কবি হিরন্ময়ী চৌধুরাণী - অবিভক্ত বাংলার ঢাকা জেলার সেরপুরের (শেরপুর) প্রসিদ্ধ জমিদার রায়
বাহাদুর শ্রীযুক্ত হেমাঙ্গচন্দ্র চৌধুরী মহাশয়ের পত্নী ছিলেন।

কবি তাঁর বিবাহের পর থেকেই কবিতা লিখতেন। কিন্তু কোনোদিন তা প্রকাশিত করেন নি। কবির একমাত্র
কন্যা অমিয়া, মাত্র ১৯ বছর বয়সে ৯ই বৈশাখ ১৩২৬ বঙ্গাব্দে (এপ্রিল ১৯১৯) মারা যান। জীবদ্দশায় অমিয়া,
তাঁর মা হিরন্ময়ী দেবীর কবিতার একটি বই প্রকাশিত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর অকাল
প্রয়াণে তা তিনি করে যেতে পারেন নি। তাঁর মৃত্যুর পর অমিয়ার কাঙ্ক্ষিত কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত করেন
অমিয়ার কাকা গোপালদাস চৌধুরী, ১৯২২ সালে (১৩২৮ বঙ্গাব্দ) যাঁর ঠিকানা ছিল ৩২নং বিডন রো,
কলিকাতা। বইটি ছাপা হয়েছিল ঢাকার শ্রীনাথ প্রেস থেকে। পুষ্পাধার, কবিকন্যা অমিয়ার স্মৃতির উদ্দেশ্যে
উত্সর্গ করা হয়।

১৯২৫ সালে (১৩৩২ বঙ্গাব্দ) পুষ্পাধারের দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করার সময় কথাসাহিত্যিক শ্রী শরত্চন্দ্র
চট্টোপাধ্যায় কবির বাড়ীতে গিয়েছিলেন। তিনি এই বইটির প্রথম সংস্করণ তাঁদের বাড়ীতে বসেই পড়েন
এবং বইটিতে কবিতার ক্রমবিন্যাস সম্বন্ধে ত্রুটি সংশোধন করার অনুরোধ করেন, দ্বিতীয় সংস্করণে। সেই
সময়ে তাঁর বন্ধু সাহিত্যিক শ্রী চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতার ক্রমনির্ণয়ের কাজটি সমাধা করে দেন।  

পুষ্পাধার কাব্যগ্রন্থ থেকেই আমরা এই কবি হিরন্ময়ী দেবীর চোদ্দটি কবিতা মিলনসাগরে তুলে দিচ্ছি। তাঁর
কবিতা পড়ে আমাদের মনে হয়েছে যে এই কবি যদি কলকাতাকেন্দ্রিক হতেন এবং তাঁর কাব্যগ্রন্থটি যদি
সর্বসাধারনের জন্য প্রকাশিত করা হতো, তাহলে হয়তো জনপ্রিয় হতে পারতেন।

আমরা  
মিলনসাগরে  তাঁর কবিতা  তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলেই এই প্রয়াসের
সার্থকতা।

উত্স - গোপালদাস চৌধুরী ও হেমাঙ্গচন্দ্র চৌধুরী, পুষ্পাধার কাব্যগ্রন্থের ভূমিকা, ১৯২৫।


কবি হিরন্ময়ী দেবীর মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক্ করুন

আমাদের যোগাযোগের ঠিকানা :-   
srimilansengupta@yahoo.co.in      



এই পাতার প্রথম প্রকাশ - ৮.২০১৩     
পরিবর্ধিত সংস্করণ - ১৩.৯.২০১৫

.
হিরন্ময়ী দেবী নামের দুজন কবি পাই।
এই পাতা দ্বিতীয়া হিরন্ময়ী দেবীর কবিতার পাতা
প্রথমা হিরন্ময়ী দেবীর পাতায় যেতে এখানে ক্লিক্ করুন
প্রথমা হিরন্ময়ী দেবী, স্বর্ণকুমারী দেবীর কন্যা, জন্মগ্রহণ করেন ১৮৭০ সালে।
দ্বিতীয়া হিরন্ময়ী দেবীর জন্ম ও মৃত্যুদিন আমাদের জানা নেই। তিনি ছিলেন ঢাকার
সেরপুরের প্রসিদ্ধ জমিদার রায় বাহাদুর হেমাঙ্গচন্দ্র চৌধুরীর পত্নী। দুজনের কাব্য
প্রকাশের সময় কাল বিচার করলে মনে হয় যে তাঁরা সমসাময়িকই ছিলেন।