| তুই লড়ে যা নন্দীগ্রাম দখল চাই! দখল চাই! সোনাচূড়া আর খেজুরীর | দখল চাই জান মানের, নন্দীগ্রামের অধিবাসীর | তুই লড়ে যা, তুই লড়ে যা, তুই দাঁতে দাঁত চিপে লড়ে যা | তুই লড়ে যা, তোর জীবন-জমির দখল রাখতে লড়ে যা | চার দিক থেকে ঘিরে ফেলে 'তোর লাইফ হেল করে ছাড়বে'! তুই চাস বা না চাস দিতে, তোর দখল নিয়েই মারবে | পাইপ গানে কেউ কথা বলে না, হাতে আধুনিক অস্ত্র | পাছে চিনে নিস্ , তাইতো দেখি গায়ে পুলিশের বস্ত্র | পুলিশের বেশে ভাড়াটে বর্গি, তাও না হয় বুঝতাম! পুলিশকে এরা শিখণ্ডী ক'রে শুরু করে যত 'অভিযান'! জেনে গেছে ওরা, জান গেলে যাক, তবুও তুই লড়বি | তুই, ঘর ছাড়া হলে, কুলনারী তাকে--- তাতে তো ভয় করবিই! মৃত্যুর ভয় নেইকো যাদের কোন ভয়ে বশ্ করবে? তার ঘরকেই বে-আব্রু করে কেল্লা-ফতে করবে! দুষ্ট কবি মিলন দেখছে--- যে ইতিহাস গড়ছিস, দেখবি তাতে রাজা মুছে যাবে তোরা ভাস্বর হয়ে জ্বলছিস | তবুও স্বাধীন থাকতে পারলে রুখে দিয়ে সব হামলা | গড়বি নজির! তোদের দিকেই তাকিয়ে সারা বাংলা || . ************** কলকাতা ১/৩/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত নন্দীগ্রামের পাশে সোনাচূড়া আর খেজুরী পুনর্দখল করেছে শাসক দল | খবরে প্রকাশ, অনেক জায়গাতে পুরুষরা ঘরছাড়া | নতুন যা শোনা যাচ্ছে তা হল এই যে পুরুষহীন পরিবারের রমণীদের শ্লীলতাহানি করা হচ্ছে | |
| আমি বাংলার চাষী আমার পায়ের তলায় মাটি খসে গেছে আমি বাংলার চাষী | আমার ঘর বার সব লুটে পুটে নিছে রাজার ঠ্যাঙাড়ে আসি || ঘোর অন্যায় করেছি আমি বাংলার জমি চাষি | মস্ত ভুল হয়ে গেছে ভাই বাংলায় বসবাসী || অপরাধ ঘোর আরও করেছি বাংলাকে ভালবেসে | তাই তো রাজার রোষানলে পড়ে আমি দোষী অবশেষে || বাংলার মাটি বাংলার জল তাইতে ফলাই সোনা | নবান্নেতে মেতে উঠি মোরা পালা পার্বনে টানা || একদা যে দেশ ভিক্ষা-পাত্রে যেতো দুনিয়াতে চেনা | আজ সে দেশ নিজে রাঁধে খায় চুকিয়ে ধার দেনা || আমিও আমার দেশকে তুলেছি ঝরায়ে অঝোরে ঘাম | জগত সভার শ্রেষ্ঠ আসনে বসাতে দিয়েছি দাম || আজ রাজা বলে --- 'দেশকে এগোতে তোকে বাদ দিতে হবে' | জোর করে তাই কেড়ে নিয়ে সব ধন-কুবেরকে সঁপে || জেনে রাখো সবে নীরবে থাকি নি যুদ্ধ করেছি আমি | প্রাণ পণে লড়ে ঠেকাতে চেয়েছি এই রাজ-ভণ্ডামি || আমারই করের টাকায় পোষা পুলিশ - হাতে অস্ত্র | কাউকে ছাড়ে নি, বুড়ো-বুড়ি-নারী দুধের শিশু নিরস্ত্র || সব কিছু কেড়ে খান্ত হয়নি যাতে মাথা নাহি তুলি | থানা-পুলিশ হাজারো মামলা-- নাগপাশে দেয় দলি || ঘোর অপরাধে দোষী আমি নিজে কি ভুল যে হায় করেছি | এক আমির-ভজা কৃষ্টি-বিহীন রাজাকে ভোটে এনেছি || আমার, ঘর কেড়ে নাও, জমি কেড়ে নাও খুন করে কর লাশ | তবুও রাজা, আমাকে করতে পারবে না তুমি দাস || * * * * * হারাধন বাগ তুমিই স্বাধীন এই হতভাগী দেশে | দুষ্ট কবি এই গাথা র'চে তোমাকে স্মরে শেষে || . ************** কলকাতা ১৩/৩/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত অতি গোপনে সিঙ্গুরে টাটাদের জমি হস্তান্তর হয়ে যাবার খবর পাওয়ার পর বৃদ্ধ চাষী শ্রী হারাধন বাগ গত ১১/৩/২০০৭ তারিখে আত্মহত্যা করেন | তিনি জমি বাঁচাও আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন | আন্দোলন চলাকালিন তাঁর পরিবারের বহু সদস্যকে গ্রেপতার করে তাঁদের নামে মাননীয় মূখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকার মামলা করেছে | হারাধন বাবুর আড়াই বছরের নাতনি পায়েল বাগের নামেও মামলা করতে ছাড়ে নি | |
| নন্দীগ্রামের কে কোথায় দাঁড়িয়ে (সিঙ্গুরে কে কোথায় দাঁড়িয়ে কবিতাটির মত নানান প্রধাণ চরিত্রগুলি একে একে তুলে ধরার চেষ্টা করছি | বলা বাহুল্য এটি ক্ষেপে ক্ষেপে শেষ করতে কিছু দিন সময় লাগবে ) এই কবিতাটির উপর আপনার মতামত প্রতিক্রিয়া জানাতে এখানে ক্লিক করুন গান্ধী গোপাল কৃষ্ণ তুলে নানান প্রশ্ন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখান | খুনী বুদ্ধর চালে অথবা তার ছলে না ভুলে, আর্তের পাশে দাঁড়ান || শিল্পায়নের ধোঁয়া তুলে সিঙ্গুর জখন যাচ্ছে জ্বলে ধর্মতলা যবে অনশন ঘাঁটি | বারবার ছুটে এসেছেন ভগিনীকে ডেকে এনেছেন রাজ-ভবনের লক্ষণরেখা কাটি || উত্তরে চা বাগানে লোকে অনাহারে যায় শ্মশানে বুদ্ধ তখন ব্যস্ত শিল্পায়নে | রাজ্যপালের বেশে গোপাল সেথায় এসে এই জগদ্দলকে নড়ান্ নিজের বয়ানে || নন্দীগ্রামের বুকে যখন পাষণ্ডরা ঢুকে গণহত্যায় রাঙিয়ে তুললো হাত | নির্বিচারে চালালো হত্যা বুদ্ধ বলেন 'আইন প্রতিষ্ঠা' শত শত লাশ করলো লোপাট্ || গোপাল গেলেন সেথা বুক ভরা তার ব্যথা দাঁড়ালেন গিয়ে হাহাকারের মাঝে | বুদ্ধর কুল রাগে জ্বলে ও সংবিধানকে ভাঙছে, বলে- রাজ্যপালকে 'ভবনেই' থাকা সাজে || জাতির জনক শান্তির দূত সেই বংশেরই ইনি সুপুত পদে পদে তা দুষ্ট কবি দেখলেন | বাংলা আজ কালিমা লিপ্ত তিনি পাশে দাঁড়ায়ে দৃপ্ত বাংলা মায়ের ঋণ তিনি শোধ করলেন || . ************** কলকাতা ২০/৩/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তাহার কথন এবং কার্য এই দুইয়ে মিল পাবে না কেহ | জমি নেবার নোটিস দিলেন পরে তা ছিঁড়তে বললেন মাঝে শুধু সাতটা মরদেহ || সারা দেশে প্রবল নিন্দা ওরা না চাইলে নাইকো চিন্তা কেমিকাল হাব্ হবে না আমি বলছি | 'সব আমাদের ভুল যখন মানুষকে বোঝাবো এখন পলিটিকাল প্রসেস শুরু করছি' || এই কথার সিঁদুরে মেঘে নন্দীগ্রাম বসলো বেঁকে বিচ্ছিন্ন হয়েই তাঁরা থাকলেন | বুদ্ধর 'পলিটিকাল প্রসেস' দখল নেবার আর এক আদেশ লক্ষণ ভাই সেটা পালনে লাগলেন || ভাড়াটে যত গুণ্ডা নিয়ে তিন মাস কাল হত্যে দিয়ে 'সন্ত্রাস' আর 'অবরোধ' করে রাখলেন | নন্দীগ্রাম তবুও নতি স্বীকার না করে দাঁড়িয়ে যতি বুদ্ধবাবুর সব কৌশল রুখলেন || তাতেই তিনি রেগে আগুন বলে 'নেই আইন কানুন' তাই করবো মোরা পুলিশি বন্দোবস্ত | মার্ক্সবাদ ছেড়ে পুঁজিবাদী রাজা মানেনি সেটা বেয়াদপ প্রজা তাইতো তিনি হলেন খড়গহস্ত || এল ১৪ই মার্চ কালা দিবস গণহত্যায় দেশটা অবশ বুদ্ধ বলেন হোথা আইন হলো কায়েম | মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামের ষড়যন্ত্রী ক্রুদ্ধ দুষ্ট কবি এটা বলেন || . ************** কলকাতা ২১/৩/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষ কেন তাঁকে চায় সর্বহারার নেতারা ভেবে পান না | ছাব্বিশ দিন অনশন ফলে, শরীরের করে ক্ষতি ভীষণ বিশ্রামও তিনি পুরোপুরি নিতে চান না || নন্দীগ্রামের হত্যালীলা চলছিল যবে অবলীলায় জীবনের ঝুঁকি সত্বেও তিনি গিয়েছেন | নন্দীগ্রামের লড়াকু মানুষ দিয়ে তাদের সব মান-হুঁশ দিদিকেই তাঁদের নেতা বলে মেনেছেন || দুষ্ট কবি দেখছে যেটা বুদ্ধ রাজার ত্রাস মমতা তাঁকে ছাড়া আর কাউকে নাহি ডরে | বাংলা মায়ের দুর্দিনে আজ মমতাকে ছাড়া বাঁচবে না লাজ অস্বীকার সেটা, কোন আহাম্মক করে || . ************** কলকাতা ২১/৩/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত সমীর পূততুণ্ড নেতা পি-ডি-এস এর প্রতিষ্ঠাতা বাম মহল কাঁপিয়েছিলেন একদা | চাষির জমি লুঠছে দেখে তাঁদের পাশে দাঁড়ান রুখে জমি বাঁচাও কমিটির সহনেতা || দুষ্ট কবির মনের মত একই ছত্রে বিরোধী যত জাত বিচারে সময় নাহি কাটান | এমন যদি চলতে থাকে কার সাধ্য ফেলে বিপাকে বাংলার এই জমি বাঁচাও অভিযান || . ************** কলকাতা ২১/৩/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত বাম ফ্রন্টের ছোট শরিক আর-এস-পি, ফরওয়ার্ড ব্ লক্ তাঁদের সাথে মিলে সি-পি-আই | নন্দীগ্রামের নর-সংহার দেখে বলেন এর দায়ভার আমরা শিরে নিতে নাহি চাই || মোদের রেখে অন্ধকারে সদল-বুদ্ধ এ সব করে মরুদ্যানে এটা এক কলঙ্ক | মিটিং-মিছিল-মিডিয়া জমে তাঁদের তোলা দাবীর বাণে বলে, না মানিলে ত্যাজিবো এই পঙ্ক || ফ্রন্টে বুঝি ধরলো ভাঙ্গন রুদ্ধশ্বাসে কাটে প্রতিক্ষণ দুষ্ট কবি মিটি মিটি শুধু হাসে | রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে দাঁড়ালেন সবে বাইরে এসে বিকিয়ে তাঁদের অধিকার, মত-প্রকাশে || লোক দেখাতে যাও বা দু-কথা চুকিয়ে দিয়ে সে সব ল্যাঠা ধৃতরাষ্ট্রের সভাসদ কুল সাজেন | এর পর তাঁরা মৌনি রবেন শুধু, বড় শরিকের ধামা ধরবেন এবারও জনতা হতবাক চেয়ে থাকেন || . ************** কলকাতা ২১/৩/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত মাননীয় মানস ভুঁইয়া বুঝি আজ তিনি দিশা খুইয়া কি যে করেন তাহা কে বা জানে | কংগ্রেসের যা দুরবস্থা 'চিত্কার' ছাড়া নাইকো রাস্তা তাঁদের অভিসন্ধি মানুষ জানে || বুদ্ধবাবুর কূট চালে 'জমিয়তে-বাংলা' হ'লে মানস বাবু সেথায় কেন বিরাজেন | বুদ্ধবাবুর সমন পেলেই গুড্ বয় সেজে মিটিং করেন বিরোধীদের দুর্বল তিনি করছেন || সেটাই তাহার লক্ষ্য এখন দিল্লীতে ঠিক থাকুক শাসন ভাঁড় মে যাক্ সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম | দুষ্ট কবি মিলন বলছে মানস বাবু বি-টিমে খেলছে তাঁর কাজে মহাখুশি বুদ্ধ-বিমান || . ************** কলকাতা ২১/৩/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী এখনো তিনি বাজান বংশী সাইড লাইনের বাইরে দাঁড়াইয়া | মন্ত্রী কেন্দ্রে তিনি মস্ত তবুও গুটাইয়া হস্ত সংসদে মূক রহিলেন বসিয়া || তাহারই দলের জোর প্রচেষ্টা সুতরাং ইহা তাহারও চেষ্টা নন্দীগ্রামে সাংসদ দল রুখিলেন | দুষ্ট কবি ক্রুদ্ধ, কয় এমন নেতায় কী আসে যায় দুর্গতদের যারা গদির মোহে ত্যাগিলেন || অন্তরালে পরস্পরের পিঠ চুলকান মন প্রাণ ভরে বাহিরে করেন যত আস্ফালন | বাংলা মা কাঁদছেন বসে তাঁর আঁচল বুঝি যায় ওই খসে প্রিয়, জাতীয় দলের দায় করেন পালন || . ************** কলকাতা ২১/৩/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত রাজপাটচ্যুত জ্যোতি বাবু অবসরে আজ, কিন্তু তবু কমিউনিস্টরা রাজনীতি ছেড়ে যান না | বামফ্রন্টে ক্যাচাল হলে অথবা পড়লে বিশ বাঁও জলে তাঁকে ছাড়া এখনো ভাবা যায় না || বুদ্ধের উপর ক্ষুব্ ধ তিনি মাঝে মধ্যে খবরে শুনি কারণ তাঁর একদা-অপসারণ | সুযোগ পেলেই মুখটি খোলেন অথবা কল-কাঠি নাড়েন যেন, বুদ্ধবাবুর স্বস্তিতে থাকা বারণ || বুদ্ধবাবুর স্বপ্ন-দূষণ মানুষ মেরে শিল্প স্থাপন বদলে রাজ্যে হাহাকার আর ক্রন্দন | কিন্তু এতে বসুরাজের খোঁচা মারার সুযোগ বাড়ে দুষ্ট কবি ধন্য, ক'রে বন্দন || তাঁকে ঘিরে মিডিয়া নাচে তিনিই 'শ্রীকৃষ্ণ', সুভাষ-উবাচে বামফ্রন্টের সালিসী-সভা-পতি | নন্দীগ্রামের শরিকী মামলা ফ্রন্ট ছাড়ার সেই যে হামলা শেষে জ্যোতিবাবুর কথায় গেল মিটি || *****(২৫/০৬/২০০৭)****** পুনশ্চ কহে দুষ্ট কবি ভুলিবার নহে ভবী হঠাত্ তাহার কী বাই চাপিল | মমতারে বলেন ডাকি অশোক ঘোষ রে ছাড়ো দেখি আমার সাথেই শান্তির কথা বল || নিজ গৃহে সেরে কথন ডাকেন সাংবাদিক সম্মেলন মমতার পাশে তিনি বসিয়া | জ্যোতি মানেন, যত দোষ নন্দীগ্রামের নন্দঘোষ তাহারই দলের লোকাল কারসাজিয়া || তাহার সাথে সিঙ্গুর টাটার লাভের আঙ্গুর বেশী জমি গিয়াছে মানিলেন | বুঝাইয়া শাসকদের অনিচ্ছুক মালিকের জমি ফেরতের কথা বলিলেন || মাত্র ক দিন পরে জ্যোতি গাইলেন উলটো সুরে বুঝিলাম পার্টির ধুন গাইছেন | প্রশ্ন সবার মনে কী কারণ এই প্রহসনে কেন তিনি এই মসকরা করিলেন? . ************** কলকাতা ২২/৩/২০০৭ ~ ২৫/০৬/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত দুষ্ট কবি মিলন তিনি ক্রুদ্ধ, ক্ষুব্ ধ ভীষণ দেখে নন্দীগ্রামে বুদ্ধবাবুর লীলা | লজ্জায় মাথানত কবির বুকে গভীর ক্ষত নিজেকে আজ মানুষ বলার, ঘুচলো সকল পালা || তীক্ষ্ণ ছন্দে বেঁধে বিরোধ প্রতিবাদে ইনটারনেটে ধৃষ্ট কবিতা লিখছেন | কৃষিজমির আন্দোলনে প্রতিবাদ-মিছিল সনে তিনিও পায়ে পা মিলিয়ে চলেছেন || এখনও বাঙালী চক্ষু বুজে ছাপা-মাধ্যমে রয়েছে ম'জে তাই, দুষ্ট কবি এখনও দেশে ব্রাত্য | যদি আপনার মনে হয় এই কাব্য ফেলনা নয় আবার ফিরে, এসে, পড়ে, জ্বালান ব্যথিত চিত্ত || সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের দ্রোহ ঘুচিয়ে দিয়ে সকল মোহ কাব্য-নদীর বাঁধ ভেঙ্গে দিয়েছে | ধৃষ্ট-কাব্য হুংকার-ধ্বনি লুণ্ঠিতদের ক্রুদ্ধ অশনি অমোঘ বিজয়-ঘোষণা সে করছে || . ************** কলকাতা ২৪/৩/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত চেয়ারম্যান বিমান বসু বামফ্রন্টে তিনিই বিশু তিনিই নাকি হর্তা-কর্তা-বিধাতা | কালে কালে সিজন্ হয়ে বিপ্লব-টব বিদেয় দিয়ে রাজা বুদ্ধের দোসর তিনি হেথা || বুঝি, তাহার বিরাট দায় পার্টি তাঁকেই চালাতে হয় শুধু কৌটো নাচিয়ে এখন তো তা হয় না | অগত্যা নিয়ে বুদ্ধের স্মরণ পুঁজির মার্গে করে বিচরণ টাটা সালিম ছাড়া আর কথা কয় না || নন্দীগ্রামের পরে যখন লাগলো ভাঙ্গন তাসের ঘরে শঙ্খ ঘোষের কাছে ছোটেন তিনি | নিভৃতে কি কথা হয় আমাদের তা জানবার নয় তবু কবি কে তিনি টলাতে পারেন নি || গণহত্যার পরে তার রক্ত মাখা করে শরিকরা করমর্দনে হচ্ছিলেন না রাজি | বিমান তাঁদের বলেন কালিদাস তারা হলেন ডালে বসে সেটাই কাটার করেন কারসাজি || তিরিশ বছর থেকে ক্ষমতায় ঠাণ্ডাঘরের ভণ্ড পাখায় লড়াকু মানুষ কোথায় পড়ে যায় | বলে দুষ্ট কবি মিলন যে লঙ্কায় সেই রাবণ এই মহামহিমদের দেখে তাই মনে হয় || . *********** কলকাতা ২৩/৪/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত কৃষক নেতা বিনয় কোঙার বুদ্ধ ভাবেন ছেলেটি সোনার তাই যা খুশি তা বলার ছুট দিয়েছেন | মিটিং মিডিয়া দাপিয়ে গলার স্বর কাঁপিয়ে নানান বিষয় মতামত তিনি ঝেড়েছেন || তাঁর 'সাঁই-বাড়ি' খ্যাতি যেন হিমলার তাঁর জ্ঞাতি হার্মাদকুল থাকে তার আজ্ঞে | দলের স্টার্টার এখন তিনি তাঁর বাঁশি কানে শুনি ঝাঁপায় নন্দীগ্রামের নিধন যজ্ঞে || দুষ্ট কবি ভাবে এত মহান নেতা ভবে তায় 'কৃষক নেতার' শিরোপা নিয়ে মাথায় | এরা গণতন্ত্রের আড়ে মার্ক্সবাদ ঝাড়ে আসলে ঘোর মৌলবাদী কাজে এবং কথায় || . *********** কলকাতা ২৩/৪/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত লক্ষ্মণ শেঠ সাংসদ সবাই তাঁর বশংবদ এই বাংলার হলদিয়া মহকুমার | এতই তাঁর প্রতিপত্তি সবই ভাবেন বাপের সম্পত্তি দেন নোটিস নন্দীগ্রামে জমি নেবার || গণহত্যা নন্দীগ্রামের ফসল নাকি তাঁরই প্ল্যানের খবরে প্রকাশ হইতেছে কিছু কিছু | এখন তাহার নাই নিস্তার যতই ছুটুন তেজ রফ্তার শত শত মৃত ছাড়বে না তাঁর পিছু || লিখতে এসব বিকট কথা দুষ্ট কবির কলম ভোঁতা লজ্জায় হয়ে যায় নিচু মাথা | ভাবি এ আমরা কোথায় এলাম কেনই আমরা স্বাধীন হলাম করতে নিত্য নন্দীগ্রাম-কেশপুর-গড়বেতা || . *********** কলকাতা ২৩/৪/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত শ্রীযুক্ত সোমেন মিত্র নিয়ে কিছু পাত্র মিত্র দেখাতে মুখ নন্দীগ্রামে গিয়েছেন | সেখানে তাঁর অভিজ্ঞতা ভদ্রভাবে বললে যথা এক কথায় তাঁকে মানুষ ফুটিয়ে দিয়েছেন || এই প্রত্যাখ্যানের পরে বলি জ্ঞানচক্ষু গেছে খুলি বিশ্ব এখন দেখছেন নতুন দর্শনে | এখন তিনি গা ঝাড়া দিয়ে মমতার সাথে জোট করা নিয়ে শহিদ মিনার থেকে বলেন গর্জনে || তাই না শুনে প্রণব প্রিয় পাল্টা চালে করতে হেয় শক্তি প্রদর্শনে মেতে উঠেছেন | দুষ্ট কবি বসে ভাবে এই দৃষ্যের কি মানে হবে পালে বাঘ পড়ার মতই দেখছেন || এবারও কি এদের দলে নাচছে সবাই রাজার চালে ভাঙতে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের দ্রোহ | জানে বঙ্গবাসী সবে এদের ছাড়াই লড়তে হবে তাই তৈরি তাঁরা ত্যাগী এদের মোহ || . *********** কলকাতা ২৩/৪/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত কবি সুনীল গাঙ্গুলী ছাড়িয়ে অন্য নামগুলি খ্যাতির চূড়ায় বসে আছেন নিশ্চিত | বাঙালী তাঁর লেখা প'ড়ে ভক্তি শ্রদ্ধা প্রচুর করে সর্ব পুরস্কারে তিনি ভূষিত || রাজার হয়ে পথে নামেন নির্বাচনের আগে বলেন গেল গেল মোদের বাংলা ভাষা | বাংলা নিয়ে কেঁদে সারা কাজের কিছুই হয় না করা এসব নিয়েই ছিলেন তিনি খাসা || কবি লেখক বিরাট জেন তবু থাকেন নীরব কেন তাই শক্ত আরো রাজার কালো হাত | সিঙ্গুরগাঁয়ের লুঠের পরে তিনি ছিলেন চুপটি করে তাঁর মুখে শুনি নাই প্রতিবাদ || তিনি তখন ব্যস্ত ম্যালা নিয়ে সাধের বই মেলা কোর্টের বাধায় ময়দানে বাদ যে বার | সেটাই ছিল দুঃখ তাহার মুখটি তিনি করে ব্যাজার প্রতিবাদের নেতা হলেন সবার || নন্দীগ্রামে আইনের নামে রাজার পুলিশ ক্যাডার নামে অবাধে নর নারী শিশু মলো | নারকীয় গণহত্যায় প্রতিবাদের ঝড় ঝাপটায় যখন রাজসভাটাই প্রায় খালি হল || তখন সুনীল পথে নামেন বাঁচাতে মুখ রাজার, বলেন এমন রাজা আর দেশে নাই | মিটিং মিছিল পদযাত্রা ছাড়িয়ে আগের সকল মাত্রা বলেন আগে শান্তি ও সংহতি চাই || এদের সামনে রেখে রাজা হাতে রক্ত মেখে একের পর এক খেলে চলেন সাট্টা | এমন সভাকবি যেথায় রাজার চিন্তা নাহি সেথায় তিনি নির্বিচারে চালান গণহত্যা || . *********** কলকাতা ২৪/৪/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত কবীর সুমন জীবন মুখী গান শুনিয়ে ছিলেন সুখী বাংলা গানের রেনাসাঁর নায়ক | সাংবাদিক থাকার সূত্রে তারা নিউজে রোজ রাত্রে মতামত এর হলেন সঞ্চালক || বুদ্ধরাজা সিঙ্গুর নিলো মিডিয়া ভেঙে দুভাগ হলো সুমন খবর করেন আবেগ দিয়ে | খবর করতে করতে সুমন জানলো না সে কখন কেমন হয়ে গেলেন খবর মিশে গিয়ে || সিঙ্গুর সবে উঠছে জমে নন্দীগ্রাম শিরোনামে টিমের সাথে তিনিও সেথায় গেলেন | মিডিয়া থাকে সত্যের সাথে কভু না ডুবে পক্ষপাতে সুমন কিন্তু আর্তের হয়ে সত্যের দ্বার খোলেন || এখন আন্দোলনের তরে সহযোদ্ধার বসন পরে নতুন গানে জাগান ঘুমিয়ে থাকা | দুষ্ট কবি মিলন বলে নানান কথা লোকে বলে তবু বাংলার বুকের মাঝে আসন তাঁর পাকা || . *********** কলকাতা ২৪/৪/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত অশোক ঘোষ অদ্য হেথা ফরওয়ার্ড ব্ লকের নেতা করিছেন নব আয়োজন | দুই যুযুধান পক্ষে বসাইয়া এক কক্ষে যাতে শুরু হয় কথোপকথন || শাসক দলের যা মতি তাতে আশা ক্ষীণ অতি তবুও তিনি চেষ্টা করিছেন | দুষ্ট কবি আশা করে যদি সত্যিই শান্তি ফেরে তবে সবাই ধন্য ধন্য করিবেন || ****(২৫/০৬/২০০৭)**** পুনশ্চ কহি দুষ্ট কবি মানুষ দেখলো সেই ছবি যার আশঙ্কা সবাই করেছেন | মহাজাতি সদনে শান্তি বৈঠক করিবার সনে একে একে সবাই তথায় আসিলেন || রথী মহারথী দুই পক্ষের বসেন ভিতরে সভাকক্ষের মিডিয়া থাকে রুদ্ধশ্বাসে বাহিরে | শুরু হবার খানিক পরে হঠাত্ সবার টনক নড়ে মমতা বলেন আমরা হেথা আর নাই রে || অশোকবাবু বলেন শেষে তাঁর মান-সন্মান ধুলায় মেশে পরের মিটিং এর হোম ওয়ার্ক করতে যাই রে || . *********** কলকাতা ২১/৫/২০০৭ ~ ২৫/০৬/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত শাহি ইমাম বুখারি কহিলেন পুকারি গণহত্যার তিন মাস পরে | শান্তি ফিরে আয়েগা তাই নন্দীগ্রামে যায়েগা বাতচিত সেরে বুদ্ধবাবুর ঘরে || নন্দীগ্রামে গিয়ে রাজার ডগর নিয়ে শেখানো বুলি তিনি আউড়াইলেন | বুদ্ধবাবু অমায়িক আউর বিরোধী লোগ সাম্প্রদায়িক বুদ্ধবাবুকা বাত তুমলোগ শুনিবেন || এই কথা শুনিয়া সেথা যত গ্রামের বাপের-বেটা এক কথায় তাহাকে রুখিলেন | ঢুকিতে না পারিয়া হোথা আর তিনি যাইবেন কোথা এক দৌড়ে দিল্লিতে ফিরিলেন || "বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি" বুখারি সাহেব বুঝিলেন খাঁটি পা দিয়া ফাঁদে বুদ্ধ-মার্ক্সবাদী | বাংলার সেই প্রবাদ মহান প্রমান করেন শাহি ইমাম "মোল্লার দৌড় মসজিদ অবধি" || . *********** কলকাতা ২৩/৪/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত কবি জয় গোস্বামী তিনি জ্ঞানী তথা মানী বহু পুরস্কারের তিনি প্রাপক | অতি নম্র স্বভাব আর মার্জিত ভাব "কবি" ডাক তাঁর অতি সার্থক || স্বভাবে যত নরম লেখনী ততই গরম সর্ব্বদাই আদর্শ পন্থ | চারপাশে দেখে তাঁর অন্যায় অবিচার নির্ভয় প্রতিবাদী কণ্ঠ || "সিঙ্গুরের লুঠ" দেখে চুপচাপ নাহি থেকে রচেন কাব্য "শাসকের প্রতি" | প্রতিষ্ঠিত কবিকুলে সর্বাগ্রে মুখ খুলে রাজরোষে পড়িলেন অতি || এর পরে নন্দীগ্রামে রাজা গণহত্যায় নামে ভুলিয়া সকল মানবতা | কবির কলম চলে মুহুর্মুহুঃ ওঠে জ্বলে কবি জয় গোস্বামীর কবিতা || বিখ্যাত পত্রিকার কাজ ই এক কথায় দিলেন ত্যাজি সম্পাদকের রাজা-অন্ত প্রাণ | কবিতার বই লিখি যাহা পান, তাহা বিকি অত্যাচারিতেরে করেন দান || নজরুল রবীন্দ্রনাথ বিনা, বাংলা নহে অনাথ প্রমাণ করিলেন কবি জয় | সার্থক তাহার নাম ক'রে কবির জয়গান দুষ্ট কবি এই গীত গায় || . *********** কলকাতা ২৯/৬/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত শ্রীমতী শাঁওলী মিত্র পিতা মহান শম্ভু মিত্র তিনি নিজে বিখ্যাত নাট্যকার | সিঙ্গুর নন্দীগ্রামে জমি লুঠ, শিল্পের নামে দেখি চুপ থাকিলেন না আর || বার বার পথে নামি রাজরোষ-ফল জানি প্রতিবাদে মুখর হইলেন | সমভাবাপন্ন মিলি বহু অর্থ-দান তুলি আর্তের নিকটে পৌঁছাইলেন || পথে রাজার যত গুণ্ডা মগজ ধোয়া চেলা চামুণ্ডা নাম করে খোঁজে তাঁহারে | সঙ্কটে মনের বল না হারাইয়া অবিচল তিনি প্রতিবাদ যান করে || তাঁহার লেখনী বাণ রাজা খোঁজে পরিত্রাণ খল-রাজা করে ছট্ ফট্ | দুষ্ট কবি কয় সত্যি তিনি হলেন "নাথবতী" তিনি কদাচ নন "অনাথবত্" || ( "নাথবতী" কথাটির মানে এখানে "রাজকন্যা" ) . *********** কলকাতা ২৯/৬/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত শ্রীযুক্ত নির্বেদ রায় বিধায়ক তিনি এই বাংলায় কংগ্রেস দলের তিনি নেতা | গণমাধ্যমে আসর জমান যুক্তি-তর্ক্কে নম্বর ওয়ান তিনি জ্ঞানী এবং অতি সুবক্তা || এমন গাহেন ঐক্যের গান শুনিয়া "ঐক্য" ছুটে পালান বলার ঢঙে এমনই মার প্যাঁচ | আসলে তাহার প্রতিটি বাক্য মশলা, ভাঙ্গার বিরোধী ঐক্য কথায় চালান ছুরি ঘ্যাঁচ্ ঘ্যাঁচ্ || কংগ্রেসীরা গাছের খাবে সঙ্গে গাছের তলা ও কুড়াবে তিরিশ বছর এটাই তাদের খেলা | বিরোধী ঐক্য মুখে বলা কথায় পড়ান কাঁটার মালা শুনে বিরোধী যত হয় ফালা ফালা || জমির আন্দোলনে তাঁরা কোথায় কে তা জানে নির্বেদ খণ্ডে যুক্তি তর্ক দিয়া | দুষ্ট কবি বলে আগে নির্বেদ বাবুর দলে নেতারা সবে বসুন ঈর্ষা ত্যাগিয়া || . *********** কলকাতা ২৯/৬/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত শিল্পী শ্রী শুভাপ্রসন্ন সুদর্শন অতি সৌম্য "কাক" তাঁহার আঁকা ছবির বৈশিষ্ট | বিখ্যাত নোবেল জেতা বন্ধু গুন্টার গ্রাস, হেথা তাহার আতিথ্যেই সদা তুষ্ট || নন্দীগ্রামের নর-সংহার তাঁর মনে করে প্রহার প্রতিবাদে তিনি পথে নেমেছেন | তাঁহার আঁকা ছবি বেদনার প্রতিচ্ছবি প্রতিবাদে মুখর তিনি হয়েছেন || শিল্পী তার ইজেল থেকে চোখ তুলে জগত দেখে তুলির টানে করেন প্রতিবাদ | রাজার-প্রসাদ-লোভ বর্জনে নাহি ক্ষোভ শিল্পী চাহেন স্বাধীনতার স্বাদ || দীর্ঘ কাল চলে হামলা মূক ও বধীর বাংলা যেন কিছু দেখে শুনে নাই | ভাঙিয়া সবার ঘুম লাগে পুনরুদ্ধারের ধূম দুষ্ট কবি তাই লিখে যাই || . *********** কলকাতা ২৯/৬/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত সর্দার আমজাদ আলী দিলেন ঠাণ্ডা জল ঢালি জমি লুঠের প্ল্যানে-পরিপাটি | নন্দীগ্রামে সবাই মিলে তাঁরই দেওয়া নাম নিলে "ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি" || তিনি খ্যতনামা উকিল তাই এখন মুশকিল তাঁকে সহজে বাগ মানানো | তিনি আন্দোলনের সৈনিক আর সুবক্তা-সঠিক কঠিন, আদালতেও তাঁকে আটকানো || স্পষ্ট-ভাষী তিনি সেকুলারিজম্ মানি হিন্দু মুসলিম নাহি কেহ বাদ | বুদ্ধবাবুর চালে শাহী ইমাম সেথা গেলে সজোরে করেছেন প্রতিবাদ || দুষ্ট কবি বলছে এই প্রখম তাঁরা চলছে মুসলমানগন নিজের দাপে হাঁটিয়া | তাঁরাও এদেশে সমান নন্দীগ্রাম করেছে প্রমাণ রাজনৈতিক বোড়ের ইমেজ ছাঁটিয়া || . *********** কলকাতা ০১/০৮/২০০৭ সূচির পাতায় ফেরত পড়ুন ঠিক এমনই আরও একটি কবিতা সিঙ্গুরে কে কোথায় দাঁড়িয়ে এই কবিতাটির উপর আপনার মতামত জানাতে এখানে ক্লিক করুন মিলনসাগর |
| "দুষ্ট কবির ধৃষ্ট কবিতা" এবং সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম এবং এখন বাংলার প্রায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া জমি লুঠ ও প্রতিরোধের বিষয়ে আপনার মতামত জানাতে হলে এখানে ক্লিক করে comment লিখে জানান |
| দুষ্ট কবির ধৃষ্ট কবিতা |