৭৫ বছরের স্বাধীনতার দেয়ালিকা |
|
|
এই পাতাটি পাশাপাশি, ডাইনে-বামে স্ক্রল করে! This page scrolls sideways - Left - Right ! |
আমার কৈফিয়ৎ কবি কাজী নজরুল ইসলাম। কবির "সর্বহারা" গ্রন্থের কবিতা। বর্তমানের কবি আমি ভাই, ভবিষ্যতের নই ‘নবী’! কবি ও অকবি যাহা বল মোরে মুখ বুজে তাই সই সবি ! . কেহ বলে, ‘তুমি ভবিষ্যতে যে . ঠাঁই পাবে কবি ভবীর সাথে হে ! যেমন বেরোয় রবির হাতে সে চিরকেলে-বাণী কই কবি?’ দুষিছে সবাই, আমি তবু গাই শুধু প্রভাতের ভৈরবী ! কবি-বন্ধুরা হতাশ হইয়া মোর লেখা প’ড়ে শ্বাস ফেলে ! বলে, ‘কেজো ক্রমে হচ্ছে অকেজো পলিটিক্সের পাঁশ ঠেলে ! . পড়েনাক’ বই, ব’য়ে গেছে ওটা’ . কেহ বলে ‘বৌ এ গিলিয়াছে গোটা !’ কেহ বলে, ‘মাটী হ’ল হয়ে মোটা জেলে ব’সে শুধু তাস খেলে ! কেহ বলে, ‘তুই জেলে ছিলি ভালো, ফের যেন তুই যাস্ জেলে। গুরু ক’ন, ‘তুই করেছিস শুরু তরোয়াল দিয়ে দাড়ি চাঁছা ! প্রতি শনিবারী চিঠিতে প্রেয়সী গালি দেন, ‘তুমি হাঁড়িচাঁচা !’ . আমি বলি, প্রিয়ে, হাটে ভাঙি হাঁড়ি ! . অম্ নি বন্ধ চিঠি তাড়াতাড়ি ! সব ছেড়ে দিয়ে করিলাম বিয়ে, হিন্দুরা ক’ন ‘আড়ি চাচা !’ যবন না আমি কাফের ভাবিয়া খুঁজি টিকি দাড়ি নাড়ি কাছা ! |
কবি কাজী নজরুল ইসলাম মিলনসাগরে কবির পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৫.৮.২০২২ |
স্বাধীনতা তুমি কবি মনামী ঘোষ। রচনা ১৫.৮.২০২২। স্বাধীনতা তুমি পতাকা-শোভিত শ্লোগান-মুখর ঝাঁঝালো মিছিল। স্বাধীনতা তুমি ফসলের মাঠে কৃষকের হাসি। স্বাধীনতা তুমি রোদেলা দুপুরে মধ্যপুকুরে গ্রাম্য মেয়ের অবাধ সাঁতার। স্বাধীনতা তুমি মজুর যুবার রোদে ঝলসিত দক্ষ বাহুর গ্রন্থিল পেশী। স্বাধীনতা তুমি অন্ধকারের খাঁ খাঁ সীমান্তে মুক্তিসেনার চোখের ঝিলিক। স্বাধীনতা তুমি বটের ছায়ায় তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীর শানিত কথার ঝলসানি-লাগা সতেজ ভাষণ। স্বাধীনতা তুমি চা-খানায় আর মাঠে-ময়দানে ঝোড়ো সংলাপ। স্বাধীনতা তুমি কালবোশেখীর দিগন্তজোড়া মত্ত ঝাপটা। স্বাধীনতা তুমি শ্রাবণে অকূল মেঘনার বুক |
কবি মনামী ঘোষ মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৭.৮.২০২২ |
সার্থক জনম কবি শুভ দাশগুপ্ত। যে ছেলেটা চায়ের দোকানের এঁটো কাপ ধুচ্ছে রাস্তার ধারে, তাকে ডাকুন । তার কানে কানে বলুন সুজলাং সুফলাং মলয়জ শীতলাং হ্যাঁ, বেশ সুন্দর করে বলুন,যে মেয়েটা চাকরির নাম করে বনগাঁ কিংবা চাকদা থেকে রোজ সকালের ট্রেনে সেজেগুজে শহরে আসছে, শরীর বেচে চাল, ডাল, নুন কিনতে, তাকে ডাকুন, তার কানে কানে সুরেলা কন্ঠে বলুন, সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে যে ছেলেটি লটারির টিকিট নিয়ে দরজায় দরজায় ঘুরছে আর বলছে বিশ্বাস করুন, আমি ভদ্রলোক, আজ ১০ বছর হল আমার কারখানা বন্ধ, লক-আউট, তাকে ডাকুন, তার কানে কানে বলুন, বল বল বল সবে শতবীণা বেণুরবে ভারত আবার জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে । রাতের আকাশ-কাঁপিয়ে অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামলে, যে মা আজও লন্ঠন হাতে টালির ঘরের দরজায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন তাঁর খোকন ফিরে আসবে বলে । যে খোকনকে এমনই এক বর্ষায় উন্মত্ত রাতে কালো গাড়ির পুলিশ ডেকে নিয়ে গিয়েছিল আর বরানগরের রাস্তায় ভোরের ঘুম-ভাঙা কুকুর প্রথম দেখেছিল যার গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত লাশ, সেই মাকে ডাকুন, তাঁর কানে কানে বলুন, হাম বুলবুলি হ্যায় ইসকি ইয়ে গুলিস্তা হামারা, সারে যাঁহা......হামারা । |
কবি শুভ দাশগুপ্ত মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবিতাটি আমরা পেয়েছি প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী শ্রীমতী সুমিত্রা চট্টোপাধ্যায়ের ফেসবুক থেকে মিলনসাগরে তাঁর সঙ্গীতের পাতা . . . সুমিত্রা চট্টোপাধ্যায়ের ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৭.৮.২০২২ |
কবি শুভ জোয়ারদার মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . রচনা ১৮.৮.২০২২ এখানে তোলা হয়েছে ১৮.৮.২০২২ |
স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব কবি অমরেশ বিশ্বাস। আজ চারিদিকে তেরঙ্গায় ছেয়ে গেছে তেরঙ্গা উড়ছে সরকারি নির্দেশে এসেছে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব স্বাধীনতা আজ অনাচারে গেছে ভেসে। সব কাঙালের মনে বড় অভিলাষ তারাও স্বাধীনতার নাগাল পায় স্বাধীনতা খুঁজে খুঁজে তারা হয়রান দেখে ছেয়ে আছে শুধু কিছু তেরঙ্গায়। শিক্ষিত যুবক তেরঙ্গা উড়িয়ে ঘোরে বেকার তকমা জুড়েছে সঙ্গে তার সংসার তার চলবে কেমন করে চাকরি নয় সে চায় শুধু রোজগার। স্বাধীনতা তুমি কারো বা কুক্ষিগত জানি এতে নেই তোমার কোনই দোষ যে বেচারীরা আজও পায়নি তোমার স্বাদ তারা শুধু করে দিনরাত আফসোস। ওদের বুকে ক্ষোভ জমছে নিরন্তর জানবে সে ক্ষোভ জমছে লাভার মত ফেটে পড়বে সে আগ্নেয়গিরি হয়ে এইভাবে ক্ষোভ জমে যদি ক্রমাগত। |
কবি অমরেশ বিশ্বাস কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৮.৮.২০২২ |
कवि शेफ़ाली शर्मा कवि का फेसबुक . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৮.৮.২০২০ |
बच्चों के न रहने पर माँ भी कहाँ रहती है कवि शेफ़ाली शर्मा, छिन्दवाड़ा। रचना 18.8.2022। बच्चों के न रहने पर माँ भी कहाँ रहती है पिचहत्तर साल की आज़ादी नौ साल के तुम देखो इंद्र कितना बड़ा देश कितनी बड़ी आज़ादी और कितने छोटे तुम कितने आराम से सो रहे हो आज माॅं ने जगाया नहीं होती तो जगाती बच्चों के न रहने पर माँ भी कहाँ रहती है तुम कह सकते इस पंद्रह अगस्त तो ज़ोर से कहते "भारत माता की जय" लेकिन अब तुम एक निशान हो तिरंगे के बीचों बीच सफेद पट्टी पर छोटे ही सही लेकिन दिखाई देने लायक |
अकेले नहीं हो और भी हैं जिन्हें मार दिया गया कभी नाम की वजह से कभी काम की वजह से कभी इसलिए कि विचार अलग हैं और कभी बिना किसी वजह के जब रहीम की हत्या का विरोध नहीं होता तो रमुआ और रामचंद्र की हत्या निश्चित हो जाती है और इन हत्याओं के निशान उभर आते हैं तिरंगे के बीचों बीच सफेद पट्टी पर। |
পঁচাত্তরতম স্বাধীনতা দিবস কবি সব্যসাচী দেব। রচনা ১৫ই অগাস্ট ২০২২। পঁচাত্তর বছর আগে এইরকম মধ্যরাতে নিশান বদল হয়েছিল। তারপর ভারতের কম্যুনিস্ট পার্টি আওয়াজ তুলেছিলেন-- ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যায় দেশকা জনতা ভুখা হ্যায় অমনি রে রে করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল কম্যুনিস্ট বিরোধীরা। শ্লোগানের দ্বিতীয় লাইনটা চেপে দিয়ে প্রথম লাইনটা নিয়ে তারা আক্রমণ শানিয়েছিল কম্যুনিস্টদের বিরুদ্ধে। পঁচাত্তর বছর পরে কি মনে হয় সেদিনের শ্লোগানে কোনো ভুল ছিল? স্বাধীনতা খুব মজার বস্তু, খুব রংচঙে, বাদ্যিভরা। বয়সও মাত্র সাতদশপাঁচ, ভরাযৌবনে জুলুস কত ; সকাল থেকেই গানবাজনায় আমাদের এই বসুন্ধরা– মহব্বতের পাত্র বদল, আজকে কেবল স্বদেশব্রত। তোমার স্বদেশ আমার স্বদেশ? স্বদেশ স্বদেশ করিস কারে? তোদের স্বদেশ হাটে বেচে আজ দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলি ; দিল্লির পথে কিষানেরা বসে! ময়না আমার আছে দাঁড়ে– সারাদিন তারা আউড়ে যাচ্ছে কর্পোরেটের পদাবলি এই যে বাজার, অবাধ মুক্তি, লুটে নাও যার যা ইচ্ছে– একেই তো বলে সত্যিকারের স্বাধীনতা, তবে আর কী চাই! তোমারও রয়েছে স্বাধীনতা, বলো শ্রীরাম, কোথায় কী বিঁধছে! বেদে সব লেখা মেনে নাও ব্যস, ভুলবে ভাবনা ‘খিদে! কী খাই!’ এতদিন ধরে এত ক্লেশ করে তোমাকে দিলাম ভালোবেসে না খেয়ে মরার স্বাধীনতাটুকু, শেষের সেদিন নাও হেসে… |
কবি সব্যসাচী দেব মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৮.৮.২০২২ |
কবি ডালিয়া ডালি কবির ফেসবুক পাতা . . . রচনা ১৫.৮.২০২২ এখানে তোলা হয়েছে ১৮.৮.২০২২ |
কবি ডালিয়া ডালি কবির ফেসবুক পাতা . . . রচনা ১৮.৮.২০২২ এখানে তোলা হয়েছে ১৮.৮.২০২২ |
কবি আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় Asis Banerjee Chhandita . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . রচনা ১৫.৮.২০২২ এখানে তোলা হয়েছে ১৮.৮.২০২২ |
কবি আর্যতীর্থ মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির মূল সংগ্রহ . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৯.৮.২০২২ |
স্পষ্ট কবি আর্যতীর্থ। রচনা ১৯.৮.২০২২। নরেন্দ্র মোদীর মুখ্যমন্ত্রীত্বে সময়ে ঘটে যাওয়া, গুজরাটের ২০০২-এর গণহত্যার কালে, ৫মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বেগম নামে গৃহবধুর পরিবারের সাত জন ও তাঁর ৩ বছরের কন্যাকে নৃসংশভাবে খুন ক'রে, তাঁকে ১১জন মিলে ধর্ষণ করে। তিনি কোনো মতে বেঁচে যান। দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের পরে এই ১১ জনের যাবজ্জীবন সাজা হয়। বর্তমান আইনে এদের ১৪ বছর সাজা কাটার পরে ছাড়া পাবার কথা নয়। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী গুজরাট সরকার পুরানো আইন দেখিয়ে তাঁদের এই ১৫ই অগাস্ট ছেড়ে দেয়। ছাড়া পেয়ে তাদের ফুলের মালা পরিয়ে, মিষ্টি খাইয়ে বরণ করা হয়, যেন যুদ্ধ জিতে এলো! তাই নিয়ে কবি আর্যতীর্থর এই কবিতা . . . যাক বাবা! আবছা ধোঁয়াশা কেটে আগামীর ছবিটা স্পষ্ট এখন। জানা গেলো ধর্ষণ খুন করে পার পাওয়া যায়, জন্মতে হলে ব্রাহ্মণ । কে জানালো? রাষ্ট্র। যার ওপরে আছে নাকি সংবিধান রক্ষার দায়। কে সংবিধান? ওই যে গো, নাগরিক সমান বলে লেখা যার গা’য়। কে নাগরিক? যাদের কাগজ আছে, বোকা ভোঁতা জানোনা নাকি? কী কাগজ? আধার পাসপোর্ট প্যান ভোটার বাদ দিয়ে যা থাকে বাকি.. কী বাকি ? কেন ,ধর্ম! সেটা ঠিক হলে জাত! সেটা উঁচু হলে, ব্রাহ্মণ .. তা যদি হও, তবে সকলই কুশল । শিশুকে থেঁতলে খুন, গর্ভবতীকে করা গণধর্ষণ, সব, সঅঅঅব মাফ! |
জানোয়ার মাষ্টার কবি অমরেশ বিশ্বাস। ইস্কুলে গিয়ে পড়াশুনা চাইনে মা আর করতে ইন্দ্রের মত মার খেয়ে মা চায় বলো কে মরতে। পশুর মত মারল ওকে কি দোষ ছিল ওর মটকার জল খেয়েছিল ছিল না সে চোর। বলে মাষ্টার কেন দিলি তুই মটকায় হাত আমরা উঁচু জাতের মানুষ তোদের ছোট জাত। মারল ঘুষি কিল লাথি চড় চুলের মুঠি ধরে জল যদি খাই আমাকেও মা মারবে অমন করে। মাগো আমার ইস্কুলে যেতে করছে খুবই ভয় ওই মাষ্টার এক জানোয়ার মানুষ মোটেই নয়। |
কবি অমরেশ বিশ্বাস কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৯.৮.২০২২ |
কবি শুভ জোয়ারদার মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . রচনা ২০.৮.২০২২ এখানে তোলা হয়েছে ২০.৮.২০২২ |
স্বাধীনতা দিবস (হবু চন্দ্র বনাম স্বাধীনচন্দ্র) কবি সান্ত্বনা চ্যাটার্জি। যাচ্ছ কোথায় সকাল সকাল হাতে নিয়ে কাঠি! কে রে তুই গন্ডমূর্খ! আজ স্বাধীনতা দিবস জানিসনা কি, আর কাঠি নয় রে এটা পতাকার লাঠি। স্বাধীনতা দিবসে boss বলেছেন হাতে নিয়ে তেরঙ্গা করতে উঠ বস। তোদের হবুচন্দ্র রাজা? তাঁর তো আবার গোবর ভরা মাথা। মারব গাঁট্টা রাজার নামে খারাপ কথা বলিস, শুনতে পেলে লাঠি পিঠে ভাঙবে রে তোর হবু চন্দ্রের পুলিশ। কথা বলিস ফুলিশ রাজার আবার পুলিশ কোথায় তাঁর তো আছে পেয়াদা।আদব কায়দা জানেনা তারা প্রভুর চেনে বাঁধা। আরে গাধা, স্বাধীন হবার পরেও যদি গলায় বাঁধা চেন, স্বাধীন দেশ, স্বাধীন রাজ্য স্বাধীন রাজা কি করে থাকেন। শুনেছিলাম কতো বিপ্লবীর নাম করেছি প্রনাম দিয়েছি সম্মান। এটা কেমন স্বাধীন দেশ মরছে কত গরীব মানুষ খিদের জ্বালায়। |
কবি সান্ত্বনা চ্যাটার্জি মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৯.৮.২০২২ |
কবি আর্যতীর্থ মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির মূল সংগ্রহ . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ২০.৮.২০২২ |
অজ্ঞাতবাস কবি আর্যতীর্থ। রচনা ২০.৮.২০২২। শমীবৃক্ষের ডালে মৃতদেহ বাঁধা আছে। কাছে গেলে গন্ধ ছড়ায়, কেউ জানো ওই শব কার? গণতন্ত্র নাম ছিলো ওর জীবিত-তে, বেচারি পায় নি কোনো দাহ-সংস্কার, কে না জানে তা না হলে লাশে লেপটিয়ে থাকে আগেকার নাম! পচাগলা মাংসের বিশ্রস্ত তন্তু লাগা ওই কংকাল তার, এককালে যাকে দেশে ধ্রুব ভাবতাম। আগলিয়ে যুদ্ধের সব যন্ত্র, সময়ের শমীগাছে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে মৃত গণতন্ত্র। যুধিষ্ঠির অপক্ষ-আইন তাঁর প্রিয় অস্ত্র সংবিধান রেখেছেন বেঁধে ওই গাছে, রাজ্যসভায়, থুড়ি রাজার সভায় তার ইদানিং স্থান, সিংহাসনের বেশ অনেকটা কাছে, বচনের ধাঁচও বদলে ফেলেছেন অনেকটাই, ইদানিং প্রতি বাক্যতে থাকে ‘ইতি গজ’ ধরতাই। রাজার সভাসদ বলে কথা, শিখেছেন কোথায় হুংকার আর কোনখানে স্থায়ী হতে হবে নীরবতা। রাষ্ট্রপ্রহরী ভীমসেন ইদানিং রাজার পাচক। রাজার পছন্দসই ব্যঞ্জন রন্ধন করে যান রোজ, নিশিদিন তাঁরই তো কৃপার যাচক, |
চতুররাজার চাতুরী কবি ডালিয়া ডালি ক্ষুধার্তরা খিদের জ্বালায় খাবার যখন চাইছিল চতুররাজা বসে তখন ধর্মের গান গাইছিল। খাবারের নামে মুখে ওদের ধর্ম দিলো গুঁজে গিলে নিলো ওটাই ওরা বিশ্বাসে চোখ বুজে। ধর্ম গিলে যখন সবাই বদহজমে কাবু চাতুরী তার করলো শুরু চতুররাজাবাবু। ধর্মের দোহাই দিয়ে ওদের কর্ম নিলো কেড়ে শুরু হল ধর্মের লড়াই কর্মের দাবি ছেড়ে। আইন ভেঙে নতুন আইন আনলো চতুররাজা সম্মান পাবে অপরাধী, নিরপরাধ সাজা। মানতে হবে রাজার আদেশ থাকতে হবে চুপ আলোর দেশটা বানাবে সে অন্ধকারের কূপ। প্রতিবাদ করো যদি বন্দি হবে জেলে তুষ্ট হয় দুষ্টুরাজা প্রজার রক্ত পেলে। এমন রাজা রাজত্বে দেশের সর্বনাশ ওষ্ঠাগত প্রজার প্রাণ নৃশংসতার চাষ। |
কবি ডালিয়া ডালি কবির ফেসবুক পাতা . . . রচনা ১৮.৮.২০২২ এখানে তোলা হয়েছে ১৮.৮.২০২২ |
কবি ইন্দ্রাণী মণ্ডল কবির ফেসবুক পাতা . . . রচনা ৩১.৭.২০২২ এখানে তোলা হয়েছে ২১.৮.২০২২ |
कवि गौहर रज़ा कवि का फेसबुक . . . এখানে তোলা হয়েছে ২১.৮.২০২২ |
বুঝিয়ে দিয়েছি কবি রণেশ রায় কবি শঙ্খ ঘোষের কবিতার সৌজন্যে। আমি তো রেখেছি কথা আমার হিসেব করে দিয়েছি দিয়েছি সবার যার যা পাবার বুঝিয়ে দিয়েছি সব কড়ায় গন্ডায় এমন দিয়েছি যেন টু না করে আর যোগ বিয়োগ মিলে গেছে কানায় কানায় মিলে গেছে হিসেব পয়সায় পয়সায়। প্রতিবাদ প্রতিরোধ স্তব্ধ করে দিয়েছি মৃত্যুর শমন জারি করেছি দুয়ারে দুয়ারে বাঁচার আশা মিটিয়ে দিতে পেরেছি। প্রভু যদি তোমার আদেশ আবার ভুল হবে না জেনো মানতে আমার শুধু দেখ দখল যেন পাই গদিটার সেটাই যে মিনতি আমার সেটার জন্যই যে লড়াই বার বার সে যে বাজি আমার হাজার কোটি টাকার সম্রাজ্ঞী হতে চাই আমি যে আবার আমার লুঠের টাকায় কম ভাগ নয় তোমার জেনো অ আ ক খ সেবা দাস আমার জেনো লুঠেরা সব আমার ঠিকাদার। |
কবি রণেশ রায় মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . রচনা ২০.৮.২০২২ এখানে তোলা হয়েছে ২২.৮.২০২২ |
স্বাধীনতা ধর্ষিতা আমার কবি রণেশ রায় স্বাধীনতা ধর্ষিতা আমার হে মহাকাল একবার ঘুরে দেখো কালের অনাচারে মৃত্যু দুয়ারে তোমার দুর্ভিক্ষ হানা দেয় বার বার কালের প্রহরী নিশ্চিন্তে ঘুমায় স্বদেশ আমার লুঠ হয়ে যায়। . |
কবি রণেশ রায় মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . রচনা ১৫.৮.২০২২ এখানে তোলা হয়েছে ২২.৮.২০২২ |
যখন তোমরা স্বাধীনতার কথা বল......! কবি ঋতশ্রী মজুমদার। পাঠে অনুরাধা বিশ্বাস ও অন্যান্যরা। ভিডিওটি ফেসবুকে দেখতে এখানে ক্লিক করুন . . .। |
কবি ঋতশ্রী মজুমদার কবির ফেসবুক . . . এখানে তোলা হয়েছে ২৩.৮.২০২২ |
স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর পর! কবি ঋতশ্রী মজুমদার। পাঠে গুরুদাস সাহা। ভিডিওটি ফেসবুকে দেখতে এখানে ক্লিক করুন . . .। |
কবি ঋতশ্রী মজুমদার কবির ফেসবুক . . . এখানে তোলা হয়েছে ২৩.৮.২০২২ |
শুধু একটু জল খেতে চেয়েছিলাম আমি কবি শরদিন্দু বিশ্বাস। পাঠে রেনুকা সরেন। ভিডিওটি ইয়ুটিউবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন . . .। |
কবি শরদিন্দু বিশ্বাস কবির ফেসবুক . . . এখানে তোলা হয়েছে ২৩.৮.২০২২ |
কবি শুভ জোয়ারদার মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ২৪.৮.২০২২ |
কবি আর্যতীর্থ মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির মূল সংগ্রহ . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ২৮.৮.২০২২ |
কবি সুপ্রীতি বর্মন কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ৩১.৮.২০২২ |
কবি মনিরুল কবির ফেসবুক পাতা . . . রচনা ১৫.৮.২০২২ এখানে তোলা হয়েছে ১৫.৮.২০২২ |
কত দেশবেচা মাল কবি মনিরুল |
কবি মনিরুল কবির ফেসবুক পাতা . . . রচনা ১৫.৮.২০২২ এখানে তোলা হয়েছে ১৫.৮.২০২২ |
তুই ছুঁয়ে দিলে এই জল কবি বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জী রচনা ১৬ই অগাস্ট ২০২২। তুই ছুঁয়ে দিলে এই জল, অনন্ত নরকবাস হবে, তোর না আমার তুই বল। মেরেই দিয়েছি তোকে,এ প্রশ্নের উত্তর কে দেবে? ওখানে এখানে রাজা-রানি নিদ্রাহীন এইসব ভেবে। সে কত বছর আগে স্বাধীনতা এসেছিল জানো, জানার আগেই তুমি মরে গেলে,গেয়েছিলে 'জনগণ' গানও, তিনরঙ পতাকা কি ধরেছিলে ওই কচি হাতে? তোকে প্রাণে মারি,তোর মা-বাবাকে মেরে দেব ভাতে। |
স্বাধীনতা পঞ্চাশ শিল্পী ও কবি সুধীর মৈত্র। বিখ্যাত চিত্রশিল্পী সুধীর মৈত্রর এই ছড়া ও ছবি আমরা পেয়েছি কবির ফেসবুক থেকে এবং তা ঐতিহাসিক কারণেই এখানে তোলা হলো। (ছড়া ছবি ডট কম। ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস। ১৯৯৭।) |
শিল্পী ও কবি সুধীর মৈত্র কবির ফেসবুক পাতা . . . রচনা স্বাধীনতার পঞ্চাশ বর্ষপূর্তিতে ১৯৯৭ এখানে তোলা হয়েছে ১৫.৮.২০২২ |
কসাই শিক্ষক কবি অমরেশ বিশ্বাস। রচনা ১৬.৮.২০২২। ৭৫ বছরের স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে মনুবাদী বর্ণাশ্রমের, জাতপাতে নিমজ্জ সমাজব্যবস্থার মাথা চাড়া দেওয়া, নীচু জাতের নয় বছরের শিশু ইন্দ্র মেঘওয়ালের, তাঁরই স্কুলের হেড-মাস্টার দ্বারা নৃশংস প্রহারে মৃত্যুকে নিয়ে লেখা কবিতা। |
কবি অমরেশ বিশ্বাস কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৭.৮.২০২২ |
कवि देवेन्द्र सुरजन कवि का फेसबुक . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৭.৮.২০২০ |
तुम्हारा नाम इन्द्र कवि देवेन्द्र सुरजन। रचना 17.8.2022। तुम्हारा नाम इन्द्र देवताओं के राजा इन्द्र के नाम पर रखा गया वही इन्द्र जो वर्षा के देवता हैं जो अनावृष्टि के खिलाफ संघर्ष करते आये हैं वही इन्द्र बादल उनकी सेना पानी बरसाना धर्म कुलनाम मेघवाल नाम से ही नहीं कुलनाम से भी बादलों के साथ तुम्हारा रिश्ता बहुत गहरा |
স্বাধীনতা কবি মনামী ঘোষ। রচনা ১৫.৮.২০২২। কমলা রঙের সূর্যের নাম স্বাধীনতা তক্ষশীলা থেকে নালন্দা যুগে যুগান্তরে দূর করেছে অন্ধকার তমসো মা জ্যোতির্গময় স্বাধীনতা একটা সাদা রঙের আকাশ মাথায় ছাদ হয়ে তার গায়ে আগুন দিয়ে লেখা আছে শহীদের নাম স্বাধীনতা মানে শস্য শ্যামল মাঠ অন্নদাতা সবুজ ব্রহ্ম অন্নং ব্রহ্মেতি ব্যাজানাৎ কিম্বা ওই নীল চক্রবাক ইচ্ছেডানায় ওড়ে মুড়ে বসে বাসা বানায় আবার ভাঙে |
কবি মনামী ঘোষ মিলনসাগরে কবির পাতা . . . কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ১৭.৮.২০২২ |
|
এই পাতাটি পাশাপাশি, ডাইনে-বামে স্ক্রল করে! This page scrolls sideways - Left - Right ! |
অশু'চিতা'? কবি পার্থ দাশগুপ্ত। রচনা ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২। গিজতাগিজাং দিগধিনিতা জাতির পিতা ছাড়েন চিতা। পোড়ান কোরআন পড়েন গীতা, রামের নামে পোড়ান সীতা। গলায় লেটেস্ট canon মিতা, বগলে ম- -নুসংহিতা। চিতার খাদ্য হরিণশিশু তাঁহার খাদ্য আল্লাহ যীশু। আমার খাদ্য আলু পেঁয়াজ জোটাতে পা- রি না যে আজ। |
কবি পার্থ দাশগুপ্ত কবির ফেসবুক পাতা . . . এখানে তোলা হয়েছে ২০.৯.২০২২ |
কবি শমীক সোস্যাল মিডিয়া থেকে পাওয়া . . . এখানে তোলা হয়েছে ২২.৯.২০২২ |