আমাদের প্রিয় বাবা পর্ণা দাশগুপ্ত, নিউ ইয়র্ক, মে ২০১০
ই-মেল : parna11@hotmail.com “বাবা”শব্দটা ভাবতেই মনে ভেসে ওঠে আমাদের প্রিয় বাবার তসরের শাল গায়ে জড়ানো এক শান্ত, সৌম্য চেহারা, মুখের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য ছিল ওনার এক জোঁড়া গোঁফ |
আমরা তিনবোন বাবাকে আদর করে “বাবু” বলে ডাকতাম | আমার বাকী দাদা, দিদিরা “বাবা” বলতেন | আমাদের বাবা ছিলেন ঢাকার সুয়াপুর জেলার অধিবাসী | ওখানে আমাদের ঠাকুরদা ও বাবা খুব প্রতাপশালী জমিদার ছিলেন | ১৯৪৭ -এ দেশ বিভাগের শুরু করেন | আমার জন্ম হয় এই জলপাইগুড়িতে আগেই বাবা পরিবারসহ উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে এসে বসবাস |
আমাদের বাড়ী থেকে ৬-৭ মাইল দূরে বাবার প্রচুর ধানীজমি ছিল | সেই জমি দেখাশোনা করত বেশ কিছু প্রজারা | বাবা ছিলেন এই প্রজাদের খুবই প্রিয়জন প্রতিবছর লক্ষ্মী পূজোর সময় আমাদের বাড়ীতে পূজো শেষে প্রজারা লক্ষ্মী প্রতিমা (দূর্গা প্রতিমার মত চালিতে) কাঁধে করে আমাদের সেই জমিতে নিয়ে যেত| সেখানে সপ্তাহ ধরে ‘মধুবাবুর মেলা’বসত| সেই জায়গাটা ‘মধুবাবুর ধাম’ নামে প্রচলিত| বাবার নাম ছিল ‘মধুসূদন’, তাঁর নামেই এই ধাম ও মেলা |
আমরা ছোট ভাইবোনেরা এই লক্ষ্মীপূজোর সময় বাবার সাথে গরুর গাড়ী চড়ে সেই ধামে মেলা দেখতে যেতাম | আমাদের ছোটদের কাছে ব্যাপারটা খুবই আনন্দের ছিল | একবার গরুর গাড়ী চড়ে বাবার সাথে আমরা ছোট ভাই- বোনেরা মেলা দেখতে যাওয়ার পথে এক স্থানীয় পুলিস অফিসার আমাদের গাড়ী থামিয়ে বাবাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনারা কোথায় যাচ্ছেন’? বাবা উত্তর দিলেন, ‘সামনের মেলাতে পরিবার নিয়ে যাচ্ছি’ | অফিসার বললেন, ‘আচ্ছা, মধুবাবুর মেলায়’ ? পাশ থেকে একজন অফিসার ফিস্ ফিস্ করে জানালো, ‘আরে উনিই তো সেই মধুবাবু’! পুলিশ অফিসার হাতজোড় করে নমস্কার জানিয়ে পাশে সরে দাঁড়ালেন, আর আমরাও বুক ফুলিয়ে গরুর গাড়ীর সাথে তাল মিলিয়ে ধীরে ধীরে মেলা দেখতে রওনা দিলাম |
খুবই পরোপকারী ছিলেন আমাদের বাবা | কারো কোনো দুঃখের কথা শুনলে নিজের জিনিস অনায়াসে বিলিয়ে দিতেন | আমাদের বাড়ীতে প্রতিবছর প্রচুর আম কাঁঠাল হোতো | বাড়ীতে কেউ এলে খালি হাতে বাড়ী ফিরত না |
পাড়ার মাসীমারা প্রায়ই বাড়ীতে আসতেন মা-র সাথে গল্পগুজব করতে | পূজো পার্বনের দিনগুলোতে বাবার হুকুমে কেউ খালি হাতে ফিরতেন না | বাড়ীর গাছের ফল-মূল আঁচল ভরে ওনাদের দেওয়া হোতো | (সেই সময় ব্যাগের চল ছিল না | মহিলাদের শাড়ীর আঁচলই ছিল ‘থলে বনাম ব্যাগ’| ) এ ব্যাপারে আমাদের মা-র কথা উল্লেখ না করলে বাবার জীবন অসম্পর্ণ থেকে যায় | অতি সুন্দরী, অত্যন্ত কোমলপ্রাণা, পরের দুঃখে দুঃখী | মা-র পুরো সমর্থন থাকার জন্য বাবা এতটা করতে পেরেছিলেন |
আমি মাত্র ১৬ বছর বাবাকে পেয়েছি, তবে যেটুকু পেয়েছি ‘অমূল্য’| মা বাবার সবচেয়ে শেষের সন্তান হলে যা হয় |
মনে পড়ে একটা দৈনন্দিন উল্লেখযোগ্য ঘটনা--অফিস থেকে রোজ বাবার বাড়ী ফেরার সময়টা আমাদের থেকেও ভাল জানত আমাদের বাড়ীর পোষা কুকুর “বাঘা” ! বাঘা একটা বিশেষ ডাকে আমরা বুঝে নিতাম বাবা বাড়ী ফিরছেন ! বাঘার আকর্ষণ ছিল বাবার দেওয়া বিস্কুটের প্রতি, আর আমাদের আকর্ষণ ছিল বাবার উপস্থিতি |
ছোট ছোট অনেক ঘটনাই এখন মনে পড়ছে | বাবার রিটায়ার করার আগে দাদা -দিদিরা অনেকবার বলেছিলেন বাবাকে রিক্সা করে কাজে যেতে, কিন্তু ওনাকে কিছুতেই রাজী করানো যায় নি | রোজ আমরা এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখতাম--বাবা হেঁটে বাড়ী ফিরছেন আর খালি রিক্সা পাশে পাশে আসছে | উনি বলতেন, “আমি কিছুতেই সহ্য করব না যে একজন কষ্ট করে আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে”| দাদা--দিদিদের বক্তব্য ছিল, ‘কিন্তু রিক্সাওয়ালাও তো সংসার চালাতে হবে’| এরপর থেকে খালি রিক্সা পাশে পাশে আসত, তবে ভারা গুণে রোজই দেওয়া হোতো |
বাবা হাঁটতে খুব ভালবাসতেন | রোজ ভোরে বাড়ীর বাইরে হাঁটতে বেরোতেন| কুকুর বাঘা সাথে সাথে কুছুদূর গিয়ে রাস্তায় কোন অন্য কুকুর বন্ধুর দোখা পেয়ে সেখানেই থেকে যেত | আমার বয়স তখন ১১-১২ হবে | আমিও মাঝে মাঝে বাবার সাথে হাঁটতে যেতাম | এই হাঁটার সুযোগে অনেক অজানা জিনিস জানার সুযোগ হয়েছিল | আশেপাশের গাছগাছালি কতরকমের এবং নানারকম পাখীর পরিচয় ওনার থেকেই পেয়েছি |
খুবই সাহসী মানুষ ছিলেন আমাদের বাবা | আমার জন্মেরও আগে শুনেছি বাড়ীতে একবার ডাকাত পড়েছিল | বাবা একা লাঠি হাতে ডাকাতদের শায়েস্তা করতে বেড়িয়েছিলেন | বাড়ীতে সেই সময় অবশ্য আরো লোকজন ছিল, কিন্তু ঘুমিয়ে ছিল | এক ডাকাত বাবার বা-হাতের রিস্টে এক লাঠির আঘাতে ভেঙ্গে দেয় | ওনাকে বহুদিন এর জন্য ভুগতে হয়েছিল | আর একটা সাহসের ঘটনা রাতবিরেতে শ্মশানে যাওয়াতে অনেকেরই আপত্তি ছিল | শুনেছি বাবা এ সবের কোন পরোয়াই করতেন না | অন্ধকার, নির্জন জায়গায় কতরকমের আওয়াজে মানুষ ভয় পায়, ততে অঘটনও ঘটে | বাবা প্রমাণ করিয়ে দিয়েছিলেন যে ওগুলো দুর্ব্বল মনের পরিচয় |
খুবই সুন্দর হাতের লেখা ছিল বাবার | ছোট বেলায় ওনার হাতের লেখার উপর লিখে লিখে অভ্যেস করতাম যাতে সুন্দর হাতের লেখা হয় |
বকুনি না খেলেও একটা অদৃশ্য ভয় ছিল আমাদের | বাবার ভারী গলার আওয়াজে আমরা সজাগ ছিলাম | অন্যায় করার আগে বাবার মুখ মনে ভেসে উঠতো | এগুলি ছিল নীরব শাসন | বিদেশে থেকে একখানকার ছেলেমেয়েদের দেখে ভাবি, মা-বাবার শাসন যে কতখানি দরকার বড় হওয়ার সুরুতে | এ দেশের (আমেরিকায়) কিছু কিছু জায়গায় শতকরা ৬০ ভাগ ছেলেমেয়েরা বাড়ীর শাসনের অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে | এটা খুবই দুঃখের বিষয় | ছোটবেলায় বড়দের শাসন ভাল না লাগলেও এখন বুঝতে পারি যে সেটার খুবই প্রয়োজন |
স্মৃতির পাতা ওলটাতে ওলটাতে এক পাতায় মন আট্ কে গেল----বাবার সাথে ছোটবেলায়আমরা বাড়ীর কাছাকাছি কোন পুকুরে মাছ ধরতে যেতাম ছুটির দিনে | মাছ আমাদের ছিপে উঠত কিনা সন্দেহ, কিন্তু সেই আসা যাওয়ার এডভেঞ্চারটাই মজার এবং মনে রাখবার মত | দুপাশে ধানক্ষেতের মাঝখানে আল ধরে টল্ তে টল্ তে বাবার পিছু পিছু আমি আর (আমার খুড়তুতো ভাই ) ভাইদা ছিপ্ হাতে চলেছি | মনে দারুণ একটা অনুভূতি, পড়াশুনার চাপের থেকে একটু রেহাই | ভীষণ ধৈর্য্য ছিল বাবার | ছিপ্ হাতে ধ্যান- যোগীর মত এক জায়গায় বসে অনেক লাভবান হতেন | আর আমি ও ভাইদা ? ফড়িং এর মতো তিড়িং তিড়িং করে ‘এখানে ভাল মাছ পাব, না, না, ওখানে বোধহয় ভাল মাছ উঠবে’, করতে করতে অবশেষে খালি হাতে নাচ্ তে নাচ্ তে বাড়ী ফিরতাম বাবার পিছু পিছু | তাতে মনে হয় আমাদের কিছুই যেত আসত না | ওই আউটিং টাই ছিল আমাদের বেশী প্রিয় |
আমাদের বাবার একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তার বন্ধু ছিলেন | বয়সে বাবার থেকে একটু ছোট ছিলেন, মাথার চুল সবই পাকা ছিল | প্রায় রোজই ডাক্তারকাকা তার কাজ সেরে বাড়ী ফেরার পথে বাবার সাথে দেখা করে যেতেন | দুজনের বারান্দায় বসে বেশ কিছুক্ষণ ধরে গড়গড়া খাওয়ার সাথে সাথে নানারকম আলোচনা চলতো | এর সাথে মা- র বানানো কোন “অমৃত ডিস্”-ও ডাক্তার কাকা উপভোগ করতেন | রোজই লক্ষ্য করতাম আলোচনা চল্ তে চল্ তে সেটা তর্কে গিয়ে দাঁড়াত | এক সময় বেশ তুমুল তর্ক হোতো | তারপর ডাক্তারকাকা বাড়ী যেতেন | বাবাই রিক্সার ব্যবস্থা করে দিতেন | পরের বার ও সেই একই ঘটনা | এখন স্মৃতি রোমন্থন করতে করতে ভাবি, রোজই ডাক্তারকাকা রাগারাগি করে বাড়ী ফিরতেন অথচ তবুও কেন বাবার কাছে আবার আসতেন ? এটা কি বাবার গড়গড়ার টানে ? না, আমাদের মায়ের বানানো সেই কোন “অমৃত ডিসের” টানে ?
বহুবছর আগের কথা--আমাদের বাড়ীতে বেশ কয়েক বছর রেডিও ছিল না | T.V. তো দূরের কথা | সন্ধ্যেবেলায়, পরদিনের স্কুলের পড়া শেষ করে আমরা বাবার কাছে বসে নানারকম গল্প শুনতাম | রোজই শেষটুকু এমন ভাবে শেষ হত যে আমরা আবার পরের দিনের জন্য অতি আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকতাম | গল্প বলার ধরনটাও ছিল খুব সুন্দর |
প্রতিবছর মহালয়ার সময় আমরা ভোর চারটের উঠে দেড় মাইল হেঁটে, শীতে কাঁপতে কাঁপতে আমাদের এক বন্ধুর বাড়ীতে রেডিও তে মহালয়া শুনতে যেতাম বাবার সাথে | সেই সময় দেবদূতের মত বাবার হবু ছোট জামাই একটা radio-র ব্যবস্থা করে দেওয়াতে আমাদের আর অতদূরে শীতে কাঁপতে কাঁপতে যেতে হত না | বাড়ীতেই সবাই একজায়গায় বসে ‘মহালয়া’ শুনতাম | কি যে ‘ভাললাগা’ দিনগুলি ছিল | এই রেডিও বাবার অসময়ের সঙ্গী হয়েছিল এবং উনি শেষসময় পর্য্যন্ত রেডিও-র গান ও খবর উপভোগ করে গেছেন | অনেক ধন্যবাদ সেই “দেবদূত”কে , যে পরবর্তীকালে আমার “পতিদেব” হয়েছেন |
আমাদের বাবার অন্যান্য বহুগুনের মধ্যে একটা বিশেষ গুণ ছিল উনি সবাইকেই আপন করে নিতেন | বাবার গুণমুগ্ধদের একজন সূদূর আরবদেশ থেকে মাঝে মাঝে ওনার সাথে দেখা করতে আসতেন | বাবার বয়সী, ৬ফুট লম্বা, সুপুরুষ | আমরা “আরব সাহেব” বলতাম | আমাদের ছোটদের কাছে আরবসাহেবের আসাটা একটা যেন রূপকথার গল্পের মত ছিল | কি ধব্ ধবেছিল আরবসাহেবের গায়ের রঙ |তার সঙ্গে মিলিয়ে সাদা দাঁড়ি | সাদা ধব্ ধবে আলখাল্লা পড়তেন | ঘটনাচক্রে আমি নিউইয়র্কে বসে অতীতে তাকিয়ে ভাবছি, সেই সময় সুদূর আরবদেশ থেকে উনি বাবার সঙ্গে দেখা করতে আসতেন জলপাইগুড়িতে | ভাবতে ভাল লাগে বাবার ব্যাক্তিত্বের বিশেষ গুণ সুদূর আরবদেশ থেকেও কাউকে আকৃষ্ট করেছিল |
খুবই নামডাক ছিল আমাদের বাবার | আমার জন্মের আগে উনি, মা এবং অন্যান্য দাদা--দিদিরা যে বাড়ীতে থাকতেন , সেখানে পাশ দিয়ে “করলা” নদী বয়ে যেত | একটা সুন্দর ঘাট ছিল বাড়ী সংলগ্ন | সেই ঘাটের নাম ছিল “মধুবাবুর ঘাট” | বাবার নামে সেই ঘাট আজও রয়েছে | (ঘাটটি আজ আর নেই, সেখানে এখন স্পোর্টস কমপ্লেক্স হয়েছে, তবে জায়গাটা এখনও দেখা যায়, সিড়ির ধাপগুলো এখনও ভাঙা হয় নি )
বাবা জীবিত থাকতে কখনোই এতটা হৃদয়ঙ্গম করিনি ওনার প্রতিপত্তি, যতটা এ যুগে পৌঁছে পিছনের যুগে তাকিয়ে অনুভব করছি |
সব কিছুরই একটা শেষ অধ্যায় আছে | আমাদের বাবার জীবনও একসময় ফুরিয়ে গেল | প্রচুর মানুষের সন্মান, ভালবাসা অর্জ্জন করে একদিন আমাদের সবাইকে ছেড়ে চিরদিনের জন্য চলে গেলেন |
উনি চলে গেলেও সব তো শেষ হয়নি..... আমরাও বড় হলাম | একদিন আমাদের মা-ও আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন তাঁর জায়গায়, মানে বাবার পাশে |
এর বহুবছর বাদে আমরা ছেলেমেয়েকে “ মধুবাবুর ধাম” দেখাতে নিয়ে গেলাম সেই জায়গায় | গাড়ী করে যেতে যেতে মনে পড়ল আনেক বছর আগে গরুর গাড়ী চড়ে আমরা ছোটরা বাবার সাথে একই রাস্তা দিয়ে সেই ধামে গিয়েছিলাম | আজ মোটরগাড়ী করে আমারই ছেলেমেয়ে স্বামীসহ একই জায়গায় যাচ্ছি | যেতে যেতে ভাবছি হয়ত দেখব শুধু দিগন্ত বিস্তৃত ধানের জায়গা পড়ে আছে | সঙ্গে লোক থাকায় ভরসা ছিল চিনিয়ে দেবে কোনটা “মধুবাবুর ধাম” ? জায়গামত পৌঁছে অবাক হলাম দেখে যে আশে পাশের গ্রাম থেকে প্রচুর লোকজন এসে জড়ো হয়েছে মধুবাবুর ছোট জামাই এসেছে শুনে | কতজন দু-হাত ঠেকিয়ে বাবার সুখ্যাতি করে গেল | এরা সবাই কোন এক সময় উপকৃত হয়েছিল বাবার দ্বারা | শুনলাম, “মধুবাবুর মেলা” এত জনপ্রিয় হয়েছে যে ১ সপ্তাহের পরেও আরো কিছুদিন ধরে মেলা চলে |
মানুষ অমরত্বের আশা করে | এটাই তো অমরত্ব পাওয়া | ‘ আমাদের বাবা অমর থাকুন’ |
মা-বাবা চলে যাওয়ার বহু বছর বাদে আমার বোনপো মিলন সেনগুপ্ত তাঁদের স্মৃতি রক্ষার্থে আমাদের বাড়ীর পাশেই এক “ক্যানসার নির্ণয় ক্যাম্পের’ ব্যবস্থা করেছে | সেখানে কারো ক্যানসার হয়েছে কিনা তা ডাক্তাররা পরীক্ষা করে নির্ধারন করেন | এতে প্রচুর লোকজন উপকৃত হয়েছে | নাম দিয়েছে “মধুসুদন স্মৃতি ক্যানসার সোসাইটি”| ভাবতেও আনন্দে মন ভরে যায় যে বাবার রক্ত বয়ে চলেছে মিলনের মত ছেলের গায়ে |
পরিশেষে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই আমার বোনপো মিলন সেনগুপ্তকে | আজ মিলনের IDEA আর ঠ্যালা না খেলে আমাদের বাবা আমার মনের আর অতীতের পাতাতেই থেকে যেতেন | এখন মনটা আনন্দে ভরে যাচ্ছে ভেবে যে বাবার সুকৃতির কথা অনেকের সাথেই ভাগ করে নিতে পারছি | বাবাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে শেষ করছি |
স্বর্গীয় মধুসূদন দাশগুপ্তের কনিষ্ঠা কন্যা পর্ণা দাশগুপ্ত, নিউ ইয়র্ক, মে ২০১০