বছরের কালের হিসেব মত কিছুতেই চলতে চায় না, . আমার এই মন | শরীরে ত’ সত্তরের ছোঁয়া , . কমজোরী, দুর্ব্বল | আমার মন চলবে না কিছুতেই অত তাড়াতাড়ি | সে এখন চব্বিশ, ছাব্বিশ বড়জোর তিরিশের কোঠায় |
এখন আর কবিতা হয় না, --- হবে না---- কথায় কথায় দিন চলে যায়, . কলম চলে না | লেখার তাগিদ মনে জাগে . ভাষায় আসে না ----- আমার দ্বারা সম্ভবতঃ . আর--- লেখা হবে না | তবু বলি ভালো থেকো . সুখে থাকো দুই জনে | তোদের সুখেই আমরা সুখী . একথাটি রেখো মনে |
কথায় কথায় ক্লান্ত এখন . কথা নিয়েই কথা বাড়ে, কত কথাই ঘুরে ফিরে . আসে আমার মনের দ্বারে | রক্ত ধারা চলার মতই . কি যে বহে শরীর জুরে থর থরিয়ে কেঁপে উঠে . মাথা আমার যায় যে ঘুরে | কত ব্যথা মনের মাঝে,---- . থাকতো যদি আরো টাকা, দু হাত ভোরে দিতেম তোদের . এখন আমার হাত ত’ ফাঁকা | সেই দুঃখেতেই বুকের এ ভার . কিছুতেই আর যায় না দূরে, কত কথাই মনের মাঝে . আসে কেবল ঘুরে ঘুরে |
ওরে নট্ট------ ভোলা কি সহজ অত ? সিঁড়ি ভাঙ্গা অঙ্কের মত যোগ বিয়োগের পর ও শেষে আরো কিছু থেকে যায় বাদ | জীবন ত’ সোজা নয় তত ভুলতে দেবে না কিছু ইচ্ছে মত || রক্তাক্ত কীটের দংশনে ক্ষত ‘যন্ত্রণায়’করি শির নত মেনে নিই তাঁহার প্রসাদ |
ঝরা অশ্রু বিন্দু গুলি একদিন . যাবেই ত’ মুছে | যে বেদনা ঝরাল তাদের . তার ক্ষত জ্বলে অনির্বাণ | আকাশের তারা যত . ছোট ছোট হাসিমুখ নিয়ে . চেয়ে দেখে | কি যে দেখে ওরা . নিস্তব্ধে নয়ন ক’রে নত ? যারা কাঁদে, যারা ফেলে . শিহরিত দীর্ঘশ্বাস --- ওদের ও নীরব বাণী হয় ব্যথা হত | আর যারা সুখে হাসে, . আনন্দেতে ভাসে তাদাদের প্রতি ওরা . চেয়ে চেয়ে হাসে সে হাসি ও ব্যথা বিজড়িত |