|
প্রতিবাদী কবিতার কবিদের কালানুক্রমিক সূচী >>>>>>>>> এই দীর্ঘ সংকলনটিকে একাধিক পাতায় প্রকাশিত করতে হয়েছে। এই কাজটি আমরা করেছি কালানুক্রমিক ভাবে। কোন পাতায় কোন কবি রয়েছেন তা এই কালানুক্রমিক সূচীতে দেখা যাচ্ছে। সূচীগুলির উপরে কবিদের জন্ম কাল দেওয়া রয়েছে। এখানে কবির নামের উপর ক্লিক করলেই সেই কবির প্রথম কবিতাটিতে পৌঁছে যাবেন। |
এই পাতাটি পাশাপাশি, ডাইনে-বামে ও কবিতাগুলি উপর-নীচ স্ক্রল করে! This page scrolls sideways < Left - Right >. Poems scroll ^ Up - Down v. |
|
|
মিলনসাগরের প্রতিবাদী কবিতার দেয়ালিকার কথা মিলনসাগরের এই প্রতিবাদী কবিতার দেয়ালিকায়, ৫৯৫ জনের বেশী কবির ২০০০ এর বেশী কবিতা রয়েছে, ২৫টির বেশী পাতায়। ইন্টারনেট ঘেঁটে আমরা বহু কবিতা-গানের ভিডিও ও অডিও খুঁজে এনে সেই সেই কবিতার পাশে রাখার চেষ্টা করেছি। পাঠক তাঁর মূল্যবান মন্তব্য করুন এই পাতাগুলির বাঁদিকের নীচে দেওয়া ফেসবুকের ছবিওয়ালা বোতামে ক্লিক করে, আমাদের ফেসবুক পোস্টেই ফিরে গিয়ে ! প্রতিষ্ঠিত কবিদের সম্বন্ধে কিছু বলার ধৃষ্টতা আমাদের নেই। তাঁরা তাঁদের কবিতাতেই ভাস্বর। আমরা ভীষণ খুশি হব, পাঠক যদি সংকলনের তরুণ, বিশেষ করে নবীন কবিদের কবিতা প'ড়ে তাঁদের মন্তব্য করে "উৎসাহিত" করেন। চেষ্টা করা হয়েছে বাংলাভাষার আদিকাল থেকে আধুনিক যুগ, এমন কি স্কুল-পড়ুয়াদেরও, রাজনৈতিক বা সামাজিক অন্যায় অনাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে, বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবাদী কবিতা তোলার। ইচ্ছা ছিলো প্রতিবাদের বিভিন্ন বিষয়-ভিত্তিক সূচী করে দেবার। কেবল কালানুক্রমিক ও বর্ণানুক্রমিক সূচী দিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো। কবিতার মূল ভাণ্ডার মিলনসাগরের এযাবৎ প্রকাশিত পাতাগুলি হলেও, বহু শত নতুন কবিতা আমাদের টাইপ করে তুলতে হয়েছে। তাই পাঠক যদি কোনো বানান-ভুল বা মুদ্রণ-প্রমাদ দেখেন, আমাদের ক্ষমা করলে বাধিত থাকবো। CAA-NRC-NPR এর মোড়কে, কি হিন্দু কি মুসলমান বাঙালীকে, বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে, "ঘুসপৈঠী" বলে বে-নাগরিক করে এই জাতির অস্তিত্ব মুছে দেওয়ার প্রকাশ্য চেষ্টার কালে, সঠিক ও শুদ্ধ বাংলা ভাষার প্রচার ও প্রকাশনার চেয়েও আমাদের লক্ষ্য হলো সারা বিশ্বে, বাঙালী ও বাংলা ভাষার পাঠকের হাতের মুঠোয় বাংলা ভাষায়, বাংলা লিপিতে, বাংলা হরফে কবিতা পৌঁছে দেওয়া। বহু কবিতাই হাস্য-কৌতুকের আঙ্গিকের কবিতা বলে মনে হলেও সেই ঘটনাবলি ও পরিবেশ-পরিস্থিতির পেছনে যে সমাজের দুর্বল শ্রেণীর, অর্থাৎ নারী, নির্ধন ও নীচু জাতের অসহায়-মান্যতা থাকে, তাকেই আমরা প্রতিবাদ বলে ধরেছি। প্রাচীন কালে সরাসরি প্রতিবাদ করলে লেখক বা কবির অস্তিত্ব বিপন্ন হবার প্রবল ভয় থাকতো, কারণ শাসন ও বিচার ব্যবস্থা নবাব-বাদশা-রাজা-রাজন্যবর্গ-জমিদারদের হাতে, তাদের মর্জির দাস ছিলো। তাই রচয়িতারা তাঁদের প্রতিবাদটি ব্যক্ত করতেন হাস্য-কৌতুকের মোড়কের মধ্য দিয়ে। কলমচির অস্তিত্বের ব্যাপারটার আজকের "গণতন্ত্রের", "বাঁচার অধীকারের" যুগেও যে খুব একটা পরিবর্তিত হয়েছে, তা জোর গলায় আর বলতে পারলাম কই?! লজ্জার কথা এই যে এখনকার শাসকরা কোনো রাজ- রক্তের অধিকারী হন না। তাঁরা সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকেই উঠে আসেন, আমাদেরই একজন সেজে, উন্নতবিশ্ব-বর্জিত ই.ভি.এম. চালিত নির্বাচন নামী প্রহসনে আমাদেরই চোখে ধূলো দিয়ে! কিন্তু তাঁদের চলন- বলন ও নৃশংসতায় কোনো তফাৎ দেখা যায় কি? ঠুলিপরা বিচার ব্যবস্থা তো অনেক কিছু দেখতেই পান না। এখানে রয়েছে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু সহ আরও বহু স্বাধীনতা সংগ্রামীর কবিতা ও লেখা, যা আমরা কবিতা হিসেবে এই সংকলনে তুলে ধন্য হয়েছি। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো হেমচন্দ্র কানুনগো, বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, মাস্টারদা সূর্য সেন সহ ২৪জন বিপ্লবীর কবিতা ও লেখা, যাঁরা হয় স্বেচ্ছায় বা ফাঁসীতে মৃত্যু বরণ করেছিলেন, নয় তো এই পাতার পশ্চাৎপটের ছবি, সেলুলার জেলে জীবনের দীর্ঘ সময় নির্যাতন সয়েছিলেন, যাতে আমরা স্বাধীন দেশে জন্মগ্রহণ করতে পারি। রয়েছে বিপ্লবী শহীদ ভগৎ সিং এর লেখার বঙ্গানুবাদ, তাঁর কবিতা হিসেবে। দুজন কবির আলাদা পাতা করে দেওয়া হয়েছে। প্রথমজন রবীন্দ্রনাথ যাঁর ৪৪টি কবিতা চয়ন করা হয়েছে। কালানুক্রমিকভাবে তাঁর ঠিক পরের কবির নাম কালীপ্রসন্ন কাব্য বিশারদ, জিনি বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের অন্যতম জনপ্রিয় কাব্য ও গীত রচয়িতা ছিলেন, বিশেষ করে বিপ্লবী ও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কাছে। সেকালে প্রকাশিত স্বদেশপ্রেমের কাব্য সংকলনগুলি দেখলেই তা বোঝা যায়। কিন্তু তাঁর সাথে রবীন্দ্রনাথের বিরোধও সর্বজন বিদিত। তাই রবীন্দ্রনাথকে শান্তিতে তাঁর কবিতা, মিলনসাগরের আলাদা পাতায় রাখতে দেবার কথা ভেবেছি! পরের পাতাটিকে কালীপ্রসন্ন কাব্য বিশারদের কবিতা দিয়েই শুরু করানো হয়েছে। দ্বিতীয় কবি যাঁর আলাদা পাতা করা হয়েছে, তিনি আর্যতীর্থ। তাঁর রচিত সহস্রাধিক কবিতার বেশীরভাগই প্রতিবাদী। চূড়ান্ত কৃপণতার সাথে তাঁর মাত্র ৮১টি কবিতা চয়ন করা হয়েছে, স্থানাভাবের কথা মাথায় রেখেই! এবং যেহেতু প্রতি পাতায় ৮০ - ১০০টি কবিতা রাখা হয়েছে, তাঁকে একটি পুরো পাতা দেওয়া সমীচীন মনে করা হয়েছে। আবাদভূমি পত্রিকার সম্পাদক ও গণসঙ্গীতকার কবি রাজেশ দত্ত এই সংকলনের কবিতা-গান চয়ন করার মূল দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রতিষ্ঠিত কবিদের পাশে, বিশেষ করে গণসঙ্গীতকারদের কবিতা ও গান, বন্দীমুক্তি আন্দোলনের কবিতা ও গানের চয়ন, তাঁর স্বাক্ষর বহন করছে। তাঁরই আগ্রহে আমরা বহু আধুনিক বাংলা ব্যাণ্ডের প্রভূত জনপ্রিয় অথচ প্রতিবাদী গান এখানে সংকলিত করতে পেরেছি, গানের ভিডিও সহ। তাঁর চেষ্টায় বাদ যায়নি প্রথম বাংলা ব্যাণ্ড মোহিনের ঘোড়াগুলিও!---------মিলন সেনগুপ্ত, মিলনসাগর। জন্ম সেলুলার জেলেই॥ |