. ওঠ্ রে চাষী, জগদ্বাসী, ধর ক’ষে লাঙ্গল | আমরা মরতে আছি --- ভাল করেই মর্ ব এবার চল || মোদের উঠান-ভরা শস্য ছিল হাস্য-ভরা দেশ ঐ বৈশ্য দেশের দস্যু এসে লাঞ্ছনার নাই শেষ, ও ভাই লক্ষ হাতে টানছে তারা লক্ষ্ণী মায়ের কেশ, আজ মা’র কাঁদনে লোনা হ’ল সাত সাগরের জল || ও ভাই আমরা ছিলাম পরম সুখী, ছিলাম দেশের প্রাণ তখন গলায় গলায় গান ছিল ভাই, গোলায় গোলায় ধান, আজ কোথায় বা সে গান গেল ভাই, কোথায় সে কৃষাণ ? ও ভাই মোদের রক্ত জল হয়ে আজ ভ’রতেছে বোতল || আজ চারদিক হ’তে ধনিক বণিক শোষণকারীর জাত, ও ভাই জোঁকের মতন শুষ্ ছে রক্ত, কাড়ছে থালার ভাত, মোর বুকের কাছে মরছে খোকা, নাই ক’ আমার হাত | আজ সতী মেয়ের বসন কেড়ে খেলছে খেলা খল || ও ভাই আমরা মাটীর খাঁটি ছেলে দূর্ব্বাদল-শ্যাম, আর মোদের রূপেই ছড়িয়ে আছেন রাবণ-অবি রাম | ঐ হালের ফলায় শস্য উঠে, সীতা তাঁরি নাম, আজ হ’র্ ছে রাবণ সেই সীতারে --- সেই মাঠের ফসল || ও ভাই আমরা শহীদ, মাঠের মক্কায় কোরবানী দিই জান্ | আর সেই খুনে যে ফলছে ফসল, হর্ ছে তা’ শয়তান | আমরা যাই কোথা ভাই, ঘরে আগুন বাইরে যে তুফান ! আজ চারদিক হতে ঘিরে মারে এজিদ রাজার দল || আজ জাগ্ রে কিষাণ ! সব তো গেছে কিসের বা আর ভয় ? এই ক্ষুধার জোরেই করব এবার সুধার জগৎ জয় | ঐ বিশ্বজয়ী দস্যুরাজার হয়কে করব নয়, ওরে দেখবে এবার সভ্য জগৎ চাষার কত বল ||
ওড়াও ওড়াও লাল নিশান | ----- দুলাও মোদের রক্ত-পতাকা ভরিয়া বাতাস, জুড়ি’ বিমান ! ওড়াও ওড়াও লাল নিশান || শীতল শ্বাসের বিদ্রূপ করি’ ফোটে কুসুম, নব-বসন্ত-সূর্য্য উঠিছে টুটিয়া ঘুম, অতীতের ঐ দশ-সহস্র বছরের হান মৃত্যু-বাণ | ওড়াও ওড়াও লাল নিশান || চির-বসন্ত যৌবন করে ধরা শাসন, নহে পুরাতন দাসত্বের ঐ বদ্ধ মন, ওড়াব তবে রে লাল নিশান ভরিয়া বাতাস, জুড়ি বিমান | বসন্তের এই জ্যোতির পতাকা ওড়াও ঊর্দ্ধ্বে, গাহ রে গান ! লাল নিশান! লাল নিশান!
চীন ও ভারত মিলেছি আবার মোরা শত কোটি লোক | চীন ভারতের জয় হোক ! ঐক্যের জয় হোক্ ! সাম্যের জয় হোক্ | ধরার অর্দ্ধ নরনারী মোরা রহি এই দুই দেশে, কেন আমাদের এত দুর্ভোগ নিত্য দৈন্য ক্লেশে | সহিব না আর এই অবিচার খুলিয়াছে আজি চোখ || প্রাচীন চীনের প্রাচীর ও মহাভারতের হিমালয়-----আজ এই কথা যেন কয়---- মোরা সভ্যতা শিখায়েছি পৃথিবীরে------ইহা কি সত্য নয় ? হইব সর্ব্বজয়ী আমরা সর্ব্বহারার দল, সুন্দর হবে শক্তি লভিবে নিপীড়িতা ধরাতল | আমরা আনিব অভেদ ধর্ম্ম নব বেদ-গাথা-শ্লোক ||
ধর্ম্মের পথে শহীদ যাহারা আমরা সেই সে জাতি সাম্য মৈত্রী এনেছি আমরা বিশ্বে বরেছি জ্ঞাতি---- . আমরা সেই সে জাতি || পাপ বিদগ্ধ তৃষিত ধরার লাগিয়া আনিল যা’রা মরুর তপ্ত বক্ষ নিঙাড়ি’ শীতল শান্তি ধারা উচ্চ নীচের ভেদ ভাঙি’ দিল সবারে বক্ষ পাতি | . আমরা সেই সে জাতি || কেবল মুসলমানের লাগিয়া আসেনি’ক ইস্ লাম সত্যে যে চায়, আল্লায় মানে, মুসলিম্ তা’রি নাম | আমির-ফকিরে ভেদ নাই, সবে ভাই সব এক সাথী | . আমরা সেই সে জাতি || নারীরে প্রথম দিয়াছি মুক্তি নরসম অধিকার মানুষের গড়া প্রাচীর ভাঙিয়া করিয়াছি একাকার, আঁধার রাতির বোর্ খা উতারি’ এনেছি আশার ভাতি | . আমরা সেই সে জাতি ||