৭৫ বছরের স্বাধীনতার
দেয়ালিকা
.
“৭৫ বছরের স্বাধীনতার কবিতার দেয়ালিকা”
৭৫ বছরের স্বাধীনতার প্রেক্ষিতে রচিত কবিতা-গান-ছড়া নিয়ে মিলনসাগরের “৭৫ বছরের স্বাধীনতার দেয়ালিকা” প্রকাশিত হলো ১৪ই অগাস্ট ২০২২ তারিখে। মূলতঃ
হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকে প্রকাশিত ও প্রচারিত কবিতাই এখানে তুলতে সক্ষম হয়েছি। কয়েকটি হিন্দী কবিতাও আমরা এখানে তুলেছি, তাদের প্রাসঙ্গিকতা বিচার করে।
কবিরা লিখেছেন তাঁদের মনের কথা, যেমন যেমন দেশ কে দেখছেন এই সময়ে, তাঁদের নিজেদের অবস্থান থেকে।

৭৫ বছর একটি দেশের পক্ষে নেহাত কম সময় নয়। তিনটি প্রজন্মের সময় ধরা যেতে পারে। ভারতবর্ষ আজ একটি পারমানবিক শক্তিধর দেশ হয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে।
পৃথিবীর অন্যতম ধনকুবেরদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আজ ভারতবাসী। আবার এখনও এদেশে কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করছেন। তাঁদের অবস্থা
এতটাই ভয়াবহ যে অন্যতম মডেল রাজ্যের বড় শহরগুলিতে এয়ারপোর্ট থেকে শহরে যাবার রাস্তার দুধারে, যে হতদরিদ্রদের বসতি রয়েছে, তা সুদৃশ্য কাপড়ে ঢেকে দেওয়া
হয় যাতে বিদেশীরা তা না দেখতে পায়! অর্থাৎ সেখানকার দীর্ঘকালের শাসকরাই তাঁদেরই শাসিত রাজ্যের এই অবস্থার জন্য লজ্জিত বোধ করেন।

এই সময়ের সবচেয়ে যে বিষয়টা বড় হয়ে সবার সামনে উঠে এসেছে, তা হলো এমন একটি রাজনৈতিক দলের শাসনকালে আমাদের দেশ, স্বাধীনতার ৭৫ বছরটি পার করছে,
স্বাধীনতার আন্দোলনে যাঁদের কোনো ভূমিকাই ছিল না শুধু নয়, তাঁদের ভূমিকা স্পষ্টভাবে নেতিবাচক ছিল। তাঁদের নেতৃবৃন্দের লেখা চিঠিপত্র-গ্রন্থাদি পড়লেই বোঝা যায় যে
তাঁদের কাছে সমান অধিকারযুক্ত সর্বধর্ম সম্বলিত স্বাধীন ভারতবর্ষের চেয়ে বিধর্মী মুক্ত দেশ আরও বেশী কাঙ্খিত ছিল। বিদেশী ব্রিটিশদের থেকে দেশী বিধর্মীরাই তাঁদের কাছে
আরও বড় শত্রু ছিল। এমন কি ১৯৪২ এর ভারত ছাড়ো আন্দোলনের তাঁরা বিরোধিতা করেছিলেন। সেই মর্মে তাঁরা ব্রিটিশ সরকারকে পত্র দিয়ে জানিয়েওছিলেন। তাঁরা শুধু
স্বাধীনতারই বিরোধিতা করেন নি, স্বাধীনতার পরে দীর্ঘ কাল তাঁরা জাতীয় পতাকাকে মেনে নিতে চান নি। তাঁদের অফিসগুলিতে দীর্ঘকাল জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন নি।

এখন তাঁরা ক্ষমতায় এসেছেন এবং আগামী ২০২৪ এর নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে “স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব” নাম দিয়ে বাড়ী বাড়ী পতাকা উত্তেলনের নামে জোর করে
আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণীর মানুষকেও পতাকা কিনতে বাধ্য করছেন, কোথাও ভয় দেখিয়ে, কোথাও রেশন বন্ধ করে দেবার হুমকি দিয়ে। সরকারের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে
বিশেষ কোনো প্রতিবাদ শোনা যাচ্ছে না। মৌনতা সম্মতি লক্ষণম!?

দেশের প্রতি প্রেম, জাতীয় পতাকার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা, ভারতবাসীর অন্তরের উপলব্ধি, হৃদয়ের সঞ্চিত ধন! আর্থিক দিক দিয়ে দুর্বল ভারতবাসী যতই দারিদ্রের মধ্যে থাকুন
না কেন তাঁরা কখনই দেশ ত্যাগ করার কথা ভাবেন না। ভারতবর্ষই সম্ভবত এমন দেশ যেখানে কেবল আর্থিক দিক দিয়ে সচ্ছলরাই দেশ ত্যাগ করে বিদেশে পাড়ি জমান উন্নত
জীবনের সন্ধানে! গরীবরা এখানেই দাঁতে দাঁত চেপে ক্ষমতাবানদের যত দুর্নীতি ও অন্যায়ের ধকল সহ্য করে দেশের মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন। বিদেশমুখো হন না।

এতটাই যখন দেশের সাধারণ মানুষের, দেশের প্রতি টান, সেখানে বলপূর্বক ও লোক দেখানো দেশপ্রেমের আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিশেষ করে তাঁরা যখন দেশের
স্বাধীনতার লড়াইয়ের বিরুদ্ধে কাজ করেছিলেন!

প্রার্থনা করি, দেশমাতৃকার সকল সন্তান যেন সমানভাবে উন্নতমানের জীবনের অধিকারী হয় এবং আমাদের ভারত মাতা যেন সত্যই জগতসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লাভ করেন।
এই পাতাটি পাশাপাশি, ডাইনে-বামে স্ক্রল করে!
This page scrolls sideways - Left - Right !
আমার কৈফিয়ৎ কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
কবির "সর্বহারা" গ্রন্থের কবিতা।

বর্তমানের কবি আমি ভাই, ভবিষ্যতের নই ‘নবী’!
কবি ও অকবি যাহা বল মোরে মুখ বুজে তাই সই সবি !
.                কেহ বলে, ‘তুমি ভবিষ্যতে যে
.                ঠাঁই পাবে কবি ভবীর সাথে হে !
যেমন বেরোয় রবির হাতে সে চিরকেলে-বাণী কই কবি?’
দুষিছে সবাই, আমি তবু গাই শুধু প্রভাতের ভৈরবী !

কবি-বন্ধুরা হতাশ হইয়া মোর লেখা প’ড়ে শ্বাস ফেলে !
বলে, ‘কেজো ক্রমে হচ্ছে অকেজো পলিটিক্সের পাঁশ ঠেলে !
.                পড়েনাক’ বই, ব’য়ে গেছে ওটা’
.                কেহ বলে ‘বৌ এ গিলিয়াছে গোটা !’
কেহ বলে, ‘মাটী হ’ল হয়ে মোটা জেলে ব’সে শুধু তাস খেলে !
কেহ বলে, ‘তুই জেলে ছিলি ভালো, ফের যেন তুই যাস্ জেলে।

গুরু ক’ন, ‘তুই করেছিস শুরু তরোয়াল দিয়ে দাড়ি চাঁছা !
প্রতি শনিবারী চিঠিতে প্রেয়সী গালি দেন, ‘তুমি হাঁড়িচাঁচা !’
.                আমি বলি, প্রিয়ে, হাটে ভাঙি হাঁড়ি !
.                অম্ নি বন্ধ চিঠি তাড়াতাড়ি !
সব ছেড়ে দিয়ে করিলাম বিয়ে, হিন্দুরা ক’ন ‘আড়ি চাচা !’
যবন না আমি কাফের ভাবিয়া খুঁজি টিকি দাড়ি নাড়ি কাছা !
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি কাজী নজরুল ইসলাম
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .

এখানে তোলা হয়েছে  ১৫.৮.২০২২
মৌ-লোভী যত মৌলবী আর ‘মোল্--লা’রা কন হাত নেড়ে,
‘দেব-দেবী নাম মুখে আনে, সবে দাও পাজিটার জা’ত মেরে !
.                ফতোয়া দিলাম----কাফের কাজী ও,
.                যদিও শহীদ হইতে রাজী ও !
“আমপারা” পড়া হাম্ বড়া মোরা এখনো বেড়াই ভাত মেরে !’
হিন্দুরা ভাবে, ‘ফার্শী-শব্দে কবিতা লেখে, ও পা’ত নেড়ে!’

আন্ কেরা যত নন্ ভায়োলেন্ট নন্-কো’র দলও নন খুশী !
‘ভায়োলেন্সের ভায়োলিন্’ নাকি আমি বিপ্লবী-মন তুষি !
.                ‘এটা অহিংস’, বিপ্লবী ভাবে,
.                ‘নয় চর্ কার গান কেন গা’বে?’
গোঁড়া-রাম ভাবে নাস্তিক আমি, পাতি-রাম ভাবে কন্ ফুসি !
স্বারাজীরা ভাবে নারাজী, নারাজীরা ভাবে তাহাদের অঙ্কুশি’ !

নর ভাবে, আমি বড় নারী-ঘেঁষা ! নারী ভাবে, নারী বিদ্বেষী !
‘বিলেত ফেরনি ?’ প্রবাসী-বন্ধু ক’ন্,  ‘এই তব বিদ্যে ছি !’
.                ভক্তরা বলে ‘নবযুগ রবি’ !
.                যুগের না হই, হুজুগের কবি
বটি ত রে দাদা, আমি মনে ভাবি, আর ক’শে কশি হৃদ-পেশী !
দু’কানে চশ্ মা আঁটিয়া ঘুমানু, দিব্যি হ’তেছে নিদ্ বেশী !

কি যে লিখি ছাই মাথা ও মুন্ডু, আমিই কি বুঝি তার কিছু?
হাত উঁচু আর হ’ল না ত ভাই, তাই লিখি ক’রে ঘাড় নীচু !
.                বন্ধু ! তোমরা দিলে না ক দাম,
.                রাজ-সরকার রেখেছেন মান !
যাহা কিছু লিখি অমূল্য ব’লে অ-মূল্যে নেন ! আর কিছু
শুনেছ কি, হু হু, ফিরিছে রাজার প্রহরী সদাই কার পিছু?
বন্ধু ! তুমি ত দেখেছ আমায় আমার মনের মন্দিরে,
হাড় কালি হ’ল শাসাতে নারিনু তবু পোড়া মন বন্দীরে !
.                যতবার বাঁধি ছেঁড়ে সে শিকল,
.                মেরে মেরে তাঁরে করিনু বিকল,
তবু যদি কথা শোনে সে পাগল ! মানিল না রবি-গান্ধীরে !
হঠাৎ জাগিয়া বাঘ খুঁজে ফেরে নিশার আঁধারে বন চিরে !

আমি বলি, ওরে কথা শোন্ ক্ষ্যাপা, দিব্যি আছিস খোশ্ হালে?
প্রায় ‘হাফ’ নেতা হ’য়ে উঠেছিস, এবার এ দাঁও ফস্ কালে
.                ‘ফুল’ নেতা আর হবিনে যে হায় !-----
.                বক্তৃতা দিয়া কাঁদিতে সভায়
গুঁড়ায়ে লঙ্কা পকেটেতে বোকা এই বেলা ঢোকা ! সেই তালে
নিস্ তোর ফুটো ঘরটাও ছেয়ে, নয় পস্তাবি শেষকালে !

বোঝে না ক’ যে সে চারণের বেশে ফেরে দেশে দেশে গান গেয়ে,
গান শুনে সবে ভাবে, ভাবনা কি? দিন যাবে এবে পান খেয়ে !
.                রবে না ক’ ম্যালেরিয়া মহামারী,
.                স্বরাজ আসিছে চ’ড়ে জুড়ি-গাড়ী,
চাঁদা চাই, তারা ক্ষুধার অন্ন এনে দেয়, কাঁদে ছেলে-মেয়ে !
মাতা কয়, ওরে চুপ্  হতভাগা, স্বরাজ আসে যে, দেখ্ চেয়ে !

ক্ষুধাতুর শিশু চায়না স্বরাজ, চায় দুটো ভাত একটু নুন !
বেলা ব’য়ে যায়, খায়নি ক বাছা, কচি পেটে তার জ্বলে আগুন !
.                কেঁদে থুটে আসি পাগলের প্রায়,
.                স্বরাজের নেশা কোথা ছুটে যায় !
কেঁদে বলি, ওগো ভগবান, তুমি আজিও আছ কি? কালি ও চুণ
কেন ওঠে না’ক তাহাদের গালে, যারা খায় এই শিশুর খুন?
আমরা ত জানি, স্বরাজ আনিতে পোড়া বার্তাকু এনেছি খাস !
কত শত কোটী ক্ষুধিত শিশুর ক্ষুধা নিঙাড়িয়া কাড়িয়া গ্রাস !
.                এল কোটী টাকা, এল না স্বরাজ !
.                টাকা দিতে নারে ভুখারী সমাজ !
মা’র বুক হ’তে ছেলে কেড়ে খায়, মোরা বলি, বাঘ, খাও হে ঘাস !
হেরিনু, জননী মাগিছে ভিক্ষা ঢেকে রেখে ঘরে ছেলের লাশ !

বন্ধু গো, আর বলিতে পারিনা, বড় বিষ জ্বালা এই বুকে !
দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি, তাই যাহা আসে কই মুখে !
.                রক্ত ঝরাতে পারি না ত একা
.                তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা,
বড় কথা বড় ভাব আসে না ক’ মাথায়, বন্ধু বড় দুখে !
অমর কাব্য তোমরা লিখিও, বন্ধু যাহারা আছ সুখে !

পরোয়া করিনা, বাঁচি বা না-বাঁচি যুগের হুজুগ কেটে গেলে,
মাথার ওপরে জ্বলিছেন রবি, রয়েছে সোনার শত ছেলে !
প্রার্থনা ক’রো-----যারা কেড়ে খায় তেত্রিশ কোটী মুখের গ্রাস,
যেন লেখা হয় আমার রক্ত-লেখায় তাদের সর্বনাশ !

ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
.
স্বাধীনতা তুমি কবি মনামী ঘোষ। রচনা ১৫.৮.২০২২।

স্বাধীনতা তুমি
পতাকা-শোভিত শ্লোগান-মুখর ঝাঁঝালো মিছিল।
স্বাধীনতা তুমি
ফসলের মাঠে কৃষকের হাসি।
স্বাধীনতা তুমি
রোদেলা দুপুরে মধ্যপুকুরে গ্রাম্য মেয়ের অবাধ সাঁতার।
স্বাধীনতা তুমি
মজুর যুবার রোদে ঝলসিত দক্ষ বাহুর গ্রন্থিল পেশী।
স্বাধীনতা তুমি
অন্ধকারের খাঁ খাঁ সীমান্তে মুক্তিসেনার চোখের ঝিলিক।
স্বাধীনতা তুমি
বটের ছায়ায় তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীর
শানিত কথার ঝলসানি-লাগা সতেজ ভাষণ।
স্বাধীনতা তুমি
চা-খানায় আর মাঠে-ময়দানে ঝোড়ো সংলাপ।
স্বাধীনতা তুমি
কালবোশেখীর দিগন্তজোড়া মত্ত ঝাপটা।
স্বাধীনতা তুমি
শ্রাবণে অকূল মেঘনার বুক
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি মনামী ঘোষ
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .
কবির ফেসবুক পাতা . . .

এখানে তোলা হয়েছে  ১৭.৮.২০২২
.
সার্থক জনম কবি শুভ দাশগুপ্ত।

যে ছেলেটা চায়ের দোকানের এঁটো কাপ ধুচ্ছে রাস্তার ধারে, তাকে ডাকুন ।
তার কানে কানে বলুন সুজলাং সুফলাং মলয়জ শীতলাং
হ্যাঁ, বেশ সুন্দর করে বলুন,যে মেয়েটা চাকরির নাম করে
বনগাঁ কিংবা চাকদা থেকে রোজ সকালের ট্রেনে সেজেগুজে
শহরে আসছে, শরীর বেচে চাল, ডাল, নুন কিনতে, তাকে ডাকুন,
তার কানে কানে সুরেলা কন্ঠে বলুন, সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে
যে ছেলেটি লটারির টিকিট নিয়ে দরজায় দরজায় ঘুরছে আর বলছে
বিশ্বাস করুন, আমি ভদ্রলোক, আজ ১০ বছর হল আমার
কারখানা বন্ধ, লক-আউট, তাকে ডাকুন, তার কানে কানে
বলুন, বল বল বল সবে শতবীণা বেণুরবে ভারত আবার
জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে ।
রাতের আকাশ-কাঁপিয়ে অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামলে, যে মা
আজও লন্ঠন হাতে টালির ঘরের দরজায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন
তাঁর খোকন ফিরে আসবে বলে । যে খোকনকে এমনই
এক বর্ষায় উন্মত্ত রাতে কালো গাড়ির পুলিশ ডেকে নিয়ে গিয়েছিল
আর বরানগরের রাস্তায় ভোরের ঘুম-ভাঙা
কুকুর প্রথম দেখেছিল যার গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত লাশ,
সেই মাকে ডাকুন, তাঁর কানে কানে বলুন,
হাম বুলবুলি হ্যায় ইসকি ইয়ে গুলিস্তা হামারা, সারে যাঁহা......হামারা ।
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি শুভ দাশগুপ্ত
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .

কবিতাটি আমরা পেয়েছি প্রখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিল্পী শ্রীমতী সুমিত্রা চট্টোপাধ্যায়ের ফেসবুক থেকে
মিলনসাগরে তাঁর সঙ্গীতের পাতা . . .
সুমিত্রা চট্টোপাধ্যায়ের ফেসবুক পাতা . . .

এখানে তোলা হয়েছে  ১৭.৮.২০২২
সবাইকে সব বলা শেষ হলে, সুনসান শীতের রাতে
পাঁচমাথার মোড়ে ঘোড়ায় চড়ে বসা সেই মহাবিপ্লবীর
পায়ের সামনে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান
ফাঁকা রাস্তায় রাতের বাতাসে কান পাতুন
শুনতে পাবেন সেই বিপ্লবী পুরুষের বজ্রকণ্ঠ
আমি তোমাদের কাছে রক্ত চেয়েছিলাম
তোমাদের স্বাধীনতা এনে দেব বলে, আমি পারিনি
কিন্তু আমি আমার সমস্ত জীবন উৎসর্গ করেছি ।
আর তোমরা ? --- তোমরা

ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি শুভ জোয়ারদার
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .
কবির ফেসবুক পাতা . . .

রচনা ১৮.৮.২০২২
এখানে তোলা হয়েছে  ১৮.৮.২০২২
.
স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব কবি অমরেশ বিশ্বাস।   

আজ চারিদিকে তেরঙ্গায় ছেয়ে গেছে
তেরঙ্গা উড়ছে সরকারি নির্দেশে
এসেছে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব
স্বাধীনতা আজ অনাচারে গেছে ভেসে।

সব কাঙালের মনে বড় অভিলাষ
তারাও স্বাধীনতার নাগাল পায়
স্বাধীনতা খুঁজে খুঁজে তারা হয়রান
দেখে ছেয়ে আছে শুধু কিছু তেরঙ্গায়।

শিক্ষিত যুবক তেরঙ্গা উড়িয়ে ঘোরে
বেকার তকমা জুড়েছে সঙ্গে তার
সংসার তার চলবে কেমন করে
চাকরি নয় সে চায় শুধু রোজগার।

স্বাধীনতা তুমি কারো বা কুক্ষিগত
জানি এতে নেই তোমার কোনই দোষ
যে বেচারীরা আজও পায়নি তোমার স্বাদ
তারা শুধু করে দিনরাত আফসোস।

ওদের বুকে ক্ষোভ জমছে নিরন্তর
জানবে সে ক্ষোভ জমছে লাভার মত
ফেটে পড়বে সে আগ্নেয়গিরি হয়ে
এইভাবে ক্ষোভ জমে যদি ক্রমাগত।
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি অমরেশ বিশ্বাস
কবির ফেসবুক পাতা . . .

এখানে তোলা হয়েছে  ১৮.৮.২০২২
কত শহীদের বলিদানে অর্জিত
স্বাধীনতা তুমি বড় আদরের ধন
লড়েছে হিন্দু মুসলমান একসাথে
তবেই ব্রিটিশ করেছিল পলায়ন।

ভেদাভেদ আজও ঘোচেনি এদেশ থেকে
রয়ে গেছে কিছু ব্রিটিশের অনুচর?
গাইলেও ওরা ভারতের জয়গান
জঘন্য ওরা অতি শঠ বর্বর।

ওরা লুঠ করে ভগ্নীর সম্মান
ধর্ষণ করে ওরা উল্লাস করে
ওরা কুলাঙ্গার সন্তান ভারতীর
স্বাধীনতা, তুমি লজ্জায় যাও মরে।

মৃত ভাই নিয়ে বসে থাকে সহোদর
স্ত্রীর শব স্বামী সাইকেলে ঠেলে
অন্যায়ের প্রতিবাদ করে কত নির্দোষ
না পেয়ে বিচার তিলে তিলে মরে জেলে।

একথাও তুমি জেনে গেছ ইতিমধ্যে
ন বছরের বালক ইন্দ্র মেঘওয়াল
তোমাকে অনুভব করতে পারার আগেই
এক নরপিশাচ শেষ করে দিল তার ইহকাল।
রাজস্থানের জালোর জেলার নিবাসী
সরস্বতী বিদ্যামন্দিরের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র
সেও ভেবেছিল যোগ দেবে
স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে।  

সে জানত না স্বাধীনতা কত বীভৎস হতে পারে
শিক্ষকের মটকা থেকে জল খাওয়ার অপরাধে
মারতে মারতে মেরেই ফেলল তাকে
জাতের বড়াই করা উঁচুজাতের শিক্ষক
তার অপরাধ সে ছোটজাতের ছেলে।

স্বাধীনতা তোমার অমৃত মহোৎসব
লাগতে দেব না কুৎসা তোমার গায়
কি মহিমা তোমার আমরা সবাই জানি
তোমার প্রতি হতে দেব না আর কোন অন্যায়।

ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
कवि शेफ़ाली शर्मा
कवि का फेसबुक . . .    

এখানে তোলা হয়েছে  ১৮.৮.২০২০
बच्चों के न रहने पर माँ भी कहाँ रहती है कवि शेफ़ाली शर्मा, छिन्दवाड़ा।
रचना 18.8.2022।

बच्चों के न रहने पर माँ भी कहाँ रहती है
पिचहत्तर साल की आज़ादी
नौ साल के तुम
देखो इंद्र
कितना बड़ा देश
कितनी बड़ी आज़ादी
और कितने छोटे तुम
कितने आराम से सो रहे हो आज
माॅं ने जगाया नहीं
होती तो जगाती
बच्चों के न रहने पर माँ भी कहाँ रहती है
तुम कह सकते इस पंद्रह अगस्त तो ज़ोर से कहते
"भारत माता की जय"
लेकिन अब
तुम एक निशान हो
तिरंगे के बीचों बीच सफेद पट्टी पर
छोटे ही सही लेकिन दिखाई देने लायक
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
अकेले नहीं हो
और भी हैं
जिन्हें मार दिया गया
कभी नाम की वजह से
कभी काम की वजह से
कभी इसलिए कि विचार अलग हैं
और कभी बिना किसी वजह के
जब रहीम की हत्या का विरोध नहीं होता
तो रमुआ और रामचंद्र की हत्या
निश्चित हो जाती है
और इन हत्याओं के निशान
उभर आते हैं
तिरंगे के बीचों बीच सफेद पट्टी पर।
.
পঁচাত্তরতম স্বাধীনতা দিবস কবি সব্যসাচী দেব। রচনা ১৫ই অগাস্ট ২০২২।

পঁচাত্তর বছর আগে এইরকম মধ্যরাতে নিশান বদল হয়েছিল। তারপর ভারতের কম্যুনিস্ট
পার্টি আওয়াজ তুলেছিলেন--
ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যায়
দেশকা জনতা ভুখা হ্যায়
অমনি রে রে করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল কম্যুনিস্ট বিরোধীরা। শ্লোগানের দ্বিতীয় লাইনটা চেপে
দিয়ে প্রথম লাইনটা নিয়ে তারা আক্রমণ শানিয়েছিল কম্যুনিস্টদের বিরুদ্ধে। পঁচাত্তর বছর পরে
কি মনে হয় সেদিনের শ্লোগানে কোনো ভুল ছিল?

স্বাধীনতা খুব মজার বস্তু, খুব রংচঙে, বাদ্যিভরা।
বয়সও মাত্র সাতদশপাঁচ, ভরাযৌবনে জুলুস কত ;
সকাল থেকেই গানবাজনায় আমাদের এই বসুন্ধরা–
মহব্বতের পাত্র বদল, আজকে কেবল স্বদেশব্রত।
তোমার স্বদেশ আমার স্বদেশ? স্বদেশ স্বদেশ করিস কারে?
তোদের স্বদেশ হাটে বেচে আজ দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলি ;
দিল্লির পথে কিষানেরা বসে! ময়না আমার আছে দাঁড়ে–
সারাদিন তারা আউড়ে যাচ্ছে কর্পোরেটের পদাবলি
এই যে বাজার, অবাধ মুক্তি, লুটে নাও যার যা ইচ্ছে–
একেই তো বলে সত্যিকারের স্বাধীনতা, তবে আর কী চাই!
তোমারও রয়েছে স্বাধীনতা, বলো শ্রীরাম, কোথায় কী বিঁধছে!
বেদে সব লেখা মেনে নাও ব্যস, ভুলবে ভাবনা ‘খিদে! কী খাই!’
এতদিন ধরে এত ক্লেশ করে তোমাকে দিলাম ভালোবেসে
না খেয়ে মরার স্বাধীনতাটুকু, শেষের সেদিন নাও হেসে…
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি সব্যসাচী দেব
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .
কবির ফেসবুক পাতা . . .

এখানে তোলা হয়েছে  ১৮.৮.২০২২
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি ডালিয়া ডালি
কবির ফেসবুক পাতা . . .

রচনা ১৫.৮.২০২২
এখানে তোলা হয়েছে  ১৮.৮.২০২২
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি ডালিয়া ডালি
কবির ফেসবুক পাতা . . .

রচনা ১৮.৮.২০২২
এখানে তোলা হয়েছে  ১৮.৮.২০২২
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়
Asis Banerjee Chhandita . . .
কবির ফেসবুক পাতা . . .

রচনা ১৫.৮.২০২২
এখানে তোলা হয়েছে  ১৮.৮.২০২২
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>  
কবি আর্যতীর্থ
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .
কবির মূল সংগ্রহ . . .
কবির ফেসবুক পাতা . . .

এখানে তোলা হয়েছে  ১৯.৮.২০২২
স্পষ্ট কবি আর্যতীর্থ। রচনা ১৯.৮.২০২২।
নরেন্দ্র মোদীর মুখ্যমন্ত্রীত্বে সময়ে ঘটে যাওয়া, গুজরাটের ২০০২-এর গণহত্যার কালে, ৫মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বেগম নামে গৃহবধুর পরিবারের সাত জন ও তাঁর ৩ বছরের কন্যাকে নৃসংশভাবে খুন ক'রে, তাঁকে ১১জন
মিলে ধর্ষণ করে। তিনি কোনো মতে বেঁচে যান। দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের পরে এই ১১ জনের যাবজ্জীবন সাজা হয়। বর্তমান আইনে এদের ১৪ বছর সাজা কাটার পরে ছাড়া পাবার কথা নয়। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী গুজরাট সরকার
পুরানো আইন দেখিয়ে তাঁদের এই ১৫ই অগাস্ট ছেড়ে দেয়। ছাড়া পেয়ে তাদের ফুলের মালা পরিয়ে, মিষ্টি খাইয়ে বরণ করা হয়, যেন যুদ্ধ জিতে এলো! তাই নিয়ে কবি আর্যতীর্থর এই কবিতা . . .

যাক বাবা!
আবছা ধোঁয়াশা কেটে আগামীর ছবিটা স্পষ্ট এখন।
জানা গেলো ধর্ষণ খুন করে পার পাওয়া যায়,
জন্মতে হলে ব্রাহ্মণ ।
কে জানালো?
রাষ্ট্র।
যার ওপরে আছে নাকি সংবিধান রক্ষার দায়।
কে সংবিধান?
ওই যে গো, নাগরিক সমান বলে লেখা যার গা’য়।
কে নাগরিক?
যাদের কাগজ আছে, বোকা ভোঁতা জানোনা নাকি?
কী কাগজ?
আধার পাসপোর্ট প্যান ভোটার বাদ দিয়ে যা থাকে বাকি..
কী বাকি ?
কেন ,ধর্ম!
সেটা ঠিক হলে জাত!
সেটা উঁচু হলে, ব্রাহ্মণ ..
তা যদি হও, তবে সকলই কুশল ।
শিশুকে থেঁতলে  খুন, গর্ভবতীকে করা গণধর্ষণ,
সব, সঅঅঅব মাফ!
.
কে না জানে উপবীতে ফ্রীতে দেয় শুভ সংস্কার,
কাজেই সাতটা খুন করা যায় মাফ ।
আইনকে সাফ করে রাষ্ট্র ধনুকে তার দেয় টংকার!
বিলকিস ইসলামি।
তার ওপরে মহিলাও।
এর থেকে ছোটোজাত নেই পৃথিবীতে,
কে বলে গ্রহান্তরে উড়ছে মানুষ,
কে বলে সভ্যতা আজ সবার উঁচুতে,
চেয়ে দেখো চারদিকে,
কত না প্রচেষ্টা জারি সে নারীকে নিয়ে যেতে আলো-বিপরীতে,
কোথাও শিক্ষা তার ছিনাবে হিজাবে ,
কোথাও তালাকে তার অসম লড়াই,
মোটমাট এই গ্রহে সে আপাংক্তেয় ।
আঁধারের অন্দরে থিতু তার ঠাঁই।
রাষ্ট্র জানেন সেটা,  
ধর্ষক মুক্তিতে তার পাশে কেউ দাঁড়াবে না।
না ধর্ম, না পুরুষ, না কোনো এন জি ও।
তা ছাড়া কে না জানে,
শিশুর নৃশংস খুন অথবা গর্ভিণী-ধর্ষণ তুচ্ছ ব্যাপার।
ব্রাহ্মণ সদা বরণীয়।
মুক্তির পরে ওরা খেয়েছে মেঠাই।
মালা পরে ঘরে গেছে বিজয়ীর মতো।
আহা এমন রেহাই দেশে হয়নি দ্বিতীয়।
তা হোক তা হোক।
অন্তত বুঝে যাবে ভারতীয় নারী,
আব্রু বাঁচাতে তার কী কী করনীয়।
দুহাজার বাইশের  পনেরো আগস্ট।
ভিন্ন কারণে হলো দিন স্মরণীয়।

ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
.
জানোয়ার মাষ্টার কবি অমরেশ বিশ্বাস।   
ইস্কুলে গিয়ে পড়াশুনা
চাইনে মা আর করতে
ইন্দ্রের মত মার খেয়ে মা
চায় বলো কে মরতে।

পশুর মত মারল ওকে
কি দোষ ছিল ওর
মটকার জল খেয়েছিল
ছিল না সে চোর।

বলে মাষ্টার কেন দিলি
তুই মটকায় হাত
আমরা উঁচু জাতের মানুষ
তোদের ছোট জাত।

মারল ঘুষি কিল লাথি চড়
চুলের মুঠি ধরে
জল যদি খাই আমাকেও মা
মারবে অমন করে।

মাগো আমার ইস্কুলে যেতে
করছে খুবই ভয়
ওই মাষ্টার এক জানোয়ার
মানুষ মোটেই নয়।
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি অমরেশ বিশ্বাস
কবির ফেসবুক পাতা . . .

এখানে তোলা হয়েছে  ১৯.৮.২০২২
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি শুভ জোয়ারদার
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .
কবির ফেসবুক পাতা . . .

রচনা ২০.৮.২০২২
এখানে তোলা হয়েছে  ২০.৮.২০২২
.
স্বাধীনতা দিবস
(হবু চন্দ্র বনাম স্বাধীনচন্দ্র) কবি সান্ত্বনা চ্যাটার্জি।   

যাচ্ছ কোথায় সকাল সকাল  হাতে নিয়ে কাঠি!
কে রে তুই গন্ডমূর্খ!
আজ স্বাধীনতা দিবস জানিসনা কি,
আর কাঠি নয় রে   এটা পতাকার লাঠি।
স্বাধীনতা দিবসে
boss বলেছেন
হাতে নিয়ে তেরঙ্গা করতে উঠ বস।
তোদের  হবুচন্দ্র রাজা?
তাঁর তো আবার গোবর ভরা মাথা।
মারব গাঁট্টা রাজার নামে খারাপ কথা বলিস,
শুনতে পেলে লাঠি পিঠে ভাঙবে রে  তোর
হবু চন্দ্রের পুলিশ।
কথা বলিস ফুলিশ রাজার আবার পুলিশ কোথায়
তাঁর তো আছে পেয়াদা।আদব কায়দা জানেনা তারা
প্রভুর চেনে বাঁধা।
আরে গাধা, স্বাধীন হবার পরেও যদি
গলায় বাঁধা চেন, স্বাধীন দেশ, স্বাধীন রাজ্য
স্বাধীন রাজা  কি করে থাকেন।
শুনেছিলাম কতো বিপ্লবীর নাম
করেছি প্রনাম দিয়েছি সম্মান।
এটা কেমন স্বাধীন দেশ
মরছে কত গরীব মানুষ খিদের জ্বালায়।
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি সান্ত্বনা চ্যাটার্জি
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .
কবির ফেসবুক পাতা . . .

এখানে তোলা হয়েছে  ১৯.৮.২০২২
বড় বড় ইমারতে আকাশ ঢাকা,
মালিকরা কেড়ে নিয়ে প্রজার টাকা
যাচ্ছে বিদেশ।
দিন দরীদ্র পায়না খেতে
মাথার উপর ছাদ পায়না শুতে।
আপন বৌ বোনেদের সম্মান কেড়ে নেয় রোজ প্রকাশ্য রাস্তায়।
কেউ করে না সাহায্য, বাডায় না হাত
প্রাণের ভয়ে
তারা অসহায় নিরুপায়॥
দেশের পতাকা মাথায় রাখি জন্মভূমি মা।
এ দেশ সে দেশ নয়॥
যে দেশে আইন কানুন মনুষ্যত্ব টাকায় বিলায়-
সেটা কেমন করে স্বাধীন দেশ হয়॥
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>  
কবি আর্যতীর্থ
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .
কবির মূল সংগ্রহ . . .
কবির ফেসবুক পাতা . . .

এখানে তোলা হয়েছে  ২০.৮.২০২২
অজ্ঞাতবাস কবি আর্যতীর্থ। রচনা ২০.৮.২০২২।

শমীবৃক্ষের ডালে মৃতদেহ বাঁধা আছে।
কাছে গেলে গন্ধ ছড়ায়, কেউ জানো ওই শব কার?
গণতন্ত্র নাম ছিলো ওর জীবিত-তে,
বেচারি পায় নি কোনো দাহ-সংস্কার,
কে না জানে তা না হলে
লাশে লেপটিয়ে থাকে আগেকার নাম!
পচাগলা মাংসের বিশ্রস্ত তন্তু লাগা ওই কংকাল তার,
এককালে যাকে দেশে ধ্রুব ভাবতাম।
আগলিয়ে যুদ্ধের সব যন্ত্র,
সময়ের শমীগাছে দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে মৃত গণতন্ত্র।
যুধিষ্ঠির অপক্ষ-আইন তাঁর প্রিয় অস্ত্র
সংবিধান রেখেছেন বেঁধে ওই গাছে,
রাজ্যসভায়, থুড়ি রাজার সভায় তার ইদানিং স্থান,
সিংহাসনের বেশ অনেকটা কাছে,
বচনের ধাঁচও বদলে ফেলেছেন অনেকটাই,
ইদানিং প্রতি বাক্যতে থাকে ‘ইতি গজ’ ধরতাই।
রাজার সভাসদ বলে কথা,
শিখেছেন কোথায় হুংকার
আর কোনখানে  স্থায়ী হতে  হবে নীরবতা।
রাষ্ট্রপ্রহরী ভীমসেন ইদানিং রাজার পাচক।
রাজার পছন্দসই ব্যঞ্জন রন্ধন করে  যান রোজ,
নিশিদিন তাঁরই তো কৃপার যাচক,
.
শমীগাছে বাঁধা আছে অনুসন্ধিৎসু অকুতোভয় মস্তিষ্কটি,
কীচকের সাথে বেঁধে অ-মহাভারতীয় জুটি,
বিরোধীর সাজানো বাগান তছনছ করে দিয়ে ছিনান আনাজ,
পরের ভোটের ভোজে মেনুতে থাকতে পারে যেই তরকারি।
খুশি হলে খুশি করে দেন মহারাজ,
সেরকমই শোনা যায় কথা লোকমুখে।
পাচকের কাজ করে ভীমও মহাসুখে।
অর্জুন নির্বাচন-প্রক্রিয়া
না-পুরুষ-না-নারী সেজে তাথৈ তাথৈ করে যান নাচ,
তার অস্ত্র অপক্ষপাত,
এখন যেটার ঠাঁই পচাগলা লাশ বাঁধা সেই শমীগাছ,
ঝাড়া হাত পা হয়ে
চোখ বুজে ফাল্গুন গান গা’ন গা মা পা ধা নি..
ভোটের আগে যত মাগনার বাঁটোয়ারা,
সবার সমক্ষে করা কড়া মাস্তানি,
সবই এড়িয়ে যান সচেতনভাবে।
কোনো এককালে, গাণ্ডীবধন্বার নাম ছিলো টি এন শেষন,
শমীতে পচছে তার যাবতীয় স্মৃতি।
বৃহন্নলার কুশলী কলায় প্রতি ভোট বনে যায়
তাকাধেই নাচের সেশন,
জনগণ হাততালি দিয়ে ওঠে তাতে..
যেরকম তালি বাজে গালি দেওয়া হিজড়ের হাতে।
ঘোড়া বেচাকেনা ভারী ভালো ব্যবসা,  
গ্রন্থিক সংসদ-সঞ্চালক বুঝেছেন বেশ,
তিনি তাঁর হুইপটি তুলে রেখে  শমীগাছে।
প্রতীক বদল হওয়া আজ অভ্যেস,
কে কোথায় ভোটে জেতে কোন সে প্রতীকে,
পরের ভোটের আগে নোটের তাড়ায় হেলে যায় কোনদিকে,
এসব হিসেব বড় জটিল গণিতে,
যিনি আজ মহা-বাধা রাজ-বিপরীতে,
কালই হয়তো তিনি বিশ্বাসী রাজার সেবক,
নকুল গেছেন বুঝে এ কলি’র ভারতের ছক,
দলাইমলাই করে রোজ চকচকে হয় ঘোড়াদের গা,
কাল তাকে কিনবে কে,
আজের প্রতীকে সেটা বোঝা যায় না।
সহদেব তন্ত্রীপাল, সহজেই গো-পাল চড়ান।
তার হাতে মিডিয়া এখন,
কে না জানে খবর জাবর কাটে যত জনগণ।
শমীগাছে তোলা আছে তাঁর অস্ত্র নিরপেক্ষতা,
রাজাটি যেমন কন, তেমন খবর সাজে,
দিকে দিকে রটি যায় সেসব বারতা..
যাকে তিনি হ্যাটা দেন,
হ্যাট হ্যাট করে গরু তাড়ান সেদিকে,
গোশালা কাঁপতে থাকে হাম্বা হাম্বা রবে।  
অপক্ষ স্বর ক্রমে হয়ে আসে ফিকে..
সৈরিন্ধ্রী কই এখানে?
ওই তো তোলেন সেলফি,
রূপটানে খুব খুশী আজকের যুবক-যুবতী,
দুঃশাসন জাতপাত-বিভাজন
শিক্ষার আব্রু কেড়ে নিয়েছে কবেই.
এখন গিয়েছে সয়ে ক্ষতি,
যোগ্যতা মানে আজ কোন প্রতীকের হয়ে কে মিছিল যায়,
অযোগ্য শিরে হলে যেমনটি হয়,
মোটামুটি রুটিনেই সেই অন্যায়।
এখন কীচক পার পেয়ে যায় ধর্ষণে,
কারণ সে রাজারই যে শালা,
কীচকবধের কথা মুখেও আনে না লোকে,
দেশে রোজ হাউসফুল  বস্ত্রহরণের পালা।
অজ্ঞাতবাস জারি অনির্দিষ্টকাল।
পরের পর্বে আর যাবে না সময়।
আগামীর দরজাতে ইয়া বড় তালা।
কোথাও কৃষ্ণ নেই।
কে বলবে অর্জুন, ওঠা গাণ্ডীব,
ন্যায়ের পক্ষ নিয়ে তোর বাণ চালা?

ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
.
চতুররাজার চাতুরী
কবি ডালিয়া ডালি

ক্ষুধার্তরা খিদের জ্বালায় খাবার যখন চাইছিল
চতুররাজা বসে তখন ধর্মের গান গাইছিল।
খাবারের নামে মুখে ওদের ধর্ম দিলো গুঁজে
গিলে নিলো ওটাই ওরা বিশ্বাসে চোখ বুজে।
ধর্ম গিলে যখন সবাই বদহজমে কাবু
চাতুরী তার করলো শুরু চতুররাজাবাবু।
ধর্মের দোহাই দিয়ে ওদের কর্ম নিলো কেড়ে
শুরু হল ধর্মের লড়াই কর্মের দাবি ছেড়ে।
আইন ভেঙে নতুন আইন আনলো চতুররাজা
সম্মান পাবে অপরাধী, নিরপরাধ সাজা।
মানতে হবে রাজার আদেশ থাকতে হবে চুপ
আলোর দেশটা বানাবে সে অন্ধকারের কূপ।
প্রতিবাদ করো যদি  বন্দি হবে জেলে
তুষ্ট হয় দুষ্টুরাজা প্রজার রক্ত পেলে।
এমন রাজা রাজত্বে দেশের সর্বনাশ
ওষ্ঠাগত প্রজার প্রাণ নৃশংসতার চাষ।
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি ডালিয়া ডালি
কবির ফেসবুক পাতা . . .

রচনা ১৮.৮.২০২২
এখানে তোলা হয়েছে  ১৮.৮.২০২২
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি ইন্দ্রাণী মণ্ডল
কবির ফেসবুক পাতা . . .

রচনা ৩১.৭.২০২২
এখানে তোলা হয়েছে  ২১.৮.২০২২
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
कवि गौहर रज़ा
कवि का फेसबुक . . .

এখানে তোলা হয়েছে  ২১.৮.২০২২
.
বুঝিয়ে দিয়েছি কবি রণেশ রায়
কবি শঙ্খ ঘোষের কবিতার সৌজন্যে।

আমি তো রেখেছি  কথা আমার
হিসেব করে দিয়েছি
দিয়েছি সবার যার যা পাবার
বুঝিয়ে দিয়েছি সব কড়ায় গন্ডায়
এমন দিয়েছি যেন টু না করে আর
যোগ বিয়োগ মিলে গেছে কানায় কানায়
মিলে গেছে হিসেব পয়সায় পয়সায়।
প্রতিবাদ প্রতিরোধ স্তব্ধ করে দিয়েছি
মৃত্যুর শমন জারি করেছি দুয়ারে দুয়ারে
বাঁচার আশা মিটিয়ে দিতে পেরেছি।

প্রভু যদি তোমার আদেশ আবার
ভুল হবে না জেনো মানতে আমার
শুধু দেখ দখল যেন পাই গদিটার
সেটাই যে মিনতি আমার
সেটার জন্যই যে লড়াই বার বার
সে যে বাজি আমার হাজার কোটি টাকার
সম্রাজ্ঞী হতে চাই আমি যে আবার
আমার লুঠের টাকায় কম ভাগ নয় তোমার
জেনো অ আ ক খ সেবা দাস আমার
জেনো লুঠেরা সব আমার ঠিকাদার।
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি রণেশ রায়
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .
কবির ফেসবুক পাতা . . .

রচনা ২০.৮.২০২২
এখানে তোলা হয়েছে  ২২.৮.২০২২
.
স্বাধীনতা ধর্ষিতা আমার
কবি রণেশ রায়

স্বাধীনতা ধর্ষিতা আমার
হে মহাকাল একবার ঘুরে দেখো
কালের অনাচারে মৃত্যু দুয়ারে তোমার
দুর্ভিক্ষ হানা দেয় বার বার
কালের প্রহরী নিশ্চিন্তে ঘুমায়
স্বদেশ আমার লুঠ হয়ে যায়।




.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি রণেশ রায়
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .
কবির ফেসবুক পাতা . . .

রচনা ১৫.৮.২০২২
এখানে তোলা হয়েছে  ২২.৮.২০২২
যখন তোমরা স্বাধীনতার কথা বল......! কবি ঋতশ্রী মজুমদার। পাঠে অনুরাধা বিশ্বাস ও অন্যান্যরা। ভিডিওটি ফেসবুকে দেখতে এখানে ক্লিক করুন . . .
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি ঋতশ্রী মজুমদার
কবির ফেসবুক . . .

এখানে তোলা হয়েছে  ২৩.৮.২০২২
স্বাধীনতা দিবসে মুখরিত হবে পাড়া
কুচকাওয়াজ চলবে ময়দানে,
আকাশ বাতাস শিহরিত হবে ভাষণে -
শৃঙ্খলাবিষ্ট যন্ত্রণাময় একটা মানচিত্র ঢাকা পড়ে যাবে
জয়োল্লাসের নামে স্রেফ চোখধাঁধানো প্রহসনের আড়ালে।
দেশপ্রেম এখন "ও মাই মেরে,কেয়া ফিকর তুঝে?
কিউন আখসে দরিয়া বহেতা হ্যায়?তু ক্যাহতি থি
তেরা চাঁদ হু ম্যাইন ওউর চাঁদ হামেসা র‍্যহতা
হ্যায়......" এই গানের সাথে ফোঁটা দুয়েক চোখের জল-
যা একবার গড়িয়ে গেলেই আবেগের দফারফা!
আমরা যে সবাই গা বাঁচানোর খেলায় মেতেছি গো!
তাই আগামীতেও কৃষক খাবে ফলিডল।
হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়বে নতুন ব্রিজ।
ধূসর থেকে ক্রমাগত আরো ধূসর হবে আমার দেশ।
উত্তরাখণ্ডের শিকড় নেওয়া হবে উপড়ে।
নেটফ্লিকসে রিলিজ করবে "কেদারনাথ 2"।
দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শর্ট ভিডিও বানাবে-"তেরি মিট্টিমে
মিল যাওয়া গুল বনকে ম্যায় খিল যাবা, ইতনি সি হ্যায়
দিলকি আরজু"
কয়লা খাদানে চলবে ষড়যন্ত্র।
ভোরের বেলায় শস্যখেতে, টানেলের ভিতর কিংবা প্রকাশ্য
রাজপথে মিলবে কোন সদ্য যুবতী, প্রৌঢ়া বা শিশুর নিথর
শরীর।
তবুও হয়তো একদিন স্বাধীনতা আসবে-
ভোরের পাখি ঠোঁটে করে আনবে নতুন আলো-
সবুজ বনানীর কোল ঘেঁষে উঠবে কমলা সূর্য।
হীরক খণ্ডের মত ঝিকমিক করে উঠবে সত্যের সাদা রং!
বিশুদ্ধ জলের দর্পণে টলমল করবে আমাদের জাতীয় পতাকা।
স্বাধীনতা একদিন আসবেই-
সেদিন আমিও তোমাদের গলায় গলা মিলিয়ে গাইবো--" জন
গণ মন অধি নায়ক জয় হে, ভারত ভাগ্যবিধাতা....................
জয় হে জয় হে, জয় জয় জয় জয় হে"।
#ঋতশ্রীর_কবিতারা©   
২০.০৭.২০২১
আমায় যখন স্বাধীনতার কথা বল, তেরঙ্গার গল্প শোনাও-
যখন মাস্টারদা সূর্যসেন, বিনয়, বাদল, দীনেশ, ক্ষুদিরাম কিংবা
শত বিপ্লবীর দেশপ্রেমের ইতিহাস আউরে তোমরা আমার
চিন্তনে এঁকে দিতে চাও ভারতের মানচিত্র-
আমার মননে রেখে দিতে চাও 'বন্দে মাতরম্'.....
ঠিক তখনই আমি কি দেখতে পাই জানো?
আমি দেখতে পাই স্বাধীন দেশে আত্মঘাতী এক কৃষকের
পরিবার!
শুনতে পাই চাকরি না পেয়ে রাজনৈতিক মিছিলে হেঁটে যাওয়া
লক্ষ লক্ষ যুবকের পদচারণার সরব সোচ্চার!
তোমরা দেখাও পতাকার সবুজ রঙ-
অট্টালিকার কংক্রিটে ক্লান্ত আমি খুঁজে পাই কেবল ধূসর!
অরণ্যে দেখতে পাই সবুজ নিধনের মহা যজ্ঞ।
তোমরা যখন গেয়ে ওঠো "বীর সুভাষের মহান দেশ"!
আমি শুনতে পাই গভীর রাতে, কয়লা খাদানের নির্লজ্জ ষড়যন্ত্র!
ভর দুপুরে শুনতে পাই, উড়ালপুলের ভয়ানক কারচুপি!
ভোরের বেলায় শুনতে পাই, রাতভোর ধর্ষিতা হবার যন্ত্রণা
ভোগ করার পর, বাড়ির বউয়ের হাসি মুখে বিছানা ত্যাগের
অভিনয়!
তোমরা যখন গেয়ে ওঠো, "ভাইয়ের মায়ের এত স্নেহ, কোথায়
গেলে পাবে কেহ".......
আমি শুনতে পাই আমাদের কন্যার আর্তনাদ......" বাঁচাও!
বাঁচাও! বাঁচাও!"
স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর পর! কবি ঋতশ্রী মজুমদার। পাঠে গুরুদাস সাহা। ভিডিওটি ফেসবুকে দেখতে এখানে ক্লিক করুন . . .
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি ঋতশ্রী মজুমদার
কবির ফেসবুক . . .

এখানে তোলা হয়েছে  ২৩.৮.২০২২
যে দেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মবলিদান দিয়েছিলেন
আমাদের দেশের বিপ্লবীরা,
যে দেশের স্বাধীনতা আনতে গিয়ে নিখোঁজ হলেন
আমাদের প্রাণের সুভাষ, সেই দেশের মাটিতে নিজের
পায়ে দাঁড়ানোর জন্য একটা রুজির ব্যবস্থা করে
দিতে পারেন?"
গণতন্ত্র সে কথায় কর্ণপাত করেননি!
স্মিত হেসে সে উড়িয়েছে জাতীয় পতাকা!
রাজপথে পড়েছে গনগনে পিচ, বর্ষা আসতে না আসতেই জেগে
উঠেছে তার হাড় পাঁজর!
সেই রাজপথ ধরে এগিয়ে গেছে পঁচিশ থেকে পঞ্চান্ন!
তাঁদের বাঁকা শিরদাঁড়ার উপর গজিয়েছে সমকালের ঘাস!
আমার সেই দর্শনের স্যার আর বেঁচে নেই, যদি থাকতেন, চিৎকার
করে বলতাম,"আপনি ঠিকই বলেছিলেন স্যার! তখন বুঝিনি।
বনবন করে ঘুরে বেড়িয়েছি ভুবনডাঙ্গার মাঠ।
ডুব সাঁতরে পেরিয়েছি গঙ্গার এপার থেকে ওপার।
কিন্তু এখন, এই
স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর পরে এসে বুঝতে পারলাম সে মূর্ত হতে
পারেনি স্যার!"
আমার ইতিহাসের সেই স্যারকে যদি খুঁজে পেতাম তাঁর কানে কানে
বলতাম, "আপনি ঠিকই বলতেন স্যার! যে ষড়যন্ত্র আর দলাদলি
স্বাধীনতার নতুন প্রভাতে সুভাষকে ফিরতে দেয়নি, তাকে চিনতে
পেরেছি আমি!"
আমার ঠাকুমা বেঁচে থাকলে তাঁকেও বলতাম, "ঠাকুমা স্বাধীন
দেশের নরম মাটিতে আর শক্ত ভাবে দাঁড়ানো গেলোনা গো!
কোনরকমে ভিক্ষের অন্নে বেঁচে বর্তে আছি, এই না কত বড় কথা!"-
তবুও স্বপ্ন দেখি, স্বাধীনতা হয়তো একদিন আসবেই।
শিক্ষা আর চাকরীর সহাবস্থানে আকাশে উঠবে নতুন সূর্য!
আমাদের মুখেও বাঙ্ময় হবে স্বাধীনতার ধ্বনি!
"বন্দে মাতরম! সুজলাং সুফলাং"................
০৩.০৮.২০২২
আমার স্কুলের দর্শনের স্যার বলতেন, স্বাধীনতা হল একটা
বিমূর্ত ধারণা ঠিক পূর্ণতার ধারণার মত।
আমার কেমন যেন ইচ্ছে হত আগল ভাঙা পাখির মত
স্বাধীনতাকে নেড়ে চেড়ে দেখতে! ইচ্ছে হত, বুড়ো শিবতলার
ঘাট থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে স্বাধীনতার তল ছুঁয়েই আবার
মাছেদের মত ঘাঁই দিয়ে উঠতে! আমার পোষা এলসেশিয়ানকে
যেই ছেড়ে দিতাম বাগানে, স্বাধীনতা ছোটাছুটি করতো,
হুটোপাটি করতো, গাছের ছায়া ছুঁতে চেয়ে লাফিয়ে পড়তো
মাটিতে, ঠিক খুঁজে বার করতো জামরুল গাছের পাতায় বাঁধা
পাখিদের বাসা। আমাদের ইতিহাসের স্যার বলতেন, ওদিকে
ভগত, সুখদেব, রাজগুরুর ফাঁসি হয়ে গেল, অহিংস আন্দোলনে
গান্ধীজি থাকলেন অটল। আমাদের সুভাষ দল ছাড়লো, নতুন
দল গড়লো, কিন্তু স্বাধীনতার ভোরে আর তার দেশে ফেরা
হলোনা।
ঠাকুমা বলতেন,"স্বাধীনতার পর আমরা হইলাম গিয়া পরাধীন".....
দর্শন, ইতিহাস , না ঠাকুমা------ কার কথা ঠিক?
আমরা বড় হলাম। আমাদের দু পা স্বাধীন হতে চেয়ে মাটি
আঁকড়াতে চাইল। কিন্তু পারলো না-
আমাদের শিরদাঁড়া নুয়ে পড়লো জাতীয় পতাকার সামনে!
স্বাধীনতা তখন ক্রমেই বিমূর্ত-
মূর্ত হওয়ার আকুতি নিয়ে ডানা ঝাপ্টাচ্ছে-
কিন্তু না পাচ্ছে মাটি না পাচ্ছে অথৈ সমুদ্র!
"একটা চাকরী দিতে পারেন আমায়?
একটা সুনিশ্চিত ভবিষ্যৎ দিতে পারেন?
শুধু একটু জল খেতে চেয়েছিলাম আমি  কবি শরদিন্দু বিশ্বাস। পাঠে রেনুকা সরেন। ভিডিওটি ইয়ুটিউবে দেখতে এখানে ক্লিক করুন . . .
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি শরদিন্দু বিশ্বাস
কবির ফেসবুক . . .

এখানে তোলা হয়েছে  ২৩.৮.২০২২
চুইয়ে চুইয়ে নামতে থাকে রক্তধারা
আপনার মুখ থেকে যখন শুনতে পাই
আমি ছোটলোকের  বাচ্চা,
অস্পৃশ্য, হরিজন
তখন ঝাপসা হয়ে যায়
আমার দৃষ্টি
আমার স্কুল, আমার সহপাঠী
আমার গ্রাম, আমার দেশ
কেমন পর হয়ে যায়
অন্ধকার হয়ে যায় গোটা চরাচর  
তখন বুঝতে পারি আমার জন্মই    
আমাকে মৃত্যুর দিকে টানছে
বুঝতে পারি
এই দেশ এখনও শিশুর বাসযোগ্য ভূমি হতে পারেনি
বুঝতে পারি  
এই দেশের জলেও আমার কোন অধিকার নেই
আমি শুধু একটু জল খেতে চেয়েছিলাম স্যার।
বড্ড তেষ্টা পেয়েছিল স্যার  
একটু জল খেতে চেয়েছিলাম আমি  
টিউবওয়েলটা নষ্ট হয়ে পড়ে ছিল বহুদিন  
কাছেপিঠে একটা পুকুরও ছিলনা
তেষ্টায় হিক্কে উঠছিল আমার
একটু,
শুধু একটু জল খেতে চেয়েছিলাম আমি।
মটকায় জল ছিল
কিন্তু ওই জল যে  
আমার নয়
তা আমি জানতাম না স্যার
জানতাম না বর্ণভেদ
জানতাম না জাতপাত
জানতাম না অস্পৃশ্যতা কাকে বলে   
আমি শিশু
শুধু, একটু জল খেতে চেয়েছিলাম স্যার

আপনার ঐ উদ্ধত লাঠি
যখন আমার মেরুদণ্ডের হাড়কে
ভেঙ্গেচুরে টুকরো টুকরো করে দিচ্ছিল
তখনও আমি বুঝতে পারিনি
আমার অপরাধ!
আপনার বজ্রমুষ্টি যখন আমার
চোখ, মুখে আঘাত হানে
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি শুভ জোয়ারদার
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .
কবির ফেসবুক পাতা . . .

এখানে তোলা হয়েছে  ২৪.৮.২০২২
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>  
কবি আর্যতীর্থ
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .
কবির মূল সংগ্রহ . . .
কবির ফেসবুক পাতা . . .

এখানে তোলা হয়েছে  ২৮.৮.২০২২
.
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি সুপ্রীতি বর্মন
কবির ফেসবুক পাতা . . .

এখানে তোলা হয়েছে  ৩১.৮.২০২২
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি মনিরুল
কবির ফেসবুক পাতা . . .

রচনা ১৫.৮.২০২২
এখানে তোলা হয়েছে  ১৫.৮.২০২২
.
কত দেশবেচা মাল কবি মনিরুল
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি মনিরুল
কবির ফেসবুক পাতা . . .

রচনা ১৫.৮.২০২২
এখানে তোলা হয়েছে  ১৫.৮.২০২২
.
তুই ছুঁয়ে দিলে এই জল
কবি বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জী
রচনা ১৬ই অগাস্ট ২০২২।

তুই ছুঁয়ে দিলে এই জল,
অনন্ত নরকবাস হবে,
তোর না আমার তুই বল।
মেরেই দিয়েছি তোকে,এ প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
ওখানে এখানে রাজা-রানি
নিদ্রাহীন এইসব ভেবে।
সে কত বছর আগে স্বাধীনতা এসেছিল জানো,
জানার আগেই তুমি মরে গেলে,গেয়েছিলে 'জনগণ' গানও,
তিনরঙ পতাকা কি ধরেছিলে ওই কচি হাতে?
তোকে প্রাণে মারি,তোর মা-বাবাকে মেরে দেব ভাতে।
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি বিশ্বজিৎ চ্যাটার্জী
কবির ফেসবুক পাতা . . .

এখানে তোলা হয়েছে  ১৬.৮.২০২২
.
স্বাধীনতা পঞ্চাশ শিল্পী ও কবি সুধীর মৈত্র। বিখ্যাত চিত্রশিল্পী সুধীর মৈত্রর এই ছড়া ও ছবি আমরা পেয়েছি কবির ফেসবুক
থেকে এবং তা ঐতিহাসিক কারণেই এখানে তোলা হলো। (ছড়া ছবি ডট কম। ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস। ১৯৯৭।)
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
শিল্পী ও কবি সুধীর মৈত্র
কবির ফেসবুক পাতা . . .

রচনা স্বাধীনতার পঞ্চাশ বর্ষপূর্তিতে ১৯৯৭
এখানে তোলা হয়েছে  ১৫.৮.২০২২
.
কসাই শিক্ষক কবি অমরেশ বিশ্বাস। রচনা ১৬.৮.২০২২। ৭৫ বছরের
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে মনুবাদী বর্ণাশ্রমের, জাতপাতে নিমজ্জ সমাজব্যবস্থার মাথা
চাড়া দেওয়া, নীচু জাতের নয় বছরের শিশু ইন্দ্র মেঘওয়ালের, তাঁরই স্কুলের হেড-মাস্টার
দ্বারা নৃশংস প্রহারে মৃত্যুকে নিয়ে লেখা কবিতা।
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি অমরেশ বিশ্বাস
কবির ফেসবুক পাতা . . .

এখানে তোলা হয়েছে  ১৭.৮.২০২২
कवि देवेन्द्र सुरजन
कवि का फेसबुक . . .    

এখানে তোলা হয়েছে  ১৭.৮.২০২০
तुम्हारा नाम इन्द्र  कवि देवेन्द्र सुरजन। रचना 17.8.2022।

तुम्हारा नाम
इन्द्र
देवताओं के राजा
इन्द्र के नाम पर रखा गया
वही इन्द्र
जो वर्षा के देवता हैं
जो अनावृष्टि के खिलाफ
संघर्ष करते आये हैं
वही इन्द्र
बादल उनकी सेना
पानी बरसाना धर्म  
कुलनाम
मेघवाल
नाम से ही नहीं
कुलनाम से भी
बादलों के साथ
तुम्हारा रिश्ता
बहुत गहरा
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
संभव है
तुम्हारे कुल गोत्र वालों ने
कभी खोज निकाली होगी
मेघों को प्रसन्न करने की विधि
मरुस्थल में पानी बरसाने का
कोई विज्ञान
और मेघवाल कहाये होंगे
लेकिन यह सब काम नहीं आया
न इन्द्र का नाम
न मेघों को ख़ुश  करने की विद्या
ऐन उस वक्त
जब आज़ादी का अमृत महोत्सव
अपने चरम पर था
घड़े में रखे चुल्लू भर पानी के लिए
एक चरमपंथी ने
ले ली तुम्हारी जान
क्या उस घड़े में
सचमुच का अमृत भरा था
जिसकी  रक्षा के लिए
तुम्हारे शिक्षक ने
छेड़ दिया था
इक्कीसवीं सदी का
देव-असुर संग्राम
और तुम्हें शहीद कर दिया
तुमने तो कोई
धनुर्विद्या सीखी नहीं थी
जो छैलाचार्य
तुम्हारा अंगूठा काटने आता
तुमने तो सिर्फ़
मटके से चुल्लू भर पानी पिया था
यह सरस्वती का कैसा मंदिर है
जिसमें महज़ नौ साल के शिशु की
हत्या कर दी जाती है
कहां के तुम इन्द्र हुए
कैसे मेघवाल हुए
बस चुल्लू भर पानी के लिए
हलाल हुए
तुम्हारे चुल्लू का पानी
इतना गहरा है
जिसमें आज़ादी के पचहत्तर साल
डूब मरे
दिन रात टीवी चैनलों पर
दुहराई जाने वाली
विकास की कहानी
डूब मरे
हम सब जो इक्कीसवीं सदी के
महानायक बने हुए हैं
इसी लायक़ हैं कि
तुम्हारे चुल्लू भर पानी में
डूब मरें।
ःःःःःःःःःःःःः
.
স্বাধীনতা কবি মনামী ঘোষ। রচনা ১৫.৮.২০২২।

কমলা রঙের সূর্যের নাম
স্বাধীনতা
তক্ষশীলা থেকে নালন্দা
যুগে যুগান্তরে
দূর করেছে অন্ধকার
তমসো মা জ্যোতির্গময়
স্বাধীনতা একটা সাদা রঙের আকাশ
মাথায় ছাদ হয়ে
তার গায়ে
আগুন দিয়ে লেখা আছে
শহীদের নাম
স্বাধীনতা মানে শস্য শ্যামল মাঠ
অন্নদাতা সবুজ ব্রহ্ম
অন্নং ব্রহ্মেতি ব্যাজানাৎ
কিম্বা ওই নীল চক্রবাক
ইচ্ছেডানায় ওড়ে
মুড়ে বসে
বাসা বানায় আবার ভাঙে
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি মনামী ঘোষ
মিলনসাগরে কবির পাতা . . .
কবির ফেসবুক পাতা . . .

এখানে তোলা হয়েছে  ১৭.৮.২০২২
<<<এই দেয়ালিকার
<<< সূচীতে ফিরতে
.
.
এই পাতাটি পাশাপাশি, ডাইনে-বামে স্ক্রল করে!
This page scrolls sideways - Left - Right !
.
অশু'চিতা'?
কবি পার্থ দাশগুপ্ত। রচনা ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২।

গিজতাগিজাং
দিগধিনিতা
জাতির পিতা
ছাড়েন চিতা।
পোড়ান কোরআন
পড়েন গীতা,
রামের নামে
পোড়ান সীতা।
গলায় লেটেস্ট
canon মিতা,
বগলে ম-
-নুসংহিতা।
চিতার খাদ্য
হরিণশিশু
তাঁহার খাদ্য
আল্লাহ যীশু।
আমার খাদ্য
আলু পেঁয়াজ
জোটাতে পা-
রি না যে আজ।
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি পার্থ দাশগুপ্ত
কবির ফেসবুক পাতা . . .

এখানে তোলা হয়েছে  ২০.৯.২০২২
তবে কেন
এই বাজারে
মাথায় রাখি
এই রাজারে?
আমার গুরু
গেছেন বলে -
'ওই বুঝিলেই
পাগল সারে'।
পেটের খিদে
বাড়ে বাড়ুক,
পাওনাদারে
কড়া নাড়ুক,
জমিজিরেত
রাজায় কাড়ুক,
করের টাকা
নেতায় ঝাড়ুক,
রাষ্ট্র আমার
পেছন মারুক।
কিছুই মনে
দাগ কাটে না।
কোনও জ্বালায়
বুক ফাটে না৷
কারণটা ভাই
নেহাত সোজা।
মোটেই শক্ত
নয় তা বোঝা।
আমার খাবার
খাচ্ছে মোল্লা।
বাকিরা সব
দিচ্ছে তোল্লা।
তাই তো তারা
পাচ্ছে গোল্লা,
রাজাকে মাঠ
দিচ্ছি খোল্লা।
রাজার হাতে
হরেক চিতা,
জঙ্গলে তাই
কাটেন ফিতা।
কাউকে করেন
বনে চালান,
কাউকে মেরে
চিতা জ্বালান।
আসুক নতুন
নতুন চিতা,
হোক স্বাভাবিক
দ্বিচারিতা।
যুদ্ধে যুক্তি
বিবর্জিতা।
হিন্দু হঠাৎ
সুপ্তোত্থিতা।
<<<এই দেয়ালিকার
<<< সূচীতে ফিরতে
<<<এই দেয়ালিকার
<<< সূচীতে ফিরতে
.
<<<দেয়ালিকার সূচীতে যেতে
দেয়ালিকার শেষ ছড়াটিতে যেতে>>>
কবি শমীক
সোস্যাল মিডিয়া থেকে পাওয়া . . .

এখানে তোলা হয়েছে  ২২..২০২২