কথা- গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার সুর ও শিল্পী- শ্যামল মিত্র ছবি - আনন্দ আশ্রম
তিনটি মন্ত্র নিয়ে যাদের জীবন সত্যম্ শিবম্ সুন্দরম্ দুঃখের পৃথিবীটা তাদের কাছে এক আনন্দ আশ্রম | সেই মানুষই আসল মানুষ, যার জীবন পরের তরে রাজার মুকুট ছেড়ে হাসিমুখে, সেতো কাঁটার মুকুট পরে ধূপ চিরদিনই গন্ধ বিলায় নীরবে সে জ্বলে মরে পরের সেবায় সে হাসিমুখে নিজেকে ক্ষয় করে
এমন একটি গল্প বলতে পারো যাতে বিরহ নেই ফুল শয্যায় এমন কোনো রাত দেখেছো কি, যাতে মিলন নেই !! ওগো প্রদীপ বাসর জেগে দেখেছো কি গো আজ আমার নববধূর সাজ ওগো সানাই জানো তুমি লজ্জাতে কি সুখ কেন কাঁপে আমার বুক | আমার সব হারিয়েও সুখ | এমন শুভ দৃষ্টি দেখেছ কি যাতে দৃষ্টি নেই রক্ত চেলি বেনারসী আলতা আঁকা পায় লাগে রোমাঞ্চ যে গায় হাসতে গিয়ে কান্না আসলে কেমন হয় আমার লাগে বড় ভয় তবু লাগে বড় ভয় | এমন কোন গান শুনেছো কি, যাতে সুর নেই ?
তুমি আমার চিরদিনের সুর, আমি তোমার চিরদিনের কাছে আরো এলো যেন দূর, তুমি আমার চির ঋণের আমায় চিরদিনের সেই গান বলে দাও, আমার চিরদিনের সেই সুর বলে দাও যে সুরে রাত ঐ কবিতায় কথা বলে, যে সুরে তারা ঐ ঘুম ঘুম চোখে জ্বলে যে সুরে বাঁশী শ্রীমতীরে ডাকে আয় আয় | আমায় চিরদিনের সেই গান বলে দাও--- আমায় চিরদিনের সেই সুর বলে দাও যে সুরে জীবনের স্বরলিপি লেখা আছে যে সুরে মমতায় দুটি মন আসে কাছে যে সুরে ঝরা ফুল দেবতার পায় পায় আমায় চিরদিনের সেই গান বলে দাও, চিরদিনের ---
আমি অভিসারে যাবো আমি যাবো অভিসারে ধূপের ধোঁয়াতে মোর অলখ শুকায়ে নেব সাজাতে করবী ফুলহারে একটি অশ্বথ্ব পাতা প্রদীপের শিষে আমি ধরিব তার কিছু কালি ওগো কাজল করিয়া চোখে পরিব আর বাকী কালি অঙ্গে মাখিয়া আমি কলঙ্কিনী হব অহংকারে | যদি গিয়ে দেখি সে ঘুমায়ে পড়েছে তারে জাগাবোনা ডেকে আঁখি পল্লব তার কপালে বুলায়ে সোহাগ দেব যে আমি এঁকে নীরব বাঁশীটি তার হাতে তুলে দেব সুরে ভরিয়া শ্যাম হ’য়ে আমি তারে ডাকিব যে তারই নাম ধরিয়া একই সাথে এবার দুটি নাম একই সুরে, বলিতে শেখাবো আমি তারে ||
কথা- গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার সুর -রবীন চট্টোপাধ্যায় শিল্পী- সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ছবি -সবার উপরে
ঘুম ঘুম রাত ঝিকিমিকি তারা এই মাধবী রাত আসেনি তো বুঝি আর জীবনে আমার ঐ চাঁদের তিথিতে বরণ করি এই মধুর তিথিরে স্মরণ করি | ওগো মায়া ভরা রাত ( আর ) ওগো মায়াবিনী চাঁদ বাতাসের সুরে শুনেছি বাঁশী তার সব কথা গান সুরে সুরে রূপকথা হয়ে যায় ফুল ঋতু আজ এলো বুঝি মোর জীবনের ফুলছায় কোথায় সে কতদূর জানিনা ভেসে যায় মনে মনে যেন স্বপ্নের দেশে যাই আজ তাই কি জীবনের বাসর গড়ি, এই চাঁদের তিথিরে বরণ করি
জানিনা ফুরাবে কবে এ পথ চাওয়া ছল ছল আঁখি মোর জলভরা মেঘে যেন ছাওয়া পদধ্বনি শুনে তার আমি বারে বারে, ছুটে যাই দ্বারে ভুল ভেঙে যায় আমারে কাঁদায়ে শুধু খেলা করে হাওয়া আকাশে উঠেছে ঝড় কান পেতে শুনি তার ভাষা তবে কি বেঁধেছি আমি বালুচরে বাসা দীপ বুঝি নিভে যায় মন নাহি মানে তবু তার পানে --- চেয়ে থাকি হায়, সহিতে পারিনা তার এই নিভে যাওয়া
আকাশের অস্তরাগে আমারই স্বপ্ন জাগে তাই কি হৃদয়ে দোলা লাগে আজ কান পেতে শুনেছি আমি মাধবীর কানে কানে কহিছে ভ্রমর আমি তোমারই আমি তোমারই সেই সুরে স্বপ্নের মায়াজাল বুনেছি আমি মনে হয় এ লগন আসেনি আগে || এবার বুঝেছি আমি চাঁদ কেন চেয়ে থাকে সরসীর পানে আমি যে তোমারই ওগো বলো কানে কানে, শুধু কান পেতে শুনেছি আমি সাগরের কানে কানে তটিনী বলে আমি তোমারই আমি তোমারই | কি আশায় তিয়াসায় দিন শুধু গুনেছি আমি বাতাসের বাঁশী বাজে কি অনুরাগে ||
আমার সূর্যমুখী তোমার মুখের পানে শুধু ওগো চেয়ে চেয়ে থাকে তোমার সূর্য্য তবু আমারে দেয়না দেখা মেঘে মেঘে আলো তার ঢাকে আমার হৃদয় লয়ে শুধু তুমি কর খেলা তাইতো অলখে থাক লুকায়ে দিলে তুমি অবহেলা তাই যেন কেঁদে কেঁদে আঁখিতে অশ্রু গেছে শুকায়ে তবু দাও নাতো সাড়া মোর ডাকে সাথীহারা ব্যাকুলতা বাতাসের সুরে কাঁদে . কি যে চাই সে তো তুমি জানো না এ আড়াল আমি আর সহিতে পারি না ওগো . আমি যে তোমারই এ তো মানো না মোর হাসি তবু ব্যথা ঢেকে রাখে |