রূপরাম চক্রবর্তীর ধর্মমঙ্গল কাব্য |
রূপরামের ধর্মমঙ্গল কাব্যের সূচি |
ভুবনমোহনলোভা ষোল চাঁদ মুখ শোভা পরাত্পর পূর্ণ অভিলাষ | অকাল ধরণী মণি যেন বিধি পদ্মযোনি ষোল কোটি সূর্যের প্রকাশ || সোনার মকুট শিরে দুর্লভ কেয়ুর করে পরিধান অরুণ বসন | মেখলা কিঙ্কিণী তায় সোনার নপুর পায় পারিজাত মাল্য পরিধান || বাজুবন্ধ পরিসর শোভা করে কলেবর দশ চাঁদ কান্দে রাঙা পায় | চন্দনে ভূষিত অঙ্গ দেখি অবতার রঙ্গ ষোল চাঁদ দশনে মিশায় || [অধর সুন্দর রুচি সুন্দর বদন শুচি নয়ান যুগল সমীরণ | কি দিব তুলনা তার ষোল পদ্ম অবতার কিছুমাত্র করিতে মিলন || ] এমন দেবের লীলা পরিতোষ মনে হৈলা নাসা-পথে জন্মিলা উলুক | রাঙ্গা চরণের কাছে জোড়- হাথ করি আছে স্তব করে লোটায়্যা সম্মুখ || অবধানে ধর্ম্মরায় নিবেদি তোমার পায় নায়কের চিন্তহ কল্যাণ | ময়ূর ভট্টের পদে মনে অনুমান হৃদে দ্বিজ রূপরাম রস গান || বড় আজ আন্দ দেখি ব্রজপুর ঘরে রে | গোকুল ছাড়িয়া নিমাই আইল নবদ্বীপে রে আইল রে || নাসা-পথে যদিস্যাৎ জন্মিলা উলুক | সবিনয় স্তব করে লোটায়্যা সন্মুখ || জোড়-হাথে উলুক করেন নিবেদন | কে আছে তোমার পর তুমি নিরঞ্জন || তুমি স্বর্গ তুমি মর্ত্ত তুমি সে পাতাল | চন্দ্র সূর্য্য ইন্দ্র আদি তুমি দিক্ পাল || কৃপা কর ঠাকুর আমাকে কর দয়া | দয়া করি দেহ দুই চরণের ছায়া || চরণের ছায়া মনে করি অনুমান | মোর পৃষ্ঠে আরোহণ কর ভগবান || উলূকের বচন শুনিয়া মায়াধর | কৌতুকে বসিলা পক্ষরাজের উপর || নাঞি জানি কতকাল করেন ভ্রমণ | শ্রমযুক্ত উলুক করেন নিবেদন || কোনখানে বসিব এমন নাহি স্থল | তৃষ্ণায় আকুল তনু কোথা পাব জল || . স্থাপনা পালার পরের পৃষ্ঠায় . . . . এই পাতার উপরে . . . মিলনসাগর |