. ---- এ কি মায়া ! তার মাঝে মাঝে . মনে হ’ত কতদূর হতে, প্রিয়, মোর নাম ধ’রে যেন . তব বীণা বাজে ! . সে সুন্দর গোপন পথের পানে চেয়ে, হিংসা-রক্ত-আঁখি মোর অশ্রু-রাঙা বেদনার রস যেত ছেয়ে ! . সেই সুর ডাক স্মরি ‘স্মরি’ . ভুলিলাম অতীতের জ্বালা, . বুঝিলাম তুমি সত্য---তুমি আছ, অনাদৃতা তুমি মোর, তুমি মোরে মনে প্রাণে যাচ, . একা তুমি বন-বালা . মোর তরে গাঁথিতেছ মালা . আপনার মনে . লাজে সঙ্গোপনে | . জন্ম জন্ম ধ’রে চাওয়া তুমি মোর সেই ভিখারিনী |---- অন্তরের অগ্নি-সিন্ধু ফুল হ’য়ে হেসে উঠে কহে----‘চিনি, চিনি | . বেঁচে ওঠ্ মরা প্রাণ ! ডাকে তোরে দূর হতে সেই----- . যার তরে এত বড় বিশ্বে তোর সুখ শান্তি নেই !’ . তারি মাঝে . কাহার ক্রন্দন-ধ্বনি বাজে !
. কে যেন রে পিছু ডেকে চীত্কারিয়া কয়----- ‘বন্ধু এ যে অবেলায় ! হতভাগ্য, এ যে অসময় !’ . শুনিনু না মানা, মানিনু না বাধা, প্রাণে শুধু ভেসে আসে জন্মান্তর হ’তে যেন বিরহিণী ললিতার কাঁদা . ছুটে এনু তব পাশে . ঊর্ধ্বশ্বাসে ; মৃত্যু-পথ অগ্নি-রথ কোথা প’ড়ে কাঁদে, রক্ত-কেতু গেল উড়ে, পুড়ে, তোমার গোপন পূজা বিশ্বের আরাম নিয়া এলো বুক জুড়ে !
*** *** *** *** ***
. তারপর যা বলিব হারায়েছি আজ তার ভাষা, . আজ মোর প্রাণ নাই, অশ্রু নাই, নাই শক্তি আশা ! যা বলিব আজ ইহা গান নহে, ইহা শুধু রক্ত-ঝরা প্রাণ-রাঙা . অশ্রু-ভাঙা ভাষা ! . ভাবিতেছ, লজ্জাহীন ভিখারীর প্রাণ---- . সে--ও চাহে দেওয়ার সন্মান ! . সত্য প্রিয়া, সত্য ইহা ; আমিও তা স্মরি’ , . আজ শুধু হেসে মরি ! তবু শুধু এইটুকু জেনে রাখো প্রিয়তমা, দ্বার হ’তে দ্বারান্তরে . ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছিনু তব পাশে, জীবনের শেষ চাওয়া চেয়েছিনু তোমা’ | . প্রাণের সকল আশা সব প্রেম ভালোবাসা দিয়া তোমারে পূজিয়াছিনু, ওগো মোর বে-দরদী পূজারিণী প্রিয়া ! ভেবেছিনু, বিশ্ব যারে পারে নাই তুমি নেবে তার ভার হেসে, . বিশ্ব-বিদ্রোহীরে তুমি করিবে শাসন . অবহেলে শুধু ভালোবেসে | . ভেবেছিনু , দুর্বিনীত দুর্জয়ীরে জয়ের গরবে তব প্রাণে উদ্ভাসিবে অপরূপ জ্যোতি, তারপর একদিন . তুমিই মোর এ বাহুতে মহাশক্তি সঞ্চারিয়া . বিদ্রোহীর জয়লক্ষ্ণী হবে !
. ছিল আশা, ছিল শক্তি, বিশ্বটারে টেনে ছিঁড়ে তব রাঙা পদতলে ছিন্ন রাঙা পদ্মসম পূজা দেবো এনে ! . কিন্তু হায় ! কোথা সেই তুমি ? কোথা সেই প্রাণ ? . কোথা সেই নাড়ী -ছেঁড়া প্রাণে টান ?
. এ-তুমি আজ সে-তুমি তো নহ ; . আজ হেরি ---তুমিও ছলনাময়ী . তুমিও হইতে চাও মিথ্যা দিয়া জয়ী ! . কিছু মোরে দিতে চাও, অন্য তরে রাখ কিছু বাকী,---- দুর্ভাগিনী ! দেখে হেসে মরি ! কারে তুমি দিতে চাও ফাঁকি ?
. মোর বুকে জাগিছেন অহরহ সত্য ভগবান, . তাঁর দৃষ্টি বড় তীক্ষ্ণ, এ দৃষ্টি যাহারে দেখে, . তন্ন তন্ন ক’রে খুঁজে দেখে তার প্রাণ ! . লোভে আজ তব পূজা কলুষিত প্রিয়া , . আজ তারে ভুলাইতে চাহ, . যারে, তুমি পূজেছিলে পূর্ণ মন প্রাণ সমর্পিয়া !
. তাই আমি ভাবি কার দোষে------ . অকলঙ্ক তব হৃদি-পুরে . জ্বলিল এ মরণের আলো কবে প’শে ? . তবু ভাবি, একি সত্য ? তুমিও ছলনাময়ী ?
. যদি তাই হয়, তবে মায়াবিনী অয়ি, . ওরে দুষ্ট, তাই সত্য হোক ! . জ্বালো তবে ভালো ক’রে জ্বালো মিথ্যালোক ! . আমি তুমি সূর্য চন্দ্র গ্রহ তারা . সব মিথ্যা হোক, জ্বালো ওরে মিথ্যাময়ী, জ্বালো তবে ভালো ক’রে . জ্বালো মিথ্যালোক !
*** *** *** *** ***
. তব মুখ পানে চেয়ে আজ . বাজ-সম বাজে মর্মে লাজ . তবে অনাদর অবহেলা স্মরি’ স্মরি’ . তারি সাথে স্মরি’ মোর নির্লজ্জতা, . আমি আজ প্রাণে প্রাণে মরি | মনে হয় -----ডাক ছেড়ে কেঁদে উঠি, ‘মা বসুধা দ্বিধা হও ! . ঘৃণাহত মাটি-মাখা ছেলেরে তোমার এ নির্লজ্জ মুখ-দেখা আলো হ’তে অন্ধকারে টেনে লও !’ . তবু বারে বারে আসি আশা-পথ বাহি’ . কিন্তু হায় যখনই ও-মুখ পানে চাহি’---- . মনে হয়,------ হায়, হায়, কোথা সেই পূজারিণী, . কোথা সেই রিক্তা সন্ন্যাসিনী ? . এ যে সেই চির--পরিচিত অবহেলা, . এ যে সেই ভাবহীন মুখ ! . পূর্ণা নয়, এ যে সেই প্রাণ নিয়ে ফাঁকি-ফাঁকি ---- . অপমানে ফেটে যায় বুক ! . প্রাণ নিয়া এ কি নিদারুণ খেলা খেলে এরা হায়, . রক্ত-ঝরা রাঙা বুক দ’লে অলক্তক পরে এরা পায় ! . এরা দেবী, এরা লোভী, এরা চাহে সর্বজন-প্রীতি ! ইহাদের তরে নহে প্রেমিকের পূর্ণ পূজা, পূজারীর পূর্ণ সমর্পণ, পূজা হেরি’ ইহাদের ভীরু-বুকে তাই জাগে এত সত্য-ভীতি ! . নারী নাহি হ’তে চায় শুধু একা কারো, এরা দেবী, এরা লোভী, যত পূজা পায় এরা চায় তত আরো ! . ইহাদের অতিলোভ মন, . একজনে তৃপ্ত নয়, এক পেয়ে সুখী নয়, . যাচে বহু জন !----- . যে-পূজা পূজিনি আমি স্রষ্টা ভগবানে, যারে দিনু সেই পূজা সে--ই আজি প্রতারণা হানে !
অনেক ক’রে বাস্ তে ভালো পারি নি মা তখন যারে, আজ অবেলায় তারেই মনে প’ড়ছে কেন বারে বারে ||
আজ মনে হয় রোজ রাতে সে ঘুম পাড়াত নয়ন চু’মে, চুমুর পর চুম দিয়ে ফের হানত আঘাত ভোরের ঘুমে | . ভাব্ তুম্ তখন এ কোন বালাই ! . ক’র্ ত এ প্রাণ পালাই পালাই ! আজ সে কথা মনে হ’য়ে ভাসি অঝোর নয়ন-ঝারে ! অভাগিনীর সে গরব আজ ধূলায় লুটায় বাথার ভারে||
তরুণ তাহার ভরাট বুকের উপ্ চে’--পড়া আদর সোহাগ হেলায় দু’পায়ে দ’লেছি মা, আজ কেন হায় তায় অনুরাগ ? . এই চরণ সে বক্ষে চেপে . চুমেছে, আর দুচোখ ছেপে জল ঝ’রেছে, তখনো মা কই নি কথা অহঙ্কারে, এম্ নি দারুণ হতাদরে ক’রেছি মা বিদায় তারে|| দেখেও ছিলাম বুক-ভরা তার অনাদরের আঘাত-কাঁটা দ্বার হ’তে সে গেছে দ্বারে খেয়ে সবার লাথি-ঝাঁটা | . ভেবেছিল আমার কাছে, . তার দরদের শান্তি আছে, আমিও গো মা ফিরিয়ে দিলাম চিনতে নেরে দেবতারে | ভিক্ষুবেশে এসেছিল রাজাধিরাজ দাসীর দ্বারে || পথ ভুলে সে এসেছিল সে মোর সাধের রাজ-ভিখারী, মাগো আমি ভিখারিণী, আমি কি তায় চিন্ তে পারি ? . তাই মাগো তাঁর পূজার ডালা . নিই নি, নিই নি মণির মালা, দেব্ তা-আমার নিজে আমায় পূজ্ ল ষোড়শ-উপচারে ! পূজারীকে চিনলাম না মা পূজা-ধূমের অন্ধকারে ||
আমার চাওয়াই শেষ-চাওয়া তাঁর মাগো আমি তা কি জানি ! ধরায় শুধু রইল ধরা রাজ-অতিথির বিদায়-বাণী ! . ওরে আমার ভালোবাসা ! . কোথায় বেঁধেছিলি বাসা যখন আমার রাজা এসে দাঁড়িয়েছিল এই দুয়ারে ? নিঃশ্বসিয়া উঠ্ ছে ধরা, ‘নেই রে সে নেই, খুঁজিস কারে !’
সে যে পথের চির-পথিক, তার কি সহে ঘরের মায়া ? দূর হ’তে মা দূরান্তরে ডাকে তাকে পথের ছায়া | . মাঠের পারে বনের মাঝে . চপল তাহার নুপূর বাজে, ফুলের সাথে ফুটে বেড়ায়, মেঘের সাথে যায় পাহাড়ে, ধরা দিয়েও দেয় না ধরা জানি না সে চায় কাহারে |
মাগো আমার শক্তি কোথায় পথ-পাগলে ধ’রে রাখার ? তার তরে নয় ভালোবাসা, সন্ধ্যা-প্রদীপ ঘরে ডাকার | . তাই মা আমার বুকের কবাট . খুল্ তে নারল তার করাঘাত, এ মন তখন কেমন যেন বাস্ তে ভালো আর কাহারে, আমিই দূরে ঠেলে দিলাম অভিমানী ঘর-হারারে |
সোহাগে সে ধর্ তে যেত নিবিড় ক’রে বক্ষে চেপে, হতভাগী পালিয়ে যেতাম ভয়ে এ বুক উঠ্ ত কেঁপে | . রাজ-ভিখারীর আঁখির কালো, . দূরে থেকেই লাগ্ ত ভালো, আস্ লে কাছে ক্ষুদিত তার দীঘল চাওয়ার অশ্রু-ভারে | ব্যথায় কেমন মুস্ ড়ে যেতাম, সুর হারাতাম মনের তারে ||
আজ কেন মা তারই মতন আমারো এই বুকের ক্ষুধা চায় শুধু সেই হেলায় হারা আদর-সোহাগ-পরশ-সুধা, . আজ মনে হয় তাঁর সে বুকে . এ মুখ চেপে নিবিড় সুখে গভীর দুখের কাঁদন কেঁদে শেষ ক’রে দিই এই আমারে ! যায় না কি মা আমার কাঁদন তাঁহার দেশের কানন-পারে ?
আজ বুঝেছি এ জনমের আমার নিখিল শান্তি আরাম চুরি ক’রে পালিয়ে গেছে চোরের রাজা সেই প্রাণারাম ! . হে বসন্তের রাজা আমার ! . নাও এসে মোর হার-মানা-হার ! আজ যে আমার বুক ফেটে যায় আর্তনাদের হাহাকারে, দেখে যাও আজ সেই পাষাণী কেমন ক’রে কাঁদ্ তে পারে |
স্বর্গ আমার গেছে পুড়ে তাঁরই চলে যাওয়ার সাথে, এখন আমার একার বাসর দোসরহীন এই দুঃখ-রাতে ! . ঘুম ভাঙাতে আস্ বে না সে . ভোর না হ’তেই শিয়র-পাশে, আস্ বে না ফিরে গভীর রাতে চুমু-চুরির অভিসারে, কাঁদ্ বে ফিরে তাঁহার সাথী ঝড়ের রাতি বনের পারে | আজ পেলে তাঁয় হুমড়ি খেয়ে পড়তুম মা গো যুগল পদে বুকে ধ’রে পদ-কোকনদ স্নান করাতাম আঁখির হ্রদে | . ব’স্ তে দিতাম আধেক আঁচল, . সজল চোখের চোখ-ভরা জল ভেজা কাজল মুছতাম তার চোখে মুখে অধর-ধারে, আকুল কেশে পা মুছাতাম বেঁধে বাহুর কারাগারে |
দেখ্ তে মাগো তখন তোমার রাক্ষুসী এই সর্বনাশী, মুখ থুয়ে তাঁর উদার বুকে ব’লত, ‘আমি ভালোবাসি !’ . ব’ল্ তে গিয়ে সুখ-শরমে . লাল হ’য়ে গাল উঠ্ ত ঘেমে, বুক হ’তে মুখ আস্ ত নেমে লুটিয়ে কখন্ কোল্--কিনারে, দেখ্ তুম মা গো তখন কেমন মান ক’রে সে থাক্ তে পারে |
এম্ নি এখন কতই আশা ভালোবাসার তৃষ্ণা জাগে তাঁর ওপর মা অভিমানে, ব্যথায়, রাগে, অনুরাগে ! . চোখের জলের ঋণী ক’রে . সে গেছে কোন্ দ্বীপান্তরে ? সে বুঝি মা সাত সমুদ্দুর তের নদীর সুদূর পারে ? ঝড়ের হাওয়া সেও বুঝি মা সে দূর-দেশে যেতে নারে ?
তারে আমি ভালোবাসি সে যদি তা পায় মা খবর, চৌচির হয়ে পড়্ বে ফেটে আনন্দে মা তাহার কবর | . চীত্কারে তার উঠ্ বে কেঁপে . ধরার সাগর--অশ্রু ছেপে, উঠ্ বে ক্ষেপে অগ্নি-গিরি সেই পাগলের হুহুঙ্কারে, ভূধর সাগর আকাশ বাতাস ঘূর্ণী নেচে ঘিরবে তারে |
ছি, মা ! তুমি ডুক্ রে কেন উঠ্ ছ কেঁদে অমন ক’রে ? তার চেয়ে মা তাঁরই কোনো শোনা-কথা শুনাও মোরে ! . শুন্ তে শুন্ তে তোমার কোলে . ঘুমিয়ে পড়ি | ও কে খোলে দুয়ার ও মা ? ঝড় বুঝি মা তাঁরই মতো ধাক্কা মারে ? ঝোড়ো হাওয়া ! ঝোড়ো হাওয়া ! বন্ধু তোমার সাগর-পারে !
সে কি হেথায় আস্ তে পারে আমি যেথায় আছি বেঁচে, যে দেশে নাই আমার ছায়া এবার সে সেই দেশে গেছে ! . তবু কেন থাকি থাকি . ইচ্ছা করে তারেই ডাকি ! যে কথা মোর রইল বাকি হায় সে কথা শুনাই কারে ! মা গো আমার প্রাণের কাঁদন্ আছ্ ড়ে মরে বুকের দ্বারে !
যাই তবে মা ! দেখা হ’লে আমার কথা ব’লো তারে রাজার পূজা -----সে কি কভু ভিখারিণী ঠেল্ তে পারে ? . মা গো আমি জানি জানি . আসবে আমার আভিমানী খুঁজ্ তে আমার গভীর রাতে এই আমাদের কুটীর-দ্বারে, ব’লো তখন, খুঁজতে তারেই হারিয়ে গেছি অন্ধকারে !
সখি ! নতুন ঘরে গিয়ে আমায় প’ড়বে কি আর মনে ? . সেথায় তোমার নতুন পূজা নতুন আয়োজনে || প্রথম দেখা তোমায় আমার . যে গৃহ-ছায় যে আঙিনায়, . যেথায় প্রতি ধূলি কণায় . লতাপাতার সনে, . নিত্য চেনার বিত্ত রাজে চিত্ত-আরাধনে, . পুণ্য সে ঘর শূন্য এখন কাঁদ্ ছে নিরজনে ||
সেথা তুমি যখন ভুলতে আমায়, আস্ ত অনেক কেহ, তখন আমার হ’য়ে অভিমানে কাঁদ্ ত যে ঐ গেহ ! . যেদিক পানে চাইতে সেথা . বাজত আমার স্মৃতির ব্যথা, . সে গ্লানি আজ ভুল্ বে হেথা . নতুন আলাপনে ! আমিই শুধু হারিয়ে গেলেম হারিয়ে-যাওয়ার বনে ||
আমার এতদিনের দূর ছিল না সত্যিকারের দূর, ওগো আমার সুদূর ক’রত নিকট ঐ পুরাতন পুর ! . এখন তেমার নতুন বাঁধন, . নতুন হাসি, নতুন কাঁদন, . নতুন সাধন, গানের মাতন . নতুন আবাহনে ! . আমারই সুর হারিয়ে গেল সুদূর পুরাতনে ||
সখি ! আমার আশাই দুরাশা আজ, তোমার বিধির বর, আজ! মোর সমাধির বুকে তোমার উঠবে বাসর ঘর | . শূন্য ভ’রে শুন্ তে পেনু . ধেনু-চরা বনের বেণু------ . হারিয়ে গেনু হারিয়ে গেনু . অস্ত-দিগঙ্গনে ! . বিদায় সখি, খেলা-শেষ এই বেলা-শেষের খনে | . এখন তুমি নতুন মানুষ নতুন গৃহ-কোণে ||
তুমি আমায় ভালোবাস তাই তো আমি কবি | আমার এ রূপ,---সে যে তোমার ভালোবাসার ছবি || . আপন জেনে হাত বাড়ালো . আকাশ বাতাস প্রভাত-আলো, . বিদায়-বেলার সন্ধ্যা-তারা . পূবের অরুণ রবি----- তুমি ভালোবাস ব’লে ভালোবাসে সবি ||
আমার আমি লুকিয়ে ছিল থোমার ভালোবাসায়, আমার আশা বাইরে এলো তোমার হঠাৎ আসায় || . তিমিই আমার মাঝে আসি . অসিতে মোর বাজাও বাঁশি . আমার পূজার যা আয়োজন . তোমার প্রাণের হবি | আমার বাণী জয়মাল্য, রাণি ! তোমার সবি ||
তুমি আমার ভালোবাস তাই তো আমি কবি | আমার এ রূপ-----সে যে তোমার ভালবাসার ছবি ||