বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম-এর "সাম্যবাদের গান"
থেকে কয়েকটি
*
সাম্যবাদের গান, কাজী নজরুল ইসলাম

.                  ওঠ্ রে চাষী, জগদ্বাসী, ধর ক’ষে লাঙ্গল  |
আমরা           মরতে আছি --- ভাল করেই মর্ ব এবার চল ||
মোদের           উঠান-ভরা শস্য ছিল হাস্য-ভরা দেশ
ঐ                 বৈশ্য দেশের দস্যু এসে লাঞ্ছনার নাই শেষ,
ও ভাই           লক্ষ হাতে টানছে তারা লক্ষ্ণী মায়ের কেশ,
আজ              মা’র কাঁদনে লোনা হ’ল সাত সাগরের জল  ||
ও ভাই            আমরা ছিলাম পরম সুখী, ছিলাম দেশের প্রাণ
তখন              গলায় গলায় গান ছিল ভাই,  গোলায় গোলায় ধান,
আজ              কোথায় বা সে গান গেল ভাই, কোথায় সে কৃষাণ  ?
ও ভাই           মোদের রক্ত জল হয়ে আজ ভ’রতেছে বোতল  ||
আজ              চারদিক হ’তে ধনিক বণিক শোষণকারীর জাত,
ও ভাই            জোঁকের মতন শুষ্ ছে রক্ত, কাড়ছে থালার ভাত,
মোর              বুকের কাছে মরছে খোকা, নাই ক’ আমার হাত |
আজ              সতী মেয়ের বসন কেড়ে খেলছে খেলা খল ||
ও ভাই            আমরা মাটীর খাঁটি ছেলে দূর্ব্বাদল-শ্যাম,
আর               মোদের রূপেই ছড়িয়ে আছেন রাবণ-অবি রাম |
ঐ                  হালের ফলায় শস্য উঠে, সীতা তাঁরি নাম,
আজ               হ’র্ ছে রাবণ সেই সীতারে --- সেই মাঠের ফসল ||
ও ভাই             আমরা শহীদ, মাঠের মক্কায় কোরবানী দিই জান্ |
আর                সেই খুনে যে ফলছে ফসল, হর্ ছে তা’ শয়তান |
আমরা             যাই কোথা ভাই, ঘরে আগুন বাইরে যে তুফান !
আজ               চারদিক হতে ঘিরে মারে এজিদ রাজার দল  ||
আজ               জাগ্ রে কিষাণ !    সব তো গেছে কিসের বা আর ভয়  ?
এই                 ক্ষুধার জোরেই করব এবার সুধার জগৎ জয়  |
ঐ                  বিশ্বজয়ী দস্যুরাজার হয়কে করব নয়,
ওরে               দেখবে এবার সভ্য জগৎ চাষার কত বল  ||



.                   **************

.                                                                                                 
পরে     




মিলনসাগর
*
সাম্যবাদের গান, কাজী নজরুল ইসলাম

ওরে আজ ভারতের নব যাত্রাপথের   
বাঁশী বাজ্ ল  বাজ্ ল বাঁশী  |
ফেলে তরুর ছায়া ভু’লে ঘরের মায়া  
এল তরুণ-পথিক এল রাশি রাশি  ||
তারা আকাশকে আজ চাহে লুটে নিতে
তারা মন্থর ধরায় চাহে দুলিয়ে দিতে
প্রাণ জাগায়ে মৃতে
(তারা তরুণ-তরুণ প্রাণ জাগায় মৃতে )
সাহস জাগায় চিতে অট্ট-হাসি ||
মোরা প্রাচীরের ‘পরে রে প্রাচীর তুলে
ভাই হ’য়ে ভাইকে হায় ছিলাম ভুলে
আজ ভেঙে প্রাচীর হ’ল ঘরের বাহির
একই অহ্গনে দাঁড়াল উন্নত শির
এল মুক্ত-গগন-তলে প্রাণ-পিয়াসী ||


.             **************

.                                                                                                 
পরে     




মিলনসাগর
*
সাম্যবাদের গান, কাজী নজরুল ইসলাম

.                        জাগর --- তুর্য্য

.        ওরে ও শ্রমিক, সব মহিমার উত্তর-অধিকারী  !
.        অলিখিত যত গল্প-কাহিনী তোরা যে নায়ক তারি ||
.        শক্তিময়ী সে এক জননীর,
.        স্নেহ-সুত সব তোরা যে রে বীর,
.        পরস্পরের আশা যে রে তোরা,  মা’র সন্তাপ-হারী ||
.        নিদ্রোথ্বিত কেশরীর মত  
.        ওঠ্ ঘুম ছাড়ি’ নব জাগ্রত !
.        আয় রে অজেয় আয় অগণিত দলে দলে মরুচারী  ||
.        ঘুমঘোরে ওরে যত শৃঙ্খল ,
.        দেহ-মন বেঁধে করেছে বিকল,
.        ঝেড়ে ফেল্ সব, সমীরে যেমন ঝরায় শিশির-বারি  |
.        উহারা ক’জন ?   তোরা অগণন সকল শক্তি-ধারী  ||


.             **************

.                                                                                                 
পরে     




মিলনসাগর
*
সাম্যবাদের গান, কাজী নজরুল ইসলাম

.                        শ্রমিকের গান

.        ওরে           ধ্বংস-পথের যাত্রী-দল  !  
.                        ধর্ হাতুড়ি, তোল্  কাঁধে শাবল  ||
.        আমরা         হাতের সুখে গড়েছি ভাই,  
.                        পায়ের সুখে ভাঙব চল্  |
.                        ধর্ হাতুড়ি, তোল্ কাঁধে শাবল  ||
.        ও ভাই        আমাদেরি শক্তি-বলে,
.                        পাহাড় টলে তুষার গ’লে
.                        মরুভূমে সোনার ফসল ফলে রে !
.        মোরা          সিন্ধু ম’থে  এনে সুধা  
.                        পাই না ক্ষুধার বিন্দু জল  |
.                        ধর্ হাতুড়ি, তোল্ কাঁধে শাবল  ||
.        ও ভাই        আমরা কলির কলের কুলি,
.                        কলুর বলদ চক্ষে-ঠুলি
.                        হীরা পেয়ে রাজ-শিরে দিই তুলি রে  !
.        আজ           মানব-কুলের কালি মেখে  
.                        আমরা কালো কুলির দল |
.                        ধর্ হাতুড়ি, তোল কাঁধে শাবল  ||
.        আমরা         পাতাল ফেড়ে খুড়ে খনি,
.                        আনি ফণীর মাথার মণি,
.                        তাই পেয়ে সব শনি হ’ল ধনী রে  !
.        এবার          ফণী-মনসার নাগ-নাগিনী  
.                        আয়রে গর্জ্জে মার্ ছোবল  !
.                        ধর্ হাতুড়ি, তোল্ কাঁধে শাবল  ||
.        যত            শ্রমিক শু’ষে নিঙড়ে প্রজা,  
.                        রাজা উজির মারছে মজা,
.                        আমরা মরি ব’য়ে তাদের বোঝা রে !
.        এবার          জুজুর দল ঐ হজুর দলে  
.                        দল্ বি রে আয় মজুর দল  !
.                        ধর্  হাতুড়ি, তোল্ কাঁধে শাবল  ||
.        ও ভাই        মোদের বলে হতেছে পার,
.                        হপ্তা রোজে সপ্ত পাথার
.                        সাঁতার কেটে জাহাজ কাতার্ কাতার্ রে !
.        তবু            মোরাই জনম চলেছি ঠেলে  
.                        ক্লেশ-পাথরের সাঁতার-জল  !
.                        ধর্ হাতুড়ি, তোল্ কাঁধে শাবল ||
.        আজ           ছ’ মাসের পথ ছ’ দিনে যায়,
.                        কামান-গোলা রাজার সিপাই
.                        মোদের শ্রমে মোদেরি সে কৃপায় রে !
.        ও ভাই        মোদের পুণ্যে শূন্যে ওড়ে
.                        ঐ ভুঁড়োদের উড়োকল !
.                        ধর্ হাতুড়ি, তোল্ কাঁধে শাবল  ||
.        ও ভাই        দালান-বাড়ী আমরা গ’ড়ে,   
.                        রইনু জনম ধূলায় প’ড়ে,
.                        বেড়ায় ধনী মোদের ঘাড়ে চ’ড়ে রে  !
.        আমরা        চিনির বলদ, চিনি নে স্বাদ  
.                        চিনি বওয়াই সার কেবল  |
.                        ধর্ হাতুড়ি, তোল্ কাঁধে শাবল  ||
.        ও ভাই        আমরা মায়ের ময়লা ছেলে  
.                        কয়লা খনির বয়লা ঠেলে
.                        যে অগ্নি দিই দিগ্বিদিকে জ্বেলে রে !
.        এবার          জ্বালবে জগৎ কয়লা-কাটা  
.                        ময়লা কুলির সেই অনল  |
.                        ধর্ হাতুড়ি, তোল্ কাঁধে শাবল  ||
.        ও ভাই        আমাদের কাজ হলে বাসি  
.                        আমরা মুটে, কল-খালাসী  !
.                        ডুবলে তরী----- মোরাই তুলতে আসি রে !
.        আমরা        বলির মতন দান ক’রে সব  
.                        পেলাম শেষে পাতাল-তল  !
.                       ধর্ হাতুড়ি, তোল্ কাঁধে শাবল  ||
.        মোদের       যা ছিল সব দিইছি ফুঁকে,
.                        এইবারে শেষ কপাল ঠুকে
.                       পড়ব রুখে অত্যাচারীর বুকে রে !
.        এবার         নূতন করে মল্লভূমে গর্জ্জাবে ভাই দল-মাদল  !
.                       ধর্ হাতুড়ি, তোল্ কাঁধে শাবল  ||
.        ঐ             শয়তানী চোখ কলের বাতি  
.                        নিবিয়ে আয় রে ধ্বংস-সাথী !
.                       ধর্ হাতিয়ার, সামনে প্রলয়-রাতি রে !
.        আয়          আলোক-স্নানের যাত্রীরা আয়  
.                        আঁধার নায়ে চড়বি চল্  !
.                       ধর্ হাতুড়ি, তোল্ কাঁধে শাবল  ||

.                                  **************

.                                                                                                 
পরে     




মিলনসাগর
*
সাম্যবাদের গান, কাজী নজরুল ইসলাম

.     রক্ত- পতাকার গান

ওড়াও ওড়াও লাল নিশান  | -----
দুলাও মোদের রক্ত-পতাকা  
ভরিয়া বাতাস, জুড়ি’ বিমান !  
ওড়াও ওড়াও লাল নিশান  ||
শীতল শ্বাসের বিদ্রূপ করি’ ফোটে কুসুম,  
নব-বসন্ত-সূর্য্য উঠিছে টুটিয়া ঘুম,
অতীতের ঐ দশ-সহস্র বছরের হান মৃত্যু-বাণ |
ওড়াও ওড়াও লাল নিশান ||
চির-বসন্ত যৌবন করে ধরা শাসন,
নহে পুরাতন দাসত্বের ঐ বদ্ধ মন,
ওড়াব তবে রে লাল নিশান
ভরিয়া বাতাস, জুড়ি বিমান |
বসন্তের এই জ্যোতির পতাকা ওড়াও ঊর্দ্ধ্বে,
গাহ রে গান !
লাল নিশান!  লাল নিশান!

.                                  **************

.                                                                                                 
পরে     




মিলনসাগর
*
সাম্যবাদের গান, কাজী নজরুল ইসলাম

চীন ও ভারত মিলেছি আবার মোরা শত কোটি লোক |
চীন ভারতের জয় হোক !  ঐক্যের জয় হোক্ !  সাম্যের জয় হোক্  |
ধরার অর্দ্ধ নরনারী মোরা রহি এই দুই দেশে,
কেন আমাদের এত দুর্ভোগ নিত্য দৈন্য ক্লেশে |
সহিব না আর এই অবিচার খুলিয়াছে আজি চোখ ||
প্রাচীন চীনের প্রাচীর ও মহাভারতের হিমালয়-----আজ এই কথা যেন কয়----
মোরা সভ্যতা শিখায়েছি পৃথিবীরে------ইহা কি সত্য নয় ?
হইব সর্ব্বজয়ী আমরা সর্ব্বহারার দল,
সুন্দর হবে শক্তি লভিবে নিপীড়িতা ধরাতল  |
আমরা আনিব অভেদ ধর্ম্ম নব বেদ-গাথা-শ্লোক  ||


.                                  **************

.                                                                                                 
পরে     




মিলনসাগর
*
সাম্যবাদের গান, কাজী নজরুল ইসলাম

জাতের নামে বজ্জাতি সব জাত-জালিয়াৎ খেল্ ছ জুয়া |
ছুঁলেই তোর জাত যাবে ?  জাত ছেলের হাতের নয়তো মোয়া  ||
হুঁকোর জল আর ভাতের হাঁড়ি, ভাব্ লি এতেই জাতির জান,
তাই ত বেকুব, করলি তোরা এক জাতিকে এক শ’-খান !
এখন দেখিস ভারত-জোড়া, /  প’চে আছিস বাসি মড়া,
মানুষ নাই আজ, আছে শুধু জাত-শেয়ালের হুক্কা হুয়া  ||
জানিস না কি ধর্ম্ম সে যে বর্ম্ম সম সহন-শীল,
তাকে কি ভাই ভাঙতে পারে ছোঁওয়া-ছুঁয়ির ছোট্ট ঢিল  |
যে জাত-ধর্ম্ম ঠুনকো এত,  /  আজ নয় কাল ভাঙবে সে ত’,
যাক্ না সে জাত জাহান্নামে, রইবে মানুষ, নাই পরোয়া  ||
দিন-কানা সব দেখ্ তে পাস্ নে দন্ডে দন্ডে পলে পলে,
কেমন ক’রে পিষছে তোদের পিশাচ জাতের জাঁতা-কলে  |
তোরা জাতের চাপে মারলি জাতি, /   সূর্য্য ত্যজি নিলি বাতি,
তোদের জাত-ভগীরথ এনেছে জল জাত-বিজাতের জুতো ধোওয়া ||
মনু ঋষি অণু সমান বিপুল বিশ্বে যে বিধির,
বুঝলি না সেই বিধির বিধি, মনুর পায়েই নোয়াস্ শির |
ওরে মূর্খ ওরে জড়,  /  শাস্ত্র চেয়ে সত্য বড়,
তোরা চিন্ লি নে তা চিনির বলদ, সার হ’ল তাই শাস্ত্র বওয়া ||
সকল জাতই সৃষ্টি যে তাঁর, এ বিশ্ব-মায়ের বিশ্ব-ঘর,
মায়ের ছেলে সবাই সমান, তাঁর কাছে নাই আত্ম-পর |
তোরা সৃষ্টিকে তাঁর ঘৃণা ক’রে, /  স্রষ্টায় পূজিস্ জীবন ভ’রে,
ভষ্মে ঘৃত ঢালা সে যে বাছুর মেরে গাভী দোওয়া ||
বলতে পারিস্ বিশ্ব-পিতা ভগবানের কোন্ সে জাত ?
কোন্ ছেলের তাঁর লাগলে ছোঁওয়া অশুচি হন জগন্নাথ ?
নারায়ণের জাত যদি নাই, /  তোদের কেন জাতের বালাই ?
তোরা ছেলের মুখে থু থু দিয়ে মা’র মুখে দিস ধূপের ধোঁয়া ||
ভগবানের ফৌজদারী-কোর্ট নাই সেখানে জাত-বিচার,
তোর পৈতে টিকি টুপি টোপর সব সেথা ভাই একাক্কার !
জাত সে শিকেয় তোলা র’বে , কর্ম্ম নিয়ে বিচার হবে,
তা’পর বামুন চাঁড়াল এক গোয়ালে, নরক কিংবা স্বর্গে থোওয়া  ||
এই আচার বিচার বড় ক’রে প্রাণ-দেতায় ক্ষুদ্র ভাবা  |
বাবা এই পাপেই আজ উঠতে বসতে সিঙ্গী-মামার খাচ্ছে থাবা !
তাই, নাই ক অন্ন , নাই ক বস্ত্র , /   নাই সন্মান,  নাই ক অস্ত্র,
এই জাত-জুয়াড়ীর ভাগ্যে আছে আরো অশেষ দুখ সওয়া  ||


.                                  **************

.                                                                                                 
পরে     




মিলনসাগর
*
সাম্যবাদের গান, কাজী নজরুল ইসলাম

ধর্ম্মের পথে শহীদ যাহারা আমরা সেই সে জাতি
সাম্য মৈত্রী এনেছি আমরা বিশ্বে বরেছি জ্ঞাতি----   
.                                  আমরা সেই সে জাতি ||
পাপ বিদগ্ধ তৃষিত ধরার লাগিয়া আনিল যা’রা
মরুর তপ্ত বক্ষ নিঙাড়ি’ শীতল শান্তি ধারা
উচ্চ নীচের ভেদ ভাঙি’ দিল সবারে বক্ষ পাতি |  
.                                   আমরা সেই সে জাতি ||
কেবল মুসলমানের লাগিয়া আসেনি’ক ইস্ লাম
সত্যে যে চায়, আল্লায় মানে, মুসলিম্ তা’রি নাম  |
আমির-ফকিরে ভেদ নাই, সবে ভাই সব এক সাথী  |
.                                  আমরা সেই সে জাতি ||
নারীরে প্রথম দিয়াছি মুক্তি নরসম অধিকার
মানুষের গড়া প্রাচীর ভাঙিয়া করিয়াছি একাকার,
আঁধার রাতির বোর্ খা উতারি’ এনেছি আশার ভাতি  |
.                                   আমরা সেই সে জাতি ||


.                                  **************

.                                                                                                 
পরে     




মিলনসাগর
*
সাম্যবাদের গান, কাজী নজরুল ইসলাম

.        বজ্র আলোকে মৃত্যুর সাথে হবে নব পরিচয়,   
.        জয় জীবনের জয়  |
.        শক্তিহীনের বক্ষে জাগাবো শক্তির বিস্ময়,  
.        জয় জীবনের জয়  ||
.        ডঙ্কা বাজায়ে শঙ্কা-হরণে
.        আনিব সমরে অমর মরণে,
.        কন্টক-ক্ষত নগ্ন চরণে দলিব মৃত্যু-ভয়,  
.        জয় জীবনের জয়  ||
মরু-অরণ্য গিরি-পর্ব্বতে রচিব রক্ত পথ,  
সেই পথ ধ’রে ভবিষ্যতের আসিবে বিজয়-রথ |
.        আমাদের শত  শব-চিন্ ধরি’  
.        আসিবে শক্তি প্রলয়ঙ্করী,
.        আসিবে মোদের রক্ত সাঁতরী’   
.        নবীন অভ্যুদয়,  
.        জয় জীবনের জয়  ||


.                                  **************

.                                                                                                 
পরে     




মিলনসাগর