পরিবর্তনের দ্বিতীয় অধ্যায়ে . . . মা-মাটি-মানুষ হইয়া দিল-খুশ জিতিলো নির্বাচন। বঙ্গের ঘরে দ্বিতীয় বারের দিদির সিংহাসন॥ ভোট চলা কালে রদ-বদলে পুলিশ আছিল যত। ইঞ্চিতে-ইঞ্চিতে বদলাটা নিতে ঝাড়্ দিলো কথামত॥ যত পাড়া-ক্লাব করি মগজ সাফ ঘুষ দিয়া অনুদানে। নির্বাচন-কালে তারা ত্রাস ঢালে চুকাইতে সেই ঋণে॥ সারদা নারদা সিণ্ডিকেট দাদা দিদি ভাইদের ছিরি। বুক ঠুকে কয়--- “যদি, সিণ্ডিকেট যায় সরকার যাবে পড়ি”॥ একে একে ভোট বহে রক্ত-নোট রক্তমাখা প্রতিনিধি। সবই নাকি জাল ঘোর কলি কাল! সব চোর! সাধু দিদি॥ |
. |
দেয়ালিকা ৫ |
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে লিখি কথা | আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার স্বাধীনতা || |
এই পাতাটি পাশাপাশি, ডাইনে-বামে স্ক্রল করে! This page scrolls sideways, Left-Right ! |
যে কোনো কবিতায় ক্লিক্ করলেই সেই কবিতাটি আপনার ব্রাওজারের ডান দিক ঘেঁষে ফুটে উঠবে |
ছড়া, সে যে কোন ধরণেরই হোক না কেন, এই দেয়ালে তুলতে হলে আমাদের কাছে নিচের ইমেলে পাঠাবেন। আমাদের ওয়েবসাইটের সম্পাদক মণ্ডলীর অনুমোদন সাপেক্ষে আমরা তা তুলে দেবো। আমাদের ই-মেল: srimilansengupta@yahoo.co.in তাহলে আর দেরী কেন? ছড়ার ছররা ছড়িয়ে, দেয়াল তুলুন ভরিয়ে...! . রাজেশ দত্ত কবিদের পাতায় যেতে তাঁদের নামের উপর ক্লিক করুন |
অঙ্গীকার তোমার রক্তে স্নান করেছে আজকে ভোরের সূর্যটা তাই খুন মাখানো লাল। আমার জন্য বুকে নিলে বুলেট ক্ষত ঝাঁঝরা শরীর সুদৃঢ় চোয়াল। শরীর মোড়া তেরঙ্গাতে গানস্যালুট অগ্নিতিলক দৃপ্ত কপাল। কোটি প্রানের অঙ্গীকার অভিবাদন পাঠানকোট নির্ভয় সকাল। |
পাঠানকোট ১ যারা যারা লড়তে যাচ্ছে পরের ভোটে একবারটি যেতেই হবে পাঠানকোটে একবারটি দেখতে হবে রক্তমাটি নির্বাচনে গড়ের খেলা গড়ের মাঠে পুত্রহারা বাবার চোখে রক্তপলাশ পিতৃহারা সন্তানদের তত্ত্বতালাস শহিদজায়া বৈতরণী নিচ্ছে জপে? একবার হও মুখোমুখি পাঠানকোটে যার যা গেল ফিরিয়ে দেবে রাষ্ট্রনীতি? গানস্যালুটে একমিনিটের নীরব স্মৃতি! কয়মরণের ইক্যুয়েশনে পদ্মফোটে সীমান্তে আয় সীমন্তিকার পাঠানকোটে আর কতদিন দেশপ্রেমে স্বাধীনতা? আর কতদিন নিজের দেশে আলোকলতা! আর কতদিন আইনসভায় প্রশ্ন ওঠে উত্তর কি মিলতে পারে পাঠানকোটে! পাঠানকোটে নিরাপত্তার রঙিন ফানুস কেমন করে চুপসে গেল দেখছে মানুষ পাঠানকোটে সংবিধানের মলাট ঢাকা লজ্জা-স্বদেশ ঘুরিয়ে দেবে কালের চাকা! |
পাঠানকোট ২ তোমাদের মৃত্যুতে লজ্জায় মরেছে বিশ্বাস মজ্জায় ভুলবো শহিদের প্রাণদান? বাঁচলো রাষ্ট্রের খানদান! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জিরিয়ে কী দামে দেবে প্রাণ ফিরিয়ে? শিখণ্ডী রাষ্ট্রের সামনে খাদ্য দিয়েছিস দাম-নে এ মহাজীবনের কর্জ মরণে দধীচির বজ্র- |
রোহিত হায়দেরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রোহিত ভেমুলার আত্মহত্তার পর লেখা ছেলেটা গেল অভিমানে চ্যাঁচালো সাথী পরিজন যায়নি মেরু অভিযানে আদতে ছিল সে হরিজন? রাষ্ট্র এখনো বামুন আই পি সি পরে উপবীত যতো বলো একটু নামুন যত যাক ভোট লেপ শীত রোহিত কি চণ্ডাল- জাত? চিতা কি দশাশ্বমেধ? কাশী কি শিখা সঞ্জাত শাস্ত্র মানে আজও বেদ! অপেক্ষা ছিল ছোকড়ার উপেক্ষা কিঞ্চিৎ বেশি বামুনে নীলা-পোখরাজ দলিত এখনো ভিনদেশি। ছেলেটা সরে গেল ম’রে কোথা গেল সে শুদ্রযুগ টান কে দেবে গোঁড়া ধরে জাত তো ভোটের হুজুগ। |
নিলামবালা পাঁচ পাঁচ লাখ শীতের রাতে ওম নিচ্ছে নিম আঁচে কে! মন্ত্রী নেতা কিনতে পারো লাখ পাঁচেকে ভিক্ষুকেরও মর্যাদা আজ স্ব-স্বীকৃত বারাঙ্গানাও অনেকখানি অবিক্রীত লাখ পাঁচেকে কিনবে নেতার ঘিলু-মগজ? কেঁচোর মত শিরদাঁড়া যার ময়লা কাগজ! যাদের ভাবছো শুভ্রপালক, অবোধ বালক নালক ভাবছো? এরা সবাই এঁটো না-লোক শ্রমে ফসল ফলায় চাষি কতটা লাভ! নেতা-মন্ত্রীর গর্ভ সরেস শাঁসাল ডাব। ইন্দোরে যে গান-বাহারী, হিপ নাচে কে? নীলনয়নী হাওয়াই চটি লাখ পাঁচেকে! |
চাপে চ্যাপ্টা কচিকাঁচা চাপে চ্যাপটা কচিকাঁচা ভিড়ে বাবা মা মেরুদন্ড যাচ্ছে বেঁকে বইতে পারে না || নিশাচরের জীবন এখন ঘুমের সময় কই চুরি গেছে ঘুমের মাসী সকাল সন্ধ্যে বই || বইএর পোকা হচ্ছে খোকা মনটা গেছে মরে হারিয়ে গেছে লুকোচুরি সিলেবাসের চরে || |
বাপের ইচ্ছে মায়ের ইচ্ছে বাপের ইচ্ছে মায়ের ইচ্ছে বাড়ে ছেলে পুলে নিজের ইচ্ছা জলাঞ্জলি ইচ্ছে নদীর কুলে | খেলার সময় পায়না খেলা গান তো গায় না মা বলে পড়ো এখন ওসব এখন না --- শনিবারে মায়ের ইচ্ছে সাঁতার টেবিল টেনিস রবিবারে বাবার ইচ্ছে ক্রিকেট এবং স্প্যানিস | এর মাঝেতে পাথফাইন্ডার কেউবা আকাশে ধিকি ধিকি মরছে খোকা হচ্ছে ফ্যাঁকাসে || |
নিরাপত্তা নিরাপত্তা নিরাপত্তা নিরাপত্তা কই নিরাপত্তা অলীক স্বপন ভরা চাষে মই || নিরাপত্তা চাইছে পুলিশ চাইছে শিক্ষা গুরু বিচারকে পায়না বিচার বুকে গুরু গুরু || কবির দেশের দামাল ছেলে নাচছে সারাক্ষণ কখন হারায় কোলের খোকা মায়ের | বুকের মানিক ধন || সন্ধ্যে হলেই মেয়ের বাপের বুকটা দুরু দুরু || কখন ফেরে কখন ফেরে চোখের মণি চারু || রাত বারোটা খবর এলো ফিরবে না আর সে ছিঁড়ে খেলো দামাল শিশু কোলের সোনা মেয়ে || তোমার কাছে চাইছি বিচার হে প্রভু ঈশ্বর তুমি যদি পার বাঁচাও মেয়ের মায়ের ঘর || ধুঁকছে সদাই মানুষ জনে শান্তি শান্তি চাই শ্মশান ঘাটে শান্তি এখন বাড়া ভাতে ছাই || চুপটি করে থাকতে হবে নইলে জীবন মরণ দষ্যুপনায় ভরেছে দেশ তবুও বিশ্বায়ন || |
মা বাপেদের নেইতো খেয়াল ইচ্ছে হাজার খানা সবার করবে পূরণ কোলের কচি ছানা || নিজের তারে বাজেনা আজ হচ্ছে খোকা মন্ত্র জগত্টাকে চিনলো না সে খাচ্ছে কুরে গ্রন্থ || ঘরে ঘরে রোবট খোকা বাড়ছে প্রতিদিন ভাবছে খোকা হোত যদি হোত আলাদিন || বাবা মায়ের স্বপ্ন শত করবে খোকা কি ইচ্ছে ডানা দেয়না সাড়া হচ্ছে একলাটি || একাকিত্ব সঙ্গী খোকার এখন গিলছে অবসাদ রেলের তলায় ছিন্নভিন্ন . খোকার ভবিষ্যৎ || |
হিম্মৎ নেই আমি বেঁচে আছি, তুমিও তো বেঁচে আছ মাথার ওপরে ভাঙেনি উড়াল পুল ভাগ্যদেবীকে ধন্যবাদই তো দেব খুঁজব না তবু কারা নষ্টের মূল ! যারা অক্লেশে খাবারে ভেজাল দেয় ইমারতি মাল মশলাও জাল করে সরকারি কাজে ঠিকা নিয়ে ধনী হয় কার হিম্মৎ ঐ খুনিদের ধরে ? কিছু মানুষের লোভের মাশুল দিতে পিঁপড়ের মত মানুষ মরবে গাদা এদেশে এখন এইটাই স্বাভাবিক এক ফোঁটা তেলে নাচেন এখানে রাধা ! আমি বেঁচে আছি, সেটাই কি কাফি নয় ? সচেতনতার দায় নিতে বয়ে গেছে আমারই ট্যাক্সে যাদের বেতন হয় তাদেরই লাঠিকে ভয় পেয়ে আছি বেঁচে ! কি লাভ ,খামখা ঝামেলা মাথায় নিয়ে ? সকলেই জানি কোথায় গলদ ভুল সাহসই নেই যে বলব আঙুল তুলে এরা সব কটা যত নষ্টের মূল !! |
পোস্তার উড়াল পুল ভেঙে পড়ার পরে তৃণপুষ্পের প্রতীকধারী, তুমিই পদ্মফুল, পঙ্কমাঝে বিরাজ ক’রে, পঙ্কজ মহাকূল। সেই পঙ্কজ জন্মে পাঁকে, তাহার আতুর ঘর। তুমি নিজেই রচেছো এই, পাঁকের চরাচর। পরিবর্তন, উন্নয়ন, যতই চেঁচাও তুমি, দেখছে মানুষ, তোমার পঙ্ক, লুঠছে বঙ্গভূমি। আমরা-তোমরা ভাগ তো ছিলোই, এবার রক্তে ভাগ! ফিরিয়ে দিয়ে রক্ত-দাতা, রক্তে ধরালে আগ। ফুটছে রক্ত শিরায় শিরায়, ফুটছে বঙ্গবাসী। দুষ্টকবির শঙ্কা --- এবার যাচ্ছো গয়া-কাশী। . ********************* কলকাতা, ২.৪.২০১৬ |
ভাঙা উড়ালপুলের নিচে থেকে ভেঙে পড়ল উড়ালপুল বিলেত হবার তাবত্ অহংকার বাজেট কেটে দায়সারা চেকনাই স্তুপের নিচে বিমর্ষ সংসার . যারা গেল স্বপ্নভাঙারদল . বাঁচার জন্যে আকুতি সম্বল পিষ্ট মানুষ বাঁচুক বা না বাঁচুক কে কতটা দোষী হিসেব করো লাশ গায়েবে পুলিশ বনাম সেনা তক্ক ছেড়ে একটা হাত তো ধরো . খুঁটিয়ে দেখো টেন্ডারে কার সই . কোন আমলের-প্রকাশ্যে আনবই রড বালি চুন ইঞ্চিতে কাটমানি একমাসে কাজ ফিতে কাটতে হবে কী লাভ স্থায়ী কলোসিয়াম গড়ে ক্ষণস্থায়ী ভরাবে বৈভবে . পাথর চাপা বিমর্ষ মুখ।হাত . নীল সাদাতে লোহিত রক্তপাত অমর হওয়ার সস্তা দ্যুতি থামাও স্পটলাইটে বাঁচতে চাওয়া সুখ কে বুঝবে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে মৃত্যু নিয়ে ভর্তুকি কৌতুক . ঢালাই সুধু?চারিদিকেই খাদ . শুনতে পাচ্ছো মড়ার আর্তনাদ! |
ক্ষমা করবেন, হে জীবনানন্দ দাশ অজ্ঞাত কবি। ইন্টারনেট-হোয়াটস্অ্যাপ এর ছড়া। প্রাপ্তি ২৫.৩.২০১৬ পাঁচটি বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি বাংলার পথে, সারদা সমুদ্র থেকে এখনকার নারদা সাগরে অনেক ঘুরেছি আমি; কিশানজিদের ধূসর জগতে সেখানে ছিলাম আমি; রাতের আলো নেভানো যাদবপুরে; আমি রাফ-এন-টাফ এক, চারিদিকে রাজনীতির ধুলো কাদা পাঁক, আমারে দু-দন্ড শান্তি দিয়েছিল লন্ডনের টেমসের বাঁক। চুল তার কবেকার ভারতীর মেদিনীপুরের নিশা, মুখ তার মদনের কারুকার্য; অতি দূর সিঙ্গুরের পর অক্সিজেন ছাড়া যে কেষ্ট হারায়েছে দিশা নবান্ন বাড়ির ছাদ যখন সে মনে ভাবে দ্বিতীয় বারের তরে তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, “ঐ তো শুভাদার কালো কালো কাক”। কাকের বাসার মত চুল নিয়ে ভুল করা ছোট ছোট ছেলেদের ঝাঁক। ৪০০ বছরের কাজের শেষে গোর্খাল্যান্ডের পাহাড়ের মতন সন্ধ্যা আসে; ডানার ঘাস ফুলের গন্ধ মুছে ফেলে চিল; সব নীল সাদা রঙ মুছে গেলে ‘জাগো বাংলা’ করে আয়োজন তখন বক্তৃতার তোড়ে ত্রিফলার আলো ঝিলমিল; সব নেতা ঘরে ফেরে - সব মাটি - ফুরায় এ ভোটের সব লেনদেন; থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার মুনমুন সেন। |
অজ্ঞাত কবি। ইন্টারনেট-হোয়াটস্অ্যাপ এর কবিতা। প্রাপ্তি ৩.৪.২০১৬। |
শ্রী শ্রী ফেসবুক পাঁচালি অজ্ঞাত কবি। ইন্টারনেট-হোয়াটস্অ্যাপ এর ছড়া। প্রাপ্তি ২৫.৩.২০১৬। সুর করিয়া পড়িবেন জোরে জোরে। শুনো শুনো বন্ধুজন শুনো দিয়া মন, ফেসবুকের বিচিত্র লীলা করিগো বর্ণন। যে নেশায় ডুব দিলে জগৎ হয় লয়, জ্ঞানী-গুণি তাহাকেই ফেসবুক কয়। ডেক্সটপ, ল্যাপটপ, ট্যাব, সেলফোন, ফেসবুক দেবতার ইহারা বাহন। সারাদিন ডিসপ্লেতে চেয়ে দুই চোখ, কাহাকে করিবে লাইক, কাহাকে বা পোক্। দাঙ্গা-দুর্ভিক্ষ বা সুনামিই হোক, মা-বাবা মরিলেও সরিবেনা চোখ। সকালের প্রাতঃরাশ, রাতের ডিনার, এ্যকাউন্ট খুলিলেই ভুলিবে আহার। পুরাযুগে থাকিলে এইসব স্কিম্, অনাহারে ভীম ভায়া হইতেন স্লিম। কত না বিচিত্র ছবি নিত্য হয় পোষ্ট, কুত্তা করিছে পটি, মানুষ খায় রোষ্ট। |
অজ্ঞাত কবি। ইন্টারনেট-হোয়াটস্অ্যাপ এর ছড়া। প্রাপ্তি ৩.৪.২০১৬। |
বড় বড় কোটেশন্ ঝাড়িতেছে রোজ, অন্যকে দেয় জ্ঞান নিজের নাই খোঁজ। প্রতিদিন প্রোফাইলে নতুন পিকচার, বিচিত্র ভঙ্গিমা তার, কারিণা কোন ছাড়। প্রশংসা করিতে তুমি রাখিবেনা খাদ, অন্যথা ফ্রেন্ড লিস্টে যাবে নাম বাদ। রোজ রোজ পাঠাইবে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট, দশাঙ্গুল ভুলিয়া যেন নাহি পায় রেস্ট্। অচেনা করিলে বন্ধু কী হইবে হার্ম, এই সব না ভাবিয়া করিবে কনফার্ম। কেউ কেউ ফেসবুকে খেলে নানা গেম, এ্যাকাউন্ট না থাকিলে এক্কেবারে শেম্। পোষ্ট কর রাত জাগি যাহা আছে শখ্, ভাবিওনা ভবিষ্যৎ যদি হয় লক্। জয় জয় ফেসবুক পূজিব চরণ, উচ্ছন্নে যাহিতে চাই কোরোনা বারণ |
রেহান কৌশিক। ইন্টারনেট-হোয়াটস্অ্যাপ এর ছড়া। প্রাপ্তি ৩.৪.২০১৬। |
দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায়। ইন্টারনেট-হোয়াটস্অ্যাপ এর ছড়া। প্রাপ্তি ৩.৪.২০১৬। |
শহীদ নাম ছিল তার উন্নয়ন আকাশ জোড়া বিজ্ঞাপন, এই শহর আর পোষায় না লন্ডন হবে কলকাতা । উঠছে ব্রীজ, জ্বলছে আলো, গরীব মায়ের কপাল ভালো। সংস্কৃতির বেলুন ওড়ে, শিল্পী আসে, শিল্প গড়ে। পুঁজির টাকা ভাগের মাসি শিল্পপতির অট্টহাসি। সেই হাসিতে আগুন জ্বলে আজ বাজারে, হাসপাতালে পুড়ছে কত মরছে কার? হয়না তখন আবিস্কার। হঠাৎ করে ভর দুপুরে, কান ফাটানো শব্দ করে ব্রীজগুলো সব ঝাপিয়ে পড়ে- স্কন্ধকাটার নেত্য করে |
শাশ্বতী ভট্টাচার্য ইন্টারনেট-হোয়াটস্অ্যাপ এর ছড়া। প্রাপ্তি ৩.৪.২০১৬। |
যাত্রীবোঝাই গাড়ির ওপর - প্রাণের শিবির রক্তসফর। ব্রীজের তলায় আটকে থাকা হাত-পা গুলো রক্তমাখা। দোমড়ানো সব আস্ফালন নাম দিয়েছি উন্নয়ন। চ্যানেল জুড়ে গরম ফাইট - ফটোয় ভরা সোশাল সাইট, তারপর সব দয়াল নেতা ভাষণ জোড়া টাকার কথা, ক্ষতিপূরণ এর চমৎকার ভোটটা দিলেই অঙ্গীকার- 'লন্ডন হবেই কলকাতা' লাশগুলোর আর কি চিন্তা? উন্নয়নের জন্ম দিলো.... শহীদ হয়ে মানুষগুলো॥ |
|
কার কি আসে যায় আগেও ভেঙেছে, আবারও ভাঙবে কার কি আসে যায় সেমিফাইনালে হারলে ভারত মরে যাই লজ্জায় রক্তমাখা হাত চাইছে কয়েক ফোঁটা জল পরে দেওয়া যাবে, আগে নাহয় ছবিটা তুলি, চল। কোমর অবধি চাপা পড়ে আছে হাতটা তো অক্ষত ‘নোটা’য় যেন আঙুল না দেয় বোঝাস নিজের মত। যে পুলকার স্ক্র্যাপ হয়ে গেছে আমার বাচ্চা ছিল না চ্যানেল ঘোরাতে ঘোরাতে ভাবছি পিৎজা-বয় কেন এলো না! |
জয়তী অধিকারী jayati.adhikary@gmail.com |
আমার শহর ৪.৪.২০১৬ আমার শহর বাকরুদ্ধ অনুভবহীন অসাড় পিষ্ট হল স্বপ্নগুলো আকাশ ছাওয়া আঁধার আমার শহর রক্তস্নাত প্রতিশ্রুতি চুরমার সেতুর নীচে মৃতস্বজন শুনছোকি হাহাকার? আমার শহর রাজনীতি মৃতদেহ দরদাম রক্ত নিয়েও দলাদলি ভাবছো ডান না বাম? আমার শহর ভাঙা সেতু রক্তের জাত খোঁজা আঘাত সয়েও টান করা পিঠ শিরদাঁড়াটা সোজা। |
তোমরা রাজনীতি করো,আমার চোখে জল উড়াল পুলের তলায় ঘুমায়,মুটে-মজুরের দল। মৃহদেহই জানে,সে ডান না বাম আমার কাছে রাজনীতির চেয়ে মানুষের আগে দাম। কারা নেয় কন্ট্র্যাক্ট,আর কারা বানায় সেতু? টাকার বেশাতির চক্করে যারা ,মানুষ মারে কিছু। দেহাতি লোকটার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছবেনা খবর লাখ টাকার স্বপন দেখো অথবা লাশকাটা ঘরে কবর॥ ভাঙ্গুক সেতু অথবা বাড়ি তোরা রাজনীতি কর এদল ওদল নাকাড়া বাজা ভোটে কেঁদে কেঁদে মর। আমি দলের পরোয়া করিনা,চাইছিনা কোনও ভোট। যাদের জন্যে মরলো মানুষ,তাদের মৃত্যু হোক। |
দিদি বলে- "মোটাভাই, দিন কাল ভালো নাই, এরই মাঝে তুমি বল কেমছো?" মোদী কয়- " বহেনা, ঝুট নেহি কহেনা, ইধারেও হকিকত same'ছো- বাঙ্গালে হামাদের ঝুটমুট ঝগড়া, সোকোলেই বুঝে গেছে Game'ছো।" " বাদ দাও মোটাভাই, লুটেপুটে এসো খাই, আমাদের একটাই Aim'ছো! লোক লাজে ভয় নাই, যতদিন মোটাভাই মনে মনে ভরপুর প্রেম'ছো!" |
অজ্ঞাত কবি ইন্টারনেট-হোয়াটস্অ্যাপ এর ছড়া। প্রাপ্তি ৭.৪.২০১৬ |
সোরাব পাইছে শাস্তি - চুরির তুমি আরও উঁচু ভরির তোমার সেবায় কত মানুষ, গেছে উপরে। তোমার হেরোইনের কোপে বেঁচে যারা, নরক ভোগে দিদিরে রিজিউমি পাঠাও, কুরিয়ার করে! বলিতেছেন দিদি সবে ভোটটা কেবল তাঁরেই দিবে প্রার্থী কেবা, তাহা দেখার নাহি প্রয়োজন! এক্কেবারে সত্য এটা দিদির যথার্থ কথা অনেক প্রার্থী, সত্য, দেখিলে - দৃশ্যদূষণ!! কয়েকজন তো কারাগারে সাজা-প্রাপ্ত, বৌ-এর ঘাড়ে নারদাতে টাকা হাতায়, দেখি কতজন। কত সারদাতে কামায় কতজন বোমা বানায় সিণ্ডিকেটের নায়কেরাই দিদির প্রিয়জন॥ যদি থাকো সিণ্ডিকেটে দল থেকে দেবো ছেঁটে বলেন দিদি জনসভা হেঁকে! সিণ্ডিকেটের নেতার ভারে উড়ালপুলও ভাঙিয়া পড়ে মৃত্যু মিছিল রাজ্যে লেগেই থাকে॥ সঙ্গে আছেন কেনা গোলাম বুদ্ধিজীবী যাহাদের নাম উলটে যাওয়া চামচিকে, ছাগল, পাঠা, খাসী। নেতা নেপোয় মারিছে দই ফোটাইয়া কথার খই মিডিয়াতে দোষ ঢাকেন, আমরা শুনে হাসি॥ বলছে দিদি --- ভাইরা ভালো বিরোধিদের প্রচার কালো একেক জন তুলসিপাতা, গঙ্গাজলে ধোওয়া। তবুও যদি সন্দ থাকে দন্দ্ব ভুলে, চোখ বুজাকে ভোট টা দিও কেবল তাদের, আমায় হবে দেওয়া। তাই তো বলে দুষ্টকবি আনসার মিয়া, সময় আভি রিজিউমিটা পাঠাও দিদির কাছে। তোমার গুণাবলীর কাছে নেই যে কেহই ধারে কাছে লুফিয়া নিয়া তোমায় মিয়া, বসতে দেবেন পাশে॥ . ******************** কলকাতা, ৮.৪.২০১৬ |
জবর রিজিউমির পদাবলী পঞ্চাশ কোটির হেরোইন সাথে তৃতীয়বার কোলকাতাতে পড়লো ধরা ড্রাগ-পাচারকারী। নিম্ন আদালতের রায় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত, হায়! আনসার রহমান, আসামী “বেচারি”॥ দুষ্টকবি বোললো হেসে কাঁদছো কেন? ভাবনা কিসে? ভাগ্যে, ধরা পড়লে ইণ্ডিয়াতে! ভালো উকীল পাইলে ধরো নইলে একটু সবুর করো “মানবাধিকার” থাকবে তোমার সাথে॥ নিমখরচে মামলা হইবে খুনী-ধর্ষক ছাড়া পাইবে মধ্যরাতেও আদালতে চলিবে শুনানি। বিষে মারিয়াছো যাদের চুকিয়া গেছে ল্যাঠা তাদের “মানবাধিকার” তোমারই কেবল দামী॥ আরও ভালো পন্থা আছে বঙ্গের বাংগালির কাছে প্রাণটা তোমার বাঁচিবেই, উপরন্তু . . . বাকি জীবন সুখে থাকিবে সবাই তোমায় সেলাম ঠুকিবে নেতা-মন্ত্রী হইলে হবে বাড়বাড়ন্ত ॥ দোষী সাব্যস্ত আসামী তায় সংখ্যালঘু তুমি ভোটে সংখ্যালঘু নেতা, দিদির বড় মিত। রাণিগঞ্জে সোহরাব আলি সাজা-প্রাপ্ত আছেন ভালই সেই “বেচারা”-র বউ পাইলো, দিদির টিকিট॥ দিদির কাছে সংখ্যালঘু মানেই হলো মস্ত-ঘুঘু সংখ্যালঘু-ভালো-মানুষ দিদির চোখের বিষ। ভদ্রলোক হইলে তো ভাই সত্য-মিথ্যা করবে যাচাই দিদির শুধু লাগে ভোটে সিণ্ডিকেট-ফিনিশ্! |
|
|
নববর্ষের ছড়া ফিরে ফিরে আসে পহেলা বৈশাখ মৈত্রী আর মিতালিতে দিয়ে যায় ডাক..... ঘরে ঘরে পান্তা-ইলিশের স্বপ্ন আর সুখ দেয় ভুলিয়ে বাঙ্গালির শত কষ্ট বেদনা আর দুঃখ.... আসে রে বৈশাখ আসে বাসন্তী কালে কি গন্ধ ভরা পান্তা-ইলিশের ঘ্রাণে.... বাংলা মাসের পয়লা দিনে উৎসব মানে বৈশাখী আসে তবু মনে কয়, বাঙ্গালির বোধ হয় বাঙ্গালি হওয়া বাকি আছে.... বাংলার ঘরে ঘরে বৈশাখী রূপ রাখে ধরে হাজার বছর পালন করে সকলে তাই গান ধরে এলো বৈশাখ ফিরে আজি ফিরে ধরণীতে বসুমতীরে সাজাইলো সে শত রঙ্গে ঢঙ্গতে। ধুয়ে যাক ঈর্ষা, ধুয়ে যাক মৃদুমন্দ মৈত্রী আর মিতালিতে ফের বাজুক জীবনের ছন্দ এসো হে বৈশাখ, এসো এসো...... |
মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ইমেল - Jahidul.akash@yahoo.com প্রাপ্তি ১৩.০৪.২০১৪ |
তুমি নাকি নির্বাচন কমিশন? বঙ্গে ধর্ষিত গনতন্ত্র রক্তে স্নাত ভূমি , মুখে রক্তাক্ত আঁচড় তবুও নির্বাক তুমি. গনতন্ত্রের গালে থাপ্পড়, লুঠেরার আস্ফালন , হতাস শাসক করে গনতন্ত্রের শাসন। তুমি নাকি গনতন্ত্রের পাহারাদার ব্যর্থ তুমি ঠেকাতে হানাদার। বর্ষণ দেখেনি ভুমি পাশ ফিরে ঘুমাও তুমি। তোমার শুনেছি শুধু গর্জন তুমি নাকি নির্বাচন কমিশন? হানাদার দিয়েছে হানা তার নিখুঁত ঠিকানায়, তুমি কি দেখেছ মুখ নিজের আয়নায় ? মানুষ আজ নেমেছে পথে কেড়ে নিবে নিশ্চিত নিজেদের অধিকার, তোমার মিথ্যা আস্ফালন আর কি দরকার । মানুষের প্রতিরোধে থেমে যাক শুকুনের উল্লাস আর ..... লুঠেরার ত্রাস। |
বিদ্যুৎ রাজগুরু ফেসবুক পাতা প্রাপ্তি ১৩.০৪.২০১৪ |
আনন্দবাজার পত্রিকা, কলকাতা, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০১৬, পৃষ্ঠা-৫ থেকে জানা যায় যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আনসার রহমান মাদক- সহ মোট তিন বার ধরা পরে, এনসিবি সূত্রের খবর। প্রথমবার ধরা পড়ে ১৯৮৭ সালে, কলকাতা পুলিশের হাতে। তখন তার কাছ থেকে ১ কিলোগ্রাম হেরোইন ও ৪৭ কিলোগ্রাম চরস পাওয়া যায়। সে বার দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয় তার। কিন্তু সাজার মেয়াদ শেষ হবার আগেই ১৯৯২-তে ভাল ব্যবহারের জন্য ছাড়া পেয়ে যায় সে। ১৯৯৫ সালে ফের হেরোইন-সহ সে ধরা পড়ে। আনসার রহমানকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ২০০১ সালে। হাই কোর্ট ফাঁসির সাজা রদ করে দিয়ে তাকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। এই সাজার বিরুদ্ধে আনসার যায় সুপ্রীম কোর্টে। সেখানে সে জামিন পেয়ে যায় এবং ছাড়া পেয়েই আবার সে ও তার সাকরেদ দীপক গিরি মাদক চোরাচালানের কারবার শুরু করে দেয়। ৩.২.২০০২ তারিখে সল্টলেকের এস.এ. ব্লকের রাস্তায় ফের আনসার ধরা পড়ে। তার কাধের ঝোলা ব্যাগ থেকে পাওয়া যায় ৩ কিলোগ্রাম হেরোইন। তার সাকরেদ দীপক গিরির বাড়ি থেকে পাওয়া যায় ৫০ কেজি হেরোইন। |
ক্ষমতার গান প্রশ্ন কোরনা তাহলেই তুমি মাওবাদী, সন্ত্রাসী সাত বছরের জেল হবে আর তিন দিনের ফাঁসি I ভোট দিয়ে জনগণ আমাদের এনেছিল ক্ষমতায় ভাইয়েরা খাচ্ছে হক্কের টাকা তাইতো কী মমতায় ! উড়ালপুলের সাব-কন্ট্রাক্ট পার্টির ছেলেই খাবে সেতু ভেঙে কেউ মরলে নাহয় পাঁচ লাখ পেয়ে যাবে, কিন্তু তোমরা প্রশ্ন কোরনা তাহলেই সন্ত্রাসী সাত বছরের জেল হবে আর তিন দিনের ফাঁসি I সারদার টাকা, রোজ-দার টাকা, ডেলো পাহাড়ের কেলো, সে টাকায় ওড়ে হেলিকপ্টার পরিবর্তনও এলো লাখো মানুষের রক্তের টাকা চিট ফান্ড চেটে খায় চোরের ওপর বাটপাড়ি করি কী নিপুণ মমতায় ! কিন্তু তোমরা প্রশ্ন কোরনা মাওবাদী সন্ত্রাসী সাত বছরের জেল হবে আর তিন দিনের ফাঁসি I মোটা টাকা ফেলো চাকরি জুটবে, পাশ করে যাবে টেট মস্তান হলে তুমি সম্পদ তোমারই সিন্ডিকেট ইমামকে টাকা দিলে কিছু পাবো সংখ্যালঘুর ভোট ভোটে কাজে লাগে ক্লাবের ছেলেরা ওদেরও জন্য নোট... প্রশ্ন কোরনা প্রতি ইঞ্চিতে বুঝে নেব সন্ত্রাসী সাত বছরের জেল হবে আর তিন দিনের ফাঁসি I যতটুকু কাজ তার চেয়ে বেশি ঢাক পেটানোর টাকা হোর্ডিংয়েতে ছবি, 'অনুপ্রেরণা` শহরের মুখ ঢাকা চা বাগানে খিদে, তাহোক একটু তেলেভাজা খাক ওরা ওরাও জানুক কেমন ছুটছে শিল্পে নতুন ঘোড়া ! কিন্তু তোমরা প্রশ্ন কোরনা মাওবাদী সন্ত্রাসী সাত বছরের জেল হবে আর তিন দিনের ফাঁসি I |
পল্লব কীর্ত্তনিয়া প্রাপ্তি ১৭.০৪.২০১৪ |
ধর্ষণ সেটা আগে কি ছিল না ? ছোট্ট ঘটনা সব ! সাজানো ঘটনা, কুৎসা রটিয়ে বলে, 'হোক কলরব' ! টাকা নেবেইত ছাত্র-নেতারা কলেজে ভর্তি করে, ছোট ছেলেমেয়ে একটু ফুর্তি করবে না বচ্ছরে ? প্রশ্ন কোরনা প্রশ্ন কোরনা, প্রশ্ন সর্বনাশী সাত বছরের জেল হবে আর তিন দিনের ফাঁসি i পাপোষ পাল তো রেপ বিশারদ কেষ্টার আছে বোম, দু-পায়ের তল দিয়ে মেরে দেবে ফণিরুল একদম I সঙ্গে রয়েছে `আমার' পুলিশ, ছাপ্পা ভোটের দল, নির্মূল গণতন্ত্রে আমার এটাই তো সম্বল ! কমিশন আমায় শোকজ করেছে? ওসব পুরনো বাসি... আমার রাজ্যে আমি সম্রাট বাকি সব দাসদাসী ! কিন্তু তোমরা প্রশ্ন কোরনা, প্রশ্ন সর্বনাশী সাত বছরের জেল হবে আর তিন দিনের ফাঁসি I ক্ষমতার স্বাদ কী যে আল্হাদ যে না পায় সে কী বোঝে ? রাজনীতি থেকে আদর্শবাদ বোকারাই শুধু খোঁজে সিবিআইকেও ম্যানেজ করেছি লোকে ভুলে যাবে সব আবার জিতব, আবার করব টাকার মহোৎসব ! প্রশ্ন কোরনা প্রতি ইঞ্চিতে বুঝে নেব সব হাসি সাত বছরের জেল হবে আর তিন দিনের ফাঁসি I প্রশ্ন কোরনা প্রতি ইঞ্চিতে মুছে দেব সব হাসি সাত বছরের জেল হবে আর তিন দিনের ফাঁসি ! |
চাই যে তবু পাইনে ছুঁতে হাজার লোকের বাজার বুথে আঙুল বাড়াই কলঙ্কে আর সামলে রাখি ঠোঁট – এই তো তোমার ভোট। সকালবেলার সহজ শিকার আগলে রাখা ভোটাধিকার মুখের কাছে আলতো হাসি, বুকের নীচে চোট – এই তো তোমার ভোট। তবুও ছুটি এই অছিলায় বিশ্বাসে যে বস্তু মিলায়, কিন্তু কোথায়? জলে-ডাঙায় বাঘ-কুমিরের জোট – এই তো তোমার ভোট। একজিটে যে পোল-এর কথা, সম্ভাবনার নীরবতা, সব ছাপিয়ে তোমারই জিত, অধুনা মূলস্রোত – এই তো তোমার ভোট। আমরা কেবল খেলনাবাটি যেদিক বলো, সেদিক হাঁটি বিরুদ্ধে যে বলবে কথা, ক’জন আছে মোট? এই তো তোমার ভোট। সন্ধে নামে কোথাও কোনও... যুদ্ধশেষে আসন গোনো এর কাছে যা রক্ত তাজা, ওর কাছে শরবত – এই তো তোমার ভোট। |
তুই কি সিপিএম? - এ কি ব্লেম! তাহলে তৃণমূল? - একদম ভুল। কংগ্রেস করিস নাকি ? - ওটা এখনও বাকি। তবে কি মোদী বাবার ভক্ত ? - না, ঘেন্না করি রক্ত। তাহলে কি মার্কসবাদী মাও? - না, নিশ্চিন্তে ঘুমাও। তাহলে কি আম আদমীর আপ? - রক্ষা কর বাপ! তবে কি ধান্দাবাজ বুদ্ধিজীবি ? - এ ভাবেও খিস্তি দিবি! তাহলে নির্ঘাত নিরপেক্ষ আঁতেল? - নারে বাবা, জাপানী তেল। সব বুঝলাম। তাহলে ভোট দিস কাকে? -খারাপের মধ্যে কম খারাপ বুঝি যাকে। |
অজ্ঞাত কবি ইনটারনেট ও হোয়াটসঅ্যাপের ছড়া প্রাপ্তি - ২০.০৪.২০১৬ |
শ্রীজাত প্রাপ্তি ১৭.০৪.২০১৪ |
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী ইনটারনেট ও হোয়াটসঅ্যাপের ছড়া প্রাপ্তি - ২০.০৪.২০১৬ |
দাদা আয় দিদি আয় কী বলছে মিডিয়ায় আয় আয় মন দিয়ে শুনি কত ভোট পেল কোন্ খুনি কীবা আসে কীবা যায় রাত যায় দিবা যায় কে বাজায় তবু ঝুনঝুনি কত ভোট পেল কোন্ খুনি আমাদের ছেঁড়া কাঁথা পোড়া মুখ ঢাকে না তা সভয়ে তাকায় কামদুনি - কত ভোট পেল কোন্ খুনি ১৪.৫.২০১৪ |
বিপুল চক্রবর্তী প্রাপ্তি - ২০.০৪.২০১৬ |
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে . . . সখী সারদা কাহারে বলে সখী নারদা কাহারে বলে তোমরা যে বলো দিবসরজনী ঘুষ খাওয়া ঘুষ খাওয়া সখী ঘুষ খাওয়া কারে কয়? সে কি কেবলই নারদা-ময়? সে কি কেবলই চ্যানেলে ফাঁস, সে কি কেবলই পেছনে বাঁশ? লোকে তবে করে কি ভুলেরই তরে,এমনও হুলেরও আশ? আমার চোখে তো সকলই শোভন, সকলই মির্জা,সকলই হাকিম, সৌগত রায়-প্রসূন বন্দ্যো মুকুল কাকলি মদনানন্দ সকলই যে যার মত। তারা কেবলই পায়,কেবলই খায়, অনুদান নিয়ে মরিতে চায়। না জাগে চেতন,না মেলে বেতন,না মেটে সাধের যাতনাযতন। টাকা সে হাসিতে হাসিতে ঝরে,সিবিআই শেষে মিলায়ে যায়। কেষ্টদেবতা গুড় ও বাতাসা মানুষের ভোটে বিলায়ে দেয়। আমাদের মত সুখী কে আছে, আয় ভোটপাখি আমাদের কাছে; লক্ষ লক্ষ অনুদান,পকেটে ঢুকলে জুড়োবে প্রাণ। প্রতিদিন যদি অনুদান আসে, একদিন নয় ফাঁসাবে নারদে; একদিন নয় সকলে মিলিয়া,মদনের সাথে মিলিব গারদে। সখী সারদা কাহারে বলে... |
অজ্ঞাত কবি ইনটারনেট ও হোয়াটসঅ্যাপের ছড়া প্রাপ্তি ২১-৪-২০১৬ |
সব কিছু ঠিক রাখব এ'বার মগজ-মেধা-ক্লিয়ার বাওয়েল ঝামেলাহীন ভিসার জন্য দিদির চেনা ন্যান্সি পাওয়েল খবর রাখি সে'দেশ থেকে গোছায় গোছায় ঢুকছে ডলার ঠিকমত পথ হাঁটলে পাবই রাজবিভূষণ… সঙ্গে ফলার সেই আমলের কলঙ্কদাগ তুলতে হল বেজায় দেরি জেটির ওপর অপেক্ষাতে থাকছি… কখন ছাড়বে ফেরি রিংমাস্টার শিক্ষামন্ত্রী চোখ রাঙাচ্ছে ইচ্ছেমত। খোঁজ পেয়েছি পোষমানাদের নগদ নগদ দিচ্ছে কত। ওর হুকুমেই সাপোর্ট দেব পরম প্রিয় অর্পিতাকে। ওদের স্যালুট না করলে আর করব কাকে? তোর পিতাকে? আর তা'ছাড়া বাড়ছে বয়স যাকগে চুলোয় কাব্যকলা গায় বিঁধেছে লোভ লালসার তীক্ষ্ণতম বর্শাফলা প্রেম করেছি বেশ করেছি। এই জমিতেই ফলবে সোনা। মিথ্যে অজুহাতের জন্য, হে বঙ্গদেশ রাগ কোরো না। |
অরুণাচল দত্ত চৌধুরী ফেসবুক প্রাপ্তি ২২-৪-২০১৬ |
জিতব। আমিই প্রত্যেক ভোটে জিতি জিতব। কেন না জেতাটাই রাজনীতি। জিতব। কারণ জেতাই আমার কাজ। চেনা চাঁদমারি। আমি সে' তিরন্দাজ। ক্ষমতা জিতবে। ভোলাবে গোষ্ঠী… দল। জয় ঢেকে দেবে যাবতীয় কোন্দল। আমার পকেট ভরে যায়… ভরে পেট, আমি উৎকোচ, আমিই সিন্ডিকেট। সেলাম কুড়োই গণতান্ত্রিক দেশে, কিছু লোক মরে, মরবার অভ্যেসে। তারাও জানত মৃত্যুই শেষ প্রাপ্য সে'সব মৃত্যু মঞ্চ কাঁপায় তারপর। এ' গণতন্ত্রে নিষ্কলঙ্ক সৎ কে? প্রশ্নটা করো জনতার আদালতকে। কাল্পনিক সে' আদালত… মানে ভোটকে বক্ষে টেনেছি আদরের সাথে চটকে। রক্তচোখের সাথে অনুপান… ঘৃণা। এ'বারও জিতব। সন্দেহ রাখছি না। |
অরুণাচল দত্ত চৌধুরী ফেসবুক প্রাপ্তি ২২-৪-২০১৬ |
অন্তর্ঘাত? সেই গুজবেও আছি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যাক কানামাছি। খুনের মোটিফ... সে'তো জানে সারা দেশ। খোঁজা শুরু হোক জ্ঞানেশ্বরীর রেশ। ভোট শুরু হতে কয়েকঘণ্টা বাকি এখন রটালে ধরা পড়বে না ফাঁকি কুকুর সুস্থ... (ডায়ালিসিসের ফলে) গন্ধ শুঁকতে পাঠাব অকুস্থলে। ভেজা সিমেন্টে ওইতো পায়ের ছাপ দ্যাখো লাল রঙ... মিলে গেছে খাপে খাপ। বিদ্বজ্জন প্রেসক্লাবে হও জড়ো সে'বারের মত নাটকটা শুরু করো। র্যাটল সাপের আদলে ছেটাও ঘৃণা দ্যাখো ঘোলাজলে মাছ ধরা যায় কিনা… |
অরুণাচল দত্ত চৌধুরী ফেসবুক প্রাপ্তি ২২-৪-২০১৬ |
আপ-ডেট (১) আঁধারনয়নে আঁধার নয়ন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভোট দখলের পুরোনো বাটিতে ভূতেরা খাচ্ছে ক্ষীর। |
অরুণাচল দত্ত চৌধুরী ফেসবুক প্রাপ্তি ২২-৪-২০১৬ |
আপ-ডেট (২) ছাপ্পা লাগাও ধাপ্পা চালাও পেটাও সাংবাদিককে গণতন্ত্রের উৎসবে শুরু ইঞ্চি ইঞ্চি শিক্ষে। |
অরুণাচল দত্ত চৌধুরী ফেসবুক প্রাপ্তি ২২-৪-২০১৬ |
আপডেট (৪) কার প্রভাবে চুপচাপ রয় সেই বাহিনী … কেন্দ্রীয়? কার সাথে কে জোট বেঁধেছে ভাবার সময় ব্রেন দিয়ো। |
অরুণাচল দত্ত চৌধুরী ফেসবুক প্রাপ্তি ২২-৪-২০১৬ |
গট আপ খেলায় বিষাদ বেলায় তড়পে গেলেন হতাশ ইসি বাংলা এখন নির্দ্বিধাতে গলায় ঢালুক বিষের শিশি। কে কমিশন, কী কমিশন, আমার ক্ষতি করবে কে হে? বিষবৃক্ষের বাড়বে শেকড় আমার দেওয়া প্রবল স্নেহে। মানুষ বেকুব, ভিড় জমে খুব রক্তচোখের সিন্ডিকেটে জিতলে পরেই জুটবে খাবার বিশাল খিদের হাঙর পেটে। শান্ত মাথায় বুঝতে হবে অশান্তি নেই একটুও ঠিক মঞ্চে চলা এই প্রহসন প্রায় পুরোটাই সাংবিধানিক। বেকার যুবক বিক্রি হচ্ছে ক্লাব দখলের সস্তা রেটে বাদবাকিদের ভূতভবিষ্য কিনতে হবে ঝাপসা টেটএ। তৈল ভাজার বিরাট বাজার এখন বিশ্ব বাংলা হাটে। সব বোকারাই পোকার মতন মরবে, যারা নামবে মাঠে। ভোট খেলাটার সমস্তটাই নিখুঁত মাপের প্রক্সি জেনে… একটুও আর কম পড়ে না দামাল মাথার অক্সিজেনে। |
অরুণাচল দত্ত চৌধুরী ফেসবুক প্রাপ্তি ২২-৪-২০১৬ |
ডেমোক্রেসি… দেখলে পেশি… কেমন যেন যাচ্ছ দমে বুঝতে পারো, বঙ্গদেশে ধরল তোমায় কী' সিনড্রোমে? মলম দিয়ে… ওষুধ দিয়ে সারবে না এই দারুণ ক্ষত ফ্যাসিবাদের সিনড্রোমটার স্থানীয় নাম অনুব্রত। |
অরুণাচল দত্ত চৌধুরী ফেসবুক প্রাপ্তি ২২-৪-২০১৬ |
চালু সিস্টেমে ভোট করাবই, শান্তি ওঠাব লাটে চড়াম চড়াম ঢাকের আওয়াজ 'কেষ্ট'র তল্লাটে। গুড় জলে সব ম্যানেজ করব… ভ্যানিশ করব 'ইসি' ট্রেনিংএ পোক্ত 'ভাইপো'রা পাশে, মাথার ওপরে 'পিসি'। |
অরুণাচল দত্ত চৌধুরী ফেসবুক প্রাপ্তি ২২-৪-২০১৬ |
বলেছি বাধ্য থাকতেই হবে, নতজানু হতমান… অনাচার সয়ে গেয়ে যেতে হবে শাসকের জয়গান। তা'ও যদি তোরা বিরোধী থাকিস, চামড়াটা যদি পুরু… কথা দেওয়া ছিল। হুমকির পরে হামলাপর্ব শুরু। |
অরুণাচল দত্ত চৌধুরী ফেসবুক প্রাপ্তি ২২-৪-২০১৬ |
শৃণ্বন্তু এই বঙ্গের অমৃতস্য পুত্রাঃ লিস্টি মেনে সকল ভোটই দিয়ে দেবেন ভূতরা। সময় বুঝে ওঝার সাথে ভাব করে নেয় ভূতে কাজে কাজেই কষ্ট করে আর যেও না বুথে |
অরুণাচল দত্ত চৌধুরী ফেসবুক প্রাপ্তি ২২-৪-২০১৬ |
প্রেসক্লাবের মিটিং প্রতুলদা'গো প্রতুলদা'গো কিচ্ছুটি বলবেন না এমনিতেইতো বিদ্দ্বজ্জন বললে জোটে ঘেন্না। আমরা 'সুবোধ' আমরা সু-'শীল'। বঙ্গদেশের দর্প। সদ্য সদ্য খোলসত্যাগী ফোঁস শেখা সব সর্প। এ' বাংলা ঢের পাল্টে গেছে। কুশ্রী ছিল কালকে। রাস্তাগুলো হার মানাচ্ছে নায়িকাদের গালকে। মাথার ওপর ভাঙল ভাঙুক সিন্ডিকেটের সাঁকো... ল্যাম্পোস্টে টুনির চমক। শাক দিয়ে মাছ ঢাকো। অ্যাকাডেমির পুতুল আমরা পয়সা পেলেই নাচি। ভেঙ্কটেশের গুড়ের গায়ে লেপটানো মৌমাছি। কুৎসাকারী আর যা পারি, সব্বাই তা' জানত পরকীয়ার তুঙ্গ গিয়ার… চূড়ান্ত সম্ভ্রান্ত। সুমন বেজায় ঘুমোয়... ঘুমোক। জাগলে ছেটায় খিস্তি বলছে সবাই, একটু যদি হিসেব করে মিশতি। মনের মধ্যে জ্বলছে ব্যথা, একটু তাতে ফুঁ দাও। আমরা কেমন বকবকাচ্ছি। কাকপ্রসন্ন উধাও। ভোট পুজোতে ভিক্ষে সমান … সাইকেল... চাল… গমকে করলে তুচ্ছ, পদ্যগুচ্ছে দিতেই পারি চমকে। দিচ্ছি নকল উন্নয়নের বিকটতম লিস্টি। পারিতোষিক পাবার লোভেই দিচ্ছি এ' সার্ভিসটি। প্রতিবাদের কন্ঠ উঠলে, দমিয়ে রাখে চাবকে তার জন্যই অনুদানের দু'লাখ টাকা ক্লাবকে। দু'হাত তুলে সাপোর্ট করো, এ'সব সমীকরণ ষোলোর লড়াই বড়ই কঠিন… বোধহয় সহমরণ। প্রশ্ন করুক… প্রতুল দা' গো, কিচ্ছুটি বলবেন না। হারলে দিদি বদলাব ফের। জিতলে? পাবই পেন্নাম। |
অরুণাচল দত্ত চৌধুরী ফেসবুক প্রাপ্তি ২২-৪-২০১৬ |
|
অভিজাত পড়লে চাপে হার্ড ড্রিঙ্কস নিই, যদিও খাই রোজ চা আমরা হলাম ফ্রি-ল্যান্সার, অন্য সবাই লোচ্চা। অন্য মানে ওই যে যারা ভোট দিতে যায় লাইনে অক্টোপাসের খেতাব পেতে যেথায় আমি যাইনে। রোদের ভেতর দাঁড়িয়ে থেকে উদ্ধত সঙ্কল্পে সেই যে যারা রিগিং রোখে ডেমোক্রেসির গল্পে। অ্যারিস্টোক্র্যাট 'নোটা'র ভোটার , দিক না যতই ধমকে সেই বোকারাই আগলে রাখে অবোধ ইভিএমকে আমরা চালাক, সে গল্পে নেই। বরং অনেক সোজা, যারাই জিতুক বনব তাদের… জুতোর ভেতর মোজা। আমরা চালাক, আমরা হলাম এই সমাজের ক্রিমটি। ক্ষীরটুকু খাই। পবিত্র খুব। মুখ ধুয়ে দিই চিমটি। ঠিক জেনেছি, যেই রাজা হোক পরবে কমন 'জামা'ই আমরা… উচ্চ মধ্যবিত্ত… সেই রাজাটির জামাই। |
অরুণাচল দত্ত চৌধুরী ফেসবুক প্রাপ্তি ২২-৪-২০১৬ |
নজরবন্দী অনুব্রত নির্বাচনের তৃতীয় দিনে জয়দেব-রবির বীরভূমে অনুব্রতই করাইয়া দিল ভোট। একজনেই ভোট করাইলেন একজনই সেই ভোট পাইলেন ১১ সীটই দিদিরে দিলেন ভেট॥ ত্রিসিংহ মুরতি ভোট-কমিশন করিলেন অনেক তর্জন-গর্জন অবশেষে প্রয়োগ করিলেন ব্রহ্মাস্ত্র। অনুব্রত রে নজরবন্দী করিয়া দিলাম! কেমন ফন্দী! দেখি ও ব্যাটা কেমনে ধরে অস্ত্র॥ “বয়েই গেল” কয় অনুব্রত আমি তো খেলছি আমারই মতো নির্বাচন কমিশন করবে আমার কি? যেন, ভুত আমার পুত পেতনি আমার ঝি দিদি আমার বুকে আছেন, করবে আমার কি?! দরজায় রহিলো ম্যাজিস্টারেট কেন্দ্র বাহিনীর গান ও বুলেট্ ভিডিও তুলিলো, ভিডিও ক্যামেরাম্যান ! যেথা ইচ্ছা গেলেন তিনি মিটিং সারিলেন দরোজা টানি নজরদারী, দুষ্টকবি কহে --- প্রহসন॥ . ******************** কলকাতা, ১৭.৪.২০১৬ |
সাধন বিশ্বাস ফেসবুক প্রাপ্তি ২৩-৪-২০১৬ |
শাশ্বত বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাপ্তি ২৫-৪-২০১৬ |
বীজপুর বড়ো হলে সেরে যাবে ব্যথা - এ-কথায় ভোলাব কি তাকে? যার মা নাছোড় সিপিএম যার বাবা বীজপুরে থাকে? যখন জিজ্ঞাসা করি - শরীরে কারা দিল মার? চেনে না 'মানুষ' ঠিক কারা শুধু বলে - আমার ... আমার ... সাড়ে তিন বছরের 'আমি' মায়ের কোলে চড়ে শেখে - ভোরের সব মার ভুলে যেতে হবে কেন্দ্রের দিকে এইভাবে অনেকটা পথ পেরোতে পেরোতে বড়ো হওয়া এইভাবে মার খেতে খেতে দেহটার দেশ হয়ে যাওয়া সেই দেশে ভিরু ধানক্ষেতে কাস্তের মতো ওঠে চাঁদ সেই দেশে হাতুড়ির ঘায়ে ঘেমে ওঠে মজুরের কাঁধ আর লেখা হয় শিলালিপি মুখ ও মুখোশ চেনো কার ক্ষত থেকে স্ফুলিঙ্গ ওঠে সব আঘাত মনে রাখবার ও যদি ভুলেও যায় তবু আমি ভুলব না - এই রোখ সাড়ে তিন বছরের গায়ে 'মা-মাটি-মানুষ'এর নখ ... |
শাশ্বত বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাপ্তি ২৫-৪-২০১৬ |
হীরকরাজ্যে উৎসব এই তো তোমার খুনের বাড়ি, রক্তরঙ্গমঞ্চ কোন কৌশলে পাড়ায় পাড়ায় দানব জাগিয়ে তুলছ? দানব তোমার ইঙ্গিতে আর দানব তোমার চোখে নীল-সাদা রঙ পথ গিয়েছে রৌরবনরকে এই যে তোমার এক ইশারায় ধানের বুকে রক্ত কার বাহিনী পেরোচ্ছে গ্রাম, মাস্কেটে হাত শক্ত? আকাশছোঁয়া ছবির বুকে বরাভয়ে তুমি হাসছ আহা, চোখজুড়ানো খুনের বাড়ি বড়োই ভালোবাসছ! নিঝুম পাড়ায় অন্ধকারে তোমার শ্রমিক ঘুরছে আমার বোনের শরীর জুড়ে হীরকখন্ড খুঁড়ছে সেই মাণিক্য রাজশিরোতাজে কাল ভোরে হবে উজ্জ্বল ধূপগুড়ি থেকে আসে উপাচার – ছাত্রীর শাখা, বল্কল আজও যাদের অর্ঘ্য অটুট তোমার পাদপদ্মে রাত্রে তারাই ফুল নামিয়ে অন্যরকম বাদ্যে কাঁপিয়ে দিচ্ছে গ্রামমহল্লা – ঘরবাড়ি ছাই রোষে আমার বাবার আর্তনাদই সুদূর খন্ডঘোষে ঝিকিয়ে তোলে হাতের মুঠোয় ইস্পাত মেরুদণ্ড আভাস দিচ্ছে জাগছে আবার সংঘাত প্রচণ্ড বাবার শূন্য জড়িয়ে মেয়ে ঘুমোচ্ছে ডোমকলে হত্যাকারীর রক্তবিন্দু শিশিরের মতো জ্বলে ওরই স্বপ্ন আজন্মকাল আমাদের বুকে জাগছে ওর কন্ঠই প্রথম আগুন বারুদের স্তুপে রাখছে কোথায় এখন গুণ্ডাবাহিনী? উড়ল কোথায় অস্ত্র? রুখতে তোমায় গান বেঁধেছেন লেনিন থেকে কাস্ত্রো এক-মুঠো খড়-ধুলোয় তোমার চোখ এঁকেছিল কাল সেই প্রবাহই হাঁকছে এখন – এবার আগুন জ্বাল স্ফুলিঙ্গ আজ লেখার খাতায় স্ফুলিঙ্গ আজ চুম্বন পুড়ছে তোমার খুনের বাড়ি, হীরকরাজ্যপ্রাঙ্গণ ... |
প্রতুল মুখোপাধ্যায় প্রাপ্তি ২৫-৪-২০১৬ ফেসবুক থেকে |
কথা গরল সমান আসবে বিজেপি আর বাম- কং খোঁট শ্রীমৎ বাজারানান্দ করেছেন নোট ইহারা পবিত্র, সুদ্ধ, স্বচ্ছ নির্মল ইহাদের ভোট দাও, ভোটার সকল আর যে শাসক দল, মা -মাটি -মানুষ দলতন্ত্র, ভ্রষ্টাচার, সন্ত্রাস, ঘুষ .. দেখ তার সারা অঙ্গে কলঙ্কের কালি সুধীজন অফুরান দিয়ে যান গালি সেজ(SEZ) নাই, শিল্পপতি নাক সিটকায় নেত্রী শুধু মেলা করে পাড়ায় পাড়ায় ভিনদেশী প্রভুদের ও মেজাজ গরম এ রাজ্যে লুণ্ঠনের সম্ভাবনা কম সস্তায় ওষুধ? ছি ছি, বলে ধনপতি স্বাস্থ্য বানিজ্যের এতে নিদারুণ ক্ষতি উচ্চমধ্যবিত্ত বলে, শিল্প নাই হায়! আমাদের সন্তানেরা ভিন রাজ্যে যায় দুই টাকা কেজি চাল, সাইকেল, জুতো কন্যাস্রী, রাস্তা, আলো, সবই হলো ছুতো হাভাতে গরিবগরবো এ নেত্রীর চেলা একসাথে দলটিকে মার এক ঠেলা ! শ্রীমৎ বাজারানন্দ করেন আহবান - দু:শাসনের শীঘ্র হোক অবসান ! পশ্চিমবঙ্গের কথা গরল সমান গায়েন প্রতুল বলে, 'বাঁচুন বাঁচান'! |
‘কাকু’রা লাঠিতে করেছে শাসন। বয়সটি সাড়ে তিন। সে আঘাত তার শরীরে ও মনে মুছবে না কোনও দিন। ব্যথা অভিমান জমে কচি ঠোঁটে। আধো আধো স্বর ভয়ে কেঁপে ওঠে। শৈশব শেখে গণতন্ত্রের মানে কত সুকঠিন। |
অরুণাচল দত্ত চৌধুরী ফেসবুক প্রাপ্তি ২-৫-২০১৬ |
অশোক চট্টোপাধ্যায় প্রাপ্তি - ৪-৫-২০১৬ |
ডাইনে বামে রাত্রি নামে রাত্রি নামে সকাল দুপুর ত্রাসের ভয়ে আসন জয়ে শঙ্কা বাড়ে ডঙ্কা উপুড় অসতী সব আজকে সতী কালকে ভোগী আজকে নটী রাত্রি কাঁপে প্রহর মাপে মেঘ আকাশে বোশেখ মাসে বৃষ্টি কোথায় হুতাশনে কাঁদছে একা বৃন্দাবনে উনিশ এলে সকাল হবে অসতী সব সতী হবে দুষ্কৃতী সব কৃতী হবে আয় উনিশে ঊনবিশে |
অজয় দাশগুপ্ত দিল্লী, নয়ডা ফেসবুক থেকে প্রাপ্তি - ৪-৫-২০১৬ |
দুহাজার এগারোতে লাগিল বোধন বঙ্গদেশে ঘটিল দেবীর পদার্পণ। আনন্দে উল্লসিত সর্ব ভক্তকুল কলা বউ সেজে পাশে হাসিল মুকুল। সপ্তমীর শুভারম্ভে পাহাড় জঙ্গল দলে দলে মর্ত্যবাসি বদলাইল দল। উৎসব চলিতেছে মদ-অন মেজাজে দর্শক ভক্তগন সিন্ডিকেট রাজে। অষ্টমীর শিউলি ঝরা সারদা প্রাতে নারীরা কন্যাশ্রী বালা পরি দুই হাতে। অনু অনু ব্রত তারা রাখিল সকলে ভক্তি ভরে অঞ্জলি দিল জোড়া ফুলে। রাত্রিকালে ধরাধামে অসুর দাপাইলো দুচারটে ছোট ছোট কামদুনি হইল। হাকিম নিদান দেন কুৎসা অপপ্রচার অষ্টশত পদ্মফুলে সাড় উপাচার। নবমীতে মহা ভিড় মণি-রুল জারি তারি মাঝে নারদ হাটে ভাঙিল যে হাঁড়ি। মধুময়ী মৌমাছি বসাইল হুল ধরণী কাঁপিয়া উঠে ভাঙে উড়ালপুল। সিঁদুর খেলার বেলা দশমী সকালে প্রজাগন সবে মিলে রক্তহোলি খেলে। এততেও দেবীর মিটে না পিপাসা বিসর্জন না যাইবার দূর্নিবার আশা। |
প্রতুল মুখোপাধ্যায় প্রাপ্তি ৬-৫-২০১৬ রচনা ৪-৫-২০১৬ ফেসবুক থেকে |
আমার কৈফিয়ত রাখঢাক নেই, বলছি খুলে – ভোট দিয়েছি তৃণমূলে। একটুও নেই হীনম্মন্য। ভোট দিয়েছি ওদের জন্য। ধনতন্ত্রী ধর্মতন্ত্রী দাঙ্গাবাজ আর ষড়যন্ত্রী বিজেপি তো ঘৃণার পাত্র। তার আশা নেই বিন্দুমাত্র। চলত আগে ছোরা-গুলি, চলছে এখন কোলাকুলি। টিকে থাকতে করল ঘোঁট। ‘চাইছে মানুষ’ কোট আনকোট। কংগ্রেস আর মেকি বাম – ওদের কথায় কী আর কাম? তৃণমূলের, আর যা হোক, গরিব মারার নেই তো ঝোঁক। রুখেছে সেজ, এফ ডি আই, জি এম ফসল, এই তো চাই। |
করেছে যা পাঁচ বছরে পড়েছে তা সব নজরে। তৃণমূলের একশো দোষ – এ ব্যাপারটা বুঝতে কারও হতে হয় না শঙ্খ ঘোষ। তৃণমূলের একশো দোষ। দোষের সঙ্গে নেই আপোস। সে দোষগুলো শুধরে নিতে পাঁচটা বছর সময় দিতে রাজি, শুধু একটি আশা। গরিবরা পাক ভালোবাসা। গরিবরা পাক মান-ইজ্জত শাসক শুনুক তাদের মত। শাসক হলে ধনীর দাস, লুটেরাদের হাতেই হবে আমজনতার সর্বনাশ। |
প্রণব রায়চৌধুরী প্রাপ্তি - ৬-৫-২০১৬ |
বদলের বদলে বলদ বদলের বদলে আমরা নির্বাচন করে আনলাম বলদ ত্রুটিমুক্ত করার বদলে তারা আনল অনেক গলদ । সরকার খুনী গুন্ডা রাজনৈতিক দল মিলে গেল সবাই নেতা চোর ডাকাত তোলাবাজ বদমাস সব মাসতুত ভাই । সরকারী মন্ত্রী নিজেই সরকারী হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয় সবাই বলে সে নাকি তোষাগার লুট করেছে এই তার ভয় । ভগবান ছাড়া আর তো কেউ নেই আমাদের ভরসা করার বিশ্বাস বলে সময় হয়েছে হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা আসার । |
মসজিদ ঘরে আল্লাহ থাকে না কুলবুল মু'মিনীন আরশিল্লাহ, এইতো আল্লহর ঠিকানা, ওরে মাওলানা, মসজিদ ঘরে আল্লাহ থাকে না। আলেম গেছে জালেম হইয়া, কোরআন পড়ে চণ্ডালে, সতী-সাধুর ভাত জোটে না, সোনার হার বেশ্যার গলে। যদি চিনিতে কোরান, হইতো মানুষের কল্যান, মুখে মুখে সব মুসলমান, কাজের বেলায় ঠনঠনা মসজিদ ঘরে আল্লাহ থাকে না। যদি মক্কায় গেলে খোদা মিলতো, নবী মিলতো মদিনায়, দেশে ফিরে কেউ আইতো না, হজ্ব করিতে যারা যায়। কেউ যায় টাকা গরমেনে, কেউ যায় দেশ ভ্রমণে, ধনী যায় ধনের টানে, আনিতে সোনাদানা, ওরে মাওলানা, মসজিদ ঘরে আল্লাহ থাকে না। হজ্ব করিতে মক্কায় গিয়া খরচ করলি যে টাকা, বলি, এই টাকা গরীবরে দিলে, গরীব আর থাকে কেঠা? তোর ঘরের ধন খায় পরে-পরে, দেশের লোক না খাইয়া মরে, সত্য কথা বললে পরে দেশে থাকতে পারি না। ওরে মাওলানা, মসজিদ ঘরে আল্লাহ থাকে না। দ্বীনহীন রাজ্জাকে বলে, মানুষে মানুষ রতন বলি, এই মানুষকে ভালোবাসো বেঁচে আছো যতোক্ষণ। মানুষ চিনতে করিস ভুল তবে হারাবি দুই কূল ওরে মূল কাটিয়া জল ঢালিলে ঐ গাছে ফুল ফোটে না শোনো মাওলানা, মসজিদ ঘরে আল্লাহ থাকে না। (কুলবুল মু'মিনীন আরশিল্লাহ ^ বিশ্বাসীদের হৃদয় আল্লাহ্'র সিংহাসন (হাদিস) |
রাজ্জাক দেওয়ান www.youtube.com প্রাপ্তি - ৭-৫-২০১৬ |
জঙ্গল কাব্য জঙ্গল ঠাট্টা দিয়ে ঢেকে ছিল শক্ত পেশি দু’টাকার চাল খুঁজেছিস তোর আবার ডেমোক্রেসি ভোট শেষ… হাঁপ ছেড়েছি। হাড় হিম সাত দফাতে শাসানির হালুম ছিল আসবি না… থাক তফাতে শুধু সেই ধমকানি না খুব ধার বাঘের থাবায় ফেউ সব… তৈরি তারা দুপুরেই সন্ধ্যে নাবায় ঢেলে দেয় অবাধ্যতার শাস্তিও অনেক... অনেক দেওয়ালে নখের আঁচড় এঁকে দেয় আইন মোতাবেক তবু নাকি অবাধ্যরা এক হয় তলায় তলায় সাধ্যের প্রান্তে গিয়ে বিঁধে যায় বাঘের গলায়। সে ওরা করুক গিয়ে ভয়ে যার জীবন পেরোয় আমাদের কাজ কী এ’সব গোলমেলে সাতসতেরোয় |
অরুণাচল দত্ত চৌধুরী ফেসবুক প্রাপ্তি - ৭-৫-২০১৬ |
গাজীর গান- ২০১৬ প্রথমে বন্দনা করি যতেক বিদ্বজ্জনে তাদেরকে যদিও ঈর্ষা করি মনে মনে আমরা বঙ্গবাসী আমরা বঙ্গবাসী সর্বনাশীর উন্নয়নে মুগ্ধ পিটুলির গোলাকে ভাবি খাঁটি গরুর দুগ্ধ আহা ভাষণ শুনি মাইকে ভাষণ শুনি... জ্বলছে টুনি ল্যাম্পোস্টের গায়ে ঘাড়ের ওপর পড়ছে সেতু অন্য কারোর দায়ে সে তো রাণীর দোষ না রাণীর দোষ না… অবাক হোস না এ’সব নানান ছুতোয় জিভ বেরোবে… হয় তো প্রাণও… উন্নয়নের গুঁতোয় সবই প্রচারগুণে আহা প্রচারগুণে মিথ্যে শুনে আমরা যে খুব ক্লান্ত কেউ না জানুক এই কথাটি নেত্রী বোধহয় জানত তাই দিল হুকুম তাই এল হুকুম পাড়াও গে ঘুম বর্গী ডাকো পাড়ায় কেউ না যেন ভোট দিতে আর তর্জনীটা বাড়ায় ভুল সাহস করে কেউ সাহস করে সাড়ম্বরে যদি বা যায় বুথে ডাণ্ডা মেরে ঠাণ্ডা করো। ভোট দিয়ে দিক ভূতে। এ’টাই ডেমোক্রেসি এ’টাই ডেমোক্রেসি। একটু বেশি ভাববে সবাই কবে নিও কমিউনিজম আসছে কাজেই ট্রাবল নিতে হবে আসছে ঊনিশে মে আসছে ঊনিশে মে হয় তো প্রেমে পড়তে হবে আবার স্বপ্নে পাবো গণতন্ত্র স্বপ্নে খাবো খাবার শুনুন বঙ্গবাসী … |
অরুণাচল দত্ত চৌধুরী ফেসবুক প্রাপ্তি - ৭-৫-২০১৬ |
হেতুবাদী ফেসবুক প্রাপ্তি - ৯-৫-২০১৬ |
MY THEME SONG ঢ্যাংকুড়্ কুড়্ ড্যাংকুড়্ কুড়্ বাজল ঢাকের বোল। পাঁচবছর পরে ভোট এলো যে তোল সবাইকে তোল।। কেউ বাবাকে পুজো দেয় নানান নিশান মুড়ে। কেউবা গুড় জল খাওয়াবে প্রসাদ মনে করে।। চড়াম্ চড়াম্ আওয়াজ শোনো এবার নতুম থিম। পুরস্কারে মিলবে যে লাশ ভোট গনণার দিন। ভোটের পরেই ঘোঁট হবে যেমন প্রতিবারে হয়। ভোট বাবাজির ক্রিরিপায় দল সরকারেতে যায়।। আহো সরকার বাহ সরকার মোদের গদিতে বস। কোষ ভরে ট্যাক্স দেব বাঁশ লয়ে এস।। ইস্তাহারে যা লিখেছ থাকনা সে সব কথা । ভোটের পুজায় ভুলে গেছ ওসব ছাতার মাথা।। ভোট পুজু তো চুকেই গেছে ফের পাঁচ বছর বাদ। এখন থেকেই উন্নয়নের মার মাথায় লাথ।। সরকারগো ভাল থেক অন্তত থাকাটা দরকার। বাজে কথা বললে জুটুক মার বা কারাগার।। ধাং কুরকুর ড্যাং কুরকুর বাজে রাজার ধাক। আলু পটল চাল ডাল সবজি সব উধাও হয়ে যাক।। চাকরি বাকরি কারখানাটানা বন্ধ থাকুক কিছুদিন। ভোটের বলি দিতেই হয় তাই ভোটের বাজাও বীণ।। আয়না সবাই আয়না রে ভাই লাশ লাশ খেলি। এদল মারুক ওদল কে শহীদ বলে ডাকি।। |
অসীম গিরি প্রাপ্তি - ১১-৫-২০১৬ |
কবি-স্ত্রীর উক্তি মুখ ভার ভার, কথা নেই মুখে, পাশ কেটে যাও চ’লে, হাসির দামও কি চড়ে গেল নাকি যুদ্ধ লেগেছে ব’লে? কবিতা শুনিনি তাই রাগ বুঝি, শুনব ব’লেই সময় তো খুঁজি, খুঁটি-নাটি কাজ সারাদিন লেগে, শুনব কেমন ক’রে? তোমার কবিতা খুব ভাল হয়---করব কি আর প’ড়ে? জামার বোতাম ছিঁড়েছে দেখ না---আসবে যে ধোপা আজ। আচার করা যা ঝকমারি বাপু, বড়ই কঠিন কাজ। এক মাস হ’ল চিঠি একখানা, লিখে মার খোঁজ হয়নিক’ জানা, একা একা আর কত দিক্ দেখি---হিম্-সিম্ খেয়ে যাই, বল দেখি আমি কবিতা শোনার সময় কখন পাই? বুঝতে পার না, কেন যে কেবল শুধু শুধু রাগ কর, তোমাকেই খুশী করার জন্যে খাটি যে এমনতর, তবু তো তোমার পাই না ক’ মন, ঘর-সংসারে নেই প্রয়োজন?--- কবিতা শুনলে খুশী যদি হও তাই নয় করা যাবে, কিছুই বুঝি না, জানি না তবুও শুনিয়ে কি সুখ পাবে? বোঝার আমার নেই প্রয়োজন---শুনলেই শুধু হবে, বেশ তাই হোক্, তোমার আদেশ না শুনেছি আমি কবে? তবে শোন আমি বলছি পষ্ট, শুনলে কবিতা হয় যে কষ্ট, মনে হয় তুমি অন্য কাউকে ভালবাস নিশ্চয়, লেখার মধ্যে যত গুণ গাও সে গুণ আমার নয়। |
সুধাংশুকুমার সান্যাল যামিনীমোহন কর সম্পাদিত মাসিক বসুমতী পত্রিকার কার্তিক ১৩৫৩ (অক্টোবর ১৯৪৬) সংখ্যা থেকে। প্রাপ্তি - ১৬-৫-২০১৬ |
বাংলা তো জ্বলছেই জ্বলবে, সেই অগ্নি-শিখায় জয়-সংকেত | আকাশ বাতাশে শুনি জয়গান গায় লুণ্ঠিত, শোষিত, অনিকেত | যদি ভাবো - ভোট দিয়ে হবে কি ? জেনে রাখো, না দিলেও র'বে কি --- রবে শুধু শ্মশানের শান্তি, বিকে-যাওয়া দেশ জুড়ে ভ্রান্তি | শ্রমিকের কাজ --- "কেনা-গোলামী", কৃষকের ধানক্ষেতে সুনামী | নারীদের লাঞ্ছনা আমরণ, শোষকের লালসার কর্ষণ | ক্রোধ প্রতিরোধ কুরবানী | রাষ্ট্রীয়-ত্রাস, হানাহানি | তাই, তুলে নাও হাতিয়ার ব্যালটের, তাক্ করো দম্ভ শাসকের | অবিরাম, ত্রাসে হেনে প্রতিরোধ, কেড়ে নাও অধিকার নিজেদের | এক পা-ও পশ্চাতে না হেঁটে, বুলেটেরে রুখে দাও ব্যালটে | দুষ্ট কবি বলে --- দাও শান্ , ভোট নামী হাতিয়ারে দাও শান্ | বাংলা তো জ্বলছেই জ্বলবে | শেষ কথা ব্যালটেই বলবে | দেবাশিস রায়ের সুরে ও কণ্ঠে "ভাঙো বাস্তিল" অডিও সিডির গান। গানটি এখনও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক! গানটি শুনতে এখানে ক্লিক করুন . . . |
দুষ্টকবি কলকাতা, ১২/৩/২০০৯ |
ক্ষমা নয় গণশক্তি, ১৫ মে ২০১৬ তারিখে প্রকাশিত বিবিজান, ও বিবিজান ! কাকে দেবেন ভোট ? একদিকে শেয়াল-শকুন অন্যদিকে জোট | এবার তবে সাহস করে জোটেই দিন ছাপ, ক্ষমা নয়, ক্ষমা নয়— দোষীকে নয় মাপ | |
|
মাছরাঙা মাছ খায় গণশক্তি, ১৫ মে ২০১৬ তারিখে প্রকাশিত মাছরাঙা মাছ খায় ঘুষ খায় মদনে, হাসি হাসি মুখ তার আলো করে বদনে | মধু খায় মৌমাছি মধু খোঁজে তাই ফুলে, ঘুষ খায় দাদা-দিদি লোকলাজ সব ভুলে | |
গণতন্ত্র গণশক্তি, ১৫ মে ২০১৬ তারিখে প্রকাশিত ছুটিতেছে গুলি বোমা পুড়িতেছে ঘর, বন্ধু বলে বন্ধুকে তুই ব্যাটা মর | ঘরে ঘরে কারা এসে শাসায় রাত্তিরে ভোট দিয়ে বের হলে দেবো ভুঁড়ি চিরে | নেত্রীর আদেশ ইহা মানিবে নিশ্চয়, এরই নাম গণতন্ত্র গাও তারই জয় | দিদি--ব্র্যান্ড ভোটতন্ত্র ইহারেই কয় | |
তফাৎ নেই সাংস্কৃতিক সমসময়, এপ্রিল ২০১৬ সংখ্যায় প্রকাশিত। সাজলজ্জার ধার ধারে না সংসদীয় রাজনীতি, ঘুষের খেলা। প্রতারণা --- সক্কলের এক রীতি। চরকা, পদ্ম, হাতুড়ি কাস্তে কিংবা ফুল --- সবুজ ঘাসে, একই গানের গায়ক তারা একই মঞ্চে সবাই নাচে। কালো পাঁঠা, সাদা পাঁঠা যে পাঠাই বাছবে ভাই ছাল ছাড়ালে তাদের মধ্যে দেখবে কোন তফাৎ নাই! |
চারণ কবির গান ভীরু আছে --- তাই গর্ব্বে দুলিছে . অত্যাচারির জয়-নিশান। ক্লৈব্য রয়েছে --- অন্যায় তাই . নিঃস্বের করে রক্ত পান॥ দুঃখের ভয়ে কাঁপে সদাই--- মানুষ আজিকে বন্দী তাই--- জীবনেরে বড়ো ভালবাসি ব’লে . শয়তান এত শক্তিমান॥ গগন-বিদারী বজ্রকণ্ঠে . গর্জ্জিয়া বলো --- ‘রে অন্যায় মরে যাবো তবু মস্তক কভু . নত করিব না তোমার পায়॥ দেখিবে নূতন অরুণোদয় রাঙিয়া তুলিবে দিগ্বলয়--- মৃত্যুর পাশ ছিন্ন করিয়া . জাগিয়া উঠিবে বিজয়ী প্রাণ॥ |
ডাল সম্বরা একটু আগে বেতাল রাগে মাতাল সে এক মাদ্রাজী, ইডলি চেয়ে ব্যাডলি চ্যাঁচায় ডেডলি টোনে ইংরাজী। পায় নি ধোসা, তাতেও গোঁসা চিল্লে মরে তারস্বরে, ইডলি ধোসা নাই বা জুটুক আগ্রহ ডাল সম্বরে। মদ্র সাহেব, মন্দ্র স্বরে কহেন “ইয়ান্না রাস্কালা, ডু ইউ জানতা, রজনীকান্তা সম্বরা ড্রিংক দুইবেলা।“ হায় কি গেরো, সুপার হিরো জলে স্থলে অম্বরে, তার যতসব সুপারপাওয়ার সম্বরা ডাল পান করে! মদ্র বললে “ইল্লে ইল্লে ডোন্টা গিভা এক্সকিউজ, আই নিডা দিস”, শুনেই হাপিস বুদ্ধি শুদ্ধি সব ফিউজ। |
অজ্ঞাত কবি। ইন্টারনেট-হোয়াটস্অ্যাপ এর কবিতা। প্রাপ্তি ২৮.৫.২০১৬। |
হালত যা তা, হলেন ত্রাতা, উড়িয়া ঠাকুর জগড়নাথ। “মুই কালিকে ডাল রাঁধুচি হউচি খরাব, খট্টা স্বাদ।“ সেই ডালেতেই সব্জী ঢেলে ফুটিয়ে দিলো এককড়া! জগড়নাথের ম্যাজিক হাতের স্পেশাল সে ডাল সম্বরা। জয় জগড়নাথ, জয় বালাজী জয় জয় জয় জয় তারা। |
শুধু গোটা ত্রিশ … শুধু গোটা ত্রিশ সিট ছিল (ইসস!) আর সবই গেল জোটে কহিলেন খুকু‚ "কৌপীনটুকু কেড়ে নেবো নেক্সট ভোটে।" করি জোড় পাণি কহিলাম‚ "রাণী‚ দুশোর অধিক সিট পেয়েছ এবারে‚ তবে বারেবারে কেন করো খিটখিট?" শুনি কহে রাণী‚ "খুব দিসো বাণী‚ জলে‚ জঙ্গলে‚ স্টেজে আজ হাঁদারাম‚ চড়াম চড়াম কেমন উঠছে বেজে ঢাকের বাদ্যি?" থাকলে সাধ্যি খেতাম কি হিমসিম? যে বঙ্গে বসে বাপদাদা কষে সাম্যবাদের ডিম ফোলাতো 'তা' দিয়ে‚ সেইটা বাঁধিয়ে এতদিন গেছি টিকে বুঝিনি আসলে কবে তলেতলে লাল হয়ে গেছে ফিকে।" পিসি কন‚ "ট্রেন ধরো‚ কমপ্লেন শুনবো না‚ ছাড়ো দেশ তুমি শালা ইয়ে‚ ভোটে হেরে গিয়ে‚ কী করে দেখাও ফেস?" হইলো শপথ‚ আমি ধরি পথ‚ জানি না কোথায় যাবো কেন এই ভুল হলো‚ (ধুর চুল!) ভেবেভেবে পস্তাবো এতদিন যারে ভোটের বাজারে দিইনি একটু ছোঁয়া সেই কং আজ (মহা ধড়িবাজ) খেলো সব মালপোয়া মনে ভাবি‚ শালা! আছে তো কেরালা‚ আমি কি লোকাল নাকি সেখানে পালটা ফুটেছে লালটা। কং'কে দিয়েছি ফাঁকি। নেবো ধরাচূড়া‚ ঘুরিবো ত্রিপুরা‚ শ্রেণী-চরিত্র বুঝে সেখানেও যদি ওল্টায় গদি‚ নেবো পার্টনার খুঁজে মিটিংয়ে মিছিলে‚ শুখা খালবিলে আধপেটা‚ আধশোয়া যত লোক দেখি‚ মনে হতো এ কী‚ সব শালা বুর্জোয়া!! এইমতো হলো চোদ্দ বা ষোলো (দেখিনি ক্যালেন্ডার ) মনে হলো‚ ধুর! ফিরি নিজ-পুর‚ ভাল্লাগছে না আর। |
পীযূষকান্তি বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুক প্রাপ্তি ২৮.৫.২০১৬। |
আহা আহা আহা‚ সবই আছে‚ বাহা‚ দেখে গেছিলাম যা যা সেই লাঠালাঠি‚ মানুষ‚ মা‚ মাটি‚ ত্রিভঙ্গ তেলেভাজা মদের দোকান‚ ঠাকুরের গান‚ জ্যাম‚ গুণ্ডার হানা মলিন বদন রয়েছে মদন‚ আছে সেই জেলখানা র'ফলা‚ ঋ'কার ছাড়া চারিধার‚ বাংলাভাষার চিতা সোশ্যাল সাইটে বসে খিটখিটে এলিটিস্ট বক্তৃতা লালপেড়ে শাড়ি পরিয়া আনাড়ি মামনি হাঁটছে পথ কমরেড বলে টেনে নেবো কোলে মনে এই মনোরথ পাঁচদিন হেঁটে পৌঁছানু গেটে‚ ছেঁড়া কাল মার্কস্ থামে মিচকি হাসছে। কেউ কি আসছে সবজে আবীর খামে? দেখি চারধার‚ যদি কেউ আবার আমাকে দেখিয়ে নাচে! তারপর শেষে বসলাম এসে পার্টি অফিসের কাছে। ছিছি এ কী হাল! এমন কপাল‚ কী যে হলো কালে কালে রাস্তা ও গলি সবুজ সকলই যা যা ঢেকে ছিল লালে দেখে বোঝা দায় কিছু আগে হায় সফদার হাশমি'কে নিয়ে শত গান‚ অযুত শ্লোগান কবিরা গিয়েছে লিখে আজ সেই দেশে বামে কংগ্রেসে পরকীয়া অভিসার পুরাতন ক্ষত কাঁদে অবিরত হিসেব কে রাখে তার! এখন সে ভবে মাটি উত্সবে‚ শিলা পোঁতাপুঁতি খেলা'য় কত ধ্যান দানে‚ শত হাসি গানে কেটে যায় সারা বেলা। যেখানে সকালে প্রতি বোলচালে ভাঙা যেতো 'কালো হাত' আজকে সেখানে বিপ্লব মানে ফেসবুকো প্রতিবাদ যেখানে মানুষ ভুলে মান হুঁশ দিয়েছে অঢেল চাঁদা আজকে ভিডিও পুলিশ বিডিও সব সেথা নীল সাদা। |
খানিক থামিয়া‚ উঠিয়া নামিয়া অবাক হইয়া দেখি শ্মশানের কাছে আজও বেঁচে আছে আলিমুদ্দিন একি! বসি তার সিঁড়ি জ্বালাইনু বিড়ি, খুলে গেল স্মৃতি-খাতা একেএকে হায় মনে পড়ে যায় চৌঁতিরিশের গাথা শাসন‚ জবাই‚ বিধানসভায় বিরোধী শূন্য ঘর শাসক যা বলে তাই যাবে ফলে‚ নেই কোনো নড়চড় ধনী বন্দনে‚ চেনা নন্দনে কবি শিল্পীর ভীড় সেই ফাঁকতালে কত আলবালে খেয়ে গেছে দুধ‚ ক্ষীর হঠাৎ বাতাসে উড়ে উড়ে আসে তাল-মিছরির গুঁড়ো দেখে নিজ ঘরে এতক্ষণ পরে আমাকে চিনেছে খুড়ো আবার লড়বো। মিটিং করবো। ফের সব দেবো ফুঁকে। সেই বিশ্বাসে দেখিয়া আকাশে স্যালুট দিলাম ঠুকে। হেনকালে হায় সেই বেপাড়ায় সিন্ডকেটের চেলা এসে ধমকায়‚ বলে‚ "কী বেয়াই‚ ফের সেই ছেলেখেলা?" আমি হেসে বলি‚ এ তো ঘোর কলি! আমরা তো কমে গেছি মিছরির গুঁড়ো খাইয়াছি‚ খুড়ো তাই এত চেঁচামেচি!" সে ব্যাটা যা ইয়ে‚ গেল ধরে নিয়ে‚ রেগেমেগে লালপিলা পিসিমা সেদিন নিয়ে দূরবীন খুঁজিতেছিলেন শিলা তিনি চটেমটে বল্লেন‚ ভোটে হেরেও কাটে নি কান?" পিসি যাযা বলে ভাইপো সকলে করে আরো অপমান। আমি বল্লাম‚ "শুনুন‚ ম্যাডাম‚ শুধু মিছরির দানা …" তিনি কন হেসে‚ "গবেটের বেশে মাল খুব চেনা-জানা! খুকখুক কাশি‚ ফিক করে হাসি‚ হায় ক্ষমতার চাঁছি! তুমি মহারাণী‚ আজ ময়রাণী‚ আমি কাঁঠালিয়া মাছি!" (রবীন্দ্রনাথের কাছে ক্ষমা-প্রার্থনা-সহ) |
ভোটরঙ্গ স্বাধীনতা এবং হরিজন আন্দোলনকে কেন্দ্র করে লেখা কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ “মন্দিরের চাবী” দ্বিতীয় সংস্করণ (১৯৫৫)-এর কবিতা। কাব্যগ্রন্থটির প্রথম সংস্করণ ১৯৩১ সালে প্রকাশিত হওয়া মাত্র ব্রিটিশ সরকার দ্বারা বাজেয়াপ্ত করা হয়। দরিদ্রে আশ্বাস দিয়া ভিক্ষা কর “ভোট দাও”---বলি ধনীর বিশ্বাস নিয়া লহ ধন চাটুবাক্যে ছলি’ একেরে অন্যের হ’তে প্রতিশ্রুতি দাও পরিত্রাণে উভয়ে বঞ্চনা করি “ভোটরঙ্গ” রসিকেরা জানে! |
এ রাস্তা কার ট্রাম লাইনের ধারে নয়তো পথের পাশে অসহায় কঙ্কাল গুলো থাকে পড়ে| একমুঠো খাবার জোটে না তাদের হয়তো তবু বেঁচে আছে না মরে|| জানিনা কতো কষ্ট পাবে এরা নাকি কষ্ট এদের বন্ধু হয়ে গেছে| তবু রাস্তা নিয়ে হচ্ছে কতো লড়াই ভাগ আছে কার এই রাস্তার পিছে|| হাজার মানুষ ঠাঁই পেয়েছে হেথা একটু খানি গুজবে মাথা বলে| ঠিক হয়না রাস্তা নেবে কে তাইতো লড়াই হচ্ছে দলে দলে|| |
বাঁচা মরার খেলা ক্ষুধার জ্বালায় কেউ মরে যায় কেউ খায় ভুরিভুরি কারো আছে খাবার পাহাড় আর কেউ করে তাই চুরি | অন্ন দাতার কি পরিহাস দেখে হয়েছি ধন্য!! ভরা পেটে খাবার ঢালে আর গরীব হারায় অন্ন || ক্ষুধার জ্বালায় দিন কেটে যায় আসে নতুন সাল | তবু তাদের চোখে অশ্রু ঝরে শূন্য খাবার থাল | চোখের জলের দাম নেই গো শ্রেয় তাদের মরাই! ক্ষুধার জ্বালার কি বাঁচা যায় হয় কি কোনো লড়াই || |
“ঘুষ দেখ যাহা অনুদান তাহা” দিদির উকীলের লড়া! পোষা উর্দিধারী করে এনকোয়ারী কেন, “স্টিং” করে ঘুষ ধরা? দুই টাকা চাল ফ্রী-তে সাইকাল নেতারাও তাহা লয়। যারা দেয় কর বাজারের দর দেখিয়া তো প্রাণ যায়॥ তোলাবাজ রাজ শান্তি বিরাজ করায় রাজ্য জুড়ে। সিণ্ডিকেট বিনা পাতাটি নড়েনা ব্রীজ ভাঙিয়া পড়ে॥ নির্বাচন পূর্বে যে মিডিয়া গর্বে দেখাইতো দিদির ভুল। চুপ হইয়া রয় গাহে দিদির জয় পাছে হয় চক্ষুশূল॥ তিরিশ বছরে লাল ঝাণ্ডা ধরে পারেনি করিতে যাহা। পাঁচটি বছরে দিদি তাহা ক’রে দেখাইয়া দিল, আহা! |
দিয়া হাঁক্ ডাক্ বাজাইয়া ঢাক্ চড়াম চড়াম স্বরে! অসতের স্বর্গ তোলাবাজ দুর্গ দিদির ছায়ায় বাড়ে॥ পাড়ায় পাড়ায় তোলা তুলে খায় দিদির পতাকা নেড়ে। থানা চুপচাপ প্রতিবাদ পাপ লাশ যাবে পথে প’ড়ে॥ ছিলো ঠিক ঠাক মাঝে মাঝে হাঁক নিয়মিত দিত দিদি। মোরা সব সৎ সিণ্ডিকেট নট্ আমি সততার নিধি! শান্তিতে দিদি সততার নিধি হঠাৎ হোঁচট জোরে! প্রতিবেশী রাণী দূরভাষ টানি দিদিরে ফোন করে॥ ফোনে বলে রাণী--- শোনো দিদিরাণী, মোর চেনা, তব দেশে। মরিতে বসেছে তোলাবাজী ক্লেশে কিছু করো বোন, শেষে॥ |
হোঁচট খাইয়া হঠাৎ জাগিয়া পুড়িলো দিদির আনন! তোলাবাজটিকে পুরিলো ফাটকে। শুরু “ধন্য ধন্য” গাজন॥ টিভিতে চ্যানেলে বিদগ্ধ প্যানেলে দিদির জয়ধ্বনি! শাসক দিদি কঠোর দিদি কারো রে ছাড়ে না মানি॥ স্বভাবে কুচুটে দুষ্টকবি বটে বলে, র’সো মিডিয়ার ভাই--- বিদেশীরা শেষে বলিলো --- এ দেশে প্রশাসন ঠিক নাই!? তাই আজ দিদি সততার নিধি বাধ্য হইলো শেষে, তারি ভাইদের জেলে পুরিতে। এতকাল বাধা কিসে? মা-মাটি-মানুষে করে নাই এসে এতটুকু ভরসা। সন্ত্রাস সেনা গঠনের বিনা জিতের করেনি আশা? |
ভোট গেল সবে আরবার হবে বহুদিন বাকি তায়। এ বালাইদিগে হাজতের দিকে পাঠাইতে নাহি ভয়॥ খাক্ পেড়ে পাত হাজতের ভাত লোকচক্ষুর আড়ে। ছাড়া যাবেখন যবে নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ে॥ মিছে নয় মোটে আরাবুল, ঘোটে কিছু কাল ছিল জেলে। নির্বাচন দ্বারে জেল থেকে ছাড়ে স্ব-মহিমায় খেলে॥ বঙ্গের তথতে তোমারে বসাতে তব লাগি যারা খাটে! তুমি হলে রাণী সাধু-জ্ঞানী-গুণী তারা আজ চোর বটে!? . ************* কলকাতা ১৯.৭.২০১৬ |
"ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ বিরোধী" মিছিলে আধলার ঘায়ে আহত হয়ে পড়ে, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমার্জেন্সী টেবিলে, ব্যাথাকাতর অবস্থায়, বদভ্যাস মতো একটা ছড়া কাটার চেষ্টা, এই কবির! ‘মুক্তচিন্তা’র দামাল গুলো মিছিলে পথ জুড়ে, সেই মিছিলে গোবৎসরা মারলো পাথর ছুঁড়ে। পালিয়ে গেল উড়িয়ে ধুলো, গোয়ালে যেন ফেরে, নাদুসনুদুস একটাকে এক সান্ত্রী ফেলল ধরে। সান্ত্রী কহে, কিরে ব্যাটা ব্যাগে যে তোর পাথর! আরেকটা তো ইট মনে হয়, অন্য ব্যাগের ভেতর! ঐ মিছিলে মাথায় আঘাত তোরই ইটের ঘায়ে, ছেড়েই দিতাম, মারতি যদি হাতে কিংবা পায়ে। চল ব্যাটা তুই থানায় আগে, করবি হাজতবাস, চালান হবি কোর্টে, জেলে পচবি কয়েক মাস। থলের মালিক গতরভারী, শান্ত কন্ঠে বলেন, রাজা-উজির, মন্ত্রী-নেতা কোথায় নেবেন চলেন। থানার বাবু কহেন হেঁকে, ইট কেনরে ভেড়ুয়া? আজ্ঞে হুজুর ওটা ঘষেই তিলক কাটি— গেরুয়া। তবে কেনো পাথর রাখিস, ভর্তি করে ঝোলা? ছিঃ, ছিঃ হুজুর! পাথর তো নয়, শালগ্রাম শিলা। সলাজ বড়বাবু বলেন, মাফ করে দিন বাবা! সান্ত্রী দলকে ধমকে বলেন, চোখে কি সব ন্যাবা? হাত দিয়ে বা পা দিয়ে বাপ আশিস করেন মাথায়। ওরাই বাবা পৌঁছে দেবে, আপনি যাবেন যেথায়। |
সাধন বিশ্বাস ফেসবুক প্রাপ্তি ২০-৭-২০১৬ |
অজ্ঞাত কবি ফেসবুক প্রাপ্তি ২৪-৭-২০১৬ |
ভাল লাগে ডালমুঠ বাংলার পাঁইট জনটানা রিকশায় হিলতোলা বাইট আমি নাগরিক দেখি দিনরাত শহরের শিয়রে যে অতিপাত গান লিখি পদক পুরস্কার বিদেশ যাত্রার ডাক মিডিয়ার নাচানাচি নিন্দামন্দা এভাবেই আমার ধান্দা কবি নাম নিয়ে যুগযুগ (করে)খাক! |
কৌশিক ভাদুড়ী মিলনসাগরে কবির পাতা ফেসবুক প্রাপ্তি ১২-৮-২০১৬ |
ভারতী নিজের মাভাষা ভুলে প্রসার ভারতে চেয়েছো জাতীয় নদী বহে খরস্রোতে সম্মুখে পতন থাকলে হয় মতিভ্রম পচা ভাদ্রমাসে ভাবো রয়েছো শরতে দযা নয়, ভিক্ষা নয়, চাই অধিকার যুক্তরাষ্ট্রে বঙ্গ সহ ওডিশা বিহার প্রতি অঙ্গরাজ্যে নবভারতের গান গাহে পাখি নানা ভাষা ভারতী প্রসার.... |
প্রসূন ভৌমিক মিলনসাগরে কবির পাতা ফেসবুক প্রাপ্তি ১৬.৮.২০১৬ |
সপ্তাশ্ব ভৌমিক ফেসবুক প্রাপ্তি ২৭.৮.২০১৬ |
রেহান কৌশিক ফেসবুক প্রাপ্তি ২৭.৮.২০১৬ |
ইমন ফেসবুক থেকে প্রাপ্তি ১৮.৯.২০১৬ |
॥ গাধাতামামি॥ কিছুকিছু গাধা আছে যত্র ও তত্র, কারো কারো মস্তকে ছেঁড়া রাজছত্র ! কারো ঘিলু খটখটে, মগজেতে ঘুঁটে কেউ বাঁচে চিটফান্ড-পদে মাথা কুটে । কোনো গাধা সাংসদ, কেউ মাস্টার বেশ কিছু ক্ষমতাতে সাঁটা প্লাস্টার । কোনো গাধা প্রশাসনে গো-শাসনে বন্দী সিন্ডিকেটেতে শত ভৃঙ্গী ও নন্দী । এতো প্রকারের গাধা থাকলে কি হবে, গাধা তো গাধাই ভাই, ঘোড়া কেউ কবে ? শুধু এক ব্যাপারেতে গাধাদের মিলঃ এঁটোপাতা চেটে খাওয়া করেনি বাতিল , নিখুঁত কাতিল !!! ।। শুভ জোয়ারদার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ।। |
শুভ জোয়ারদার মিলনসাগরে কবির পাতা প্রাপ্তি ২৫.৯.২০১৬ |
॥ হিমি-ফরমূলা॥ হিমিপিসি ছিল বাল্যবিধবা মহিলা নিষ্ঠাবতী তিনকুলে তার ছিলনা কো কেউ, আচারে বিচারে সতী । অশ্লেষা-মঘা-অম্বুবাচীর তিথি মেনে সব কর্ম যেখানে আমিষ সেখানে কারফু, মনেতে কঠিন বর্ম । সেই পিসিমাই ঢলানি হলেন, মাছে-মাসে দিলো মন মুখে পমেটম, ক্লাবেতে প্লাবন, রিসর্টে বৃন্দাবন ! আসলে পিসির খিদে ছিল পেটে, শত্রুর মুখে ছাই দিয়েছেন পিসি, তাই দিবানিশি রসেবশে মাখা ফ্রাই ! হিমিপিসিমার ফরমূলা আজ খাচ্ছে বুদ্ধিজীবীরা কবি অভিনেতা শিল্পী গায়ক , বিখ্যাত বাবুবিবিরাঃ পেটে খিদে বলে বেহায়া হয়েছে, রাজার ভজনা করিয়া চেটেপুটে খান, লেবু চটকান, প্রতিবাদে গড় করিয়া , নিজের ছায়াকে ডরিয়া !!! ॥ শুভ জোয়ারদার ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬॥ |
শুভ জোয়ারদার মিলনসাগরে কবির পাতা প্রাপ্তি ২৫.৯.২০১৬ |
এই তো সেদিন পরিবর্তন আনলো জোয়ার মনে, ভাবলো সবে “নিলাজ প্রদর্শন”-টা যাবে থেমে! কী যে ব’লে দু কান ম’লে ডুব দিলো বাংগালি, আড়ালে যা চলতো, এখন চলছে খোলাখুলি! ভুলিয়ে সারদাকে, নারদাকে গুলিয়ে দিয়ে গন্ধ ঢাকে উন্নয়ণের ধূপ-ধুনো জ্বালিয়ে। থীমের পূজোর পোয়াবারো, টাকার খেলায় মেতে। প্রজার উপরী পাওনা --- মুখ্যমন্ত্রী কাটলে ফিতে। নেয় না নালিশ থানায় গেলে, দলের মত্ না পেলে, ব্যস্ত পুলিশ উন্নয়ন-উত্সবের জাঁতাকলে! ক’টা বছর সুযোগ পেয়ে ফুর্তি করার তালে দেশ ডুবেছে সিণ্ডিকেট আর তোলাবাজির চালে! পেটোয়া ক্লাবের ঠাকুর-মিছিল, লাল-সরণী পরে ভিক্ষে পাওয়া দু-লাখ ফেরত দিচ্ছে ধামা ধ’রে! এ শরতেও দুগ্গা মায়ে দুষ্টকবি কয়--- লজ্জা দে মা, শরম দে মা, একটু দে মা ভয়॥ . ********************* ১০.২০১৬ |
বেণীমাধব যখন আলিমুদ্দিন "আলিমুদ্দিন, আলিমুদ্দিন, বিপ্লব কবে পাবো? আলিমুদ্দিন, তুমি কি আর মানুষের কথা ভাবো? আলিমুদ্দিন, বিপ্লব বাঁশি তমাল তরুমূলে বাজিয়েছিলে, আমি তখন মাধ্যমিক ইস্কুলে। ছোট থেকেই এসএফআই করি, শ্রেণী সংগ্রাম, ভোটে তখন রিগিং করো, আগুনের নন্দীগ্রাম। আমি তখন অবাক হই, লজ্জায় হই লাল, আনলে কুমির আলিমুদ্দিন, কাটলে তুমি খাল। আলিমুদ্দিন, আলিমুদ্দিন, আদর্শ তো ভালো, ভাবনা জুড়ে জ্বলেছিল সমাজতন্ত্রের আলো। তোমার জন্য এক দৌড়ে ব্রিগেড ময়দানে, আলিমুদ্দিন, আমার বাবা কাজ করে দোকানে। কুঞ্জে অলি গুঞ্জে তবু ফুটেছে মঞ্জুরি, দলে দলে প্রোমোটার আসলো ভুরি ভুরি। আমি তখন শ্রেণী সংগ্রাম, আমি তখন লাল, ধীরে ধীরে আলিমুদ্দিন পাল্টে গেলো হাল। আলিমুদ্দিন, আলিমুদ্দিন, এই কদিনের পরে, সত্যি বলো, সে সব কথা এখনও মনে পড়ে? সে সব কথা বলেছো পোলিট বুড়োটা-কে, আমি দেখি বামের পাশে সুবিধাভোগী থাকে। |
|
দেখেছিলাম আলোর নীচে, নিকষ সেই কালো, স্বীকার করি দুজনেই হয়েছো জমকালো। পুড়িয়ে দিলো চোখ আমার, ঘুরিয়ে দিলো চোখ, বাড়িতে ফিরে বলেছিলাম শিক্ষা দেবে লোক। রাতে এখন ঘুমোতে যাই স্বপ্ন ভাঙা ঘরে, মেঝের পরে লাল পতাকা, একা গুমড়ে মরে। আমার পরে যে কমরেড, চোরা পথের বাঁকে, মিলিয়ে গেছে, জানি না কোন দলে সে থাকে। আজ তো গেল, কাল কি হবে, কালের ঘরে শনি, সব পাড়ারই দখল নেয় সবুজ দিদিমনি। তবু আগুন, আলিমুদ্দিন, আগুন জ্বলে কই? কেমন হবে আমিও যদি আজ সুবিধাভোগী হই?" |
|
বললে মেয়ে " হায় রে পুরুষ, হায়, ঠাকুর দেখতে নিয়ে গিয়ে ফেললে বেকায়দায় ? বুক যে কাঁপে ভয়ে কীসের জোরে থাকবো বেঁচে কার মুখেতে চেয়ে ... গলায় ঢালে বিষ আমরা তখন দেদার বাজি ফোটাচ্ছি দশ দিশ । নেতিয়ে গেলি মেয়ে দেখল না কেউ চেয়ে হায় রে মেয়েমানুষ আমরা তখন ফুর্তি করে ওড়াচ্ছিলেম ফানুস |
মৃদুল শ্রীমানী ফেসবুকের ছড়া প্রাপ্তি ০৮.১১.২০১৬ |
শ্রী শ্রী বিশ্বকর্মা পূজা মন্ত্র নম: শর্মা করিৎকর্মা হাস্য মুখ দেবেন বর্মা বোতল সহ মটন কোর্মা অপশনাল দধিকর্মা ।। মাঞ্জা ঘুড়ি ওড়া উড়ি কম্পিউটার মোটর গাড়ী নাট বোল্টু সাঁড়াশি সন্না চালক পালক বিশ্বকর্মা ।। আদুল গাত্র ধুতি মাত্র হস্তী পিঠে হাতুড়ি হস্ত ! বাবরী চুলো চোখে সুর্মা সতেরো নয়'এ বিশ্বকর্মা । |
ফেসবুকের ছড়া প্রাপ্তি ০৮.১১.২০১৬ |
বয়েস বয়েস করে মরিস, বয়েস আবার কি? সময়টা তোর বয়েস বলে মারছে ইয়ারকি। ইচ্ছে হলে খোকা হব ইচ্ছে হলে বুড়ো সময়টা কোন লাটের বেটা, বলবে আমায় ফুরো? ইচ্ছে মত যাচ্ছি বেঁচে ইচ্ছে হলে উঠব নেচে, ইচ্ছে হলে একশো হব ইচ্ছে হলে জিরো। সময়টা কোন লাটের বেটা বলবে আমায় ফুরো? শরীরে নয় বাত ধরেছে রক্তে বাড়ে চিনি লাভের গুড়ে পিঁপড়ে ঘোরে চলছে বিকিকিনি। তবু মাঝে লুকিয়ে মা কে চাটবো দুধের গুঁড়ো, সময়টা কোন লাটের বেটা বলবে আমায় ফুরো? |
অজ্ঞাত কবি হোয়াটসঅ্যাপের কবিতা অমিত জ্যোতি ব্যানার্জীর ফেসবুক দেয়াল থেকে নেওয়া প্রাপ্তি ২৫.১২.২০১৬ |
চুলে আমার পাক ধরেছে মন পাকল কই? এখনো তো চাঁদ দেখিলে অবাক হয়ে রই। এখনো তো ফুচকা চাখি কামড়াই কামরাঙ্গা রাতের ছাতে নিজের সাথে খেলি কুমীরডাঙা। কি যায় আসে পাড়ার ছেলে বললে জেঠু খুড়ো? সময়টা কোন লাটের বেটা বলবে আমায় ফুরো? এমনভাবেই থাকবো আমি এমনি কেঁদে হেসে জীবনটাকে জাপটে ধরে দারুন ভালোবেসে। থামবো তখন, মরন যখন বলবে 'এবার জি'রো ! ' সময়টা কোন লাটের বেটা বলবে আমায় ফুরো ! |
দেবাশিস দন্ড ফেসবুক থেকে প্রাপ্তি ১৮.৯.২০১৬ |
অর্থের অভাবে মৃত স্ত্রীকে কাঁধে নিয়ে, মৃত মায়ের শোকে ক্রন্দনরতা মেয়েকে সঙ্গী করে দশ কিমি পথ অতিক্রম করতে হল দানা মাঝিকে ২৫.৮.২০১৬ তারিখে, উড়িস্যার কালাহাণ্ডি জেলায়। কেউ সাহায্যের হাত বাড়ায় নি। সাংবাদিকদের মাধ্যমে খবর পাবার পরে অ্যামবুসেন্স আসে। এই প্রসঙ্গে অরিজিৎ টুবাই-এর ফেসবুকের পোস্টটিও তুলে দেওয়া হলো . . . প্রেম মানে 'দানা মাঝি'.. দানা মাঝি মৃত স্ত্রীকে নিয়ে ১২ কিলোমিটার পথ হাঁটলেন। সরকারি অবহেলাই ভারতের অবর্ণ মানুষের প্রাপ্য, নতুন করে কিছু বলার নেই। আমি শুধু ভাবছি ভালোবাসার কথা। ১২ কিলোমিটার হাঁটলেও ওনার পরিকল্পনা ছিল ৬০ কিলোমিটার হাঁটার কারণ ওনার গ্রাম হাসপাতাল থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে। উনি হাঁটছেন এই খবর রটে যাওয়ায় সরকারি বাবুরা তড়িঘড়ি এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে যাতে করে বাকি রাস্তাটুকু ওনাকে পৌঁছে দেওয়া হয়। কিন্তু উনি মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছিলেন ৬০ কিলোমিটার হাঁটবার । নিজের গ্রামে নিয়ে গিয়ে স্ত্রীর সৎকার করবেন বলে। কতখানি ভালোবাসা থাকলে মানুষ এরকম দানবিক পরিশ্রম করে? জানি না। আমরা ভালোবাসা বলতে বুঝি কবিতা, গান, বিরহ। শ্রীকৃষ্ণ আর রাধার খুনঁসুটিপূর্ণ প্রেম, অথবা কুমারসম্ভবে হর পার্বতীর যৌন প্রেম অথবা রবীন্দ্রনাথের গানে কবিতায় যে প্রেমের বহুমাত্রিক প্রকাশ আমরা দেখতে পাই এই সবকিছুর মধ্যে কোত্থাও ভারতের আপামর খেটে খাওয়া শ্রমিক মানুষদের খুঁজে পাবে না কেউ। শ্রমজীবী মানুষের ভালোবাসার প্রকাশ, প্রেমের প্রকাশের মধ্যেও শ্রম মিশে থাকে, লড়াই মিশে থাকে বোধয়। স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে করে ৬০ কিলোমিটার হাঁটার শক্তি শ্রমজীবী মানুষের প্রেমেই থাকে, কালিদাস থেকে রবীন্দ্রনাথে সেই প্রেম খুঁজলে পাওয়া যাবে না। সত্যি বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য আমাদের দেশ, একজন তার স্ত্রীকে ভালোবেসে কোটি টাকার উড়োজাহাজ উপহার দেয়, অন্যজন বউ কে ভালোবেসে বউ এর লাশ কাধে নিয়ে হেটে যায়......!!!! |