রূপরাম চক্রবর্তীর ধর্মমঙ্গল কাব্য |
রূপরামের ধর্মমঙ্গল কাব্যের সূচি |
নাকে নাকমাছি পরে নাপান করিয়া | চাঁদের কলঙ্ক হৈল কিসের লাগিয়া || পরিল কুলুপ শঙ্খ সুবর্ণ কঙ্কণে | করে বাজুবন্ধ ঝাঁপা মাদুলি-রসনে || টাড়ের উপরে পরে বাজুবন্ধ ছড়া | নাপান করিতে যায় দিয়া বাহুনাড়া || শশী সিন্ধু অঙ্গুলে অঙ্গুরী ছাবময় | রবি শশী মিলন দুজনে কেহু হয় || গলাভরা পলা পরে শতেশ্বরী হার | দোসতি তেসতি রসকাঁটি অবিচার || চরণে নপুর দিয়া পরিল পাশুলি | বুকের উপরে রামা পরিল কাঁচুলি || কাঁচুলি উপরে কত অপরূপ লেখা | চাঁদে গরাসিল যেন পক্ষগণ একা || কদম্বের তলে কৃষ্ণ ঘাটে সাধে দান | ত্রিভঙ্গ হইয়া কৃষ্ণ মুরলি বাজান || সারি সারি গোপিনী মথুরা বিকে যান | দানের কারণে কৃষ্ণ ডাকিয়া রহান || প্রতিদিন আইস যাহ আমি নাঞী দেখি | লেখ্যা কব়্যা দান দেহ মথুরার বিকি || কৃষ্ণকে দেখিয়া হাসে রাধা চন্দ্রাবলী | দধির পসরা তব ধরে বনমালী || ভূমে রাখি পসরা নবনী ক্ষীর নিল | দেখি দেখি বলি কৃষ্ণ বদনে ঢালিল || তরুতলে দান ছলে বস্যা রাধা কানু | তখনি বড়াই বুড়ি কেড়্যা নিল বেণু || ভাঁড় ভাঙ্গে দধি খায় দিয়া গালাগালি | বাঁশি বান্ধা দিব তোমার বিচিব মুরলি || অতিক্রোধে রাম কানু বড়ায়েরে বলে | এই অধ্যা লিখেছে কাঁচলি চারি চালে || ইজার পরিয়া পরে মেখলা কিঙ্কিনী | ভূষিত হইয়া পরে গলে হারমণি || ফুরাইল নাসবেশ গায়ে মাখে চুয়া | গুছি দশ পান খায় গন্ডা দশ গুয়া || সঙ্গে যতজন দাসী মদনমঞ্জরী | কার হাতে চুয়া কার হাতে জলঝারি || চামর চন্দন কার হাথে করতাল | মৃদঙ্গ মদিরা বীণা রবাব রসাল || দেবসভা যায় নটী নাচিতে নাচিতে | বাম পদ বাড়াইতে চাল ঠেকে মাথে || কাপড়ে ঠেকিল কাঁটা ডান্য আখি . নাচে | নটী বলে আমার কপালে কিবা আছে || আগু পাছু দাস দাসী করিল পয়ান | নাচন নাচিতে নটী জাম্বুবতী যান || যৌবন গরবে কিছু না জানিল বাধা | গোপিনী-সমাজে যেন সুখময়ী রাধা || সুবদনী সুন্দরী চলিল পায় পায় | মরালগামিনী কিবা ঐরাবত যায় || স্থাপনা পালার পরের পৃষ্ঠায় . . . . এই পাতার উপরে . . . মিলনসাগর |