তোমাকেই ভেবে প্রহর ফুরায় দিন আসে দিন যায়, স্মৃতির কবিতা লিখি যে চোখেরই জলে সোনার হরিণ ধরে হেসেছি যে ভুল করে, তুমি তো বোঝালে বিরহ যে কার বলে || নিয়তি আমায় করে আজ উপহাস, এ নয় জোত্স্নায় যেন রাহুর গ্রাস কত মমতায় গাঁথা সেই মালাখানি, ঝুরে ঝুরে যায় শুধু পলে পলে || আজ যে বুঝেছি আঘাত পাবার পর প্রদীপের প্রেমে ধরা দেয় নাকো ঝড় যে কটি নিমেষ দিয়েছিলে তুমি মোরে, মনে তারা ভিড় করে দলে দলে ||
আমি পশরা, ওই ভাঙা হাটে আমি পশরা--- কে নেবে আমায় ? আমি বিকাতে এসেছি আপনায় কে নেবে কে নেবে বলো কে নেবে আমায় আমি এক মোতির মালা অনেক দামী হাজার বাতির রূপমহলে দেয়ালী আমি আঙ্গুল মেশানো নেশা আমি যে ভরা পেয়ালায় কে নেবে, কে নেবে, বলো কে নেবে আমায় ? ( আজ ) রূপসী পুতুল আমি সুখের মেলায় . আমি যেন সৌখিন আসবাব, . কিনবে আমায় কে কিনবে আমায় ? জীবনের হাটে আজ প্রাণের নীলাম কে দেবে দাম, বেহিসাবি দাম, আমার দাম যে দেবে সে জন কোথায়, এই দুনিয়ায় |
ফাগুনের ডাক এলো যে তারই সাড়া পাই আমি তারই সাড়া পাই || রঙের মাধুরী নিয়ে ফুলেরা সেজেছে চাঁদের নয়নে স্বপন জেগেছে মন বলে ভালোবেসে মন দিয়ে যাই মন দিয়ে মন যদি নাহি পাওয়া য়ায় কাজ কি তবে এই ভুলের খেলায় ! স্বপ্ন বিলাসী ক্ষনিক এ নেশায় মন আমার কোনদিন দেয়নি সাড়া আমায় নিয়ে যে আমি ভুলে থাকি তাই |
কথা- গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার সুর - নচিকেতা ঘোষ শিল্পী- মান্না দে ছবি - সন্ন্যাসী রাজা
ঘর-সংসার সবাইতো চায় কজনের আর মেটে আশা টাকা থেকেও সবই ফাঁকা সখি না যদি পাও ভালবাসা ঘর-সংসার সবাইতো চায়--- পেয়েছে যে প্রেমের স্বাদ ও সে চায়না মহল চায়না প্রাসাদ কুড়ে ঘরেই স্বর্গ যে তার ভালবাসার ভালবাসা ঘর-সংসার সবাইতো চায়---- যে বাড়িতে যাও না সখি জুড়াবেনা বুকের জ্বালা কমবে ব্যাথা এই অসুখে পড় যদি প্রেমের মালা জুড়াবে যে বুকেরও জ্বালা সুখ সুখ সুখ সখি ঘুরছ মিছেই সুখের আশায় লোভ লালসায় নেই কোনো সুখ আছে সেই ভালবাসার সুখ সূর্য্য সুখ |
কথা- গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার সুর - নীতা সেন শিল্পী- মান্না দে ছবি - বাবা তারকনাথ
তিনি একটি বেল পাতাতে তুষ্ট আবার মেদিনীকে কাঁপান তিনি যখনই হন রুষ্ট তিনি হলেন রাজার রাজা ( তার ) ইচ্ছে করেই ভিখারী সাজা তিনি যে শিব করেন বিনাশ অশিব এবং রুষ্ট কুসুম কোমল হলেও তিনি বজ্র হতে জানেন বোঝালেও বোঝেন তিনি সহজে সম্মানে জটা দিয়ে গঙ্গা ঠেকান, দুঃখীকে যে দয়া দেখান এই বিশ্বজগৎ বিশ্বনাথের করুণাতে তুষ্ট, তিনি একটি ------
এবার মলে সুতো হবো, তাঁতির ঘরে জন্ম লবো পাছা পেড়ে শাড়ী হয়ে দুলবো তোমার কোমরে তোমরা যে যা বল আমারে | এবার মলে মাটি হবো, কুমোর বাড়ি জন্ম লবো কলসী হয়ে ছলাক্ ছলাক্ দুলবো তোমার কোমরে তোমরা যে যা বলো আমারে | হবো কাঁখে রূপোর বিছে, নইলে জীবন হবে মিছে বুঝবে বধূ কি যে জ্বালা, সেই বিছেরই কামড়ে তোমরা যে যা বল আমারে | রাগ করোনা প্রাণেশ্বরী, চাও কি আমি প্রাণে মরি, কাজল করে রাখবো ধরে, দুটি চোখের ভ্রমরে | তোমরা যে যা বলো আমারে |
তা বলে কি প্রেম দেবে না যদি মারি কলসীর কানা নেশার ঝোঁকে | যগি জগাই মাধাই না থাকতো তাহলে নিমাইকে কি চিনত লোকে | পুরানেই তো আছে বলা সোমরসেতে ভিজিয়ে গলা, ছুটতো আগুন দ্বিগুন হয়ে মহাদেবের তিনটি চোখে | তবে কেন মাতাল হলে কথা ওঠে মর্ত্ত লোকে || নানান জ্বালায় জ্বলে মরি, তাই তো একটু নেশা করি এমন দোসর কে আছে তার মানুষেরই দুঃখ শোকে নেশার ঘোরে কি বলতে কি বলে ফেলি একে ওকে | যদি জগাই মাধাই না থাকতো ( ঠিক বলিনি ) যদি জগাই ---- চিনতো লোকে ||
কথা- গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার সুর - নচিকেতা ঘোষ শিল্পী - মান্না দে, আশা ভোঁসলে ও অন্যান্য ছবি - মৌচাক
পাগলা গারদ কোথায় আছে নেই বুঝি তা জানা ঘোড়ার কি ডিম হয় সেই ডিমে হয় ছানা ? ঘোড়ার ডিমের না হোক ছানা চক্ষু ছানাবড়া---- পুরুষ নারীর কোনোদিনও নেইকো বোঝাপড়া | পাগলা গারদ কোথায় আছে নেই বুঝি তা জানা | যতই নারী পুরুষ সাজুক পোষাকে হাবভাবে--- নারীর গড়ন নারীর ধরণ বদলে কি আর যাবে ? শাস্ত্র মতে তাই তো নারীর ঘোমটা খোলাও মানা || নারীরা আজ বিদ্রোহিনী পুরুষেরই অত্যাচারে যা কিছু আজ করে নারী ন্যায্য নিজের অধিকারে | আগের দিনে মান হ’লে তো খিল দিত সে গোঁসা ঘরে, রাগলে এখন আর কথা নেই কোমর বেঁধে ঝগড়া করে | ইস্কাপানের বিবি সেজে চালাও বিবিয়ানা আহা তাই কি হয় মেমসাহেব--- পাগলা গারদ কোথায় আছে নেই কি তোমার জানা আগের দিনে একটা তো নয় করতো পুরুষ দশটা বিয়ে, গায়ের জোরে দাসী ক’রে গা টেপাতো বৌকে দিয়ে | সেদিন গেছে আজকে নারী আগের মত নেইকো বোকা তাদের নিয়ে বন্দী করে এখনো কি দেবে ধোঁকা আহা শেষ হয়েছে নারীদ্বেশী শাসন খানি টানা | এবার নিজেই খুঁজে দেখুন, কোথায় পাগলা গারদ খানা | বেশতো তবে বুঝে সুঝে দাঁড়ি পাল্লায় ওজন করো---- বুঝবে তবে পুরুষ নারীর দু’জনেরই কে যে বড় ! মোটেই না মোটেই না নারী পুরুষ সমান সমান আছে যে তার অনেক প্রমাণ | নারী পুরুষ সমান সমান অনিচ্ছাতেও মানতে পারি লক্ষ ব্লেডেও কামালে যে উঠবে না তো গোঁফ আর দাঁড়ি | হুর--রা রা পাগলা গারদ কোথায় আছে নেই বুঝি তা জানা |
কথা- গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার সুর - নচিকেতা ঘোষ শিল্পী- মান্না দে ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ছবি - স্ত্রী
সখি কালো আমার ভালো লাগে না, ওর ভেতরে কালো বাইরে কালো ওযে কলঙ্কেতে কালো তাই তো ওকে ভালো লাগে না | ও সে যতই কালো হোক আমার ভালো লেগেছে, তাই পটলচেরা চক্ষু দিয়ে চাকু মেরেছে | হোকনা তার কালো বরণ, জানে ও বশীকরণ, ঐ কেলে ছুরি ( থুড়ি থুড়ি ) ঐ সুন্দরী আমায় ঘোল খাইয়ে ছেড়েছে || মুখে ওর ঘোমটা আছে, এদিকে আবার খেমটা নাচে, বিধবার রঙ্গ ভারী কেলে সাপ অঙ্গে তারই ছোবল মেরেছে | তোমার যা খুশী তাই বল আমার ভালো লেগেছে || আধফোটা ঐ রসকলি, সোহাগে যে পড়ে ঢলি ( রসকলি আবার কোথায় দেখলেন | ) ওকে যে চিনতে পারে গোকূলে সে বেড়েছে || মাইরি বলছি ভালো লেগেছে ||