শর্মিষ্ঠা সেনের কবিতা |
স্বগতঃ (এই কবিতাটি পোর্টব্লেয়ারের রবীন্দ্রবাংলা বিদ্যালয়ের প্রক্তনী সংসদের পত্রিকা "রবির আলো"-র প্রথম সংখ্যায় (জানুয়ারী ২০১১) প্রকাশিত হয়েছিল ) রক্ত উত্তাল হলে তর্জনী ঠেকাই ওষ্ঠে বলি, চুপ যা! হৃৎপিণ্ডে আগুনের ফুলকি লেগে দাউ - দাউ জ্বলে উঠলে আ-নাভি, পুড়ি, ব্যথায় নীলাভ আমি বলে উঠি একটি কবিতা! * গল্প গুলো গড়ে উঠতেই যে-টুকু সময় লাগে তারপর ঘর ভাসে অথৈ বন্যায় ঝড়ের তাণ্ডব ঘূর্ণি তোলে ঐশ্বরিক প্রতিদিনে | * তুমি ও তখন আলগোছে তুলে নাও গন্ধরাজ বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠে তর্জনী বসিয়ে তুড়ি বাজাও ঔদাস্যে কি? রাতেরা সর্পিল হয় | * শৈশবের মাঠে ঘাসদল মেঠো রোদ্দুর খালি পায়ে হাঁটা শৈশবে জোছনা প্রচুর! * বাংলা মানেই পিপাসার জল বাংলা মানে পণ! বাংলা মানেই মার বুক থেকে প্রথম বর্ণমালা উচ্চারণ | বাংলা মানেই এক মুঠো রং বাংলা প্রাণের হাসি, ওই মন ছুঁয়ে বাংলায় বলা, "তোমাকেই ভালোবাসী!" * নদীরা সব ঘরে ফিরছে শীতসন্ধ্যায় সূর্যডোবা - আলো - আঁধারিতে যত "ঢেউ-চিনি"-র গল্প! * জলে ফেনা বিছিয়ে মরে যাওয়া ঢেউ তবু ফণা তোলে উদ্বেল আষাঢ়ে তোমার - আমার - তাদের আবেগপনা ভ্রুকুটি করে পড়ন্ত বিকেলে | . ************* . সূচিতে . . . মিলনসাগর |