রূপরাম চক্রবর্তীর ধর্মমঙ্গল কাব্য |
রূপরামের ধর্মমঙ্গল কাব্যের সূচি |
রূপরামের ধর্ম্মমঙ্গল বন্দনা পালা || বিপ্র-বন্দনা || |
এমন বিপ্রের গুণ শুন হিতাহিত | ব্রহ্মশাপে সর্পাঘাতে মৈল পরীক্ষিত || কৃষ্ণের দুয়ারী জয় বিজয় কুমার | ব্রহ্মশাপে অন্ধক হইল তিনবার || ব্রহ্মশাপে মলিন হইল কলানিধি | ব্রহ্মশাপে বলদেব হইল জলধি || ব্রহ্মশাপে যদুবংশ হইল নৈরাশ | ব্রাহ্মণ পূজিয়া যুধিষ্ঠিরের স্বর্গবাস || এমন বিপ্রের কথা শুন সমাদরে | বিধবার পুত্র হৈল ব্রাহ্মণের বরে || মৃগয়া রাজার কথা পড়ে গেল মনে | এক শত ধেনু দান দিলেক ব্রাহ্মণে || ধেনু লয়ে দ্বিজবর আনন্দে চলিল | পালে হৈতে এক ধেনু বাহড়ি আইল || পুনর্ব্বার সেই ধেনু দিলেন রাজনে | সেই ধেনু দিল রাজা অন্য ব্রাহ্মণে || ধেনু লয়ে দ্বিজবর চলে রাজপথে | দৈবযোগে যার ধেনু দেখা তার সাথে || পথমধ্যে দ্বন্দ্বজ বাড়িল দুইজনে | উপনীত হইলা রাজার সন্নিধানে || রাজা বলে পুনর্ব্বার শত ধেনু দিব | ব্রাহ্মণ বলেন তোমার ধেনু নাই নিব || যার ধেনু সেই লয়া করিল গমন | কুপিত হইয়া শাপ দিলেক ব্রাহ্মণ || ক্রোধ করি দ্বিজবর শাপ দিয়া চলে | কেকলাস হইল রাজা অধর্ম্মের ফলে || অরণ্যে রহিল এক কুয়ায় পড়িয়া | উপায় শুনিব কিছু যদুবংশ লয়্যা || এমন বিপ্রের কথা শুন সর্ব্বজন | ছাপ্পান্ন কোটি যদুবংশ লয়ে নারায়ণ || মহাভারতের কথা নিবেদন করি | মৃগয়া কারণে বনে প্রবেশিলা হরি || দশ দশ হস্তীর বল এক এক জনা ধরে | তথাপি কেকলাস কেহ নাড়িতে না পারে || যেইমাত্র নারায়ণ পরশ করিল | চতুর্ভূজ হয়্যা রাজা স্বর্গলোকে গেল || এমন বিপ্রের গুণ কর অবধান | অপরূপ সঙ্গীত রচিল রূপরাম || . ****************** . পাতার উপরে . . . মিলনসাগর |