামার যুদ্ধে হইয়া বিশুদ্ধ, তালিবানী দাদা ভাঙে বামিয়ানী-বুদ্ধ! শাপ দেয় বামিয়ানী, হয়ে বড় ক্রুদ্ধ! “বাঁচবি না তোরা কেউ হাড়-মাস শুদ্ধ!” |
শিল্পীর শিরে পিলপিল করে আইডিয়া লেখেন যখন পুস্তক তিনি তাই দিয়া উইপোকা কয় চল এইবার খাই গিয়া | |
বাস স্টপে ছিল বেজায় ভীড়ের চাপ! চলতি বাসে এক বাংগালি দিল ঝাপ! গেল গেল রব তুলে যাত্রীরা বলে “বাপ”! সেই থেকে তার গায়ে রয়েছে চাকার ছাপ! . ২৭/৫/২০১১ |
বঙ্গ সংস্কৃতি কর ধুতি পাঞ্জাবি পরে দেখলে বিপ্লবের স্বপ্ন পচবে শ্রীঘরে | |
ক্যানিং লোকালের ভীড়ে, কামরার উপরেতে চড়ে, টিকিটের খরচটা বাঁচে! হঠাৎ যদি লাগে ঝাঁকি, পেন্টোগ্রাফ ধরে নাকি, শ্মশানের খরচটাও বাঁচে! . ২৭/৫/২০১১ |
ইকড়ি মিকড়ি চাম চিকড়ি চাম কাটে মনমোহন, মনমোহনের উদার বাঁশি বুদ্ধ বাজায় অহর্নিশি | বুদ্ধর লেজে তারাবাজি লাগিয়ে আগুন হাসছে পুঁজি | পুঁজির নাচন তা থই থই বাদ্যি বাজে হা হৈ হৈ, বাদ্যি বাজে বিশ্বায়ন, শিল্পায়ন, উন্নয়ন | উন্নয়নের রথের চাকা গরিব যত পড়ল চাপা | প্রতিবাদে প্রতিশোধ এবার হবে অবরোধ | চোপরাও স্পিকটি নট নো পেছনো ইস্টপ হল্ট | |
ছোটং ছেলে চড়েং ঘোড়া নিচেং উল্টে পড়েং খোঁড়া | ছোটং ছেলে বেশিং কাঁদে ভূতং তাহার চাপেং কাঁধে | দোলনায় বেশি দুলেং দুলেং কখন যে যায় ভুলেং ভুলেং | ছোটং ছেলে খেলেং পান বড়ং লোকে মলেং কান | ছেলে যদি খায় ঘড়িং ঘড়িং হাত -পাগুলো ফড়িং ফড়িং | মিছেং কথা বলেং ছেলে ধরাং পড়ে চলেং জেলে | |
মারা গেলেন লাদেন দুঃখে সবাই পাকিস্তানে কচুপোড়া রাঁধেন! আমেরিকায় বুশ বাবাজী গোসা করে কাঁদেন! তার আমলে মরলো না ক্যান্ ওসামা বিন লাদেন! হুসেন বারাক ওবামাজী তা ধিনা ধিন নাচেন! |
আজগুবি নয়, আজগুবি নয়, সত্যিকারের কথা--- পুঁজির সঙ্গে কুস্তি করে গাত্রে হল ব্যাথা | পুঁজি ধরার ব্যাবসা করি, তাও জানো না বুঝি ? রাঘব পুঁজি, বোয়াল পুঁজি, হরেক রকম পুঁজি | ঢপের পুঁজি, বেঢপ পুঁজি, পুঁজি চমত্কার পুঁজির জন্য হন্যে হয়ে খুঁজি বারংবার | অবশেষে পেলাম পুঁজি দেশবিদেশে ঘুরে, অমনি কারা গাইছে যে গান বেয়াড়া সুরে | যাহার সঙ্গে কুস্তি করে গাত্রে হল ব্যথা তাহার নবীন আগমনে জাগল প্রসন্নতা | মোদ্দা জেনো, সমজতন্ত্র যদিও মোদের লক্ষ্য, আপাতত পুঁজি ধর্ম, পুঁজিবাদই মোক্ষ | দোষ দিও না কী আর করি, এটাই যুগের দাবি, মাইরি বলছি, একদিন মোরা আনবো সমাজবাদই ! |
শুনেছো কি বাংলায় ঘাস কাটা বন্ধ ? মালি বলে ঘাস কাটা নিয়ে বড় দ্বন্দ্ব! দিদির পতাকা জুড়ে দেখছো না ঘাস ফুল!? শেষে কি না ঘাস কেটে যাবে প্রাণ মান কূল! . ২৪/৫/২০১১ |
কোলা ব্যাঙের ছা কথা বলেন না কথা বললে ভাঙবে ধ্যান তিনি শুধুই ভাষণ দ্যান জাগুয়ার খাবেন না সাগু আর রোজই বলেন মেজদিকে খাবেন তিনি শেঠজিকে রাত দুপুরে তিনটে বানর, কেবল বলে, "পকেটে পোর |" "কাকে রে কাকে ?" ---"সূর্যটাকে |" ভোট দিও না হাতিকে, ভোট দিও তার নাতিকে | ভোট দিও না গাধাকে, ভোট দিও তার দাদাকে | |
বনিক প্রভু! মহাপ্রভু! নতুন বছর আসল তবু নেইকো ঘরে খুদের গুঁড়ো, নেইকো কড়ি, কেমন করে তোমায় রাজা তোয়াজ করি? না হয় হলাম দীন ভিখারী, শূন্যহাতে তোমার কাছে আসতে পারি? এনেছি তাই তোমার ঘরেই তৈরি নাড়ু নতুন ভাবে মহাপ্রভু, গরম বোমার লাড্ডু খাবে? গরুর হাড়ে মানুষ হাড়েও অবিকৃত তোমার মাড়ি কঠিন হল কঠিনতর, এনেছি তাই বারুদ-রুটি রাশীকৃত মহাপ্রভু আহার কর, আহার কর! |
সৈত্যাদ্দা, হা হা হা, কথাডা শুইন্যা যা, কৈলকাত্তা বইস্যা খা দৈ ছানা ঘি পাঁঠা | ময়মনসিং ঘোড়াড্ডিম ! দেখবার নাই কিছু তাই, সার্ভেন্ট ইজ্ ইস্টুপিড, রাইন্ধ্যা থোয় যাইচ্ছাতাই ! |
বাংলার সম্পদ তপন-শুকুর! কব্জি ডুবিয়ে খেতো মাংস প্রচুর! কুক্ষণে দিদি এল যেই ক্ষমতায়.... দুইজনে সেই থেকে নিরামিষ খায়! . ২৬/৫/২০১১ |
বাংগালিরা হিন্দু হলে কালীর ভক্ত হবেই! কালো কালী মায়ের পায়ে জবা হয়ে রবেই! স্কুল-কলেজ-পরীক্ষা-হলে মা কালীকেই ডাকে! বিপদ আপদ হলেই কালো মায়ের মানত রাখে! দুষ্ট কবি বলেন --- যখন টোপর মাথায় দিয়ে, করতে চলেন বাংগালিদের বাবাজীবন বিয়ে, তখন কিন্তু কনেটি তার ফরসা হওয়া চাই! কালো মেয়ে হলে তখন আরও কিছু চাই! . ২২/০৭/২০১০ |
বিশ্বের ফরমুলা ওয়ান রেসে বাংগালি নামবে ভেবে শেষে দিনরাত মহড়া দেয় কষে গড়িয়ার অটোচালক বেশে! . ১২.০৩.২০১২ |
দিদির আপন দেহরক্ষী ঝন্টুচরণ সর্দার, বললে সেদিন --- ইস্তফাটা দেওয়া বড় দরকার! জানতে চাইতে বললে --- দাদা, আরাম ছিল আগে, এখন দিদির রক্ষা করতে একশো পুলিশ লাগে! আর পারি না এই বয়সে ছুটতে দিদির সাথে, তার চেয়ে বরং চাকরি ছেড়ে থাকবো দুধে ভাতে! . ২৬/৫/২০১১ |
নীলে ঘোড়া নীলে ঘোড়া পক্ষীরাজের ছা, মেঘডুমাডুম আকাশ পারে তা থৈ তা থৈ তা। মেঘের দোলায় চললি কোথায়, কোন্ সে অচিন গাঁ ? আয়না নেমে গলির মোড়ে করবে না কেউ রা'। খিড়কি দুয়োর কেটে দেব পেট ভ'রে খা। মাছের কাঁটা ফুটলো পায়ে, হাঁটতে পারি না। চিকচিকে তোর ডালায় ক'রে আমায় নিয়ে যা। |
ছড়া, সে যে কোন ধরণেরই হোক না কেন, এই দেয়ালে তুলতে হলে আমাদের কাছে নিচের ইমেলে পাঠাবেন। আমাদের ওয়েবসাইটের সম্পাদক মণ্ডলীর অনুমোদন সাপেক্ষে আমরা তা তুলে দেবো। আমাদের ই-মেল: srimilansengupta@yahoo.co.in তাহলে আর দেরী কেন? ছড়ার ছররা ছড়িয়ে, দেয়াল তুলুন ভরিয়ে...! . রাজেশ দত্ত কবিদের পাতায় যেতে তাঁদের নামের উপর ক্লিক করুন |
গান গাহে মিসি বাবা শুনিয়া শুধায় হাবা “খুকি কাঁদে কেন বাবা, ফোঁড়া কাটিছে ওর ?” হাসিয়া কহেন পিসি, “ও-দেশেতে শীত বেশী তাই কাঁদে বাবা মিসি হিহি হিহি হিহি হো”--- কিবে গিলে-করা গলা ঢেউ-তোলা আট-পলা, খায় রোজ এক তোলা স্ক্রু-ভেজানো জল | সাথে গায়-হেঁড়ে-গলা ধলীর সহিত ধলা, কাঁপে বাড়ী তিন-তলা থরহরি টলমল || |
ডান - বাম ডান - বাম দুলতে থাকে পেন্ডুলাম চাইছো তুমি আর কী বেশি এর-ই নাম তো ডেমোক্রেসি |
ডেমোক্রেসি |
খুনে ক্ষান্তর ফাঁসীর সাজা --- আদালতের রায়। ফাঁসুরেরা সরষে-তেলে দড়ির তেজ বাড়ায়! বাঁচবে কেমনে ভেবে ভেবে ক্ষান্ত হলো সারা! তাই না শুনে দুষ্ট কবি বললে --- বাবু, দাঁড়া! একটি উপায় বলছি রে তুই পাবিই পাবি ছাড়া! চাইলে পাবি প্যাকেজ, দড়, মূল-স্রোতে-ফেরা! মাথায় তুলে রাখবে তোকে সরকারী পাহাড়া! তুলবে ছবি তোর সাথে ভাই, মন্ত্রী আমলা যারা! ঠুকবে সেলাম পুঁজিপতি এবং সর্বহারা! বাড়ী গাড়ী টুকটুকে বউ পাবিই নজরকাড়া! হরেক নামের মিডিয়া তোর ছুটবে আগে পিছে! চব্বিশটি ঘন্টা পাবি আনন্দেরই মাঝে! এসব পেতে করতে হবে ছোট্ট একটি কাজ--- তোর হাতেখড়ি হয়েছে তাই কঠিন নয়রে আজ! একটি মাত্র খুন করেছিস ইচ্ছে কিংবা ভুলে, স্কোরটা বাড়া! এক থেকে তুই একশো তে নে তুলে! . ********** কলকাতা, ১৫/৩/২০১২ |
ভাষাতাত্ত্বিক |
মদনপুরের কাঙালি দিব্যি ছিলেন বাঙালি | হঠাত্ এলো মাথায় প্ল্যান্ ভাতের সঙ্গে খাবেন ফ্যান, ঠিক সাড়ে তিন ঘন্টা পরে হলেন তিনি চীনাম্যান | কবিরাজের কাছে যেতেই খেতে দিলেন পচা চিজ দিব্যি ছিলেন চীনাম্যান, এবার হলেন পর্তুগিজ | ডাক্তারেতে দিলেন ওষুধ পাঠিয়ে দিলেন মোজাম্বিক, দিব্যি ছিল পর্তুগিজরে রাতারাতি হলেন গ্রিক | হাকিম বলেন রেগে গিয়ে এই খেয়ে নে তিন গোলি, দিব্যি ছিল গ্রিক ভাইরে এবার হল সিংহলি | কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকেন মদনপুরের কাঙালি, হে ভগবান, আমায় তুমি আবার করো বাঙালি | |
দিব্যি ছিল বাঙালি |
বোতলে বোতলে যা আছে আরাম এমন কিছতে নাই আর এ বোতল সেবা করে নাই যেবা, কি করিল দুনিয়ায় এই ধরাধামে বোতলের নামে প্রাণটা যাহার নাচে জুড়ি ঘোড়াগাড়ী বাড়ী জমিদারী তুচ্ছ তাহার কাছে মদীরা সাধন বোতল আরাধন ক’জন করিতে পারে পারে সেই জন সে-ই মহাজন ধন্য এ সংসারে সাধন প্রণালী শোন সবে বলি প্রথম গোপনে খাবে সাধনের বাধা বাবা কূল দাদা ক্রমে সব মারা যাবে সহধর্মিণী সাধনে বাধিলে বাধা দিয়ে কত কবে রুক্ষ বাক্যে তারে অথবা প্রহারে দুরুস্ত করিতে হবে বন্ধুবান্ধবে মানা করি সবে সাধন করিবে রোধ বলিও সবারে খেয়ে দেখ ভাই হইবে আরাম বোধ দু একটি ডোজ খেতে দিও রোজ তাহারা হইবে চ্যালা সে সব পাজিরা বাড়িতে হাজিরা দেবে রোজ দুই বেলা মাংস চপ্ আদি কাটলেট রাঁধি করিও তাহারে চাট পাঁচ দোস্ত মিলে বসিয়া খাইবে প্রাণটা গড়ের মাঠ পুত্র কন্যাগণ রবে অনশন কেয়ার কোরো না তাতে আর স্ত্রীর আঁখিজলে মন যদি টলে বিঘ্ন হবে মৌতাতে চারি দিকে দেখো সুনাম তোমার লোকমুখে যাবে রটি আর মরিবার কালে রাখিয়া যাইবে খালি সে বোতল ক’টি |
আমি ভোটের লাগিয়া ভিখারী সাজিনু ফিরিনু গো দ্বারে দ্বারে আমি ভিখারী না শিকারী গো আমায় আসল কেউ না বলিল না ক্যানভাস করিলাম যারে সব হাঁ ক’রে যে রইল দাদা আমি কার হাঁ বল বোজাই কিসে তাদের মুখের ভাষায় ভুলিনু আশায় জানি না বুকের ভাষা তাদের মনের কথা মন ই জানে ভোট দিবে কি নাহি দিবে বুঝি গাছে তুলে মোরে মই কেড়ে নেবে আশায় খাটিনু চাষা বুঝি খেটে খেটে খাটো হনু ভাগ্যে আমার এই ছিল |
ভোট রঙ্গের গান |
দেখতে মানুষ চামড়াধারী নাকের ফুটো, দাঁতের মাড়ি, কিন্তু বাপু হঠাত্ কেন মাথায় দুটো লম্বা শিং ? --- আজ্ঞে আমি ফটিক টিং | শিং দিয়ে কি গুঁতোও নাকি ? মেজাজ বুঝি আগুন খাকি ? কিন্তু বাপু পানে সঙ্গে গিলছ কেন খাবলা হিং ? --- আজ্ঞে আমি ফটিক টিং | বেশ তো দেখি হাসতে পারো যক্ষা কাশি কাশতে পারো কিন্তু বাপু লেখার সময় লিখছ কেন পিঁপড়ে ডিম ? --- আজ্ঞে আমি ফটিক টিং | লিখছ লেখ ভাবনাটা কই ? চাইছ মুড়কি হচ্ছে যে খই, কিন্তু বাপু বেচবে কাকে তোমার এসব ইড়িং বিং? --- আজ্ঞে আমি ফটিক টিং | |
ফটিক টিং |
আতাচোরা পাখিরে কোন তুলিতে আঁকি রে ---হলুদ ? বাঁশ বাগানে যইনে ফুল তুলিতে পাইনে কলুদ হলুদ বনের কলুদ ফুল বটের শিরা জবার মূল পাইতে দুধের পাহাড় কুলের বন পেরিয়ে গিরি গোবর্ধন নাইতে ঝুমরি তিলাইয়ার কাছে যে নদিটি থমকে আছে তাইতে আতাচোরা পাখিরে কোন তুলিতে আঁকি রে ---হলুদ ? |
আতাচোরা |
পেতে ছিলাম জবর ফাঁদ এবার কোথায় যাবে চাঁদ কাজটা হোলো লোকও মোলো তোল এবার ফয়দা তোল দলের হবে দুগুন বল খুঁচিয়ে আনো চোখের জল পথে এবার নামো সাথি হাতে নিয়ে মোমবাতি। |
আগে বলতাম, খুব হুঁশিয়ার, ঘুড়ে বেড়ায় হায়না। ঢুকলে পাড়ায়, খুন না করে বেরুতে আর চায় না। দেখছি এখন, ভালোই তারা, মানুষ টানুষ খায় না। মারছে যাদের, তাদের তো ঠিক মানুষ বলা যায় না। আগে বলতাম, "দূর হয়ে যা", এখন বলি "আয়না"। |
লগ্নি হবে?যাবেন কোথায়? আসুন এখানেই! পুঁজিপতির এমন গোলাম আর কোত্থাও নেই! আগে আসুন, চেপে বসুন, টাকা দেবেন পরে। শস্য শ্যামল জমি দেব --- পোড়া ছাইয়ের দরে! |
বঞ্চনার ভাঙা হাটে বেচাকেনা ওঠে লাটে তাজা রক্ত মেখে গেরুয়ায়, নানা ভাবে নানা ধাঁচে পাগল বাউল নাচে ভাঙনের খঞ্জনী বাজায় | |
বুক চিতিয়ে একলা পথে ন্যাংটো পাগল যায় চলে . ধর্মঘটে গাড়ি ঘোড়া বন্ধ ; কাঁধে ঝোলে ছেঁড়া মাদুর----- শিবের কাঁধে সতীর লাশ . আঁতুড় ঘরে নতুন খোকার গন্ধ | |
টুপ করে এক ডুব দিয়ে তুই জল খেয়ে নে খুব করে, তারপরে থাক ঘাপটি মেরে এক পায়েতে চুপ করে | |
"ডাক্তারবাবু! ডাক্তারবাবু!! হেঁচকি উঠছে এন্তার |" এই না বলে হর্ষবর্ধন যেই না কাছে গেলেন তাঁর--- কী ক'রে এক চড় কষিয়ে দিয়েছেন তাঁ বাঁ গালে, সহর্ষে শ্রীহর্ষকে যেই পেয়েছেন নাগালে | "হাতে হাতে পেলেন তো ফল, দেখুন কেমন দাবাইটার, এমনি করে একটি চড়ে হেঁচকি সারাই সবাইকার | মোটে হাতের একটি চোটে এক চাপটের এ টোটকায় হাতুড়ে-গোবদ্যি বলে তবু সবাই ঘোঁট পাকায় যা বলে লোক বলুক না হক, ভয় করে না এ ডাক্তার আরাম করে আরাম দিয়ে আরাম যা পাই আকছার | সেরে গেলেন, তবু দেখি মুখ যে বেযায় গোমারা-ভার?" ---"আরে মশাই! আমার কি ছাই! হেঁচকি যে ভাই গোবরাটার!" |
হাতে হাতে আরাম |
আমেরিকা ফাঁক খুঁজে পৌঁছয় বাসরা “ইরাকে জমেছে বোমা” চিল্লায় বুশ্-রা খুঁজে খুঁজে ইরাকের ইঁদুরের গর্ত, এক ক’রে সে দেশের স্বর্গ ও মর্ত, তুলে এনে লটকায় সাদ্দাম হুসেনে! তবুও পায় না কোনো “বোমা” তারা সেখানে! দুষ্ট কবি বলে তেল আছে সেদেশে! তারি হরি-লুঠ দেবে আমেরিকা হরষে! . ২২/৫/২০১১ |
নীলে ঘোড়া |
কিছু উভচর আছে দূরে নয়, খুব কাছে মুখে বাম বুকে রাম আমাদের লাইনে... দুটো পা-ই ত্যারাব্যাঁকা বাঁয়ে গেলে যায় দেখা দুম্ দাম্ আরে রাম চলেছে সে ডাইনে আমাদের লাইনে.... হাতে ধরে থেকে ধামা মুখে বলে, নামা নামা দুর্নামে চড়াদামে যা পাস তাইনে আমাদের লাইনে.... |
ময়নার বায়না |
ময়না দোকান যায় না তবুও করে বায়না চুল বাঁধবে মুখ মাজবে চাই একটা আয়না | ক্রীম-পাউডার মাখবে তেল-চিরুনি রাখবে চাই একটা লম্বা টেবিল-আয়না | |
বিদ্যাসুন্দর |
দূরের পাল্লা |
রামু বলল, “ওরে ব্বাবা, দেখে এলাম বাঘের থাবা!” শামু বলল, “কোনখানে রে ?” রামু বলল, হাত পা নেড়ে, “ক্যানিং থেকে খানিক দূরে ঘুরছিল সে মানিকপুরে। যেমন হাঁ তার তেমনি থাবা ওরে ব্বাবা, ওরে ব্বাবা!” মানিকপুরের থেকে শামু ঘুরে এসে বলল, “রামু, বাঘের গপ্পো ফেঁদে পাড়ার লোকগুলোকে হাসাস নে আর। বাঘ ভেবেছিস তুই যাকে সে কালকে গেল ব্রহ্মদেশে মাথায় দিয়ে শোলার টুপি, ব্যাঘ্র নয় সে বহুরূপী।” |
বাঘের থাবা |
ইকড়ি মিকড়ি চাম চিকড়ি চল চল সুমিত ফতেপুর সিক্রি। ফতেপুর সিক্রির বুলঅন্দ দরজা দেখতেই বলল--- “ঘর যা ঘর যা।” “ঘর যা” বলতেই ছু-ছু মন্তর সামনেই সুমিতের যন্তর মন্তর। যন্তর মন্তর করল বিক্রি ইকড়ি মিকড়ি চাম চিকড়ি |
আমেরিকা আজব দেশ সকল দেশের চেয়ে সেথা কল টিপলে খাবার আসে চোখ টিপলে মেয়ে |
দিদিমণি বেশ ছিল কাজে ও কথায় ষড়যন্ত্রের ভুত ঢুকিলো মাথায় সেই থেকে দেখে ষড় যন্ত্রের ভীড় ঘড়্ ঘড়্ ষড়্ ষড়্ যন্ত্রের তীর এই যন্ত্রের রব ঘড়্ ঘড়্ ষড়্ তাতে চাপা পড়ে নির্যাতিতের স্বর . ১৪/৩/২০১২ |
কত না নামের কত না ধামের কলকা আঁটা আমার সাধের ক্যালকাটা | কত না লোকের কত না ভোগের জোয়ার ভাঁটা বহন ক’রে চলেছে আমার ক্যালকাটা | কল্লোলিনী, তিলোত্তমা, মিছিলপুরী কতনামা নাম রেখেছে রামাশ্যামা | মোহময়ী, মায়াবিনী স্নেহময়ী গরবিনী সে যে আমার মনোরমা কল্লোলিনী তিলোত্তমা || |
কলকাতা |
ভাষা মানে তুমি আমি ভাষা মানে বাংলা ভাষা মানে বরাকর থেকে ভাতজাংলা বাজারের দোকানের রাস্তার এ ভাষা কবিতার স্লোগানের বচসার এ ভাষা বাংলায় কথা বলি বাংলায় ছন্দ তাই নিয়ে এত কথা এত কেন দ্বন্দ্ব ! আমাদের বেঁচে থাকা দাঁড়াবার ভঙ্গি আমাদের শিকড়ের পিপাসার সঙ্গী আজ যদি সেই ভাষা পথে পথে ভিখারি যদি তাকে তাড়া করে নিষ্ঠুর শিকারি তবু ঘুম ভাঙবে না পশ্চিমবঙ্গী ! একবার জেগে ওঠো যুদ্ধের সঙ্গী | |
ভাষা |
লাল টুকটুক নিশান ছিল হঠাৎ দেখি, শ্বেত কবুতর উড়ছে ঊর্ধ্বে, আরও ঊর্ধ্বে ভুখ মিছিলের মাথার উপর | বিপ্লব হোক দীর্ঘজীবী, কিন্তু এখন "শান্তি, শান্তি!" প্রেতের মতো ধুঁকছে মিছিল উড়ছে পায়রা নধরকান্তি | |
নন্দীগ্রামে চললো গুলি বাড়লো আমার ডি.এ. দিচ্ছে চাষি গলায় দড়ি আমাক তাতে কি হে? রাজ্য সরকারী কর্মচারী চিন্তা একটাই কেন্দ্রীয় হারে বাপু ডি.এ. যেন পাই | বুদ্ধি বিবেক বাঁধা রেখে চলবো কেবল স্বার্থ দেখে রিটায়ারের পরেও যেন এক্সটেনশন পাই | |
ইনসাফ ৫ |
গুণ্ডা দিয়ে নন্দীগ্রামে শ্মশানতুল্য শান্তি মন্ত্রী তোমার ঔদ্ধত্যে এ বিকট রকম ভ্রান্তি | নখে দাঁতে রক্ত তোমার হাড় হিম এক জন্তু সুশীল সমাজ গর্জ্জে বলে "ভয় পাই না কিন্তু" | |
ইনসাফ ৬ |
সংসার মানে সোনার কাঁকনে জীবনের রঙ লাগা, সংসার মানে রক্তে-মাংসে সারারাত্তির জাগা। সংসার মানে অপেক্ষমাণ একজোড়া চোখে দাবি, সংসার মানে সাজানো ভুবন, আঁচলের খোঁটে চাবি। সংসার মানে অনাগত শিশু, পুতুলে সাজানো ঘর, সংসার মানে মনোহর নেশা, ঈশানে-বিষাণে ঝড়। সংসার মানে ব্যর্থ বাসনা, বেদনার জলাভূমি, সংসার মানে সংসার ভাঙা, সংসার মানে তুমি। |
আমার সংসার |
সোমবারে ভাই জন্ম হলে সৌম্য হবে মূর্তি | ইস্কুলেতে সবার প্রিয় মেজাজ সদাই ফুর্তি || মঙ্গলবার জন্ম হলে অমঙ্গলের ভয় | পরীক্ষাটির সময় হলেই অসুখটি ঠিক হয় || বুধে যাদের জন্ম তারা বুদ্ধিমানই হবে | যতই খেলুক---পাশের বেলায় উপর দিকেই রবে || বেস্পতিবার জন্মালে হয়ে অল্প খেটেই পাশ | বৃত্তি কিন্তু পায় না তারা লেটার ঘেঁষেও নাশ || শুক্রবারে জন্ম হলে নেই দুনিয়ায় ভয় | পরীক্ষাতে তাদের খাতা আশির তলায় নয় || শনির জাতক একজামিনে পাবেই পাবে কম | সঠিক জবাব লিখলেও হয় পরীক্ষকের ভ্রম || রবিবারে জন্ম যাদের, তারাই শুধু ধন্য | পরীক্ষা না দিলেও আছে প্রাইজ তাদের জন্য || |
বার বিচার |
যদি দুর্গা আসেন সড়ক পথে টাটা সুমোয় চেপে বিজ্ঞাপনের বিজ্ঞানিরা ডলার দেবেন মেপে যদি আসেন ভোলা খেয়াল খোলা ষাড়ের পিঠে চড়ে পুরুত ঠাকুর ফুরুত হবে পুজোর আসন ছেড়ে যদি আসেন কেতো হীরোর হীরো বঙ্গবাসীর প্যাণ্ডেলে সুন্দরীরা জড়িয়ে যাবেন হাজার কিসিম স্ক্যাণ্ডেলে যদি আসেন গণু সিদ্ধিদাতা দেন নিজেকে নিঙুড়ে সস্তা জমিন পাইয়ে দেবো রাজারহাট, সিঙুরে যদি আসেন লক্ষ্মী ঢালেন কোটি মৌ সরণি লগ্নিতে সাত মন ঘি পুড়বে যেন হোম যজ্ঞ অগ্নিতে যদি আসেন সরো গিটার হাতে মিটার তোলা ট্যাক্সি তে ডোভার লেনে পড়বে লাইন জীবনমুখী ট্যাক্স ফিতে যদি আসেন অসুর রাখেন বেসুর গোলাগুলি সজ্জাতে আমরা কিন্তু আটকাবো পথ খিল দেবো না দরজাতে | |
সিঙ্গুর ৪ |
ধন্য রাজা ধন্য, দেশজোড়া তার সৈন্য ! পথে-ঘাটে-ভেড়ার পাল। চাষীর গরু, মাঝির হাল, ঘটি-বাটি, গামছা, হাঁড়ি, সাত-মহলা আছে বাড়ি, আছে হাতি, আছে ঘোড়া। কেবল পোড়া মুখে পোরার দুমুঠো নেই অন্ন, ধন্য রাজা ধন্য। ঢ্যাম কুড় কুড় বাজনা বাজে, পথে-ঘাটে সান্ত্রী সাজে। শোনো সবাই হুকুমনামা, ধরতে হবে রাজার ধামা। বাঁ দিকে ভাই চলতে মানা, সাজতে হবে বোবা-কানা। মস্ত রাজা হেলে দুলে যখন-তথন চড়ান শূলে মুখটি খোলার জন্য। ধন্য রাজা ধন্য। |
রাজকাহিনী |
আমার কথা কি বলতে চাও না? নিশ্চিত তুমি বহিরাগত | উঁচু স্বর তুলে কথা বলে যারা জেনে নাও তারা বহিরাগত | গাঁয়ে কোণে কোণে গাঁয়ের মানুষ খেতে বা খামারে বহিরাগত | মরা মানুষের মুখাচ্ছাদন সরিয়ো না, ও তো বহিরাগত | মাঠে মাঠে ধরে যেটুকু ফসল সেসবও এখন বহিরাগত | চালার উপরে ঝুঁকে পড়ে চাঁদ বহুদূর থেকে বহিরাগত | বর্ষাফলকে বিষ মেখে নিয়ে কালো মুখোশের আড়ালে যত বহিরাগতরা এসে ঠিক ঠিকই বুঝে নেয় কারা বহিরাহত | |
বহিরাগত |
সবিনয় নিবেদন |
আমি তো আমার শপথ রেখেছি অক্ষরে অক্ষরে যারা প্রতিবাদী তাদের জীবন দিয়েছি নরক করে | দাপিয়ে বেড়াবে আমাদের দল অন্যে কবে না কথা বজ্র কঠিন রাজ্যশাসনে সেটাই স্বাভাবিকতা | গুলির জন্য সমস্ত রাত সমস্ত দিন খোলা বজ্র কঠিন রাজ্যে এটাই শান্তি শৃঙ্খলা | যে মরে মরুক, অথবা জীবন কেটে যাক শোক করে--- আমি আজ জয়ী, সবার জীবন দিয়েছি নরক করে | |
ভালবাসা কি তেমনি পাথর পথের ধারে কুড়িয়ে পাওয়া ? ভালবাসা কি চলতে গিয়ে দু চার মিনিট থমকে চাওয়া ? ভালবাসা কি নোঙর ছেঁড়া পূর্বী হাওয়ায় নৌকো-ভাষা ? ভালবাসা কি গুমোট খাঁচায় হঠাৎ লাগা বাদ্লা হাওয়া ? ভালবাসা কি আলতা সিঁদূর অরুন্ধতীর আকাশ বাওয়া ? ভালবাসা কি গো শ্রান্ত পথিক, দিনশেষের বাসায় যাওয়া ? ভালবাসা রক্ত-ঝলক হৃদ ফুসফুসে চলকে পড়া, ভালবাসা কাঁটার ক্ষত বুকের পাশে জীবন জোড়া। |
রাজকাহিনী |
মনমোহন সিং, প্রধান মন্ত্রী অর্থনীতির মহান যন্ত্রী সবাই পুলকিত তাহা ভাবি | তাঁহার মুখে একই বাণী সেনসেক্স এর জয়ধ্বনি যেন উহাই দেশের এক মাত্র ছবি || ইহার উপর অন্তরাত্মা কাড়িয়া লইছে সকল পাত্তা তাঁহার কেবল থাকে পুঁজির স্তুতি | তাহাই নিয়া খুশি বেজায় সকাল সন্ধ্যা হাতড়ে বেড়ায় অর্থনীতির সূক্ষ্ম পরিস্থিতি || এদিকে তাঁর জনগণের ওষ্ঠাগত জীবন মানের ভ্রান্ত নীতির যূপকাষ্ঠে বলি | কিষাণ করছে আত্মহনন শাসক লুঠছে প্রাণ-মান-ধন তিনি ভাজেন বিশ্বায়ণের কলি || . ৫.১.২০০৭ |
নামী এন জি ও, নাকি পার্টি ইঞ্জিন? গ্লোবাল রোবোট, নাকি ঘাতক মেশিন? একা বোকা বই-পোকা? নেতা হরিদাস? অবলা গোপাল? মাঠময় ঘাস? ক্যাম্পাস-জব? পম্পাস শো? চোখেতে পট্টি বাঁধা কানামাছি ভোঁ | ভীষণ ট্রেণ্ডি - একবারে থিমাচারী মার্কিনী ব্লেণ্ড সব জাহাজ ব্যপারী | ধানক্ষেতে ফনফন বেড়ে ওঠে 'হাব' এভাবে এগোয় দেশ, মরে যায় বাপ্! টিনা = TINA = There Is No Alternative |
এক- যে ছিলো গাছ, সন্ধে হ’লেই দু-হাত তুলে জুড়তো ভূতের নাচ | আবার হঠাৎ কখন বনের মাথায় ঝিলিক মেরে মেঘ উঠতো যখন ভালুক হ’য়ে ঘাড় ফুলিয়ে করতো সে গরগর বৃষ্টি হ’লেই আসতো আবার কম্প দিয়ে জ্বর | এক পশলার শেষে আবার যখন চাঁদ উঠতো হেসে কোথায় বা সেই ভালুক গেলো, কোথায় বা সেই গাছ, মুকুট হ’য়ে ঝাঁক বেঁধেছে লক্ষ হীরার মাছ | ভোরবেলাকার আবছায়াতে কান্ড হ’তো কী-যে ভেবে পাইনে নিজে, সকাল হ’লো যেই একটিও মাছ নেই, কেবল দেখি প’ড়ে আছে ঝিকির-মিকির আলোর রুপালি এক ঝালর | |
মায়াতরু |
লাল কালো পাখীগুলো সাদা সাদা ডিম, রোদ্দুরে তেতে যায় শীতে হয় হীম | সেই ডিম ফুটে হয় পাখীদের ছানা পাখ্না না হলে তার উড়ে যেতে মানা | ধীরে ধীরে বড় হয় খায় খুদ দানা, গাছের কোটরে থেকে হয় সব জানা | তারপর একদিন নীল আকাশে রঙীন ডানাটা তার মেলে দেয় সে | বহুদূর চলে যায় বুঝি কোন দেশে ; সন্ধ্যায় নীড়ে তার ফিরেই সে আসে || |
লাল কালো পাখীগুলো |
অমিতউপার বায়না, চাঁদটা নিয়ে আয়না, তবেই খাবে ভাত। মাথায় বাবার হাত ছুটতে হবে নাসা, তবেই পাবে খাসা, রকেট একখানা। মা হেসে কয় মুখ্যু চাঁদের জন্য দুঃখ, করার মানে কি ? চাঁদ কি আনা যায় নীল আকাশের গায়ে তার যে বাসাখানি। মেজদি পিসি বলল এসে কাঁদে কেন মানিক ? বোসো একটু খানিক। সেজদি পিসি নিয়ে এল আয়না . আকাশে চাঁদ আরত’ দেখা যায় না, চাঁদ যে এবার নেমে এল ঘরে, . অমিতউপার হাসিমুখটি ভরে॥ |
অমিতউপার বায়না |
জনক নন্দিনী সীতা হরিষে সাজায় রাণী | শিরেশোভে সিঁথিপাত, হীরা, মণি, চুণী || নাসার অগ্রেতে মতি বিম্বাধর পরি | তরুণ নক্ষত্র ভাতি জিনি রূপ হেরি || মুকুতা দশন হেরি লাজে লুকাইল | করীন্দ্রের কুম্ভ মাঝে মজিয়া রহিল || গলে দিল থরে তরে মুকুতার মালা | রবির কিরণে যেন জ্বলিছে মেখলা || কেয়ূর, কঙ্কণ দিল আর বাজুবন্ধ | দেখিয়া রূপের ছটা মনে লাগে ধন্দ || বিবিত্র ফলিতশঙ্খ ফুল পরিচিত | দিল পঞ্চ কঙ্কণ পৈছি বেষ্টিত || মনের মত আভরণ পরাইয়া শেষে | রঘুনাথ বরিতে যান মনের হরিষে || |
সীতার বিবাহের গীত |
পূজার ছুটি পাঠশালাটি ঘুমিয়ে আছে পড়ে, গুটি কতক চড়াই কেবল এধার ওধার ওড়ে। চল সবে ভাই বাগানে যাই মধুর সকাল বেলা, পাতার নাকে ঝুলছে শিশির "রাণীর" নোলক দোলা ; দেখ্ ভাই দেখ্ গেছে ছেয়ে শিউলি গাছের মূল | দয়া করে' গাছটি মোদের ঢেলে দেছে ফুল | ফুল নে গেলে হাসবে "রাণী" দেবো আঁচল ভরে'-- সারা দিন সে গাঁথবে মালা বোঁটা গুলি ধরে' | কিসের আওয়াজ কিসের আওয়াজ রেলের উপর চল--- পূজার ছুটি এই গাড়ীতে বাবা বুঝি এল | |
বাবা বুঝি এল |
মূল্য বিচার |
আমরা শুনেছি তার পুলিসী ঝঙ্কার, মিলিটারী হুঙ্কার, অনেক অনেক বার---- সাদা রাজা কালো দাস মিলে যিনি অবতার, . স্বাধীনতা হীনতার ! বার বার ফোস্কায় কড়া পড়ে সেরে যায় ;--- লাঠি ও গুলির ঘায় জনতার প্রাণটায় মোটে আর ব্যথা নেই ভীরুতার ফোস্কায়, . কড়া পড়া একতায় | (এক পয়সা ট্রাম ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে ১৯৫৩ সালের ঐতিহাসিক আন্দোলনের প্রেক্ষিতে লেখা ছড়া | প্রথম প্রকাশ ১৭ই জুলাই ১৯৫৩, স্বাধিনতা পত্রিকায় | ) |
শালিক পাখি, শালিক পাখি, তুই আকাশের মালিক নাকি ? মেলে দিয়ে রঙীন ডানা----- চষে বেড়াস আকাশখানা ; আপন মনেই ঘুরিস শুধু, মাথার ওপর রোদ যে ধূ-ধূ ! বকে না কেউ, কেউ মারে না পড়---বলে কেউ হাঁক ছাড়ে না | শালিক রে তোর খুব মজা---ইস্ ! কিচির-মিচির গান যে জুড়িস ! নিজেই যে তুই নিজের মালিক, ওরে আমার পুঁচকে শালিক !! |
শালিক পাখি |
হাঁস চলেছে, হাঁস চলেছে, ঘাড় বেঁকিয়ে, পেঁকপেঁকিয়ে পা বাড়িয়ে, ঘাস মাড়িয়ে, হাঁস চলেছে, হাঁস চলেছে | |
হাঁস চলেছে |
নদীর পানে জলের টানে চলছে ধীরে, চায় না ফিরে, দারুণ শীতে সাঁতার দিতে হাঁস চলেছে, হাঁস চলেছে | |
ডাকছে শুনি-- কুকুরগুলো, হাঁস চলেছে কানেই তুলো | হাঁস চলেছে একটি সারে, ছোকরারা সব গুলতি মারে ; পাশ কাটিয়ে, লাফটি দিয়ে, চলছে ওরা নদীর ধারে | |
হাঁস চলেছে ঘাড় বেঁকিয়ে, হাঁস চলেছে পেঁকপেঁকিয়ে, হাঁস চলেছে, হাঁস চলেছে | |
বাংলার আকাশে দেখ আলোর রেখা! সরকারী অফিসে ঘোরে কাজের চাকা! বাঙালী প্রার্থনা করে সেই মাকালী কে বিরোধীরা যেন চির-সচেতন থাকে, কর্ম বিমুখ এই বাংলার বুকে প্রতিদিন তারা যেন বাংলা বন্ ধ ডাকে! সেইদিন কেরানিরা থাকিবেই সীটে! হইবেনা আর হাফসোল ক্ষয়ে দিতে! . ২৯.০২.২০১২ |
ময়না |
লম্ফ ঝম্ফ, হাঁকা হাঁকি দেশোদ্ধারে ডাকাডাকি সভায় করিয়া, ঢুকে শৃগাল-গুহায়! বাঙ্গালীর ছেলে তোরা কে দেখিবি আয়! ফিরায়ে চিকন কেশ, চুরুট ফুকায় বেশ, ঘড়ি, ছড়ি, চশমাতে কিবা শোভা পায়। সদাই হুজুগে চলে মোহের কুহকে ভোলে, প্রেম বলে ফণী-হারে বাঁধিছে গলায়! বিয়ে করে বাল্যকালে, যৌবনে সন্তান-জালে বিজড়িত হয়ে, শেষে দেখে অনুপায়! কদাচারে কাঁদে জায়া, বাপ মায়ে নাহি মায়া, ভাইবোনে নাহি পালে স্নেহ-মমতায় ; ভাই ভাই ঠাঁই ঠাঁই, বিসম্বাদ সর্ব্বদাই, দেখিতে না পারে তারা কভু একতায়! শ্রমেতে বিমুখ এরা, শ্রম করে অসভ্যেরা, সভ্য বাঙ্গালীরা শুধু প্রভু-লাথি খায়! ষাট্ বর্ষে মরে দারা, তবু দারা গ্রহে তারা, নাহি লজ্জা বোধ কিংবা অপমান তায়! আছে কি স্বর্গীয় প্রেম তাদের আত্মায়! |
বাঙ্গালীর ছেলে (যুব সমাজের প্রতি...) |
উনিশ শতকের এই কবি মাত্র ১৭ বছর বয়সে মারা যান। |
এক কবি গাথা লিখে বিপ্লবে ধায়! বিপ্লবী তাই শুনে নাচে আর গায়! বিপ্লব সেই দেশে শেষ হলো যেই, ঘুরে বলে --- কবি! তোর আর কাজ নেই! এখন এ দেশে যদি ’গাস কোনো গীত, গাইতে হবেই শুধু রবীন্দ্র সংগীত! বিরস বদনে কবি ভাবে, কোন দোষে, পড়লো সে এ হালের বিপ্লবীর রোষে! এই ধারা পৃথিবীতে পাবে নাকি আর ? ইতিহাস চটকিয়ে জুড়ি মেলা ভার! কবি কয় রবি তুমি ভাগ্যবান ছিলে, জন্মাতে হয় নি তোমায় আমাদের কালে! . ২৯/৫/২০১১ |
রবীন্দ্র সংগীত! |
মেয়েদের পদবীতে গোলমাল ভারী, অনেকের নামে তাই দেখি বাড়াবাড়ি ; ‘আ’কার অন্ত দিয়ে মহিলা করার চেষ্টা হাসির | তাই ভূমিকা ছড়ার | ‘গুপ্ত’ ‘গুপ্তা’ হয় মেয়েদের নামে, দেখেছি অনেক চিঠি পোস্টকার্ড, খামে | সে নিয়মে যদি আজ ‘ঘোষ’ হয় ‘ঘোষা’, তা হলে অনেক মেয়ে করবেই গোসা, ‘পালিত’ ‘পালিতা’ হলে ‘পাল’ হবে ‘পালা’ নির্ঘাৎ বাড়বেই মেয়েদের জ্বালা ; ‘মল্লিক’ ‘মল্লিকা’ , ‘দাস’ হলে ‘দাসা’ শোনাবে পদবীগুলো অতিশয় খাসা ; ‘কর’ যদি ‘করা’ হয় ‘ধর’ হয় ‘ধরা’, মেয়েরা দেখবে এই পৃথিবীটা ----- “সরা” | ‘নাগ’ যদি ‘নাগা’ হয় ‘সেন’ হয় ‘সেনা’, বড়োই কঠিন হবে মেয়েদের চেনা || |
মেয়েদের পদবী |
বলতে পার বড়মানুষ মোটর কেন চড়বে ? গরীব কেন সেই মোটরের তলায় চাপা পড়বে ? বড়মানুষ ভোজের পাতে ফেলে লুচি-মিষ্টি, গরীবরা পায় খোলামকুচি, একি অনাসৃষ্টি ? বলতে পার ধনীর বাড়ি তৈরি যারা করছে, কুঁড়েঘরেই তারা কেন মাছির মতো মরছে ? ধনীর মেয়ের দামী পুতুল হরেক রকম খেলনা, গরীব মেয়ে পায় না আদর, সবার কাছে ফ্যালনা | বলতে পার ধনীর মুখে যারা যোগায় খাদ্য, ধনীর পায়ের তলায় তারা থাকতে কেন বাধ্য ? ‘হিং-টিং-ছট্’ প্রশ্ন এসব, মাথার মধ্যে কামড়ায়, বড়লোকের ঢাক তৈরি গরীব লোকের চামড়ায় || |
পুরনো ধাঁধা |
শোনো একটা গোপন খবর দিচ্ছি আমি তোমায়, কলকাতাটা যখন খাবি খাচ্ছিল রোজ বোমায়, সেই সময়ে একটা বোমা গড়ের মাঠের ধারে, মাটির ভেতর সেঁধিয়ে গিয়ে ছিল এক্কেবারে, অনেক দিনের ঘটনা তাই ভুলে গেছ্ ল লোকে, মাটির ভেতর ছিল তাইতো দেখে নি কেউ চোখে, অনেক বর্ষা কেটে গেল, গেল অনেক মাস, যুদ্ধ থামায় ফেলল লোকে স্বস্তির নিঃশ্বাস | হঠাৎ সেদিন একলা রাতে গড়ের মাঠের ধারে, বেড়িয়ে ফেরার সময় হঠাৎ চমকে উঠি : আরে ! বৃষ্টি পেয়ে জন্মেছে এক লম্বা বোমার গাছ, তারই মাথায় দেথা যাচ্ছে চাঁদের আলোর নাচ, গাছের ডালে ঝুলছে কেবল বোমা-ই সারি সারি, তাই না দেখে ভড়কে গিয়ে ফিরে এলাম বাড়ি | পরের দিনই সকাল বেলা গেলাম সে ময়দানে, হায়রে! -- গাছটা চুরি গেছে - কোথায় কে তা জানে গাছটা ছিল | গড়ের মাঠে খুঁজতে আজো ঘুরি, প্রমাণ আছে অনেক, কেবল গাছটা গেছে চুরি || |
গোপন খবর |
বাংগালিরা চাকরি খোঁজেন প্রেমে পড়ার পরে, হঠাৎ যখন প্রিয়ার বাবা অন্য কোথাও ধ’রে, মেয়ের বিয়ে দেবেই দেবে জবরদস্তি ক’রে ! চাকরি পেলেই নামটি লেখান ইউনিয়ানের খাতে। কাজের সময় মিছিল করেন ঝাণ্ডা নিয়ে হাতে! . ১০.৫.২০১১ |
চোলাইয়ের ব্যবসাটা চলছিল বেশ দুচারটে হামেশাই ট’সে হোতো শেষ! সেই নিয়ে মাথাব্যথা কারো নাহি ছিলো, দিনদুই ডুব দিয়ে ফের ভাটি খোলো। বাংলার মুখপোড়া মিনসেরা যত, মাল খেলো এক দিন হাভাতের মতো! মাতালেরা একে একে মরে দিরভর সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় এক শ সত্তর! এ তো শুধু হাসপাতালেই যারা গেল! নালা নর্দমাতে যে আরও কত মলো ? পাবলিক ক্ষেপে গেলে যা হবার, তা হলো--- ধুপ্ ধাপ্ ভাটিখানা যত, মিশে গেল। এইবার গাড্ডায় প’ড়ে গেল শুঁড়ী সাক্ষী মাতাল যত, গেছে যমপুরী! বাংগালির ব্যাটা তাঁরা চুল্লু বানায়! তাঁদেরও মুরুব্বী আছে উচ্চসভায়! জেনে রাখো, তাঁরা দমিবার পাত্র নয়! স্পর্ধা তাদেরও মোটে ফেলিবার নয়! দেশের শাসক সদা কোমলমতি! তাই, বুকবেঁধে শুঁড়ীদল পুনঃ মহাব্রতী! মিডিয়ায় শোনা যায় কানাঘুষা রবে! তাঁহাদেরও নিঃশর্তে ক্ষমা দিতে হবে! তাঁরা নাকি চাহিছেন --- নিষ্পাপ জীবন! তাই দাবী প্যাকেজের --- পুনরবাসন! কী যে হলো তারপরে কেহ নাহি জানে ভাটি ছাড়া দুষ্টকবির ভাটা পড়ে জ্ঞানে! . ডিসেম্বর ২০১১ |
দিদির ছোঁড়া শক্তিশেল! তাতে মুকুল পেলেন রেল! মাঠে নেমেই What the hell ! মাশুল কমে হাল্কা রেল! এখন নাকি করেন প্ল্যান! কমিয়ে দেবেন হরেক স্ক্যাম! চলবে লাভে রেলের রেক্! থামিয়ে যত ওয়াগন-ব্রেক্! ঢোক্ গিলে যান মনমোহন! কোয়ালিশনের পরিবহন! . ২৪/৩/২০১২ |
বাঙালীর দেশে এল পরিবর্তন ঝন্ ঝন্ ঝন্ ঝন্ ঝন্ ঝন্ ঝন্ বন্ ধের জমানার হলো সমাপন! বাঙালী করিবে নাকি কার্য্যসাধন! বন্ ধের হাজিরা একশোয় শ কেরানিরা সীটে বসে বনে যায় দ কাজ নেই বাবুদের হাতে সেই দিন চা বিরি সিগারেটে কাটে সারাদিন! ঘরপোড়া পাবলিক ঘরেই থাকে প্রয়োজনী কারবার তোলাই রাখে হলেও বা হাজিরা ষোলটি আনা বাস ট্রাম রাজপথ সেই সুনসানা! দুষ্ট কবি বলে বাংগালি ভাই! সরকারী অফিসে যদি কোনো কাজ চাই, বন্ ধের দিনে যাও --- হইবে বিহিৎ পথে যদি কোনো ক্রমে না হও চিৎ . ২৯.০২.২০১২ |
পুলিশ এখন কলকাতায় ওঠে বসে দিদির কথায় দিদি যদি সকাল বেলায় বলেন এখন সন্ধ্যা লালবাজারে মাথা নাড়েন কোটাল পচনন্দা . ১০/৪/২০১২ |
চিরন্তন খোকা শুধায় মাকে মাগো, আমি মিষ্টি যদি হই সন্দেশেতে পিঁপড়ে ধরে আমার গায়ে কই ? তুমি আমায় চুমু দিয়ে বল - ‘মিষ্টি ছেলে’ । দোকান নেই, ময়রা নেই আমায় কোথায় পেলে! মা হেসে কয়, তুই যে আমার জনম ভোরের চাওয়া তাতেই ছিল মায়ের মধু তাতেই তোকে পাওয়া। |
দিনেশবাবুর হাতের মোয়া হঠাৎ সেদিন গেলো খোয়া মহামহিম মন্ত্রী ছিলেন হঠাৎ মর্তে নেমে এলেন তাহার মূলে রেলের মাশুল বৃদ্ধি করাই হয়েছে ভুল ছিলেন তিনি তৃণমূল এখন হলেন চক্ষুশূল . ২৪/৩/২০১২ |
বান ডাকে বাংলার নদী নালা জুড়ে যেথা সেথা বেনোজল ধেয়ে ঢুকে প’ড়ে হাত দিয়ে মস্তকে ভাবে বাংগালি এত জল এতদিন কোথা ছুপে ছিলি !? দুষ্ট কবি বলে আর ব’সে লেখে শাসকের দলে সদা এই জল ঢোকে! . ২/৩/২০১২ |
হরিদাস বাংগালি নিদ্রায় জল ঢালি বলেছিল চাই পরিবর্তন যেন কথা তেন কাজ হাওয়া হলো লালরাজ দুই হাতে লুকাইয়া আনন তারপরে বাংগালি সানন্দে দিয়া তালি শ্বেত কবুতর সম নাচে কয় মাস পার হলে সে আশায় জল ঢেলে বাজপাখী ফের ফিরে আসে আসিল নতুন যুগ চাপিলো নব হুজুগ দিদি দেয় নয়া নির্ঘন্ট দেখিবি- যা আমি বলি শুনিবি- যা আমি বলি সব শঠ, মোরাই শুধু সন্ত পাঠাগারে সমিতিতে চায়ের কাপের সাথে পড়িবি কি সংবাদপত্র এই দিনু ক’রে ঠিক্ হাই তোল্ ফ্যাল্ পিক্ মুখ বুজে দ্যাখ্ মোর চিত্র দুষ্ট কবি প্যাঁচে একেবারে পড়ে গ্যাছে কি যে করে ভাবিয়া না পায় মাথা চুলকিয়ে টাক্ বলে ভেরি ব্যাড লাক্ পরিবর্তন বোঝা দায়! . ৩০.০৩.২০১২ |
প্রণববাবুর পোঁ ধরেছেন কবীর সুমন দাদা দিদির যাত্রা চটকে দিতে তাঁকেই ভোটটা বাঁধা! জঙ্গল মহলে যাদের ছিলো অভিযান তিনি তাদের নেতা এবং মুশকিল আসান তিনিই তিরিশ বছর ধরে গড়াপেটা খেলে রাজ করেছেন কেন্দ্রে গিয়ে বাম কে রাজ্য ঠেলে যাঁদের ছায়া ছুঁতেই নারাজ সেকুলারি জোট রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মিষ্টি তাদের ভোট বাল থ্যাকারে শিবসেনাধীশ! তাঁকেও করেন ফোন! ---ভোটটি দয়া করে দেবেন ভেবে আপনজন |
দেশের গরীব কৃষক শ্রমিক মরলে যারা মূক আমীর দেশের কষ্টে তাদের উপচে পড়ে দুখ! মনমোহনের সনমোহনের তিনিই মন্ত্র-দাতা রাজ্য ডুবুক ঋণের খাদে ইউরোপে যায় ভাতা! দুষ্টকবি ধন্দে বলে কবীর সুমন দাদা, বলছে যখন, হবেই তখন প্রণব মহান ত্রাতা . ২১.০৬.২০১২ |
আচ্ছা মহিলা কবিরা কি মদ খায় ! মদ কি জড়ায়ু পর্যন্ত যায় ? নাকি শুধুই স্তনের শিকড় ভেজায় আমার তো তাই মনে হয় না হলে ও দুটো কেন কথায় কথায় দোল খায় ? আচ্ছা মহিলা কবিরা কি মদ খায় ! মদ কি ওতদূর পর্যন্ত যায় ? |
ফারুক হোসেন |
পপির ফুল বোঁটায় তোর গোলাপ রঙ, অবন্তিকা শরীরে তোর সবুজ রঙ, অবন্তিকা আঁচড় দিই আঠা বেরোয়, অবন্তিকা চাটতে দিস নেশায় পায়, অবন্তিকা টাটিয়ে যাস পেট খসাস, অবন্তিকা |
টাটাবাবুর জন্য জমি নিলে সেটা ঠিক! চাষাভুষার জন্য নিলেই অসাংবিধানিক! টাটাবাবুর পয়সা আছে মামলা করতে পারে! তার জমিটা কেড়ে নিলেই সবার নজর কাড়ে! দুষ্টকবি দেখে অবাক! টাটার ঝাণ্ডা ধ'রে, নাম-কা-ওয়াস্তে-সমাজবাদীর এখনও অশ্রু ঝরে! . ২৩.৬.২০১২ |
রতন টাটা কপাল ফাটা রতন টাটা কপাল ফাটা | বঙ্গে এসে জুটল ঝাঁটা | মনের দুঃখে গুজরাটে যান, নরেন মোদির বাজনা বাজান ! নরেন মোদি ? মনে পড়ে ? ধর্ম নিয়ে দাঙ্গা করে | শুধু, লাভের তরে হিসাব করে, এমন মানুষ কী লাভ ঘরে ? মধ্যবিত্ত-- হে বাঙালী! বুক চাপড়ে কাঁদিস খালি! |
মানুষ মেরে, জীবন কেড়ে, দুধে ভাতের আখের গড়ে, অন্য কারো দীর্ঘশ্বাসে, স্বাদ কি পাবি মুখের গ্রাসে ? অন্য কারো অশ্রুধারে সুখ কি কভু আসে ঘরে ? দুষ্ট কবি তাই তো বলে -- যে জন যাবার, যাক না চলে | টাটা গেছে, ন্যানো গেছে, রাহুর দশা ছেড়ে গেছে | গেছে গেছে বালাই গেছে | আমরা আছি বাংলা আছে! . ১৯.১০.২০০৮ |
মন ভরে না পাখীদের চোখ ফোটে ফুলের কুড়িও ফোটে বাঙালীর মুখ ফোটে না! সভা কবিদের ঠোঁটে লেজ নাড়া হাসি ফোটে গোলাপী চশমা হটে না! পার্কে, লেকের ঘাটে কাতারে কাতারে হাঁটে সুখের হদিস জোটে না! এ দেশের মাঠে ঘাটে কৃষকের ঘাম ছোটে সুদিনের আলো ফোটে না! শ্রমিক মজুর মুটে গেছে ডাল ভাত ছুটে বাঁধা কল তালা খোলে না! চাকরি দেবার খাতে চাষাকে বসিয়ে পথে লুটে জমি মন ভরে না! . মার্চ ২০০৯ |
লাল পালটে সবুজ হলো হট্ট মেলার দেশে। ভাবছে সবাই কী পেয়েছি “পরিবর্তন” শেষে। ভাবছে মানুষ শোষণ-জুলুম আর কবে শেষ হবে ? অত্যাচারের ফারাক কোথায় হার্মাদে-ভৈরবে ? কেউ ভাবছে এই মওকা, গুছিয়ে নেব আখের। আসল কথা লাভের গুড়, রাজনীতি তো সখের। |
বারো মাসেই বেহাল দিদি, ঘাসফুল রঙ ফিকে। লালা বেড়ালে ওঁত পেতেছে ছিঁড়বে কবে শিকে। “বৃহত্তর বাম ঐক্য”র ফন্দিটা বেশ খাসা। এই চালেতেই উল্টে যাবে রাইটার্সের পাশা। হার্মাদেরা আবার ফিরে আসবে বীরের বেশে। বাম নেতারা স্বপ্ন দেখে আলিমুদ্দিনে বসে। টক্ শোয়েতে আসর জমে, কেচ্ছা-কেলেঙ্কারি। “জন-দরদী” সেজে সবার চলছে দেখনদারি। |
একটু যদি তোয়াজ করে দিদির ভজন করি। মিলতে পারে বাড়ি-গাড়ি কিংবা নগদ কড়ি। “বুদ্ধিজীবী” ছিলেন যাঁরা পালাবদলের পরে, “বঙ্গ বিভীষণ” হলেন দিদির আঁচল ধরে। কেউ বা করেন হাপিত্যেশ মিটলো না সাধ-আশা। ভোটের পরে দিদি অনাদরে করে দিলো কোণঠাসা। কেউ বা আবার রঙ্গ দেখে মুচকি হাসি হাসেন। বাম জমানার জাগরণের নতুন ছবি কষেণ। |
কেউ মারে টান কোঁচা ধরে, কেউ বা ফাটায় হাঁড়ি। হট্টমেলার দেশে খেলা আজব রঙবাহারি। জনগণ ভাবে কোন পথে যাবে, বাম দিকে নাকি ডাইনে। ভাবতে ভাবতে বছর ঘুরবে, দাঁড়াবে ভোটের লাইনে। জনরোষ তবু চেপে রাখা দায়, বারুদ হয়ে জ্বলে ওঠে। গণসংগ্রাম যায় না তো রোখা বুলেটে-ব্যাটনে-ব্যালটে। . ২১.৬.২০১২ |
দেয়ালিকা - সুকান্ত ভট্টাচার্য বর এসেছে বীরের ছাদে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দূরের পাল্লা - সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কঞ্জুস বুড়ো বসে - সত্যজিৎ রায় গান গাহে মিসি বাবা - কাজী নজরুল ইসলাম খুকু ও খোকা - অন্নদাশঙ্কর রায় চুমু - সুবোধ সরকার মুখোশটা বদলায় - রাজেশ দত্ত আছি হাঁটাহাঁটিতে - বিপুল চক্রবর্তী পড়ার হিসাব - সুকুমার রায় মুখ্যমন্ত্রী নিদ্রাহীন - কাঞ্চনকুমার ক্যানিং লোকালের ভীড়ে - দুষ্ট কবি ভাষাতাত্ত্বিক - শিশিরকুমার দাশ পরিণতি - কালিদাস রায় ওসামার যুদ্ধে - দুষ্ট কবি চন্দ্রহাস - শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় সবিনয় নিবেদন - শঙ্খ ঘোষ বঙ্গ সংস্কৃতি কর - কাঞ্চনকুমার বুক চিতিয়ে - সরোজ দত্ত বাস স্টপে ছিল - দুষ্ট কবি ইকড়ি মিকড়ি - নিন্দুক বাঙালীর মন চায় - দুষ্ট কবি টুপ করে - সরোজ দত্ত শুনেছ কি বাংলায় - দুষ্ট কবি আজগুবি নয় - নিদুক বঞ্চনার ভাঙা হাটে - সরোজ দত্ত মারা গেলেন লাদেন - দুষ্ট কবি |
ছড়াং - প্রমথ চৌধুরী চিড়িয়াখানা - বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নববর্ষের ভোজ - দিনেশ দাস ময়মনসিংহের চিঠি - উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী বাংলার সম্পদ - দুষ্ট কবি ভোটের আগে গান - দুষ্ট কবি ডেমোক্রেসি - বিপুল চক্রবর্তী খুনে ক্ষান্তর ফাঁসীর সাজা - দুষ্ট কবি দিব্যি ছিল বাঙালি - শিশিরকুমার দাশ বিশ্বের ফরমুলা ওয়ান রেসে - দুষ্ট কবি বোতলে বোতলে - দাদা ঠাকুর বাংগালিরা হিন্দু হলে - দুষ্ট কবি দিদির হাঁড়িতে - দুষ্ট কবি ভোট রঙ্গের গান - দাদা ঠাকুর ফটিক টিং - পূর্ণেন্দু পত্রী লগ্নি হবে? যাবেন কোথায়? - প্রতুল মুখোপাধ্যায় বিশ্বে দিছেন উপরওয়ালা - দুষ্ট কবি আতাচোরা - শক্তি চট্টোপাধ্যায় পেতেছিলাম জবর ফাঁদ - প্রতুল মুখোপাধ্যায় আগে বলতাম - প্রতুল মুখোপাধ্যায় দিদির আপন দেহরক্ষী - দুষ্ট কবি হাতে হাতে আরাম - শিবরাম চক্রবর্তী নীলে ঘোড়া - শামসুর রাহমান আমেরিকা ফাঁক খুঁজে - দুষ্ট কবি কিছু উভচর আছে - সুভাষ মুখোপাধ্যায় ময়নার বায়না - আশাপূর্ণা দেবী বিদ্যাসুন্দর - বুদ্ধদেব বসু |
বাঘের থাবা - নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ইকড়ি মিকড়ি - অমিতাভ চৌধুরী আমেরিকা আজব দেশ - অমিতাভ চৌধুরী দিদিমণি বেশ ছিল - দুষ্ট কবি কলকাতা - বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য্য ভাষা - মল্লিকা সেনগুপ্ত লাল টুকটুক নিশান ছিল - বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ইনসাফ ৫ - মৃদুল শ্রীমানী শক্তি মায়ের - যতীন্দ্রমোহন বাগচী ইনসাফ ৬ - মৃদুল শ্রীমানী আমার সংসার - নির্মলেন্দু গুণ বার বিচার - রাধারাণী দেবী সিঙ্গুর ৪ - সাধন বারিক রাজকাহিনী - শামসুর রাহমান বহিরাগত - শঙ্খ ঘোষ মনমোহন সিং - দুষ্ট কবি ভালবাসা কি তেমনি পাথর- শর্মিষ্ঠা সেন নামী এন জি ও - সুখেন্দু সরকার মায়াতরু - অশোকবিজয় রাহা লাল কালো পাখীগুলো - বরুণ মজুমদার অমিতউপার বায়না - দীপ্তি বন্দ্যোপাধ্যায় সীতার বিবাহের গীত - গঙ্গামণী দেবী বাবা বুঝি এল - গিরিন্দ্রমোহিণী দাসী পীক পক্ষী - দুষ্ট কবি মূল্য বিচার - জীবনাথ রায়চৌধুরী লক্ষণ! লক্ষণ! - দুষ্ট কবি আমরা শুনেছি তার - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় |
শালিক পাখি - মোহিত ঘোষ হাঁস চলেছে - মোহিত ঘোষ বাংলার আকাশে দেখ - দুষ্ট কবি ময়না - মোহিত ঘোষ বাঙ্গালীর ছেলে - পঙ্কজিনী বসু রবীন্দ্র সংগীত - দুষ্ট কবি মেয়েদের পদবী - সুকান্ত ভট্টাচার্য পুরনো ধাঁধা - সুকান্ত ভট্টাচার্য গোপন খবর - সুকান্ত ভট্টাচার্য বাংগালিরা চাকরি খোঁজেন - দুষ্ট কবি দিদির ছোঁড়া শক্তিশেল - দুষ্ট কবি চোলাইয়ের ব্যবসাটা - দুষ্ট কবি বাঙালীর দেশে এল পরিবর্তন - দুষ্ট কবি পুলিশ এখন কলকাতায় - দুষ্ট কবি চিরন্তন - অমর ভট্টাচার্য চাঁদের বুড়ি থাকনা - অমর ভট্টাচার্য দিনেশবাবুর হাতের মোয়া - দুষ্ট কবি বান ডাকে বাংলার - দুষ্ট কবি হরিদাস বাংগালি - দুষ্ট কবি প্রণববাবুর পোঁ ধরেছেন - দুষ্ট কবি আচ্ছা মহিলা কবিরা কি - ফারুক হোসেন পপির ফুল - মলয় রায়চৌধুরী টাটাবাবুর জন্য জমি - দুষ্ট কবি রতন টাটা কপাল ফাটা - দুষ্ট কবি মন ভরে না - দুষ্ট কবি লাল পালটে সবুজ হলো - রাজেশ দত্ত |
চায়ের বাগান কয়লাখনি কলেজ থানা আপিস-ঘর চেয়ার টেবিল দেয়ালঘড়ি পিয়ন পুলিশ প্রোফেসর ! তার বেলা ? যুদ্ধ জাহাজ জঙ্গী মোটর কামান বিমান অশ্ব উট ভাগাভগির ভাঙাভাঙির চলছে যেন হরির-লুট ! তার বেলা ? তেলের শিশি ভাঙল বলে খুকুর পরে রাগ করো তোমরা যে সব বুড়ো খোকা বাঙলা ভেঙে ভাগ করো ! তার বেলা? |
দেয়ালিকা ১ |
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে লিখি কথা | আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার স্বাধীনতা || |
এই পাতাটি পাশাপাশি, ডাইনে-বামে স্ক্রল করে! This page scrolls sideways, Left-Right ! |
|