রূপরাম চক্রবর্তীর ধর্মমঙ্গল কাব্য |
রূপরামের ধর্মমঙ্গল কাব্যের সূচি |
দিবা নিশি নিয়ম বৎসর যজ্ঞ দান | দেবতা পড়িল সব ছত্তিশ পুরাণ || প্রজাপতি পুরন্দর পবন সহিত | বীণা লয়্যা নারদ সমুখে গায় গীত || মৃদঙ্গ মন্দিরা বীণা বংশীর নিনাদ | পঞ্চমুখে গায় শিব রাধার বিষাদ || এক মুখে আলাপ দুমুখে স্তুতি ধরে | আর দুই বদনে কৃষ্ণের স্তব করে || দেবের দুর্লভ শোভা বৈকুন্ঠভুবন | এই কথা মনে ধর্ম্ম পূজার কারণ || [ অবনীমন্ডলে সভে পাবে পুষ্পজল | চারি যুগ ধর্ম্ম-পূজা পরম মঙ্গল || ] সকল দেবতা পূজা পায় সব ঠাঞী | না হল্য আমার পূজা চিন্তিল গোসাঞী || [ কলিযুগে নাই হোল পূজার বিধান | সাধিবে আমার পূজা কোন ভাগ্যবান || কেবা দিবে পুষ্পজল যাব কার ঠাই | পূজার কারণে বড় চিন্তিত . গোসাঞী || এত শুনি দেবতা অমর সভাজন | কেবা জানে এই কথা বলে কোন . জন || [ কেহ কিছু নাহি জানে এসব বিধানে | শুনেছিল হনুমান মাকুন্ড পুরাণে || ] [ হনুমান বলেন গোসাঞী অবধান . কর | চারি যুগ তোমার পূজা অবনী ভিতর || ভোজ-বংশে আপনি পূজিল ভোজরায় | সেই জন তোমার সেবনে স্বর্গ যায় || যুধিষ্ঠির ভূপাল পূজিল তারপর | ঘরে ঘরে তোমার পূজা হস্তিনানগর || তবে আদ্য পূজা দিল আশোয়া . চন্ডাল | মদের পুষ্কর্ণি দিল পিষ্টের জাঙ্গাল || বুনিল সিজন ধান হইল অঙ্কুর | ধূসদত্ত বণিক পূজিল উষত্পুর || আদ্যের চেহারা আছে বলুকার তটে | হরিশ্চন্দ্র পূজা দিল বিষম সঙ্কটে || অনেক দিবস রাণী পূজিল মদনা | যোগ কব়্যা সিদ্ধ পাইল মনের . কামনা || ষোল শত ভকিতা হৈল আদ্যের গাজনে | তথাপি তোমার পূজা না ছিল . ভুবনে || পশ্চিম-উদয় হইলে পরিপূর্ণ হয় | তেকারণে তব প্রজা সর্ব্ব ঠাঞী রয় || তোমার পূজার বিধি আমি সব . জানি | জাম্বুবতী নামে আছে ইন্দ্রের নাচনী || তারে অভিশাপ যদি দেহ কোন . . ছলে | তবে সে প্রকাশ পূজা অবনীমন্ডলে || ধরণীমন্ডলে নাম হবে রঞ্জাবতী | রূপে দশ দিক আলো প্রকাশিত . খ্যাতি || রাজকন্যা হব মহাপাত্রের ভগিনী | বিবাহ করিব কর্ণসেন নৃপমণি || স্থাপনা পালার পরের পৃষ্ঠায় . . . . এই পাতার উপরে . . . মিলনসাগর |