রূপরাম চক্রবর্তীর ধর্মমঙ্গল কাব্য |
রূপরামের ধর্মমঙ্গল কাব্যের সূচি |
রূপরামের ধর্ম্মমঙ্গল বন্দনা পালা || চৈতন্য-বন্দনা || |
দশমাস দশদিন ছিলা গর্ভবাসে | ভূমিষ্ঠ হইল গোরা উত্তম দিবসে || মায়ের কোলে গোরাচান্দ বাড়ে দিনে দিনে | দ্বিতীয়ীর শশী যেন বাড়েন গগনে || এক দুই তিন চারি পাঁচ মাস যায় | হামাকুড়ি দিয়া গোরা খেলিয়া বেড়ায় || নিরবধি গোরাচান্দ ভাবে মনে মনে | পড়িবারে গেলেন গুরুর নিকেতনে || খগেন্দ্র জিনিয়া নাসা অতি মনোহর | আজানুলম্বিত মালা বক্ষের উপর || ভেদবর্ণ সুবন্ত অভেদবর্ণ পড়ি | সুবন্ত সাধন হেতু টল্যা গেল খড়ি || খড়ি হাতে তুল্যা দেহ গুরুকে কহিল | ক্রোধিত হইয়া দ্বিজ পুথির বাড়ি মাইল || পুথির বাড়ি মারিল যদি কুপিল ব্রাহ্মণ | চতুর্ভুজ রূপে দেখা দিল নারায়ণ || খেমানন্দ রামানন্দ স্নান করে জলে | চতুর্ভুজ রূপ সে দেখিল সন্ধ্যাকালে || জগাই মাধাই দুই মহাপাপী ছিল | গোরাচাঁদের নাম নিতে স্বর্গ চল্যা গেল || দিবসরজনী খেলা লয়্যা শিশুগণে | ব্রহ্মা-অগোচর নাম সভাকার কানে || ষোল নাম চৌতিশ অক্ষর চতুর্ব্বেদের . সার | হেন নাম না দিয়া জীবে করিলা উদ্ধার || নবদ্বীপে ছিল নীলকন্ঠ নামে তাঁতি | শিশুগণ সঙ্গে খেলা হয় দিবারাতি || দৈবের কারণে তার বস্ত্র পুড়্যা গেল | গোরাচান্দের নাম নিতে বাজারে বিকাল্য || বসন বেচিয়া পাইল অমূল্য রতন | কাটঙায় দিল গোরাচান্দের ভবন || নাটশালা তুল্যা দিল বার দিবার ঘর | সুবর্ণ-পতাকা উড়ে চালের উপর || সেইখানে গোরাচান্দ বার দেন আসিয়া | কত ভাগ্যবান দেখে নআন ভরিয়া || হরি হরি বল সভে কৃষ্ণের ভাবনা | গান দ্বিজ রূপরাম চৈতন্য-বন্দনা || . ****************** . পাতার উপরে . . . মিলনসাগর |